Tag: Madhyom

Madhyom

  • Train Accident: করমণ্ডলের থেকেও ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল এরাজ্যে! কীভাবে হয়েছিল সেই দুর্ঘটনা?

    Train Accident: করমণ্ডলের থেকেও ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল এরাজ্যে! কীভাবে হয়েছিল সেই দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Train Accident) রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার রাত দশটা নাগাদ মেদিনীপুর হাওড়া শেষ লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হয় খড়গপুর ঢোকার মুখে। জ্ঞানেশ্বরী, করমণ্ডলের পর নতুন করে আবার মেদিনীপুর হাওড়া লোকাল ট্রেন। বারে বারে এই রেল দুর্ঘটনা (Train Accident) মনে করিয়ে দিচ্ছে  ৭৫ বছর আগে এক ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কথা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ওই দুর্ঘটনায় রূপনারায়ণের জল মৃতদেহের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল।

    ৭৫ বছর আগে কীভাবে ঘটেছিল সেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)?

    কোলাঘাটের ইলিশের স্বাদ সে সময় ছিল জগৎজোড়া। শোনা যায়, পরাধীন ভারতে বহু ভারতীয় কোলাঘাটের ইলিশ খাইয়ে সাহেবদের তোষামোদ করতেন। মাছ অন্যত্র রফতানির জন্য কোলাঘাট রেল স্টেশনে নিয়মিত ট্রেন থামানো হতো। এরজন্য নির্দিষ্ট কিছু ট্রেনের জন্য অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করে রাখা হত। তখন রূপনারায়ণ নদের উপর দুই দিক খোলা রেলের দু’টি সেতুও ছিল। ১৯৪৮ সালের ১৪ অক্টোবরের দুর্ঘটনার (Train Accident) রাতে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। যদিও সেই বৃষ্টি চলছিল কয়েক দিন ধরেই। বৃষ্টির জেরে রূপনারায়ণের গাঙে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছিল। ১৪ অক্টোবর রাত ৯ টা নাগাদ হাওড়া থেকে ছেড়ে আপ পুরুলিয়া এক্সপ্রেস এসে থামে কোলাঘাট স্টেশনে। ট্রেনে তখন ইলিশের ঝাঁকা তোলা চলছিল। হঠাৎই একই লাইনে এসে পড়ে হাওড়াগামী  ডাউন নাগপুর এক্সপ্রেস। প্রচণ্ড গতিতে পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে ধাক্কা মারে সেটি। দুমড়ে মুচড়ে যায় দু’টি ট্রেনের একাধিক কামরা। দুর্ঘটনার জেরে রেল স্টেশন চত্বর এবং কোলাঘাটের পাড়ে ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য মৃত দেহ।

    স্থানীয় পত্রিকায় বেরিয়েছিল সেই দুর্ঘটনার খবর

    ‘কোলাঘাট সম্পদ’ নামে স্থানীয় একটি পত্রিকা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) প্রায় ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন এক হাজারেরও বেশি যাত্রী। রক্তে ভেসে গিয়েছিল রূপনারায়ণের জল। দুর্ঘটনার সুযোগ নিয়ে সে সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন দু’টিতে ব্যাপক লুঠপাঠও চলেছিল বলে অভিযোগ। তখন কোলাঘাট ছিল পাঁশকুড়া থানার অধীন। পরের দিন পাঁশকুড়া থানার পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। রেলের উদ্যোগে বহু দেহ কোলাঘাট স্টেশনের নীচে রেলের কাঠের পুরনো স্লিপার দিয়ে দাহ করা হয়েছিল।

    সেদিনের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)  নিয়ে কী বললেন স্থানীয় প্রবীণরা?

    বারে বারে এই ট্রেন দুর্ঘটনা প্রায় ৭৫ বছর আগের সেই ঘটনার কথায় মনে করিয়ে দিচ্ছে বহু প্রবীণদের। মহাদেব সেনগুপ্ত নামে কোলাঘাটের এক সমাজসেবী বলেন, “সেদিনের দুর্ঘটনার (Train Accident) পর একাধিক গাড়িতে করে পুলিশ মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সে ছবি এখনও আমার চোখে ভাসছে। করমণ্ডল দুর্ঘটনার মতোই ভয়াবহ ছিল স্বাধীন ভারতের প্রথম বড় রেল দুর্ঘটনা।’’ কোলাঘাটের বাসিন্দা বাগনান কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক জয়মোহন পাল বলেন, “সেদিন বৃষ্টির জন্য কোলাঘাটে জেলেদের জালে টনটন ইলিশ উঠছিল।মাছ তোলার জন্য ট্রেন অতিরক্ত সময় ধরে দাঁড়িয়েছিল। সম্ভবত ভুল সিগন্যালের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় ৪০০ জন যাত্রী সেদিনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১২/০৬/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১২/০৬/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা ক্ষেত্র, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য– কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) মেষ রাশির জাতকরা সহজ ও সরল স্বভাব বজায় রাখুন।

    ২)  আপনার স্বভাবের কারণে পরিবারে অশান্তির পরিবেশ গড়ে উঠবে।

    বৃষ

    ১) কাজ ও ব্যবসায় অধিকাংশ সময় দিতে করতে পারবেন না। তবে কম সময়ে ব্যয় করা টাকা তুলে নিতে পারবেন।

    ২)  গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাতিল করবেন না, তা না-হলে তা পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    মিথুন

    ১) মিথুন রাশির জাতকরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট থাকবেন। 

    ২) এই রাশির মহিলারা দুখী হতে পারে।

    কর্কট

    ১)  ব্যবসায় ভুলেও লগ্নি করবেন না, এর ফলে লোকসান সম্ভব। পরিবারে উৎসবের পরিবেশ থাকবে। 

    ২) কাম-বাসনা অধিক থাকবে।

    সিংহ 

    ১) সিংহ রাশির জাতকদের আজকের দিনটি আগের তুলনায় ভালো কাটবে। 

    ২) মনস্কামনা পূরণে বাধা আসবে। 

    কন্যা

    ১) কন্যা জাতকদের আজকের দিনটি খুব আরামে কাটবে।

    ২)  ভেবেচিন্তে কথা বলুন। তা না-হলে আপনার অপমান হতে পারে। 

    তুলা 

    ১) তুলা রাশির জাতকদের আজকের দিনটি সমস্যা সঙ্কুল। কর্মক্ষেত্রে অনুকুল পরিবেশ লাভ করবেন। 

    ২) অসম্পূর্ণ কাজ করার ক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন। 

    বৃশ্চিক

    ১) দিনের প্রথমাংশে লাভের পরিমাণ কমবে। 

    ২) কোনও না-কোনও চিন্তা আপনার মাথায় ঘোরাফেরা করতে থাকবে।

    ধনু

    ১) ধনু রাশির জাতকদের আজকের দিনটি অপ্রয়োজনীয় দৌড়ঝাপে কাটবে।
     
    ২) পারিবারিক কাজের জন্য বিবাদ সম্ভব, দুপুর পর্যন্ত এর দ্বারা প্রভাবিত হবেন।

    মকর

    ১) মকর রাশির জাতকরা কাজকর্মের প্রতি কম গম্ভীর থাকবেন।

    ২)  দিনের শুরু থেকে আলস্য় প্রভাব বিস্তার করবে আপনার ওপর।

    কুম্ভ

    ১) বাবা বা বয়স্ক ব্যক্তির স্বাস্থ্যের পিছনে ব্যয় হবে।

    ২) দীর্ঘযাত্রার পরিকল্পনা মনের মধ্যেই থেকে যাবে। 

    মীন

    ১) মীন রাশির জাতকদের পরিজনদের স্বভাব আপনার ব্যবহারের ওপর নির্ভর করবে। 
     
    ২) পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে দোটানায় থাকবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যেকোনও পরামর্শ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Panchayat Vote: মনোনয়ন কেন্দ্রে জারি ১৪৪ ধারা! কমিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয়ে বিরোধীরা

    Panchayat Vote: মনোনয়ন কেন্দ্রে জারি ১৪৪ ধারা! কমিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয়ে বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন কেন্দ্রগুলিতে ১৪৪ ধারা জারির কথা ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। সোমবার থেকেই লাগু হবে এই নিয়ম। পাশাপাশি মনোনয়ন কেন্দ্রগুলিতে শুধুমাত্র ২ জন ব্যক্তিই একসঙ্গে প্রবেশ করতে পারবেল বলে জানিয়েছে কমিশন। অর্থাৎ প্রার্থী নিজে এবং তাঁর প্রস্তাবক। রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) দামামা বৃহস্পতিবার আচমকাই বাজিয়ে দেন নয়া নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। বিতর্কের শুরু সেখান থেকেই। সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে একতরফা নির্বাচন ঘোষণা কি শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কমিশনের এদিনের সিদ্ধান্ত নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিরোধী নেতা নেত্রীরা। কমিশনের রাজনীতিকরণ নিয়ে অভিযোগ তো এর আগে বিজেপির সব নেতার মুখেই শোনা গিয়েছে। এবার তাঁদের আশঙ্কা, বিজেপিকে রুখতেই কি মনোনয়ন কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা? কিন্তু কীভাবে? বিজেপি নেতাদের একাংশ বলছেন, ১৪৪ ধারা দেখিয়ে বিরোধী বিজেপি কর্মীদের রোখা যাবে। তাঁদের কেন্দ্রে আইনের নানা তত্ত্ব তুলে ধরবে পুলিশ এবং অমান্য করলেই মামলা। কিন্তু তৃণমূলের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কি কার্যকর হবে? বিজেপি নেতারা এক্ষেত্রে যুক্তি দিচ্ছেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরেও অনেক নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট লুঠ হতে দেখা যায়। কারণ পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই, রয়েছে শাসকের আইন।   

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayet Election) কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল

    রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বারবার। ভোট পরবতী হিংসা থেকে হাল আমলে ময়নায় বিজেপি কর্মীর খুন সর্বত্র ছুটে গিয়েছেন মানবাধিকারের কর্মীরা। এবার পঞ্চায়েত ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন নিয়োগ করল ডিরেক্টর জেনারেল (ইনভেস্টিগেশন)। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায়, স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল বুথগুলিতে নজরদারি চালাবেন এই পর্যবেক্ষক।

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Cricket Team: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২০৯ রানে হারল ভারত

    Indian Cricket Team: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২০৯ রানে হারল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দ্বিতীয় বার, ফাইনালে হার। টেস্ট ক্রিকেটেও সেরার শিরোপা পেল না ভারত। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ভারত (Indian Cricket Team)। প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ইতিপূর্বে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গত তিনটি সিরিজই জিতেছে ভারত। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এক হল না। টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। প্রথম দিন থেকেই ব্যাকফুটে ছিল ভারত। শেষ অবধি ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হার হল ভারতের।

    কেন এই হার?

    টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকেই এক্ষেত্রে দায়ী করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কারণ আইপিএল ফাইনাল ও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের মাঝে মাত্র এক সপ্তাহের মতো সময় পাওয়া গেছিল। ভারতীয় দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই আইপিএল-এ ফোকাস রেখেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র ক্রিকেটাররা এক্ষেত্রে আইপিএল নয়, এই ম্যাচকেই পাখির চোখ করেছিলেন, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।ভারতের হারের মূল কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। পিচ বুঝতে ভুল করা, টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া এবং একাদশে অশ্বিনকে না রাখাও অন্যতম কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ওভালে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন নাথান লিয়ঁ। প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে, অশ্বিনকে এই ম্যাচে খেলানো উচিত ছিল না?

    শেষ ইনিংসে বিতর্ক শুভমনের আউট নিয়ে

    ভারতের শেষ ইনিংসে শুভমনের আউট নিয়ে দানা বাঁধে বিতর্ক। স্কট বোল্যান্ডের বল শুভমনের ব্যাট ছুঁয়ে স্লিপে যায়। তৃতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ক্যামেরন গ্রিন বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে লুফে নেন বল। এই ক্যাচ নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার পরে সেই বিতর্কে উস্কে দিয়েছেন শুভমন নিজেই। ওই ক্যাচের ছবি ট্যুইট করেছেন তিনি। শুভমন কোনও মন্তব্য করেননি। যদিও ছবি দেখে মনে হচ্ছে ক্যাচ নেওয়ার সময় বল মাটিতে ঠেকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনোনয়ন শুরু হতেই ভাঙন তৃণমূলে! বিজেপিতে যোগ দিলেন সংখ্যালঘু নেতা

    BJP: মনোনয়ন শুরু হতেই ভাঙন তৃণমূলে! বিজেপিতে যোগ দিলেন সংখ্যালঘু নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই ভাঙন শাসক দলে। রবিবার মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল বেশ কিছু পরিবার। এরা প্রত্যেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বলেই জানা গেছে। বিজেপি (BJP) এতদিন বলে এসেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে শুধু ভোটার হিসেবেই ব্যবহার করেছে তৃণমূল। এদিন এই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল যোগদানকারীদের কণ্ঠেও।

    জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে থেকে হয় এই যোগদান কর্মসূচি

    জেলার ভগবানপুর-২ ব্লকের জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন জুখিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি শেখ রমজান আলি। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কিছু পরিবার এদিন হাজির ছিল যোগদান কর্মসূচিতে। তাঁদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন ভগবানপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। তৃণমূল ছেড়ে সংখ্যালঘু মানুষজনের বিজেপিতে যোগদানের মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কিছুটা হলেও চমক দিল বিজেপি। যদিও এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    কী বললেন যোগদানকারী তৃণমূল নেতা?

    এদিন শেখ রমজান বলেন, ‘‘১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল দল করতাম। কিন্তু দলটাতে আজ আর দুর্নীতি ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই।’’ রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়েও এদিন রমজান সরব হন তাঁর পুরনো দলের বিরুদ্ধে। তাঁর মতে, ‘‘গরিব মানুষদের ওপর তৃণমূল যে সন্ত্রাস করেছে তা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। এই জেলায় একাধিক গরিব মানুষের বাড়ি লুঠ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে তৃণমূল। বিজেপিই একমাত্র মানুষের কথা ভাবে। বিজেপিতে থেকে সাধারণ মানুষের কাজ করব।’’

    কী বললেন এলাকার বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি?

    রবীন্দ্রনাথ মাইতি এদিন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের শুধু ভোটার হিসেবেই দেখেন। রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনও উন্নয়ন হয়নি।’’

    আরও পড়ুুন: পাহাড়়ে চাপে তৃণমূল! পঞ্চায়েতে মহাজোটের পথে বিজেপি

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

    Abhishek Banerjee: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় মতুয়ারা ছিলেন তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মতুয়ারা। গত বিধানসভাতেও মতুয়াদের আস্থা ফিরে পায়নি তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হারানো মাটি ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরনগরে এসে অভিষেককে কার্যত মুখ ঝামটা খেতে হল। মন্দিরে ঢোকার আগেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অভিষেককে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতেই দেওয়া হবে না বলে স্লোগান তোলেন মতুয়ারা। শুধু তাই নয়, অভিষেক আসতেই তাঁর সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান মতুয়ারা। কালো পতাকা দেখানো হয়। কার্যত বিক্ষোভের জেরে অভিষেক মতুয়াদের মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, মূল মন্দিরে পুজো না দিয়েই অভিষেককে ফিরতে হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    তৃণমূলে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে রবিবার ঠাকুরনগরে আসার কথা ছিল অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। তার আগে পাল্টা প্রস্তুতি নিয়েছিল অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ। মতুয়াদের আরাধ্য হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণ করার জন্য আজও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাওয়ায় ঠাকুরবাড়িতে অভিষেক পুজো দিতে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মতুয়ারা। অভিষেক আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ‘ধিক্কার’ পোস্টারেও ছেয়ে গিয়েছিল ঠাকুরবাড়ি এলাকা। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ ঠাকুরনগরে পৌঁছয় অভিষেকের কনভয়। ঠাকুরবাড়ির সামনেই অনুগামীদের নিয়ে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। অভিষেক ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছতেই শান্তনু মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। বাইরে তৃণমূল কর্মী এবং মতুয়া ভক্তদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। পুলিশের সামনেই ভেঙে ফেলা হয় তোরণ। অভিষেককে দেখে চোর, চোর স্লোগান ওঠে। কালো পতাকা দেখানো হয়। আর মতুয়াদের তুমুল বিক্ষোভের জেরে হরিচাঁদ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত মন্দিরে আর প্রবেশ করা হয়নি অভিষেকের। সেই সময় আগাগোড়াই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে ছিলেন প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের পত্নী তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরে পাশেই অন্য একটি মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক।

    কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    মন্দিরে ঢুকতে না পেরে মমতাবালাকে পাশে নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক। তিনি (Abhishek Banerjee) বলেন, ‘‘আমার কোনও কর্মসূচি ঠাকুরনগরে ছিল না। ছিল ২০ কিলোমিটার দূরে হাবড়ায়। আমি এখানে এসেছিলাম পুজো দিতে। কিন্তু দরজা বন্ধ করে আমাকে পুজো দিতে দেওয়া হল না। বিজেপি ও শান্তনু ঠাকুর মিলে এই কাজ করেছে। আমি তার জবাব দেওয়ার দায়িত্ব এখানকার জনগণকে দিয়ে রাখলাম।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঠাকুরবাড়ি কারও একার সম্পত্তি নয়।’’

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    শান্তনুর মন্তব্য, ‘‘মতুয়াদের ভাবাবেগে আঘাত হলে প্রতিবাদ তো হবেই। তবে, বিজেপি নয়, যা করেছে মতুয়ারা করেছে। মতুয়ার নাটমন্দিরে কেন পুলিশ? গোবরজলে শোধন হবে মন্দির।” তবে, তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে নাটমন্দির থেকে সমস্ত পুলিশকে সরিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    PM Modi: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১১

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অগ্রগতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত ৯ বছরে প্রযুক্তির ভরপুর প্রয়োগ করেছে মোদি (PM Modi) সরকার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ডিজিটাল লেনদেন। লক্ষণীয়ভাবে বিগত কয়েক বছরে এর প্রবণতা বেড়েছে। নতুন প্রজন্ম এখন ক্যাশলেস লেনদেনকেই বেশি পছন্দ করে। ২০২৩ সালের জানুয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী, দু লাখ কোটি টাকার ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে সারা ভারত জুড়ে। দেশের ডিজিটাল লেনদেন সংযুক্ত হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও। এর ফলে বিভিন্ন আমদানি-রফতানি ব্যবসাও বাড়ছে রমরমিয়ে। মোবাইল ব্যবহারে ভারত নতুন রেকর্ড তৈরি করতে পেরেছে। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে দেশে ১২১ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ৭৯ কোটি মানুষ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন। এই বিপুল পরিমাণ মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ, বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসেবে ভারতেই ডেটা সবথেকে সস্তা। ইতিমধ্যে ফাইভ-জি সার্ভিসও আমাদের দেশে চলে এসেছে।

    ভারত নেট প্রকল্পে ৭০% এরও বেশি, প্রায় ২,৫০,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েতে এই সার্ভিস চালু করা গেছে। বর্তমান দিনে ব্রডব্যান্ড কানেকশন ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও পৌঁছে গেছে, যা মোদি (PM Modi) সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ডিজিটাল মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবাও মেলে। ডিজিটাল ব্যবস্থা কংগ্রেস জমানার দুর্নীতিকেও নির্মূল করতে পেরেছে। পাশাপাশি সাধারণ ভারতীয়দের জীবনমানের উন্নতিও সম্ভব হয়েছে এর দ্বারা। মোদি সরকার প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন ডিজিটাল টুলগুলিকে ব্যবহার করছে সরকারি সুবিধা দিতে। প্রত্যন্ত গ্রামেও প্রযুক্তির সুবিধা যেমন পৌঁছে গেছে, তেমনি মহাকাশ গবেষণাতেও গত ৯ বছরে মিলেছে একাধিক সাফল্য। বিভিন্ন ধরনের মিশন বিশ্ব জুড়ে আলোচিত হয়েছে। সম্প্রতি বিক্রম-এস স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে মহাকাশে। যা ভারতের প্রথম বেসরকারি উপগ্রহ। ভারত এখন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত অগ্রগতির নতুন ধাপে পৌঁছানোর জন্য, যা আসবে প্রযুক্তির সহায়তায়।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গত ৯ বছরে কতটা এগিয়েছে দেশ 

    ১) ১২১ কোটি মোবাইল গ্রাহক রয়েছে ভারতবর্ষে। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, এর মধ্যে ৭৯ কোটি মানুষ বর্তমানে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছেন। ১.৯৮ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে অপটিক ফাইবার চালু করা গেছে। প্রতি জিবি ডেটার দাম ৩০৮ টাকা থেকে কমে ৯.৯৪ টাকায় নেমেছে।

    ২) নতুন স্টার্ট-আপ প্রজেক্ট শুরু করা গেছে ৬৬৯ টি জেলায়।

    ৩) ২০২২ সালের রিপোর্ট বলছে, সারা বিশ্ব জুড়ে ডিজিটাল লেনদেনের ৪৬ শতাংশই হল ভারতের।

    ৪) বিগত পাঁচ বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

    ৫) ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে ৫.৪৭ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার শুরু করা গেছে।

    ৬) ভারত নেট প্রকল্পের আওতায় ৬.২০ লক্ষ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সম্প্রসারণ হয়েছে।

    ৭) ১০৪টি উপগ্রহকে মহাকাশে স্থাপন করা গেছে, যা একটি বিশ্ব রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: ৩.২৮ লক্ষ কিমি গ্রামীণ রাস্তা থেকে চেনাব ব্রিজ! মোদি জমানায় বদলে গেছে দেশ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ব্যবসার আদর্শ পরিবেশ দেশে! ৯ বছরে স্টার্টআপ বেড়েছে ২৬০ গুণ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছেন। অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে বীরভূমে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। জেলায় কোর কমিটি গঠন করে সংগঠন মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এসব করার পরও অনুব্রতের গড়ে তৃণমূলের বড়সড়় ভাঙন ধরাল বিজেপি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ুরেশ্বর- ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতে। এর আগেও এই জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক দলত্যাগের ঘটনায় এই জেলায় ফের অস্বস্তিতে শাসক দল।

    বিজেপিতে কারা যোগ দিলেন?

    ময়ুরেশ্বর- ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলে ভাঙন ধরবে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। মূলত, এই এলাকায় পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে যাদের প্রার্থী করা হয়েছে, দলের অন্য পক্ষ তাঁদের মেনে নিতে পারছে না। প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করছে। এদিন দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান শিউলি দে-এর নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ জন কর্মী ও সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক অর্জুন সাহা তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে শিউলি দে বলেন, তৃণমূল চোরের দল। এই দল আর করা যায় না। তাই কয়েকশো কর্মী, সমর্থক নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক অর্জুন সাহা বলেন, অনুব্রত (Anubrata Mondal) এখন জেলে। জেলায় তৃণমূলের এখন ছন্নছাড়া অবস্থা। এই এলাকায় আমাদের সংগঠন মজবুত। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূলের প্রধান সহ বহু কর্মী, সমর্থক আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় সংগঠন অনেকটাই মজবুত হল।

    মাইক হাতে রাস্তায় নেমে কী বার্তা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক?

    এতদিন পর বিরোধীদের কথা মনে পড়ল শাসক দলের বিধায়কের! ২০১৩, ২০১৮ সালে লাভপুর বিধানসভা এলাকায় পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য ছিল। শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপি সহ বিরোধীরা কেউ প্রার্থী দিতে পারেনি। বলা ভালো, প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। সেই লাভপুরে কি না তৃণমূল বিধায়ক অভিজিত্ সিংহ রবিবার মাইক হাতে নিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। শাসক দলের নেতার এই ভিজে বিড়ালের মতো পাল্টি খাওয়া দেখে এলাকার লোকজনও হাসাহাসি শুরু করেছেন। অনেকে আড়ালে আবডালে বলতে শুরু করেছেন, কেষ্ট (Anubrata Mondal) এখন জেলে। বিপাকে পড়ে বিধায়ক এখন এই ভেক ধারণ করেছেন। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, বিরোধীরা যেন মনোনয়ন জমা দেয়। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী বাধা দেয় বা আটকানোর চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে সেই কর্মী বা সমর্থকদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তেমনি প্রশাসনও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের। কোথাও শাসকদলের গুন্ডারা ব্লক অফিস ঘিরে রাখছে, তো কোথাও ব্লক অফিসে ফর্ম মিলছে না। বিরোধী প্রার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে ইতিমধ্যে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, তৃণমূলের প্রার্থীদের জন্য মনোনয়নপত্র ‘হোম ডেলিভারি’ দেওয়া হচ্ছে। রবিবার সকালে এ নিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই ট্যুইটে সরকারি কর্মীদের ‘তৃণমূলের কর্মচারী’ বলেও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা।

    শুভেন্দু ট্যুইটে কী লিখেছেন?

    মনোনয়নপত্র তুলতে গিয়ে বিরোধীরা কীভাবে ব্লক অফিসের কর্মীদের অসহযোগিতার শিকার হচ্ছেন, তা প্রমাণ সহ জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বাঁকুড়া জেলার একটি ব্লক অফিসে মনোনয়নপত্র তোলার সময়কার ভিডিও পোস্ট করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “তৃণমূল গুন্ডাদের বাধা পেরিয়ে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলতে বিডিও অফিসে পৌঁছলে তাঁদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। তাঁরা ভাগ্যবান হলে দীর্ঘ সময় পর মনোনয়নপত্র এবং ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিপ্ট) পাচ্ছেন। না হলে বলা হচ্ছে, এখন কাজের সময় পেরিয়ে গিয়েছে, পরের দিন আসুন বা মনোনয়নের ফর্ম পর্যাপ্ত নেই।”

    তবে শাসক দলের ক্ষেত্রে ব্লক অফিসের এমন নিয়ম খাটছে না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও সংযোজন, “ভিডিওতে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া ব্লকের তিলুরির তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সালতোড়া বিডিও অফিস থেকে অগুণতি মনোনয়নপত্র ও ডিসিআর তুলছেন।”

    কী বলছেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি?

    এ প্রসঙ্গে শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি বলেছেন, “শালতোড়া ব্লকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গোছা গোছা ডিসিআর ফর্ম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির প্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়েও ডিসিআর ফর্ম পাননি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে,” সরব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    Panchayat Election: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে,” সরব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। শাসক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা করা শুরু করেছেন। আর তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই জেলার মাল মহকুমার ক্রান্তি ব্লকে গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্য চলে এসেছে। শনিবার বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মেহেবুব আলমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভ সামাল দেয়।

    ঠিক কী অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির?

    তৃণমূলের ক্রান্তি ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি মেহবুব আলম বলেন, যোগ্য প্রার্থীদের পরিবর্তে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আর এসবই করছেন বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মহাদেব রায়। তিনি বৈষম্যের রাজনীতি করছেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন যোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আর সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বর্তমান ব্লক সভাপতি প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের ব্রাত্য করে রেখে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দিচ্ছেন। দলের কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই তিনি একাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব কিছু করছেন। বিরোধীদের সুবিধা করে দেওয়ার লক্ষ্যেই তিনি এসব করছেন। এসব বন্ধ না হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের বর্তমান ব্লক সভাপতি?

    এবিষয়ে বর্তমান ব্লক সভাপতি মহাদেব রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে, তাঁর যদি কোনও বক্তব্য থাকে সেটা আমাদের কাছে বলতে পারতেন। এভাবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে খোলাখুলি এসব কিছু বলে তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। টিকিট দেওয়ার বিষয়ে আমার কোনও হাত নেই। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব এটা ঠিক করবেন। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মুখে  প্রাক্তন ও বর্তমান ব্লক সভাপতির একে অপরকে আক্রমণের  ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের সাধারণ কর্মীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share