Tag: Madhyom

Madhyom

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরামবাগের হরিণখোলা। তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম এক তৃণমূল কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দর্জিপোতা এলাকায়। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মহিদুল ইসলাম।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    হরিণখোলা এলাকায় মাদার এবং যুব তৃণমূলের (TMC) মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মহিদুল সাহেব তৃণমূলের মাদার সংগঠন করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাজার দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় তাঁর উপর যুব তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ রশিদ আলি নামে এক যুব তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হরিণখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন সদস্যা আরামবাগ থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সাবিনা বেগম নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ। ঘটনার সময় গণ্ডগোল থামাতে ও গিয়েছিল। পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। স্বামীকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।” আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষ অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে একী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যা?

    অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন আরামবাগ থানার আইসি-র সামনে ক্ষোভ জানান হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) সদস্যা শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে, সেখানকার ইনচার্জের নাম শঙ্কর কোলে। তিনি ওই এলাকায় তৃণমূলের নেতা হয়ে উঠেছেন। তিনি ঠিক করে দেন কে কীভাবে কাজ করবে। ২০২১ সালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, ওই পুলিশ অফিসারের হাত ধরেই তাঁরা এখন ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি এলাকায় তোলাবাজি করছেন। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি মাথা গলাচ্ছেন। তিনি কি তৃণমূলের বড় লিডার? আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের মদতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা।” বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। দল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মান-অভিমান এক সংসারে থাকলে হয়েই থাকে, নিন্দুকেরা নিন্দাও করবে। এতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা একই পরিবারের সদস্য। আগামী নির্বাচনে এর প্রমাণ আবার পাবে।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “এখন অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে। এই তো সবে শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agriculture: কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ডভন্ড পানের বরজ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

    Agriculture: কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ডভন্ড পানের বরজ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মুচিয়া বাড়ুইপাড়া গ্রামের পানচাষিরা (Agriculture)। মালদা জেলার পানচাষের অন্যতম জায়গা হল এই মুচিয়া গ্রাম। কয়েকদিন আগের কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পানের বরজ। মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। এই এলাকায় প্রায় ৭০ টি পরিবার পান চাষের সাথে যুক্ত এবং এটাই এদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান পথ। অনেকেই সুদে টাকা ধার নিয়ে পান চাষ করেছিলেন। এখন টাকা কীভাবে শোধ করবেন, তা নিয়ে তাঁদের মাথায় হাত পড়েছে। এমন অবস্থায় পড়ে তাঁরা দাবি তুলেছেন, সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, না হলে তাঁদের মৃত্যুর দিকে এগতে হবে। কিন্তু তাঁদের আক্ষেপ, বিভিন্ন মহলে দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। নিরুপায় হয়ে সোমবার ওই গ্রামে  বিক্ষোভ দেখান অসহায় পানচাষিরা। যদিও এতে প্রশাসনের কতটা টনক নড়বে, তা নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট সন্দিহান।

    কী বলছেন বিরোধী দলের নেতারা?

    পানচাষিদের (Agriculture) পাশে দাঁড়িয়েছেন পুরাতন মালদার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন হালদার। তিনি বলেন, অবিলম্বে সরকারের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। একই দাবি করেন বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি তাপস গুপ্ত। পানচাষিদের নিয়ে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন সারা ভারত কৃষক সভার মালদা জেলার সভাপতি প্রণব চৌধুরী।

    কী আশ্বাস দিলেন তৃণমূল নেতা?

    পানচাষিদের (Agriculture) ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, এমনই আশ্বাস দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু। চাষিদের এই ক্ষতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কৃষি দফতরে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান তুলে ধরে আবেদন করলে তারা ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেবে। একইসঙ্গে তিনি কৃষকদের কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং কৃষি বিমা করিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে কৃষি ভাতা সম্প্রতি দিয়েছেন, তা দিয়েও খানিকটা ক্ষতিপূরণ হতে পারে পান চাষিদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Kaliaganj: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) পুলিশের গুলিতে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পৌঁছাল। মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য শুনলেন কমিশনের সদস্যরা। পরিবারের দাবি পুলিশের উপর আমাদের কোনও বিশ্বাস নেই। আর তাই দোষীদের ফাঁসি দিতে কমিশনের কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে পরিবার।

    কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) পৌঁছে কী করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন?

    সোমবারেই কমিশনের সদস্যরা কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) রাধিকাপুরে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে গিয়ে, স্ত্রী গৌরি বর্মনের সঙ্গে দেখা করে, মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে বিষদ তথ্য সংগ্রহ করলেন বলে জানা গেছে। এরপর মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা মৃণাল কান্তি বর্মন এবং খুড়তুতো দাদা বিষ্ণু বর্মনকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। শুধু বয়ান রেকর্ডই নয়, পুরো তদন্ত প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়। পরিবারের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ডের পর প্রত্যেকের কাছেই স্বাক্ষর করে নিয়েছে বলে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য দাদা বিষ্ণু বর্মন জানিয়েছেন। এরপর ওই দিন রাতেই নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তদন্তকারী দলটি। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তদন্তকারী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দলের সদস্যরা। 

    কীভাবে হয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু?

    উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লকের সাহেবঘাটা এলাকার গাঙ্গুয়া গ্রামের এক নাবালিকাকে ধর্ষন করে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। ঘটনার প্রতিবাদে কালিয়াগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে মারধোর এবং থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। গত ২৬ এপ্রিল রাতে বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে তাঁর বাড়ি চাঁদগাঁ গ্রামে যায় পুলিশ। পুলিশ বিষ্ণু বর্মনকে না পেয়ে, তাঁর বাবা এবং জামাইকে গ্রেফতার করতে গেলে, পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসিরা পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশ বেগতিক দেখে গুলি চালালে বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে। পরে এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত্যঞ্জয়ের (Kaliaganj) বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, এখানকার থানার পুলিশ অফিসার নিজে মাথায় ব্যান্ডেজ করে হাসপাতালে শুয়ে নাটক করছেন। প্রকৃত দোষীদের পুলিশ গ্রেফতার করেনি। সিআইডি তদন্তের নামে রোজ বিরক্ত করছে আমাদের। তিনি আরও বলেন, যদি পুলিশের গুলিতে মৃত্যঞ্জয়ের মৃত্যু না হয়ে অন্য কিছু দিয়ে হতো, তাহলে আমাদের পরিবারের মানুষকে আগে গ্রেফতার করত পুলিশ। মৃত্যঞ্জয়ের বাবার একটাই দাবি, আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই। মৃত্যঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরি বর্মন বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপর আমার বিশ্বাস রয়েছে। মৃত্যুর তদন্ত সিবিআই করবে বলেই আশা রাখি। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, মূল দোষীর ফাঁসি চাই। মৃত্যুঞ্জয়ের খুনীদের শাস্তি কবে হয়, সেটাই এখন দেখার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চোর ধরতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক বালকের

    Nadia: চোর ধরতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক বালকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত এক বালক, আহত আরও দুজন। পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ। আহত পুলিশ কর্মী সহ বেশ কয়েকজন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় রানাঘাট হাসপাতালে। পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকায় তীব্র বিক্ষোভ।

    নদিয়ার (Nadia) কোথায় এবং কী ঘটেছে?

    চোর ধরাকে কেন্দ্র করে এলাকায় পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। নদিয়ার (Nadia) ধানতলা থানার কুলগাছি এলাকার ঘটনা। মানুষের দাবি এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছিল গরু চুরির ঘটনা। গতকাল রাতে এক চোরকে এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে ফেলে, আর সেই চোরকে উদ্ধার করতে গেলে জনরোষে পড়ে পুলিশ। অভিযোগ পুলিশ তখন ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে আসতে গেলে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন। পুলিশের গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক বালকের এবং আরও দুজন আহত অবস্থায় রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়ায় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    কুলগাছি (Nadia) এলাকর পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। এই সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের অভিযোগে পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করছে এলাকার মানুষ। অপর দিকে পুলিশ চোর ধরতে এসে কীভাবে উপস্থিত মানুষের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে, এক বাচ্চাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিল, সেই বিষয় নিয়েও এলাকার মানুষ বিক্ষোভ করেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

    তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    কুলগাছি (Nadia) উত্তরের তৃণমূল বহিরগাছি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ বর্মন বলেন, এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখ জনক, ঘটনা অপ্রীতিকর। এখানে কোনও রাজনীতির বিষয় নেই। তবে এই এলাকায় মাঝে মাঝে চুরির ঘটনা ঘটে এবং এই কিছু দিন আগেই গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি। রাজেশ বাবু আরও বলেন, পুলিশ ঠিক মতন চোরদের ধরতে পারে না বলে, এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। তিনি আরও বলেন, আমি চাইব, ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, যে দোষী তার শাস্তি হোক। পুলিশ যদি দোষ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন। চোর ধরতে এসে পুলিশের গাড়িতে কেন প্রাণ গেল! সেই প্রশ্নেই বিক্ষোভ করছে এলাকার মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Groundwater: ভূগর্ভস্থ জলস্তর ঠিক রাখতে বিশেষ প্রকল্প কেন্দ্রের, রূপায়ণের নির্দেশ রাজ্যকে

    Groundwater: ভূগর্ভস্থ জলস্তর ঠিক রাখতে বিশেষ প্রকল্প কেন্দ্রের, রূপায়ণের নির্দেশ রাজ্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূগর্ভস্থ জলস্তর (Groundwater) যাতে ঠিক জায়গায় থাকে, তার জন্য অভিনব উদ্যোগ কেন্দ্রের। বৃষ্টির জল বিশেষ মাধ্যমে পুনরায় মাটির নিচে পাঠানোর পরিকল্পনা ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের আরবান ও পলিউশন কন্ট্রোল বিভাগ। মূলত শহরাঞ্চলে এই প্রকল্পের কাজ করা হবে। রাজ্য জুড়ে বেশ কিছু জেলার পাশাপাশি মালদা জেলাতেও গরমের সময় জলের তীব্র সংকট দেখা যায়। পুরসভার বেশিরভাগ ওয়ার্ডে জল সেভাবে মেলে না। যার জন্য শহর থেকে দূরে গিয়ে পুরসভা এলাকার নাগরিকদের জল আনতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বৃদ্ধি করতে এবার বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকেও এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে নির্দেশ রাজ্য সরকার প্রতিটি পুরসভাকে পাঠিয়ে দিয়েছে।

    কী পদক্ষেপ নেবে পুরসভা (Groundwater)?

    কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে বলা হয়েছে, বড় বড় ভবন, আবাসন ও বিভিন্ন বাড়িতে বৃষ্টির যে জল জমা হয়, তা বিশেষ পদ্ধতিতে পাইপের মাধ্যমে মাটির নিচে (Groundwater) পাঠাতে হবে। এমনকী শহরের ড্রেনের জলকেও একটি চৌবাচ্চায় ধরে পাইপের মাধ্যমে মাটির নিচে পাঠাতে হবে। মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা পেয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই এই কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    গরমের সময় ইংরেজবাজার শহর তথা মালদা জেলা জুড়ে জলের তীব্র সংকট দেখা যায়। সেই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এই যে প্রকল্প এবং যে পদ্ধতিতে এই কাজ করা হচ্ছে, তাতে ভূগর্ভস্থ জলের স্তরে (Groundwater) আর কোনও ঘাটতি হবে না। এই পদ্ধতি ইংরেজবাজার পুরসভাকেও সঠিক ভাবে রূপায়ণ করতে হবে। তাহলেই জলের সংকট থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ, এমনটাই জানাচ্ছেন ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলার অম্লান ভাদুড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Peasant Economy:  কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে করুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের, বলছে রিপোর্ট

    Peasant Economy: কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে করুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিপ্রধান রাজ্য নামেই পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতিতেও (Peasant Economy) অনেক পিছিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যের কৃষি নীতির জন্যই এমন অবস্থা হয়েছে। পরিকাঠামোগত সমস্যা তো রয়েছেই পাশাপাশি সরকারি সদিচ্ছারও অভাব রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিখ্যাত ছিল ধান উৎপাদনের জন্য। পরিসংখ্যান বলছে, সেখানেও পিছনের সারিতে চলে গেছে বাংলা। হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদনে  সারাদেশের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পঞ্জাব। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ নেমে গিয়েছে পঞ্চমস্থানে।

    আরও পড়ুন: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?

    রাজ্যের জিডিপিতে কৃষির (Peasant Economy) অবদান বেশি- কতটা সত্য? 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের জিডিপিতে কৃষির অবদান বেশি একথা সর্বাংশে সত্য নয়। এটা সত্য ছিল ষাটের দশকে। পরবর্তীকালে বামফ্রন্ট জমানায় ভূমি সংস্কার আন্দোলন হলেও কৃষির ওপর নজর দেয়নি তারাও। বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে কৃষকরা ফসলের দাম পেয়ে আত্মহত্যাও করছেন, এমন নজিরও দেখা গিয়েছে। শিল্পতো বিশ বাঁও জলে! তার সঙ্গে রাজ্যের কৃষির অবস্থাও খুব খারাপ। অন্তত, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান তাই বলছে।

    ধান উৎপাদনে বিশ্বের গড়মানের অনেক নীচে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ

    ধান উৎপাদনে গ্লোবাল অ্যাভারেজ হল হেক্টর প্রতি ৪,২৫০ কেজি। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ অনেক পিছনে রয়েছে। বাংলায় হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন ২,৯৬২। তালিকায় শীর্ষে থাকা পঞ্জাব হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন (Peasant Economy) করে ৪,৩৬৬ কেজি। এতেই উঠছে প্রশ্ন। ধান চাষের (Peasant Economy) সমস্ত অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্রে ভুল সরকারি নীতির কারণেই রাজ্যের আজ এই অবস্থা। একটা সময় ছিল  যখন বর্ধমান জেলাকে ধানের গোলা বলা হতো।  রাজ্য সরকার যাই বলুক, কৃষি নিয়ে যতই গর্ব করুক। বাস্তব রিপোর্ট কিন্তু অন্য ধরা পড়ছে।

     

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?

    West Bengal: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পরপরই আমাদের পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সারাদেশের মধ্যে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষস্থান অধিকার করত। আর বর্তমানে তার স্থান শেষের দিক থেকে সাত নম্বরে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট বলছে, ১৯৬১ সালে রাজ্যগুলির মাথা পিছু আয়ের নিরিখে শীর্ষস্থান পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। এবং ওই বছরে সবথেকে নিচে স্থান ছিল প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার। এখন ওড়িশাও পশ্চিমবঙ্গকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে মাথা পিছু আয়ের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের স্থান ১৪। ঠিক ছত্তিশগড়ের নীচে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘‘৩৪ বছরের বামপন্থী শাসন এবং তার পরবর্তীকালে ১২ বছরের তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে এ রাজ্যের প্রকৃত উন্নয়নের মুখোশ খুলে দিয়েছে ‘দ্য মিনিস্ট্রি অফ স্ট্যাটিসটিক্স অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন।’ রাজ্যের মেধা অথবা শ্রমিক প্রত্যেককে কর্মসংস্থানের তাগিদে আজকের রাজ্য ছাড়তে হয়। এ নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি এবং তাদের দাবি যে মিথ্যা নয় তাতেই সিলমোহর দিচ্ছে এই পরিসংখ্যান। 

    কী দেখা যাচ্ছে ওই পরিসংখ্যানে?

    ওই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) যা কখনও ছিল মহারাষ্ট্রের থেকেও ধনী। ২০১৮-১৯ সালে সেই পশ্চিমবঙ্গ ছত্তিশগড়ের থেকেও দরিদ্র রাজ্য হিসেবে তলায় নেমে গেছে। ওয়াকিবহাল মতে, দলতন্ত্রের জন্যই রাজ্যে গড়ে উঠতে পারেনি কোনও বড় শিল্প বা আগ্রহ দেখায়নি শিল্পপতিরা, যার ফলে কর্মসংস্থান মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং রাজ্যের মেধাকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে হয়েছে। এই দলতন্ত্র কায়েমের রাজনীতিই মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে এত নীচে নামিয়েছে।

    এক নজরে…

    কেন্দ্রীয় রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ১৯৬১ সালে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মাথাপিছু আয় ছিল ৪৪২ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে ছিল মহারাষ্ট্র যাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৪০৩ টাকা। এভাবে সব শেষে ছিল ওড়িশা যাদের মাথাপিছু আয় ছিল ২৫ টাকা।

    অন্যদিকে ২০১৮-১৯ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে হরিয়ানা, যাদের মাথাপিছু আয় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪০৯ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট মাথাপিছু আয় ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৯৫ টাকা, পশ্চিমবঙ্গ ১৪ তম স্থান অধিকার করেছে মাথাপিছু আয় ৬৭ হাজার ৩০০ টাকা। পশ্চিমবঙ্গের উপরে রয়েছে ছত্তিশগড় যাদের মাথাপিছু আয় ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা। ১৯৬১ সালে যে ওড়িশা সবথেকে নিচে ছিল মাথাপিছু আয় এর তালিকাতে। তারাও পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) থেকে দু’ ধাপ এগিয়েছে তাদের মাথাপিছু ইনকাম ৭৬ হাজার ৪১৭ টাকা।

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে বিজেপির মিছিলে ধুন্ধুমার! পুলিশের লাঠিচার্জ, জখম ৫

    Barrackpore: বারাকপুরে বিজেপির মিছিলে ধুন্ধুমার! পুলিশের লাঠিচার্জ, জখম ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনার দোকানে খুন সহ আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল সোমবার বিকেলে। আর তাকে কেন্দ্র করে বারাকপুরে (Barrackpore) ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। তাতে পাঁচজন বিজেপি কর্মী জখম হন। যদিও এই ঘটনার পর বিজেপির জেলা নেতৃত্বের এক প্রতিনিধি দল কমিশনারেটের কর্তাদের কাছে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মূলত বারাকপুর (Barrackpore) এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে এদিন বিকেলে পুলিশ কমিশনারেটে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল। আনন্দপুরীর ওল্ড ক্যালকাটা রোডে সেই সোনার দোকানের সামনে থেকে বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে ডেপুটেশন দিতে আসেন। পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে দুটি ব্যারিকেড করা হয়। কমিশনারেট অফিস থেকে ১০০ মিটার দূরে প্রথম ব্যারিকেড করা হয়। আর দ্বিতীয় ব্যারিকেড করা হয় কমিশনারেটের ঠিক সামনেই। বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে আসতেই ১০০ মিটার দূরে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপির কর্মীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে কমিশনারেটের অফিসের সামনে চলে যান। সেই সময় তাঁদের পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। কমিশনারেট অফিসের সামনে তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিন বিজেপির রাজ্য নেত্রী ফাল্গুনি পাত্র বলেন, মিছিল আটকানোর জন্য কমিশনারেটের কোনও মহিলা পুলিশ কর্মী ছিলেন না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। মহিলা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে আমরা নালিশ জানাব। বিজেপির বারাকপুর (Barrackpore) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এত টাকা খরচ করে কমিশনারেট তৈরি করা হল, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হল না। এই কমিশনারেটের কাজ শুধু বিজেপিকে বাধা দেওয়া। এর আগে ব্যবসায়ীরা মিছিল করে ডেপুটেশন দিল। পুলিশের কোনও বাধা নেই। আর আমাদের জন্য ১০০ মিটার দূরে ব্যারিকেড। আমাদের কর্মীদের উপর যথেচ্ছ লাঠিচার্জ করা হল। এই ঘটনায় পাঁচ কর্মী জখম হয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: সরকারি স্কুলে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে ‘পান্তা ভাত উৎসব’! সরব বিরোধীরা  

    Durgapur: সরকারি স্কুলে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে ‘পান্তা ভাত উৎসব’! সরব বিরোধীরা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের (Durgapur) বেনাচিতি হাই স্কুল হল একটি সরকারি বিদ্যালয়। অথচ সেই স্কুলের ভিতরেই উড়ছে তৃণমূলের পতাকা, চারদিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং মহিলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তীর ছবিতে ছয়লাপ। এই ঘটনা দেখে বিরোধীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাসক দলের রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।

    দুর্গাপুরে (Durgapur) কী ঘটেছে স্কুলে?

    দুর্গাপুর (Durgapur) শহরের ১৫ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ওই ‘বিশাল পান্তা ভাত উৎসব’-এর আয়োজন করা হয়। সরকারি স্কুল ভরে যায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আনাগোনাতে। বেনাচিতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতর পান্তা ভাত উৎসব করে বিতর্কের শিরোনামে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল নেতৃত্ব। আর একেই হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা ছিল, কোনও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক রং লাগানো যাবে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে এই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই। অথচ ‘বিশাল পান্তা উৎসব’-এর আয়োজন বিদ্যালয়ের ভিতরেই। মেনুতে ছিল পান্তা ভাত, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, গন্ধরাজ লেবু, আলুভাজা, পেঁয়াজি, পোস্তর বড়া, মাছের কালিয়া, চাটনি, পাঁপর, সব শেষে মিষ্টি। স্কুলে কয়েকশো অতিথি আমন্ত্রিত ছিল এদিন। পান্তা উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা সভানেত্রী অসিমা চক্রবর্তী এবং ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    বেসরকারি হোটেল বা লজে না করে সরকারি বিদ্যালয়ে (Durgapur) এই উৎসব করে বিদ্যালয়কে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় এভাবেই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। সিপিআইএম-এর তরফ থেকে বলা হয়, এই তৃণমূল সরকারের আমলে শিক্ষাঙ্গনগুলি রাজনীতির আঙিনায় পরিণত হয়েছে।

    জেলার (Durgapur) তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য

    বিরোধীদের সমালোচনাকে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী বলেন, গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। বিদ্যালয়  (Durgapur) কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তাঁরা এই অনুষ্ঠান করছেন। তিনি আরও জানান, বেসরকারি হোটেল বা লজে অনুষ্ঠান করার মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই। আর সেজন্যই তাঁরা বিদ্যালয়ের ভিতর এই অনুষ্ঠান করেছেন। সরকারি স্কুল প্রাঙ্গণকে এভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মক্ষেত্র কীভাবে বানানো যায়? সেই বিষয়ে শিক্ষাবিদরাও প্রশ্ন তুলছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO NVS-01: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    ISRO NVS-01: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। সোমবার মহাকাশে সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হল দেশীয় অত্যাধুনিক নতুন প্রজন্মের নেভিগেশন স্যাটেলাইট এনএভিএস-০১ (ISRO NVS-01)। নাবিক শ্রেণির এই উপগ্রহের ফলে দেশে যোগাযোগ ও ম্যাপিং ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে, ভীষণভাবে উপকৃত হবে দেশের সামরিক বাহিনী বলেও ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের।

    জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে স্থাপিত

    এদিন ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে ২ হাজার ৪২০ টন ওজনের বিশাল জিএসএলভি এফ-১২ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় নতুন প্রজন্মের ২৩২ কেজির উপগ্রহটি। ১৯ মিনিট পর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় লোয়ার আর্থ অরবিট বা নিম্ন কক্ষপথে উপগ্রহটিকে পৌঁছে দেয় রকেটটি। এর পর সেখান থেকে নিজে যাত্রা করে ৩৬ হাজার ৫৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে স্থাপিত হয় এনভিএস-১ (ISRO NVS-01)। উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরবে এই স্যাটেলাইট। 

    কতটা উন্নত হবে নেভিগেশন ব্যবস্থা?

    ইসরোর এই পদক্ষেপ দেশীয় নেভিগেশন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। এটি আদতে ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থা (ISRO NVS-01)। এতদিন সকলে যেমন মার্কিন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস ব্যবহার করে এসেছেন, এবার তার পরিবর্তে ভারতে তৈরি ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থায় বজায় থাকবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, এটি সাতটি উপগ্রহের একটি নক্ষত্রপুঞ্জের অংশ, যা সশস্ত্র বাহিনী-সহ অসামরিক যানকে নেভিগেশন পরিষেবা প্রদান করবে। 

    এর আগে ভারতীয় আঞ্চলিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম (IRNSS)-এর অধীনে সাতটি NavIC উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেগুলি ছিল আইআরএনএস-১এ, আইআরএনএস-১বি, আইআরএনএস-১সি, আইআরএনএস-১ডি, আইআরএনএস-১ই, আইআরএনএস-১এফ ও আইআরএনএস-১জি স্যাটেলাইট। এদিন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানান, পুরনো সাতটির মধ্যে তিনটে অকেজো হয়ে গিয়েছে। যে কারণে, এবার নতুন পাঁচটি পরবর্তী প্রজন্মের নাবিক স্যাটেলাইট তৈরি করা হয়। 

    আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথম! নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে অখণ্ড ভারতের ভাস্কর্য

    উপগ্রহে রয়েছে পারমাণবিক ঘড়ি

    ইসরোর দাবি, নতুন প্রজন্মের এই উপগ্রহের কাজ হল মোবাইলে অবস্থান ভিত্তিক পরিষেবা করা। স্যাটেলাইটের জন্য কক্ষপথ নির্ধারণ করা। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, পাওয়ার গ্রিড এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলির জন্য সময় পরিষেবা করা। রিয়েল টাইম পজিশনিং বা ঠিক সেই মুহূর্তের অবস্থান বলতে সক্ষম এনভিএস-১ (ISRO NVS-01)। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ, এই উপগ্রহে ব্যবহার করা হয়েছে রুবিডিয়াম পারমাণবিক ঘড়ি। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। 

    কতটা লাভবান হবে সেনা?

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপগ্রহের ফলে সামরিক বাহিনী ভীষণভাবে উপকৃত হবে। তাঁরা জানান, এবার জঙ্গিদের সঠিক পজিশন জানতে কষ্ট করতে হবে না বাহিনীকে। জঙ্গিদের সেই মুহূর্তের সঠিক অবস্থান একেবারে হাতের মুঠোয় থাকবে। ফলে, যে কোনও অভিযানে এটি দারুন কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, কার্গিল যুদ্ধের সময়, পাক অনুপ্রবেশকারীদের তথ্য জানতে জিপিএস পজিশনিং ব্যবহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চেয়েছিল ভারত। ওয়াশিংটন তা দিতে অস্বীকার করেছিল। তখন থেকেই নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

LinkedIn
Share