Tag: Madhyom

Madhyom

  • New Parliament Building: নতুন সংসদ ভবন ১৪০ কোটি মানুষের আকাঙ্খার প্রতীক, বললেন মোদি

    New Parliament Building: নতুন সংসদ ভবন ১৪০ কোটি মানুষের আকাঙ্খার প্রতীক, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেন নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament Building)। উদ্বোধনের পর এদিন প্রধানমন্ত্রী শাসক এবং বিরোধীদলের সমস্ত সাংসদদের অভিবাদন জানান। তাঁর বক্তব্যে নয় বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যগুলিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। স্মারক হিসাবে এদিন তিনি উদ্বোধন করেন ৭৫ টাকার কয়েনেরও।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিনের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নতুন সংসদ ভবন আধুনিক প্রযুক্তি ও পরিষেবায় পরিপূর্ণ। এই সংসদ ভবন ৬০ হাজারেরও বেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান করেছে। তাদের এই কঠোর পরিশ্রমকে সম্মান জানাতে আমরা ডিজিটাল গ্যালারি তৈরি করেছি।’’ তাঁর বক্তব্যে শোনা যায় ন’ বছরের কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যগাথাও।

    তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভবন থেকে সংসদ ভবন (New Parliament Building) আমাদের অনুপ্রেরণা হল দেশ ও সমাজের উন্নয়ন। ৯ বছরে আমরা চার কোটি মানুষের মাথার উপরে ছাদ এবং ১১ কোটি শৌচালয় বানাতে পেরেছি, এটা আমাদের অপরিসীম তৃপ্তি দেয়।’’ নতুন সংসদ ভবন নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পুরনো সংসদ ভবনে সকলের কাজ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। প্রযুক্তিগত সমস্যাও ছিল। বিগত দেড়, দুই দশক ধরে আলোচনা হচ্ছিল নতুন সংসদ ভবনের। সময় চাহিদাতেই নতুন সংসদ ভবন তৈরি হল। আমার বলতে গর্ব হচ্ছে আধুনিক মানের প্রযুক্তিরও সুবিধা রয়েছে এখানে।’’ নতুন সংসদ ভবনকে এদিন তিনি ১৪০ কোটি মানুষের আকাঙ্খার প্রতীকও বলেন।

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

    নতুন সংসদ ভবনের (New Parliament Building) স্মারক হিসাবে ৭৫ টাকার কয়েনেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিন ৭৫ টাকার কয়েনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা চেম্বারে। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে যে কয়েনটির ওজন ৩৪.৬৫ থেকে ৩৫.৩৫ গ্রামের মধ্যে। কয়েনের একদিকে রয়েছে অশোক স্তম্ভের ছবি। দেবনাগরী অক্ষরের লেখা রয়েছে ভারত, এবং ইংরেজিতে লেখা ইন্ডিয়া। টাকার সিম্বলও সেখানে দেওয়া রয়েছে। কয়েনের উল্টোদিকে রয়েছে নতুন পার্লামেন্ট ভবনের ছবি এবং তাতে লেখা রয়েছে ২০২৩ সাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: হিরোশিমা-সফরের স্মৃতিতে বিহ্বল! ‘মন কি বাত’-এ বীর সাভারকরকে স্মরণ মোদির

    PM Modi: হিরোশিমা-সফরের স্মৃতিতে বিহ্বল! ‘মন কি বাত’-এ বীর সাভারকরকে স্মরণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন কি বাত-এর ১০১ তম সংস্করণে সাভারকরকে স্মরণ করেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার,  ২৮ মে সাভারকরের জন্মদিবস। এদিন দেশে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর রেডিওয় ‘মন কি বাত অনুষ্ঠানে’ যোগ দেন মোদি।

    সাভারকর জয়ন্তী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেছেন, “বীর সাভারকরের ব্যক্তিত্ব ছিল দৃঢ়তা এবং উদারতায় ভরা। নির্ভীক ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ স্বভাবের জন্য তাঁর দাসত্বের মানসিকতা পছন্দ ছিল না। শুধু স্বাধীনতা আন্দোলন নয়, বীর সাভারকর সামাজিক সাম্য এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য যা করেছিলেন, তা আজও স্মরণ করা হয়।” সাভারকর জয়ন্তী উপলক্ষে নয়া সংসদ ভবনেও এদিন সাভারকরের ছবিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন মোদি।

    হিরোশিমা-সফর

    ১০১ তম ‘মন কি বাত’-এ হিরোশিমা-সফরের (Hiroshima Tour) স্মৃতিতে বিহ্বল হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বলেন, ‘আমরা যদি ইতিহাসের মুহূর্ত ফিরে দেখি, তা হলে তা থেকে আগামী প্রজন্মও সমৃদ্ধ হয়। কয়েকদিন আগেই জাপানে গিয়েছিলাম। সেখানে Hiroshima Peace Memorial Museum দেখার সুযোগ হয়েছিল। ভীষণ আবেগপ্রবণ মুহূর্ত ছিল।’  

    আরও পড়ুন: স্বদেশের ছোঁয়া! নয়া সংসদ ভবনের ভিডিয়োয় ভয়েস ওভার শাহরুখের

    এদিন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব এনটি রামা রাওকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি এদিন বলেন,”১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময়, আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জয় জওয়ান, জয় কিষান স্লোগান দিয়েছিলেন। পরে অটলজি এতে জয় বিজ্ঞান যোগ করেন। কয়েক বছর আগে দেশের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমি জয় অনুসন্ধানের কথা বলেছিলাম। ‘মন কি বাত’-এ, আজকের আলোচনা এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে, এমন একটি সংস্থাকে নিয়ে, যা এই চারটিরই প্রতিফলন, জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান এবং জয় অনুসন্ধান। তিনি হলেন মহারাষ্ট্রে শিবাজি শ্যামরাও ডোলে। তিনি নাসিকের ছোট এক গ্রামের মানুষ গরীব আদিবাসী পরিবারের সদস্য। এই প্রাক্তন সেনাকর্মী অবসরের পর কৃষিতে ডিপ্লোপা করেন। এরপর কয়েকজন প্রাক্তন সতীর্থকে নিয়ে তিনি ‘ভেঙ্কটেশ্বর কোয়াপারেটিভ পাওয়ার অ্যান্ড এগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা তৈরি করেন। আজ এই সংস্থা মহারাষ্টে ও কর্নাটকের বহু জেলায় কাজ করছে। প্রায় ৮০০০ ব্যক্তি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।”

    অমৃত সরোবর

    জলের গুরুত্ব প্রসঙ্গে এদিন মোদি (PM Modi) বলেন, “আমরা সবাই একটা কথা বহুবার শুনেছি, জল ছাড়া সব হারিয়ে যায়। জল না থাকলে জীবনে সবসময়ই সংকট দেখা দেয়। ব্যক্তি ও দেশের উন্নয়নও থমকে যায়। এই চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে, আজ দেশের প্রতিটি জেলায় ৭৫টি করে অমৃত সরোবর তৈরি করা হচ্ছে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tiger: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে বাঘের আতঙ্ক! তোলপাড় গোটা এলাকা

    Tiger: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে বাঘের আতঙ্ক! তোলপাড় গোটা এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সাতসকালেই বাঘের (Tiger) আতঙ্ক মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে। ভরতপুর থানার হামিদপুর বাগেশ্বর মন্দিরের পাশে একটি জঙ্গলে বাঘের আতঙ্কে চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। পরে, গ্রামের বাসিন্দারা বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের কর্মীরা এসে ওই জন্তুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিন দিনভর হামিদপুর সহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বাঘের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এদিন সকালে গ্রামের এক যুবক জঙ্গলে আম কুড়োতে গিয়ে বাঘের (Tiger) মতো জন্তু দেখে ছুটে পালিয়ে যান। বাঘেশ্বর মন্দিরে পিছনে জঙ্গলে জন্তুটিকে তিনি দেখতে পান। গ্রামে ফিরে তিনি সমস্ত বিষয়টি সকলকে বলেন। জন্তুটি চিতা বাঘের মতো দেখতে বলে তিনি সকলকে জানান। চিতা বাঘের মতো দেখতে খবর জানাজানি হতেই আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা এসে ভিড় করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিষয়টি জানার পরই আমরা ওই জন্তুটিকে দেখতে জঙ্গলে যাই। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর জন্তুটিকে দেখতে পাই। একটি গাছের মধ্যে উঠে বলেছিল। শ্রীমন্ত ঘোষ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাবাদের মুখে শুনেছি, বাঘেশ্বর মন্দির এলাকায় বাঘের দেখা পাওয়া যেত। তবে, আমরা কোনওদিন এই এলাকায় বাঘ দেখিনি। এদিন পাড়ার ওই যুবকের কথা শুনে বাঘ দেখতে ছুটে আসি। পরে, বাঘের মতো জন্তুটিকে দেখতে পাই। আমার মতো এই এলাকায় বহু মানুষ এই ধরনের জন্তু আগে দেখেনি। ফলে, আমরা খুব আতঙ্কিত ছিলাম। বন দফতরের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে জানার পরই আমরা স্বস্তি ফিরে পাই।

    কী বললেন বন দফতরের আধিকারিক?

    এদিন বন দফতর বিষয়টি জানার পরই সেখানে আসে। বন দফতরের এক আধিকারিক সঞ্জয় সরকার বলেন, বাঘ (Tiger) দেখা গিয়েছে শুনে আমরা সেখানে যাই। পরে, দেখি বাগরোল। মেছো বিড়াল বলা হয়। এই ধরনের জন্তু এখন অনেক কম দেখা যায়। সাধারণত এরা হামলা করে না। তবে, কেউ তাড়া করলে এর হামলা করতে পারে। এই ধরনের জন্তুর সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা জন্তুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: কৃষি দফতরে গ্রুপ সি চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ  লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Uttar Dinajpur: কৃষি দফতরে গ্রুপ সি চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকার যুবক-যুবতী ও তাঁদের অভিভাবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন তৃণমূল নেতা। টাকা তুলে তার পরিবর্তে চাকরি দেননি কাউকেই। টাকা তোলা এবং চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ এনে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল (Uttar Dinajpur) সভাপতির বাড়ির সামনে অবস্থানে বসলেন বিক্ষোভকারীরা।

    উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) অভিযোগ কী?

    শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবা-মহাশো এলাকায়। অবস্থান-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনিন্দ্য কুমার দাস অভিযোগ করেন, কৃষি দফতরের গ্রুপ সি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রার্থী পিছু ১১ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি উত্তম ঘোষ, তাঁর ভাগ্নে মিঠুন ঘোষ এবং ভাই অনিল ঘোষ। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও চাকরি তো জোটেইনি, উল্টে চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করা হচ্ছে। এর আগেও টাকা চাইতে গেলে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এক বিক্ষোভকারী সুমন কুমার নাথ বলেন, প্রায় ছয় মাস হল তাঁদের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে না। টাকা নেওয়ার জন্য ভুয়ো ইন্টারভিউ এবং নকল নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করছেন তিনি। প্রার্থীদের অবিলম্বে সেই টাকা ফেরতের দাবিতে তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে এই আন্দোলন বলে জানানো হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে এক অভিভাবক নৃপেন্দ্রনাথ দাস বলেন, উত্তম ঘোষের ভাগ্নে মিঠুন ঘোষ যে টাকা নিয়েছেন, সে কথা স্বীকার করা একটি ভিডিও রয়েছে আমাদের কাছে। আমরা পুলিশের কাছে যাব।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মিঠুন ঘোষের বক্তব্য

    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিঠুন ঘোষ বলেন, আমার মামা উত্তম ঘোষ এলাকায় (Uttar Dinajpur) অনেকদিন ধরেই সুনামের সঙ্গে বসবাস করছেন। তিনি কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর পরিবারকে কালিমালিপ্ত করতেই এই চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। তবে মিঠুনের দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ওঁদের কাছ থেকে আমি ১১ লক্ষ টাকা নিয়েছি। আজ শনিবার টাকা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমি দিতে পারিনি। আগামী রবিবার ওঁদের ডেকে আমি মামার উপস্থিতিতে সব টাকা দিয়ে দেব। এরকম একটি বক্তব্য সামজিক মাধ্যমে ঘুরছে বলে জানা গেছে।

    তৃণমূল নেতা উত্তম ঘোষের বক্তব্য

    অপরদিকে উত্তম ঘোষ বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। এর সাথে কোনও ভাবেই আমি যুক্ত নই। প্রমাণ করতে পারলে যা শাস্তি দেবে, তা মাথা পেতে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন আমি বাড়িতেই (Uttar Dinajpur) ছিলাম। অসত্যকে আশ্রয় করে কীভাবে একটি অভিযোগ আনা যায়, সে বিষয়টি আমি লক্ষ করেছি। তবে মিঠুন ঘোষ তাঁর ভাগ্নে, একথা স্বীকার করেন উত্তম বাবু স্বয়ং। তিনি আরও বলেন, মিঠুনের টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়টি আমিও শুনেছি। কিন্তু আমার ভাগ্নের টাকা নেওয়ার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। এ ব্যাপারে আমার বদনাম করা হচ্ছে। আমি প্রয়োজনে মানহানি মামলা করব।

    পুলিশের ভূমিকা

    অন্যদিকে, এদিনের এই ঘটনার (Uttar Dinajpur) খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে স্থানীয় কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আন্দোলন তুলে নেন এবং অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন বলে জানা গেছে। প্রতারিত ব্যক্তিরা কবে টাকা ফিরে পান, তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bermuda Triangle: ভারতের বুকেও আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, যাকে ঘিরে রহস্যের ঘনঘটা!

    Bermuda Triangle: ভারতের বুকেও আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, যাকে ঘিরে রহস্যের ঘনঘটা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারমুডা ট্রায়াঙ্গল-এর নাম শোনেননি, এরকম মানুষ হয়তো খুব কমই আছেন। বিভিন্ন সময় নানা চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle)। এই জায়গা ঘিরে আছে অসংখ্য রহস্য এবং অলৌকিক ঘটনা। এই জায়গাকে ঘিরে বিভিন্ন ‘কন্সপিরেসি থিয়োরি’ অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষকে আরও বেশি আকর্ষণ করে। আটলান্টিক মহাসাগরে ৩টি স্থানের কাল্পনিক বিন্দুকে যোগ করে এই ত্রিভুজাকৃতি জায়গাটি গড়ে উঠেছে। এখানে সময় যেন থমকে যায়। বিভিন্ন বড় বড় জাহাজ থেকে শুরু করে বিমান এই অঞ্চলে একবার এলেই নিমেষের মধ্যে হারিয়ে যায়, যার খোঁজ পাওয়া যায় না কোনও ভাবেই। একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হন পাইলট থেকে জাহাজের নাবিকরা। এখানে কাজ করে না কম্পাস, নিজের তালে ঘুরতে থাকে দিকনির্ণয় যন্ত্রগুলি! ফলে অনায়াসে দিক ভুল করে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমান ও জাহাজ। এই জায়গাতে এমন কেন হয়, এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, যা আজও গবেষণার বিষয়। কিন্তু এই আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ছাড়াও আমাদের বাংলারই প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাতে আছে এমন এক ট্রায়াঙ্গল, যা বারমুডার থেকে ভিন্ন নয়। এখানেও ঘটে একের পর এক দুর্ঘটনা। কেন হয় এবং কীভাবে হয়, তা আজও রহস্য।

    কোন কোন অঞ্চলকে নিয়ে গড়ে উঠেছে ভারতের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle)?

    আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের (Bermuda Triangle) মতো ভারতেও ওড়িশার আমারদা রোড বিমানঘাঁটি, ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া ও পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার পিয়ারডোবার কাছে তিনটি অঞ্চলকে নিয়ে একটি কাল্পনিক বিন্দু দিয়ে ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। এই এলাকার মধ্যে ঘটে গেছে অনেক বিমান দুর্ঘটনা। কিন্তু কেন শুধুমাত্র এই অঞ্চলেই এমন হয়, সেই যুক্তি হুবহু বারমুডার সাথে মিলে যায়। সেই দিকভ্রষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা, সব যেন এক।  এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ টি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে এই অঞ্চলেই। এই অঞ্চলের কিছু বিমান দুর্ঘটনা মানুষকে, বিজ্ঞানকে বার বার ভাবিয়েছে।
    এখানে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯৪৪ সালের ৪ মে, মার্কিন লিবারেট যুদ্ধবিমান এবং হার্ভার্ড দ্য হাভিল্যান্ড-এই বিমান দুটি যখন আমারদা রোড বিমানঘাঁটির কাছে এসে পৌঁছায়, তখন মুখোমুখি মারাত্মক সংঘর্ষ হয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান দুই বিমানে উপস্থিত মোট চারজন অফিসার। আবার এর ঠিক তিনদিন পরেই অর্থাৎ ১৭ই মে একই জায়গাতে আবার একটি দুর্ঘটনা ঘটে। আরেকটি লিবারেটর যুদ্ধবিমান সেখান থেকে টেক অফ করে এবং কুড়ি মিনিটের মধ্যে সেখানে ভেঙে পড়ে। আরও অবাক হতে হয় ওই একই সপ্তাহের মধ্যে ১৩ই মে আমারদা রোড থেকে আরেকটি বিমান টেক অফ করার পরে সেখানে ভেঙে পড়ে। সেটি ছিল একটি হাভিল্যান্ড বিমান। কিন্তু এই দুর্ঘটনাতে কেউ মারা যায়নি।
    এখানেই শেষ নয়, আবার ১৯৪৫ সালের ২৬ শে জুলাই এই অঞ্চলে সব থেকে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। চার ইঞ্জিনের দুটি বোমারু বিমান ব্রিটিশ রয়াল যুদ্ধবিমান B-24  লিবারেটর ওই একই স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মৃত্যু হয় ১৪ জন অফিসারের। সম্প্রতি ২০১৮ সালে আবার ওই অঞ্চলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আরেকটি বিমান। সব থেকে অবাক করা বিষয়, তখন আবহাওয়া ছিল পরিষ্কার। বিমানের কোনও যান্ত্রিক গণ্ডগোলও ছিল না। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় কোনও মৃত্যু হয়নি।

    কেন এমন হয় শুধুমাত্র এই অঞ্চলে (Bermuda Triangle)? 

    শেষবার যে দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে, সেই বিমান চালক প্রাণে বেঁচে যান এবং তাঁর দেওয়া বর্ণনা শুনে আঁতকে ওঠেন সবাই। বিমান চালকের বর্ণনা অনুযায়ী, তাঁর বিমানটি যখন আমারদা বিমানঘাঁটির (Bermuda Triangle) ওপর এসে পৌঁছায়, তখন হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ক্রমশ নিচের দিকে নামতে থাকে প্লেনটি, যেন কোনও অদৃশ্য শক্তি টেনে নামিয়ে আনছে বিমানটিকে। অথচ তাঁর বিমানে কোনও সমস্যা ছিল না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি দেখলেন, বিমানটি একদম মাটির কাছাকাছি নেমে এসেছে। তিনি তৎক্ষণাৎ বিমান থেকে লাফ দেন এবং নিচে পড়ে যান। তাঁর কোনও রকম ক্ষতি না হলেও বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন কেন হয়, এই নিয়ে সবার মধ্যে অনেক বিতর্ক আছে। 
    বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, যত দুর্ঘটনা এই আমারদা বিমানঘাঁটিকে কেন্দ্র করেই। এই বিমানঘাঁটির কাছাকাছি একটি জায়গা আছে ঝাড়খণ্ডের জাদুগোরা ইউরেনিয়াম খনি। সেখানে ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবেই হয়তো বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যায়। বিমানের  র‌্যাডার কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আবার কেউ কেউ বলেন, আমারদা বিমানঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায় আছে বিশাল এক চৌম্বক ক্ষেত্র, যা বিমানকে টেনে নিচে নামিয়ে আনে এবং দুর্ঘটনা ঘটে।
    কিন্তু এসব যুক্তি এখনও প্রমাণিত নয়, কোনও গবেষণা এখনও এসব প্রমাণ করতে পারেনি। কেউ কেউ মনে করেন, সরকারি গবেষণায় হয়তো এর কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। কিন্তু সেটি সরকার থেকে গোপন রাখা হয়েছে। কেননা কোনও বেসরকারি সংস্থাকে এই বিষয়ে গবেষণা করতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। যাই হোক, এই অঞ্চল আজও রহস্যে ঘেরা। অনেক অজানা বিষয় আছে এই অঞ্চলকে ঘিরে। হয়তো ভবিষ্যতে রহস্য উদঘাটন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: ইমরানের খেলা শেষ, তোপ দাগলেন নওয়াজ কন্যা মারিয়াম

    Imran Khan: ইমরানের খেলা শেষ, তোপ দাগলেন নওয়াজ কন্যা মারিয়াম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা মারিয়াম নওয়াজের তোপের মুখে পড়লেন ইমরান খান (Imran Khan)। তেহরিক-ই-ইনসাফ এর প্রধান ইমরান খানের উদ্দেশে নওয়াজ কন্যা বলেন, ‘‘আপনার খেলা শেষ।’’ এদিন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শিয়াল বলেও কটাক্ষ করেছেন মারিয়াম। প্রসঙ্গত, মারিয়াম নওয়াজ হলেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ পিএমএল(এন) এর সহ-সভাপতি।

    আরও পড়ুন: একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যাকে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি দিতে ঢাকায় ডাচ টিম

    দলের যুব সম্মেলনে ইমরানকে (Imran Khan) একহাত নেন মারিয়াম

    শনিবার পাকিস্তানের বাহারিতে তাঁর দলের একটি যুব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন মারিয়াম। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ইমরানের (Imran Khan) দল তেহরিক-ই-ইনসাফ ছেড়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা। সেই ঘটনাকে টেনে এনে ইমরানের উদ্দেশে এই কটাক্ষ করেন মারিয়াম। পাশাপাশি ৯ মে ইমরানের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে সারা পাকিস্তান জুড়ে যে অশান্তি এবং হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে, তারও কড়া নিন্দা করতে শোনা যায় নওয়াজ কন্যাকে। তিনি এদিন আরও বলেন, ‘‘একজন নেতা যখন শিয়ালের মতো হন, তখন তাঁর সঙ্গে কেমন করে মানুষ থাকবে?’’ এরপর পাকিস্তানে হওয়া যাবতীয় হিংসার দায় তিনি ইমরানের উপর চাপিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের হিংসার আসল ষড়যন্ত্রী ইমরান।’’

    চলতি মাসেই ইমরানের (Imran Khan) গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল গোটা পাকিস্তান

    জমি দুর্নীতির অভিযোগে ৯ মে ইমরানের গ্রেফতারির পর সে দেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ইমরানের দলের কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে গাড়ি জ্বালাতে থাকেন। পাশাপাশি সেনা অফিসারদের বাড়িতেও চলে হামলা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাড়ি ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ইমরানের দল। তাঁর জামিনের দিনেও হিংসা ছড়ায় কোর্ট চত্বরে। সেখানে তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। হিংসায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দৃষ্টিহীন হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে ৪১২ নম্বর পেয়ে সফল রিয়া রায়

    Murshidabad: দৃষ্টিহীন হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে ৪১২ নম্বর পেয়ে সফল রিয়া রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৃষ্টিহীনদের লেখাপড়ার স্বার্থে লুই ব্রেইল যে পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন, সেই পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে সফল হলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর কান্তনগরের এক কাপড় ব্যবসায়ীর জ্যেষ্ঠ কন্যা রিয়া রায়।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কীভাবে পড়াশুনা করত রিয়া

    রিয়া প্রমাণ করলেন, মনের জোর থাকলে সমস্ত কিছুই সম্ভব। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে কোনও রূপ বাধা সৃষ্টি করতে পারে না, আবারও প্রমাণ করলেন লিপিকা গার্লস মেমোরিয়াল স্কুলের (Murshidabad) ছাত্রী রিয়া রায়। এবার তিনি উচ্চ মাধ্যমিকে ব্রেইল পদ্ধতিতে ৪১২ নম্বর পেয়েছেন। তাঁর গ্রেড এ প্লাস। বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরগুলি হল ইংরেজিতে ৮৫, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৮৫, ইতিহাসে ৮৬, সংস্কৃতে ৮০ এবং বাংলায় ৭৪। রিয়া আরও জানিয়েছেন, একজন ছাত্রীকে প্রচণ্ড অনুশীলন, কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্দেশ্যকে সুস্থির রেখে পড়াশুনা করতে হয়। রিয়ার বাবা বিশ্বনাথ রায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী এবং মা জবা রায় গৃহিণী। রিয়া এরকম রেজাল্ট করার জন্য তাঁর স্কুলের সমস্ত শিক্ষিকা এবং বাবা-মায়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আরও বলেন,, আজ এই দিনে যদি লিপিকা গার্লস মেমোরিয়াল স্কুল এবং আমার বন্ধুবান্ধব না থাকত, তাহলে আমি এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না। বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে সপ্তাহ ব্যাপী উদযাপনের অনুষ্ঠানে রিয়া কন্যাশ্রী প্রকল্পের কন্যাশ্রী আবৃত্তি করে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছিলেন। রিয়া রায় পড়াশুনোর পাশাপাশি কবিতা আবৃতি এবং গান করতে খুব ভালোবাসেন। আগামিদিনে পড়াশোনা করে অধ্যাপক হতে চান।

    স্কুলের শিক্ষিকা এবং অভিভাবকের প্রতিক্রিয়া

    রিয়া রায় সম্পর্কে লিপিকা গার্লস মেমোরিয়ালের প্রধান (Murshidabad) শিক্ষিকা শালিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, মনের জোর থাকলে সবকিছু জয় করা যায়। আর তার চাক্ষুষ প্রমাণ আজকের রিয়া রায়। তিনি আরও বলেন, রিয়া আমাদের প্রজন্মের কাছে একটি বার্তা, কোনও কিছুতেই সে হার মানে না। আর সেই জন্যই তার ফলস্বরূপ আজ রিয়া উচ্চমাধ্যমিকে এই ফল পেয়েছে। রিয়ার এই রেজাল্টে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ সমস্ত শিক্ষিকারা উচ্ছ্বসিত। সেই সঙ্গে বাবা বিশ্বনাথ রায় জানিয়েছেন, মেয়ের পড়াশুনার জন্য সব রকম সহযোগিতা আমরা করব। ওর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা সব সময় ওর সঙ্গে আছি। রিয়ার জন্য সকলের কাছে আশীর্বাদ কামনা করি। দৃষ্টিহীন ছাত্রী উচ্চ শিক্ষার জন্য সকল প্রতিবন্ধকতাকে কীভাবে অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WB Hospital: সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও টাকা? দালালচক্রে হয়রান রোগী ও পরিজনেরা

    WB Hospital: সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও টাকা? দালালচক্রে হয়রান রোগী ও পরিজনেরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে, সরকারি হাসপাতাল (WB Hospital) নিয়ে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল, দালালচক্র। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে ওষুধ সবটাই হবে বিনামূল্যে, সম্পূর্ণ নিখরচায়, এমন কথা সব সময় বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও টাকা দিতে হয়। সরকারি হাসপাতালে সক্রিয় একাধিক দালালচক্র। অন্য হাসপাতাল থেকে রেফার হোক কিংবা সরকারি হাসপাতালে আউটডোরে চিকিৎসকের পরামর্শে ভর্তি, দালালকে টাকা দিলে তবেই সম্ভব। না হলে, ‘বেড নেই’, এমনই শুনতে হয়। 

    কী অভিজ্ঞতা হয় রোগীর পরিবারের (WB Hospital)? 

    সরকারি হাসপাতালে (WB Hospital) ভর্তি নিয়ে নানান অভিযোগ রোগীর পরিবারের। তবে, দালালচক্রের জন্য সবচেয়ে বেশি হয়রানি হতে হয় রোগী ও পরিজনের। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে এক রোগী জ্বর, কাশি ও ফুসফুসের কিছু সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। তাঁকে পরীক্ষার পর চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। ফুসফুসের সমস্যার জন্য তাঁকে ভর্তি হতে বলা হয়। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে কাউন্টারের কাছে কিছু ব্যক্তি এসে তাঁর পরিজনদের জানান, তাঁরা হাসপাতালের কর্মচারী। পরিবারের কাছে নগদ কয়েক হাজার টাকা দাবি করা হয়। তবেই রোগী ভর্তি করা হবে, এমনও জানানো হয়। পরিবারের সেই টাকা দেওয়ার সামর্থ ছিল না। তাঁরা রোগী ভর্তি করতে পারেননি। পরে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সেই রোগী আরও জটিল বক্ষঃরোগ নিয়ে ভর্তি হন। মুর্শিদাবাদের ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। এমনই অভিজ্ঞতা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের এক রোগী ও তাঁর পরিবারের। তাঁদের অভিযোগ, পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে যান বীরভূমের এক প্রৌঢ়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করাতে হলেও দালালচক্রকে টাকা দিতে হবে বলেই অভিযোগ করেন ওই প্রৌঢ় ও তাঁর পরিবার।ফলে, বিনা চিকিৎসাতেই হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হয়। ভোগান্তির শিকার রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, কলকাতা হোক বা জেলা, রাজ্যের যে কোনও সরকারি হাসপাতাল বিশেষত যে কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে রোগী ভর্তি করতে হলেই নগদ টাকা দিতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দালালচক্রে যাঁরা সক্রিয় থাকেন, তাঁরা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের কর্মী। কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও অধিকাংশ সময়ই কোনও সদুত্তর পাওয়া যায় না।

    দালালচক্র (WB Hospital) নিয়ে সরব খোদ বিধায়ক থেকে সাংসদ? 

    সরকারি হাসপাতালের (WB Hospital) দালালচক্রের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে শুধু রোগী ও তাঁর পরিবার নয়। এবার তা নিয়ে মুখ খুলছেন তৃণমূলের বিধায়ক থেকে সাংসদ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি দলের অন্দরেই একাধিক নেতা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বারবার বিজ্ঞাপনে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বলা হচ্ছে। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে রোগী হয়রানি বাড়ছে। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না, সময়মতো চিকিৎসাও পাওয়া যায় না। তবে, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে যেভাবে সরাসরি দালালচক্রের খপ্পরে পড়তে হয়, তা বন্ধ করা দরকার বলে দলের অন্দরেই জানাচ্ছেন নেতারা। তবে শুধু বন্ধ ঘরে নয়, হাসপাতালের দালালচক্র নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্র থেকে সাংসদ শতাব্দী রায়। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে দালালচক্রের সক্রিয়তা নিয়ে মুখ খোলেন মদন মিত্র। সংবাদ মাধ্যমে জানান, টাকা না দিলে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যায় না।তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ও অভিযোগ করেন, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের দালালচক্র নিয়ে। 

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য দফতর কিন্তু এ নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছে। সরকারি হাসপাতালে (WB Hospital) দালালচক্রের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা জানায়, অভিযোগ জমা পড়লেই খতিয়ে দেখা হয়। কেউ ভোগান্তির শিকার হলে অভিযোগ জানান। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় হামলায় কুড়মি সমাজের প্রধান সহ গ্রেফতার ৮, প্রতিবাদ মিছিল

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় হামলায় কুড়মি সমাজের প্রধান সহ গ্রেফতার ৮, প্রতিবাদ মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজেশ মাহাত সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজেশ পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি। তিনি খড়্গপুরের একটি হাইস্কুলের শিক্ষক। তাঁকে শুধু গ্রেফতার নয়, খড়্গপুরের স্কুল থেকে কোচবিহারের সিতাইয়ে বদলি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রবিবার শালবনির শালডহরা এলাকায় কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।

    দলীয় নেতা গ্রেফতারি নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুমন মাহাত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাবেন একজন রাজেশকে গ্রেফতার করে আমাদের আন্দোলনকে ভেঙে দেবেন, তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন। আমাদের আন্দোলন থামবে না। বরং, এই ঘটনার পর আমাদের এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

    শালবনির সভা থেকে কুড়মিদের নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মণিপুরে জাতি দাঙ্গার মতো এখানে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। পাহাড় আলাদা করে দাও। এই জাতি দাঙ্গা করেছিল বিজেপি। আমি কোনওরকমে সামলেছি।  রাজবংশী আর কামতাপুরীদের আলাদা করে দাও। আমি সামলেছি।   এখন আদিবাসী আর কুড়মিদের লরিয়ে দিচ্ছে। টাকা দিচ্ছে বিজেপি। জাতি দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। এরপরই কুড়মিদের হুঁশিয়ারি, আমাকে চমকানোর চেষ্টা করবেন না। হিংসা করলে আমাকে পাশে পাবেন না। আমরা চারবার কেন্দ্রের কাছে কুড়মিদের জন্য চিঠি দিয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে ক্ষুব্ধ কুড়মি নেতারা, কেন?

    শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। তাঁদের থানায় দিনভর আটকে রাখা হলেও  মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুমনবাবু বলেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় হামলার সঙ্গে কুড়মিরা কেউ জড়িত নই। আর কারা এই কাজ করেছে তা মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ প্রশাসন রয়েছে, তারা চিহ্নিত করুক। আর সাত দফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু, থানায় আমাদের আটকে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আর কুড়মিদের নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলছেন তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একজন দাঙ্গাবাজ নেত্রী। তাই, সবকিছুতেই তিনি দাঙ্গাকে দেখতে পান। মুখ্যমন্ত্রীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতির জন্যই জঙ্গলমহলে কুড়মিরা আন্দোলন করছে। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে তৃণমূল শুধু ভোট নিয়ে গিয়েছে, তাদের উন্নয়নে কিছু করেনি। তাই, কুড়মিরা এভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament Building: শিব-শক্তির মেলবন্ধন, বিমল প্যাটেলের ভাবনার মূর্ত প্রতীক নয়া সংসদ ভবন

    New Parliament Building: শিব-শক্তির মেলবন্ধন, বিমল প্যাটেলের ভাবনার মূর্ত প্রতীক নয়া সংসদ ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার উদ্বোধন হল দেশের নতুন সংসদ ভবনের (New Parliament Building)। এটি নির্মাণ করা হয়েছে শ্রী যন্ত্র ধাঁচে। শ্রী যন্ত্র হল ন’টি ত্রিভুজের একত্রীভূত একটি মডেল, যার উপরের চারটি ত্রিভুজ শিবের প্রতীক এবং নিচের পাঁচটি ত্রিভুজ শক্তির প্রতীক। নতুন সংসদ ভবন এই শিব-শক্তি প্রতীকের আদলে তৈরি করা হয়েছে। নতুন সংসদ ভবনের স্থপতি হলেন আমেদাবাদের বিমল প্যাটেল।

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

    কে এই বিমল প্যাটেল

    ৬৪ বছর বয়সী একজন স্থপতি বিমল প্যাটেল বিভিন্ন আরবান প্ল্যানিং এবং ডিজাইনিং-এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষ তিনি। বর্তমানে তিনি আমেদাবাদের ‘সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল প্ল্যানিং অ্যান্ড টেকনোলজি’-র সভাপতি পদে রয়েছেন। শোনা যায়, বিমল প্যাটেলের বাবাও ছিলেন একজন নামকরা স্থপতি হাসমুখ প্যাটেল। যিনি গুজরাট হাইকোর্টের নকশা বানিয়েছিলেন ১৯৯২ সালে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেরও নকশা করেছিলেন বিমল প্যাটেল

    দেশের নামকরা এই স্থপতি আরও অনেকগুলি প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথের করিডর স্থাপন। এছাড়াও মুম্বই পোর্ট ট্রাস্টেরও কাজ তিনি করেছেন। আমেদাবাদের সবরমতী আশ্রমের পুনর্নির্মাণও তাঁর হাতেই সম্পন্ন হয় বলে জানা যায়।

    রবিবার সকালেই উদ্বোধন হল নতুন সংসদ ভবনের

    এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সংসদ ভবন চত্বরে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথমে গাঁধীমূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। তার পর বিশেষ পুজোয় অংশ নেন। সেখানে তাঁর পাশে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। পাশাপাশি বসে পুজোয় অংশ নেন দু’জনে। এর পর সামনে রাখা ‘সেঙ্গল’ (Sengol) দেখে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন মোদি। তার পর তাঁর হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেন অধিনাম পুরোহিতরা। এর পর সংসদভবনের ভিতরে যান মোদি। নয়া সংসদ ভবনে স্পিকারের আসনের পাশেই থাকবে সোনার রাজদণ্ড ‘সেঙ্গল’। সেই মতো সেখানে সেটিকে প্রতিস্থাপিত করেন মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share