Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bengal Bomb Blasts: বারুদের স্তূপে বাংলা! সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে কবে কোথায় বিস্ফোরণ?

    Bengal Bomb Blasts: বারুদের স্তূপে বাংলা! সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে কবে কোথায় বিস্ফোরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ড (Bengal Bomb Blasts) নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট শিয়রে। তার আগে তৃণমূল পরিচালিত সরকার দুর্নীতির বোঝা সামাল দিতেই হিমসিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এগরা বিস্ফোরণের ঘটনা বিরোধী শিবিরের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছে।

    বিরোধীদের দাবিই সত্যি!

    দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান বিরোধী দল বিজেপি দাবি করে আসছে, তৃণমূল সরকারের বদান্যতায় বোমা তৈরিই এখন এই রাজ্যের প্রধান শিল্পে পরিণত হয়েছে। তাদের দাবি যে অমূলক নয়, তা দেখিয়ে দিয়েছে এগরাকাণ্ড। প্রশাসন যতই একে বাজি কারখানার বিস্ফোরণ (Bengal Bomb Blasts) বলে চালানোর চেষ্টা করুক না কেন, সেখানে যে বোমা তৈরিই হত, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে নিহতদের পরিবারও। পুলিশ উঠেপড়ে লেগেছিল বিষয়টাকে খাটো করে দেখানোর জন্য। যে কারণে মামলা রুজুর সময় বাদ দেওয়া হয়েছিল বিস্ফোরক আইনের ধারা। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। এই মামলায় বিস্ফোরক ধারা জুড়তে বৃহস্পতিবারই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    রক্তে বারবার ভিজেছে বাংলার মাটি

    এগরায় এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ জনের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, মৃতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। তবে, এগরা প্রথম নয়। এর আগেও গত এক বছরে বার বার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে বাংলা। রাজ্যবাসীর রক্তে ভিজেছে বাংলার মাটি। বারুদের গন্ধে ভরে উঠেছে বাংলার বাতাস। এর আগেও বিস্ফোরণে খালি হয়েছে অনেক মায়ের কোল। মুছেছে অনেক সিঁথির সিঁদুর। কেউ কেউ যেমন মাতৃহারা-পিতৃহারা-ভ্রাতৃহারা হয়েছেন, কেউ আবার সন্তান হারানোর শোক বুকে বয়ে বেড়াচ্ছেন। বাদ যায়নি শিশুরাও। বল ভেবে খেলতে খেলতে বোমা ফেটে শিশু মৃত্যু ও ঘায়েল হওয়ার ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। তবে, এত কিছুর পরও থামেনি বিস্ফোরণের (Bengal Bomb Blasts) আওয়াজ। রাজ্যের একের পর প্রান্ত থেকে ভেসে আসছে বোমা ফাটার আওয়াজ। সর্বশেষ ঘটনা এগরা। হয়তো এটাই শেষ নয়।

    আরও পড়ুন: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    রাজ্যের বিস্ফোরণ-পঞ্জী

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিগত কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের (Bengal Bomb Blasts) খতিয়ান—

    ১০ এপ্রিল ২০২৩—ইসলামপুর থানা এলাকার বানিয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সফিজুল হক নামের একজনের বাড়িতে বোমা তৈরির কাজ চলছিল। সেখানেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে খবর। আর তাতে সফিজুলের দু’টি হাতই উড়ে যায়।

    ১ এপ্রিল ২০২৩—খোদ বিকাশ ভবনের সরকারি ২ জন কর্মচারী ধরা পড়ে এনআইএ-র হাতে। একজন আবার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। অভিযোগ, বিস্ফোরক পাচার করতেন তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রভাবশালীদের সাহায্যেই দিনের পর দিন প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক সরবরাহ করে গেছেন এই ২ জন। পুলিশের সাহায্যেও এই কাজ চলত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এনআইএ গ্রেফতারি এড়াতে বিকাশ ভাবনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মীর মহম্মদ নুরুজ্জুমান। ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার (NIC) বা জাতীয় তথ্যকেন্দ্রের প্রজেক্টে কাজ করছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক আর ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সাপ্লাই করেছিলেন এই দুজন। এত পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের পরও কেন এঁরা ধরা পড়েননি, উত্তর খুঁজছে এনআইএ। 

    ২০ মার্চ ২০২৩—মহেশতলায় পুটখালি মণ্ডলপাড়ায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী-পুত্র, প্রতিবেশী কিশোরীর মৃত্যু হয়। নোদাখালি, পাঁশকুড়ার পরে ফের এই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। 

    ১০ মার্চ ২০২৩— মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার মধুপুর মাঠপাড়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণ হয়ে প্রাণ হারান একজন। গুরুতর আহত হন আরও তিনজন। বোমা বাঁধার সময় তা ফেটে যেতেই বিকট শব্দ হয়। তখনই সবাই ছিটকে পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার! বিস্ফোরক তথ্য দিলেন নিহতের পরিবারের সদস্য

    ৪ মার্চ ২০২৩— পাড়ুইয়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার আওয়াজ বহু দূর থেকে শোনা যায়।

    ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩— বোমার আঘাতে জখম হন মাড়গ্রাম ১ তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখ ও তাঁর বন্ধু নিউটন শেখ।

    ৬ ডিসেম্বর ২০২২— বসিরহাটে বিস্ফোরণে জখম এক নাবালক সহ ২। বসিরহাটের রামনগরে রান্নাঘরে বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর আহত হয় নাবালক। আহত হন এক গৃহবধূও। 

    ১৭ নভেম্বর ২০২২— উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। মৃত এক ৯ বছরের নাবালিকা। মৃতের নাম সোহানা খাতুন ওরফে ঝুমা। সে সম্পর্কে তৃণমূল নেতার ভাগ্নি। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার চাঁপালি পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ায় তৃণমূল নেতা আবুল হোসেন গাইনের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়।

    ১১ অক্টোবর ২০২২— পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার সাধুয়াপোতা গ্রামে বাজি বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ যায় দুজনের। মৃতদের মধ্যে এক স্কুল ছাত্রও ছিল।  গ্রামের শ্রীকান্ত ভক্ত নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বেআইনি ভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল।  বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। অভিযোগ, সেখানে বোমা জাতীয় বাজিও তৈরি করা হত৷

    ২৯ জুন ২০২২— ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের ভীমগড় ব্রিজের কাছে। এলাকার পুরনো শ্মশানঘাটের কাছে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে রাস্তার ধারে থাকা একটি বাড়িও। পাণ্ডবেশ্বরের পুরনো শ্মশানঘাটের কাছে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। সেই শব্দে চারদিক কেঁপে ওঠে। ব্রিজ লাগোয়া একটি জায়গায় পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।

    আরও বিস্ফোরণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায়

    এছাড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে একটি বালতি থেকে শ’খানেক বোমা মেলে। বীরভূমের মাড়গ্রাম, লাভপুর, দুবরাজপুর, মল্লারপুর থেকে চারদিনে পাওয়া গিয়েছে ৪০০-র বেশি তাজা বোমা, ৩০ কেজির বেশি বোমার মশলা। মুর্শিদাবাদে গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও বর্ধমানের খাগড়াগড় মোড় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে একটি বাড়িতে জোরালো বিস্ফোরণ (Bengal Bomb Blasts) হয়। তাতে আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বারুইপুর, ক্যানিং থেকেও তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এইসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধীরা বলছে, বাংলা রয়েছে বারুদের স্তূপের উপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলের কাজ থেকে অব্যাহতি চান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি! গোষ্ঠী কোন্দলের জের?

    TMC: দলের কাজ থেকে অব্যাহতি চান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি! গোষ্ঠী কোন্দলের জের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তুমুল গোষ্ঠী কোন্দল হিলিতে। দলের কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে চিঠি অঞ্চল সভাপতির। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল শোরগোল দক্ষিণ দিনাজপুরে। দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার না করলেও দলের কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে ব্লক সভাপতিকে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হিলির ধলপাড়া অঞ্চল তৃণমূল (TMC) সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল। যদিও বিষয়টি দলীয় কাজিয়া নয়, পারিবারিক সমস্যা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি, দাবি ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির সরকারের।

    দণ্ডিকাটা কাণ্ডেরই জের?

    রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ না হলেও দক্ষিণ দিনাজপুরের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হিলি ব্লকে যেন ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে নির্বাচনী দামামা। আর যাকে ঘিরেই হিলিতে কার্যত প্রকট হয়ে উঠেছে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কাজিয়া। সাংগঠনিক দক্ষতা বিচার করে ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান উজ্জ্বল মণ্ডলকে বেশ কিছুদিন আগে ওই অঞ্চলের সভাপতির দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। যিনি প্রাক্তন মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিতি লাভ করেন এলাকায়। দলের বহুদিনের পুরনো কর্মীর পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতাও তাঁর অনেক বেশি থাকায় এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর পাল্লাই বেশি ভারী ছিল। কিন্তু দণ্ডিকাটা কাণ্ডের জেরে মহিলা নেত্রীর ক্ষমতা ক্রমশ তলানিতে চলে যেতেই দলের ভিতরে কার্যত চাপে পড়ে যান অঞ্চল সভাপতি, এমনটাই দলীয় সূত্রের খবর। যার সুযোগ নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে অপর গোষ্ঠী। যাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা একপ্রকার শূন্য থাকলেও বর্তমানে দলের লবিবাজিতে তারাই প্রধান্য পেতে থাকে।

    বিগত বেশ কয়েকদিন আগে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে অপর গোষ্ঠীর লোকেরা প্রাধান্য পেতেই দলের প্রতি আস্থা হারান প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্ৰধান তথা অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল বলে দলীয় সূত্রের খবর। আর এরপরেই দলের যাবতীয় কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যা লিখিতভাবেও জানিয়েছেন ব্লক সভাপতিকে বলে দলীয় সূত্রের খবর। যাকে ঘিরেই হিলিতে একপ্রকার প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীবাজি। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে যা আরও বড় মাত্রা পাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কী বলল বিবদমান দুপক্ষ (TMC)?

    ধলপাড়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, পদত্যাগ নয়, দলের (TMC) কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছি ব্লক সভাপতিকে। পারিবারিক বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। হিলি ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির সরকার বলেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা নয়। পারিবারিক একটি দুর্ঘটনার কারণেই কিছুটা সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আপাতত ১১ জনের একটি কমিটি করে দল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই অঞ্চলে। যে কমিটিতে তাঁকেও রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা, তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা, তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ভাষাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাঁকুড়া সিমলাপাল রাজবাড়ি প্রাঙ্গণের জনসভায় বুধবার মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশকে ঠুকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,  “সভাটা হলো তো”! এদিন সভায় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল।

    অভিষেককে ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

     নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ” কয়লা ভাইপো বৃহস্পতিবার জেলায় আসছেন, যেখানেই যাচ্ছেন তাঁর অত্যাচারের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যান চলাচল বিপর্যস্ত হচ্ছে। ভাইপোর বিশালাকার গাড়িকে সুরক্ষা দিতে তোলা হচ্ছে বিদ্যুতের তার। কয়লা ভাইপোর এই নবজোয়ার যাত্রা তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”। শুভেন্দুর অভিযোগ,” জেলায় জেলায় জল জীবন মিশন প্রকল্পের প্রত্যেকের মানুষের প্রতিদিন মাথাপিছু ৭০ লিটার বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়ার কথা। কিন্তু সারেঙ্গা থেকে সিমলাপাল আসার সময় দেখে এলাম একটা করে নলকূপে জল নিতে মা, বোনেরা দীর্ঘ লাইন দিচ্ছে। অথচ ভাইপোর জন্য বিদেশ থেকে জল আসছে, মিনারেল ওয়াটারে স্নান হচ্ছে। এখানে বালির ভাগের টাকা রয়েছে। তাই, ভাইপোকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সহযোগী ছিলেন বিনয় মিশ্র। ২০১৮ সালে এখানে নমিনেশন জমা দিতে দেয়নি এখানকার বিধায়ক কয়লা চক্রবর্তী সাঙ্গোপাঙ্গোরা। চাকরির দুর্নীতিতে কালেক্টর নিয়োগ করা হয়েছিল। শ্যাম মুখোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পর বলেছিলেন, ৫২৮ জনের কাছ থেকে চাকরির জন্য প্রচুর টাকা নেওয়া হয়েছিল। বিনয় মিশ্রকে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। ওই পরিবারগুলি আমাকে হারিয়ে দিল। একে একে চোরেরা জেলে যাচ্ছে। কোনও চিন্তা নেই এখানকার চোরেরাও একই পথের পথিক হবে” ।

     কুর্মি আন্দোলন নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন,” আদিবাসী মাকে সারা ভারতবর্ষের মা করেছেন মোদিজি। সেই আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটিয়েছে তৃণমূল। কুর্মি মণ্ডল কমিশনের মর্যাদা পায়নি। সাম্প্রতিক রাজ্যে যে কুর্মি আন্দোলন হচ্ছে তা বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে। এখানে আসার পথে আমাকে হরিণটুলিতে কুর্মি ভাইয়েরা আমাকে থামিয়েছিলেন, আমি গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি যে রাজ্য সরকার যদি এটার বিল নিয়ে আসে তাহলে আমার ভূমিকা আছে”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করার ডাক দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আগামী দিনে যখন রাষ্ট্রবাদী সরকার গঠিত হবে তখনই রাজ্যে যেটা হবে সেটা হলো সবকা সাথ, সবকা  বিকাশ”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: জন্মের সময়ের ফারাক পরীক্ষার ফলাফলেও! অবাক করে দিল যমজ দুই ভাই

    Visva Bharati: জন্মের সময়ের ফারাক পরীক্ষার ফলাফলেও! অবাক করে দিল যমজ দুই ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মের সময়ের ফারাক মাত্র এক মিনিট। আর পরীক্ষার ফলাফলেও ফারাক সেই এক নম্বরের। সবাইকে অবাক করে দিয়ে যমজ দুই ভাই বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। বোলপুরের জামবুনি এলাকার বাসিন্দা বাবা ইকবাল আহমেদ ও মা অন্তরা চ্যাটার্জির দুই যমজ ছেলে রোদ্দুর ও দিগন্ত এ বছর বিশ্বভারতীর মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় শীর্ষে। ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৮৭০ পেয়ে প্রথম হয়েছে রোদ্দুর। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৬.৬৭%। অন্যদিকে, ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৮৬৯ পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে দিগন্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৬.৫৬%। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেও ওরা সমান সফল। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি।

    কতজন এবার পরীক্ষা দিয়েছিল?

    উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর স্কুল সার্টিফিকেট ২০২৩, মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় সোমবার। ঐতিহ্য মেনেই বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিক স্তরে পঠন-পাঠন হয় “পাঠভবন” এবং “শিক্ষাসত্র” এই দুটি বিদ্যালয়ে। এ বছর বিশ্বভারতীর স্কুল সার্টিফিকেট (মাধ্যমিক) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮৬ জন। এর মধ্যে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪১ জন, দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ২২ জন, তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮ জন এবং ১৫ জন পরীক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়েছে।

    বাড়িতে খুশির হাওয়া

    একই বাড়িতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী (Visva Bharati) থাকায় আনন্দের আবহ দ্বিগুণ হয়েছে। খুশি বাবা-মা দুজনই। মা বললেন, খুব খুশি আমি। এই খুশি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। প্রথম যখন শুনলাম, বিশ্বাস করতে পারিনি। তারপরে অনলাইনে দেখলাম। ওদের বাবা তখন বাড়িতে ছিল না। ওকে খবরটা দিতে গিয়ে আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল। সিজারিয়ান হওয়ায় দুই ছেলের জন্মের সময়ের ব্যবধান এক মিনিটের। যে এক নম্বর কম পেয়েছে, সে এক মিনিটের বড়। দুই ছেলেও নিজেদের ভাগ্যবান বলেই মনে করছে। তবে তাদের মতে, আমরা এক নম্বরের তফাৎটাকে বড় করে দেখি না। এটাকে আমরা মিলিত সাফল্য হিসাবেই দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambag: ৭ কোটি টাকার ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পে দুর্নীতি? কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

    Arambag: ৭ কোটি টাকার ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পে দুর্নীতি? কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার গ্রিন সিটি প্রকল্পের উদ্বোধনী ফলক প্রকাশ্যে জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ কিছুই হয়নি। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ বিরোধী দলগুলির। কাজ না হওয়ায় সরকারি বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে সোলার প্যানেল খোলার আবেদন জানানো হল পুরসভাকে। পুরসভার (Arambag) বর্তমান তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিগত তৃণমূল বোর্ডের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

    বিদ্যালয়গুলি সোলার প্যানেল খুলে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে

    আরামবাগ (Arambag) পুরসভার উদ্যোগে স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সহায়তায় গ্রিন সিটি প্রকল্পে সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সোলার প্যানেল বসানো হয়। ৭ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার প্রকল্পে পুরসভার বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয় সহ রাস্তাঘাটে সৌর আলো লাগানো হয়। আরামবাগ পুরসভা থেকে ই টেন্ডার করে ঠিকাদারের মাধ্যমে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়। সেইমতো আরামবাগ শহরে অবস্থিত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর কাজও হয়। কিন্তু উদ্বোধনের ফলক থাকলেও জ্বলেনি আলো, চলেনি পাখা। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়গুলি সোলার প্যানেল খুলে নেওয়ার লিখিত আবেদন জানিয়েছে আরামবাগ পুরসভায়। সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প কার্যকর না হওয়ায় বিরোধী দলগুলিও পুরবোর্ডের দিকে আঙুল তুলেছে।
    উল্লেখ্য, আরামবাগ পুরসভা এলাকার ৩৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, ১১ টি আপার প্রাইমারি ও হায়ার সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ের ছাদে সোলার প্যানেল বসে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৬৪.৪৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। যা এই সমস্ত বিদ্যালয় ছাড়াও আরামবাগ পুরসভার স্টিট লাইটে ব্যবহার করা হবে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে আরামবাগ পুরসভা থেকে গ্রিন সিটি প্রকল্পে সোলার বিদ্যুৎ প্যানেলের জন্য ই টেন্ডার হয়। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কাজও শুরু হয়। অডিট রিপোর্টে দেখা যায়, ২৭.০৪.২০১৯ তারিখে গ্রিন সিটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওই তারিখেই ফাইনাল পেমেন্ট হয়ে গেছে।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    গ্রিন সিটি নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন সময় আরটিআই-এর মাধ্যমে পুরসভায় (Arambag) জানতে চেয়েছে, কত টাকা মঞ্জুর হয়েছে, কাজটি কীভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু পুরসভা থেকে কোনও RTI এর সদুত্তর দিতে পারেনি। এমতাবস্থায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে সরজমিনে তদন্ত শুরু করতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিদ্যালয়ের ছাদে কোথাও সোলার প্যানেল লাগানো আছে। কিন্তু মেশিন ও ব্যাটারি নেই। কোথাও বা সোলার প্যানেল লাগানোই হয়নি। কোনও কোনও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। তবে আরামবাগ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র রায় মুখ খুলেছেন। কয়েক মাস আগেই গ্রিন সিটির প্রকল্পের সৌর বিদ্যুতের সোলার প্যানেল খোলার দাবিতে প্রায় ৩০ টি বিদ্যালয় পুরসভাকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। বিদ্যালয় থেকে কেউ কেউ তো সরাসরি অভিযোগ করেছেন, সোলার বিদ্যুৎ পাননি। কিন্তু বিদ্যালয়ের ছাদে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসানোয় ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    নয়ছয়ের অভিযোগে কী বললেন চেয়ারম্যান (Arambag)?

    ইতিমধ্যেই বিরোধী দল বিজেপি ও সিপিএম গ্রিন সিটি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি তো সরাসরি কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। যদিও এই নিয়ে আরামবাগ (Arambag) পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারি বিগত পুরবোর্ডের দিকেই আঙুল তুলেছেন। আর বিগত আরামবাগ পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান তথা বর্তমান ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলা্র, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপনকুমার নন্দী বলেছেন, এটা বিরোধীদের অপপ্রচার। তিনি বলেন, আগেই অডিট হয়েছে। সেই রিপোর্ট পুরসভায় আছে। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, যাদের যা স্বভাব তাই করেছে। তদন্ত হবে, অবশ্যই আইন অনুযায়ী দোষীরা শাস্তি পাবে। আইনের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। ইতিমধ্যেই আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার! বিস্ফোরক তথ্য দিলেন নিহতের পরিবারের সদস্য

    Egra: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার! বিস্ফোরক তথ্য দিলেন নিহতের পরিবারের সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার। এগরা (Egra) বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারসহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা বার বার এই অভিযোগ করে আসছিলেন। এটা যে শুধু রাজনীতি করার জন্য অভিযোগ করা হয়েছিল তা নয়, বিরোধীদের আনা এই অভিযোগই এবার প্রমাণিত হল। কৃষ্ণপদ বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় যে বোমা বাঁধা হত, সেই দাবি করেছেন এক নিহতের পরিবারের সদস্য। এমনকী সেই কারখানায় কেউ বোমা বাঁধার কাজ করতে না গেলে তাঁদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এগরার (Egra) খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণোর পর বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কিত। মৃতের পরিবারের সদস্যরা স্বজন হারানোর মধ্যেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ সিআইডির সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করেন। আর বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও দফায় দফায় সিআইডি আধিকারিকরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ঘটনাস্থল দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণে মৃত এক মহিলা সহ ৯ জনের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মহকুমা হাসপাতালে বুধবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ৯ জনের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁর দেহ মর্গে রয়েছে। আর বাকি ৮ জনের মধ্যে ৬ জনকে খাদিকুলে এবং ২ জনকে দিঘায় সত্কার করা হয়েছে। বহুদিন ধরেই ভানু বাগের কারখানায় বোমা তৈরি করতেন মাধবী বাগ নামে এক গ্রামবাসী। দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পেতেন তিনি। এমনটাই দাবি করেছেন মাধবীদেবীর ছেলে আকাশ বাগ। তিনি বলেন, ওই  কারখানায় বাজির পাশাপাশি বোমা তৈরি করা হত। মা কাজে যেতে না চাইলে ভয় দেখানো হত। এমনকী বোমা দিয়ে বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। পঞ্চায়েত ভোট আসছে, তাই সেখানে বোমা বাঁধার কাজ হত। মা বাড়ি এসে এসব কথা বলত।

    ঠিক কী হয়েছিল সেদিন?

    বোমা বিস্ফোরণের দিন কথা বলতে গিয়ে আকাশবাবু বলেন, মা প্রতিদিনের মতো সেদিন কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আমি দুপুর মাকে ডাকতে গিয়েছিলাম। ঘরের মধ্যে সকলেই কাজ করছিলেন। ফিরে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি সব শেষ। বাজি কারখানায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ছিন্নভিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছে দেহ। মায়ের দেহ পড়ে থাকতে দেখে আমার আর কথা বলার মতো অবস্থা ছিল না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ! পুলিশের দ্বারস্থ দলেরই দুই নেতা

    TMC: তৃণমূলের চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ! পুলিশের দ্বারস্থ দলেরই দুই নেতা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    টাকা ছাড়া মেলে না চাকরি! টাকা দিলে তবেই বদলি! ঘুষ ছাড়া চলবে না কিছুই! গোটা রাজ্যের সমস্ত বিভাগই যেন এই ধরনের অভিযোগে ছেয়ে গিয়েছে। তা থেকে বাদ যায়নি স্বাস্থ্য দফতরও। এবার খোদ তৃণমূলের সাংসদ ও তৃণমূলের বিধায়ক, আরেক তৃণমূল নেতার (Trinamool Doctor) বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করলেন। লিখিত অভিযোগ জমা পড়ল স্বয়ং রাজ্যের ডিজি-র কাছে!

    কী ওই মারাত্মক অভিযোগ? 

    ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের রাজ্য শাখার প্যাডে তৃণমূলের সাংসদ চিকিৎসক শান্তনু সেন এবং তৃণমূলের বিধায়ক চিকিৎসক নির্মল মাজি লিখিত অভিযোগ করেন, তৃণমূলের আরেক চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস (TMC) অনৈতিকভাবে টাকা আদায় করছেন। ওই লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, টাকা দিলে তবেই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে বদলি করা হবে। একজন চিকিৎসক তাঁর পছন্দমতো জায়গায় কাজের সুযোগ পেতে পারেন, যদি বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে টাকা দেওয়া হয়। কখনও পাঁচ, আবার কখনও দশ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর সেটাই রাজ্য পুলিশকে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করেছেন তৃণমূলের এই দুই চিকিৎসক নেতা!

    কী বলছেন শান্তনু সেন ও নির্মল মাজি? 

    রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে অভিযোগ জানানো প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাংসদ চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, “দুর্নীতি (TMC) নিয়ে কোনও আপস করা হবে না। সে দলের যত বড় নেতাই হোক না কেন! কোনও ভাবেই কোনও অনৈতিক কাজ সমর্থন করা হবে না। তাই বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে যখন এক চিকিৎসক অভিযোগ করেন, তখন সেটা আমরাই পুলিশকে জানাই। পুলিশ তদন্ত করে সবটা দেখবে!” সততাই একমাত্র পথ, বলছেন তৃণমূলের আরেক বিধায়ক ও চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজি। তিনি বিরূপাক্ষ প্রসঙ্গে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সৎ মানুষ। তাঁর দলের কেউ যদি অসৎ হয়, তাকে বা দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে, তাহলে তা একেবারেই সমর্থন করা হবে না। তাই বিরুপাক্ষের বিরুদ্ধে যখন এমন আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ জানতে পারলাম, আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হলাম।”

    কে বিরুপাক্ষ বিশ্বাস? কী বলছেন তিনি?

    চিকিৎসক বিরুপাক্ষ বিশ্বাস রাজ্যের শাসকদলের চিকিৎসক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (পিডিএ)-এর নেতা। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (TMC) বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নানা সময় দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর সহকর্মীদের একাংশ। এমনকী কয়েক মাস আগে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ অভিযোগ করেছিল, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত হয়েও, অধিকাংশ সময় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে থাকেন। বিভিন্ন জুনিয়র চিকিৎসককে হেনস্থা করেন। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসক-পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগও ওঠে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করেছিল।তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা বিরূপাক্ষ বিশ্বাস (TMC) অবশ্য এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। ” 

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসক মহল অবশ্য জানাচ্ছে, চিকিৎসক বদলি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরে এই অভিযোগ বহু দিনের। এখন তা আরও পরিষ্কার হল। চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের নেতা সজল বিশ্বাস বলেন, বহু চিকিৎসক বছরের পর বছর কলকাতার একটি নির্দিষ্ট সরকারি হাসপাতালে কাজ করার সুযোগ পান। আর অসংখ্য চিকিৎসক যাঁরা প্রত্যন্ত এলাকায় চাকরি করছেন, বছরের পর বছর কেটে গেলেও তাঁরা বদলির সুযোগ পান না। স্বাস্থ্য ভবনে এ নিয়ে একাধিকবার জানালেও তারা কোনও পদক্ষেপ করে না। আসলে এ রাজ্যে শাসকদলকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে কিছুই হয় না। তাঁর কথায়, “বদলি নিয়ে সরকারি নীতি নয়, শাসক দলের নেতারাই (TMC) চক্র চালাচ্ছেন। একথা আরেকবার স্পষ্ট হয়ে গেল।” সজল বিশ্বাসের সঙ্গে একমত আরেক চিকিৎসক নেতা মানস গুমটা। তিনি বলেন, “টাকা নিয়ে বদলির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। একাধিক চিকিৎসক আগেও অভিযোগ করেছেন, বদলির আবেদন করলেই তাঁদের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়। আসলে এ তো দুর্নীতির মৌচাক। যেখানেই ঢিল পড়বে, সেখান থেকেই এই দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া যাবে। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: সংস্কারের সময় তমলুকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ব্রিজ, মৃত এক শ্রমিক

    Tamluk: সংস্কারের সময় তমলুকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ব্রিজ, মৃত এক শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ব্রিজ। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে। ব্রিজ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সেখ শাহ আলম। বাড়ি তমলুক (Tamluk) পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ঘটনায় আরও এক শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে কয়েকশো মানুষ এলাকায় ভিড় করেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    তমলুক (Tamluk) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গার ঘাট এলাকায় বহু পুরনো ব্রিজ রয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে তা বেহাল হয়ে পড়েছিল। পথশ্রী প্রকল্পে সেই ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেয় তমলুক (Tamluk) পুরসভা। এক সপ্তাহ আগে পুরানো ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। আজ চলছিল পুরনো ব্রিজ ভাঙার কাজ। এদিন সকাল থেকে ব্রিজ সংস্কারের কাজ চলছিল। সে সময়েই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পুরো ব্রিজ। ব্রিজের তলায় চাপা পড়ে যান দুই শ্রমিক। দুর্ঘটনা ঘটার পরই এক শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু ব্রিজের ভাঙা অংশের তলায় আটকে যান আর এক শ্রমিক। একদিকে শরীরে উপর ভাঙা ব্রিজ, সঙ্গে তলায় নোংরা জল।  দমকল, পুলিশ, তমলুক পুরসভা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সহ স্থানীয় মানুষের আপ্রাণ চেষ্টায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ব্রিজের নীচে থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় আটকে পড়া ওই শ্রমিককে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, “দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকের পাশে আমরা রয়েছি। সরকারি ও পুরসভাগতভাবে ওই পরিবারকে যা যা সাহায্য করার দরকার তা করা হবে। আর যে এজেন্সি এই ব্রিজ সংস্কারের কাজ করছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    কী বললেন জেলাশাসক?

    ঘটনার পর জেলাশাসক হাসপাতালে যান। মৃত শ্রমিকের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “৪০ বছরের পুরানো ব্রিজ। পুরসভার পক্ষ থেকে সংস্কারের জন্য  একটি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপরই এই দুর্ঘটনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক (Tamluk) মণ্ডলের সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেন, ” আমরাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ রক্ষা করা সম্ভব হল না। এই সরকারের আমলে তৃণমূলের সব নেতারাই ঠিকাদার। অভিজ্ঞ শ্রমিক, ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ারকে কাজে না লাগিয়ে অনভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার ও শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটলো। অকালে একটা প্রাণ চলে গেল। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই।” বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “এই সরকারের সবটাই হতশ্রী অবস্থা।  প্রকল্পের নামে সব শ্রী লাগিয়ে দিয়েছে। সবই রাজনৈতিকভাবে লুটপাট করে খাওয়ার রাস্তা।  সব জায়গায় দাদাগিরি করছে আর মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে। সমাজের পক্ষে চরম ক্ষতিকর এই সরকার।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়’, শুভেন্দুর কনভয়কাণ্ডে হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: ‘আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়’, শুভেন্দুর কনভয়কাণ্ডে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। ওই মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে না। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। অন্তর্বর্তী নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, রাজ্য তদন্ত চালাতে পারবে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, মামলা বিচারাধীন, রাজ্য পুলিশ নোটিশ পাঠালেও তাতে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ জুন।

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)…

    পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের কাছে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারির (Suvendu Adhikari) কনভয়ের এক গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় শেখ ইস্রাফিল নামের বছর তেত্রিশের এক ব্যক্তির। পরে মৃতদেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে মিছিল করে তৃণমূল। ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর অভিযোগ, যে রুটে তাঁর কনভয় যাচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    সেদিন রাজ্যের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, মাঝে মধ্যেই পাইলট কারকে অতিক্রম করে চলে যায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়। এই মামলার প্রেক্ষিতে ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থার আয়োজন করা হয় তা বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। কীভাবে রুট লাইনিং করা হয়, কী বন্দোবস্ত থাকে, সে ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ নয় বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতি মান্থা।

    আরও পড়ুুন: ‘কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই এনআইএ মেনে নিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: নির্মাণ সংস্থার কর্তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি, কাঠগড়ায় কেএলও

    Malda: নির্মাণ সংস্থার কর্তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি, কাঠগড়ায় কেএলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার কাজের নির্মাণ সংস্থার ম্যানেজারকে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে চিঠি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কেএলও-র বিরুদ্ধে। এমনকী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই নির্মাণকারী সংস্থা টাকা দিতে না পারলে তাদের রাস্তা তৈরির সমস্ত সামগ্রী এবং ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে।

    কী ঘটেছে?

    হবিবপুর (Malda) থানার ধুমপুর এলাকায় শনিবার রাতে টাকা চেয়ে কেএলও-র হুমকির ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। সেই কাজের বরাত পেয়েছে এক নির্মাণকারী ঠিকাসংস্থা। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ১৩ মে মুখ ঢাকা অবস্থায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ম্যানেজারের কাছে আসে এবং ওই দুষ্কৃতীরা ম্যানেজারকে কেএলও সংগঠনের পরিচয় দেয়। দাবি করতে থাকে, প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকার কাজ হচ্ছে। ম্যানেজারকে কাজ করতে হলে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এমনকী নির্মাণ সংস্থার ম্যানেজারকে তারা একটি নম্বর দিয়ে যায়। টাকা কবে দেবে, কীভাবে দেবে, কথা বলার জন্য বলা হয়। আর যদি সেই টাকা না পায়, তাহলে নির্মাণ সংস্থার যে সমস্ত গাড়ি চলছে সেগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। প্রয়োজনে নির্মাণ সংস্থার কর্মীদের প্রাণনাশ হতে পারে বলেও হুমকি দিয়ে যায় কেএলও সংগঠন।

    পুলিশের কাছে অভিযোগ

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে মালদা (Malda) জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানার ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার ঘটনা প্রসঙ্গে হবিবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে কেএলও সংগঠনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত নেমে পুলিশ দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসলেই ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে কিনা অথবা কেউ ওই সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে এই অপরাধমূলক কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সরকারি কাজে যদি তোলাবাজি ও খুনের হুমকি আসে, তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করাটা কতটা সুরক্ষিত, সেটাই এখন এলাকাবাসীর কাছে বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share