Tag: Madhyom

Madhyom

  • New Parliament Building: সর্বধর্ম প্রার্থনা, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন! ট্যুইট বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    New Parliament Building: সর্বধর্ম প্রার্থনা, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন! ট্যুইট বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রীতি ও ঐতিহ্য মেনে উদ্বোধন হল নতুন সংসদ ভবনের। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে পাশে নিয়ে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে লিখলেন, “সংসদের নতুন বিল্ডিং উদ্বোধনে আমাদের হৃদয় গর্ব, আশা ও প্রতিশ্রুতিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আশা করি দেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এই সংসদ ভবন।” 

    ৬৪,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি এই ভবন। সংসদ ভবন উদ্বোধনের আগে সর্বধর্ম প্রার্থনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।

    আজকের অনুষ্ঠান 

    সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের আচার অনুষ্ঠান। শুরুতেই যজ্ঞ ও পুজো করা হয়। তারপর স্থাপন করা হয় সেঙ্গল। এতদিন প্রয়াগরাজের জাদুঘরে রাখা ছিল এই সোনার রাজদণ্ড। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন রাজনৈতিক নেতা থেকে দেশের জ্ঞানীগুণী মানুষ।

    দুপুর ১২টার সময় আজকের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগের সূচনা হবে। সেই সময় দু’টি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হওয়ার কথা। তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর পর রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির বার্তা পাঠ করবেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। এরপর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বক্তৃতা পেশ করবেন। সংসদ ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে একটি কয়েন এবং একটি স্ট্যাম্প উন্মোচন করা হবে। আজকের অনুষ্ঠান শেষ হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের মাধ্যমে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদি নতুন সংসদ ভবনে ভাষণ দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: নতুন অধ্যায় শুরু! প্রতিস্থাপিত হল সেঙ্গল, সাষ্টাঙ্গে প্রণাম মোদির

    নির্মাণকর্মীদের সম্মান

    নির্মাণকর্মী থেকে সাফাইকর্মী, যাঁরা নতুন সংসদ ভবন তৈরিতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের চাদর পরিয়ে এদিন সম্মানিত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে যে বিশেষ স্মারক তৈরি করা হয়েছে, তা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    নতুন সংসদ ভবনের চত্বর এদিন ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া সহ এনডিএ জোট অন্তর্ভুক্ত কমপক্ষে ১৮ জন সদস্য়দের। ২৫টি বিরোধী দলের তরফেও এই অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের করণ বিলে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মাটি কাটার মেশিন। বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। জখমদের কালদিঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার গ্রামে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিক দ্বীপাঞ্জন ভট্টাচার্য  ও বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    করণ বিলে বংশীহারী এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রামের জল বর্ষাকালে জমা হয়। এই বিল থেকেই টাঙ্গন নদী হয়ে জল বেরিয়ে যায়। যেভাবে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়া হচ্ছে, সমগ্র বিলকে ঘিরে তাতে আগামী বর্ষায় আর জল বের হবে না। নষ্ট হবে ফসলের জমি। এই বাঁধ তৈরির বিরোধিতা করে গত ১৫ই মে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। তারপর বিডিও বিএলআরও, আইসি গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিটিং এ বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল (TMC) নেতা হায়দার আলি, রমজান আলি, জাফর আলি, আফসার আলি দিনেরাতে মাটি কাটার মেশিন লাগিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছিলেন। সরকারি কোনও নির্দেশ নামা তাদের কাছে নেই। শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিলকে অধিকার করার অভিযোগ তৃণমূলের এই নেতাদের বিরুদ্ধে। ২৬ মে রাতে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই যথেচ্ছ বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভাঙতেই এই চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, যে অবস্থায় বিল ছিল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারি ও রায়তি অধিকারী থাকা করণ বিল কার তা নিয়ে বিতর্ক  দীর্ঘদিনের। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই বিলে মাছ চাষ করেন এবং তাদের জীবিকা অর্জনের অন্যতম পথ এই বিল। তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা এই বিলের উপর বাঁধ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এতে তাদের রুটি রুজিতে টান পড়বে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের তরফ থেকে কোর্টে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। ১৪৪ ধারা এবং স্টে অর্ডার জারি হওয়ার পরেও কী করে রাতে এবং দিনে কাজ চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই বিষয়ে রায়তি মালিক পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুকুরের রায়তি অংশটুকু মাটি দিয়ে বাঁধানো হচ্ছিলো।  এই বিষয়ে মামলা হওয়ায় আপাতত  পুকুরের পার বাঁধানোর কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে সমাজবিরোধীরা এসে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বোমাবাজি করে।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    গঙ্গারামপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,  এলাকার একটি পুকুর কাটাকে নিয়ে গোলমালের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, সেখানে বোমাবাজির কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুকুর মালিকদের গোলমাল বাধে। এই ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। গ্রামের ব্যাক্তিগত গোলমাল থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, বিলের পার বাঁধালে ওই এলাকার মানুষদের চাষের জমি বা জল নেওয়ার যে সমস্যা হবে এই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূল (TMC) নেতারা সেখানে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে গ্রামের মানুষেরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। আর এই পুরো ঘটনাটা ঘটানোর জন্য তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন দায়ী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New parliament building: নতুন অধ্যায় শুরু! প্রতিস্থাপিত হল সেঙ্গল, সাষ্টাঙ্গে প্রণাম মোদির

    New parliament building: নতুন অধ্যায় শুরু! প্রতিস্থাপিত হল সেঙ্গল, সাষ্টাঙ্গে প্রণাম মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো সংসদ ভবনের পথ চলা শেষ। আজ, রবিবারই উদ্বোধন হবে নবনির্মিত সংসদ ভবনের (New parliament building)। সকাল থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সংসদভবন চত্বরে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথমে গাঁধীমূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। তার পর বিশেষ পুজোয় অংশ নেন। সেখানে তাঁর পাশে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। পাশাপাশি বসে পুজোয় অংশ নেন দু’জনে। এর পর সামনে রাখা ‘সেঙ্গল’ (Sengol) দেখে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন মোদি। তার পর তাঁর হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেন অধিনাম পুরোহিতরা। এর পর সংসদভবনের ভিতরে যান মোদি। নয়া সংসদ ভবনে স্পিকারের আসনের পাশেই থাকবে সোনার রাজদণ্ড ‘সেঙ্গল’। সেই মতো সেখানে সেটিকে প্রতিস্থাপিত করেন মোদি।

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘সেঙ্গল’ প্রদান

    নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের (New parliament building) আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে ঐতিহাসিক ‘সেঙ্গল’ তুলে দেন পবিত্র শৈব মঠ তিরুভাদুথুরাই আধিনামের সন্ন্যাসীরা। শনিবার চেন্নাই থেকে দিল্লিতে পৌঁছন আধিনামের ৬০ জন সাধু। এদিনই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হাজির হন তাঁরা। মন্ত্র পাঠ করে নরেন্দ্র মোদির হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেওয়া হয় আধিনামের পক্ষ থেকে। সাধুদের থেকে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন মোদি। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। 

    রজনীকান্তের স্বাগত বার্তা

    সেঙ্গল প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণী সুরাপস্টার রজনীকান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তামিল ভাষায় ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, ‘তামিল শাসক শক্তির ঐতিহ্যবাহী প্রতীক – রাজদণ্ড ভারতের নতুন সংসদ ভবনে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তামিলিয়ানদের গর্ব এটি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, যিনি তামিলদের জন্য গর্বের একটি জায়গা তৈরি করে দিয়েছেন।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালের বেহাল অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও চোখ দিয়ে জল পড়বে।  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে একথা বললেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি (BJP) সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি অন্তত এক ঘণ্টার জন্য এই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত এখানকার করুণ পরিস্থিতি দেখার পর তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়বে। জল না বেরলে  আমি আমার নাম বদলে দেব। এখানে কর্মীর অভাব রয়েছে। পরিকাঠামোর অনেক খামতি রয়েছে।  চারদিক নোংরা আবর্জনায় ভরে রয়েছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছেন এখানকার রোগীরা। প্রসঙ্গত, খুশি বর্মন নামে নকশালবাড়ির এক শিশুকে দেখতে সাংসদ রাজু বিস্তা ও নকশালবাড়ি – মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। খুশি বর্মনের দু’টি কিডনি খারাপ। হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।  রাজু বিস্তা বলেন, তার কিডনি প্রতিস্থাপন বা উন্নত কোনও চিকিৎসার  প্রয়োজন হলে আমি তার দায়িত্ব নিচ্ছি”।

    উত্তরবঙ্গবাসীর উন্নত চিকিৎসার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল, তোপ সাংসদের

    বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছ থেকে বিনামূল্যে উন্নত অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল সরকার। উত্তরবঙ্গের জন্য এইমস অনুমোদন করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে সেই এইমস সরিয়ে কল্যাণীতে নিয়ে গিয়েছেন। এখানে এইমস হাসপাতাল হলে আজ উত্তরবঙ্গের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এতটা নাজেহাল হতে হত না,  কাউকে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হত না। রাজ্য সরকার যদি আমাকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দেয় তাহলে এই হাসপাতালের ভোল বদলে দেব”।

     কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন,  “রাজু বিস্তার মুখে এধরনের শিশুসুলভ কথা মানায় না। বিজেপি (BJP) সাংসদের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলার  কোনও অধিকার নেই। রাজ্য সরকারের চেষ্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি না জেনে এসব বলছেন। এসব ভাবনা ছেড়ে আমি বলব, সুপার স্পেশালিটি ব্লক দ্রুত চালু করার জন্য তিনি বরং দিল্লিতে দরবার করুন”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Parliament House: বর্তমান পার্লামেন্টের উদ্বোধন কে করেছিলেন জানেন? 

    Indian Parliament House: বর্তমান পার্লামেন্টের উদ্বোধন কে করেছিলেন জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ মে রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যে সেই উদ্বোধনকে ঘিরে সাজো সাজো রব চারিদিকে। সকাল থেকেই শুরু হবে পুজো। দেশের সাধু-সন্তদের উপস্থিতিতে সেঙ্গল স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক অধ্যক্ষের চেয়ারের কাছেই। এদিন উপস্থিত থাকার কথা দেশের ২৫টি রাজনৈতিক দলের। জানা যাচ্ছে, বর্তমান সংসদ ভবনের (Indian Parliament House) ১০০ বছর পূর্তি হতো ২০২৭ সালে। স্যার এডুইন লুটিয়েন্স এবং হার্বার্ট বেকারের নেতৃত্বে এই ভবন গড়ার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯২১ সালে। উদ্বোধন হয়েছিল ১৯২৭ সালে।

    বর্তমান সংসদের (Indian Parliament House) ইতিকথা

    সে সময় এই সংসদ ভবনের (Indian Parliament House) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন রানী ভিক্টোরিয়ার পুত্র প্রিন্স আর্থার। শোনা যায়, সে সময় ৫ বছর ধরে এই কাজ চলেছিল। ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়াররা মধ্যপ্রদেশের উত্তরে অবস্থিত বিখ্যাত ৬৪ যোগিনী মন্দির এর আদলে বর্তমান সংসদ ভবনের নকশা বানিয়েছিলেন। ১৯২৭ সালে ভবনটি উদ্বোধন করেন বড়লাট লর্ড আরউইন। তখন অবশ্য এই ভবনের নাম ছিল কাউন্সিল হাউস। এবং ভেতরেই চলত কেন্দ্রীয় আইনসভা। প্রসঙ্গত ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল এই ভবনের ভিতরেই বোমা নিক্ষেপ করে স্লোগান তুলেছিলেন ভগত সিং এবং বাংলার বটুকেশ্বর দত্ত।

    আরও পড়ুন: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    একনজরে পৃথিবীর প্রাচীনতম সংসদ ভবনগুলি

    ফ্রান্সের কথাই ধরা যাক। ফ্রান্সের বর্তমান সংসদ ভবনটি বানানো শুরু হয়েছিল ১৬১৫ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয় ১৬৪৫ সালে। আবার বেলজিয়ামের কথা ধরলে সেখানকার সংসদ ‘প্যালেস অফ দ্য নেশন’ নামের এই ভবনটি তৈরি হয়েছিল ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে। চেক প্রজাতন্ত্র তাদের সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল  ১৬২৩ সালে। শোনা যায় ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল। আবার গ্রিসের কথা ধরুন, তাদের ‘ওল্ড রয়েল প্যালেস’ এর উদ্বোধন হয়েছিল ১৮৪৩। ব্রিটিশ সংসদ অনেক পুরনো। ১৮৩৪ সালে এক অগ্নিকাণ্ডে ভবনটি পুড়ে গেলে ১৮৭৬ সালে আবার তাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়। আবার আমেরিকার কথা বলতে গেলে তাদের সংসদ ভবন বানানোর কাজ শেষ হয়েছিল ১৮০০ সালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তারাপীঠে শুরু হল রাজ্য বিজেপির বিস্তারক প্রশিক্ষণ শিবির! চলবে রবিবার পর্যন্ত 

    BJP: তারাপীঠে শুরু হল রাজ্য বিজেপির বিস্তারক প্রশিক্ষণ শিবির! চলবে রবিবার পর্যন্ত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদ দখলের লড়াইয়ে বিরোধীদেরকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সারাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও আগেভাগে প্রস্তুতি পর্ব শুরু করে দিয়েছে তারা। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় হোলটাইমার নিয়োগ করতে চলেছে বিজেপি (BJP)। যাদের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে বিস্তারক। শনিবার এই নতুন বিস্তারকদের প্রশিক্ষণ পর্ব সারল গেরুয়া শিবির। তারাপীঠের এক হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রশিক্ষণ পর্ব। নব নিযুক্ত বিস্তারকদের কাজ কী হবে? উত্তর পাওয়া গেল বিজেপির (BJP) বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার কাছে। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘‘গত ৯ বছর ধরে মোদিজীর নেতৃত্বে নতুন ভারত তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দরবারে কদর বেড়েছে দেশের। একাধিক জনমুখী কর্মসূচির বাস্তবায়িত হয়েছে, যার সুবিধা পাচ্ছেন দেশের সমস্ত ধরনের মানুষ। নতুন বিস্তারকরা কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য তুলে ধরবে মানুষের কাছে। এছাড়াও সাংগঠনিক ভাবে তাঁরা বুথ স্তরের কাজও দেখাশোনা করবেন। ’’

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমানু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    কারা হাজির ছিলেন প্রশিক্ষণ পর্বে 

    প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে গতকালই রাজ্যে পা রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। তাঁর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দ। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি বিজেপির ধ্রুব সাহা সমেত অন্যান্যরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রতিনিধিদের সামনে আগামীদিনের কর্মসূচি তুলে ধরেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    প্রশিক্ষণ শিবিরের খুঁটিনাটি

    এদিন সকাল ন’টায় দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের শুরু হয়। তার আগে অবশ্য সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে নিয়ে তারাপীঠের মন্দিরে পুজো দিতে যান বিজেপির রাজ্য নেতারা। রবিবার দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন পর্যন্ত বিধানসভার বিস্তারকদের এই প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে। আজ সন্ধ্যায় দিল্লি রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বিএল সন্তোষের। অন্যদিকে রবিবার তারাপীঠে পা রাখবেন সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পান্ডে, তাঁরা দুজনেই রাজ্য বিজেপির (BJP) দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। বিজেপি সূত্রে খবর, বুথ স্তরের সংগঠনের কাজে সুনীল বনসলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় দল, দীর্ঘদিন তিনি উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) দায়িত্বে থেকেছেন। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বীরভূমের সিউড়িতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। এবার সেই লক্ষ্যেই এগোতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমাণু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমাণু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলায় মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় বোমা পাওয়া যাচ্ছে। শনিবারও লাভপুরে বোমা পাওয়া গিয়েছে। বগটুইয়ে বোমা উদ্ধার হয়েছে। সদাইপুরে কয়লা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বার বার বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বোমার কেন্দ্র ভূমি এটা। এখানে বড়  বড় বিজ্ঞানী ছিলেন। এখন তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। তাঁর নাম অনুব্রত মণ্ডল। তিনি পরমাণু বিজ্ঞানী। তাঁর জায়গায় বোমা পাওয়া যাবে না কি ফুল পাওয়া যাবে? প্রশাসন একেবারে ভেঙে পড়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবে কোর্ট, বললেন  সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যটা কোর্ট চালাচ্ছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকবে কি থাকবে না এটা কোর্টই ঠিক করবে বলে আমার মনে হয়”। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে দলের একটি প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে তারাপীঠে। সেই শিবিরে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই তারাপীঠে পৌঁছে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়ূরেশ্বর থানার কল্লেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি। শনিবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন তিনি।

    অভিষেকের কনভয় হানা নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

     অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আমরা কোনও রকম হিংসাকে সমর্থন করি না। সেটা যার উপরে হোক না কেন। এর একটা সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত। রাজ্য সরকারের উচিত সহৃদয় হয়ে কুড়মিদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। আর পিসি ভাইপো এখন ভয় পেলেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। ওদের এখন বিজেপি ফোবিয়া হয়ে গিয়েছে। আর হামলাটা কে করেছে সেটা দেখা দরকার।” অভিষেকের কনভয়ের আক্রমণ বিজেপির কাজ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “ওকে বিজেপি মারতে যাবে কেন? ও তো মরাই। আজ নয় কাল সিবিআই টেনে নিয়ে যাবে”।

    বেসুরো অর্জুন সিংকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বারাকপুরে শ্যুট আউট কাণ্ডে সাংসদ অর্জুন সিংহের বেসুরো মন্তব্য নিয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, “সময় আছে। অপেক্ষা করুন। আরও সুর বেসুরো হয়ে যাবে। যারা এখন সুরে গাইছেন, যত দিন যাবে বেসুরো হবে। কারণ পুরো জিনিসটাই তো ডামাডোল চলছে এখন। শেষ মুহূর্তে তৃণমূল মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বেসুরো হচ্ছে। এরপর মুষল দিয়ে হবে। যে দলের সাংসদরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, সেটা সরকারের ব্যর্থতা”। তিনি আরও বলেন,”তৃণমূলকে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে হবে না। ওরা আগে মদন, অর্জুন, ফিরহাদদের সঙ্গে লড়াই করুক। তারপর বিজেপির সঙ্গে করবে”।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী সংশয় প্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিস্ফোরণের উপর বসে আছে রাজ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে বহু বাড়ি ভেঙে পড়বে। বহু মানুষের মৃত্যু হবে। আর এই পুলিশ দিয়ে কোনওভাবেই শান্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে না। কারণ পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে এই সরকার। শাসক দলের ছোট বড় মাঝারি সব নেতা পুলিশকে বাড়ির চাকরবাকর মনে করেন। ফলে এই পুলিশ দিয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে সোনার দোকানের আগে আর কোথায় ডাকাতির ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা?

    Barrackpore: বারাকপুরে সোনার দোকানের আগে আর কোথায় ডাকাতির ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি করার আগে হাওড়ার একটি সোনার দোকানে রেইকি করেছিল দুষ্কৃতীরা। তবে, নিরাপত্তা জোরদার থাকায় সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। পরে, তারা বারাকপুরে (Barrackpore) আনন্দপুরী এলাকায় ওই সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে বাধা পেয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে নীলাদ্রি সিংহকে তারা গুলি করে খুন করে। পুলিশি জেরায় ধৃতরা সে কথা স্বীকার করেছে।

    পুলিশি জেরায় ধৃতরা কী জানাল?

    বারাকপুরে (Barrackpore) সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই শফি খান ওরফে সানি এবং জামশেদ আনসারিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর আগে সানি ঝাড়খণ্ডের একটি গ্যাংকে নিয়ে এসে কামারহাটি এলাকায় নাসির খান নামে একজনের বাড়িতে ডাকাতি করেছিল। পরিমাণ ছিল ২২ লক্ষ টাকা সোনা এবং নগদ দেড় লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় সানির জেলও হয়েছিলস। জেল থেকে বেরিয়ে সে ফের ডাকাতির ছক কষে। এক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের গ্যাংয়ের সে সাহায্য নেয়। তবে, আগের যে গ্যাংয়ের সঙ্গে সানি কাজ করেছিল, বারাকপুরে সেই গ্যাং ছিল, নতুন গ্যাং নিয়ে এসেছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে,  বাইক করে দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন সোনার দোকানে রেইকি করেছিল। প্রথমে তারা হাওড়ায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির করার ছক কষে। কিন্তু, কোনও কারণে সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। এরপর সোদপুরের সোনার দোকানে টার্গট  করে। পরে, বারাকপুরে (Barrackpore)  আসে তারা।  বারাকপুরে স্টেশনের কাছে নামী একটি সোনার দোকানে তারা ডাকাতির পরিকল্পনা করে। তবে, নিরাপত্তা জোরদার থাকায় তারা আর ঝুঁকি নেয়নি। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। পরে, তারা ওল্ড ক্যালকাটা রোডের এই সোনার দোকানে তারা ঢুকে ডাকাতির ছক কষেছিল। বাধা পেয়ে তারা এলোপাথারি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তাতেই নীলাদ্রির মৃত্যু হয়।

    খুনের প্রতিবাদে বনধ, প্রতিবাদ মিছিল, সভা করলেন ব্যবসায়ীরা

    অন্যদিকে, এদিন সোনার দোকানের মালিকের ছেলেকে খুনের প্রতিবাদে পলতা, বারাকপুর (Barrackpore) জুড়ে সোনার দোকান বনধ করেছেন স্বর্ণ শিল্পীরা। এদিন আনন্দপুরীর হামলা হওয়া সেই সোনার দোকান থেকে স্বর্ণ শিল্পীরা পুলিশ কমিশনারের অফিস পর্যন্ত মিছিল করেন। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর চন্দ্র পোদ্দার বলেন, অবিলম্বে এই ঘটনায় সব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। শুধু জেলা নয় রাজ্যজুড়ে আমরা আন্দোলন করব। অন্যদিকে, স্বর্ণশিল্পীদের পাশাপাশি আনন্দপুরী এলাকায় ব্যবসায়ীরা বনধ ডাকেন। হরহল এলাকায় এদিন বিকালে সমস্ত ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন। ব্যবসায়ী রূপম সেন বলেন, প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে খুনের ঘটনা সকলের কাছে আতঙ্কে। আমরা এর প্রতিবাদে সকলেই সামিল হয়েছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Breakfast Mistakes: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা 

    Breakfast Mistakes: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন ব্রেকফাস্টের (Breakfast Mistakes) পুষ্টিগুণে সারাদিন সক্রিয় থাকার শক্তি মেলে। রাতের ডিনার যেমন স্বল্প পরিমাণে করতে হয় তেমনি ব্রেকফাস্টে ভারী খাবারই খেতে হয়। ব্যস্ততার জীবনে অনেকে একেবারে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ সারেন। বিশেষত হোস্টেল এবং মেসে থাকা ছাত্ররা তো জানেই না ব্রেকফাস্ট (Breakfast Mistakes) কী জিনিস! শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্রেকফাস্ট যেমন অপরিহার্য তেমনি কিছু খাদ্য উপাদান আছে যেগুলিকে ব্রেকফাস্টে রাখতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা।

    আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    কোন কোন খাবার ব্রেকফাস্ট (Breakfast Mistakes) এড়িয়ে যাবেন?

    ১) অত্যধিক চিনিযুক্ত খাবার ব্রেকফাস্টে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা

    চিনির পরিমাণ অনেকটা আছে এমন খাবার খেতে ব্রেকফাস্টে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। পুষ্টিবিদদের মতে, এই খাবারগুলি ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা তৈরি করে এবং বাড়তি ওজন যে কোন রোগকে ডেকে আনে। এছাড়া চিনিযুক্ত অত্যধিক খাবারে খিদেও নষ্ট হয়ে যায়।

    ২) ফ্যাটযুক্ত খাবার বর্জন করুন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্যাটযুক্ত খাবার ব্রেকফাস্টে বর্জন করতে। তার পরিবর্তে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে রাখতে বলছেন।

    ৩) ব্রেকফাস্টে ভাজাভুজি একেবারেই চলবে না

    চিকিৎসকদের মতে, ব্রেকফাস্টে ভাজাভুজি খেলে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে এবং বাড়তে পারে ক্যান্সারে ঝুঁকিও।

    ৪) প্যাকেট করা জুস একেবারেই খাবেন না

    পুষ্টিবিদদের মতে বোতলবন্দী এই জুস শরীরে অত্যধিক ক্ষতি করে। কারণ এই জাতীয় পানীয়গুলোতে মেশানো থাকে কৃত্রিম চিনি যা ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে।

    ৫) ফুলকো লুচিতেও না করছেন পুষ্টিবিদরা

    ফুলকো লুচি, আলুর দম জলখাবারে পেলে তো কথাই নেই! জমে যায় সকালটা। কিন্তু এমন খাবার খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ এতে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে।

    ৬) সাম্বার বড়াও চলবে না ব্রেকফাস্টে (Breakfast Mistakes)

    এটি এক ধরনের দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। এখন আমাদের রাজ্যেও বহুল প্রচলিত। মুখের স্বাদ বদলাতে অনেকেই মাঝে মধ্যে দোকান থেকে এই খাবার কিনে খান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জাতীয় খাবার ডিপ ফ্রাই করা হয়। তাই সহজে হজম হয় না।

    ৭)  ব্রেকফাস্টে (Breakfast Mistakes) কর্নফ্লেক্সও খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা

    পুষ্টিবিদরা বলছেন, কর্নফ্লেক্সকে উপকারী মনে হলেও এতে দ্রুত সুগার বাড়ে। তাই ব্রেকফাস্টে এই খাবার এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

    ৮) সাদা পাউরুটিতেও না করছেন পুষ্টিবিদরা

    সকালে বাটার মেশানো পাউরুটি খেতে তো অনেকেই ভালোবাসেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, এতে গুরুতর অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়। তাই এগুলোকে এড়িয়ে যেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস করা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ, কাটমানির অভিযোগ

    Purba Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস করা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ, কাটমানির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭৬ কোটি টাকার নির্মীয়মান মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যায় উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটি। পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) মহিষাদল রাজ কলেজের একটা অংশে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের কাজ। নির্মাণের পুরো টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসের পর কী হল!

    ২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার জন্য মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিষাদলের বামুনিয়া মৌজায় জায়গা চিহ্নিত করে কাজও শুরু করে দেয় পূর্ত দপ্তর। কিন্তু প্রাচীর দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হলেও অর্থের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নির্মাণ কাজ চলার মধ্যেই অবশ্য মহিষাদল রাজ কলেজের একাংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু হয়। এমনকি এক উপাচার্য নিয়োগ হয়ে তাঁর মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে, নিয়োগ হয়েছেন আরও এক উপাচার্য। কিন্তু এখনো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মহিষাদল রাজ কলেজ ও মহাত্মাগান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়, উভয় কর্তৃপক্ষকেই। বর্তমানে ক্লাস রুমের সঙ্কটে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগ সময়েই কলেজের রুম অধিগ্রহণ করেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের কাজ। এর মধ্যেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ খতিয়ে দেখতে আসে মহিষাদলে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজ সময়ে সম্পূর্ণ কেন হচ্ছে না, এই প্রশ্ন নিয়েই কটাক্ষ বিজেপির।

    নির্মাণে বাজেট ও বিজেপির অভিযোগ

    মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় (Purba Medinipur) তৈরিতে বাজেট ঠিক হয় প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই প্রাচীর নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি টাকা। বাকি টাকা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদার, এমনটাই সূত্রে জানা যায়। বিজেপির অভিযোগ কলেজের ক্লাস রুম অধিগ্রহণ করে পড়াশোনার কাজ চলছে, এতে মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় দুই প্রতিষ্ঠানেরই পঠনপাঠনে ক্ষতি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে যদি ১১ কোটি টাকা পেমেন্ট হয়, তাহলে বাকি টাকা কোথায় গেলো? বিধায়ক টাকা নয়ছয় করেছেন কী না? তৃণমূলের নেতারা কাটমানি নিয়েছেন কী না? ইত্যাদি প্রশ্নকে তুলছেন বিরোধী দলগুলি।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ নিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক (Purba Medinipur) তিলক চক্রবর্তীর বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কাজ শেষ করেছি। আরও কিছু টাকা পেলে আমরা বাকি কাজ করতে পারব। আর এই কাজের সবটাই স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে স্পষ্ট করে জানিয়েছি আমরা। তিনি আরও বলেন, বিজেপিকে কেন্দ্র সরকারের কাছে বলতে বলুন রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা, আর সেই টাকা আগে কেন্দ্র দিক, তারপর বলুন আঙ্গুল তুলতে। কাজ হচ্ছে কী না, সেই খতিয়ান আমরা দিয়ে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাসের পর এখন কবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ শেষ হবে, তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share