Tag: Madhyom

Madhyom

  • Manipur: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর! ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের

    Manipur: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর! ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর (Manipur)। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের গৃহহারাদের জন্য ১০১.৭৫ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের  নির্দেশেই এদিন এই ত্রাণ প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন মণিপুর সরকারের নিরপত্তা উপদেষ্টা কূলদীপ সিং।

    কী বলছেন মণিপুর (Manipur) সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা?

    নিরপত্তা উপদেষ্টা কূলদীপ সিং বলেন, “বর্তমানে মণিপুরে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে কোনও হিংসার খবর পাওয়া যায়নি।” তাঁর আরও সংযোজন, “মণিপুরে বাস্তুচ্যুত মানুষদের ত্রাণ প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১০১.৭৫ কোটি টাকার একটি ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে।” কুলদীপ সিং আরও বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব জেলার পোরোম্পট থানা এলাকা থেকে ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৪৫ রাউন্ড গুলি এবং ৪১টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর জেলা থেকেও ১টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুটি বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল কেড়েছে ছেলের প্রাণ, সেই ট্রেনে চড়ে দেহ আনতে গেলেন বাবা

    অমিত শাহের আবেদন 

    শুধু ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণাই নয়, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে গত কয়েকদিনে বারেবারেই কুকি জঙ্গিদের অস্ত্র সমর্পণ করার আবেদন করেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বহু মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮৯৬টি অস্ত্র, ১১,৭৬৩ রাউন্ড গুলি এবং বিভিন্ন ধরনের ২০০টি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    শান্তি ফিরছে মণিপুরে (Manipur)

    একদিকে, অস্ত্র-গোলাগুলি উদ্ধার হচ্ছে এবং নতুন করে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাজ্যে জারি করা কারফিউ-ও শিথিল করা হয়েছে। উপত্যকা এলাকার পাঁচটি জেলায় ১২ ঘণ্টার জন্য তা শিথিল করা হয়েছে। পার্বত্য জেলাগুলিতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত তা শিথিল করা হয়েছে। বাকি ছয় পার্বত্য জেলায় আগে থেকেই কারফিউ ছিল না। ৩৭ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে গাড়িও চলছে। প্রসঙ্গত, এই সড়ককেই মণিপুরের লাইফলাইন বলা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Donald Trump: যৌন কেচ্ছার পর এবার গোপন নথি ‘চুরি’-তে অভিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প

    Donald Trump: যৌন কেচ্ছার পর এবার গোপন নথি ‘চুরি’-তে অভিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরে পদ ছাড়লেও আমেরিকার গোপন নথি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। যৌন কেচ্ছার একাধিক মামলা ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে। এবার নথি চুরি মামলায় তাঁকে মূল অভিযুক্ত করে তদন্ত শুরু করতে চলেছে জো বাইডেন প্রশাসন।

    অভিযোগ ঠিক কী?

    আমেরিকার অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমই জানিয়েছে, এই তথ্য ‘চুরি’র মামলায় ট্রাম্পকে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেদেশের বিভিন্ন মহল থেকে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক নথি আমেরিকার মহাফেজখানা থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। কম করে প্রায় ২০০ গুরুত্বপূর্ণ নথি। অভিযোগ, সেগুলো আর ফেরত আসেনি। এনিয়ে চুরির তদন্ত শুরু হলে তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টাও নাকি করেন ট্রাম্প। বছর ঘুরলেই মার্কিন মুলুকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়ে নামতে চলেছেন বলেই জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, মাসকয়েক আগেই পর্নতারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল ট্রাম্পের (Donald Trump)। এবার আর এক আইনি বিড়ম্বনায় পড়লেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, “মার্কিন ইতিহাসে প্রথম। এর আগে কোনও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এত মামলা দায়ের হয়নি।”

    কী বলছেন ট্রাম্প (Donald Trump)?

    এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভুয়ো অভিযোগ আনার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে দুষছেন ট্রাম্প। প্রাক্তন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত বাইডেন প্রশাসন আমার আইনজীবীকে জানিয়েছে, আমি নাকি এই মামলায় অভিযুক্ত হতে চলেছি।” ট্রাম্প এ-ও লিখেছেন, “মঙ্গলবার তাঁকে মায়ামির যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমি কখনও ভাবিনি যে, দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন কিছু হওয়া সম্ভব।” হাউসের স্পিকার, কেভিন সমাজ মাধ্যমে ট্রাম্পের পাশেই দাঁড়িয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টা পর! সানফ্রান্সিসকো উড়ে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার বিকল্প বিমান

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • CBI: সাতদিনের মধ্যে পানিহাটি পুরসভার কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল সিবিআই

    CBI: সাতদিনের মধ্যে পানিহাটি পুরসভার কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের মধ্যেই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সিবিআই (CBI) অফিসে জমা দেওয়ার জন্য পানিহাটি পুর কর্তৃপক্ষকে বলা হল। জানা গিয়েছে, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের বাড়ি থেকে একটি নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছিল, যা ছিল পানিহাটি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে সিবিআই এই পুরসভায় হানা দিয়েছিল। বুধবার সিবিআই দিনভর সেখানে তল্লাশি চালায়। শুক্রবারই রয়েছে সিআইসি বৈঠক। এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হতে পারে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পুরসভায় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই ১০২ জন কর্মীর নিয়োগের জন্য ৪০ হাজার জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অয়নের সংস্থার মাধ্যমে সেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। রহস্যজনকভাবে পরীক্ষা নেওয়ার পরও কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। কেন নিয়োগ হয়নি, সেই বিষয়ে পুরসভার কেউ মুখ খোলেননি। কামারহাটি, হালিশহর, টিটাগড় এবং বরানগর পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ হলেও পানিহাটি পুরসভায় কোনও নিয়োগ হয়নি। ফলে, পুরসভার কর্মকর্তাদের আশা ছিল, এখানে সিবিআই হানা হবে না। কিন্তু, বুধবার দিনভর সিবিআই তল্লাশি চালানোয় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। পুর আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশপাশি আলমারি খুলে নথি দেখা হয়। তবে, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাইয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি পুরসভায় সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা পাননি। পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, যে সময়ের ঘটনা, আমি তখন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। আর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আমি ছিলাম না। এই পুরসভায় শেষ ২০১৪ সালে নিয়োগ হয়েছিল। তারপর আর কোনও নিয়োগ হয়নি। ফলে, দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই আসে না। তবু, সিবিআই (CBI) যে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে, তা দেওয়ার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করব। সিবিআইকে আমরা সমস্তরকম ভাবে সহযোগিতা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon: ‘বিপর্যয়’ বাধা কাটিয়ে কেরলে ঢুকল বর্ষা! রাজ্যে কবে?

    Monsoon: ‘বিপর্যয়’ বাধা কাটিয়ে কেরলে ঢুকল বর্ষা! রাজ্যে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাধা ছিল বির্পযয়! তা কাটিয়ে উঠে বর্ষা পাড়ি দিল কেরলে। শুরু হল বৃষ্টি। আসলে বিপর্যয় হল একটা ঘূর্ণাবর্ত। আরব সাগরে এই ঘূর্ণাবর্তের কারণেই বর্ষার (Monsoon) অনুকূল অবস্থা তৈরি হচ্ছিল না। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, শুক্রবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল দিয়ে দেশের মূল ভূখণ্ডে ঢুকতে পারে বর্ষা। তবে তার এক দিন আগে, বৃহস্পতিবারই কেরলে প্রবেশ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আগামী দু’দিন লক্ষদ্বীপ, কেরল এবং উপকূলবর্তী কর্নাটকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রাজ্যবাসী অবশ্য কেরলে বর্ষা ঢোকার কথায় আনন্দিত হতেই পারেন। কারণ এই মৌসুমি বায়ুই হিমালয়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরবে রাজ্যের ওপর দিয়ে। প্রথমে ভিজবে উত্তরবঙ্গ পরে দক্ষিণবঙ্গ। কিন্তু আপাতত শনি বা রবিবার পর্যন্ত চলবে তাপপ্রবাহের দাপট। এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস।

    রাজ্যে বর্ষা (Monsoon) কবে?  

    কেরলে বর্ষা ঢোকার একসপ্তাহ পরে সাধারণত তা বাংলায় আসে। তবে হিসাব সবসময় যে মিলবে এমনটা নয়। আবহাওয়া দফতর বলেছে, শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা। রবিবার থেকে তবে অবস্থা বদলাতে পারে। শুরু হতে পারে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। আগামী কয়েক দিন খুব হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায়। রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। চাতক পাখির মতো দিন গোনা শুরু করেছে বাঙালি।

    বিগত বছরগুলিতে কখন এসেছিল বর্ষা (Monsoon)?

    এমনিতে কেরলে বর্ষা ঢোকে ১ জুন। তবে প্রতিবার এমন নিয়ম মানে না মৌসুমি বায়ু। গত বছর সময়ের আগেই ঢুকেছিল বর্ষা (২৯ মে)। ২০২১ সালে বর্ষা ঢুকেছিল ৩ জুন। ২০২০ সালে অবশ্য ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেই কেরলে বর্ষা ঢুকেছিল। আবার ২০১৯ সালে চলতি বছরের মতোই ৮ জুন দেশে বর্ষা ঢুকেছিল।

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল কেড়েছে ছেলের প্রাণ, সেই ট্রেনে চড়ে দেহ আনতে গেলেন বাবা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েকের মধ্যে এ রাজ্যে কি কোনও বড়মাপের চমকপ্রদ ঘটনা ঘটতে চলেছে? সম্প্রতি দিল্লি থেকে আগত পদস্থ সরকারি কর্তাদের কলকাতায় আনাগোনা দেখে তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। তাহলে কি এ রাজ্যে দুর্নীতির মাথার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে? এসব নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে চর্চা চলছে তখন ইডি, সিবিআইকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বুধবার রাজ্যজুড়ে একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়, আর সেদিনই বরানগরে দলীয় সভায় যোগ দিয়ে মদনের সিবিআই, ইডিকে কড়া বার্তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra)?

    পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর মদনকে সেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল না। এমনকী কয়েকদিন আগেই ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসের বৈঠকে অধিকাংশ বিধায়ক, মন্ত্রী হাজির থাকলেও মদন (Madan Mitra) গরহাজির ছিলেন। যা নিয়ে দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ, পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দলের সঙ্গে মদনের দূরত্ব বাড়়ছে বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যদিও সে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বরানগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন মদন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইডি, সিবিআইকে নিশানা করেন তিনি। তিনি বলেন, “কোথায় যাচ্ছেন, তৃণমূলকে আগে থেকে না জানালে রাস্তায় আটকে যেতে পারেন। এমন সভা হবে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স পাবে না ইডি, সিবিআই। তাপসকে (বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়) বলব সিজিও কমপ্লেক্স, ইডি অফিসে একটি চিঠি দিয়ে দিতে। অভিষেকের বাড়িতে একটি অফিস রয়েছে।” সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন,” কোথায় যাচ্ছেন তা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবেন। নাহলে এমন সভা করব যে যাওয়ার রাস্তা পাবেন না। কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? আমাকে ২৩ মাস আটকে রেখেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনলেন, বাহুবলী, প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী। এসব উপমা তো হনুমানকে দেওয়া হয়। এরপর অভিষেকের নবজোয়ারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: রানিগঞ্জের অঞ্জলি বর্মন, এমাচ্যাট তৈরি করে পাড়ি দিচ্ছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

    Asansol: রানিগঞ্জের অঞ্জলি বর্মন, এমাচ্যাট তৈরি করে পাড়ি দিচ্ছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানিগঞ্জের (Asansol) বাংলা মাধ্যমের সরকারি স্কুল, গান্ধী স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন করা ছাত্রী অঞ্জলি বর্মন এবার অনবদ্য অ্যাপ তৈরি করে করল বাজিমাত। সে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের তৃতীয় নম্বর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশুনার সুযোগ পেয়েছে। এলাকায় উচ্ছ্বাসের আবহ। 

    কী সাফল্য অঞ্জলির (Asansol)?

    এমাচ্যাট নামের একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করেছে অঞ্জলি। বিশেষ করে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ব্রাজিল সহ কয়েকটি দেশের মানুষজনের নানান উপযোগিতার ক্ষেত্রে এই অ্যাপ সুনাম অর্জন করেছে। এই বিষয়কে লক্ষ্য করেই এবার বিশ্বের অন্যতম স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে তিন বছরের জন্য এক্সিকিউটিভ এডুকেশন নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ করে দিল। জানা গেছে, এই তিন বছরের পঠন-পাঠনের জন্য তার প্রায় তিন কোটি টাকার মত খরচ হবে। আর খরচের সম্পূর্ণটাই বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    কীভাবে এই বিষয়ে উৎসাহ পেলেন?

    অঞ্জলির শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানা যায়, রানিগঞ্জের (Asansol) গান্ধী মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করত সে। সেই স্কুলে একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময়ই অস্থি সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে অঞ্জলি। আর সেই সময়ে বাড়িতে থেকেই নিজের চিরাচরিত পঠন-পাঠনের সাথেই পড়তে থাকে, বিভিন্ন উদ্যোগপতি, যেমন জ্যাকমা, রবার্ট কিওসাকি এবং ভারতে অল্প সময়ে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করা ভারতীয় রিতেশ আগরওয়াল ও তাঁর সাথেই মার্ক জুকেরবার্গ সহ বিভিন্ন উদ্যোগপতির জীবন বৃত্তান্ত। যেখানে সে খুঁজে পায় নিজের লাইফ স্টাইল বা জীবনে চলার অন্য এক গতিপথ। সেই দিশাতেই নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করে সে। এরপর এই চিরাচরিত পঠন-পাঠনের সাথেই অ্যাপ মেকিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। তার অংকের শিক্ষক বাসুদেব গোস্বামী সেইসব বিষয় নিয়ে পড়ার জন্য ও গবেষণা করার বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত করেন তাকে। এরপরই ২০১৮ সালে অঞ্জলি বর্মন তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেই, এই বিষয়ে বিশেষ পঠন-পাঠনের জন্য বেঙ্গালুরুতে গিয়ে পড়াশোনা শুরু করে। আর তা করতে গিয়ে দীর্ঘ একটা সময় ধরে ব্যাঙ্গালুরুতে একটি টিম তৈরি করে সে। একবছর ধরে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে এবং তারপর এমাচ্যাট নামের একটি অ্যাপ তৈরি করে ফেলে। বিশেষ করে প্রেমিক যুগল ও দম্পতিদের যে দূরত্ব কর্ম ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে, সেই দূরত্বকে এই অ্যাপের মাধ্যমে কাটিয়ে তোলার জন্য বেশ কিছু সংযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে হয়ে উঠেছে অনেকের কাছেই বিশেষ গ্রহণযোগ্য।

    সাফল্য কেমন

    ইতিমধ্যেই প্রায় পাঁচ লক্ষ উপভোক্তার কাছে এই বিশেষ পরিষেবা পৌঁছে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে সে। আগামীদিনে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে, তার অ্যাপকে আরও বেশি উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে আরও বেশি মানুষজনকে সংযুক্ত করে আরও উন্নত করে তুলবে বলেই সে আশাবাদী। শনিবারই অঞ্জলির কাছে ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য ভিসা পাঠিয়ে দিয়েছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৭ শে জুন, সে রওনা দিচ্ছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায়। ছাত্রীর (Asansol) আশা, আগামীতে সে এই অ্যাপের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপনের এক অনন্য নজির গড়ে তুলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ! অনশনে তৃণমূল কাউন্সিলার

    Siliguri: দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ! অনশনে তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) নিয়ন্ত্রিত বাজারের দখলদারি তথা তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলের কাজিয়া চরমে। আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং (সমতল) জেলা কমিটির বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও রাজ্য সরকারের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগে অনশন বসেছেন তৃণমূলেরই নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন।

    কেন অনশনে তৃণমূল নেতা?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য দিলীপ বর্মনের অভিযোগ, শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে ভিন রাজ্যের  শ্রমিক নিয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলছেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নির্জল দে ও তাঁর লোকজন। তাঁরা অন্যায়ভাবে পুরনো শ্রমিক ছাঁটাই করছেন। এর পাশাপাশি  বাজারে অবৈধ নির্মাণ ও চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটি থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের জানিয়েও এখানকার অনিয়ম বন্ধ করা যায়নি। তাই এবার অনশনে বসেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। বুধবার বিকেল থেকে আইএনটিটিইউসির ব্যানারে তিনি এই অনশন মঞ্চে বসেছেন।

    কী বলছে প্রশাসন?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) রেগুলেটেড মার্কেটের সরকারি কমিটির সচিব তমাল দাস বলেন, দিলীপ বর্মন ও তাঁর লোকেরা বাজারে অবৈধ নির্মাণ, স্টল বন্টনে অনিয়ম নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তার কোনওটাই ঠিক নয়। আর শ্রমিক নিয়োগ স্টল মালিকের ইচ্ছেতেই হবে। সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। আইএনটিটিইউসির দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকেই এটা হচ্ছে। সরকারি জমিতে অনশন মঞ্চ করা হয়েছে। কিন্তু রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির কোনও অনুমতি দিলীপ বর্মনদের কাছে নেই। অনশনে বসার ব্যাপারে তিনি আমাদের চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কোনও অনুমতি দিইনি। এতে অভিযোগ উঠেছে, দিলীপ বর্মন নিজের মর্জি মতো তৃণমূলের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে অনশন মঞ্চ করেছেন।

    কী বললেন আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব?

    আইএনটিটিইউসি-র দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভাপতি নির্জল দে বলেন, দিলীপ বর্মন আইএনটিটিইউসির কেউ নন। তিনি যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই বাজারের দখল নিতেই তিনি এসব করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Internet Economy: ২০৩০ সালে ভারতের ইন্টারনেট অর্থনীতি হবে ৮৭ লক্ষ কোটি টাকা! বলছে রিপোর্ট

    Internet Economy: ২০৩০ সালে ভারতের ইন্টারনেট অর্থনীতি হবে ৮৭ লক্ষ কোটি টাকা! বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: Temasek and Bain and company নামের একটি বিদেশি সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম রয়েছে ‘e-conomy India 2023: the economy of a billion connected Indians’ এই রিপোর্টে আলোচনা করা হয়েছে, ভারতে ইন্টারনেট অর্থনীতির ভবিষ্যত নিয়ে। ওই রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে ভারতের ইন্টারনেট অর্থনীতি (Internet Economy) ২০৩০ সালে ১ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮২.৫৭ লক্ষ কোটি টাকা।

    কেন এমন দাবি করা হচ্ছে?

    সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে ভারতীয়দের মধ্যে এখন অনলাইনে কেনাকাটা করার প্রবণতা বেশি। যেকোনও ধরনের পণ্য হোক বা অন্য কিছু তা কিনতে অনলাইন মাধ্যমকেই পছন্দ করছেন ভারতীয়রা। এবং এই কারণেই ইন্টারনেট ব্যবসায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে তাই বলা যায় বর্তমানে দেশে এটা ডিজিটাল দশক চলছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হচ্ছে, বর্তমানে ৭০ কোটি ইন্টারনেট (Internet Economy) ব্যবহারকারী রয়েছেন এদেশে। যেখানে গড়ে ৩৫ কোটি মানুষ ডিজিটাল পেমেন্ট করে থাকেন এবং ২২ কোটি মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা পছন্দ করেন। রিপোর্টে আরও বলা হচ্ছে ভারতবর্ষের ক্রমবর্ধমান এই ইন্টারনেট অর্থনীতি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় প্ল্য়াটফর্ম তৈরি করতে পেরেছে।

    এক লক্ষ কোটিতে পৌঁছাবে ইন্টারনেট অর্থনীতি

    ওই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে ভারতের জিডিপির মাথাপিছু রোজগার ২০২২ সালে ছিল ২৫০০ মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ২ লাখ টাকা তা ২০৩০ সালে বেড়ে হবে ৫৫০০ মার্কিন ডলার বা সাড়ে ৪ লাখ টাকা। 

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল কেড়েছে ছেলের প্রাণ, সেই ট্রেনে চড়ে দেহ আনতে গেলেন বাবা

    ভারতের অর্থনীতিতে ইন্টারনেট ইকোনমির ভূমিকা

    ২০৩০ সালের মধ্যেই ইন্টারনেট ইকোনমি ভারতের জিডিপিতে ১২ থেকে ১৩ শতাংশ অবদান রাখতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই রিপোর্ট মোতাবেক ২০১০ সালে দেশের অর্থনীতিতে ইন্টারনেট ইকোনমির অবদান ছিল ০.৫ শতাংশ। বর্তমান ভারতে শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং অনলাইন মিডিয়া কোম্পানিগুলি পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেড়েছে আগের থেকে। রমরমিয়ে ব্যবসা চলছে অনলাইন মাধ্যমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • TMC: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থোড়াই কেয়ার! বালি পাচারে অভিযুক্ত খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    TMC: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থোড়াই কেয়ার! বালি পাচারে অভিযুক্ত খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা সফরে গিয়ে নদীর ধার থেকে বালি না তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের (TMC) একজন অঞ্চল সভাপতি অবাধে বালি তুলছেন বলে অভিযোগ। রীতিমতো গাড়ি করে কয়েকদিন ধরেই এই বালি তোলা চলছিল। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার ধাদকিডাঙ্গা এলাকায়। অবাধে বালি তুলে তা ট্রাক্টরে করে পাচারের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) ওই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা বালি বোঝাই ওই ট্রাক্টর আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    বাঁকুড়ার তালডাংরা ও সিমলাপাল ব্লকের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে জয়পণ্ডা নদী। এই নদীতে ধাদকিডাঙ্গা এলাকায় কোনও বৈধ বালি খাদান নেই। সম্প্রতি  সেই নদীর ধার থেকেই অবৈধভাবে বালি তুলে ট্রাক্টরে করে অন্যত্র পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর বেআইনি এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের (TMC)  সিমলাপাল ব্লকের মণ্ডলগ্রাম অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি অর্ধেন্দু সিংহ মহাপাত্রর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এক সপ্তাহ ধরে এই বালি পাচার চলছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় ধাদকিডাঙ্গা গ্রামের মানুষ বালি বোঝাই ট্রাক্টরটিকে আটক করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে সিমলাপাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চালক সহ ট্রাক্টরটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিজের দলীয় পদের প্রভাব খাটিয়েই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এই বালি পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ব্লক নেতৃত্ব আমাকে কিছু জানায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। এই ঘটনা সত্যি হয়ে থাকলে তা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হবে।

    বালি পাচার নিয়ে সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপি নেতা তথা সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা শিশির দত্ত বলেন, এই বালি পাচারের সঙ্গে তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব ও প্রশাসনের একাংশ যুক্ত রয়েছে। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Notes: দু’হাজার টাকার নোটের ৫০ শতাংশই ফেরত এসেছে, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    2000 Notes: দু’হাজার টাকার নোটের ৫০ শতাংশই ফেরত এসেছে, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মাসের ১৯ তারিখেই ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল, বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes)। ব্যাঙ্কে গিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলি বদল করে নিতে বা জমা দিতেও বলা হয়েছিল ওই বিজ্ঞপ্তিতে। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হল, ইতিমধ্যে ২০০০ টাকার নোটের (2000 Notes) ৫০ শতাংশই তাদের কাছে ফিরে এসেছে। অন্যদিকে ফিরে আসা নোটগুলির মধ্যে ৮০ শতাংশই ডিপোজিট হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ শুধুমাত্র বদল হয়েছে, এমনই দাবি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের।

    কী বললেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস?

    বৃহস্পতিবার ২০০০ টাকার নোট বদল করা বা জমা করার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘‘বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ শতাংশ টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।’’ অর্থাৎ কিনা নোট বদল করার থেকেও জমা করার প্রবণতা বেশি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বাজারে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট চালু ছিল। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৮২ হাজার কোটি টাকার নোট এখনও পর্যন্ত ফেরত এসেছে। প্রসঙ্গত এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর জানিয়েছিলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও দু হাজার টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা হবে না।

    জমা করার প্রবণতাই বেশি মানুষের মধ্যে

    ব্যাঙ্কে নোট জমা করার প্রবণতা বেশি হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন,‘‘এর ফলে ব্যাঙ্কের কাছে নগদের যে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল, তা অনেকটাই কাটবে এবং দেশের মানুষের নোট জমা করার প্রবণতার ফলে দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে বাড়তে থাকবে ডিপোজিট।’’ এক আধিকারিকের কথায়, বর্তমানে দেশের ব্যাঙ্ক ডিপোজিট ১০.৯ শতাংশ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরছে দেবগৌড়ার দল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share