Tag: Madhyom

Madhyom

  • TMC: “যোগ্যতায় আমার ধারে কাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”, মদনের পর বিস্ফোরক তাপস রায়

    TMC: “যোগ্যতায় আমার ধারে কাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”, মদনের পর বিস্ফোরক তাপস রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের পর এবার বেসুরো হলেন বরানগরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস রায়। মন্ত্রী, সাংসদ, চেয়ারম্যান যারা হয়েছেন তাদের অনেকের যোগ্যতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুললেন। একদা মমতা ঘনিষ্ঠ বর্ষীয়ান এই তৃণমূল (TMC) নেতার এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। যার এক ফোনেই পিজিতে রোগী ভর্তি হওয়া শুধু নয়, ভিভিআইপি ট্রিটমেন্ট হত তাঁর। সেই মদন নিজে খোদ পিজিতে সশরীরে হাজির হয়ে রোগী ভর্তি করতে পারেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর যতটা না বেশি ক্ষোভ, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি তাঁর সেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তাপসবাবুর এই বেসুরো মন্তব্য তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

    ঠিক কী বলেছেন বরানগরের বিধায়ক?

    বরানগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “যে নতুন প্রজন্ম উঠে এসেছেন, তাঁরা লোকসভা, রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন, মন্ত্রী, বিধায়ক, মেয়র, চেয়ারম্যান হয়েছেন, এঁদের সকলের যে যোগ্যতা আছে তা মনি করি না। দল সমস্ত দিকে নজর রাখছে, সকলে জায়গা পাবে না। আমারও মন্ত্রীসভায় জায়গা হয়নি। যোগ্যতায় আমার ধারেকাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”। এমনিতেই তাপসবাবু মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তাপসবাবুর এই বেসুরো মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কয়েক মাস আগে রাজ্য মন্ত্রীসভায় রদবদল হয়। সেখানে তাপস রায়ের ঠাঁই পাওয়া নিয়ে জল্পনা ছিল। কিন্তু, দল তার উপর আস্থা না রেখে বারাকপুর মহকুমার অন্য এক বিধায়কের উপর আস্থা রেখেছিল। শুধু বারাকপুর বলে নয় রদবদলে রাজ্যের একাধিক তরুণ বিধায়ক মন্ত্রী হয়েছিলেন। তারমধ্যে হুগলির এক বিধায়কও রয়েছেন। যারা মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন সকলেই অভিষেক ঘনিষ্ঠ। স্বাভাবিকভাবে অভিষেকের নির্দেশে নতুন মন্ত্রীসভায় নতুনরা ঠাঁই পেয়েছিলেন। কিন্তু, অভিষেক যাদের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী করেছেন তাঁদের অনেকেই যে যোগ্য নন তা তাপসবাবুর মন্তব্যে স্পষ্ট। কার্যত তাপসবাবু তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে অভিষেকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: ভেঙে পড়ল সামরিক বিমানের অংশ, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Paschim Medinipur: ভেঙে পড়ল সামরিক বিমানের অংশ, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত সামরিক বিমান থেকে ভেঙে পড়ল অংশবিশেষ। রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল গোয়ালতোড় থানার শিওরবনি গ্রামের ধামোচা জঙ্গলে। বিকট শব্দে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দেয়।ভেঙে পড়া অংশটি দেখতে ধাতু নির্মিত বিশাল লম্বা বেলুনের মতো। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেটি বিমানের তেলের অতিরিক্ত ট্যাঙ্ক। যদিও কাছেই কলাইকুণ্ডা এয়ারবেস থাকায় সেখানকার আধিকারিকরাই এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবেন বলে এলাকার মানুষ মনে করছেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল ?

    জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে শিওরবনি (Paschim Medinipur) গ্রামের ধামোচা জঙ্গলের জমির খুব কাছ দিয়ে একটি বিমান উড়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিমান থেকে ভেঙে পড়ে একটি অংশ। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র শব্দ হয় এলাকায়। জঙ্গলের মাঝে বিমানের ভাঙা অংশ পড়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা অজিত মাল বলেন, হঠাৎ দেখলাম কী একটা উড়ে গেল, আর তারপরই দেখি কিছু একটা পড়ল জঙ্গলে। তবে অংশ বিশেষ ভেঙে পড়লেও দুবার বিমানটি এখানে পাক দিয়েছিল এবং তারপর চলে যায়। সেই সঙ্গে অজিতবাবু আরও বলেন, গ্রামের ভিতরে পড়লে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হত। গ্রামের মানুষ তা ভেবে আতঙ্কিত বোধ করছেন। কলাইকুণ্ডা এয়ারবেস (Paschim Medinipur) থেকে বিভিন্ন সময় সামরিক বিমানের মহড়া চলে। মহড়া চলার সময়ই বিমানে বিশেষ বিপত্তি হয়েছে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। 

    প্রশাসনের তৎপরতা

    ঘটনাস্থলে দ্রুত এসে পৌঁছায় গোয়ালতোড় থানার পুলিশ। প্রথামিক ভাবে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, বিমানের ভাঙা অংশ অতিরিক্ত তেলের ট্যাঙ্ক। কিন্তু ঠিক কী কারণে ভেঙে পড়েছে বিমানের ওই অংশ, সেই বিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কলাইকুণ্ডা এয়ারবেসে খবর দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। এলাকার মানুষকে অহেতুক আতঙ্কিত হতে বারণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?  

    Suvendu Adhikari: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। তারপর পরে ময়নায় চলতি মাসের ২ তারিখে খুন হন বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। সোমবার দুই মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের একজন করে সদস্যকে নিজের দফতরে নিয়োগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর মতো বিরোধী দলনেতারও চাকরি দেওয়ার কিছু কোটা থাকে। সেই কোটা থেকেই এই দুজনকে নিয়োগ দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। জানা গেছে, এক বছরে তিনজন করে গ্রুপ ডি অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ করার সুযোগ থাকে বিরোধী দলনেতার সেই পদেই এদের দুজনকে নিয়োগ করা হল।

    সোমবারই বিধানসভায় আসেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা

    সোমবারে বিধানসভায় আসেন মৃত্যুঞ্জয়ের বর্মনের স্ত্রী গৌরী বর্মন এবং বিজয় কৃষ্ণ ভূঁইয়ার ছেলে প্রসেনজিৎ ভূঁইয়া। জানা গেছে, আগামী এক বছর বিরোধী দলনেতার অফিসে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করবেন এই দুইজন। এক বছর এদেরকে প্রবিশন পিরিয়ডে থাকতে হবে। এরপর তাদের স্থায়ীকরণের আবেদন যাবে রাজ্য সরকারের কাছে, এক বছরের মধ্যে যদি চাকরি তাঁরা ছেড়ে না যান, তাহলে এই আবেদন পাঠানো যায়। এদিন, এ প্রসঙ্গে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের স্ত্রী বলেন, ‘‘চাকরিটা হওয়ায় সংসারের সমস্যার কিছুটা সুরাহা হল। কিন্তু যারা গুলি করে আমার স্বামীকে মেরেছে তাদের শাস্তি চাই। সিবিআই তদন্ত চাই। যতদিন বিচার না পাব, লড়াই জারি থাকবে।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারের কাছে চাকরির আবেদন জানিয়েছিলাম কিন্তু এমন নির্দয় সরকার যে কোন সাড়া দিল না। তাই আমরা একটা ব্যবস্থা করলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি তো কালিয়াগঞ্জে গিয়ে দেখে এলাম বহাল তবিয়তে মোয়াজ্জেম ডিউটি করছে। ন্যূনতম শাস্তিও দেওয়া হয়নি পুলিশ অফিসারকে।’’ প্রসঙ্গত, এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum Blast:  বজবজের পর এবার দুবরাজপুর! তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ

    Birbhum Blast: বজবজের পর এবার দুবরাজপুর! তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের দুবরাজপুরে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের (Birbhum Blast) তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে  ভেঙে পরে কংক্রিটের সিঁড়িঘর। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। প্রতিবেশীর এক শিশুও বিস্ফোরণের (Birbhum Blast) শব্দে অজ্ঞান হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন পলাতক।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা,  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে তোলপাড় রাজ্য। মজুত বারুদ নিয়ে ঘুম ছুটেছে পুলিশ প্রশাসনের। নবান্ন থেকে ৬ দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া গ্রামে মজুত থাকা বোমায় বিস্ফোরণ (Birbhum Blast) ঘটে। জানা গিয়েছে, শেখ শফিক ওরফে মোরি শেখ নামে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির সিঁড়ি ঘরে শতাধিক তাজা বোমা মজুত ছিল। সেই বোমা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরে বীরভূমের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে, সমস্ত বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। ভেঙে পড়ে কংক্রিটের সিঁড়ির ঘর। অন্যান্য ঘরের ইট ভেঙে পড়ে, বড় ফাটল দেখা দেয়।

    কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য,” বিস্ফোরণের বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বিভিন্ন জেলায় বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে খবরে দেখছি। আমাদের গ্রামে এভাবে বিস্ফোরণ (Birbhum Blast) হবে তা ভাবতে পারিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি, শফিকের বাড়ি একাংশ বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আওয়াজে পাশের বাড়ির এক শিশু জ্ঞান হারায়। তাকে স্থানীয় সেকেন্দ্রাপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে পলাতক বাড়ির লোকজন”। খবর পেয়েই গ্রামে পৌঁছায় দুবরাজপুর থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। আরও বোমা মজুত রয়েছে কিনা দেখতে বোলপুরে সিআইডি, বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। শেখ বিল মহম্মদ ও তাঞ্জিলা বিবি নামে দুই প্রতিবেশী বলেন, “আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।  আমরা বাইরে বেরিয়ে দেখি চারিদিক ধোঁয়াতে ভরে গিয়েছে। ভয়ে এখনও আমাদের হাত-কাঁপছে। বিস্ফোরণ হল বলেই জানতে পারলাম বোমা ছিল।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “রাজ্য জুড়েই দেখছেন বারুদের স্তুপে বসে আছি আমরা। তৃণমূল রাজ্যটাকেই বারুদের স্তুপ বানিয়ে ফেলেছে। ওদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে বোমা। পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।” যদিও, সমস্ত বিষয় না জেনে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরায় পুকুর থেকে উদ্ধার ১৫ বস্তা বাজি ও বিস্ফোরক! কে ফেলে দিয়ে গেল? 

    Egra: এগরায় পুকুর থেকে উদ্ধার ১৫ বস্তা বাজি ও বিস্ফোরক! কে ফেলে দিয়ে গেল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা রাজ্য কি বারুদ আর বোমার স্তূপে পরিণত হল? এগরার খাদিকুলের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর যে হারে বিভিন্ন জায়গায় বোমা ও বাজির মশলা উদ্ধার হচ্ছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহল থেকে এই প্রশ্নটা ভেসে আসছে। আরও প্রশ্ন উঠছে, এতদিন পুলিশ কি ঘুমিয়ে ছিল? এগরার (Egra) ঘটনায় তো পুলিশের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে, তারা মোটা টাকার বিনিময়ে জেনেবুঝেও এই ধরনের কাজে কোনও বাধা দেয়নি। পুলিশ ঘটনার পর গ্রামে গেলে তাদের ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। আরও মজার বিষয় হল, পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা এগরা থানার আই সি-কে সরিয়ে দেওয়ার মতো পদক্ষেপেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। 

    পুকুর থেকে উদ্ধার বাজি-বারুদ

    এগরার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ সহ ১২ জনের। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরলেও এখনও এলাকার পুকুর থেকে উদ্ধার হচ্ছে বস্তার পর বস্তা নিষিদ্ধ বাজি এবং বাজি তৈরির সামগ্রী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২নং ব্লকের (Egra) দেশবন্ধু অঞ্চলে সাহাড়দা গ্রামে রবিবার রাতে একটি পুকুর থেকে ৮ বস্তা বারুদ ও নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। তারপর সোমবার সকালেও ফের পুকুর থেকেই আরও ৭ বস্তা বাজি-বারুদ উদ্ধার হয়েছে। ১৫ বস্তা বারুদ ও বাজি জমা দেওয়া হয়েছে থানায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে পুলিশ। পুরো এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    কী বলছেন গ্রামের মানুষ? কী বলছেন উপপ্রধান?

    এখানকারই বাসিন্দা অশোক কুমার মাইতি বললেন, কচুরিপানার ভিতর থেকে বারুদ, বোমা এবং বাজি বানানোর নানা সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ ঘিরে রেখে প্রথমে পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম। তারা এসে এগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কীভাবে এল এসব? অশোকবাবুর মতে, কাছেই রুকনিপুরে আতশবাজির কারখানা আছে। এগরার ঘটনার পরই সেখানকার লোকজন এখানে এসে এসব ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শান্ত গ্রামকে তারা অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই এসব করছে। এতে তৃণমূলের মদত আছে বলেই তিনি মনে করেন। ওই গ্রামে এর আগেও বাজি বিস্ফোরণে অনেকে মারা গিয়েছিল। অন্যদিকে, দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলোক মহাপাত্র বলেন, এটা চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করারই চেষ্টা। না হলে কেউ মাঠে-ঘাটে এভাবে ওসব ফেলে রেখে যায়? তিনি সরাসরিই বলে দেন, এটা বিজেপি করেছে। না হলে বিজেপির লোকজন ওখানে সকাল সকাল পৌঁছে যায় কী করে?

    পঞ্চায়েত ভোটেরই অশনি সঙ্কেত?

    তৃণমূলের উপপ্রধান যাই বলুন, অভিজ্ঞ মহল বলছে, এ যেন পঞ্চায়েত ভোটেরই অশনি সঙ্কেত। রাজ্যে যে সব জায়গা ঝামেলা-গণ্ডগোলে সবসময়ই খবরের শিরোনামে থাকে, সেই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা ভোটের আগেই খবরের শিরোনামে। বিরোধীরা বলছে, এখন যে সব বোমা ফাটছে (Egra), বোমার মশলা উদ্ধার হচ্ছে, সে সবই আসলে মজুত করে রাখা ‘সম্পদ’। ভোটে এসবের সদ্ব্যবহারের কথা থাকলেও পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে যাওয়াটাই কাল হয়েছে। বিরোধীদের টাইট দেওয়ার জন্য তিল তিল করে জমানো এই সম্পদ নিয়ে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে অনেকেই। এদের ‘যত্ন-আত্তি’ করে রাখতে গিয়েই ঘটে যাচ্ছে একের পর এক বিপত্তি। কোথাও ছাদে বোমার গায়ে রোদের তাপ লাগাতে গিয়ে তাতে বিস্ফোরণ ঘটছে, কোথাও তৈরির সময়ই প্রচণ্ড গরমের তাপে তাতে বিস্ফোরণ ঘটছে। আবার এগরার (Egra) ঘটনায় দেখা গেল, বিপদ আঁচ করে কেউ বা কারা বস্তা বস্তা বাজি, মশলা, বিস্ফোরক পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে। যে সব জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, সেখানে তো গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূল। এখন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায় সিভিক পুলিশ। তাহলে এদের কেউই জানতে পারল না? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য। এমন প্রশ্নও উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চাকদায় তৃণমূল ছাত্র নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি,  কেন জানেন?

    TMC: চাকদায় তৃণমূল ছাত্র নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীগঞ্জের পর চাকদায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের (TMC) এক ছাত্র নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদা থানার মাস্টারপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম ছাত্র নেতার নাম শুভম দাস। তিনি চাকদা শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুদিন আগে পাড়ায় জোরে বাইক চালিয়ে ধূলো ওড়ানোর প্রতিবাদ করায় কালীগঞ্জ থানা এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। এরপর সামান্য বিষয় নিয়ে চাকদায় গুলি চালানোর ঘটনা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বেশ কিছুদিন ধরে বুবাই নামে এক যুবক তৃণমূলের (TMC) ওই ছাত্র নেতা শুভমকে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয় নিয়ে কথা বলতেই শুভম রবিবার রাত আটটা নাগাদ সুমিত মণ্ডল নামে এক যুবকের বাড়ি যান। সুমিত বুবাইয়ের সম্পর্কে আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। হুমকি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বচসা বেধে যায়। এরপর সুমিতের স্ত্রী ঘর থেকে একটি বন্দুক বের করে সুমিতের হাতে তুলে দেন। সুমিত ওই ছাত্র নেতার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দিতে থাকে। পরে হঠাৎ গুলি চালাতে শুরু করে। ওই ছাত্র নেতার হাতে গুলি লাগে। জানা গিয়েছে, হামলাকারী যুবকও তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দলও একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কী বললেন জখম তৃণমূলের (TMC) ছাত্র নেতা?

    এ বিষয়ে শুভম দাস বলেন, সুমিতের এক আত্মীয় দীর্ঘদিন ধরে আমাকে খুন করার হুমকি দিচ্ছিল। সেই বিষয়ে সুমিতকে বলতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। ও এভাবে গুলি চালিয়ে দেবে, তা ভাবতে পারিনি। ও গুলি চালাতেই আমি ছুটে পালিয়ে যাই। যদিও ততক্ষণে একটি গুলি আমার হাতে লেগেছে। তবে, সময়মতো পালাতে না পারলে আমি আর বেঁচে ফিরতাম না।

    কী বললেন নদিয়া দক্ষিণ জেলা তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি?

    এ বিষয়ে নদিয়া দক্ষিণ জেলা তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদীপ দে বলেন, চাকদা শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভমকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা হয়েছে। তবে প্রশাসনের উপর আমাদের ভরসা আছে। আমরা চাই, প্রশাসন তদন্ত শুরু করে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক। এই ঘটনা কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নয়, এটা পুরোপুরি অরাজনৈতিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজ’-এর নবজোয়ারের ধাক্কায় বন্ধ হয়ে গেল কলেজের পরীক্ষা!

    Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজ’-এর নবজোয়ারের ধাক্কায় বন্ধ হয়ে গেল কলেজের পরীক্ষা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক বিরতির পর দলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ফের বাঁকুড়ায় আসছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার তাঁর চপার যোগে বাঁকুড়ার মাটিতে পা রাখার কথা। আর সেই কারণে পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন করেছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ‘কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ফোর্স থাকার জন্য’ সোম ও মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করল বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের প্যাডে অধ্যক্ষা সোমা ঘোড়ইয়ের স্বাক্ষরিত তারিখ বিহীন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সেকেন্ড সেমেস্টার ও ফোর্থ সেমেস্টারের ছাত্রছাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ফোর্স থাকার জন্য ২২ ও ২৩ মে’র নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষাগুলির ডেট পিছিয়ে দেওয়া হল। ২৪ মে তারিখ থেকে নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী আবার ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষাগুলি হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরকালে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একইভাবে ‘আন্ডার গ্র্যাজুয়েট’ ও ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট’ প্রথম বর্ষের পরীক্ষা ‘বাতিল’ করা হয়েছিল।

    শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা, তোপ বিজেপির

    বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস পরীক্ষা বন্ধের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মিটিং-এর জন্য পুলিশ কর্মীদের রাখা যেত না? রামানন্দ কলেজের এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে।

    স্বীকার করলেন কলেজের অধ্যক্ষা

    রামানন্দ কলেজের অধ্যক্ষা স্বপ্না ঘোড়ই স্বীকার করে নেন, কলেজে পুলিশ (Abhishek Banerjee) থাকার কারণেই পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ২০ তারিখ পর্যন্ত এখানে পুলিশ থাকার কথা ছিল। কিন্তু সেটা পিছিয়ে ২৩ তারিখ হয়েছে। সেই কারণেই ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষাটা আমরা জাস্ট ডেফার করেছি। মাস্টারমশাইরা সবাই এলে আলোচনা করেই ওই পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে। কী জন্য পুলিশ আছে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মিটিং-টিটিং কিছু একটা আছে।’ আইসি-র কাছ থেকে এমন চিঠি পেয়েই তিনি পরীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মাধ্যমিকে সফল দুই বোন

    Nadia: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মাধ্যমিকে সফল দুই বোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট থেকেই পারে না হাঁটতে, পারে না কথা বলতে। মাধ্যমিকে এমনই যমজ দুই বোনের সাফল্যে উৎসাহিত গোটা নদিয়ার (Nadia) বাগআঁছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অদম্য চেষ্টা ও বাবামায়ের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে আজ স্বপ্নপূরণ বিশেষভাবে সক্ষম দুই বোনের।

    কীভাবে চলেছিল পড়াশুনা

    বড় মেয়ে (Nadia) রুমা মল্লিক। তার প্রাপ্ত নম্বর ৩২৪। ছোট মেয়ে ঝুমা মল্লিক, তার প্রাপ্ত নম্বর ৩২১। দুজনই জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। একজন কোনও রকমে চলাফেরা করতে পারলেও আরেকজন বিকলাঙ্গ। কানে যেমন শুনতে পারে না, বলতে পারে না কথাও। এভাবেই দুই বোন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। সংসার সামলানোর পাশাপাশি দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে কীভাবে পড়াশোনা করাবেন, তা নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতেন মা রেখা মল্লিক। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সময় অনেকটাই ভোগান্তিতে পড়তে হয় রুমা-ঝুমাকে। কারণ দুজনেই তো প্রতিবন্ধী, কীভাবে বিদ্যালয়ে (Nadia) যাবে? এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। যদিও অনেক টানাপোড়নের পর বাবা-মা মেয়েদের ভর্তি করান বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। তারপর থেকেই নিয়মিত বিদ্যালয়ে পঠন পাঠনের জন্য যেত দুই বোন।

    শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা

    অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে রুমা-ঝুমাকে বেশি নজর দিতেন স্কুলের শিক্ষকরা। মা রেখা মল্লিক জানিয়েছেন, মেয়েদের ভর্তি করানোর সময় একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। মা বলেন, আজ যদি বিদ্যালয়ের (Nadia) শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাশে না থাকত, তাহলে হয়তো মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেয়েরা সাফল্য পেত না।

    আর্থিক সঙ্কটে আবেদন

    বাবা শ্যামল মল্লিক টোটো গাড়ি চালিয়ে কোনওরকম সংসার চালান। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, তা জোগাড় করতেই হিমশিম খেয়ে যেতে হয়। তবুও হাল ছাড়েননি বাবা-মা। শ্যামল মল্লিক আক্ষেপের সুরে বলেন, পরিবারের দুরবস্থার কথা কে না জানে! আজ পর্যন্ত মেয়েরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলেও কেউই পাশে দাঁড়ায়নি। বাড়িতে (Nadia) না এসেছে কোনও জনপ্রতিনিধি, না খোঁজ নিয়েছে প্রশাসন। সরকার যদি একটু আর্থিক সহায়তা করত, তাহলে মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হত। তবে হাজার কষ্ট করে হলেও মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন মা-বাবা দুজনেই।  প্রতিবন্ধী দুই বোনের জন্য এখন কোনও সরকারি সহযোগিতা মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • H3N2 Virus: দেশে আরও এক মারণ ভাইরাসের হদিশ, প্রতিরোধ কীভাবে?

    H3N2 Virus: দেশে আরও এক মারণ ভাইরাসের হদিশ, প্রতিরোধ কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনার প্রকোপ কমতে না কমতে ফের এক মারণ ভাইরাসের (H3N2 Virus) হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কোভিডের পর নতুন আতঙ্কের নাম এইচ৩এন২। বিশেষ করে পুদুচেরিতে এই ভাইরাসের প্রকোপ সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে ‘ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রাম নেটওয়ার্কের’ মাধ্যমে। গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, এই ভাইরাস অনেকটাই ক্ষতিকারক ও মানব শরীরে খুব তাড়াতাড়ি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। সাধারণ জ্বর-কাশির মতো উপসর্গ থাকলেও তা আস্তে আস্তে মারণ রোগের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মানব শরীরকে।

    কী কী উপসর্গ রয়েছে এই H3N2 Influenza A Virus এ?

    এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের একটি সাবটাইপ। এমনটাই গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছে মেডিক্যাল সংস্থা আইসিএমআর। আরও জানানো হয়েছে, এই ভাইরাস (H3N2 Virus) ডিসেম্বর থেকেই প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে। সাধারণত ঠান্ডার সময় থেকেই এই ভাইরাসের প্রকোপের হার বেড়েছে। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি হল জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট। আবার কিছু মানুষের মধ্যে নিউমোনিয়া, খিচুনি, ডায়ারিয়া ও বমি ভাব থাকছে। বৃদ্ধ এবং শিশুদের সব থেকে বেশি আক্রমণ করছে এই ভাইরাস। উপসর্গগুলি প্রায় এক বা দুই সপ্তাহ ধরে চলতে থাকছে। যদিও মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ১০ই মার্চের যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই ভাইরাসের আক্রমণে দেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন হলেন কর্ণাটকের এবং অন্যজন হরিয়ানার। এখনও পর্যন্ত মোট ৩০৩৮ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তারমধ্যে ১২৪৫ জন জানুয়ারিতে, ১৩০৭ জন ফেব্রুয়ারিতে এবং ৪৮৬ জন মার্চে।

    এই ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় কী?

    যেহেতু এটি করোনার মতোই ছোঁয়াচে একটি ভাইরাস (H3N2 Virus), তাই এই রোগের প্রতিরোধের একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন নেওয়া। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। মুখে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাদের জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় লক্ষণ রয়েছে, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো। কোনও রকম সন্দেহজনক উপসর্গ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। প্রয়োজনে ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খাওয়াই শ্রেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Budge Budge: বজবজে বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল! ২০ হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার কত?

    Budge Budge: বজবজে বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল! ২০ হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের (Budge Budge) মহেশতলার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর নড়চড়ে বসে পুলিশ। রবিবার রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। মহেশতলা, বজবজসহ একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় হানা দিয়ে ধরপাকড় করা হয়। প্রচুর শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    কত শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    এগরার পর বজবজের (Budge Budge) চিংড়িপোতা এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। এমনিতে চিংড়িপোতা এলাকা বাজি তৈরির জন্য বিখ্যাত। এই এলাকায় একাধিক বাজি কারখানা রয়েছে। পুলিশের একটি অংশকে ম্যানেজ করেই বেআইনি এই সব কারখানা চলে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রবিবার সন্ধ্যায় বাজি বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ নড়েচড়ে বসে। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় অভিযান শুরু হয়। বহু বন্ধ দোকান খুলে বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। অনেক জায়গায় বাজি তৈরির কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি অনেককে গ্রেফতার করে। সবমিলিয়ে ২০ হাজার কেজি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি বাজি তৈরির মশলাও উদ্ধার করা হয়েছে। এই সব বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি হত কি না তা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন। তবে, রবিবার রাতভর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বজবজ মহেশতলা এলাকা থেকে ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশি অভিযানের নামে মারধর করা হয়েছে বলে বাজি কারখানার শ্রমিকরা অভিযোগ করেন।

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    বাজি কারখানায় কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল?

    প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় বজবজের (Budge Budge) চিংড়িপোতার নন্দরামপুর দাসপাড়া এলাকায় জয়দেব ঘাঁটির বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ধূপের আগুন থেকে বাজিতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়। তবে, এই বিস্ফোরণের পর ফরেন্সিক টিম এসে তদন্ত করবে কি না তা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কোনও কিছু জানানো হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share