Tag: Madhyom

Madhyom

  • TMC: কুড়মিদের নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়াল না দল, কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: কুড়মিদের নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়াল না দল, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়মি আন্দোলন নিয়ে বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের (TMC) কো-অর্ডিনেটের  অজিত মাইতির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তোলপাড় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজনীতি। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে কুড়মি জনজাতির মধ্যেও। দিকে দিকে কুড়মি অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। অবশেষে কার্যত চাপে পড়ে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত অজিত মাইতির। এমন বক্তব্যকে দল সমর্থন করে না। অজিত মাইতির পাশে যে দল নেই তা জেলা সভাপতির বক্তব্যেই স্পষ্ট। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    জেলা সভাপতির নির্দেশের পরও ফের বেফাঁস অজিত মাইতি, কী বললেন?

    একদিকে যখন জেলা সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করছে তখন ফের বেলাগাম অজিত মাইতি। কুড়মি সমাজের মানুষেরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলকে দেওয়াল লিখতে দেওয়া হবে না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরোধিতা করে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অজিতবাবুর  হুঁশিয়ারি, আমরা হাতে চুড়ি পড়ে বসে নেই। দেওয়াল আমরা লিখবই। দাসপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সফরের প্রস্তুতি সভা থেকেই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। উল্লেখ্য, অজিতবাবু কুড়মি নেতাদের খালিস্তানপন্থী নেতাদের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁর মন্তব্যের পর থেকেই কুড়মি আন্দোলন সম্পর্কে অজিত মাইতির মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অপমানিত হয়ে পথে নেমেছে কুড়মি সমাজ।  অবিলম্বে অজিত মাইতিকে ক্ষমা চাইতে হবে এমন দাবিতে সরব হয়েছে কুড়মি জনজাতির মানুষেরা। এই আবহেও ক্ষমা চাওয়া তো দূর অস্ত, শাসকদলের দাপুটে নেতার ঔদ্ধত্যে স্তম্ভিত শাসক দলের একাংশ। সব মিলিয়ে দল পাশে না থাকলেও তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অজিত মাইতির মুখে যে লাগাম টানা যাচ্ছে না তা কার্যত স্পষ্ট। দেওয়াল লিখন নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন,  দেওয়াল লিখনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। গায়ের জোরে দেওয়াল লিখনের কোনও প্রশ্নই আসে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জেলা তৃণমূল সভাপতি ছুটলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে, কোন্দল কি মিটল?

    TMC: জেলা তৃণমূল সভাপতি ছুটলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে, কোন্দল কি মিটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সাক্ষাৎ হল বিধায়ক ও জেলা সভাপতির। অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশমতো রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। এদিন সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সাম্প্রতিক নানা ঘটনাবলীতে তিক্ততার সূত্রপাত হলেও, অবশেষে তার অবসান ঘটল বলে আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিবাদ কি আদৌ মিটল? সন্দিহান জেলার মানুষই।

    কীভাবে বিবাদে জড়িয়েছিল দু-পক্ষ?

    রবিবার রাতে ইসলামপুরের গোলঘরে বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিধায়কের সংঘাতের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় গত ৩০ শে এপ্রিল অভিষেক ব্যানার্জি ইসলামপুরে সভা করলেও সেখানে আমন্ত্রণ পাননি বিধায়ক। এরপর বিধায়কের বাড়িতে অভিষেক ব্যানার্জির আসার সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও বাস্তবে তা হয়নি। যা নিয়ে নিজের হতাশা ও ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তিনি। গত ২রা মে রায়গঞ্জ থানার দুর্গাপুরে অভিষেক ব্যানার্জির ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকেও আব্দুল করিম চৌধুরী অনুপস্থিত থাকায় রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাঁকে বিদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করাতেই এই বৈঠক বয়কট বলে দাবি করেছিলেন বিধায়ক। এই বৈঠকেই জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে ররিবার বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল। 

    বৈঠক নিয়ে কে কী বললেন?

    সেখানে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, আগেরদিন ইটাহারে যে সমাবেশ হয়েছিল, সেখানে আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনি একবার করিম সাহেবের বাড়ি যান। আমাকে নির্দেশ দেওয়াতেই আমি করিম সাহেবের বাড়ি যাই। গত পরশু আমি উনাকে ফোন করি এবং তারপর গতকাল উনার বাড়িতে যাই। সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে, এটুকুই শুধু। অন্যদিকে জেলা সভাপতির আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান তিনিও। পাশাপাশি জেলায় দল (TMC) পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজের মতামত ও প্রস্তাবনা জেলা সভাপতির সামনে তুলে ধরেছেন, এমনটাও জানিয়েছেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda River: কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে নদী, সংস্কারের দাবি জানালেও নির্বিকার পঞ্চায়েত!

    Malda River: কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে নদী, সংস্কারের দাবি জানালেও নির্বিকার পঞ্চায়েত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের টাঙ্গন নদী (Malda River) কার্যত ধুঁকছে। নদীর স্রোত একেবারে নেই বললেই চলে। এর গভীরতাও আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, নদীর জলের চারদিক কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে। এর জন্য নদী সংলগ্ন স্থানীয় মানুষদের পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের স্নানের জন্য জলে নামতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই এখন বাধ্য হয়ে কচুরিপানা সরিয়ে জলে ডুব দিচ্ছেন, জামাকাপড় ধোয়ার কাজ করছেন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    নদীতে স্নান করতে এসে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন অনেকে। স্থানীয় মহিলা সন্ধ্যা সিংহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের প্রচণ্ড সমস্যা। এতটাই সমস্যা যে বলার নয়। নদীর (Malda River) অবস্থা বেহাল। তবুও এদিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। নদীর দ্রুত সংস্কার করা উচিত। নদীতে নেমে স্নান করার মতো পরিস্থিতি নেই। জল থেকে গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাতেই স্নান করতে হয়। বাড়ির কলে জল ওঠে না। তাই নদীতেই কাচাকুচি করতে হয়। জামাকাপড় ধুয়ে নিয়ে গিয়ে আবার সাবমার্শিবলের জলে ধুতে হচ্ছে। জল পচে গন্ধ ছড়ানোয় বিভিন্ন অসুখ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

    কী আশ্বাস দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    নদীতে (Malda River) কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে অনেক সুবিধা হবে, এই আর্জি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অমৃত হালদারকে জানানো হয়। কিন্তু সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। অমৃতবাবু বলেন, বিষয়টি অনেকদিন ধরে নজরে রয়েছে। এমনভাবে চারদিক কচুরিপানায় ভরে গেছে যে নদীতে কেউ নামতে পারছে না। অনেকেই আমার কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাঁদের সুবিধার জন্য ব্যারিকেড করে দিয়েছে। তবে এমনিতেই নদীটির স্রোত একেবারেই নেই। জল অনেক কমে গিয়েছে। যার ফলে কচুরিপানা আটকে পড়ছে। খুব শীঘ্রই লোক লাগিয়ে কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি ব্লকে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: বছরভর হয়নি তেমন কাজ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকায় বিরক্ত কেন্দ্র! 

    Dengue Fever: বছরভর হয়নি তেমন কাজ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকায় বিরক্ত কেন্দ্র! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষা শুরু হলেই ডেঙ্গি (Dengue Fever) এরাজ্যে মহামারির আকার ধারণ করে। শুরু হয় মৃত্যুমিছিল। তাই ডেঙ্গি রুখতে কাজ দরকার বছরভর। কিন্তু অভিযোগ, উদ্যোগ নেই। পুরসভা, পঞ্চায়েত, এমনকী স্বাস্থ্য দফতরেরও তেমন হেলদোল নেই। এদিকে এবছরও রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ ভয়ানক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বিরক্ত কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    কী বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? 

    সম্প্রতি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি (Dengue Fever) নিয়ে ঠিকমতো তথ্য দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এরপরই স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সূত্রের খবর, ডেঙ্গি এরাজ্যে বছরভর হচ্ছে। এমনকী শীতকালেও ডেঙ্গির থেকে রেহাই পায়নি রাজ্যবাসী। যদিও নভেম্বর থেকে প্রকোপ একটু কমেছিল। তা সত্ত্বেও ডেঙ্গি নিয়ে লাল সতর্কতা জারি রাখা জরুরি বলেই মত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। যদিও রাজ্যের তরফে বিশেষ তৎপরতা নেই বলেই জানিয়েছে মন্ত্রক। ডেঙ্গির মোকাবিলা করা কোনও একটি বিভাগের পক্ষে সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য দফতর মূখ্য ভূমিকা নিলেও পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, পঞ্চায়েত ও পূর্ত বিভাগের ভূমিকাও এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পুরসভার ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, ডেঙ্গি রুখতে যেমন আক্রান্তকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে হবে, তেমনি এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, জল জমতে না দেওয়া, রাস্তা ঠিক করার মতো বিষয়গুলি সংক্রমণ রুখতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ঠিকমতো সেইসব কাজ হচ্ছে না। বিশেষত, সারা বছর পুরসভার যে সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার, তা নেই। 

    অভিযোগ কী কী? 

    গত বছর কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলিতেও ডেঙ্গির (Dengue Fever) প্রকোপ হয়েছিল মারাত্মক। হাওড়া, হুগলি ও উত্তর চব্বিশ পরগনার একাধিক পুর ও পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, এলাকা পরিষ্কার করা হয় না। সামান্য বৃষ্টিতেও জল জমছে। রাস্তার জল বাড়ির ভিতরে ঢুকে মশার আঁতুরঘর হচ্ছে। এমনকী বাসিন্দাদের একাংশ পুরসভা ঘেরাও, রাস্তা অবরোধ করেও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অনেক জায়গায়। কিন্তু তারপরে কয়েক মাস কেটে গেলেও হেলদোল নেই প্রশাসনের। অধিকাংশ জায়গায় নোংরা ঠিকমতো সরানো হয় না। রাস্তার পাশেই জঞ্জাল পড়ে থাকে। নর্দমাও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। আর রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। অনেক জায়গায় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ফের বর্ষাকালে তাদের জন্য ভোগান্তি অপেক্ষা করছে। প্রত্যেক বছর ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের মানুষ নাজেহাল হন। প্রাণ হারাতে হয় বহু মানুষকে। তবে, এই বছরেও যে তার ব্যতিক্রম হবে, এমন প্রত্যাশা নেই বিশেষজ্ঞ মহলের। বছরভর ডেঙ্গি মোকাবিলা করলেও যে সমস্যাগুলো হচ্ছে, তার ঠিকমতো সমাধান করলে তবেই পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারতো। কিন্তু প্রশাসনের নজরদারির অভাব হলে সেই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    স্বাস্থ্য দফতর কী বলছে? 

    বছরের ডেঙ্গি (Dengue Fever) মোকাবিলা কেমন,  সে সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, কাজ হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও স্বাস্থ্য মন্ত্রক কেন তাদের কাজে সন্তুষ্ট নয়, সেই প্রশ্নের অবশ্য কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুরের, হতাশ জেলার বাসিন্দারা

    West Bengal Health: মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুরের, হতাশ জেলার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুরের। আপাতত এই জেলায় মেডিক্যাল কলেজ করা যাচ্ছে না বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর স্পষ্ট করে হাইকোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে। আর তারপরই এ নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলাটি ইতিমধ্যে খারিজ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী। ফলে জেলার বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় (West Bengal Health) বদল আনার জন্য মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের যে দাবি উঠেছিল, তাও আপাতত থমকে গিয়েছে।

    একাধিকবার দাবি উঠেছে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের 

    দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্ত হিসেবে বরাবরই পিছিয়ে পড়া জেলা। এই জেলার সদর হাসপাতালে বহু রোগের চিকিৎসা হয় না। ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সামান্য জটিলতা দেখা দিলে ভিন জেলা বা রাজ্যসদরে ছুটতে হয়। এছাড়া জেলা থেকে প্রতিবার বহু ছেলেমেয়ে বাইরে ডাক্তারি পড়তে যায়। এই জেলায় শুধুমাত্র চিকিৎসা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজের প্রয়োজনীয়তা নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও মেডিক্যাল কলেজের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলার হিলি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ কলকাতা বা চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করতে যায়। মেডিক্যাল কলেজ হলে বাংলাদেশীরাও চিকিৎসা করতে আসবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে ৩৩.৭২ একর জমি রয়েছে, যা মেডিক্যাল কলেজের জন্য পর্যাপ্ত বলেই জানা গিয়েছে। তবে জেলার স্বাস্থ্য (West Bengal Health) দফতর থেকেও দীর্ঘদিন আগে মেডিক্যাল কলেজের প্রস্তাব পাঠানো হয়। এছাড়া জেলার বিধায়ক, এমপিরাও একাধিকবার মেডিক্যাল কলেজের দাবি তোলেন।

    হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলায় কী হল?

    এদিকে গত বছর মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্য হাইকোর্টে জেলার এক সমাজসেবী জনস্বার্থ মামলা করেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ রাজ্যকে দিয়েছিলেন বিচারপতি। এই নির্দেশ ঘিরে জেলায় খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু গত মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী অশোক হালদারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, মেডিক্যাল কলেজ আপাতত স্থাপন করা সম্ভব নয়। আইনজীবী অশোক হালদার বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশেই বিষয়টি চিঠি দিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য (West Bengal Health) দফতরকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, আপাতত দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। রাজ্যে আপাতত ৩৩টি মেডিক্যাল কলেজ চলছে এবং গত বছর যেহেতু নতুন ছ-টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন হয়েছে রাজ্যে, তাই সেগুলির পরিকাঠামো গড়ার কাজে আপাতত মনোনিবেশ করতে চায় রাজ্য। আর দক্ষিণ দিনাজপুরে যেহেতু বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর মিলিয়ে দুটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে, তাই আপাতত দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ করার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন। 

    নতুন করে মামলা হতে পারে

    কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কল্যাণকুমার চক্রবর্তী বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মেডিক্যাল কলেজের ভীষণ দরকার। কারণ এই জেলায় ২০ লক্ষ মানুষ একটা জেলা হাসপাতালের উপর নির্ভর করে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা অত্যাধুনিক পরিকাঠামো নেই। আপাতত রাজ্য স্বাস্থ্য (West Bengal Health) দফতর বিষয়টি বিবেচনা না করলেও আগামী দিনে আমরা নতুন করে মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সভা ফেরত বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ফের আক্রান্ত, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সভা ফেরত বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ফের আক্রান্ত, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুরে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রতিবাদ সভা থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে জেলা জুড়ে এক ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচি চলাকালীন পটাশপুরে অবরোধকারীদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের সেই লাঠিচার্জের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে পটাশপুরের দাইতলা বাজারে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। প্রশাসনিক অনুমতি না মেলায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পথসভার মধ্য দিয়েই প্রতিবাদ সভা শেষ করতে হয় বিজেপিকে। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চলে যাওয়ার পরই সভা থেকে ফেরার সময় পটাশপুর বাজারের কাছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সামনেই এই হামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। অনেকের মোবাইলও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির এই অভিযোগ ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পটাশপুরে।

    এদিনের প্রতিবাদ সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কী বললেন?

    রবিবার বিকেলে পটাশপুরে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, গোটা রাজ্য চুরি, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। রাজ্যবাসী পার্থ-অর্পিতার, কেষ্ট-সুকন্যার খেলা দেখেছেন। একইসঙ্গে মানিক-জীবনকৃষ্ণের খেলা সকলে দেখেছেন। শুধু পিসি-ভাইপোর খেলাটা বাকি রয়েছে, ওটাও হয়ে যাবে। এই রাজ্যে বিচারব্যবস্থা দুর্নীতির মূল উত্পাটন করতে চাইছে। কোনও বিশেষ বিচারপতি বা আইনজীবী নয়, সমগ্র বিচারব্যবস্থা এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমার বিরুদ্ধে এই সরকার ৩০টি মামলা করেছে, সাতবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। কিন্তু, হতাশ হয়ে ফিরেছে। আজ আইনকে সম্মান জানাতেই আমি সভা করলাম না। আগামী রবিবার এই পটাশপুরে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বিরাট জনসভা করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari) ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের কড়া মনোভাব টের পেয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রী ছুটলেন পাকিস্তানে

    Jammu and Kashmir: কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের কড়া মনোভাব টের পেয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রী ছুটলেন পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: Shanghai Corporation Organisation (SCO)-এর বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সাফ জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবে। গোয়ায় এই বৈঠকে হাজির ছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। এবার কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) ইস্যুতে পাকিস্তানের সুরে সুর মেলাতে ইসলামাবাদ উড়ে গেলেন চিনা বিদেশমন্ত্রী কিম। প্রসঙ্গত, চিনা বিদেশমন্ত্রীও হাজির ছিলেন গোয়ায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে। অন্যদিকে, লাহোরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিলাওয়ালের ভারত সফরকে কটাক্ষ করলেন, সেদেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রাক্তন পাক অধিনায়কের মতে, দেশ এই সময় ঘোর আর্থিক সংকটে ধুঁকছে, এমন পরিস্থিতিতে বিলাওয়াল পাকিস্তানের টাকায় বিদেশ সফর করছে। ইমরানের আরও প্রশ্ন, বিলাওয়ালের এই ভারত সফরে পাকিস্তানের কী লাভ হল, তা পাকিস্তানবাসী জানতে চায়। প্রসঙ্গত, ভারত সফরে এসে কড়া কথাবার্তাই হজম করতে হয় বিলাওয়ালকে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, তাই হয়তো ইমরানের এই খোঁচা।

    প্রসঙ্গ কাশ্মীর…

    ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ উঠতেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়ালকে বলেছিলেন, জেগে উঠুন, কফির ঘ্রাণ নিন, ৩৭০ ধারা এখন অতীত। পাশাপাশি, বিলওয়ালকে টেররিস্ট ইন্ডাস্ট্রির মুখপাত্র বা এজেন্ট বলেও তোপ দাগেন এস জয়শঙ্কর। হজম করতে হয় পাকিস্তানকে। ভারতের সাফ বক্তব্য ছিল, সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। এরই মাঝে শ্রীনগরে জি২০ সম্মেলনের আগে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গও ওঠে বৈঠকে। ভারতের তরফ থেকে বলা হয়, শ্রীনগরে জি২০ সম্মেলন হবে, এতে পাকিস্তানের আপত্তি কিসের? বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, জি২০ সম্মেলন শ্রীনগরে হওয়াতে খুশি নয় পাকিস্তান, তার প্রতিফলন ধরা পড়ছে বিগত একমাস ধরে জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলায়। কে না জানে, এগুলো পাক মদতেই সম্পন্ন হচ্ছে। অন্যদিকে চিনের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক যে স্বাভাবিক নয়, তা সেদেশের বিদেশমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের দাবি, কাশ্মীর আন্তর্জাতিক ইস্যু। পাকিস্তানের দাবিকে মান্যতা দিতেই কি চিনের বিদেশমন্ত্রীর ইসলামাবাদ সফর? এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: ক্যান্সার আক্রান্ত যুবকের পাশে নিশীথ প্রামাণিক, কুর্নিশ জানালেন শীতলকুচিবাসী

    Nisith Pramanik: ক্যান্সার আক্রান্ত যুবকের পাশে নিশীথ প্রামাণিক, কুর্নিশ জানালেন শীতলকুচিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোট-পরবর্তী হিংসায় জখম হয়েছিলেন রামু বর্মন। সেই সময় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব পাশে ছিলেন। সেই রামু দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। রোগের নাম শুনে পাহাড় ভেঙে পড়ে পরিবারের মাথায়। সামান্য কৃষিকাজ করে সংসার চলে তাঁদের। কোচবিহারের শীতলকুচির খলিশামারি গ্রামের চেঞ্জের কুঠি এলাকায় রামুর চিকিত্সা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী  নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ত্রাতার মতো এই পরিবারের পাশে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ছেলের চিকিত্সার ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Nisith Pramanik) ।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Nisith Pramanik)?

    বর্মন পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে শনিবার নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)  ও জেলা সভাপতি সুকুমার রায়, স্থানীয় বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন-সহ স্থানীয় নেতৃত্বরা রামুর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর পরিবারকে ১২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পাশাপাশি যাতায়াতের জন্যও সমস্ত খরচ বহন করা হবে বলে আশ্বাস দেন। নিশীথবাবু বলেন, রামুর বয়স ২৩ বছর। বাইরে থেকে তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই , তিনি এরকম একটি রোগে আক্রান্ত। তাঁর চিকিত্সার জন্য বিপুল পরিমাণ খরচ। সেই খরচ  আমরা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদিন তাঁর বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে সেই বার্তা দিয়ে গেলাম।

    কী বললেন রামুর পরিবারের লোকজন?

    মন্ত্রীর সাহায্যে স্বাভাবিকভাবেই আবেগে আপ্লুত রামুর পরিবারের লোকজন। রামুর বাবা হীরালাল বর্মন বলেন, ছেলের রোগ ধরা পড়ার পর আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এই রোগের চিকিৎসা করার কোনও সামর্থ্য আমাদের ছিল না। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। নিশীথবাবু সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসায় আমরা খুশি। নিশীথের উদ্যোগে প্রশংসা করছেন শীতলকুচির মানুষরাও। এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাঁর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (Nisith Pramanik) এই উদ্যোগে গেরুয়া শিবিরের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School Hygiene: অনেক স্কুলেই নেই শৌচালয়, হাইজিন উইক-এ কাঠগড়ায় রাজ্যের পরিকাঠামো! 

    School Hygiene: অনেক স্কুলেই নেই শৌচালয়, হাইজিন উইক-এ কাঠগড়ায় রাজ্যের পরিকাঠামো! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সুস্থ থাকার প্রথম শর্ত পরিচ্ছন্নতা! হাত-পা পরিষ্কার করা, নিয়মিত স্নান, শৌচালয়ের ব্যবহার, শৌচাগারে পর্যাপ্ত জলের ব্যবহার আর মেয়েদের ঋতুস্রাব হলে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, এগুলি সম্পর্কে স্কুলেই পাঠ দেওয়া হোক শিশুদের। স্বাস্থ্যবিধি (School Hygiene) নিয়ে সতর্কতা তৈরি হলে জনস্বাস্থ্য নিয়েও সচেতনতা তৈরি হবে। এমনই পরিকল্পনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। মে মাসে তাই হাইজিন উইক পালন করা হয়। কিন্তু যে রাজ্যের একাধিক জেলায় স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই, সেখানে স্বাস্থ্যবিধির পাঠ অনেকটাই সোনার পাথরবাটি বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

    কী অবস্থায় রয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলি? 

    সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংস্থা বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, অসম সহ পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যের স্কুল নিয়ে সমীক্ষা চালায়। স্কুলের স্বাস্থ্যবিধির (School Hygiene) পরিকাঠামো নিয়েই মূলত ওই সমীক্ষা হয়। তার রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বহু স্কুল ‘নো-টয়লেট’! অর্থাৎ, স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূমের অবস্থা এরমধ্যে সবচেয়ে শোচনীয়! জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুরের ২২ শতাংশ স্কুল ‘নো-টয়লেট’ অর্থাৎ, ২২ শতাংশ স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই। বীরভূমের ১৭ শতাংশ স্কুল ও পুরুলিয়ার ১২ শতাংশ স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই। 

    স্কুলে শৌচালয় না থাকায় কোন সমস্যা বাড়ছে?

    স্কুলে শৌচালয় (School Hygiene) না থাকার জেরে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। বিশেষত মেয়েরা স্কুলছুট হচ্ছে। কারণ, ঋতুস্রাবের সময় তাদের শৌচালয়ের বিশেষ প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই ন্যূনতম পরিকাঠামো না থাকায়, তাদের সমস্যা হয়। তাই ঋতুস্রাব হলে অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকায় মেয়েরা স্কুলেই যায় না। তাছাড়া, তাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার সম্পর্কেও সচেতন করা হয় না। ফলে, নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। স্কুলে শৌচালয় না থাকা এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বলেই জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। স্কুলপড়ুয়ারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে তখনই ওয়াকিবহাল হবে, যখন তারা অন্তত শৌচালয় ব্যবহারের সুযোগ পাবে। সেই পরিকাঠামো না থাকলে, স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন, এই শব্দগুলি শুধু বইয়ের পাতার শব্দ হয়েই থেকে যাবে। জীবনে তার প্রয়োগ করতে তারা শিখবে না। স্কুলে শৌচালয় না থাকার জন্য নানা রোগের শিকার হচ্ছে পড়ুয়ারা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, করোনা মহামারির সময় মানুষ টের পেয়েছেন, হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি কতখানি জরুরি। রোগ সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি কতখানি সাহায্য করে। কিন্তু যেখানে রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলে শৌচালয়, জলের কল নেই, সেখানে নানা সংক্রামক রোগ শক্তি বাড়াবে এবং পড়ুয়ারাও নানা ভাইরাসঘটিত রোগে ভুগবে, এই আশঙ্কা অমূলক কিছু নয়। কলেরা, ডায়ারিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি তাই সব সময় গ্রামীণ এলাকায় বেশি হচ্ছে। বিশেষত এ রাজ্যের শিশুদের মধ্যে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায়ই জানা যায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, স্কুলে শৌচালয় না থাকার জেরেই এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

    কী বলছে ইউনিসেফ? 

    করোনা মহামারির প্রথম পর্ব শেষ হতেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ইউনিসেফ (United Nations children’s Funds)। তারা এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, করোনা মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্তত সজাগ হোক সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধির তালিম দেওয়া হোক। বিশেষত হাত ধোয়ার উপরে বাড়তি জোর দেওয়া হোক। কীভাবে সাবান দিয়ে দু’হাত ঘষে ধুতে হবে, তা নিয়ে তাদের সচেতন করতে হবে। তবে, সেই বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছিল, অধিকাংশ স্কুলে পর্যাপ্ত জল নেই। তাই কতখানি স্বাস্থ্যবিধি (School Hygiene) বজায় থাকবে, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাবে। রাজ্যের কয়েক হাজার স্কুলপড়ুয়া নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে, রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই পড়াশোনা করছে। মহামারির একাধিক ঢেউ পেরিয়েও হুঁশ ফেরেনি রাজ্য সরকারের। নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি, মিড-ডে মিল নিয়ে গড়মিলের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে শিশুদের নূন্যতম সুরক্ষা কবচ। এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: কুড়মি নেতাদের খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে তুলনা, তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল

    TMC: কুড়মি নেতাদের খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে তুলনা, তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়মিদের আন্দোলনের সর্বাত্মক বিরোধিতা করা হবে। কিছু কুড়মি নেতা স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতার মতো আচরণ করছেন। সরকারকে টেনে নামানোর চেষ্টা যাঁরা করছেন, তাঁদের কোনওভাবেই সমর্থন নয়। কুড়মি আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। ১৪ ই মে মেদিনীপুর শহরে আদিবাসী জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা। তৃণমূল নেতার এমন মন্তব্যে শাসকদলের সঙ্গে কুড়মি সমাজের সংঘাত বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অজিত মাইতি?

    এবার কুড়মিদের সঙ্গে কার্যত সম্মুখ সমরে শাসকদল তৃণমূল (TMC)।  উল্লেখ্য, এস টি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সিআরআই রিপোর্টের ওপর রাজ্যের তরফে জাস্টিফিকেশন পাঠাতে হবে কেন্দ্রের কাছে, এই দাবিকে সামনে রেখে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। গত এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে টানা প্রায় পাঁচদিন অবরুদ্ধ হয়েছে রেল এবং জাতীয় সড়ক। রাজ্যের তরফে বৈঠকের ডাক পেয়েও আশানুরূপ ফল না মেলায় কুড়মিদের দেওয়ালে কোনও রাজনৈতিক প্রচার নয় বলে সম্প্রতি ফরমান জারি করেছে কুড়মি সংগঠন ঘাঘরগেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। জঙ্গলমহলের একাধিক এলাকায় কুড়মিরা রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন মুছে সেখানে জয় গরাম লিখে দিয়েছে। এই আবহেই অজিত মাইতির গলায় রীতিমতো হুমকির সুর। তৃণমূল (TMC) বিধায়ক বলেন, কুড়মি আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল ও সরকারকে ছোট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু কুড়মি নেতা স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতার মতো আচরণ করছেন। তাই এই আন্দোলনের সর্বাত্মক বিরোধিতা করা হবে। শুধু এখানেই শেষ নয়, কুড়মি আন্দোলনের পিছনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মদত রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে, দেওয়াল লিখন করতে দেওয়া হবে না বলে কুড়মিদের পক্ষ থেকে যে ফরমান জারি করা হয়েছে, তা মানা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অজিতবাবু।

    কী বললেন কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি?

    পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত বলেন, আমরা নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। কিন্তু, অজিতবাবুর মতো নেতার কাছে এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য আমি আশা করিনি। তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলে এলে বিনয়ের সঙ্গে আমাদের কথা বলেন। অজিতবাবুর সেটা মেনে চলা উচিত। জঙ্গলমহলে অশান্তি ছড়ালে তার দায় অজিত মাইতিকে নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share