Tag: Madhyom

Madhyom

  • Toy Train: দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ টয় ট্রেন চলবে ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেনে

    Toy Train: দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ টয় ট্রেন চলবে ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু’বছরের মধ্যেই হেরিটেজ টয় ট্রেন (Toy Train) চলবে ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেনে। স্টিম, ডিজেল ইঞ্জিনের পর এবার ইলেকট্রিক ও হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে টয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার এনজেপিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম এস কে চৌধুরী একথা জানান। তিনি বলেন, টয় ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেন নতুন করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার জন্যই গত আর্থিক বছরে টয় ট্রেনে সর্বাধিক যাত্রী হয়েছে। মোট দেড় লক্ষেরও বেশি যাত্রী হয়েছে এই সময় কালে। এটিই এখনও পর্যন্ত টয় ট্রেনে এক বছরে সর্বোচ্চ যাত্রী। এর আগে এক বছরে সর্বোচ্চ যাত্রী ছিল ১ লক্ষ ১৮ হাজার।

    টয় ট্রেনের (Toy Train) টানেই পর্যটকদের ঢল

    করোনা সংক্রমণ কালের পর দার্জিলিংয়ে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পর্যটনের প্রসারে দার্জিলিংয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে যথেষ্টই খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ পর্যটন ব্যবসায়ীদের। দার্জিলিংয়ে পানীয় জলের সঙ্কট এখনও রয়েছে। রাস্তাও নোংরা। এর পাশাপাশি নতুন করে কোনও পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিং ও লাগোয়া এলাকায় তৈরি হয়নি। তা সত্ত্বেও দার্জিলিংয়ে এখন সারা বছরই পর্যটকের ঢল নামছে। এর অন্যতম কারণ দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেনের (Toy Train) জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি। দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত হেরিটেজ টয় ট্রেনের একাধিক জয়রাইড সারা বছর চলছে। পর্যটকদের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জয় রাইডের সংখ্যাও বেড়েছে। গত আর্থিক বছরের ১৯ কোটি ২১ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। অতীতে  করোনা সংক্রমণ কালের আগে ২০১৮-‘১৯ আর্থিক বর্ষে সর্বোচ্চ আয় ছিল ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা।

    টয় ট্রেনকে (Toy Train) নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা

    ডিআরএম এস কে চৌধুরী বলেন, লাভজনক হয়ে ওঠা অর্থাৎ পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা বেড়ে চলার জন্য আমরা টয় ট্রেনকে (Toy Train) নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আমরা শীতকালে ঘুম উৎসব করছি। গত দুই বছর ধরে এই উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা টয় ট্রেনকে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে ব্যাপকভাবে মেলে ধরতে পেরেছি। টয় ট্রেন এখন দার্জিলিংয়ে পর্যটন শিল্পের মেরুদণ্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের খিচুড়িতে মিলল টিকটিকি

    Bankura: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের খিচুড়িতে মিলল টিকটিকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে থেকে দেওয়া খিচুড়িতে মিলল টিকটিকি। আর সেই খিচুড়ি খেয়ে বেশ কিছু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকায়। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের হাটগ্রাম উপরপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা।

    কী ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে?

    প্রতিদিনের মতন সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খিচুড়ি নিয়ে বাড়িতে ফেরে শিশুরা। খিচুড়ি খাওয়ার পর কয়েকজন শিশু বমি করতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাড়ায় পরপর শিশুদের অসুস্থ হওয়ার খবর মিলতেই অভিভাবকরা ছুটে গিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি (Bankura) কেন্দ্রে পৌঁছান। ছাত্রদের অসুস্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে অভিভাবকেরা খিচুড়ির মধ্যে টিকটিকি খুঁজে পাওয়ার ঘটনা দেখতে পান। আর তারপরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু হয় এলাকায়। 

    অসুস্থ শিশুদের নিয়ে যাওয়া হল Bankura মেডিকেল কলেজে

    খাবার খেয়ে অসুস্থ শিশুর সংখ্যা আরও বাড়তে থাকলে, তড়িঘড়ি করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বাঁকুড়া (Bankura) সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকেরা। সেই মতো বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রায় ১৯ জন শিশুকে নিয়ে আসা হয়।

    অভিভাবকেদের প্রতিক্রিয়া

    এক অসুস্থ শিশুর বাবা নিমাই ভদ্র বলেন, যে শিশুদের বাঁকুড়া মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই বমি করছে। কারও কারও পেটে ব্যথাও রয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, অঙ্গনওয়াড়ি (Bankura) কেন্দ্রের রাঁধুনিদের গাফিলতির জন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটল। তাঁরা যদি সতর্ক হয়ে রান্না করতেন, তাহলে এই বিপদ হতো না। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সব শিশুরা যতক্ষণ না সুস্থ ও স্বাভাবিক হচ্ছে, ততক্ষণ দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই নেই। এদিকে, এই ঘটনায় গ্রামেও ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। পড়ুয়াদের অভিভাবক থেকে গ্রামবাসী সকলেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রাঁধুনিদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি শুধু ইন্দপুর নয়, সারা জেলার এই কেন্দ্রগুলিতে রান্নার ক্ষেত্রে ফুড সেফটি নর্মস কড়া ভাবে মেনে চলার প্রশাসনিক নির্দেশ জারিরও দাবি জোরালো হচ্ছে। এখন দেখার, এই ঘটনার পর আদৌ প্রশাসনের টনক নড়ে কিনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কোথাও ড্রামে, কোথাও বালতিতে, প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধার অনুব্রতর জেলায়

    Birbhum: কোথাও ড্রামে, কোথাও বালতিতে, প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধার অনুব্রতর জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে এগরা, ভাঙড় সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনায় তপ্ত রাজ্য। অন্যদিকে তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হল। যা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বীরভূমে (Birbhum)। এগুলি ফেটে গেলে মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারত ভেবে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। কয়েকদিন আগে দুবরাজপুরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার হল। এবার রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রামের হাটতলা সংলগ্ন একটি পুকুরপাড়ের ঝোপ থেকে দুই ড্রাম তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। সকালে স্থানীয়রা ড্রামগুলি দেখতে পান। এমন ঘটনায় সকলে হতবাক। তারপর তাঁরা রামপুরহাট থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ড্রামগুলিকে ঘিরে রেখে সিআইডির বোম স্কোয়াডকে খবর দেয় বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য। কোথা থেকে এগুলি এল বা কারা ড্রাম ভর্তি বোমাগুলি রাখল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    জেলা (Birbhum) জুড়ে জোর চর্চা 

    বোমা উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুটি ড্রাম মিলিয়ে ৩০টি বোমা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবারই বীরভূমের (Birbhum) একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। বোলপুর, দুবরাজপুরের পর কাঁকরতলায় বোমা উদ্ধার হওয়া নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে ১২টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বীরভূমের রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রামের হাটতলা এলাকা থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হল। কেন এত বোমা রাখা হয়েছিল?‌ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বারাবন জঙ্গলেও (Birbhum) বালতি ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার

    বোমা উদ্ধার হল বীরভূম (Birbhum) জেলার খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার বারাবন জঙ্গলেও। বোলপুর, দুবরাজপুর, কাঁকড়তলার পর এবার লোকপুর থানার বারাবন জঙ্গলে প্রায় ২২টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বারাবন জঙ্গলে তল্লাশি চালায় লোকপুর থানার পুলিশ। সেই জঙ্গলের মধ্যে একটি প্লাস্টিক বালতিতে প্রায় ২২ টি তাজা বোমা দেখতে পায় পুলিশ। খবর দেওয়া হয় সিআইডির বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। তারপর স্কোয়াডের সদস্যরা এসে বোমাগুলি নিস্ক্রিয় করে। কী কারণে বোমা মজুত করা হয়েছিল, এই বোমা মজুত করার সাথে কারা যুক্ত রয়েছে, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে লোকপুর থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, বুধবার এই বারাবন জঙ্গল মোড় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল লোকপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Omega-3: দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়! কোন কোন খাবারে মেলে ওমেগা-৩?  

    Omega-3: দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়! কোন কোন খাবারে মেলে ওমেগা-৩?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওমেগা-৩ (Omega-3) এর অভাবে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। ঝুঁকি দেখা যায় হার্ট অ্যাটাকের। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে, দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথায় কষ্ট পাওয়া এসবই হল ওমেগা-৩ এর ঘাটতির লক্ষণ। চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত ভাবে যদি শরীরে ওমেগা-৩ প্রবেশ করানো যায়, তবে ব্রেস্ট ক্যান্সারকেও প্রতিহত করা যায়। যে কোনও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ওমেগা-৩ খুব প্রয়োজনীয়। দৈনন্দিন অনেক খাবারেই ওমেগা-৩ থাকে। এর জন্য বাইরে থেকে সাপ্লিমেন্ট এর কোন প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    আজকে আমরা আলোচনা করব কিছু খাবার নিয়ে যেগুলি ওমেগা-৩ তে ভরপুর থাকে

    ১) কড লিভার তেল

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঙরের যকৃত নিঃসৃত তেল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে ভরপুর পরিমাণে থাকে ওমেগা-৩ (Omega-3)।

    ২) স্যামন মাছ

    পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রামের একটি স্যামন মাছের পিসে চার গ্রাম ওমেগা-৩ (Omega-3) ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। বাজারে খোঁজ করলেই মিলতে পারে এই মাছ। এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

    ৩) সার্ডিন মাছ

    আকারে ছোট এই মাছ ওমেগা-৩ তে ভরপুর। পুষ্টিবিদরা বলছেন, আটলান্টিক সার্ডিন নামের এই ধরনের দেড়শ গ্রাম মাছে, আড়াই গ্রাম ওমেগা-৩ (Omega-3) থাকে।

    ৪) আখরোট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমেগা-৩ (Omega-3) এর একটি ভালো উৎস হল আখরোট। যাঁরা মাছ খান না, তাঁরা আখরোট বেছে নিতেই পারেন। ম্যাঙ্গানিজ, কপারও এতে ভরপুর পরিমাণে থাকে।

    ৫) সামুদ্রিক মাছের ডিম

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামুদ্রিক মাছ হল ওমেগা-৩ এর ভাণ্ডার। ঠিক তেমনই সামুদ্রিক মাছের ডিমেও প্রচুর ওমেগা-৩ থাকে।

    ৬) সয়াবিন 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সয়াবিন একটি ফাইবারসম্মত খাবার যাতে ওমেগা-৩ অতি প্রয়োজনীয় উপাদানটি পাওয়া যায়। ৮৬ গ্রাম সয়াবিনে দেড় গ্রাম মতো ওমেগা-৩ পাওয়া যায়।

    ৭) ম্যাকেরেল মাছ

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যাকেরেল মাছে ভরপুর পরিমাণে থাকে ওমেগা-৩।

    ৮) চিয়া বীজ

    পুষ্টিবিদদের মতে, চিয়া বীজ হল পুষ্টিতে ভরপুর। এতে ওমেগা-৩ ছাড়াও থাকে সেলেনিয়াম এবং ৮ রকমের প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জের সেই নিহত নাবালিকা পাশ করল উচ্চ মাধ্যমিকে, হল না স্বপ্ন পূরণ

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জের সেই নিহত নাবালিকা পাশ করল উচ্চ মাধ্যমিকে, হল না স্বপ্ন পূরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বড় হয়ে নার্স হওয়ার ইচ্ছে ছিল মেয়ের। কিন্তু তা আর পূরণ হল না।’ আক্ষেপ কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) নিহত সেই নাবালিকার মায়ের। বুধবার প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। আর সেখানে ২৪৩ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে কালিয়াগঞ্জের ওই নাবালিকা ছাত্রী, যার মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। দফায় দফায় উত্তেজনা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর চলেছিল কালিয়াগঞ্জে। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত, গ্রামটিও এখন নীরব। শুধু সমাধির নিচে শায়িত রয়েছে সেই নাবলিকার মৃতদেহ। মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেও আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস নেই পরিবারের মধ্যে, রয়েছে শুধু বিষাদের ছাপ। নাবলিকার মা অশ্রুভেজা কণ্ঠে বলেন, “মেয়ে পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিল। ইচ্ছে ছিল মানুষের মতো মানুষ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। মেয়ের ইচ্ছে ছিল, সে একজন নার্স হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখে খুবই দুঃখ হচ্ছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সেই আশা আর পূর্ণ হল না। যদি আজ মেয়ে বেঁচে থাকত, তাহলে রেজাল্ট দেখে কত আনন্দ পেত। দোষীদের চরম শাস্তি চাই। সিবিআই তদন্ত চাই।”

    বিষাদের সুর গ্রাম জুড়ে (Kaliaganj)

    ইতিমধ্যেই ওই নাবালিকার মৃত্যুর (Kaliaganj) তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এমনকী দরকারে মৃতদেহ তুলতেও পারবে তদন্তকারী দল। এতকিছুর মধ্যেও মেয়েটির উচ্চ মাধ্যমিকের সফলতার পরও বিষাদের সুর গ্রাম জুড়ে। এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, “ছোটবেলা থেকেই ও পড়াশোনায় ভালো ছিল। মাধ্যমিকে রেজাল্ট ভালো করেছে। উচ্চ মাধ্যমিকেও ভালো ফল করেছে। কিন্তু মেয়েটাই তো নেই, রেজাল্ট নিয়ে আর কী হবে? বলার ভাষা নেই। শুনেছি সিট গঠন করেছে। কিন্তু কী যে হচ্ছে?” তদন্ত তাড়াতাড়ি হোক, এটাই আশা গ্রামবাসীদের। অপরদিকে, সাহেবঘাটা এন এন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, “মেয়েটি ভালো রেজাল্ট করেছে। ক্লাস ফাইভ থেকেই ভা্লো ছাত্রী ছিল। খেলাধূলাতেও ভালো ছিল। আচার-আচরণও ছিল ভালো। মেয়েটি আজ নেই, খুব খারাপ লাগছে। আমরা বাকরুদ্ধ।”

    দোষীদের চরমতম শাস্তি চায় পরিবার (Kaliaganj)

    মেয়েটির স্বপ্ন পূরণ হল না। এই আক্ষেপেই দিন কাটাচ্ছোন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।  তাঁদের একটাই আশা, যে বা যারা প্রকৃত দোষী, তাদের চরমতম শাস্তি হোক। আর এই আশাতেই বুক বাঁধছে নাবালিকার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা। এখন কবে তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে, সেটা সময়ের অপেক্ষা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WBJEE 2023 Result: প্রকাশিত রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল, কে হলেন প্রথম? দেখুন মেধা তালিকা

    WBJEE 2023 Result: প্রকাশিত রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল, কে হলেন প্রথম? দেখুন মেধা তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল। আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুর ২:৩০ নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ফল প্রকাশ করল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এদিন  জয়েন্টের ‘র‍্যাঙ্ক’ প্রকাশ করল বোর্ড। ২০২৩ সালে জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন মহম্মদ সাহিল আফতার। তিনি ডিপিএস রুবি পার্কের ছাত্র। দ্বিতীয় হয়েছেন ওই স্কুলেরই সোহম দাস। তবে দুজনেই পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের ছাত্র নন। তাঁরা সিবিএসই বোর্ডে পড়াশোনা করতেন। বিকাল ৪টে থেকে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.wbjeeb.nic.in এবং www.wbjeeb.in থেকে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের ‘র‍্যাঙ্ক কার্ড’ ডাউনলোড করতে পারবেন। অ্যাপ্লিকেশন নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে এই login করতে হবে বলে জানিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড। রেজাল্টের ভিত্তিতে এই পড়ুয়ারা ইঞ্জিনিয়ারিং -এর স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারবেন।

    মেধা তালিকা

    তৃতীয় স্থানাধিকারী সারা মুখোপাধ্যায় বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। সারা অবশ্য উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের ছাত্রী। চতুর্থ হয়েছেন সৌহার্দ্য দণ্ডপত। তিনি মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। পঞ্চম স্থানাধিকারী অয়ন গোস্বামী সিবিএসই বোর্ডের ছাত্র, বিদ্যালয়ের নাম দুর্গাপুর হেমশীলা মডেল স্কুল। ষষ্ঠ হয়েছেন অরিত্র অম্বুধ দত্ত। সোদপুরের নারায়ণা স্কুলের। সেও সিবিএসই বোর্ডের ছাত্র। সপ্তম হয়েছেন পিন্টন সাহা। রাজস্থানের মা ভারতী স্কুলের ছাত্র। অষ্টম স্থানাধিকারী সাগ্নিক নন্দী, বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র। উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের। নবম হয়েছেন রক্তিম কুণ্ডু। রাজস্থানের দিশা দেলভি পাবলিক স্কুলের ছাত্র তিনি। জয়েন্টে দশম শ্রীরাজ চন্দ্র, কাটোয়ায় হোলি এঞ্জেল স্কুলের ছাত্র। আইএসসি বোর্ডের।

    চলতি বছরে ৩০ এপ্রিল হয়েছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা 

    চলতি বছর ৩০ এপ্রিল জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা (WBJEE) হয়েছিল। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার ১.২৪ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। মোট ৩০৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে ৩০৩ টি কেন্দ্র ছিল পশ্চিমবঙ্গে। বাকি দুটি ছিল অসম এবং ত্রিপুরায়। প্রথম পত্র (অঙ্ক) এবং দ্বিতীয় পত্রের (ফিজিক্স এবং কেমিস্ট্রি) পরীক্ষা হয়েছিল। প্রথম পত্রে মোট ৭৫টি প্রশ্ন ছিল। যে পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল দুপুর ২টো থেকে। শেষ হয়েছিল বিকেল ৪টেয়। দ্বিতীয় পত্রে মোট ৮০টি প্রশ্ন ছিল।

    আরও পড়ুন: জুন মাসের ‘নেট’ পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু! জানুন বিস্তারিত

    কীভাবে  ‘র‍্যাঙ্ক কার্ড’ ডাউনলোড করতে পারবেন?

    ১) প্রথমে যেতে হবে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.wbjeeb.nic.in এবং www.wbjeeb.in-তে।

    ২) হোমপেজে ‘WBJEE’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে।

    ৩) নতুন পেজ খুললে, সেখানে আবার ‘WBJEE 2023 Result’-র লিঙ্ক দেখা যাবে। তাতে ক্লিক করতে হবে।

    ৪) এরপর অ্যাপ্লিকেশন নম্বর ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে লগইন করতে হবে। স্ক্রিনে পরীক্ষার্থীর ‘র‍্যাঙ্ক কার্ড’ দেখা যাবে। তা ডাউনলোড করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HS Rank: উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানে মেয়ে, তবুও একরাশ দুশ্চিন্তায় বসাক দম্পতি!

    HS Rank: উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানে মেয়ে, তবুও একরাশ দুশ্চিন্তায় বসাক দম্পতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকা ডাঙ্গারহাট। সেখানকার বাসিন্দা পেশায় টোটো চালকের মেয়ে সৃজিতা বসাক ৪৯৩ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ স্থান (HS Rank) অধিকার করেছেন। সৃজিতা আগামীতে উচ্চশিক্ষিত হয়ে শিক্ষকতা করতে চান। আর সমাজসেবা করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। তাঁর সাফল্যে পরিবারের সদস্যরা উচ্ছ্বসিত হলেও আগামীতে পড়াশোনার খরচ কীভাবে চলবে, সেই চিন্তায় ঘুম ছুটেছে সৃজিতার বাবা সুজিত বসাকের।

    কীভাবে চলবে মেয়ের পড়াশোনা?

    সামান্য টোটো চালিয়ে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে সংসার খরচই ওঠে না। তবুও এতদিন কষ্ট করে কোনওরকমে মেয়েকে পড়াশোনা করাতে পেরেছেন। মা সোমা বসাক গৃহবধূ। স্বাভাবিক ভাবেই আগামীতে উচ্চশিক্ষায় বিপুল অঙ্কের অর্থ কীভাবে জোগাড় করে মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করবেন, সেই চিন্তায় কালঘাম ছুটেছে বসাক দম্পতির। সৃজিতার বাবা সুজিত বসাক বলেন, টোটো চালিয়ে সংসার চালাই। এর উপরই পুরো সংসার। মেয়ের এই সাফল্যে (HS Rank) যেমন খুশি, তেমন চিন্তিতও। আগামীতে কীভাবে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাব জানি না।

    ইংরেজিতে এত কম নম্বর (HS Rank), মেনে নিতে পারছেন না

    সৃজিতা ডাঙ্গারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Rank) দিয়েছিলেন। মাধ্যমিকে তিনি ৯৩ শতাংশ অর্থাৎ ৬৫১ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। তাঁর বিষয়ভিত্তিক নম্বর বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৬৪, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ৯৭, ভূগোলে ১০০, এডুকেশন ১০০ এবং দর্শনে ৯৯ । ইংরেজিতে ৬৪ পাওয়ায় বেস্ট অফ ফাইভ থেকে বাদ গিয়েছে। ইংরেজিতে নম্বর এত কমে যাওয়ার  বিষয়টি তিনি কোনওভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তিনি রিভিউয়ে জন্য আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। পড়াশোনোর বাইরে তিনি গল্পের বই পড়তে এবং আবৃত্তি করতে ভালোবাসেন। সৃজিতা বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১০ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতাম। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়াশোনায় খুব সাহায্য করেছেন। আগামীতে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষকতা করতে চান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jamai Sasthi: আম-কাঁঠাল নয়, জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে জুটল শাশুড়ির ছোড়া ইঁট, শালার গলাধাক্কা!

    Jamai Sasthi: আম-কাঁঠাল নয়, জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে জুটল শাশুড়ির ছোড়া ইঁট, শালার গলাধাক্কা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আম-কাঁঠাল নয়, জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে শাশুড়ির ছোড়া ইঁটের আঘাত এবং শালার গলাধাক্কা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন জামাই। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। রাস্তাঘাটে রীতিমতো আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে এই ঘটনা। জামাই শ্বশুরবাড়ি এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানালেও অভিযুক্ত শাশুড়ি, শালা বা স্ত্রী-কেউই এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। এলাকার মানুষের কথা শুনে মনে হয়েছে, তাঁরা জামাইয়েরই পক্ষে।

    স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা নেই বছর পাঁচেক (Jamai Sasthi)

    স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা নেই বছর পাঁচেক হবে। নদিয়ার হবিবপুরের বাসিন্দা অনুপ কুমার মজুমদারের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। তাঁর কাছ থেকে খোরপোষের মামলা বাবদ বেশ কিছু টাকাও নিয়েছেন স্ত্রী। আটকে রেখে দিয়েছেন তাঁর গাড়ি। দেখা করতে দেওয়া হয় না সাত বছর বয়সী একমাত্র ছেলের সাথে। বারবার বলেও হয়নি কোনও কাজ। তাই শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর দু’নম্বর কলোনিতে স্ত্রীর বাপের বাড়িতে জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) দিন হাজির তিনি। শাশুড়ির জন্য শাড়ি, আম-কাঁঠাল, দই-মিষ্টি এবং ছেলের জন্য লজেন্স-বিস্কুট নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হল হিতে বিপরীত। তিনি যেতেই স্ত্রী চলে যান বাড়ি ছেড়ে। দরজায় তালা লাগিয়ে দেন শাশুড়ি এবং শালা। বহু ডাকাডাকির পর শাশুড়ির দেখা মিললেও প্রণাম করতে গিয়ে জুটলো ইঁটের টুকরো। ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে গেলে শালা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তা ভেঙে দেয়। প্রতিবেশীরা দাঁড়িয়ে দেখলেও ওই পরিবারের প্রতি সকলেরই বিতৃষ্ণা রয়েছে। তাই প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও গুঞ্জন শোনা গিয়েছে, জামাই নাকি খুব ভালো।

    আইনি সমস্যায় জর্জরিত জামাই (Jamai Sasthi)

    এ প্রসঙ্গে অনুপবাবু বলেন, লোকের বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার কাজ করতাম আমি। কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বউকে ম্যানেজমেন্ট এবং এমএ পাশ করাই। আমার সুপারিশে তার বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি হয়। কিন্তু সেখানেও পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে শুরু। পরবর্তীতে প্রতিবেশী একটি ছেলের সাথে গোপন সম্পর্ক whatsapp এ দেখে ফেলি আমি। বিষয়টি শ্বশুরবাড়ি সহ স্থানীয় কাউন্সিলার, বিধায়ক সকলকে জানিয়েও মেলেনি কোনও ফল। তাই বাধ্য হয়েই আজকের এই সিদ্ধান্ত। খোরপোষ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে এক লক্ষ টাকা নিয়েও তাঁকে আইনি সমস্যায় জর্জরিত করে রাখা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে (Jamai Sasthi) অনুপবাবুর শাশুড়ি এবং শালাকে বারংবার প্রশ্ন করলেও ক্যামেরার সামনে তাঁরা মুখ খোলেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River:  নদীতে স্নান করতে নেমে বেঘোরে প্রাণ গেল চার বছরের শিশুসহ তিন ভাইবোনের

    River: নদীতে স্নান করতে নেমে বেঘোরে প্রাণ গেল চার বছরের শিশুসহ তিন ভাইবোনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাফিয়াদের বালি তোলার কারণে নদীর (River) জলে ডুবে মৃত্যু হল একই পরিবারের চার বছরের শিশুসহ তিনজনের। বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি থানার দো-মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম চৌনাগারা গ্রামের সুধানী নদীতে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রোজিনা খাতুন (৯), তাসিনা খাতুন (৭) এবং মহঃ রিজুয়ান (বয়স ৪)। তাদের বাড়ি পশ্চিম চৌনাগারা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ  সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে সুধানী নদীতে (River) স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যায় চারজন। তাদের মধ্যে ৩ ভাইবোন ও এক প্রতিবেশী শিশু ছিল। সেখানেই তিন ভাইবোনের মধ্যে বোন তাসিনা নদীর হাঁটু জলে নেমে আচমকাই গভীর জলে তলিয়ে যায়। কোলে ছোট ভাইকে নিয়েই বড় বোন তাকে বাঁচাতে গেলে তারাও একসঙ্গে নদীতে তলিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে তাদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে, অগভীর সুধানী নদীতে এই মরশুমে হাঁটুজল থাকার কথা, সেখানে কীভাবে আচমকা গভীর জলে ডুবে গেল তিন শিশু, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে ওই নদী (River) থেকে লাগাতার বালি তোলার কারবার চালাচ্ছে বালি মাফিয়ারা। যে কারণে অগভীর নদীর যেখানে সেখানে বড়বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তারজন্যই এই মৃত্যুর ঘটনা বলে স্থানীয়দের দাবি। জেসিবি বা ট্রাক্টরের টায়ারের ছাপ আছে এখনও। এমনকী নদী থেকে সদ্য তোলা বালি এখনও পাড়ে মজুত করে রাখা হয়েছে। লাগাতার বালি মাফিয়াদের কারবারের জেরে নদী (River) জায়গায় জায়গায় অত্যন্ত গভীর হয়ে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    মৃত শিশুর মামা সাহেব আলি বলেন, নদীর (River) সামনের দিকে খুব কম জল রয়েছে। একটু ভিতরেই অনেকটা গর্ত রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বালি তোলার জন্যই নদীর এই অবস্থা। আর অকালেই তিনজনের মৃত্যু হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sulekha Ink: যাদবপুরের ‘সুলেখা মোড়’ নামের পিছনে লুকিয়ে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের ইতিহাস!

    Sulekha Ink: যাদবপুরের ‘সুলেখা মোড়’ নামের পিছনে লুকিয়ে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের ইতিহাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার যাদবপুর একটি অতি পরিচিত জায়গা। আর তা পরিচিত হওয়ার পিছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, সেটি হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এই যাদবপুরেই আছে আরও এক জায়গা, যাকে যাদবপুরের অন্যতম ল্যান্ডমার্ক বলা যেতে পারে। তা হল ‘সুলেখা মোড়’। এই জায়গার নাম অতি সাধারণ হলেও এর পিছনে আছে অনেক ইতিহাস। আসলে ‘সুলেখা’ একটি কোম্পানি, যা লেখার কালি প্রস্তুত করত। সেই কালির (Sulekha Ink) ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা যে গোটা ভারত ও বিশ্বে পৌঁছে গিয়েছিল, সেকথাও কমবেশি সবারই জানা। কিন্তু এর ইতিহাস কি জানেন?

    সুলেখা কালির (Sulekha Ink) উৎপত্তি কীভাবে?

    সময়টা ১৯০৫ সাল। লর্ড কার্জনের কুখ্যাত বঙ্গভঙ্গর সূচনা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সরব অনেকেই। এটি পরিণত হল স্বদেশি আন্দোলনে। মূল লক্ষ্য ছিল, সমস্ত বিদেশি পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার করা। এরই ফলে তৈরি হয় এশিয়ান পেইন্টস, টাটা স্টিল নামক অনেক সংস্থা। এই আন্দোলনে গান্ধীজিও প্রভাবিত হন এবং তিনি চিঠি, আবেদনপত্র প্রভৃতি লিখতে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কালি খুঁজছিলেন। এই চাহিদার কথা তিনি জানান বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশচন্দ্র দাশগুপ্তকে। আর সতীশচন্দ্রের কাছ থেকে একথা জানতে পেরে ননীগোপাল মৈত্র এবং তাঁর ভাই শঙ্করাচার্য মৈত্র দেশীয় কালি বানানোর প্রথম উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগের ফসল হিসাবেই ১৯৩৪ সালে জন্ম নেয় সুলেখা কালি কোম্পানি। আস্তে আস্তে গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই কালির জনপ্রিয়তা। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই কালি ছিল ভারতের প্রথম তৈরি কালি। আর এই কালি উৎপাদন হত দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরে। বর্তমানের সুলেখা মোড়েই ছিল এর কারখানা। সেই থেকে এই জায়গা নাম পায় ‘সুলেখা মোড়’।

    সুলেখা নাম কে এবং কেন রাখলেন?

    প্রথমে স্বদেশি কালি নামেই পরিচিত পেয়েছিল এই কালি। কিন্তু পরে গান্ধীজির কাছে এই কালির জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে ওঠে যে তিনি নিজে এর নামকরণ করেন। খুব ভালো লেখা হত, তাই ‘সু-লেখা’ থেকে ‘সুলেখা’ নামকরণ করেন তিনি। এই কালি এই নামেই পরিচিতি পায় সমগ্র ভারতবর্ষে। বাংলার বাইরেও এর উৎপাদন শুরু হয় এই নামেই। এমনকী এই কালির বিজ্ঞাপনের লেখা লেখেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি লেখেন, ‘সুলেখা কালি কলঙ্কের থেকেও কালো’

    ননীগোপাল মৈত্র শিক্ষকতার চাকরি ছেড়েছিলেন কেন?

    স্বাধীনতা সংগ্রামী ননীগোপাল মৈত্র প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন এবং সেই সময় তিনি পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর হন। পরে তিনি ছাড়া পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। কিন্তু সেই সময় স্বদেশী আন্দোলনের দ্বারা তিনি এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যুট পরে যাওয়ার নীতি থাকলেও তিনি ধুতি-পাঞ্জাবি পরে শিক্ষকতা করতেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তকেও মেনে না নেওয়ায় চাকরি ছেড়ে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং এই কালির ব্যবসাতেই সম্পূর্ণ  মনোনিবেশ করেন। সে সময় এই কালি “প্রফেসর মৈত্রের কালি” নামেও পরিচিতি পেয়েছিল। এক সময় এই কালির মাসিক বিক্রির হার ছিল প্রায় এক মিলিয়ন বোতল, যা অবাক করার মতো বিষয়। স্বাধীনতা ও স্বদেশি আন্দোলনের এটিও এক নতুন পদক্ষেপ ছিল। এই কালি আজও বাঙালির কাছে নস্টালজিক হয়ে আছে। ১৯৮৯ সালে এই কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলেও আবার ২০০৬ সালে এই কালির উৎপাদন শুরু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share