Tag: Madhyom

Madhyom

  • New Parliament Building: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

    New Parliament Building: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ২৮ মে উদ্বোধন হবে দেশের নয়া সংসদ ভবনের। এদিন তার আগেই সংসদ ভবনের (New Parliament Building) অন্দরসজ্জার ভিডিও শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের ২৫ টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। রবিবার সকালে পুজো হবে। তারপরে সেঙ্গল স্থাপন হবে, নয়া সংসদ ভবনে অধ্যক্ষের চেয়ারের কাছেই। হাজির থাকবেন দেশের প্রসিদ্ধ নানা মন্দিরের ও মঠের সাধুসন্তরা। 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্দরসজ্জার (New Parliament Building) ভিডিও শেয়ার করলেন

    এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই নয়া সংসদ ভবনের ভিডিও তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে শেয়ার করে। ১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে বিভিন্ন কোণ থেকে নয়া সংসদ ভবনের কক্ষগুলিকে দেখানো হয়েছে। ওই ভিডিও শুরু হচ্ছে সংসদ ভবনের বাইরে থেকে। এরপরেই দেখা যাচ্ছে অন্দরের ঝলক। রাজ্যসভা এবং লোকসভা এই দুটি ভবনকেই সাজানো হয়েছে আলাদা থিমে। এদিন ভিডিও শেয়ার করে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘নয়া সংসদ ভবন প্রতিটি ভারতবাসীর কাছেই গর্বের। আমি সকলকে অনুরোধ করব আপনারা নিজের নিজের কণ্ঠে নয়া ভবন সম্বন্ধে বলুন।’’

    আরও পড়ুন: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    অন্দরের আরও খুঁটিনাটি

    রাজ্যসভার ছাদের নকশা জাতীয় ফুল, পদ্ম ফুলের আদলে করা হয়েছে। অন্যদিকে লোকসভার ছাদের নকশা হয়েছে জাতীয় পাখি ময়ূরের আদলে। চারচলা এই নয়া সংসদ ভবনটি চৌষট্টি হাজার পাঁচশ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে। তিনটি মূল প্রবেশদ্বার রয়েছে, জ্ঞানদার, শক্তিদ্বার, কর্মদ্বার। গণতন্ত্রের পীঠস্থান ভারতবর্ষের ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য একটি বিশাল সংবিধান হলও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে লাইব্রেরি, কমিটিরুম, ক্যান্টিন, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা। সংসদদের ব্যক্তিগত কক্ষও রয়েছে এখানে। জানা গেছে,  লোকসভায় রয়েছে ৮৮৮টি জনের ব্যবস্থা। অন্যদিকে রাজ্যসভায় বসতে পারবেন ৩০০ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ঘরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিন ভাই বোনের রহস্যজনক মৃত্যু, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Durgapur: ঘরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিন ভাই বোনের রহস্যজনক মৃত্যু, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ তাঁর দুই বোনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর (Durgapur) লাউদোহার লস্করবাঁধের আদিবাসীপাড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তিন ভাই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করে  দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মঙ্গল সোরেন, সুমি সোরেন ও সুকুমনি সোরেন। এর মধ্যে মঙ্গল সোরেন লাউদোহা থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করতেন। তাঁর বোন সুমি সোরেন কলকাতায় নার্সের কাজ করতেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে তিনি বাড়িতে আসেন। মঙ্গলের অপর বোন বাড়িতেই থাকত।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

     মঙ্গলের বাবা হপনা সোরেন প্রাক্তন ইসিএল কর্মী। তাঁর মা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। অন্যদিনের মতো শুক্রবার রাতে তিন ভাই বোন ঘরের মধ্যে শুয়েছিলেন। আর মঙ্গলের বাবা হপনা সোরেন বাইরের বারান্দায় শুয়েছিলেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ভোরে বাথরুম থেকে আসার পর দেখি ঘরের ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমি দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই দেখি, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ঘরের ভিতরে থাকা আমার তিন ছেলেমেয়ে পুড়ে মারা গিয়েছে। তবে, কী করে আগুন লাগল তা বুঝতে পারছি না।

    কী বললেন প্রতিবেশীরা?

     কীভাবে আগুন লাগল সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় প্রতিবেশীরা। শনিবার ভোরে খবর পেয়ে পাড়ার লোক গিয়ে দেখেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিন ভাই বোন ঘরে পড়ে রয়েছে। ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্রও পুড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশী সাধন টুডু বলেন, পরিবারটি অত্যন্ত ভাল। ঘরে কোনও অশান্তি ছিল না। স্বভাবতই এই রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্য এক প্রতিবেশী টিলু সোরেন বলেন, মঙ্গল আমাদের বন্ধু। প্রতিদিন আমরা মাঠে খেলতে যেতাম। তবে, পাঁচদিন ধরে ও মাঠে আসছে না। কোনও সমস্যা ছিল কি না তা জানি না। কী করে আগুন লাগল তা বুঝতে পারছি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাণ্ডব, তৃণমূল নেতা সহ গ্রেফতার ৭

    TMC: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাণ্ডব, তৃণমূল নেতা সহ গ্রেফতার ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এমনকী হাসপাতালে চিকিত্সক ও নার্সদের নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৃণমূল (TMC) নেতা সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিপ্লব কুণ্ডু, সুবীর মণ্ডল, সাজিদুল ইসলাম,মনিরুল ইসলাম সহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার জয়দুল হক নামে এক যুবককে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রোগীর সঙ্গে মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের (TMC) সম্পাদক বিপ্লব কুণ্ডুর নেতৃত্বে রোগীর পরিবারের লোকেরা ওয়ার্ডের ভিতর ঢুকে পড়েন। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর তারা চড়া হয়। তারা মদ্যপ অবস্থায় মেডিসিন ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকে চিকিৎসকও নার্সদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। চিকিত্সকদের গায়ে হাত তোলা হয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে পুলিশ সাত জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে, হাসপাতালের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বহরমপুর আদালতে পাঠানো হলে ছয় দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    জেনারেল সার্জারি বিভাগের জুনিয়র রেসিডেন্ট আকাশদীপ ঘোষ বলেন, “এই ধরনের ঘটনা একেবারেই বরদাস্ত করা যাবে না। ওই সময়ে আমি ওখানে গিয়ে দেখি, অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় রোগীর সঙ্গে আসা সাতজন যুবক আমাদের জুনিয়র ডাক্তারদের গায়ে হাত তুলেছেন। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। ওই রোগীর শ্বাসকষ্ট ছিল। আমরা  চিকিৎসা শুরু করি। এরকম সময় রোগীর পরিবারের লোকজন আমাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন শুরু করেন। মনে হচ্ছে তারা পরিকল্পিতভাবে ঝামেলা করতে এসেছিল”।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতা অশোক দাস বলেন, হাসপাতালের ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ প্রশাসন ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ভাঙচুর মন্ত্রীর গাড়িও

    Abhishek Banerjee: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ভাঙচুর মন্ত্রীর গাড়িও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিশৃঙ্খলা। কোথাও ব্যালট ছিনতাই, কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। বর্ধমানের ভাতারে রোড শো চলাকালীন দলেরই কর্মীরা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। মালদাতেও তাঁর কনভয় আটকে গ্রামবাসীরা তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির কথা বলেছিলেন। এবার ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী কনভয়ে থাকা বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো কুড়মিরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    শুক্রবার বিকেলে বেলপাহাড়ির ইন্দিরা চক থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বেলপাহাড়ি, জামবনি, দহিজুড়ির পর ঝাড়গ্রামে যান তিনি। ঝাড়গ্রামেও রোড শো করেন তিনি। ঝাড়গ্রাম শহরে রোড শো শেষ করে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক ধরে লোধাশুলি হয়ে গজাশিমুলের ক্যাম্পে আসার সময় শালবনি এলাকার গড়শালবনিতে অভিষেক এর কনভয় দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন কুড়মিরা। অভিযোগ, অভিষেকের গাড়ি পার হওয়ার পর তাঁর কনভয়ের সঙ্গে থাকা গাড়িতে পাথর ছুঁড়তে শুরু করা হয়। লাঠি দিয়ে গাড়িতে ও বাইকে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাথর ছোঁড়ার কারণে ভেঙে যায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি। ঘটনায় জখম হন মন্ত্রীর গাড়ির চালক। ভাঙচুর চালানো হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। ঘটনায় বেশকয়েকজন তৃণমূল কর্মী এবং পথ চলতি সাধারণ মানুষ জখম হয়েছেন।

    কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    গজাশিমুলের মঞ্চ থেকে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন , “কুড়মিদের আন্দোলনের নাম করে বিরবাহা হাঁসদা আদিবাসী মেয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তাঁর কনভয়ে হামলা করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভেঙেছে। আন্দোলনের নামে হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের গলায় গামছা দিয়ে টেনে ফেলা হয়েছে। আপনারা আন্দোলন করুন শান্তিপূর্ণভাবে। গাড়ির উপরে পাথর মেরে হামলা করেছে। এদের প্ররোচনায় পা দেবেন না কোনও বুথ সভাপতি। আপনারা কথা বলতে চাইলে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে পারেন। এই ঝাড়গ্রামের মানুষ আজকে শপথ নিন, এর পিছনে কারা রয়েছেন তা আমরা সব জানি। আমি দেড় কিমি পথ হাঁটলাম, তখন দেখলাম কেউ নেয়। আদিবাসী কুড়মি সমাজ জয় গরাম তো বলবে, তাহলে তারা জয় শ্রীরাম কেন বললেন? আদিবাসী কুড়মি সমাজ আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আপনাদেরকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, আপনাদের পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপি লোকেরা কুড়মিদের নামে আন্দোলন করছে। এ কোন আন্দোলন?”

    কী বললেন কুড়মি নেতা?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলায় তাদের হাত নেই বলে দাবি করলেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত। তিনি বলেন, “এখানে লোকজন জড়ো হয়েছিল। স্থানী লোকজন ছিল। অন্ধকারের মধ্যে কনভয় যাওয়ার সময় কে কোথায় ঢিল ছুঁড়েছে সেটা তো আমাদের দায়িত্ব নয়। আমাদের কোন উদ্দেশ্য নেই। এই ঘটনার সঙ্গে কুড়মিদের কোনও যোগ নেই”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নবান্নের সঙ্গে সংঘাত, ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল

    Governor: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নবান্নের সঙ্গে সংঘাত, ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নাম চূড়ান্ত সংক্রান্ত ফাইল নবান্নে ফেরত পাঠাল রাজভবন। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, অভিজ্ঞ আমলা হিসেবে কাজ করেছেন এমন তিনজনের নামের তালিকা পাঠানোর নিয়ম রাজ্যপালের কাছে। তার মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেন তিনি, এটাই নিয়ম। নামের ফাইলে তিনজন অভিজ্ঞ আমলার বিস্তারিত তথ্যও থাকার কথা। কিন্তু রাজ্য শুধুমাত্র একজনের নামই পাঠিয়েছিল, রাজীব সিনহা। প্রোটোকল মানেনি রাজ্য। রাজভবনের প্রশ্ন, ‘‘শুধু রাজীব সিনহার নাম কেন?’’ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্যপাল তো শুধু রবার স্ট্যাম্প নয়, যাঁর নাম পাঠানো হবে সেখানেই সিলমোহর দিয়ে দেবেন। রাজ্যপালের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ইস্যুতে সংঘাত রাজ্যই শুরু করল বলে মনে করছেন অনেকে।

    কে এই রাজীব সিনহা?

    বর্তমানে শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহার নাম রাজভবনে পাঠানো হয় ১৮ মে। রাজীব সিনহা এর আগে মুখ্যসচিবেরও দায়িত্ব সামলেছেন। জানা গিয়েছে, ২৯ মে শেষ হচ্ছে বর্তমান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের মেয়াদ। তারপরেই আসবেন নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু রাজীব সিনহার নামে সিলমোহর দিলেন না রাজ্যপাল। এতে নির্বাচন কমিশনারের বাছাই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। রাজ্য- রাজ্যপাল এই সংঘাতে শেষ পর্যন্ত কার নাম নির্বাচন কমিশনার হিসাবে চূড়ান্ত হয়, তার দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য। দিনকয়েক আগেই এই ইস্যুতে রাজ্যপাল (Governor) বলেন, ‘‘আমি রাজনীতির মধ্যে নেই। অপেক্ষা করুন এবং দেখুন কী হয়।’’

    আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জের সেই নিহত নাবালিকা পাশ করল উচ্চ মাধ্যমিকে, হল না স্বপ্ন পূরণ

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সৌরভ দাসের মেয়াদ আগেই ফুরিয়েছে

    প্রসঙ্গত, সৌরভ দাসের রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাজ করার মেয়াদ আগেই ফুরিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ৩১ মার্চ তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষও হয়েছিল। কিন্তু তারপরও দুই মাসের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু সেই বর্ধিত মেয়াদও এবার শেষ হওয়ার পথে। এমন অবস্থায় রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করে রাজ্য। কিন্তু এতেই তৈরি হল জটিলতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘দোষী যখন নন, কুন্তলের মুখোমুখি বসতে ভয় কীসের?’’ অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘দোষী যখন নন, কুন্তলের মুখোমুখি বসতে ভয় কীসের?’’ অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দোষী নন, তখন কুন্তল ঘোষের সামনাসামনি বসে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর ভয় কীসের?’’ শুক্রবার বর্ধমানের দলীয় কার্যালয়ে বসে সাংবাদিক সম্মেলনে একথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে, সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার এই ঘটনাকে টেনে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলছেন দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিতে! আবার সেই তিনিই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন বলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এত ভয় কীসের জন্য পাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মূল অভিযুক্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন। হাইকোর্টের নির্দেশে শুধুমাত্র তাঁকে কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করানোর কথা বলেছে হাইকোর্ট। এতে অভিষেকের আপত্তি কিসের?’’

    আরও পড়ুন: নবজোয়ায়ের আগে তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব

    অর্জুন সিং ইস্যুতে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বারাকপুর কাণ্ডে দলের বিরুদ্ধে তোপ দেখেছেন অর্জুন সিং। আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে টিটাগড় থানাকে কাঠগড়ায় করায় তুলেছেন তিনি। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। কারণ রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এমত অবস্থায় অর্জুন সিং-এর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘অর্জুন সিং আগে আমাদের সঙ্গে ছিলেন। পরে আবার তিনি ফিরে গেছেন তৃণমূলে। ওখানে পাঁচ ছ’টা লবি কাজ করছে। বিধায়কদের লবি, চেয়ারম্যানের লবি। এতেই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন অর্জুন।’’ আগামী দিনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, বারাকপুর সমেত সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস ধুলিসাত হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ভোট যখনই হোক, আমরা প্রস্তুত আছি। তৃণমূল সন্ত্রাস করলে তার মোকাবিলা করবে বিজেপি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skin Cancer: দেশে বাড়ছে স্কিন ক্যানসার! কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    Skin Cancer: দেশে বাড়ছে স্কিন ক্যানসার! কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কম ছিল ভারতে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞ মহলের। বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্ন দেশ বিশেষত ইউরোপীয় দেশগুলির অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা ত্বকের ক্যানসার (Skin Cancer), যা এখন ভারতীয়দের জন্যও বেশ চিন্তা বাড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মে মাসকে স্কিন ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস মান্থ হিসাবে ঘোষণা করেছে। ভারতীয় ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, আমাদেরও সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। তাই মে মাস জুড়ে চলছে নানান সচেতনতা কর্মসূচি। 

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    ক্যানসার নিয়ে কাজ করা এক সর্বভারতীয় সংস্থা সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারতে বাড়ছে ত্বকের ক্যানসার (Skin Cancer)। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ শতাংশ। কিন্তু গত এক বছরে তা বেড়ে হয়েছে, ৩.৫ শতাংশ।

    ভারতে কোন রাজ্যে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব ভারতে, বিশেষত নাগাল্যান্ডে স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) ঝুঁকি বাড়ছে। ভারতে যে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে, তার মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে নাগাল্যান্ড। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, ওই অঞ্চলের আবহাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপনের ধরন স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 

    কীভাবে বুঝবেন স্কিন ক্যানসার? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চামড়ার রংয়ের পরিবর্তন স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) প্রথম উপসর্গ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের যেসব জায়গা জামাকাপড়ে ঢাকা থাকে না, সূর্যের স্পর্শ পায়, সেখানে যদি চামড়ার রং দ্রুত বদলে যায়, আরও বাদামি বা কালো হতে থাকে, তাহলে তা স্কিন ক্যানসারের উপসর্গ বলা যেতে পারে। তার উপর যদি সাদা রঙের একাধিক শক্ত কিছু অনুভব হয়, তাহলে সেটাকেও চিকিৎসকরা উপসর্গ বলেই জানাচ্ছেন। আসলে, ওই শক্ত সাদা অংশ হল চামড়ার ভিতরের কোষগুলো কার্যহীন হয়ে পড়া। সেটা স্কিন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চামড়ার রং পরিবর্তন ছাড়াও স্কিন ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ হল, তিলের চেহারা বদল। দেহের কোনও অংশে তিল থাকলে, হঠাৎ তার আকার আর রং বদলে গেলে, সেটা স্কিন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তাই সতর্কতা জরুরি। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, স্কিন ক্যানসারের (Skin Cancer) চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু এ দেশে এই সম্পর্কে সচেতনতা খুব কম। অনেক সময়ই চিকিৎসা ঠিক সময়ে শুরু করা হয় না। ফলে, দেরি হয়ে যায়। প্রথম ধাপেই চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। তাই দেরি না করে, চামড়ায় কোনও রকম দাগ বা কোনও রকম বাড়তি মাংসপিণ্ড দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon 2023: সবকিছু ঠিক থাকলে দেশে বর্ষা ঢুকছে ৪ জুন! রাজ্যে কবে?

    Monsoon 2023: সবকিছু ঠিক থাকলে দেশে বর্ষা ঢুকছে ৪ জুন! রাজ্যে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের মাঝামাঝি রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গবাসীর। সে সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। রাস্তায় নামলে দেখা মিলছিল না বাসেরও। পরবর্তীকালে মাঝেমধ্যে বৃষ্টিতে খানিকটা স্বস্তি মিললেও অস্বস্তিকর গরম থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী জুন মাসেই বর্ষার আগমন ঘটে দেশ সমেত পশ্চিমবঙ্গে। বর্ষা (Monsoon 2023) কবে ঢুকবে রাজ্যে? তার পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। হাওয়া অফিস বলছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৪ জুন কেরলে বর্ষা ঢুকতে পারে। অন্যদিকে রাজ্যে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১০ জুন। তবে রাজ্যে বর্ষা কবে ঢুকবে, তা এখনও জানায়নি হাওয়া অফিস। মনে করা হচ্ছে, কেরলে বর্ষা ঢুকতে যদিও বিলম্ব হয়, তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে নাও পড়তে পারে। যদিও সবকিছুই নির্ভর করছে আগামী দিনে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতির উপর।

    আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জের সেই নিহত নাবালিকা পাশ করল উচ্চ মাধ্যমিকে, হল না স্বপ্ন পূরণ

    কী বলছে হাওয়া অফিস?

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী দু দিনের মধ্যে দেশে বর্ষা আগমনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। এই সময় দক্ষিণ ভারতের কিছু এলাকা, উত্তর-পশ্চিম ভারত, উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু বিচ্ছিন্ন অংশ বাদ দিয়ে সারা দেশের বেশিরভাগ অংশেই স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    গত কয়েক বছরে বর্ষার (Monsoon 2023) আগমন

    পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় ৪ জুন হলেও ২০১৮ এবং ২০২২ সালে নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা এসেছিল। ওই দুই বছরে বর্ষা ঢুকেছিল ২৯ মে। অর্থাৎ ৬ দিন আগেই। ২০১৯ এ নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক দিন পরে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। কেরলে সালে বর্ষা ঢুকেছিল ৮ জুন, অর্থাৎ স্বাভাবিক সময়ের চার দিন পরে। আবার ২০২০ সালে বর্ষা ১ জুন ঢুকেছিল। ২০২১ সালে দেশে বর্ষা ঢুকেছিল ৩ জুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore Shootout: বারাকপুর গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার ২, শনিবার ১২ ঘণ্টা বন‍্ধের ডাক স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের

    Barrackpore Shootout: বারাকপুর গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার ২, শনিবার ১২ ঘণ্টা বন‍্ধের ডাক স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ভরসন্ধ্যায় বারাকপুরের (Barrackpore Shootout) আনন্দপুরীতে একটি সোনার দোকানে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে লুটপাট চালাতে থাকে। বাধা দিতে গেলে খুন হন নীলাদ্রি দাস নামে ২৭ বছরের এক তরতাজা যুবক। এই ঘটনায় এই রীতিমতো ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী সংগঠন এবার বন‍্ধের ডাক দিল। তারা জানিয়েছে, শনিবার ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সোনার দোকানগুলি। ইতিমধ্যে খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, টিটাগড় থানা এবং এলাকার বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল নেতা এবং বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। যা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল।

    নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্বর্ণশিল্পীরা

    বুধবার সন্ধ্যায় খুনের ঘটনা ঘটে আনন্দপুরী এলাকায়। সেই আনন্দপুরীর উত্তর এবং দক্ষিণের ব্যবসায়ীরা এই বনধ-এ সামিল হবেন বলে জানা গিয়েছে। জনৈক স্বর্ণ শিল্পী বলেন, ‘‘আমরা মৌন মিছিল করার অনুমতি নিতে বারাকপুর (Barrackpore Shootout) সিপি অফিসে গিয়েছিলাম। টিটাগড় থানা তাতে অনুমতি দিয়েছে। শনিবার বন‍্ধ হবে বারাকপুর এবং পলতায়। আমাদের সঙ্গে বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী এবং বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী বাঁচাও কমিটি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। এলাকার সমস্ত স্বর্ণশিল্পীরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমাদের দাবি, এলাকার সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।’’

    খুনের ঘটনায় (Barrackpore Shootout) অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ, বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি

    সোনার দোকানের ডাকাতি এবং খুনের ঘটনায় আটক করা হল দুজনকে। গ্রেফতার হওয়া দুজনের নাম সফি খান এবং জামশেদ আনসারী বলে জানা গেছে। সফি খানকে পুলিশ গ্রেফতার করে খড়দহের রহড়া থানা এলাকা থেকে। অন্যদিকে জামশেদ আনসারী খুনের পরই বীরভূমে গা-ঢাকা দেয়। সেখানে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তের গ্রেফতারির কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন আশিস মৌর্য। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হওয়া দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের কাজ চলছে। সেখান থেকেই জানার চেষ্টা চলছে বাকি অভিযুক্তদের নাম।

    আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জের সেই নিহত নাবালিকা পাশ করল উচ্চ মাধ্যমিকে, হল না স্বপ্ন পূরণ

    পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন অর্জুন সিং

    শাসক দলে থাকা সত্ত্বেও টিটাগড় থানার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। যা নিয়ে  রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক দল। তার কারণ পুলিশ মন্ত্রী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। অর্জুন বলেন, ‘যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, সেখানে নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিতে লজ্জা হয়’। তিনি আরও বলেন, ‘বারাকপুরের সাংসদ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না। এ দিকে আমি নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। দরকার হলে আমার নিরাপত্তা তুলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বাড়ানো হোক।’ অন্যদিকে এলাকার বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও এদিন সুর চড়ান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toy Train: দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ টয় ট্রেন চলবে ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেনে

    Toy Train: দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ টয় ট্রেন চলবে ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু’বছরের মধ্যেই হেরিটেজ টয় ট্রেন (Toy Train) চলবে ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেনে। স্টিম, ডিজেল ইঞ্জিনের পর এবার ইলেকট্রিক ও হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে টয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার এনজেপিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম এস কে চৌধুরী একথা জানান। তিনি বলেন, টয় ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেন নতুন করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার জন্যই গত আর্থিক বছরে টয় ট্রেনে সর্বাধিক যাত্রী হয়েছে। মোট দেড় লক্ষেরও বেশি যাত্রী হয়েছে এই সময় কালে। এটিই এখনও পর্যন্ত টয় ট্রেনে এক বছরে সর্বোচ্চ যাত্রী। এর আগে এক বছরে সর্বোচ্চ যাত্রী ছিল ১ লক্ষ ১৮ হাজার।

    টয় ট্রেনের (Toy Train) টানেই পর্যটকদের ঢল

    করোনা সংক্রমণ কালের পর দার্জিলিংয়ে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পর্যটনের প্রসারে দার্জিলিংয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে যথেষ্টই খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ পর্যটন ব্যবসায়ীদের। দার্জিলিংয়ে পানীয় জলের সঙ্কট এখনও রয়েছে। রাস্তাও নোংরা। এর পাশাপাশি নতুন করে কোনও পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিং ও লাগোয়া এলাকায় তৈরি হয়নি। তা সত্ত্বেও দার্জিলিংয়ে এখন সারা বছরই পর্যটকের ঢল নামছে। এর অন্যতম কারণ দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেনের (Toy Train) জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি। দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত হেরিটেজ টয় ট্রেনের একাধিক জয়রাইড সারা বছর চলছে। পর্যটকদের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জয় রাইডের সংখ্যাও বেড়েছে। গত আর্থিক বছরের ১৯ কোটি ২১ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। অতীতে  করোনা সংক্রমণ কালের আগে ২০১৮-‘১৯ আর্থিক বর্ষে সর্বোচ্চ আয় ছিল ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা।

    টয় ট্রেনকে (Toy Train) নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা

    ডিআরএম এস কে চৌধুরী বলেন, লাভজনক হয়ে ওঠা অর্থাৎ পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা বেড়ে চলার জন্য আমরা টয় ট্রেনকে (Toy Train) নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আমরা শীতকালে ঘুম উৎসব করছি। গত দুই বছর ধরে এই উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা টয় ট্রেনকে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে ব্যাপকভাবে মেলে ধরতে পেরেছি। টয় ট্রেন এখন দার্জিলিংয়ে পর্যটন শিল্পের মেরুদণ্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share