Tag: Madhyom

Madhyom

  • Rail Accident: ওড়িশায় মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের, মৃত অন্তত ৩০

    Rail Accident: ওড়িশায় মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের, মৃত অন্তত ৩০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশায় মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয় ট্রেনের অধিকাংশ বগি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা অন্তত ৩০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টার পর দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ওড়িশার বালেশ্বর স্টেশনের কাছে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। সূত্রের খবর, একটি মালগাড়ি এবং এক্সপ্রেস ট্রেনটি একই লাইনে কোনওভাবে চলে এসেছিল। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল। ইতিমধ্যেই খড়গপুর থেকে রেলের আধিকারিকদের একটি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনটি বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের প্রায় সব বগিই লাইনচ্যুত হয়েছে। আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দেড়শোর বেশি যাত্রীকে।

    দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল দুপুর ৩ টে ১৫ মিনিট নাগাদ। সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ বালেশ্বর ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্বাভাবিক গতিতে ছুটে চলা ট্রেনটি একটি মাল গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মারে। তার তীব্রতা এতটাই ছিল যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ছিটকে যায় প্রায় সমস্ত বগি। বেশ কিছু বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। আচমকা এই দুর্ঘটনায় ট্রেনের মধ্যে থাকা যাত্রীদের আর্ত চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের এলাকার লোকজন।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা 

    ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা পরিষ্কার নয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। কীভাবে চলন্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সামনে মালগাড়ি চলে এল, সেটাই এখন তদন্তের মূল বিষয়। এক্ষেত্রে চালকের কোনও ভুল ছিল, নাকি সিগন্যালিং-এর কোনও সমস্যার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    হাওড়া স্টেশনের জন্য:০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়গপুর স্টেশনের জন্য: ৮৯৭২০৭৩৯২৫,৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর স্টেশনের জন্য: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯,৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার স্টেশনের জন্য: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: গরমে পানিহাটির মহোৎসবতলার চিড়া উৎসবে অসুস্থ হয়ে পড়়লেন ১৫ জন ভক্ত

    Panihati: গরমে পানিহাটির মহোৎসবতলার চিড়া উৎসবে অসুস্থ হয়ে পড়়লেন ১৫ জন ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের গাফিলতি আর লাগামছাড়া ভিড়ে গত বছর পানিহাটির (Panihati) দণ্ড মহোৎসবতলায় পুজো দিতে এসে ৩ জন ভক্তের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। গতবারের দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, গতবারের আতঙ্কে এবার ভক্ত সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই ফি বছর এই উৎসবে কয়েক লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। এবার সেখানে লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে। তবে, এবার প্রচণ্ড গরমে ১৫ জন ভক্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    কী বললেন মন্দিরের মূল সেবাইত?

    এদিন রঘুনাথ দাস গোস্বামীর ৫০৭ বছরের পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব শুরু হল। গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে পুরসভা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। ছিল ৪০০র বেশি পুলিশ। এছাড়া প্রত্যেক ভক্তের জন্য ছিল পানীয় জলের সুব্যবস্থা। ২০০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা সহ ড্রোনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেলার মাঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় ভক্তদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছিল অনেকগুলি স্বাস্থ্য শিবির। কিন্তু, আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা ছিল তীব্র দাবদাহের। দাবদাহ উপেক্ষা করেই ভোর থেকে ভক্ত সমাগম শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৪ টে থেকে শুরু হয় মঙ্গল আরতি ও পূজা পাঠ। শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর শ্রী মন্দিরের মূল সেবাইত বঙ্কুবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসনের থেকে যথাযথ ব্যবস্থা ছিল। তবুও, এই উত্সবে প্রধানত বয়স্ক ভক্তের সমাগম বেশি মাত্রায় হয়। কিন্তু গরমের দাপটে এবার ভক্ত সমাগম এবার অনেক কম হয়েছে।”

    কী বললেন স্থানীয় বিধায়ক?

    পানিহাটির (Panihati) বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, “আমরা এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছিলাম। এদিন প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকলকে মেডিক্যাল ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা করা হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে ভক্তদের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা ছিল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল নেতার সঙ্গে ছবি দেখিয়ে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক

    Murshidabad: তৃণমূল নেতার সঙ্গে ছবি দেখিয়ে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের আমলে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। ইতিমধ্যে এই অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। সেরকমই মুর্শিদাবাদেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রাইমারি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাকরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে নয় লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষককে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ থেকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। ধৃতকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে লালবাগ মহকুমা আদালত।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) চাকরি দেওয়ার নামে কী হয়েছে?

    গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে পঙ্কজ মণ্ডল, শর্মিষ্ঠা মণ্ডল ও পাপন মণ্ডল নামে তিনজন এক স্থানীয় স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ইসলামপুর (Murshidabad) থানায়। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষের নাম নবজ্যোতি মণ্ডল। তাঁর বাড়ি রায়পুর গ্রামে। পেশায় প্রাইমারি স্কুলের এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি টাকা নিয়েছিলেন। আরও জানা যায়, ধৃত নবজ্যোতি মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে এবং একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিজের ছবি দেখিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করেন।

    গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ইসলামপুর (Murshidabad) থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত নবজ্যোতি মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। বুধবার তাঁকে লালবাগ মহকুমা আদালতে পেশ করে ইসলামপুর থানার পুলিশ। ধৃতের জামিন মেলেনি, লালবাগ মহকুমা আদালতের বিচারক পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ডোমকলের দুই ব্যক্তিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও সেই মামলার শুনানি এখনও পর্যন্ত হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CID: কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের গ্রামে গিয়ে ক্ষোভের মুখে সিআইডি

    CID: কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের গ্রামে গিয়ে ক্ষোভের মুখে সিআইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন সিআইডি-র (CID) তদন্তকারী অফিসাররা। ঘটনার তদন্ত এবং সিআইডি-র কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গ্রামবাসীরা। তবে, এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার।

    সিআইডি-র সামনে কী ক্ষোভ জানালেন বাসিন্দারা?

    শুক্রবার ফের কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের চাঁদগায় নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে যান সিআইডি-র (CID) আধিকারিকরা। সেই সময় সিআইডি-র আধিকারিকদের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। সিআইডি-র আধিকারিকদের এদিন গ্রামবাসীরা সরাসরি প্রশ্ন করেন, এই মামলায় যে দোষী, তাকে এখনও পর্যন্ত কেন গ্রেফতার করা হয়নি? এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বলছেন গুলি চালিয়েছে বিএসএফ, সেখানে আপনাদের ওপর কীভাবে ভরসা করব? এই খুনের ঘটনার গতিপ্রকৃতি এবং সিআইডি-র কাজকর্ম নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। গ্রামবাসীরা তদন্তকারী অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, খুনের ঘটনা ঘটলে আগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেই তদন্ত শুরু হয়। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার তাঁরা দাবি জানান। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে সিআইডি আধিকারিকরা মূলত এই ঘটনায় নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন ও স্ত্রী গৌরী বর্মনের বয়ান রেকর্ড করেন।

    কী বললেন নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা?

    এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবার। তাঁর বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, “পুলিশই আমার ছেলেকে মেরেছে। সিআইডি (CID) তদন্তে আমাদের কোনও আস্থা নেই। কারণ যাদের বয়ান সাক্ষী হিসেবে নেওয়া হচ্ছে, ঘটনার সময় তারা কেউই উপস্থিত ছিল না। ফলে সিআইডির ওপর কী করে ভরসা থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “অবিলম্বে ছেলে খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক।”

    এলাকাবাসীর ক্ষোভ নিয়ে কী বললেন সিআইডি আধিকারিক?

    সিআইডি-র (CID) এক আধিকারিক অনীশ সরকার বলেন, “কোনও বিক্ষোভ নয়। গ্রামবাসীরা তাঁদের অভাব-অভিযোগ আমাদের কাছে বলেছেন। সমস্ত বিষয়টি রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২১শে এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় এক নাবালিকার মৃতদেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় সাহেবঘাটা এলাকা। মৃত নাবালিকার দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ায় রাজ্য জুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। ভাঙচুর ও থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। আক্রান্ত হয় পুলিশ। পরবর্তীতে চাঁদগা গ্রামে তল্লাশি অভিযানে গেলে রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে অভিষেকের নবজোয়ারের পাল্টা মহামিছিলের ডাক শুভেন্দুর!

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে অভিষেকের নবজোয়ারের পাল্টা মহামিছিলের ডাক শুভেন্দুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে বুধবার নন্দীগ্রামে জনসভা করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তারই পাল্টা হিসেবে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে হারানো বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তাঁর গড়ে পাল্টা মহামিছিলের ডাক দিলেন। জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০ জুন নন্দীগ্রামে মহামিছিল করতে দেখা যাবে বিরোধী দলনেতাকে। দলের অন্যতম নেতা নন্দীগ্রামের প্রলয় পাল তেমনটাই জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    অভিষেকের সভায় ছিল বহিরাগতদের ভিড়, অভিযোগ বিজেপির

    ১ জুন অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে বাইরে থেকে প্রচুর লোক আমদানি করা হয়েছিল বলে বিজেপির দাবি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত কুড়ি কিলোমিটার পদযাত্রা করা হয়। যার ফলে সেখানে নন্দীগ্রাম বিধানসভার বাইরেও অনেকে জড়ো হন। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, ২০ জুন কোনও বহিরাগত নয়, নন্দীগ্রামের মানুষকে নিয়েই মিছিল করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    রাজ্য রাজনীতির অন্যতম ভরকেন্দ্র নন্দীগ্রাম

    নন্দীগ্রামের নাম প্রথম খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল ১৬ বছর আগে, ২০০৭ সালের ১৪ জুন। সেখানে গুলি করে কৃষক হত্যার অভিযোগ উঠে তৎকালীন বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে। তারপরই রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে বামফ্রন্টের বিপক্ষে। সেই আঁচ এতটাই প্রবল ছিল যে পরবর্তীকালে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ধুয়ে মুছে যায় বামফ্রন্ট সরকার। পরে আবার ২০২১ সালে খবরের শিরোনামে আসে নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই হাই ভোল্টেজ লড়াই শুরু হয় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। সেখানে প্রার্থী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলাফল সামনে আসতে দেখা যায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পরাস্ত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দিনহাটায় বাড়িতে ঢুকে মায়ের সামনেই বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার চাঁচল, আতঙ্কিত এলাকার মানুষ

    Malda: ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার চাঁচল, আতঙ্কিত এলাকার মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে রাজ্য জুড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা যেন থামছেই না। কয়েক দিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, রাজ্যে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। তাই যত্রতত্র বিস্ফোরণ ঘটছে। এই মন্তব্যে রাজ্য জুড়ে বয়ে গেছে সমালোচনার ঝড়। এবার ফের বিস্ফোরণ হল মালদার (Malda) চাঁচলে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে এত বোমা বিস্ফোরণ হওয়ায় সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    মালদায় (Malda) কীভাবে আবার বিস্ফোরণ?

    এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার (Malda) চাঁচল-২ নং ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জানিপুর এলাকা। সূত্রের খবর, একটি নলকূপের ধারে মজুত ছিল বোমা। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। চারদিক ধোঁয়ায় ভরে ওঠে এবং ছড়িয়ে পড়ে বারুদের গন্ধ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনও বোমা রয়েছে ওই স্থানে। তাই রাত থেকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ। কিছুক্ষণ পরেই মালদা বোম্ব স্কোয়াড এসে উপস্থিত হয়। বিস্ফোরণের কারণে এলাকায় আপাতত আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

    এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়া

    স্থানীয় (Malda) এক মহিলা ইসমাতারা খাতুন বলেন, রাতে বিকট শব্দ শুনতে পাই, ঘুম ভেঙে যায়। চারদিক পোড়া গন্ধে ভরে গেছে। মনে হয় কেউ কেউ আহত হয়েছে। তবে কারা আহত হয়েছে, স্পষ্ট করে বলতে পারেননি ওই মহিলা।

    পুলিশ সুপারের বক্তব্য

    বিস্ফোরণের ঘটনায় মালদার (Malda) পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, তল্লাশি করে আপাতত ২২ টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে এলাকা থেকে। পুরো এলাকাকে নিরাপত্তার কারণে ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে কীভাবে এত বোমা এখানে মজুত করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই বিস্ফোরণ কি আকস্মিক, নাকি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছে, সেই বিষয়েও তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সাংগঠনিক জেলা দক্ষিণ মালাদার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, এই রাজ্য এখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের নজরদারি ঠিকঠাক থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। সমস্ত বোমা বিস্ফোরণের পিছনে তৃণমূলের নেতারা রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বিস্ফোরণের ঘটনা থেকে আতঙ্কমুক্ত পরিবেশ গড়তে প্রশাসন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: দিনহাটায় বাড়িতে ঢুকে মায়ের সামনেই বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন!

    BJP Murder: দিনহাটায় বাড়িতে ঢুকে মায়ের সামনেই বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভর দুপুরে বাড়িতে ঢুকে মায়ের সামনে গুলি করে খুন করা হল বিজেপি নেতাকে (BJP Murder)। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটায়। নিহত বিজেপি নেতার নাম প্রশান্ত রায় বসুনিয়া। তিনি বিজেপির দিনহাটা-১ ব্লকের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। জানা গেছে, প্রশান্তর বাড়ি পুঁটিমারি পঞ্চায়েতের শিমুলতলায়। প্রসঙ্গত, গত মাসেই কালিয়াগঞ্জে পুলিশের ছোড়া গুলিতে খুন হন বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। তারপর উত্তরবঙ্গে ফের খুন বিজেপি নেতা। এতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির কোচবিহার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘প্রশান্ত আমাদের দলের ২৩ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কোচবিহার জেলা জুড়ে শাসকদলের সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়। মারধর, হত্যা বাড়ি ভাঙচুর, বিজেপি কর্মীদের এলাকাছাড়া করা- এসব প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

    জানা গেছে, শুক্রবার বেলার দিকে বাড়িতে খাটে বসেছিলেন প্রশান্ত। ঘরের সামনে বারান্দা। বারান্দার গেট তখন খোলা ছিল। আচমকাই কয়েকজন যুবক ঘরে ঢুকে মায়ের সামনেই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। গুলির শব্দে পরিবারের সদস্য এবং পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ততক্ষণে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রশান্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে সেখানেই মৃত (BJP Murder) বলে ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা

    রাজ্যে বিজেপি কর্মী হত্যার (BJP Murder) ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে বিনা অপরাধে খুন করার অভিযোগ ওঠে। পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি নেতার দেহ। এরপর আবার দিনহাটায় শুক্রবার ফের খুন করা হল বিজেপি নেতাকে। অর্থাৎ গত ১ মাসে খুন হলেন চার বিজেপি নেতা। প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত শাসক দল।

    ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

     

    তিনি লেখেন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুরোপুরি ব্যর্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে। এর দায় তাঁকে নিতেই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nadia: অবাক কাণ্ড! অদৃশ্য ইটবৃষ্টি একাধিক বাড়িতে, ভয়ে সিঁটিয়ে বাসিন্দারা

    Nadia: অবাক কাণ্ড! অদৃশ্য ইটবৃষ্টি একাধিক বাড়িতে, ভয়ে সিঁটিয়ে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলৌকিক ঘটনা, না এর পিছনে রয়েছে কোনও রহস্য? বুঝতে পারছেন না বাড়ির আবাসিকরা। কারণ, কারও বাড়ির টালির চালে, কারও আবার কাচের জানালায় ঢিল পড়ছে। কিন্তু, ঘর থেকে বেরিয়ে কারও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। গত কয়েক দিন ধরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বল্লভি আচার্যপাড়া লেনে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের এই পাড়ায় বহু বছর ধরে আট ঘর আচার্য পরিবার বসবাস করছে। যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০ জন। অভিযোগ, গত তিন-চারদিন ধরে ওই ৮টি বাড়ি লক্ষ্য করে কেউ বা কারা ইট ছুড়ছে। মাঝে মধ্যেই হচ্ছে ইটবৃষ্টি, তাও আবার দিনের বেলায়। ইটের আঘাতে এক শিশু সহ দুজন জখম হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, কে ইট ছুড়ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হচ্ছে, সেটাই শুনতে পাচ্ছি। আশপাশের সব বাড়িতেই এই ঘটনা ঘটছে। বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের দাবি, যে বা যারা এই কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নাহলে পরিবার নিয়ে বাড়িতে বসবাস করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠবে।

    কী বললেন স্থানীয় কাউন্সিলার?

    বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে যান এলাকার কাউন্সিলার পম্পা বিশ্বাস রাজবংশী। তিনি বলেন, “এটা অলৌকিক ঘটনা। আশ্চর্যজনক ভাবে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আমার সামনেও হয় এই ইটবৃষ্টি। সবাইকে সাবধানে থাকতে বলেছি। কারও সঙ্গে শত্রুতার জন্য এই ঘটনা কি না, তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ-প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।” জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই পুলিশকে লক্ষ্য করেও ছোড়া হয় ইট। ইটের আঘাতে আহত হয় এক পুলিশ কর্মীও।

    কী বললেন শান্তিপুর বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্য?

    শান্তিপুর বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। তবে, এতে অলৌকিক কিছু নেই। যেভাবে কয়েকটি বাড়ি লক্ষ্য করে এই ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে, তাতে পরিষ্কার, পরিকল্পিত ভাবেই এটা করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। পরিবারের লোকজন সঠিকভাবে বলতে পারবে। পরিবারের লোকজন সহযোগিতা করলে আমরা রহস্য উদঘাটন করতে পারব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Missing: পুলিশ ব্যস্ত অভিষেকের নিরাপত্তায়, নাবালিকা মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বুক চাপড়াচ্ছে হতভাগ্য বাবা-মা

    Missing: পুলিশ ব্যস্ত অভিষেকের নিরাপত্তায়, নাবালিকা মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বুক চাপড়াচ্ছে হতভাগ্য বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিষাদল থানা এলাকার গোপালপুর গ্রামের গণেশ অধিকারীর ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যা নিখোঁজ (Missing)। গোপালপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। কিন্তু এখন তার সন্ধান করবে কে? জেলার সব পুলিশ তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রায় সুরক্ষার কাজে ব্যস্ত। পুলিশ সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা না ভেবে কেবল রাজনৈতিক নেতাদের সুরক্ষা দিচ্ছে, এমনই অভিযোগ তুলছে পরিবার। এলাকায় এ নিয়ে সরগরম রাজনীতির ময়দানও।

    অভিষেকের সুরক্ষার ফলে কী ঘটেছে (Missing)?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ। ফলে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার মা-বাবা। পরিবার থানায় গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলাতে আছেন, তাই সমস্ত পুলিশ এখন তাঁর নিরাপত্তার কাজে ব্যস্ত। পুলিশ জানিয়ে দেয়, তিনি জেলা থেকে চলে গেলে তারপর খোঁজখবর (Missing) নিয়ে দেখা হবে। আর এই কথাতেই পরিবার মনে করছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ আদৌ চিন্তিত নয়। তারা চিন্তিত কেবল শাসক দলের নেতার সুরক্ষা নিয়ে। নিখোঁজ নাবালিকার সন্ধান পাওয়া নিয়ে পরিবার এখন খুবই চিন্তিত।  

    কেন পুলিশ নিখোঁজ (Missing) কন্যার সন্ধান করতে ব্যর্থ

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে নবোজোয়ার কর্মসূচি করছেন। জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। এর কারণ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরে সভা করতে এলে, তাঁকে চড় মেরেছিল এক যুবক। আর তারপর থেকেই তিনি এই জেলাতে এলেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে জেলার পুলিশ প্রশাসন। যেহেতু তিনি জেলাতে আছেন, তাই প্রত্যেকটি থানার পুলিশ নিরাপত্তার কাজে ব্যস্ত। জেলা পুলিশ বর্তমানে অন্য বাকি কাজ (Missing) করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। কিন্তু নাবালিকাকে অপহরণের পর যদি কোনও অঘটন ঘটে, তাহলে কী হবে? এই প্রশ্নে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন।

    পুলিশের বক্তব্য

    এই বিষয়ে মহিষাদল থানার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছে, নিখোঁজ (Missing) নাবালিকার বিষয়ে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে। আপাতত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে পুলিশ। নিখোঁজ মেয়েটিকে উদ্ধারে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gotra: গোত্রের উদ্ভব হল কী করে? কী এর গুরুত্ব?

    Gotra: গোত্রের উদ্ভব হল কী করে? কী এর গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু বিবাহ থেকে শুরু করে পূজার্চনা, সব জায়গাতেই গোত্রের (Gotra) প্রয়োজনীয়তা কতখানি, তা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। এক এক জনের গোত্র ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু কোনও দিন কি ভেবে দেখেছেন, এই গোত্রের উদ্ভব কী করে হল? কী এর গুরুত্ব? আমাদের নিজেদের গোত্র আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু বাড়িতে প্রশ্ন করলেও অনেক সময় সঠিক উত্তর মেলে না, এই গোত্র আসলে কী? কিছু ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং পুরোহিতের কাছ থেকে জানা যায়, এই গোত্র আসলে একেক জন প্রাচীন ঋষির নাম অনুসারে তৈরি হয়েছে। আর প্রত্যেক মানুষ মনে করেন, সেই অনুসারে তাঁরা সেই ঋষির বংশধর। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, কাশ্যপ গোত্রের মানুষ মনে করেন, প্রাচীন যুগে কাশ্যপ নামক এক ঋষি ছিলেন। তাঁর নাম অনুসারেই এই গোত্রের নামকরণ হয়েছে।

    গোত্রের (Gotra) উদ্ভব কীভাবে?

    গোত্র (Gotra) শব্দটির প্রথম নিদর্শন মেলে ঋকবেদে। কিন্তু সেখানে এই গোত্র শব্দটি অন্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছিল। সেই সময় গোত্র বলতে বোঝাত ‘গরুর পাল’। আবার ছান্দোগ্য উপনিষদ্‌-এ গোত্র হিসাবে একটি মানব গোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে। এই গোত্রগুলির উদ্ভব যে একজন ঋষির নাম থেকে হয়েছে এবং এগুলি তাঁদের বংশধররা বহন করছেন, তা এই সময় থেকেই মনে করা শুরু হতে থাকে। কিন্তু এই গোত্র প্রথা তখন শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। পরে তা ক্ষত্রিয় ও পরিষদের মধ্যেও ব্যবহৃত হতে শুরু হয়। ব্রাহ্মণ্যবাদ অনুযায়ী ব্রাহ্মণ গোষ্ঠী মোট সাত জন বৈদিক ঋষির বংশধর, এমনটাই মনে করা হয়। এই সাত জন ঋষি হলেন গৌতম, ভরদ্বাজ, বিশ্বামিত্র, জমদগ্নি, বশিষ্ঠ, কাশ্যপ ও অত্রি। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই গোত্রগুলি থেকেই আরও ৪৯ টি উপ গোত্রের উদ্ভব হয়। আবার এই ব্রাহ্মণদের অনুসরণ করে ক্ষত্রিয় এবং পরিষদের মধ্যেও গোত্র প্রথা শুরু হয়।

    গোত্রের গুরুত্ব কী?

    প্রাচীনকালের এই গোত্র (Gotra) প্রথা আজ বর্তমান যুগেও এক ঐতিহ্যবাহী ভূমিকা পালন করে চলেছে। সাধারণত একেকটি গোত্র বংশ পরিচয় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে। আসলে প্রাচীন যুগে বর্ণভেদ প্রথা অনুযায়ী সকল বর্ণকে আলাদা আলাদা শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য এই গোত্রের ব্যাবহার করা হত। আজও কোনও শুভ কাজের সময় গোত্র অনুসারে গুরুত্ব বিবেচনা করা হয়। পূজার্চনা, বিবাহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে গোত্র খুবই প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।

    একই গোত্রের (Gotra) মানুষের বিবাহ হয় না, কেন জানেন?

    প্রাচীনকাল থেকে বিশ্বাস করা হত, একই গোত্রের (Gotra) মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন করা যায় না। কারণ একই গোত্রের যারা হয়, তারা ভাই-বোনের সম্পর্ক বহন করে। তাহলে তারা স্বামী স্ত্রী হবে কী করে? সেই কারণেই এমন প্রথা মানা হত, যা আজও মানা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share