Tag: Madhyom

Madhyom

  • North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকাই সার! রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বাজির কারবার

    North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকাই সার! রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বাজির কারবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের পরই অবৈধ বাজির কারবার বন্ধ করতে উদ্যোগ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করেন। যেখানে বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তা নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ যেমন নিতে বলা হয়েছে, তেমনই সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরও কি পরিস্থিতি আদৌ বদলেছে? অভিযোগ উঠছে, এখনও উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বহু জায়গায় রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বাজির কারবার। দত্তপুকুরের ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকা হোক, কিংবা বারাসত পুরসভার টালিখোলা অথবা আরিফবাড়ি এলাকা। সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেআইনি বাজির কারবার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, বাজি ব্যবসায়ীদের একাংশ একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন এই কারবারের কথা৷ ফলে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও কীভাবে অবৈধ এই বাজির কারবার চলতে পারে! পুলিশ-প্রশাসন কি আদৌ তৎপর বেআইনি বাজির কারবার বন্ধ করতে? তা না হলে কেন এই অবৈধ কারবার বন্ধ করা যাচ্ছে না? তাহলে কি এর পিছনে কারও মদত রয়েছে? এমনই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই পুলিশ এবং শাসকদলকে একযোগে দুষেছে বিরোধীরা। যদিও অবৈধ বাজির ব্যবসা বন্ধ করতে পুলিশ যাবতীয় পদক্ষেপ করছে বলে দাবি করেছেন জেলার পুলিশ সুপার।

    অবৈধ বাজির কারবারের আঁতুড়ঘর

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নারায়ণপুর এলাকা অবৈধ বাজির কারবারের আঁতুড়ঘর। পঞ্চায়েতের একেবারে নাকের ডগায় এখনও চলছে বেআইনি এই বাজির কারবার। কখনও লুকিয়ে চুরিয়ে, আবার কখনও প্রকাশ্যে। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক বাজির গুদাম এবং দোকানঘর রয়েছে। তাতে যুক্ত রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। বেশিরভাগেরই বৈধ অনুমতি নেই বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও কীভাবে চলছে এই অবৈধ কারবার? স্থানীয়দের একাংশের মত, সবটাই হচ্ছে পুলিশ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের মদতে। বিনিময়ে পকেটে ঢুকছে মোটা টাকা। টাকার বিনিময়ে বৈধতার লাইসেন্স মিলছে অবৈধ কারবারে। বছর চারেক আগে এই নারায়ণপুরেই অবৈধ বাজির গুদামে বিস্ফোরণে ঝলসে মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। তারও আগে মজুত বাজিতে আগুন লেগে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ফলে, বাজি বিস্ফোরণের পুরনো ইতিহাস রয়েছে নারায়ণপুরে। এগরা ও মালদা বিস্ফোরণের পর সেখানেও যে আবার কোনও অঘটন ঘটবে না, তা জোর গলায় এখন কেউই বলতে পারছেন না। সবসময় আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

    “ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পথে বসতে হবে”

    এই পেশাই যে তাঁদের একমাত্র অবলম্বন, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন বাজির ব্যবসায়ীরাও (North 24 Parganas)। এই বিষয়ে আলি নামে এক বাজি ব্যবসায়ী বলেন, “২৫ বছর ধরে আমি এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আগে ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও বর্তমানে তা আর নেই। করোনা কালের পর থেকে আর আমাদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বেআইনিভাবেই এই বাজির কারবার চালাতে হচ্ছে। বাধ্য হয়েই আমাদের এই পেশা বেছে নিতে হয়েছে। পরিবারের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দেবার জন্যই এই পথ বেছে নিতে হয়েছে। এই ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পথে বসতে হবে। সরকার বিকল্প ব্যবস্থা করলে আমাদের সকলেরই উপকার হবে।

    যারা প্রকৃত বোমা বানাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, দাবি বিজেপির

    এ নিয়ে বিজেপির যুব মোর্চার বারাসত (North 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পিকলু শর্মা বলেন, “রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই বলেই সাধারণ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এই অবৈধ কারবার চলছে তৃণমূল এবং পুলিশ-প্রশাসনের মদতে। সাধারণ বাজি ব্যবসায়ীদের না ধরে পুলিশের উচিত, এর আড়ালে যারা প্রকৃত বোমা বানাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া”।

    অধিকাংশরই বৈধ অনুমতি রয়েছে, দাবি তৃণমূল প্রধানের

    বিরোধীদের অভিযোগকে আমল দিতে চাননি ইছাপুর (North 24 Parganas) পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি বলেন, “নীলগঞ্জের একটি এলাকায় অল্পবিস্তর বাজির ব্যবসা চলছে। তবে আমরা সজাগ রয়েছি। নিয়ম মেনে বৈধভাবে যাতে বাজির ব্যবসা হয় সেখানে, দেখা হচ্ছে। যদি কেউ অবৈধভাবে বাজির ব্যবসা করে থাকেন, সেটা দেখা উচিত পুলিশ-প্রশাসনের। এ ব্যাপারে চাইলে পুলিশ-প্রশাসনকে সবরকমের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। ওখানে অধিকাংশরই বৈধ অনুমতি রয়েছে, এটুকু বলতে পারি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। এটাই ছিল অপরাধ। তার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানার মল্লিকপুর এলাকায়। জখম বিজেপি কর্মীর নাম রাজু মিস্ত্রি। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সম্প্রতি বুড়ুলে বিজেপির (BJP) জনসভা হয়। সেই জনসভায় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি তোলার পর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি কর্মী রাজু মিস্ত্রি। তিনি পেশায় ফ্রিজ মেরামতির কাজ করেন। অভিযোগ, এরপরেই বুধবার রাতে ফ্রিজ সারানোর নাম করে ওই বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেছেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, “দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই কর্মী। ফলতার তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পদক্ষেপ না নিলে এসপি অফিস ঘেরাও করব”।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী মনমোহিনী বিশ্বাস বলেন, “দলের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে”। তবে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এইভাবে বিজেপি (BJP) কর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়া নিয়ে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hyderabad Murder: শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! খুনের পর প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখলেন প্রৌঢ়

    Hyderabad Murder: শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! খুনের পর প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখলেন প্রৌঢ়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি এবার ফিরল হায়দরাবাদে। প্রেমিকাকে খুনের (Hydrabad Murder) পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখার অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতের নাম অনুরাধা রেড্ডি। বয়স পঞ্চান্ন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১৫ বছর ধরে তিনি চন্দ্র মোহন (৪৮) নামে প্রেমিকের সঙ্গেই থাকতেন। ওই বাড়ির ফ্রিজ থেকেই অনুরাধার মৃতদেহের হাত এবং পা উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাথা উদ্ধার হয়েছে মুসি নদীর ধার থেকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহের অন্যান্য অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রাখেন অভিযুক্ত।

    আরও পড়ুন: ফের অশান্তি মণিপুরে, পুড়ে খাক বাড়ি, জারি কার্ফু

    কীভাবে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে?

    জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মুসি নদীর তীর থেকে একটি কাটা মুণ্ডু উদ্ধার করে পুলিশ। ওই খুনের তদন্ত করতে গিয়েই বেরিয়ে আসে এই ভয়াবহ হত্যাকা্ণড। অনলাইন ট্রেডিং পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই প্রৌঢ়, এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। ১৫ বছর আগে স্বামী মারা গেলে চন্দ্র মোহনের বাড়ির একতলাতে থাকতেন অনুরাধা। পুলিশ জানিয়েছে, সুদের কারবার করতেন মহিলা এবং সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। কয়েক বছর আগে ৭ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন চন্দ্র মোহন। কিন্তু ফেরত দিতে চাননি। এ নিয়েই শুরু মনোমালিন্য।

    কীভাবে খুন (Hydrabad Murder) করা হল?

    টাকা ফেরত দিতে না পেরে অনুরাধাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন চন্দ্র মোহন।  শ্রদ্ধাকে হত্যা করার আগে ইন্টারনেটে যাবতীয় খোঁজখবর করেছিলেন আফতাব। এমনটা মোহনও করেন। ১২ মে হায়দরাবাদের দিলসুখনগরে মোহনের বাড়িতেই খুন হন অনুরাধা। টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে দুজনের মধ্যে চরম ঝামেলা শুরু হয়। ঠিক এই মুহূর্তে অনুরাধার বুকে ছুরি চালিয়ে দেন চন্দ্র মোহন। তারপর সেই ছুরি পেটেও চালান। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন অনুরাধা। এরপর প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন মোহন। তার জন্য ছোট পাথর কাটার মেশিনও কিনে এনেছিলেন। মাথা কাটার পর সেটা নিয়ে কালো ব্যাগে মুড়ে অটোয় চড়ে মুসি নদীর ধারে চলে যান অভিযুক্ত। একইভাবে বাড়ি ফিরে অনুরাধার দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেন। যাতে দুর্গন্ধ না বেরোয়, তার জন্য গোটা বাড়িতে প্রচুর সুগন্ধিও ছড়ানো হয়। কীভাবে দেহ নষ্ট করে ফেলা যায্‌ তার জন্য গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ভিডিও দেখতেন অভিযুক্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Employment: সংসারের হাল ধরতে সাইকেল সারাইয়ের দোকান খুলেছেন অঞ্জলি!

    Employment: সংসারের হাল ধরতে সাইকেল সারাইয়ের দোকান খুলেছেন অঞ্জলি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী এক হাতে সংসার সামলাচ্ছে, পরিবার-পরিজনের আবদার মেটাচ্ছে, সন্তান মানুষ করছে, আবার অন্য হাতে রোজগার করে রক্ষা করছে সংসার। তেমনই হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এক লড়াকু মহিলা, যিনি সাইকেল সারাই (Employment) করে সংসারের হাল ধরেছেন। এ যেন এক হার না মানা গল্প। এ যেন অনেকর কাছেই নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন।

    কেন বেছে নিলেন সাইকেল মিস্ত্রির কাজ (Employment)?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের কুসুম্বা এলাকার বাসিন্দা অঞ্জলি বর্মন। দীর্ঘ চার বছর ধরে সংসারের হাল ধরতে তিনি সাইকেলের দোকান (Employment) চালাচ্ছেন গ্রামের রাস্তার পাশে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতুড়ি-রেঞ্জ নিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন অঞ্জলি বর্মন। প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে অন্যান্য মহিলারা গৃহস্থালীর কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অঞ্জলি বর্মন যেন এলাকায় এক আলোচিত নাম। জানা গেছে, একটা সময় স্বামীই সংসার চালাতেন। যদিও স্বামী শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ার কারণে বর্তমানে জীবন-জীবিকা হিসাবে সাইকেল মিস্ত্রির কাজ বেছে নিয়েছেন এই মহিলা। গ্রামের রাস্তার পাশে ছোট্ট দোকানে সাইকেল সারানোর পাশাপাশি মোটর সাইকেলেরও ছোটখাট কাজ করেন এই মহিলা।

    কী বলছেন অঞ্জলি?

    প্রথমদিকে একজন মহিলাকে সাইকেল সারানোর (Employment) কাজ করতে দেখে অবাক হতেন অনেকেই। পাশাপাশি নানান কটূক্তিও শুনতে হয়েছে একটা সময়। যদিও বর্তমানে এলাকার বহু মানুষজন তার দোকানে সাইকেল সহ মোটরসাইকেল সারাই করেন বলে জানা গেছে। জীবন যুদ্ধে হার না মানা অঞ্জলি বর্মন তার কাজ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, “ছেলেরা যদি সব কাজ করতে পারে, আমরা মেয়েরা কেন পারব না? যা উপার্জন হয় তাতে সংসার মোটামুটি চলে যায়।” বলাই বাহুল্য, অঞ্জলি বর্মনের মতো মহিলারাই সমাজের অন্যান্য মহিলাদের কাছে এক বড় লড়াইয়ের নিদর্শন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahaprabhu: মহাপ্রভুর জামাইষষ্ঠী! কী কী ভোগ নিবেদন করেন বিষ্ণুপ্রিয়ার বাড়ির লোকজন?

    Mahaprabhu: মহাপ্রভুর জামাইষষ্ঠী! কী কী ভোগ নিবেদন করেন বিষ্ণুপ্রিয়ার বাড়ির লোকজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয় জামাইষষ্ঠী। মেয়ে এবং জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় মা-বাবারা নানারকম ঘরোয়া আচার-অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন এদিন। সকালের জলখাবার থেকে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজে জামাইয়ের পাত নানা রকম ব্যঞ্জন দিয়ে সাজানো থাকে। সাধারণভাবে এটাই জামাইষষ্ঠীর রীতি। তবে নবদ্বীপে একটু অন্যভাবে এই জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়। সেখানে মহাপ্রভুর (Mahaprabhu) মন্দিরে এদিন নিমাই কোনও অবতার নন, বরং ঘরের জামাই। জানা যায়, এই মন্দিরের সেবায়েতরা হলেন বংশ পরম্পরায় মহাপ্রভুর স্ত্রী বিষ্ণুপ্রিয়ার ভাইদের উত্তরসূরী। প্রায় ৩৫০ বছর ধরে মহাপ্রভু এখানে জামাই আদর পেয়ে থাকেন। রেকাবি ভর্তি নানারকম ব্যঞ্জন তো থাকেই, সঙ্গে এদিন নিমাইকে দেওয়া হয় নতুন পোশাক এবং স্থানীয় প্রবীণরা ষাটের পাখায় বাতাসও দেন নিমাইকে (Mahaprabhu)।

    আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার জামাই ষষ্ঠী! কেন পালিত হয় এই তিথি? কীভাবে হল চালু এই প্রথা?

    মহাপ্রভুর ভোগে কী কী পদ থাকে?

    মরসুমি ফল আম, জাম, লিচু এসব তো থাকেই। পাশাপাশি রুপোর বাটিতে ক্ষীর এবং গ্লাসে জল দিয়ে প্রথমে ঘুম ভাঙানো হয় মহাপ্রভুর (Mahaprabhu)। তারপরে চিঁড়ে, মুড়কি, দই, আম, কাঁঠাল এবং মিষ্টির ফলাহার। এটা অবশ্য নিমাইয়ের জলখাবার। মধ্যাহ্ন ভোজনে থাকে নানা রকমের তরকারি, থোর বেগুন পাতুরি, ছানার ডালনা, লাউ, চাল কুমড়ো, পোস্ত দিয়ে রাঁধা সব নিরামিষ পদ। এরপর দুপুরে একটু জিরিয়ে নেওয়ার পালা। দিবানিত্রা সম্পন্ন হলে ভোগ দেওয়া হয় ছানা এবং মিষ্টির। রাতের মেনুতে থাকে গাওয়া ঘি’তে ভাজা লুচি, তার সঙ্গে মালপোয়া এবং রাবড়ি। সবশেষে মুখশুদ্ধি হিসেবে দেওয়া হয় খিলিপান। এই মন্দিরে জামাইষষ্ঠীর ভোগের বিশেষত্ব হল আমক্ষীর, যা আমের রসে ক্ষীর মিশিয়ে তৈরি হয়।

    মহাপ্রভুকে (Mahaprabhu) নতুন পোশাক দেন বিষ্ণুপ্রিয়ার বাড়ির লোকজন

    জামাইকে পোশাক দিতে কোনও কার্পণ্য করেন না শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শ্রীচৈতন্যদেবের বিগ্রহকে সাদা সিল্কের ধুতি, পাঞ্জাবি এবং গলায় উত্তরীয় পরিয়ে সাজানো হয়। আদর-কদর চলতে থাকে। জামাইষষ্ঠীর সকালে বিষ্ণুপ্রিয়ার পরিবারের প্রবীণ মহিলারা মহাপ্রভুকে নতুন পাখা দিয়ে ষাটের বাতাস দেন। হলুদের টিপ পরিয়ে দেওয়া হয় নিমাইয়ের কপালে। হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দেওয়া হয় হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া কীভাবে বুঝবেন? এই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া কীভাবে বুঝবেন? এই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মানসিক রোগ নিয়ে সচেতনতা এ দেশে কম। সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগ নিয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা দুইয়েরই অভাব যথেষ্ট। তাই অনেক সময়ই ঘটে বড় বিপদ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) মতো রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকলে, অনেক বড় সমস্যা এড়ানো যায়। চলছে সিজোফ্রেনিয়া অ্যাওয়ারনেস উইক। সপ্তাহ জুড়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা করছেন নানা কর্মশালা। কী বলছেন তাঁরা?

    সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) কী? 

    সিজোফ্রেনিয়া এক ধরনের মানসিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ বাস্তবসম্মত চিন্তা করতে পারেন না। অধিকাংশ সময়ই তাঁরা নানা অবাস্তব ভাবনাচিন্তা করে আশঙ্কিত থাকেন। নানা ঘটনা তাঁরা ভাবেন ও সেগুলিই সত্যি হিসাবে বিশ্বাস করেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের ভাবনাচিন্তা শুধু নিজের নয়, আশপাশের মানুষের জন্যও ক্ষতিকারক (Schizophrenia) হয়ে ওঠে।

    ভারতে সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্তের সংখ্যা কত? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। ভারতে মোট মানসিক রোগীর ৭ শতাংশ রোগী সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছেন। ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাদের তুলনায় পুরুষেরাই বেশি সিজোফ্রেনিয়ায় (Schizophrenia) ভোগেন। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশ আত্মহত্যা করেন।

    সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের উপসর্গ কী? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) মানসিক রোগ। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের ব্যবহারগত নানা পার্থক্য স্পষ্ট নজরে পড়বে। যেমন, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তদের মেজাজ অকারণেই অনেক সময় খিটখিটে থাকে। পরিবারের সদস্য কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে অকারণ ঝগড়া করা, দুর্ব্যবহার করা এগুলো সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগী নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেন। একদম ঘর বন্ধ হয়ে দিনের পর দিন থাকেন। মেলামেশা বন্ধ করে দেন। আসলে, আচরণে মারাত্মক বৈপরীত্য সিজোফ্রেনিয়ার অন্যতম লক্ষণ বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কল্পনা করে নানা কথা বলার প্রবণতা থাকে সিজোফ্রেনিয়া রোগীর। কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কিংবা কোনও ঘটনা প্রসঙ্গে লাগাতার নানা আজগুবি কথাও বলে থাকেন। স্মৃতি হারানোর মতো ঘটনাও সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তের দেখা যায়। অনেক ঘটনা আক্রান্ত ভুলে যান। মানসিক অবসাদ, হ্যালোসিনেশন হল সিজোফ্রেনিয়ার অন্যতম লক্ষণ।

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কী? 

    মনোরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ সামান্য বোঝা গেলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। পরিবারের কেউ এই সমস্যায় ভুগলে, তাঁকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। কারণ, সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) রোগী শুধু নিজের নয়, অপরেরও ক্ষতি করে ফেলতে পারেন। কারণ, এই রোগীর মধ্যে যেমন আত্মহত্যা করার প্রবণতা থাকে, তেমনি এই রোগী অকারণে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মারাত্মক রেগে যেতে পারেন। আর তখন অন্যকে মারধর করা বা বড় কোনও ক্ষতি করে ফেলতে পারেন। তাই রোগীদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে বারবার কেউ মিথ্যা কথা বললে বা কল্পনা করে কোনও ঘটনা বললে, তাকে বকাবকি করা হয়। কেউ কাল্পনিক কোনও চরিত্রের কথা শুনতে পাচ্ছে, জানালে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু এগুলো সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ। তাই তাদের অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়। বরং তাদের মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি। ধারাবাহিক চিকিৎসা করলে সিজোফ্রেনিয়া রোগীও স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারেন বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: ছাত্রকে মেরে শাসন করেছিলেন শিক্ষক, পাল্টা অভিভাবকও দিলেন ‘শিক্ষা’!

    Arambagh: ছাত্রকে মেরে শাসন করেছিলেন শিক্ষক, পাল্টা অভিভাবকও দিলেন ‘শিক্ষা’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়তে গিয়ে পড়া না পারায় শিক্ষকের মার জুটেছিল ছাত্রের কপালে। বাড়িতে ফিরে বাবাকে সে কথা জানায় আক্রান্ত ছাত্র। এরপর কোচিংয়ের ওই শিক্ষককে পাল্টা পেটানোর অভিযোগ উঠল অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আরামবাগে। মার-পাল্টা মারে জখম হয়েছেন অভিভাবক-শিক্ষক দু’জনেই। বুধবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ (Arambagh) পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদুর এলাকায়। জখম শিক্ষকের নাম সামিম চৌধুরী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো ২৩ মে আরামবাগের (Arambagh) চাঁদুর এলাকায় কোচিং সেন্টারে পড়াতে গিয়েছিলেন সামিম সাহেব। সেই সময় শেখ নাসিম নামে এক ছাত্রকে পড়া ধরেন তিনি। ওই ছাত্র পড়া বলতে পারেনি। উল্টে কোচিং ক্লাসে দুষ্টুমি করছিল বলে অভিযোগ। অনেকবার বারণ করা সত্ত্বেও না শোনায় রেগে গিয়ে ছাত্রকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান সামিম, এমনটাই অভিযোগ। শিক্ষকের মারে ছাত্রটি মারাত্মকভাবে জখম হয় বলে দাবি পরিবারের। ছাত্রটি বাড়ি ফিরে গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানায়। অভিযোগ, এরপরই জখম ওই ছাত্রের পরিবারের লোকজন কোচিং সেন্টারে রে রে করে ছুটে যান। কেন ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে, তা  ওই শিক্ষকের কাছে জানতে চান তাঁরা। তা নিয়ে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি। এরপরই শিক্ষককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষকও পাল্টা চড়াও হন অভিভাবকের উপর। ঘটনার জেরে উভয়কেই চিকিৎসা করাতে হয়েছে।

    কী বললেন অভিভাবক?

    ছাত্রের বাবার অভিযোগ, “আমার ছেলের শরীর এমনিতেই খারাপ ছিল। কিছুদিন আগেই নার্সিংহোম থেকে বাড়ি নিয়ে এসেছি। ওই  শিক্ষক আমার ছেলেকে এমন মেরেছে যে তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে। এই কোচিং সেন্টার যেন এখন বন্ধ থাকে।”

    কী বললেন আক্রান্ত শিক্ষকের পরিবারের লোকজন?

    শিক্ষকের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, “ছাত্র দুষ্টুমি করলে শিক্ষকরা মারে। শিক্ষকদের তো শাসন করার অধিকার রয়েছে। তা বলে বাড়ির লোক এনে শিক্ষক পেটাবে, এ কোথায় হয়”?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    Narendra Modi: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশ সফর শেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। এদিন বিমানবন্দরের পা রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে।’’ প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যান বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের পর্যটকের কাশ্মীর দেখা উচিত”, বললেন জি২০-র প্রতিনিধিরা

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন দিল্লি বিমানবন্দরে ভিড় করতে দেখা যায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, ‘‘জনগণ আমার কাছে জানতে চায়, কেন আমি কোভিড ভ্যাকসিন সারা বিশ্বকে দিয়েছি। এই প্রশ্নের জবাবে আমি বলতে চাই, এই ভূমি হল গৌতম বুদ্ধের। এই ভূমি হল মহাত্মা গান্ধীর। আমরা আমাদের বিরোধীদেরও খেয়াল রাখি। আজকে সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে।’’

    এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যখন আমি আমার দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে কথা বলি, তখন আমি বিশ্বের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলি। আমার এই আত্মবিশ্বাস আসে। কারণ আমি জানি, আপনারা একটা সরকার গঠন করেছেন, যে সরকারের সঙ্গে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জনসমর্থন রয়েছে। আজ এখানে যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য আসেননি, এসেছেন দেশের জন্য।’’

    অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণও টানেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী সিডনির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদাহরণ টানেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্য়ান্থনি আলবানিজই উপস্থিত ছিলেন না, দর্শকাসনে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও সমস্ত বিরোধীরাও উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বার্থে। এটাই গণতন্ত্রের শক্তি।’’ অনেকে মনে করছেন, এভাবেই বিরোধীদের ঠুকলেন তিনি।

    চারদিনে তিন দেশের সফর সারলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)

    চারদিনে তিন দেশের সফর সারলেন মোদি। প্রথমে তিনি জাপানে যান জি-৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। সেখান থেকে পাপুয়া নিউগিনি ও শেষে অস্ট্রেলিয়া যান। প্রতিটি দেশেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পান প্রধানমন্ত্রী। পাপুয়া নিউগিনি ও ফিজির তরফে প্রধানমন্ত্রীকে সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানেও সম্মানিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HS Student: উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় বালুরঘাটের শ্রেয়া উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায়! কেন জানেন?

    HS Student: উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় বালুরঘাটের শ্রেয়া উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায়! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাব, অনটন নিত্যসঙ্গী। শত প্রতিকূলতাকে জয় করে বালুরঘাট শহরের উত্তমাশার শ্রেয়া মল্লিক (HS Student) আজ স্টার। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে নজির সৃষ্টি করেছেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় যাবেন। কিন্তু, তাঁর এই স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অনটন। আগামীতে মেয়েকে পড়াবেন কীভাবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শ্রেয়ার বাবা-মা।

    নিজের এই সাফল্য নিয়ে কী বললেন শ্রেয়া?

    শ্রেয়া (HS Student) বাংলায় ৯৯, ইংরেজিতে ১০০, এডুকেশনে ৯৭, দর্শনে ৯১ এবং ভূগোলে ৯৯ পেয়েছেন। শ্রেয়া বলেন, “ভালো রেজাল্ট করব আশা করেছিলাম। কিন্তু, এত ভালো ফল আশা করিনি। আমার এই সাফল্যের পিছনে মা-বাবা, পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রাইভেট টিউটরদের অবদান রয়েছে”। আর পড়াশোনার প্রস্তুতি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করার পক্ষপাতী আমি ছিলাম না। যখন ইচ্ছে হতো পড়তাম। তবে যতক্ষণ পড়তাম, মন দিয়ে পড়তাম। প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়তে ভালোবাসতাম। এছাড়াও গল্পের বই পড়তেও আমার ভালো লাগে। আগামীতে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই”।

    মেয়ের সাফল্য নিয়ে কী বললেন মা?

    শ্রেয়ার (HS Student) বাবা অধীর মল্লিক বালুরঘাট জেলা আদালতে মুহুরির কাজ করেন। মা তুলসী দে মল্লিক গৃহবধূ। তিনি বলেন, “এই সাফল্যে আমরা খুশি হলেও, মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় মেয়েকে কোনওরকমে পড়াতে পেরেছি। এবার কলকাতায় মেয়ের পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই আমাদের। তাই আপাতত ঠিক করেছি বালুরঘাটেই মেয়েকে পড়াব। প্রাইভেট টিউটররা খুব কম টাকায় এতদিন মেয়েকে পড়িয়েছেন। প্রত্যেকের সহযোগিতায় মেয়ের এই সাফল্য। এখন মেয়েকে কীভাবে পড়াব, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি”।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিস চক্রবর্তী বলেন, “শ্রেয়া খুব ভাল ছাত্রী (HS Student)। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁকে আমরা বরাবর সাহায্য করেছি। আগামীতেও করব। তাঁর এই সাফল্যে আমরা গর্বিত”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share