Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bengal Tradition: প্রবীণ প্রভাসবাবুর এখনও জীবিকা বাংলার ঐতিহ্যের সেই তালপাতার হাতপাখা!

    Bengal Tradition: প্রবীণ প্রভাসবাবুর এখনও জীবিকা বাংলার ঐতিহ্যের সেই তালপাতার হাতপাখা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় তালপাতার হাতপাখার সঙ্গে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য (Bengal Tradition) নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ছিল। তারপর বিদ্যুৎ সংযোগের প্রসার ঘটল। ক্রমশ কমতে থাকল হাতপাখার ব্যবহার। যদিও কিছুদিন আগেও বিদ্যুৎ হঠাৎ চলে গেলে বাড়ির সকলের হাতে উঠে আসত এই তালপাতার হাতপাখাই। এখন সেটাও কমে এসেছে। তবু বিভিন্ন মেলায় এই হাতপাখার পসরা সাজিয়ে বসেন গুটিকয়েক মানুষ। তেমনই একজন চকভৃগুর প্রবীণ নাগরিক প্রভাসবাবু। আধুনিক যুগের আড়ালে তিনি একান্তে তৈরি করে চলেছেন একের পর এক তালপাতার হাতপাখা।

    রাজ-রাজাদের আমলে বিপুল প্রসার

    আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাতে তৈরি এই পাখার প্রচলন তেমন না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে কারিগররাও। রাজ-রাজাদের আমলে বিপুল প্রসার ঘটে এই তালপাতার হাতপাখার। তারপর ব্রিটিশরাজ থেকে শুরু করে জমিদারি ব্যবস্থাতেও বড় বড় তালপাতার পাখার ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে ছিল। কারিগরি শিল্পের দৌরাত্ম্যে প্লাস্টিকের হাতপাখার জনপ্রিয়তা বিস্তার লাভ করে। তাই শহুরে মানসিকতার দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন এই শিল্প (Bengal Tradition)। তবে তা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন প্রবীণ কারিগর প্রভাস মোহন্ত। গত ৪০ বছর ধরে তিনি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। কয়েক দশক আগের মতোই এখনও তাঁকে হাতপাখা তৈরির কাজে সাহায্য করে চলেন তাঁর স্ত্রী।

    নতুন প্রজন্মের কারিগর আর নেই

    বালুরঘাটের শিক্ষক তথা সাহিত্যিক গগণ ঘোষ বলেন, ‘এক সময় তালপাতার হাতপাখা ছিল গ্রামীণ ঐতিহ্যের (Bengal Tradition) প্রতীক। বৈদ্যুতিক পাখা, এয়ারকন্ডিশন সহ নানা ধরনের অত্যাধুনিক জিনিস বাজারে ছেয়ে যাওয়ায় চাহিদা কমেছে তালপাতার হাতপাখার। ফলে বিক্রি না হওয়ায় কারিগররা হাতপাখা বানানো বন্ধ করে অন্য কাজে মন দিয়েছেন। গ্রাম থেকেও উঠে গিয়েছে সারি সারি সব তালগাছ। বিশ্বায়নের প্রভাবে এই শিল্পের অবক্ষয় দুঃখের। চকভৃগুর বাসিন্দা তরুণ মাহাত বলেন, ‘বর্তমানে হাতপাখার ব্যবহার না থাকায় পেশাদার কারিগররা তা বানানো বন্ধ করেছেন। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অন্য কাজে মনঃসংযোগ করেছেন তাঁরা। ফলে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে এই শিল্পীসত্তা। এই হাতপাখা তৈরির জন্য নতুন প্রজন্মের কারিগর আর নেই।

    কী বললেন শিল্পী?

    শিল্পী প্রভাস মোহন্ত বলেন, ‘গাছে উঠে তালপাতা, গাছের পাতলা বাকল সহ বিভিন্নরকম সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপদের মুখে পড়তে হয়। এমনকী বাজারদরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাতপাখার সরঞ্জামের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০টা হাতপাখা তৈরি করি। গ্রামের কিছু মানুষ এখনও তা কেনেন। কিন্তু সেই জায়গাও সংকীর্ণ হয়ে আসছে। সরকারি তরফে কোনও সাহায্য বা ভাতা পেলে এই শিল্পের ঐতিহ্যকে (Bengal Tradition) বাঁচিয়ে রাখতে পারব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Election 2023: কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক, মমতা বলে দিলেন ‘শেষের শুরু’?

    Karnataka Election 2023: কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক, মমতা বলে দিলেন ‘শেষের শুরু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের (Karnataka Election 2023) ফলাফলে কংগ্রেস যত না উল্লসিত, তার থেকেও বেশি লম্ফ-ঝম্ফ করতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের। এ রাজ্যে অন্তত ছবিটা তেমনই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এই একটি রাজ্যের ফলাফলের ভিত্তিতে বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলের ‘শেষের শুরু’ দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। যা তিনি তৃণমূল সর্বভারতীয় দলের তকমা হারানোতেও দেখতে পাননি, দেখতে পাননি ত্রিপুরায় দলের শোচনীয় ফলাফলেও! তিনি একইসঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণীও করে দিয়েছেন, সামনে ছত্তিসগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনেও বিজেপির নাকি এমনই হাল হবে। কেমন হাল? আসুন একবার চোখ বোলানো যাক, কর্নাটকে বিজেপির ফলাফল এবার ঠিক কেমন হয়েছে। মমতার আশামতো কতখানি তারা ‘নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে!

    কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক

    নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কর্নাটকে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে (Karnataka Election 2023) বিবাদমান মূল তিনটি দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা হল: কংগ্রেস ১৩৫, বিজেপি ৬৬ এবং জনতা দল সেকুলার ১৯। ভোটপ্রাপ্তির হার শতাংশের হিসাবে হল এইরকম: কংগ্রেস ৪২.৮৮ শতাংশ, বিজেপি ৩৬ শতাংশ এবং জনতা দল সেকুলার ১৩.২৯ শতাংশ। এবার দেখা যাক, এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে এই তিন মূল প্রতিপক্ষ কতগুলি করে আসন পেয়েছিল এবং ভোটপ্রাপ্তির হারই বা কেমন ছিল। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা ছিল এইরকম: বিজেপি ১০৪, কংগ্রেস ৮০ এবং জনতা দল সেকুলার ৩৭। ভোটপ্রাপ্তির হার এইরকম: বিজেপি ৩৬ শতাংশ, কংগ্রেস ৩৮ শতাংশ এবং জনতা দল সেকুলার ১৮ শতাংশ। ভোট বিশেষজ্ঞরা দুটি বিধানসভা নির্বাচনের ওই অঙ্কের হিসাবের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে বলছেন, বিজেপির আসন সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমেছে, একথা ঠিক। কিন্তু এটাও ঠিক, তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার এতটুকু কমেনি। ২০১৮ সালে যা ছিল ৩৬ শতাংশ, ২০২৩ সালে এসেও তা সেই ৩৬ শতাংশই রয়েছে। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কংগ্রেস যে বিপুলভাবে এবং রেকর্ড সৃষ্টি করে জিতল, তা কীভাবে সম্ভব হল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাও ওই ছোট্ট অঙ্কের হিসাব থেকেই পরিষ্কার। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যে পাঁচ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে, তার পুরোটাই এসেছে জনতা দল সেকুলারের বদান্যতায়। ওই দলের ভোটপ্রাপ্তির হার ১৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৩ শতাংশ। পাশাপাশি কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির হার ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ। 
    লিঙ্গায়েত, ভোক্কালিগার সঙ্গে সংখ্যালঘু এবং দলিত ‘অহিন্দা’ সম্প্রদায়ের লড়াই, হিজাব নিষিদ্ধকরণ এবং সর্বোপরি বজরংবলী ইসু নাকি বিজেপিকে এই রাজ্যে ধরাশায়ী করে দিয়েছে। অনেকে আবার বলছেন, রাহুল গান্ধীর পদযাত্রাই গেরুয়া শিবিরের পায়ের তলার মাটি আলগা করে দিয়েছে। কারণ যাই হোক, কংগ্রেস যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ওই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে, এ নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই। কিন্তু তাই বলে বিজেপি শেষ হয়ে গেল, পরিসংখ্যান কিন্তু সে কথা বলছে না। সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে পরিষ্কার, বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে এতটুকুও চিড় ধরেনি। ফলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো যাঁরা বলে বেড়াচ্ছেন বিজেপির শেষের দিন শুরু, তারা কিন্তু তা করছেন বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে নয়, বরং পুরোপুরি অবিবেচকের মতোই, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ত্রিপুরায় খাতাই খুলতে পারেনি তৃণমূল!

    এবার দেখে নেওয়া যেতে পারে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির এই ফলাফল (Karnataka Election 2023) নিয়ে উল্লসিত, তাঁর দল তৃণমূল ত্রিপুরায় কী ফল করেছে। তৃণমূল চেয়েছিল উত্তর-পূর্ব ভারতে সম্প্রসারণ ঘটাতে। তার জন্য দলের তাবড় নেতারা ত্রিপুরায় গিয়ে পড়ে থেকেছেন, দলের হয়ে লাগাতার প্রচার করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলে দেখা গেল, সব চেষ্টাই জলে গিয়েছে। সেখানে তৃণমূলের প্রাপ্তি শূন্য। একমাত্র মুখ রক্ষা করেছে মেঘালয়। অর্থাৎ সাম্প্রতিক ভোটের ফলে পরিষ্কার, তৃণমূল এখনও কুয়োর ব্যাঙ হয়েই রয়ে গিয়েছে, সাগরে ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ তার মেটেনি। কর্নাটকের কথাই ধরা যাক। সেখানে কি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও আছেন? প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে তাঁদের এত উল্লাস কীজন্য? আর সিপিএম? কর্নাটকে এই দলটি তো নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে। তারপরেও কংগ্রেসের জয়ে তারা বাংলায় বিজয় মিছিল বের করে দিয়েছে। এসব দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আড়ালে হাসাহাসিই করছেন।

    বেঙ্গালুরু শহরাঞ্চলে এখনও দাপট বিজেপিরই

    ভোটের (Karnataka Election 2023) ফলাফল পর্যালোচনা করে আরও একটি জিনিস পরিষ্কাের, কর্নাটকে শহরাঞ্চলের মানুষ এখনও বিজেপির প্রতি তাদের আস্থা বজায় রেখেছে। আর সেই কারণেই খোদ বেঙ্গালুরু শহরে বিজেপির ভোট বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। সেখানে জনতা দল সেকুলারের ভোট কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। যদিও উল্টো ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ কর্নাটকে। সেখানেও জনতা দল সেকুলারের ভোট কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। কিন্তু তার পুরোটাই গিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। আরও লক্ষণীয় বিষয় হল, যে উপকূল এলাকায় বিজেপির লড়াই ছিল মূলত হিজাব এবং হালাল ইসুতে, সেখানে তাদের ভোটব্যাঙ্ক কার্যত অক্ষুন্ন রয়েছে এবং ভোটপ্রাপ্তির হার প্রায় ৪৭ শতাংশ।

    বরাবরই পরিবর্তনের পক্ষে কর্নাটক

    দক্ষিণের এই রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে অনেকেই এক আসনে বসাচ্ছেন। ইতিহাস কিন্তু সে কথা বলছে না। এই রাজ্য আগাগোড়া পরিবর্তনপন্থী। মনে রাখতে হবে, দক্ষিণের এই রাজ্য আসলে কংগ্রেসেরই মূল ঘাঁটি। ১৯৮৩ সালে প্রথম জনতা পার্টি সেই একাধিপত্যে আঘাত হেনেছিল এবং কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন রামকৃষ্ণ হেগড়ে। ২০০৪ এবং ২০১৮ বাদ দিলে এই রাজ্যে সরকার বদল হয়েছে বারবার। বিজেপির পথ চলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে, মাত্র ৪ টি আসন দিয়ে। ১৯৯৪ সালে এটাই এক ধাক্কায় দশগুণ বেড়ে হয় ৪০। এরপর আর বিজেপিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভোটের এই ফল দেখে বলছেন, ভারতের বৃহৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যে এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে, তা এ থেকেই পরিষ্কার। রিগিং, ছাপ্পা, বুথ দখল এসব কিছুই শোনা যায়নি এই রাজ্যের ভোটে।
    ধরা যাক, ভোট-পরবর্তী হিংসার কথাও। ২০২১ সালের ২ মে ফলাফলে যখনই পরিষ্কার হয়ে গেল বাংলায় ফের ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল, তখন বিরোধী বিশেষত বিজেপি সমর্থকদের ওপর যে আক্রমণ নেমে এসেছিল, তার ভুরি ভুরি উদাহরণ এখনও আমাদের চোখের সামনে। এখনো বহু মানুষ ঘরছাড়া, নিজের সামান্য দোকানটুকুও খুলতে পারছেন না। কিন্তু দক্ষিণের ওই রাজ্য বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় এবং বৃহৎ দলের কাছে যে বিপর্যয় (Karnataka Election 2023) ডেকে আনল, তার কোনও বিরূপ প্রভাব সমাজে কিন্তু পড়েনি। রাজ্য চলেছে তার স্বাভাবিক ছন্দে। এই পরাজয়কে মেনে নিয়েই এগিয়ে চলেছে বিজেপি। নেই কোনও আক্রোশ, নেই কোনও হামলাবাজির ঘটনা। 

    কী বলেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র?

    বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় দল এই ফলকে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছে, তা দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথাতেও পরিষ্কার। কর্নাটকের পরাজয় (Karnataka Election 2023) নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “একটা সর্বভারতীয় দলের কাছে এটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। তাতে হেরেছে। আর লোকসভা নির্বাচন একদিনের ম্যাচ নয়, পাঁচদিনের টেস্ট। তৃণমূল দল তো রাজনীতিকে খেলা মনে করে। ওরা খেলুক। ২০২৪ পর্যন্ত দলটা থাকবে কিনা, সেটাই সন্দেহ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা এমন এক বস্তু, যা না থাকলে হয়তো জনজীবন থমকে যেত। বাড়ির রান্নার জ্বালানি থেকে শুরু করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, আর আগের বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন-সব কিছুতেই কয়লা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসাবেই পরিচিত। গ্লোবাল চেঞ্জ ডেটা ল্যাব (যুক্তরাজ্য)-এর তথ্য অনুযায়ী, ব্যবহারের নিরিখে কয়লা জীবাশ্ম জ্বালানি হিসাবে পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কয়লা একপ্রকার পাললিক শিলা। কয়েক কোটি বছর আগে বিভিন্ন গাছপালা মাটির তলায় চাপা পড়ে সেগুলি আস্তে আস্তে জীবাশ্মতে পরিণত হয়। আর সেই জীবাশ্মগুলি কালো রং ধারণ করে কয়লায় পরিণত হয়। কিন্তু কখনও কি মাথায় এসেছে, এই কয়লার উত্তোলন ভারতে কোথায় এবং কীভাবে শুরু হয়েছিল? কয়লা উত্তোলন ও কয়লাখনির (Coal Mines In India) ইতিহাস কী?

    ভারতবর্ষের বুকে কয়লাখনির ইতিহাস

    ভারতবর্ষে সবথেকে বেশি কয়লা মজুত (Coal Mines In India) আছে দামোদর নদীর তীরে রানিগঞ্জ অঞ্চলে। এখানেই প্রথম কয়লা খনন শুরু হয় ১৭৭৪ সালে জন সুমনার এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সিটনিয়াস গ্রান্ট হিটলির উদ্যোগে। প্রথমে কয়লার চাহিদা কম থাকায় এর উত্তোলন তেমন কিছু বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু পরে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের উদ্ভব হওয়ায় ১৮৫৩ সালে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তখন বার্ষিক গড়ে ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হত। এরপর ১৯২০ সালে উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কয়লার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। ১৯৪৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে গিয়ে পৌঁছায়।

    রানিগঞ্জ অঞ্চলে প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু

    গোটা ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে, তখন বাংলা, বিহার, ওড়িশা-ভারতের এই প্রধান কয়লা উত্তোলক অঞ্চলগুলিকে (Coal Mines In India) ১৮৯৪ সাল থেকে ভারতের যৌথ পরিচালনাধীনে থাকার আবেদন জানান ভারতীয়রা। কিন্তু ব্রিটিশ এবং অন্যান্য ইউরোপীয়দের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় তাদের একচেটিয়া প্রভাব ছিল খুবই বেশি। ফলে ভারতীয়দের সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এরপর নানা আন্দোলন ও চেষ্টার ফলে সিনুগ্রার শেঠ খোড়া রামজি চাওদা প্রথম ভারতীয় হিসাবে ভারতের ঝরিয়া কয়লাখনি থেকে ব্রিটিশদের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৬ সালে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধি এবং কয়লাখনি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ঘটাতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ন্যাশনাল কোল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (NCDC)।

    ১৮১৫-১৮১৬ সালে রানিগঞ্জ অঞ্চলে রুপার্ট জোনস্ প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেন। এই কাজের জন্য তাঁকে সরকারের তরফ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। জোনস্ রানিগঞ্জে পূর্বের খনন করা হিটলির পরিত্যক্ত কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India) খুঁজে পান। তিনি ১৮২০ সাল পর্যন্ত এখান থেকে দামোদরের জলপথের মাধ্যমে কয়লা কলকাতাতে পৌঁছাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তিনি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার তেমন মুনাফা লাভ করতে পারেননি। পরে জোনস্ এর খনিগুলির মালিকানা লাভ করে আলেকজান্ডার অ্যান্ড কোম্পানি। আর এই কোম্পানিকে ১৮৩৫ সালে সত্তর হাজার টাকায় ক্রয় করে ‘কার টেগোর কোম্পানি’, যার অংশীদার ছিলেন ঠাকুর বংশের প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। 

    সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি 

    দামোদর জলপথের মাধ্যমে কলকাতায় এই কয়লা রফতানির কাজে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল। কিন্তু অপরদিকে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁর এই সাফল্যে একদমই সন্তুষ্ট ছিল না। দ্বারকানাথের কোম্পানিকে ভেঙে ফেলার জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাতে থাকলেও পরে তা ব্যর্থ হয়। আবার কিছু ব্রিটিশ কোম্পানি যেমন গিলমোর, আর্কসাইন, হামফ্রে অ্যান্ড কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তাছাড়াও আরও নানা বিবাদের মুখে পড়ে এখানকার কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India)। সেই সময় সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে সব কোম্পানিগুলিকে একত্রিত করে ১৮৪৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বেঙ্গল কোল কোম্পানি’। এর প্রথম অধিকর্তা হিসাবে নিয়োজিত হন দ্বারকানাথ নিজে। ভারতের কয়লাশিল্পের প্রথম প্রশাসনিক ভবন এটাই। ১৯৭২ সালে কয়লাখনির জাতীয়করণের আগে পর্যন্ত রানিগঞ্জ-ঝরিয়া অঞ্চলের বেশিরভাগ কয়লাখনি এই বেঙ্গল কোল কোম্পানির অধীনে ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বন্ধ হল পরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণে কলেজে পুলিশ

    TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বন্ধ হল পরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণে কলেজে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা চলাকালীন তৃণমূলের দুই ছাত্র ইউনিয়নের (TMCP) সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শান্তিপুর কলেজ। অবাধে চলল ভাঙচুর! পরীক্ষা দিতে পারল না একাধিক ছাত্র। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর কলেজে।

    শান্তিপুর কলেজে কী হয়েছিল?

    প্রথম সেমেস্টারের বাংলা পরীক্ষা ছিল কলেজে। কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ থেকে ১০৮০ জন ছাত্র পরীক্ষা দিতে এসেছিল শান্তিপুর কলেজে। অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য বাইরে থেকে বেশ কিছু লোক নিয়ে জোর করে শান্তিপুর কলেজের মধ্যে প্রবেশ করতে যায়। আর তাতে কলেজে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের বাধা দেয়। এরপরেই রক্ষীদের ধাক্কা মেরে জোর করে তারা কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শান্তিপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় প্রবল হাতাহাতি। সময় গড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা কলেজ চত্বর। এরপর চলে কলেজের মধ্যে ভাঙচুর। আতঙ্কে অনেকে পরীক্ষা না দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে বলে জানা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

    পরীক্ষা না দিতে পারা ছাত্রদের বক্তব্য

    কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের এক পরীক্ষার্থী সায়ন চক্রবর্তী বলেন, হঠাৎ করে শান্তিপুর কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল সমর্থকরা অধ্যাপকের সামনেই লোহার রড দিয়ে ছাত্রদের মারধর করতে আসে। অধ্যাপকরা ভয়ে চুপ করে ছিলেন। সেই কারণে আমরা ভয়ে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারিনি।

    নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্য

    ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী সুধীর্ময় ঘোষ বলেন, হঠাৎ করে প্রথমেই কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা কলেজের ভিতর জোর করে ঢুকতে চায়। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের সঙ্গে দাদাগিরি শুরু করে এবং ধাক্কা দিয়ে কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।

    শান্তিপুর কলেজের তৃণমূল সমর্থকদের বক্তব্য

    শান্তিপুর কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল কর্মী তথা নদিয়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রাক্তন সভাপতি রূপম কর বলেন, যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে, তখন আমাদের ইউনিয়নের কেউ এখানে উপস্থিত ছিল না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, পুরোটাই ভিত্তিহীন। তার কারণ, সাধারণ ভাবেই পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থী ছাড়া কলেজের ভিতর কারও প্রবেশ করার অনুমতি থাকে না। কলেজে যারা ভাঙচুর করেছে, তারা কারা! সেগুলো তদন্ত করে দেখতে হবে।

    পরীক্ষকের বক্তব্য

    কলেজে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, যখন ঝামেলা হয়, তখন আমি ঘরের মধ্যেই ছিলাম। সুতরাং বাইরে কী নিয়ে দুপক্ষের (TMCP) ঝামেলা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। বাইরে এসে দেখলাম বেশ কিছু কলেজের গাছের টব এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত, কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনই সঠিক কিছু বলা যাবে না। তবে প্রতিদিন পুলিশ-প্রশাসন পরীক্ষা চলাকালীন কলেজে উপস্থিত থাকে। আজ কেন ছিল না, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। পরবর্তীকালে ঘটনার তদন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ করবে বলেই জানান তিনি। তবে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চলাকালীন কেন প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ভরদুপুরে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পোশাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক যুবক। এনিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির কার্যকর্তারা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে যাচ্ছেন না অভিযোগ জানাতে তাঁর কাছেই আসছেন। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে পাল্টা বিবৃতি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তিনি বলেন, ‘‘ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল খাঁ এবং তিনি রায়নার জোতশ্রীরাম গ্রামের তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য।’’ 

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    মঙ্গলবার বিধাননগরের EZCC-তে কেন্দ্রীয় সরকার একটি চাকরি মেলার আয়োজন করেছিল। সেখানেই হাজির ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে এদিন টেনে আনেন রায়নার প্রসঙ্গ। এবং বলেন, ‘‘পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় ওই ব্যক্তিকে সঙ্ঘের পোশাক পরিয়ে পাঠানো হয়েছিল। এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কারণ টুপিটাও ঠিক করে পড়তে পারেনি সে। এটা প্রশান্ত কিশোরের দুর্বল চিত্রনাট্য। এভাবে কেউ দিনদুপুরে গণবেশ পরে ঘুরে বেড়ায়না। রামগোপাল ভার্মাও এর থেকে ভালো চিত্রনাট্য লেখেন।’’ সঙ্ঘের আধিকারিকদের মতে, নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম ছাড়া গণবেশ পরার রীতি নেই। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করতেও পরতে হয়না গণবেশ। সঙ্ঘের পোশাকের আলাদা গরিমা রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন সংগঠনের আধিকারিকরা।

    সেদিনকার ঘটনা

    নবজোয়ার কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমানের রায়না-জামালপুর সড়কের ধারে জোতশ্রীরাম গ্রামের কাছে অভিষেকের কনভয় পৌঁছাতেই তা দাঁড় করান উজ্জল খাঁ নামের এক যুবক। যুবকের পরনে ছিল সংঘের পোশাক সাদা জামা মাথায় কালো টুপি। গাড়ি দাঁড় করিয়ে তিনি অভিষেককে জানাতে থাকেন এলাকার সমস্যা। ওই যুবক বলেন, ‘‘গ্রামের সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে আলো জ্বলে না। বিডিও অফিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তবু এর কোন সুরাহা হয়নি।’’ এই ঘটনার পর এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেন যে বিজেপি কর্মীদের তাদের কাছে আসতে হচ্ছে। ঘটনায় রীতিমতো ট্যুইটও করা হয় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল পেজ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ৯, জখম ২

    Egra: এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ৯, জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা-১ (Egra) ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল এলাকায়।স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। এই ঘটনায় ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে উদ্ধার কাজ চলছে। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এদিন বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়েছিল। এলাকায় আগুন ধরে যায় একটি বাড়িতে। তৈরি হয় চরম আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এর আগেও পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ওই ঘটনায় ৩ জন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এগরার (Egra) সাহারা অঞ্চলের খাদিকুল গ্রামে একটি বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বেশ কয়েকজন ঘরের ভিতরে ছিলেন। আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বাড়িটির ভিতর থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে বাড়িটি শ্মশানভূমিতে পরিণত হয়। বাড়ির ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন গুরুতর জখম হন। বাকিদের মৃত্যু হয়। তবে, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট করে এলাকাবাসী বলতে পারেননি। পরে ৯টি দেহ উদ্ধার হয়। অনেক দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। আশপাশের গ্রামের মানুষও ছুটে আসেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী।

    কী অভিযোগ এলাকাবাসীর?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশকে টাকা দিয়ে গ্রামের মধ্যে রমরমিয়ে এই বাজি কারখানা চলত। পুলিশ জেনেবুঝেও কিছু বলত না। আর পুলিশের উদাসীনতার জন্যই আজ এতবড় ঘটনা ঘটেছে। তবে তাঁরা বলেন, কী করে বিস্ফোরণ হল, তা আমরা জানি না। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ওই বাড়িতে বেআইনি বাজি তৈরি হত। একাধিকবার পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিন বাজি তৈরি হওয়ার সময় সেখানেই কোনওভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে। ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বাড়ির পাশে পুকুরে তল্লাশি চালানো হবে।

    ট্যুইট করলেন শুভেন্দু অধিকারী

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এগরার (Egra) সাহারা অঞ্চলের স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণপদ বাগের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে। মমতার পুলিশ মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rojgar Mela: ‘রোজগার মেলা’য় বাংলার যুবক-যুবতীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    Rojgar Mela: ‘রোজগার মেলা’য় বাংলার যুবক-যুবতীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার, ১৬ মে পঞ্চম পর্বের ‘রোজগার মেলা’ (Rojgar Mela) অনুষ্ঠিত হল দেশের ৪৫টি স্থানে। এর মধ্যে অন্যতম কেন্দ্র হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur)। পঞ্চম পর্বের এই রোজগার মেলায় দেশজুড়ে ৭১ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে তাঁরা নিয়োগ পেলেন। ভার্চুয়ালি তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আইআইটি খড়্গপুরের নেতাজি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ‘রোজগার মেলা’ থেকে শতাধিক চাকরিপ্রার্থী বা কর্মপ্রার্থীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের যুবকল্যাণ ও স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বাংলার ২৫ জন যুবক-যুবতীর হাতে সরাসরি নিয়োগপত্র তুলে দিলেন।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক?

    এদিন, আইআইটি খড়্গপুরের প্রেক্ষাগৃহ থেকে সব মিলিয়ে ২৬০ জন প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। রেল, আইআইটি, ডাক বিভাগ (পোস্টাল) সহ বিভিন্ন দফতরে নিয়োগপত্র পেলেন তাঁরা। এর মধ্যে প্রায় ১০০’র কাছাকাছি শুধু ডাক বিভাগেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে জানা যায়। এদিনের অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বেও ছিল ডাক বিভাগ। এদিন আইআইটি খড়্গপুরের এই রোজগার মেলায় (Rojgar Mela) উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক সহ আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা ভি কে তেওয়ারি, সহ অধিকর্তা অমিত পাত্র, নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) তমাল নাথ প্রমুখ। মন্ত্রী নিশীথকুমার প্রামাণিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ে, পোস্টাল সহ কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত দফতরের শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগী। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ বা দফতরে ৭১,২০৬ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল দেশজুড়ে।” তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে বিভিন্ন স্থানে আমরা গিয়েছি। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী যে কথা দিয়েছিলেন, তা রেখেছেন। তাই তাঁকে ধন্যবাদ জানাব। যাঁরা চাকরি পেলেন, তাঁদের পরিবার যে কতখানি আনন্দিত, তা এই মেলায় এসেই আমরা প্রত্যক্ষ করলাম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinsurah: জলন্ধরে অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম চুঁচুড়ার মৃত্তিকা, এবার পাড়ি ইতালিতে

    Chinsurah: জলন্ধরে অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম চুঁচুড়ার মৃত্তিকা, এবার পাড়ি ইতালিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবায় প্রশিক্ষণ শুরু সাত বছর বয়সে। বর্তমানে বয়স পনেরো। মাত্র আট বছরের প্রশিক্ষণে আটবারের বেশি জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে চুঁচুড়ার (Chinsurah) কাপাসডাঙার বাসিন্দা মৃত্তিকা মল্লিক। আগামী নভেম্বরে ইতালিতে বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে সে। কিন্তু সরকারি কোনও অনুদান নেই বলে অভিযোগ করলেন বাবা।

    কে মৃত্তিকা মল্লিক?

    চুঁচুড়ার (Chinsurah) ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মৃত্তিকা। এবছর জলন্ধরে আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। এই মাসের ১ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষ করে বৃহস্পতিবার ঘরে ফিরেছে সে। এই সাফল্যের উপর ভর করে আগামী নভেম্বরে ইতালিতে আয়োজিত বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় সুযোগ করে নিয়েছে মৃত্তিকা। বাবা অরিন্দম পেশায় কেবল ব্যবসায়ী ও মা মীনাক্ষী গৃহবধূ। দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মৃত্তিকা।

    খেলার প্রতি আকর্ষণ কীভাবে?

    ছোট থেকেই মৃত্তিকা নিজের পাড়ার (Chinsurah) কাকুদের তাস খেলা দেখতে ভালোবাসত। বুদ্ধিদীপ্ত খেলার প্রতি আকর্ষণ বুঝতে পেরেই ছোট মেয়েকে দাবার প্রশিক্ষণ শিবিরে ভর্তি করেন মৃত্তিকার বাবা-মা। শুরুতে মাত্র দু’বছরের প্রশিক্ষণ নিয়েই প্রথমবারের জন্য অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে ইতালিতে বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় সুযোগ পায় মৃত্তিকা।

    খেলায় সাফল্য

    দেশীয় স্তরে তিনবার প্রথম হয়েছে মৃত্তিকা (Chinsurah)। ইতিমধ্যে তিনবার আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েছে সে। তার মধ্যে এশিয়া যুব দাবা প্রতিযোগিতায় একবার করে রূপো ও ব্রোঞ্জ এবং অনূর্ধ্ব ১৪ বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান দখল করে। এরপর রয়েছে নভেম্বরে আরও কড়া চ্যালেঞ্জ। জলন্ধর থেকে ফিরেই তাই দাবার বোর্ডে মন দিয়েছে মৃত্তিকা। সামনের বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই দু’দিক সামলাতে চাপটাও অনেক বেশি। তবে আপাতত পড়াশোনা ঘণ্টা দু’য়েকই করতে পারছে সে। কারণ দিনের প্রায় ১৪ ঘণ্টা নতুন নতুন চাল খুঁজে বেড়ায় সে। যে করেই হোক ইতালিতে দেশের হয়ে বাজিমাত করাই এখন তার জীবনের লক্ষ্য।

    অবিভাবকের আশা

    বাবা অরিন্দমবাবু বলেন, মেয়ে আপাতত সপ্তাহে দু’দিন গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়ার কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে লড়াইয়ের জন্য আরও প্রশিক্ষণের দরকার। আর দাবাতে এই প্রশিক্ষণই ব্যাপক ব্যয়বহুল। তাঁর অভিযোগ, অন্য রাজ্যে দাবায় সরকারি অনুদান এলেও এ রাজ্যে (Chinsurah) তা আসে না বললেই চলে। তাই বহু বাঙালির প্রতিভা মাঝপথে নষ্ট হয়ে যায়। এখন এই আর্থিক অভাব কাটাতে মল্লিকার পাশে সরকার কতটা দাঁড়ায়, সেটাই দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Molestation: ভণ্ড তান্ত্রিককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর, গ্রেফতার করল পুলিশ, কেন জানেন?

    Molestation: ভণ্ড তান্ত্রিককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর, গ্রেফতার করল পুলিশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তন্ত্রসাধনার মাধ্যমে অসুস্থ ১৬ বছরের নাবালিকাকে সুস্থ করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এক ভণ্ড তান্ত্রিক। নাবালিকার পরিবারের লোকজন তা বিশ্বাস করেছিলেন। আর ওই নাবালিকার সঙ্গে শ্লীলতাহানি (Molestation) করার অভিযোগ উঠল ভণ্ড ওই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। ভণ্ড ‘তান্ত্রিকের’ কীর্তি জানাজানি হতেই সোমবার গ্রামবাসীরা তাকে আটকে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ এসে বিষ্ণুপদ হাজরা (৬২) নামে ওই ‘তান্ত্রিককে’ গ্রেফতার করে। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সবং থানার তিন নম্বর দাঁদরা অঞ্চলের নীলা এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপদ হাজরা নামে ৬২ বছর বয়সী এক প্রৌঢ় বাড়িতে তন্ত্র সাধনা করতেন। সোমবার ওই এলাকার ১৬ বছরের এক নাবালিকা শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয় তার পরিবার। তারপর তাকে তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে আসা হয়। তখন ওই তান্ত্রিক পরিবারের সদস্যদের নাবালিকাকে তার বাড়িতে রেখে চলে যাওয়ার কথা বলেন। একা পেয়ে তন্ত্রসাধনার নাম করে বাড়ির ভিতরে নাবালিকার শ্লীলতাহানি (Molestation) করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে ওই নাবালিকা বাড়িতে ফেরার পর কান্নাকাটি করে সব কথা সে খুলে বলে। তারপর পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত ভণ্ড বিষ্ণুপদ হাজরার বাড়িতে হাজির হন। তার এই কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার সাধারণ মানুষ। তাকে খুঁটিতে বেঁধে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তন্ত্রসাধনার জিনিসপত্রে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সবং থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী বললেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তা?

    জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে হনুমানের মাথার খুলি ও বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতকে জেরা করা হবে। এর পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River: পরিকল্পনা করেই বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে আস্ত একটি নদী! কী বলছেন এলাকার মানুষ?

    River: পরিকল্পনা করেই বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে আস্ত একটি নদী! কী বলছেন এলাকার মানুষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঝলক দেখলে মনে হবে, জঙ্গলে ঘেরা কোনও নালা। আসলে যে এটি একটি আস্ত নদী (River) ছিল, সে কথা বলে না দিলে বোঝা দায়। অভিযোগ, যতটুকুও বা নদী রয়েছে, তার পাড় দখল করে চলছে নির্মাণ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ব্রাহ্মণী নদী এভাবেই এক বিপন্ন নদীতে পরিণত হয়েছে। অথচ হুঁশ নেই প্রশাসনের।

    মুছে যাবে নদীর নাম, আশঙ্কা অনেকেরই

    গঙ্গারামপুরের কালীতলায় পুনর্ভবা থেকে একশো মিটার দূরত্বে রয়েছে এই ব্রাহ্মণী নদী। দক্ষিণ দেবীপুরে পুনর্ভবা থেকে শাখানদী রূপে বেরিয়ে এসেছে ব্রাহ্মণী। তারপর নালাগোলার কাছে টাঙনে এসে মিশেছে। স্থানীয়দের দাবি, বছর দশেক আগেও এই নদীতে ভালো জল বইত। পাওয়া যেত মাছ। এলাকার মৎসজীবীরা এই নদী (River) থেকে মাছ তুলে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন আর ব্রাহ্মণীতে জল নেই। শুধু রয়েছে আগাছা ও ঝোপঝাড়। অভিযোগ, এলাকার আবর্জনা ও বর্জ্য নিয়মিত এই নদীতে ফেলে কার্যত পরিকল্পনা মাফিক নদীকে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, নদী বুজিয়ে তার পাড় দখল করে তৈরি হচ্ছে বাড়ি, দোকান। অবশিষ্ট যেটুকু নালার মতো রয়েছে, সেখানেও আবর্জনা ফেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, নদীর এমন অবস্থা থাকলে আগামী দিনে ব্রাহ্মণী নদীর নাম মুছে যাবে। পরিবেশকর্মী তুহিনশুভ্র মণ্ডল বলেন, “বিপন্নতম নদীতে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণী। নদী দখল হয়ে বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। একটা গোটা নদীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” পরিবেশকর্মীদের দাবি, এতে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে।

    কী বলছেন সেচ দফতরের কর্তারা?

    সেচ দফতরের দাবি, এই নদীকে (River) সচল করতে তারা সমীক্ষা করেছে। কিন্তু সেই সমীক্ষা ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে উপরমহলে, এমনটাই খবর। সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার দেবব্রত পাল বলেন, “বছর দেড়েক আগে একটি সমীক্ষা করে আমরা পাঠিয়েছিলাম। সংস্কার করে নদীকে বাঁচানোই ছিল উদ্দেশ্য। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে এখনও কিছু নির্দেশ আমরা পাইনি।”

    কী বললেন মহকুমা শাসক?

    গঙ্গারামপুরের মহকুমাশাসক পি প্রোমথ বলেন, “ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের দ্রুত এলাকা (River) পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বলব। কেউ দখল করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share