মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরামবাগের হরিণখোলা। তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম এক তৃণমূল কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দর্জিপোতা এলাকায়। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মহিদুল ইসলাম।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?
হরিণখোলা এলাকায় মাদার এবং যুব তৃণমূলের (TMC) মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মহিদুল সাহেব তৃণমূলের মাদার সংগঠন করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাজার দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় তাঁর উপর যুব তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ রশিদ আলি নামে এক যুব তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হরিণখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন সদস্যা আরামবাগ থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সাবিনা বেগম নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ। ঘটনার সময় গণ্ডগোল থামাতে ও গিয়েছিল। পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। স্বামীকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।” আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষ অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
পুলিশের বিরুদ্ধে একী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যা?
অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন আরামবাগ থানার আইসি-র সামনে ক্ষোভ জানান হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) সদস্যা শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে, সেখানকার ইনচার্জের নাম শঙ্কর কোলে। তিনি ওই এলাকায় তৃণমূলের নেতা হয়ে উঠেছেন। তিনি ঠিক করে দেন কে কীভাবে কাজ করবে। ২০২১ সালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, ওই পুলিশ অফিসারের হাত ধরেই তাঁরা এখন ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি এলাকায় তোলাবাজি করছেন। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি মাথা গলাচ্ছেন। তিনি কি তৃণমূলের বড় লিডার? আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের মদতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা।” বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। দল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মান-অভিমান এক সংসারে থাকলে হয়েই থাকে, নিন্দুকেরা নিন্দাও করবে। এতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা একই পরিবারের সদস্য। আগামী নির্বাচনে এর প্রমাণ আবার পাবে।”
কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “এখন অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে। এই তো সবে শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।