Tag: Madhyom

Madhyom

  • Aadhaar Update: আধার কার্ডের ছবি না-পসন্দ? সহজেই পাল্টাতে পারেন, জেনে নিন নিয়ম

    Aadhaar Update: আধার কার্ডের ছবি না-পসন্দ? সহজেই পাল্টাতে পারেন, জেনে নিন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হোক বা বেসরকারি সংস্থা! কর্মীদের জন্য থাকে একটি পরিচয়পত্র। স্কুল কলেজের ক্ষেত্রেও একই কথা। সেরকমই হল আধার কার্ড। তবে তা সারা দেশের ক্ষেত্রে। এটি একটি ১২ সংখ্যার অনন্য শনাক্তকরণ নম্বর যা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI) জারি করে। বর্তমানে এটি বিশ্বের বৃহত্তম বায়োমেট্রিক আইডি সিস্টেম হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি একটি অনন্য শনাক্তকরণ নম্বর তৈরি করতে একজন ব্যক্তির বায়োমেট্রিক ডেটা (যেমন আঙ্গুলের ছাপ, আইরিস স্ক্যান) ব্যবহার করে। এই কার্ড ব্যবহার করে যেকোনও সরকারি কাজ করা যায়। প্রয়োগ করা যায় নিজের ভোটাধিকারও।

    আধার কার্ডে আপনার ছবি কীভাবে পরিবর্তন করবেন?

    আধার কার্ডে আপনার ছবি পরিবর্তন করতে আপনাকে নিকটস্থ আধার তালিকাভুক্তি কেন্দ্রে যেতে হবে।

    আপনি https://appointments.uidai.gov.in/ এ ভিজিট করার আগে অনলাইনে নিকটতম তালিকাভুক্তি কেন্দ্রের জন্য চেক করতে পারেন।

     ১: প্রাসঙ্গিক ফর্মটি পূরণ করুন, এটি আধার তালিকাভুক্তি কেন্দ্রে জমা দিন

    ২: কেন্দ্রের অপারেটর আপনার অনুরোধ অনুযায়ী বায়োমেট্রিক বিবরণ সংগ্রহ করবে

    ৩: আপনি যদি একটি ছবি পরিবর্তন করেন, অপারেটর ছবিটি ক্যাপচার করবে।

    ৪: রেফারেন্সের জন্য আপডেট অনুরোধ নম্বর (URN) সম্বলিত অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ তৈরি করা হবে।

    আপডেটের পরে আপনি UIDAI-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট—uidai.gov.in থেকে আধার কার্ডের একটি ডিজিটাল কপি (ই-আধার) ডাউনলোড করতে পারেন।

    ডেমোগ্রাফিক বিবরণ আপডেট করাবেন কীভাবে

    ২টি  উপায়ে আপনি আপনার বিবরণ আপডেট করতে পারেন:-

    ১ – নিকটতম তালিকাভুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে uidai.gov.in ওয়েবসাইটে “লোকেট এনরোলমেন্ট সেন্টার”-এ ক্লিক করে নিকটতম তালিকাভুক্তি কেন্দ্র খুঁজুন।

    ২- অনলাইনে myAadhaar অ্যাপ ব্যবহার করে – অনলাইন ডেমোগ্রাফিক্স আপডেট পরিষেবা নিন।

     

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ১৬ মাস পরেও এমআরআই পরিষেবা চালু করা গেল না হাসপাতালে!

    Hospital: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ১৬ মাস পরেও এমআরআই পরিষেবা চালু করা গেল না হাসপাতালে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হচ্ছে না প্রতীক্ষার। অত্যাধুনিক মানের পরিকাঠামো প্রস্তুত। এক মাস আগে বালুরঘাটে এসে পৌঁছেছে যন্ত্রও। পরিষেবা চালু হচ্ছে বলে সরকারি বিজ্ঞাপনে শহর ছয়লাপ। তবুও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ১৬ মাস পরেও এমআরআই পরিষেবা চালু করা গেল না বালুরঘাট হাসপাতালে (Hospital)। এবার হিলিয়াম গ্যাসের অভাবে ওই পরিষেবা চালু কার্যত বিশবাঁও জলে। ফলে আজও উন্নত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভিন জেলা বা কলকাতায় ছুটতে হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষকে। অর্থ বরাদ্দ, অনুমোদন, যন্ত্রপাতি সহ সব কিছুই ঠিক থাকলেও কেন আজও এল না হিলিয়াম গ্যাস, তার উত্তর মেলেনি। বরং এই নিয়ে চলছে  টালবাহানা। সীমান্ত জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গেই কেন এমন টালবাহানা চলে, উঠছে প্রশ্ন। 

    এর আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা

    এর আগে এন্ডোস্কপি, ল্যাপারোস্কপির মতো বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) বছরের পর বছর ফেলে রাখা হয়েছিল। সেগুলি প্রতিস্থাপিতই করা হয়নি বা ব্যবহার করা হয়নি। পরে ওই যন্ত্রাংশগুলি কলকাতায় ফেরত পাঠানো হয়। অক্সিজেন সংযোগকারী সংস্থার উদাসীনতায় প্রায় দু বছর ধরে চালু না হয়ে পড়ে রয়েছে ২৪ বেডের সিসিইউ বিভাগ। এবারে বহু প্রতীক্ষিত এমআরআই পরিষেবাও চালু না হওয়ায় বাড়ছে ক্ষোভ।

    কী বলছেন বাসিন্দারা?

    এই বিষয়ে বালুরঘাটের এক বাসিন্দা তপন বাগচি বলেন, ‘এমআরআইয়ের জন্য নার্সিংহোমে গেলে অনেক খরচ পড়ে যায়। যখন বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই মেশিনটি আসে, আমরা ভেবেছিলাম আর অসুবিধা হবে না। কিন্তু একমাস হতে চলল এখনও পরিষেবা চালু হল না। আমরা চাই, দ্রুত এই পরিষেবা চালু হোক।’
    প্রসঙ্গত, সীমান্তের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে বেসরকারি চিকিৎসা পরিষেবা প্রায় নেই বললেই চলে। এই জেলার অধিকাংশ মানুষই সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। অথচ বিভিন্ন সময় চিকিৎসক ও পরিকাঠামোর অভাব থাকায় জেলা থেকে রেফারের হার বেশি হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল (Hospital) নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। যা নিয়ে প্রত্যন্ত এই জেলার মানুষকে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ বাইরের রোগীদের নিয়ে যেতে যা খরচ, তা বহন করা সম্ভব হয় না৷ আজও এই জেলায় চালু নেই এমআরআই পরিষেবা। অথচ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই রায়গঞ্জ থেকে বালুরঘাট হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু হল বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমুন্ত্রী। তার পরের দিনই বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিচতলায় একটি ঘর বরাদ্দ করা হয়। ধীরে ধীরে পরিকাঠামো গড়া হয়। চিলার মেশিন বসানো হয়। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত মার্চ মাসেই বালুরঘাটে এসে পৌঁছয় এমআরআই মেশিন। এই মেশিন আসতেই বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার দিয়ে এই পরিষেবার বিষয়ে মানুষের সামনে প্রচার তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু আজও হিলিয়াম গ্যাস না আসায় ওই পরিষেবা চালুই হয়নি। ফলে এখনও জটিল রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রোগীকে বাইরে নিয়ে যেতে হচ্ছে। চলছে রোগী হয়রানিও। 

    কী আশ্বাস দিলেন হাসপাতালের সুপার?

    বালুরঘাট সদর হাসপাতাল (Hospital) সুপার কৃষেন্দুবিকাশ বাগ জানান, এমআরআই মেশিন প্রতিস্থাপিত করা হয়ে গিয়েছে। কিন্ত হিলিয়াম গ্যাসের অভাবে ওই পরিষেবা চালু করা যাচ্ছে না। যে সংস্থা এই গ্যাস সরবরাহ করবে, তারা এখনও এই গ্যাস দেয়নি। কবে দেবে তাও জানা নেই। আমরাও চাইছি দ্রুত বালুরঘাট হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা চালু করতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SIT: রাজু ঝা খুনের তদন্তে এক ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশি চালাল সিট, কী মিলল?

    SIT: রাজু ঝা খুনের তদন্তে এক ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশি চালাল সিট, কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় ফের কয়লা মাফিয়া নারায়ণ খারকার দুর্গাপুর সিটি সেন্টার অফিসে ফের হানা দিল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট (SIT)। প্রথমে সিটের (SIT)  আধিকারিকেরা নারায়ণ খারকার অফিসের পিছনে থাকা একটি বলেরো গাড়িতে অভিযান চালান। সেখান থেকে ল্যাপটপ এবং বেশকিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে সিট। পরে, রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে কয়লা মাফিয়ার অফিসে তল্লাশি চালান সিটের আধিকারিকেরা।

    নারায়ণ খারকার অফিস থেকে কী বাজেয়াপ্ত করল সিট (SIT)?

    রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় অভিজিত্ মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই খুনের পিছনে আর কারা রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত করছে সিটের (SIT) আধিকারিকেরা। অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনায় সিটের (SIT) সদস্যরা এর আগে পৌঁছে গিয়েছিলেন নারায়ণ খারকার অফিসে। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের দুটি দোকানে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিটের (SIT)  তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও ওই বন্ধ দোকান দুটির চাবি না মেলায় পুলিশ সিল করে। পরে, অভিজিত্ মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেন সিটের আধিকারিকেরা। সেখানেও বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরা। আদালতের নির্দেশে ওই ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশির অনুমতি নিয়ে সোমবার ফের আসেন তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থলে ছিলেন নারায়ণ খারকার আইনজীবীরা। অফিসের সিল খুলে সিটের আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। অভিজিত্ মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। নারায়ণ খারকার আইনজীবী পূজা কুর্মি বলেন, আমরা তদন্তকারী আধিকারিকদের সমস্তরকম সহযোগিতা করেছি। তাঁরা অফিসের ভিতরে সিসি টিভি ফুটেজের নথি সংগ্রহ করেছেন। আরও কিছু নথি তাঁরা নিয়ে গিয়েছেন। তবে, অভিজিত্ এই অফিসে কোনওদিনই কাজ করতেন না। প্রসঙ্গত, ১ এপ্রিল দুর্গাপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজু ঝা। সঙ্গে ছিল ব্রতীন ও আবদুল লতিফ। শক্তিগড়ে তাঁরা ঝালমুড়ি খেতে গাড়ি থেকে নীচে নামেন। সেই মুহূর্তে একটি নীল গাড়িতে করে আসা দুই জন শার্প শ্যুটার গাড়ির প্রথম সিটে বসে থাকা রাজুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুনের শার্প শ্যুটারদের দুর্গাপুরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল। এবার তার সূত্র ধরেই প্রকৃত খুনির নাগাল পেতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: কেন্দ্রের পাঠানো করোনার বুস্টার ডোজ স্টোরে থেকে নষ্ট হয়েছে, বাড়তি উদ্বেগ রাজ্যে! 

    Covid 19: কেন্দ্রের পাঠানো করোনার বুস্টার ডোজ স্টোরে থেকে নষ্ট হয়েছে, বাড়তি উদ্বেগ রাজ্যে! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্টোররুমে থেকে নষ্ট হয়েছে করোনা (Covid 19) টিকার ৫০ হাজার ডোজ। কিন্তু এখন করোনার সংক্রমণ বাড়তেই টিকাকরণে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। আর সময়মতো বুস্টার ডোজ না মেলায় বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে করোনার নতুন প্রজাতি। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনার টিকার ভান্ডার প্রায় শূন্য। তাই বিশেষজ্ঞ মহল করোনার নতুন প্রজাতির মোকাবিলা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। 

    করোনার নতুন প্রজাতির প্রকোপ কীভাবপ বাড়ছে রাজ্যে?

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতির প্রকোপ বাড়ছে। করোনার পজিটিভিটি রেট ১৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। বিশেষত কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলির মতো জেলাগুলির সংক্রমণের হার চিন্তা বাড়াচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলার মূল হাতিয়ার যে করোনা টিকা, তা আপাতত পর্যাপ্ত নেই রাজ্যের কাছে। স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ জানাচ্ছে, সময়মতো বুস্টার ডোজ দিতে না পারায় এই পরিস্থিতি। করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য কোনওরকম উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নেওয়া হয়নি। যার ফলে দীর্ঘদিন রাজ্যের বিভিন্ন সেন্টারে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন পড়ে ছিল। 

    কীভাবে নষ্ট হল করোনার টিকা?

    স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের ভান্ডারে কয়েক লাখ করোনা (Covid 19) টিকা ছিল। কিন্তু সেগুলি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে ৩১ মার্চের মধ্যে সেই টিকা নষ্ট হয়ে যেত। একদিকে যেমন এত টিকা নষ্ট হলে বিশাল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হত, তেমনি বহু মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতেন। তাই দিল্লির তরফে জানানো হয়, টিকা অন্য রাজ্যে পাঠানো হোক। রাজ্য ব্যবহার করতে না পারায়, কয়েক মাস আগে ১০ লাখ কোভিশিল্ড পাটনায় পাঠানো হয়েছে। আর আড়াই লাখ কোভিশিল্ড গিয়েছে হায়দরাবাদ। কিন্তু তারপরেও ৫০ হাজার টিকার ডোজ রাজ্যের স্টোররুমে পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে। 

    টিকা দেওয়ার তৎপরতাই নেই

    করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়ার পরেও রাজ্যের তরফে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ তৎপরতা নজরে আসেনি বলেই অভিযোগ করছে একাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকেই রাজ্যে করোনা টিকাকরণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গোটা রাজ্যে দৈনিক করোনা বুস্টার নেওয়ার সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২০০-২৫০ জন। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে আপাতত করোনা টিকার ভান্ডার প্রায় খালি। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও যে সংখ্যক ডোজ রয়েছে, তা চলতি সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে টিকাকরণ কর্মসূচি চললে এবং প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার জন্য আবেদন করলে পরিস্থিতি মোকাবিলা সহজ হতে পারত। 

    কী জানালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা?

    যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। টিকা পাঠানোর আবেদনও করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য মনে করছে, রাজ্যের টিকাকরণের বিষয়ে আরও বেশি তৎপরতা জরুরি ছিল। করোনার মতো মহামারি রুখতে টিকা নেওয়ার জন্য লাগাতার প্রচার জরুরি। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে, এ তো স্পষ্ট। তাই করোনার (Covid 19) টিকা ও বুস্টার ডোজ নেওয়া কতখানি জরুরি, সে বিষয়ে মানুষকে বোঝানোর দায়িত্ব সরকারের। ঠিক সময়ে বুস্টার ডোজ নিলে মোকাবিলা আরও সহজ হত বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, খোঁজ রাখেনি কেউই!

    Mamata Banerjee: মমতার আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, খোঁজ রাখেনি কেউই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) তখন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী। তারিখটা ১৯৯৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে রাজ্যজুড়ে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের শাসনে একচ্ছত্র অধিপতি মজিদ মাস্টার। আর সেখানে ঢুকবেন যুব কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর একডাকে হাজার হাজার কর্মী হাজির। সূত্র মারফত জানা যায়, সেদিন গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। যার জেরে তিনজন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান আর জখম হন বহু। তার মধ্যে একজন ছিলেন নির্মল দাস। সেদিনের তরতাজা যুবক আজ প্রৌঢ়।

    ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?

    তৎকালীন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে জমায়েত হয়েছিলেন কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। কাছারি ময়দানে আইন অমান্য আন্দোলন হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। কংগ্রেস নেতা সৌমেন মিত্র, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি-সহ দলের প্রথম সারির একাধিক নেতা হাজির ছিলেন যুব কংগ্রেসের সেই আন্দোলনে৷ প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হলেও পরে তা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার রচপাল সিংয়ের নির্দেশে পুলিশ কর্মীরা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিতে সেদিন গোবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে বারাসতের এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন আরও অনেকে। সেই তালিকায় ছিলেন নির্মল দাসও। বসিরহাটের সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লক থেকে ম্যাটাডোর বোঝাই করে সেদিন তিনিও এসেছিলেন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিতে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪৩ বছর। পালাতে গিয়ে গুলি এসে লাগে ডান পায়ে। সঙ্গে সঙ্গে মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। তাতে মারাত্মক জখম হয় চোয়ালও। এরপর গুলিবিদ্ধ ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ঘটকপুকুরের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে।

    চিকিৎসার খরচ মেটাতে সব গেছে

    সেখানে প্রায় তিনমাস চিকিৎসা চলে তাঁর। হাসপাতালের বিপুল খরচ মেটাতে গিয়ে একসময় সন্দেশখালির গ্রামের পৈতৃক ভিটে এবং জমিজমা সবকিছুই বিক্রি করে দিতে হয়। সাহায্য করা দূরের কথা, খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজনটুকুও মনে করেননি শাসকদলের কোনও নেতা অথবা মন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বারাসতের রামকৃষ্ণপল্লির এক চিলতে বাড়িতে কোনওরকমে দিনযাপন করছেন নির্মল দাস। পরিবার বলতে স্ত্রী, দুই ছেলে, পুত্রবধূ, নাতনি রয়েছে তাঁর। দুই ছেলের সামান্য রোজগারে সংসার চলে না ঠিকমতো।

    দলের তরফে জোটেনি কোনও আর্থিক সাহায্য

    সেদিনের পুলিশের নির্মম গুলি চালানোর ঘটনা আজও টাটকা নির্মল দাসের স্মৃতিতে। এরপর প্রায় ২৮ বছর কেটে গিয়েছে। সেদিন যিনি বিরোধী নেত্রী ছিলেন, আজ তিনিই বাংলার মসনদে। কিন্তু রক্তাক্ত যুবক নিৰ্মল দাসের খোঁজ নিতে কেউ আসেনি। কেউ জানতে চায়নি, তিনি কি বেঁচে আছেন? থাকলেও কীভাবে? না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন-তিনবার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হওয়ার পরেও কেউ আসেনি নির্মল দাসের কাছে। জোটেনি কোনও সরকারি চাকরি কিংবা দলের তরফে আর্থিক সাহায্য। তাই নিরুপায় হয়ে পরিবারের জন্য আজ তাঁকে বেছে নিতে হয়েছে ভ্যান। অশক্ত শরীর, গুলি লাগা পায়ে ভ্যান চালিয়ে দিন কাটছে ৭২ বছরের নির্মলবাবুর। জীবনের শেষবেলায় তিনি এবার মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান ৷ সুযোগ পেলে তাঁর কাছে চাকরির দরবার করবেন সেদিনের যুবক নির্মল দাস।

    ছেলের একটা চাকরি চান নির্মল দাস

    এই বিষয়ে নির্মল দাস বলেন, “সেদিনের ঘটনার পর থেকে কোনও নেতা খোঁজখবর রাখেনি। অনেকের কাছে গিয়েছি সাহায্যের জন্য। কিন্তু কিছুই মেলেনি। ইচ্ছে আছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করব। তাঁর কাছে সাহায্যের আবেদন করতে চাই। আমার তো বয়স হয়েছে। আর কতদিনই বা বাঁচব। তার আগে যদি ছোট ছেলের একটি চাকরির ব্যবস্থা হয়, তাহলে খুব উপকার হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলের ৯০ শতাংশ কর্মীই দুর্নীতিগ্রস্ত! প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি প্রবীণ তৃণমূল নেতার

    TMC: দলের ৯০ শতাংশ কর্মীই দুর্নীতিগ্রস্ত! প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি প্রবীণ তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই তৃণমূল (TMC)  সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচবিহার থেকে সাগর পর্যন্ত টানা দুই মাসের জন্য জনসংযোগ যাত্রার শুরু করেছেন। আর এই জনসংযোগ যাত্রার দিনেই আলিপুরদুয়ারে দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একেবারে প্রকাশ্যে সরব হলেন  তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তথা দলের বর্ষীয়ান নেতা জহর মজুমদার। এই নেতা একসময় অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। সোমবার প্রবীণ এই তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার ঘটনা বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দুর্নীতিগ্রস্ত নিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতা?

    প্রবীণ তৃণমূল (TMC) নেতা জহর মজুমদার বলেন, দলের পুরানো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আর এখন অন্য দল থেকে যারা আমাদের দলে এসেছে তাঁরা লুটেপুটে খাচ্ছেন। সাফল্যের সঙ্গে তাঁরা এই কাজ করছেন। আর পুরানো কর্মীদের বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই দলে ৯০ শতাংশ কর্মী দুর্নীতিগ্রস্ত। এদের সরাতে হবে। সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করা হয়েছে। শুধু রাজ্যের কথা বলছি না, এই আলিপুরদুয়ার জেলায় দলীয় নেতারা যে দুর্নীতি করছে তার কথা বলছি। এই আলিপুরদুয়ারে প্রচুর পুকুর ছিল। এখন আর একটাও পুকুর নেই। অবাধে পুকুর ভরাট করা হয়েছে। আর এসব কাজ করেছেন দলের কাউন্সিলর এবং নেতারা। গোটা জেলায় হর্টিকালচারারের  চারাগাছ বিতরণ নিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, উদয়ন গুহের বাবা কমল গুহ গম  বীজ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

    কী বললেন আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি?

     জহরবাবুর এই মন্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব। আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, জহরবাবুর  বয়স হয়ে গেছে। সেই কারণে মাথা কাজ করছেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা না ধনীর ছেলের ‘সামার ক্যাম্প’? তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা না ধনীর ছেলের ‘সামার ক্যাম্প’? তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজো সাজো রব কোচবিহারের দিনহাটায়। ২৫ তারিখ আসছেন যুবরাজ, তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সকাল সাড়ে নটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ঘড়ি ধরে অনুষ্ঠানসূচি। যার মধ্যে তিন তিনটে পাবলিক মিটিং। যার অর্থ, উনি বলবেন, বাকিরা শুনবেন। অর্থাৎ একমুখী কমিউনিকেশন। দলের বার্তার বাণী বিতরণ মাত্র। নিন্দুকরা বলছেন, এ কেমন জনসংযোগ কে জানে! এরপর বিকেল পাঁচটায় কর্মী অধিবেশন। জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো। মন বুঝবেন নেতাদের। তারপর নেতারা, কর্মীরা ভোট দেবেন। আর টুক করে তৈরি হয়ে যাবে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা। ‘গ্রামের মতামত’ যার নাম। দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।   

    জনসংযোগ নাকি যুবরাজের মৃগয়াযাত্রা?

    বিরোধীদের কটাক্ষ, এই গরমে তৃণমূল নেতার (Abhishek Banerjee) গ্রামদর্শন আসলে জনসংযোগ নাকি যুবরাজের মৃগয়াযাত্রা। রূপকথায় যেমন হয় আর কি! এখন তো আর রূপকথার যুগ নয়। তাই এখন রথ, ঘোড়া বা হাতিতে নয়, নেতা যাবেন সরাসরি সরকারি হেলিকপ্টারে। থাকবেন ক্যারাভ্যানে। ক্যারাভ্যানের নাম শোনেননি? গুগল সার্চ করলেই দেখতে পাবেন। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত, আধুনিক সবরকম সুযোগ সুবিধাসহ বিলাসবহুল এক গাড়ি কাম বাড়িই ক্যারাভ্যান। সেখানেই আগামি দুই মাস। অত্যাধুনিক এই ক্যারাভ্যান কলকাতা থেকে উজিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোচবিহারে। সেখান থেকে নেতার সঙ্গে যাত্রা। থাকবে আগামি ষাট দিন!   

    আর কী কী যাচ্ছে সঙ্গে?

    কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত বিশেষ বাবুর্চি! এছাড়াও রান্না করার লোকজন, সেক্রেটারি টিম, আইটি সেল, সরকারি আধিকারিক ও বিশাল সুরক্ষা বাহিনী। যেখানে প্রথম দিনের রাত্রিবাস, সেই স্টেডিয়ামে ফেলা হয়েছে এয়ারকন্ডিশন বিলাসবহুল ক্যাম্প। যেখানে আছে সব কিছুর ব্যবস্থা। ক্যাম্পে থাকবেন জেলার নেতা, আধিকারিক, সুরক্ষা বাহিনী। এখানেই রাতের খাওয়া দাওয়া বৈঠক ও রাত্রিবাস। প্রথমদিন মাথাভাঙ্গায় রাত্রিবাস, সেখানে ১৮১টা এইরকম ক্যাম্প। এক জায়গাতেই। এখন চলছে সাজানো গোছানোর কাজ। কাজের বরাত পেয়েছে দিল্লির সংস্থা এনকে কাপুর প্রাইভেট লিমিটেড। এই রকম সব জায়গাতেই হবে। ফলে, শুধু গ্রামের লোকজন কেন, কোচবিহার শহর থেকেও এই রাজকীয় আয়োজন (Abhishek Banerjee) দেখতে লোকজন আসছেন। ভিড় বাড়ছে।

    খরচ দেখলে চোখ কপালে উঠবে

    এই রকম আদ্যন্ত স্টিলের স্ট্রাকচারের একটি ক্যাম্পের দৈনিক ভাড়া মাত্র ২৫০০০ টাকা। ভিতরে আসবাবপত্রের জন্য আলাদা খরচ। তাহলে ১৮১টা ক্যাম্পের একদিনের ভাড়া ৪৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তিনদিন এই ক্যাম্প থাকার কথা। মোট খরচ ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা! অভিষেকের ঘোষণা, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ৬০ দিনে কভার করবেন তিনি (Abhishek Banerjee)। খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি বাদে শুধু ওই ষাটদিনের রাত্রিবাসের আয়োজনেই খরচ হতে চলেছে ৮১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। তবে রাত্রিবাসের জন্যই সাড়ে একাশি কোটি খরচ হলে, খাওয়াতে কত খরচ? তা সহজেই অনুমান করতে পারছেন রাজ্যের মানুষ। 
    কিন্তু অবশ্যই অনুমান করতে পারছেন না, একটি অত্যাধুনিক ক্যারাভ্যানের দৈনিক ভাড়া আর তেলের খরচ কত হতে পারে? বেশি না, বিলাসবহুল অত্যাধুনিক ক্যারাভ্যানের দৈনিক ভাড়া এই রাজ্যে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রতিদিনের তেল, নাইট স্টে, হল্টিং এবং জিএসটি সহ অন্যান্য খরচ বাদে। অর্থাৎ…? এবার নিজেরাই খাতা-পেন্সিল নিয়ে বসে পড়ুন। হল্টিং প্রতি ঘণ্টায় ৭০০ থেকে ৯০০টাকা। নাইট-স্টে প্রতি ঘন্টা ১৫০০-২০০০ টাকা। পেট্রোলের খরচ জিএসটি ড্রাইভার খালাসির বেতন ইত্যাদি ধরলে ক্যারাভ্যানের দৈনিক খরচ দাঁড়াবে ১ লক্ষ থেকে দেড়লক্ষ টাকা প্রতিদিন। তাহলে ষাটদিনের খরচ? কোটির অঙ্ক ছাড়িয়ে যাচ্ছে তো! সেই কারণেই হয়তো অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে বিরোধীরা বলছেন, “বড়লোকের ছেলের দু-মাসের সামার ক্যাম্প”!

    অ্যাসিড টেস্টে পাঠিয়েছেন মমতা?

    তবে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো বলে কথা! দলের দুই, তিন, চার, পাঁচ নম্বরে থাকা নেতাদের সরিয়ে তিনিই (Abhishek Banerjee) এখন শেষ কথা। তাঁর অভিষেক হল বলে। তার আগে নাকি অ্যাসিড টেস্টে পাঠিয়েছেন মমতা। তৃণমূলের অভ্যন্তরে জোর জল্পনা। জনপ্রিয়তার মাপকাঠি বুঝে নেওয়ার বা দলের কর্মী নেতাদের মধ্যে, যুবরাজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে নেওয়ার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ‘পিসি’ আর ‘পিকে’-র এমন পরিকল্পনা। এক ঢিলে দুই পাখি। নিন্দুকরা অবশ্য বলছেন, দলীয় কর্মসূচির নাম করে যেমন দু’মাসের জন্য এড়ানো যাবে ইডি সিবিআই-এর জেরা তেমনই ভোটের আগে বার্তা দেওয়া কর্মীদেরম ইনিই ভবিষ্যতের কাণ্ডারী! সঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকার নামে তৃণমূল কর্মীদের মন বুঝে নেওয়া। যার জন্য পিকের টিম থাকছেই সঙ্গে। যারা তৈরি করে দেবে ভাষণ আর বক্তব্য বিষয়।
    আর বাকি যা থাকে তা হল, লুঠের টাকায়, দু’মাসের পিকনিক যুবরাজের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adi Shankaracharya: ২৫ এপ্রিল আদি শঙ্করাচার্যের আবির্ভাব তিথি! জানুন তাঁর জীবন কথা

    Adi Shankaracharya: ২৫ এপ্রিল আদি শঙ্করাচার্যের আবির্ভাব তিথি! জানুন তাঁর জীবন কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধ্যাত্মিক ভূমি ভারতবর্ষে যুগে যুগে আবির্ভাব ঘটেছে মহান সন্ন্যাসীদের। যাঁদের উপদেশ, শিক্ষাদান এবং কর্মে প্রভাবিত হয়েছে এদেশের বৃহত্তর সমাজ। ভক্তদের কাছে আজও সমান ভাবে তাঁরা শ্রদ্ধেয়, সমাদৃত এবং পূজনীয়। আদিগুরু শঙ্করাচার্য, মাত্র ৩২ বছরের জীবন কালে সারাদেশে হিন্দুধর্মের নবজাগরণ এনেছিলেন। ভক্তরা তাঁকে ভগবান শিবের অবতার মানেন। চলতি বছরে আদিগুরু শঙ্করাচার্যের আর্বিভাব তিথি ২৫ এপ্রিল।

    জন্ম বৃত্তান্ত

    অষ্টম শতাব্দীর সেই সময়টায়, দেশের ধর্মীয় জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বৌদ্ধ ধর্মের মধ্যে নানা কুসংস্কার প্রবেশ করেছে। বৌদ্ধ ধর্মের তন্ত্রবিদ্যা, কালাজাদুতে তখন দেশে অন্ধকারময় যুগ নেমে এসেছে। হিন্দু ধর্ম তখন সংকটে। এই যুগসন্ধিক্ষণে ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দের বৈশাখী শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে দক্ষিণ ভারতের কেরল রাজ্যের কালাডি গ্রামে শঙ্করাচার্য জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শিবগুরু ও মাতা আর্যাম্বা। কথিত আছে, শিবগুরু শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণ এবং শিবভক্ত ছিলেন। শোনা যায়, গ্রামে দানধ্যান করার জন্য ব্রাহ্মণ দম্পতির যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। জানা যায়, গ্রামে ছিল চন্দ্রমৌলীশ্বর শিবের মন্দির। সেই মন্দিরে স্বামী স্ত্রী প্রতি দিনই পুত্র সন্তানের জন্য প্রার্থনা করতেন। দেবাদিদেব মহাদেবের আশীর্বাদে কালাডি গ্রামের ওই নাম্বুদ্রি দম্পতি এক পুত্র লাভ করেন। শিবের এক নাম শঙ্কর। আবার অন্য একটি মত হল, শঙ্কর (Adi Shankaracharya) শব্দের অর্থ হল সমৃদ্ধিদাতা। তাই পুত্রের নাম রাখা হল শঙ্কর। শৈশবেই পিতৃহীন হন শঙ্কর। মেধাবী, স্মৃতিধর শঙ্কর অল্পদিনের মধ্যেই আয়ত্ত করে ফেলেন হিন্দুধর্মের জটিল তত্ত্বগুলি। জীবনের উদ্দেশ্য তখনই তিনি ঠিক করে ফেলেছেন, সন্ন্যাস জীবন। কিন্তু মা আর্যাম্বার তাতে সায় নেই।

    নদীতে কুমিরের আক্রমণ ও সন্ন্যাস গ্রহণ

    কিংবদন্তি অনুসারে, পিতার মৃত্যুর পর তাঁর মায়ের সঙ্গে প্রতিদিনই নদীতে স্নান করতে যেতেন বালক শঙ্কর (Adi Shankaracharya)। এদিকে সন্ন্যাস নেওয়ার প্রবল ইচ্ছা, কিন্তু মায়ের অনুমতি ছাড়া তিনি সন্ন্যাসও নিতে পারছেন না। স্নান করার মুহূর্তে একদিন ঘটল বিপত্তি, যাকে অলৌকিক কান্ডও বলা যেতে পারে। হঠাৎই বালক শঙ্করের পা’ টেনে নিয়ে যেতে থাকল একটি কুমির।

    মাতা আর্যাম্বার পক্ষে সম্ভব ছিলনা, কুমিরের মুখ থেকে নিজের সন্তানকে উদ্ধার করার। হঠাৎই বালক শঙ্কর (Adi Shankaracharya) শেষবারের মতো মা’কে জিজ্ঞেস করলেন, সন্ন্যাসী হওয়ার অনুমতি দেবে? তাহলে কুমির আমায় ছেড়ে দেবে! নিরুপায় আর্যাম্বা দেবী অনুমতি দিলেন, কিন্তু বললেন, তুমি আমার সন্তান। সন্ন্যাসীদের পরিবার থাকেনা, আমার শেষকৃত্যে তুমি অবশ্যই উপস্থিত থেকো। পরক্ষণেই শঙ্কর জপ শুরু করেন এবং কুমির তাঁর পা ছেড়ে দেয়। এভাবেই তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন।

    গুরুর সন্ধানে গৃহত্যাগ

    মায়ের অনুমতি নিয়ে শঙ্কর তাঁর জন্মস্থান ছাড়লেন। গুরুর সন্ধানে একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত হাঁটতে থাকলেন। অবশেষে পেলেন সন্ধান। গুরু গোবিন্দপাদ। শিষ্যদের বিশ্বাসে তিনি ছিলেন পূর্বজন্মে মহর্ষি পতঞ্জলি। গোবিন্দপাদ শিষ্যরূপে গ্রহণ করলেন শঙ্করকে। শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) হয়ে ওঠার যাত্রা শুরু হল কালাডির শঙ্করের। অসামান্য পাণ্ডিত্যের অধিকারী হয়ে তিনি বের হলেন ভারত পরিভ্রমণে।

    চারমঠ স্থাপন 

    আদিগুরু শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) হিন্দু ধর্মকে একসূত্রে গাঁথার জন্য দেশের চারকোণায় চারটি মঠ স্থাপন করেন। দক্ষিণে কর্ণাটকের শৃঙ্গেরীতে, পশ্চিমে গুজরাটের দ্বারকায়, পূর্বে ওড়িশার পুরীতে গোবর্ধন মঠ এবং উত্তরে উত্তরাখন্ডের জ্যোতির্মঠে (জোশীমঠ)। তাঁর চারজন শিষ্যকে তিনি এই চারটি মঠের দায়িত্ব দেন। তাঁরা হলেন, সুরেশ্বরাচার্য, হস্তামলকাচার্য, পদ্মপাদাচার্য এবং তোটকাচার্য। আজও চারটি মঠের প্রত্যেক প্রধান আদিগুরু শঙ্করাচার্যের নামানুসারে শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) উপাধি গ্রহণ করেন।

    বাণী ও রচনা

    অদ্বৈত বেদান্তের কথাই প্রচার করে গেছেন শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya)। তাঁর মতে, ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা। তিনি মনে করতেন ‘সঠিক বিদ‍্যা না থাকার ফলে মানুষ ব্রহ্মকে বুঝতে পারে না’। আত্মাই হল ব্রহ্ম । এই ব্রহ্ম নির্গুণ এবং আনন্দময় । কিন্তু ব্রহ্ম আবার পারমার্থিক দৃষ্টিতে ব্রহ্ম হলেও ব‍্যবহারিক দৃষ্টিতে ঈশ্বর বলে প্রতিভাত হয় । অবিদ‍্যা ব্রহ্মের শক্তিবিশেষ যার ফলে জীব নিজেকে ব্রহ্মের থেকে ভিন্ন মনে করে । প্রকৃতপক্ষে , জীবাত্মা ও পরমাত্মা অভিন্ন। অসংখ্য ভাষ্য রচনা করে গেছেন তিনি। মহাভারত থেকে গীতাকে আলাদা তিনিই করেন। হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন দেবদেবীর উপর স্তোত্র রচনাও করে গেছেন তিনি। হিন্দুদের তিনখানি অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল উপনিষদ, ব্রহ্মসূত্র ও ভাগবত গীতা। এই তিনটি বইয়ের উপর শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) যে ভাষ্য বা টীকা লিখেছিলেন, তা খুবই বিখ্যাত এবং হিন্দু ধর্মে আজও সমান জনপ্রিয়। এছাড়া কয়েকটি দর্শন গ্রন্থও রচনা করেছিলেন তিনি। গবেষকদের মতে, সেসময় হিন্দুধর্ম নানাভাবে পিছিয়ে পড়েছিল। শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) সেই পিছিয়ে পড়া হিন্দুধর্মের নবজাগরণ ঘটাতে সক্ষম হন।

    কীভাবে পালন করা হয় শঙ্করাচার্য (Adi Shankaracharya) জয়ন্তী

    ভক্তরা এদিন সকালে উঠে স্নান করে, নতুন পোশাক গায়ে চড়িয়ে ভগবান শিবের পুজো করেন। উপোস করার রীতিও দেখা যায় শঙ্কর জয়ন্তীতে। এদিন শিব ছাড়াও লক্ষীদেবী, গণেশ, ভগবান বিষ্ণুরও পুজো হয়। দেশের অসংখ্য মঠ এবং মন্দির যেগুলি শঙ্করাচার্যের (Adi Shankaracharya) নামে নামাঙ্কিত সেগুলিতে ভক্তরা সকাল থেকেই ভিড় করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Rail: গাইসালে ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের বগির ব্রেকে আগুন, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি

    Indian Rail: গাইসালে ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের বগির ব্রেকে আগুন, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার দুপুরে আপ ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের (Indian Rail) একটি বগির ব্রেকে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ট্রেন যাত্রীরা ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন। প্রাণ বাঁচাতে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কুড়ি মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেনটি গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়। এর পরই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

    রেলকর্মী জ্যোতিষ পাসমান জানিয়েছেন, পাটনা-দানাপুর থেকে শিলিগুড়িগামী আপ ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস (Indian Rail) গাইসালের কাছে পৌঁছলে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। জানা গেছে, ব্রেক সু থেকেই আগুন লাগে। রেলকর্মীরা দ্রুতই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ধরনের ঘটনার পিছনে গাফিলতি আছে বলে তিনি মনে করেন না। তাঁর মতে, ব্রেক গরম হয়ে এরকম হতেই পারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর যাত্রীরা স্বাভাবিক কারণেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে আগুনের ব্যাপকতা তেমন ছিল না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PARK: ‘আরণ্যক’ যুবক-যুবতীদের লীলাক্ষেত্র! অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হতেই তালা ঝোলানো হল পার্কে

    PARK: ‘আরণ্যক’ যুবক-যুবতীদের লীলাক্ষেত্র! অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হতেই তালা ঝোলানো হল পার্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির “আরণ্যক” পার্ক (PARK) অসামাজিক ও অশ্লীল কাজকর্মের লীলাক্ষেত্র হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল, পার্কে ঘটে চলা নানা ঘটনার অশ্লীল ভিডিও নিয়ে সরব হয়েছেন সবাই। এমনকী, পার্কে ঘুরতে আসা প্রেমিক যুগলদের কাছ থেকে টাকা তোলার মাধ্যমে এইসব ঘটনায় মদত দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ‌ উঠেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট শহরের উপকণ্ঠে মঙ্গলপুর এলাকায় ‘আরণ্যক’ পার্কটি বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। জয় রাইড হিসেবে পার্কের মধ্যবর্তী পুকুরে বোটের ব্যবস্থা এবং শিশুদের জন্য টয় ট্রেন চালু করা হয়। বর্তমানে অবশ্য দুটিই অচল অবস্থায় রয়েছে। রয়েছে টিকিটের ব্যবস্থা। সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকে। দেখভালের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির তিনজন কর্মী রয়েছেন। কিন্তু শহরের বাইরে হওয়ায় ধীরে ধীরে কমেছে শিশুদের যাওয়া-আসা, পাশাপাশি বেড়েছে যুবক-যুবতীদের ভিড়। দুপুরের দিকে ফাঁকা থাকায় চলছে অসামাজিক ও অশ্লীল কাজকর্ম। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে পার্কে নজরদারির অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদল বিজেপি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অসামাজিক কাজকর্মে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।

    বন্ধ করে দেওয়া হল পার্ক, কিন্তু কেন?

    এদিকে খোলামেলা অশ্লীল ও অসামাজিক কার্যকলাপের ভিডিও ভাইরাল হতেই তালা ঝোলানো হয়েছে আরণ্যক উদ্যানে (PARK)। অনির্দিষ্টকালের জন্য উদ্যান বন্ধ করে দিয়েছে বালুরঘাট ব্লক প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি ও প্রশাসনের একটি বৈঠক হবে। এরপরেই তা ফের খোলা হবে। তবে ব্লকের তরফে আরণ্যকে পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কিছুদিন আগেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও নিরাপত্তা মেলেনি। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেই ফের আরণ্যক খোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    কী বলছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা?

    এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ সিকদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য আরণ্যক (PARK) বন্ধ থাকবে। এনিয়ে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি জরুরি ভিত্তিতে একটি সভা করবে। সেই সভার মাধ্যমে পরবর্তী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তা নির্বাহী আধিকারিক কার্যকর করবে। বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মলয় মন্ডল বলেন, আরণ্যক কোনওভাবেই বন্ধ হবে না। আমরা নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিশকে জানিয়েছি। নিরাপত্তা বাড়ানো হলেই তা খোলা হবে। এবিষয়ে জেলা পুলিস সুপার রাহুল দে বলেন, পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    যুবক-যুবতীদের লীলাক্ষেত্র হয়ে উঠল কীভাবে?

    বালুরঘাট শহর ঘেঁষে অবস্থিত আরণ্যক উদ্যান। দীর্ঘদিন ধরেই ওই উদ্যান বেহাল হয়ে পড়েছে৷ উদ্যানের (PARK) ভিতরে বোর্টিং, টয় ট্রেন থাকলেও তা অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। গাছগাছালির তেমন পরিচর্যা হয় না। কিন্তু ওই উদ্যানে টিকিট কেটে সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা অবধি মানুষজন ঘোরাফেরা করে। তবে সম্প্রতি ওই উদ্যানে তিনজন সিকিউরিটি থাকলেও তারা কোনও নজর দেয় না। বর্তমানে ওই উদ্যানে বড়রা যাওয়া-আসা খুবই কম করে। যার ফলে দিনের বেলা উদ্যানের নানা ফাঁকা ও আনাচ-কানাচকে কার্যত কিছু যুবক-যুবতী নিজেদের লীলাক্ষেত্র বানিয়েছে। প্রকাশ্যেই চলছে অসামাজিক কাজ। যার ভিডিও কে বা কারা তুলে ভাইরাল করে দিয়েছে। ওই ভিডিওতে বহু যুবক-যুবতী অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। যার ফলে সংস্কৃতির শহরের গরিমা নষ্ট হচ্ছে বলে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share