Tag: Madhyom

Madhyom

  • Indian Rail: গাইসালে ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের বগির ব্রেকে আগুন, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি

    Indian Rail: গাইসালে ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের বগির ব্রেকে আগুন, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার দুপুরে আপ ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের (Indian Rail) একটি বগির ব্রেকে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ট্রেন যাত্রীরা ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন। প্রাণ বাঁচাতে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কুড়ি মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেনটি গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়। এর পরই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

    রেলকর্মী জ্যোতিষ পাসমান জানিয়েছেন, পাটনা-দানাপুর থেকে শিলিগুড়িগামী আপ ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস (Indian Rail) গাইসালের কাছে পৌঁছলে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। জানা গেছে, ব্রেক সু থেকেই আগুন লাগে। রেলকর্মীরা দ্রুতই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ধরনের ঘটনার পিছনে গাফিলতি আছে বলে তিনি মনে করেন না। তাঁর মতে, ব্রেক গরম হয়ে এরকম হতেই পারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর যাত্রীরা স্বাভাবিক কারণেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে আগুনের ব্যাপকতা তেমন ছিল না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PARK: ‘আরণ্যক’ যুবক-যুবতীদের লীলাক্ষেত্র! অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হতেই তালা ঝোলানো হল পার্কে

    PARK: ‘আরণ্যক’ যুবক-যুবতীদের লীলাক্ষেত্র! অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হতেই তালা ঝোলানো হল পার্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির “আরণ্যক” পার্ক (PARK) অসামাজিক ও অশ্লীল কাজকর্মের লীলাক্ষেত্র হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল, পার্কে ঘটে চলা নানা ঘটনার অশ্লীল ভিডিও নিয়ে সরব হয়েছেন সবাই। এমনকী, পার্কে ঘুরতে আসা প্রেমিক যুগলদের কাছ থেকে টাকা তোলার মাধ্যমে এইসব ঘটনায় মদত দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ‌ উঠেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট শহরের উপকণ্ঠে মঙ্গলপুর এলাকায় ‘আরণ্যক’ পার্কটি বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। জয় রাইড হিসেবে পার্কের মধ্যবর্তী পুকুরে বোটের ব্যবস্থা এবং শিশুদের জন্য টয় ট্রেন চালু করা হয়। বর্তমানে অবশ্য দুটিই অচল অবস্থায় রয়েছে। রয়েছে টিকিটের ব্যবস্থা। সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকে। দেখভালের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির তিনজন কর্মী রয়েছেন। কিন্তু শহরের বাইরে হওয়ায় ধীরে ধীরে কমেছে শিশুদের যাওয়া-আসা, পাশাপাশি বেড়েছে যুবক-যুবতীদের ভিড়। দুপুরের দিকে ফাঁকা থাকায় চলছে অসামাজিক ও অশ্লীল কাজকর্ম। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে পার্কে নজরদারির অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদল বিজেপি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অসামাজিক কাজকর্মে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।

    বন্ধ করে দেওয়া হল পার্ক, কিন্তু কেন?

    এদিকে খোলামেলা অশ্লীল ও অসামাজিক কার্যকলাপের ভিডিও ভাইরাল হতেই তালা ঝোলানো হয়েছে আরণ্যক উদ্যানে (PARK)। অনির্দিষ্টকালের জন্য উদ্যান বন্ধ করে দিয়েছে বালুরঘাট ব্লক প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি ও প্রশাসনের একটি বৈঠক হবে। এরপরেই তা ফের খোলা হবে। তবে ব্লকের তরফে আরণ্যকে পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কিছুদিন আগেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও নিরাপত্তা মেলেনি। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেই ফের আরণ্যক খোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    কী বলছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা?

    এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ সিকদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য আরণ্যক (PARK) বন্ধ থাকবে। এনিয়ে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি জরুরি ভিত্তিতে একটি সভা করবে। সেই সভার মাধ্যমে পরবর্তী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তা নির্বাহী আধিকারিক কার্যকর করবে। বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মলয় মন্ডল বলেন, আরণ্যক কোনওভাবেই বন্ধ হবে না। আমরা নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিশকে জানিয়েছি। নিরাপত্তা বাড়ানো হলেই তা খোলা হবে। এবিষয়ে জেলা পুলিস সুপার রাহুল দে বলেন, পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    যুবক-যুবতীদের লীলাক্ষেত্র হয়ে উঠল কীভাবে?

    বালুরঘাট শহর ঘেঁষে অবস্থিত আরণ্যক উদ্যান। দীর্ঘদিন ধরেই ওই উদ্যান বেহাল হয়ে পড়েছে৷ উদ্যানের (PARK) ভিতরে বোর্টিং, টয় ট্রেন থাকলেও তা অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। গাছগাছালির তেমন পরিচর্যা হয় না। কিন্তু ওই উদ্যানে টিকিট কেটে সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা অবধি মানুষজন ঘোরাফেরা করে। তবে সম্প্রতি ওই উদ্যানে তিনজন সিকিউরিটি থাকলেও তারা কোনও নজর দেয় না। বর্তমানে ওই উদ্যানে বড়রা যাওয়া-আসা খুবই কম করে। যার ফলে দিনের বেলা উদ্যানের নানা ফাঁকা ও আনাচ-কানাচকে কার্যত কিছু যুবক-যুবতী নিজেদের লীলাক্ষেত্র বানিয়েছে। প্রকাশ্যেই চলছে অসামাজিক কাজ। যার ভিডিও কে বা কারা তুলে ভাইরাল করে দিয়েছে। ওই ভিডিওতে বহু যুবক-যুবতী অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। যার ফলে সংস্কৃতির শহরের গরিমা নষ্ট হচ্ছে বলে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: তীব্র দাবদাহে নেই পানীয় জলের পরিষেবা, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে মহিলারা

    Agitation: তীব্র দাবদাহে নেই পানীয় জলের পরিষেবা, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে পানীয় জল পাচ্ছেন না পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে পানিহাটি পুরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। পানীয় জল না পাওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রবিবার এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলের দাবিতে বিক্ষোভ (Agitation) ও রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধ কর্মসূচিতে বাড়ির মহিলারা সামিল হয়েছিলেন। যদিও ঘোলা থানার পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

    অবরোধ নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    এক বছর আগেও এই এলাকার মানুষ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখিয়েছিলেন। সেই সময় পুরসভার পক্ষ থেকে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও পানীয় জলের সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। এরপরই এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই গরমে এলাকায় তীব্র জলকষ্ট। পুরসভার ট্যাপ দিয়ে জল পড়ছে না। বাধ্য হয়ে প্রতিদিন জল কিনে খেতে হচ্ছে। পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। বছরের পর বছর ধরেই আমাদের এইভাবে চলতে হচ্ছে। ভোটের সময় নেতারা এসে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। পানীয় জলের সমস্যা আমাদের কোনদিনও মেটে না। আন্দোলন করলে নেতারা এসে শুধু আশ্বাস দিয়ে চলে যায়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করতে হবে। দাবি আদায়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখানো হয়েছিল। দাবিপূরণ না হলে আগামীদিনে ভোট বয়কট করার হুমকি দেন তাঁরা। পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ তুলতে পুলিশি অভিযানের কড়া সমালোচনা করেন আন্দোলনকারীরা।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, শুধু ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে নয়, এই পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আসলে গঙ্গার জলস্তর কমে যাওয়ায় পানীয় জলের পরিষেবা দিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে, আমাদের পুরসভার যে সব এলাকায় সমস্যা রয়েছে, সেখানে জলের গাড়ি পাঠানো হয়। ওই এলাকার মানুষের দাবি শুনেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধানে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: করোনার ফের বাড়বাড়ন্তে নজরে থাকুক বাচ্চাদের টিফিনের মেনু, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    Covid 19: করোনার ফের বাড়বাড়ন্তে নজরে থাকুক বাচ্চাদের টিফিনের মেনু, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

     

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। সাতদিন বন্ধ থাকার পরে ফের সোমবার থেকে রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল খুলছে। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ কয়েকদিন কম। তাই আপাতত তাপপ্রবাহের জেরে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও কিছুটা কমেছে। হয়তো চলতি সপ্তাহে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাবে। তবে, চিকিৎসক মহলের চিন্তা করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রমের থেকেও দেড়গুণ বেশি সংক্রমণ ছড়ানোর শক্তি আছে এর। তাই সচেতনতা আরও বেশি জরুরি। 

    কতখানি নিরাপদ পড়ুয়ারা?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত সপ্তাহে যেমন তীব্র দাবদাহ ছিল, তাতে অনেকেই অসুস্থ। তারপরে তাপমাত্রার পারদ ওঠানামার জেরে সর্দি-কাশি-জ্বর লেগেই আছে। ফলে অনেকের শরীর দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই করোনার (Covid 19) এই নতুন প্রজাতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে। তাছাড়া স্কুল পড়ুয়াদের বড় অংশের টিকাকরণ হয়নি। তাই তাদের জন্য দুশ্চিন্তা আরও বেশি। 

    কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, সর্দি-কাশি থাকলে স্কুলে পাঠানো উচিত নয়। কারণ, যে কোনও ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর যেমন পরিস্থিতি জটিল হতে পারে, তেমনি অন্যদের রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করলে বা সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে, অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। পড়ুয়াদের স্কুল চলাকালীন মাস্ক (Covid 19) পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শুধু স্কুল চত্বরে নয়, যাতায়াতের পথেও মাস্ক জরুরি। স্কুলে যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, পড়ুয়াদের বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস যেন থাকে, সে দিকে অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।

    টিফিন নিয়ে কী পরামর্শ?

    সবচেয়ে জরুরি স্কুলের টিফিন পর্ব! কারণ ওই বিরতিতে যেমন চলে খাওয়া, আবার শিশুরা খেলাধূলার সুযোগ পায়। তখন শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক বিধি কতখানি বজায় থাকবে, সে নিয়ে সংশয় থাকে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় সুস্থ রাখতে, শিশুদের টিফিনে অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার কিংবা পিৎজা, বার্গার, হটডগের মতো প্রিজারভেটিভ খাবার একেবারেই দেওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘরের তৈরি হাল্কা, সহজপাচ্য খাবার থাকুক টিফিনের মেনুতে। তার উপরে করোনা (Covid 19 সংক্রমণ রুখতে, স্কুলে খাওয়ার আগে পড়ুয়ারা যাতে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে, সেদিকেও যেন নজর দেওয়া হয়। খাবার ভাগ করে এই সময়ে না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সবচেয়ে জরুরি টিকাকরণ। যে সব স্কুলপড়ুয়া টিকা নেওয়ার উপযুক্ত, তাদের টিকাকরণ হওয়া জরুরি। টিকা না নিলে এই রোগ প্রতিরোধ কঠিন হয়ে উঠবে। তাই পড়ুয়াদের টিকাকরণ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Education: অকাল গরমের ছুটি শেষ, সোমবার থেকেই খুলে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ?

    Education: অকাল গরমের ছুটি শেষ, সোমবার থেকেই খুলে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমের সেই তীব্রতা আর নেই। ফলে ছুটি বাড়ানোরও তেমন সুযোগ নেই। অন্যদিকে রাজ্য সরকার এক সপ্তাহের যে ছুটি ঘোষণা করেছিল, তা শেষ হচ্ছে রবিবার। সেই হিসেবে ২৪ শে এপ্রিল সোমবার থেকেই খুলে যাওয়ার কথা রাজ্যের শিক্ষা (Education) প্রতিষ্ঠানগুলির। যদিও বিষয়টি নিয়ে রবিবার দিনভর ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তি ছিল। কারণ সোমবার থেকে যে স্কুল খুলছে, তার কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি। তবে পর্ষদের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, কতদিন ছুটি থাকবে, তা আগের নির্দেশিকাতেই পরিষ্কার করা ছিল। নতুন করে কোনও নির্দেশিকা জারি করার দরকার পড়ে না। ছুটি শেষ মানেই স্কুল খুলবে, এটাই স্বাভাবিক।

    গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল ২ মে থেকে

    উল্লেখ্য এবার গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল ২ মে থেকে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে স্কুল শিক্ষা দফতর ১৭ই এপ্রিল থেকেই স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে। যদিও এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় জানিয়েছিলেন, বাচ্চাদের সঙ্গে মেশার কারণেই তিনি জানতে পেরেছেন, প্রচণ্ড গরমে তাদের মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে। তাঁর মতে, এ থেকেই হতে পারে হিট স্ট্রোক। সেই কারণেই তিনি সোম থেকে শনি পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে (Education) এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেন।

    কী অভিযোগ করেছিল বিজেপি?

    অন্যদিকে তড়িঘড়ি এই ধরনের ছুটি ঘোষণার পিছনে অন্য চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, মিড ডে মিলের চাল চুরি করার পথ প্রশস্ত করতেই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, এদের টাকা কামানোর কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। তাই ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ার পরও এরা থামতে চায় না। তাঁর মতে, এইভাবে পড়াশোনা (Education) বন্ধ করে দেওয়ার কোনও অর্থই হয় না। বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা যেতেই পারত। সকালে স্কুলে পঠন-পাঠন চালু রাখা যেতেই পারত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ছুটি কোনও সমাধান নয়, ক্ষতিকারক সংস্কৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nurshing Home: মৃতকে আইসিইউতে রেখে রাতভর ‘চিকিৎসা’? কোন জেলায় এমন তাজ্জব ঘটনা?

    Nurshing Home: মৃতকে আইসিইউতে রেখে রাতভর ‘চিকিৎসা’? কোন জেলায় এমন তাজ্জব ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত রোগীকে জীবিত বলে সারারাত চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মৃত রোগীর পরিবারের লোকজন। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ইংলিশবাজার থানায়। মালদা শহরের গৌড় রোড় এলাকায় একটি নামি নার্সিংহোমের (Nurshing Home) বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে।  

    কীভাবে মৃত্যু হল রোগীর?

    জানা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম বনমালি সরকার। বাড়ি মালদার গাজোল থানার শিক্ষকপল্লি এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ থাকায় ওই ব্যক্তিকে শনিবার গৌড় রোড় এলাকায় একটি নার্সিংহোমে (Nurshing Home) ভর্তি করা হয়। রাতে নার্সিংহোম থেকে ফোন করে বলা হয়, রক্ত লাগবে। রাতে না দিতে পারলেও সকালের মধ্যে রক্ত জোগাড় করে দিলেই হবে, এই কথাও জানানো হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে, এমনটাই অভিযোগ। কিন্তু রবিবার সকালে এসে পরিবারের লোক জোর করে নার্সিংহোমের ভিতর ঢুকে দেখতে পান, তাঁদের রোগী মারা গেছে। 

    মৃত মানুষকে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা?

    মৃত রোগীর জামাই সানি দত্তের অভিযোগ, মৃত মানুষকে কিভাবে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা করা যায়? তাঁরা জোর করে ভিতরে ঢুকে দেখতে পান, আইসিইউ-তে রয়েছে তাঁদের রোগী, কিন্তু মারা গেছে। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। অথচ নার্সিংহোম (Nurshing Home) কর্তৃপক্ষ তাদের কিছুই জানায়নি। মৃত রোগীকে জীবিত বলে চিকিৎসা চালিয়ে গিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করত নার্সিংহোম, এমনই অভিযোগ করেন তিনি। এই মর্মে ইংলিশবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অবিলম্বে প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই নার্সিংহোম সিল করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মৃতের পরিবারবর্গ। 

    কী জবাব দিল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ?

    এই বিষয়ে নার্সিংহোম (Nurshing Home) কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও মৌখিকভাবে জানায়, অভিযোগ ভিত্তিহীন। রক্ত জোগাড় করতে না পাড়ায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Treatment: শুধু রোগ নির্ণয় নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের শিখতে হবে স্থানীয় ভাষাও, নির্দেশ কমিশনের

    Treatment: শুধু রোগ নির্ণয় নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের শিখতে হবে স্থানীয় ভাষাও, নির্দেশ কমিশনের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সম্পর্কে জানা আর রোগ নির্ণয় করাই যথেষ্ট নয়। রোগীর শয্যার পাশে থেকে দিতে হবে পরিষেবা। রোগীর রোগ নির্ণয় করেই দায়িত্ব শেষ নয়। বরং রোগীর সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে, প্রত্যেক রোগীর বিশেষ কোন ধরনের চাহিদা রয়েছে, তা বুঝে তবেই শুরু করতে হবে চিকিৎসা (Treatment)। এর জন্য জানতে হবে স্থানীয় ভাষা। যাতে রোগীর সমস্যা বোঝা এবং পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা তৈরি না হয়। সম্প্রতি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন চিকিৎসা পড়ুয়াদের জন্য এক নয়া নির্দেশিকা তৈরি করেছে। সেই নির্দেশিকাতেই চিকিৎসা পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম সারিতেই থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিভিন্ন বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ায় একদিকে যেমন তাঁদের অভিজ্ঞতা বাড়ে, তেমনি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের দক্ষ কর্মীর ঘাটতিও পূরণ হয়। বিশেষত এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেকটাই নির্ভর করে জুনিয়র ডাক্তারদের উপরেই। তাই তাঁদের প্রশিক্ষণ বিশেষ জরুরি। 

    সমস্যা কোথায়? 

    সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি একাধিক হাসপাতালে বারবার রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে চিড় দেখা গিয়েছে। রোগী ও রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে চিকিৎসক হেনস্থার যেমন একাধিক অভিযোগ উঠেছে, তেমনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে নানান সময়ে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কের এই অবনতি ঠেকানো জরুরি। তাই চিকিৎসা শাস্ত্র পড়াকালীন পড়ুয়াদের নিজেদের দায়িত্ব (Treatment) ও পেশা সম্পর্ক বিশেষ ওয়াকিবহাল হতে হবে। আর সেই কারণেই সম্প্রতি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন নতুন নির্দেশ জারি করছে।

    চিকিৎসক-পড়ুয়াদের জন্য কী নয়া নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)? 

    ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, রোগীর সমস্যা বুঝতে এবং রোগীকে ঠিকমতো পরামর্শ দেওয়ার জন্য যে এলাকায় জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজ করছেন, সেই এলাকার ভাষা অর্থাৎ স্থানীয় ভাষা অবশ্যই জানতে হবে। যাতে কথা বলতে কোনও অসুবিধা না হয়। অধিকাংশ সময়েই যোগাযোগের সমস্যা থেকেই নানান জটিলতা দেখা দেয়। ডাক্তার ও রোগীর সম্পর্কের অবনতির ক্ষেত্রে যোগাযোগের সমস্যাই সবচেয়ে বড় কারণ। তাই রোগী যে ভাষায় কথা বললে বুঝতে পারবেন, সেই ভাষাতেই সহজে রোগীকে বোঝার দক্ষতা অর্জন করতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের। পড়া চলাকালীন চিকিৎসক পড়ুয়াদের বোঝাতে হবে ভারতের আধুনিক চিকিৎসায় (Treatment) স্নাতক হওয়ার পরে, চিকিৎসক হিসাবে তার একটি বিশেষ সামাজিক দায়িত্ব থাকবে। তা সে কোনও পরিস্থিতিতেই অস্বীকার করতে পারবে না। রোগের উপসর্গ জানলেই হবে না। প্রত্যেক রোগীর নিজস্ব কিছু সমস্যা থাকে। চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর সেই বিশেষ চাহিদার দিকেও চিকিৎসককে নজর দিতে হবে। তবেই রোগীর চিকিৎসকের প্রতি আস্থা মজবুত হবে। রোগীর পরিষেবা দেওয়ার চাপে অনেক সময়েই চিকিৎসকেরা নিজেরাও মানসিক চাপ ও অবসাদে ভোগেন। তাই ছাত্রাবস্থা থেকেই নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। অর্থাৎ জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রয়োজন মতো কাউন্সেলিং করতে পারেন। এ বিষয়ে তাঁরা চিকিৎসক-শিক্ষকদের সাহায্য নেবেন। জুনিয়র চিকিৎসকেরা নিজেদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাপনের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে, চিকিৎসক-পড়ুয়াদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন এমন হতে হবে, যাতে তাঁরা সুস্থ জীবন কাটাতে পারেন। 

    বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কী বলছেন?

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের এই নয়া নির্দেশ স্বাস্থ্য পরিষেবা বিশেষত রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে বিশেষ উন্নতির পথ দেখাবে বলেই আশা করছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগীদের সঙ্গে হাসপাতালে অধিকাংশ সময়েই সরাসরি যোগাযোগ হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাই তাদের ভূমিকার প্রভাব সবচেয়ে বেশি রোগীর উপরে থাকে। প্রশিক্ষণ ঠিকমতো নিলে জুনিয়র চিকিৎসকেরাও কীভাবে রোগীদের সামাল (Treatment) দেবেন, সেই পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন ও স্পষ্ট ধারণা পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হরিণ ও ময়ূরকে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস এবং গ্লুকোজ, কোথায় জানেন?

    Heat Wave: গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হরিণ ও ময়ূরকে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস এবং গ্লুকোজ, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিল মাস পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ (Heat Wave)। প্রখর রোদে পুড়ছে বঙ্গবাসী। তবে এই তীব্র তাপপ্রবাহ কেবল মানবজীবনেই প্রভাব ফেলেছে তা নয়, নাজেহাল অবস্থা পশুপাখিদেরও। তাই এই আবহাওয়া থেকে কাঁকসার দেউলের জঙ্গলে হরিণ ও ময়ূরদের রক্ষা করতে বন দফতর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে৷ সকাল থেকেই রোদের তেজ তীব্র গতিতে বাড়তে থাকার পাশাপাশি হরিণ ও ময়ূরদের ওআরএস ও গ্লুকোজ খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়াও তাদের শরীরের জলশূন্যতা রুখতে ও সুস্থ রাখতে খাওয়ানো হচ্ছে টাটকা শাকসবজি, আখের গুড়, ভেজানো ছোলা, বিটনুন ও ভূষি। পাশাপাশি তাদের ওপর সারাক্ষণ বনকর্মীদের দিয়ে চলছে বিশেষ নজরদারি। দুর্গাপুর বন দফতরের এমনই দাবি।

    ঠিক কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর?

    বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালে গৌরাঙ্গপুর গ্রামের দেউলের জঙ্গলে হরিণ ও ময়ূরের জন্য সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। এটি শিবপুর বিট অফিসের আওতাধীন। সেখানকার বিট অফিসার অনুপকুমার মন্ডল সহ প্রায় ১৮ জন বনকর্মী হরিণ ও ময়ূরের দেখভাল করেন। বর্তমানে সেখানে মোট ৯৬ টি চিতল হরিণ রয়েছে। যার মধ্যে সদ্যোজাত প্রায় ৭ টি হরিণশাবকও রয়েছে। এছাড়াও ময়ূরের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। যদিও ময়ূরের বংশবিস্তার শুধুমাত্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে আর থেমে নেই। কাঁকসার জঙ্গলমহলের লোকালয়েও ময়ূর ছড়িয়ে গিয়েছে। প্রায় ৮ মাস ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ওই সংরক্ষিত এলাকার শাল-পিয়ালের জঙ্গলের সবুজায়ন হারিয়েছে। বসন্তকালের শুরুতেই সমস্ত গাছের পাতা ঝরে গেলেও বৃষ্টিপাতের অভাবে নতুন করে পাতা এখনও তেমনভাবে গজিয়ে ওঠেনি। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় ঘাস সহ ঝোপঝাড় গজিয়ে না ওঠায় হরিণের খাবারের অনেকটাই ঘাটতি দেখা গিয়েছে। চড়া রোদের তাপ (Heat Wave) ও লু থেকে হরিণ সহ ময়ূরের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় বন দফতর তড়িঘড়ি তাদের স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিয়েছে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওআরএস ও গ্লুকোজ তাদের খাবারের জলে মেশানো হচ্ছে। এছাড়াও ভেজানো ছোলা ও আখের গুড় খাওয়ানো হচ্ছে। গাজর সহ টাটকা শাকসবজি ও গাছের কচি পাতা সংগ্রহ করে দেওয়া হচ্ছে।

    কী জানাচ্ছেন বন দফতরের আধিকারিকরা?

    বন দফতরের দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে হারে দাবদাহ (Heat Wave) বেড়ে চলেছে এপ্রিলের শুরু থেকেই, তাতে সংরক্ষিত হরিণ ও ময়ূরগুলিকে সুস্থ রাখতে আমরা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। প্রতিদিন প্রায় ২০ প্যাকেট ওআরএস দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গ্লুকোজ থেকে গুড়, ছোলা, শাকসবজিও দেওয়া হচ্ছে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শমতো আগামী মে ও জুন মাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হবে। যাতে এই তীব্র তাপপ্রবাহে তারা অসুস্থ না হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জঙ্গলে গাছের পাতা ও ঘাস তেমনভাবে এখনও গজিয়ে উঠতে পারেনি। আমরা গাছের কচি পাতা সংগ্রহ করে হরিণগুলিকে দিচ্ছি। পাশাপাশি ময়ূরকে গম দেওয়া হয় সারা বছর। এখনও পর্যন্ত কোনও হরিণ অসুস্থ হয়নি। তাদের ওপর সর্বক্ষণ বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water: কল আছে, জল নেই! অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্ষোভ

    Drinking Water: কল আছে, জল নেই! অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কল আছে, জল নেই। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল (Drinking Water) প্রকল্পে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য খিদিরপুর এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করতে বাড়ি বাড়ি পাইপলাইন পৌঁছে গিয়েছে। প্রতি বাড়িতে একটি করে ট্যাপও লাগানো হয়েছে। কিন্তু ট্যাপকল থাকলেও, জলের দেখা নেই। প্রথম প্রথম জল এলেও দীর্ঘদিন ধরে ট্যাপে জল আসে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। 

    সমস্যা নিয়ে কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকে প্রতিটি বাড়িতে ট্যাপ লাগানো হয়েছে। ট্যাপ লাগানোর পর কিছুদিন জল (Drinking Water) আসত। কিন্তু তারপর দীর্ঘদিন ধরে আর জল আসে না। পঞ্চায়েতকে জানালে পঞ্চায়েত বলে, আমাদের হাতে এটা নেই, এটাপিএইচই-র হাতে। এলাকাবাসী পিএইচই দফতরে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ট্যাপে জল না আসায়, পঞ্চায়েতে জানানো হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরেও (পি এইচ ই) এলাকার বাসিন্দারা মাস পিটিশন দিয়েছেন। তবুও কোন সুরাহা হয়নি।

    কী বলছে বিজেপি?

    বিজেপির যুব সভাপতি শুভ চক্রবর্তী জানান, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Drinking Water) ট্যাপ দিলেও, জল আসে না। এই দাবদাহে মানুষকে প্রচণ্ড সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং পিএইচইকে জানানো হয়েছে। একে অন্যের অপর দোষ চাপাচ্ছে। আমরা তো জানি এটা পঞ্চেয়েতেরই কাজ।

    তৃণমূলের কী বক্তব্য?

    এলাকার তৃণমূল সদস্য দীপা উপাধ্যায় জানান, জলস্তর কমে যাওয়ায় জল (Drinking Water) আসছে না। বিষয়টি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পিএইচই দফতরে জানানো হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, এই সমস্যা তাঁর নিজের বাড়িতেও। এলাকার মানুষের ক্ষোভের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে তো সব সমস্যা মেটানো সম্ভব হয় না। পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: শনিবার রাতের পর রবিবার ভোরেও ভিজল দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা! মিলল স্বস্তি

    Weather Report: শনিবার রাতের পর রবিবার ভোরেও ভিজল দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা! মিলল স্বস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাত এবং ভোরে ভিজল কলকাতা। তবে হল না স্বস্তির বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার রাতেই বৃষ্টি নামে কলকাতা এবং আশপাশের বেশ কিছু জেলায়। যদিও বৃষ্টি হয়েছে নামমাত্র। পাশাপাশি বয়েছে ঝোড়ো হাওয়াও । আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে (Weather Report) আশায় বুক বেঁধেছিলেন শহরের মানুষ। ভ্যাপসা গরম থেকে খানিক রেহাই দিল এই নামমাত্র বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া। রবিবার সকালেও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। কিছু জেলায় সকাল থেকেই মুখ ভার করে ছিল আকাশ। প্রসঙ্গত, হালেই তারা জানিয়েছিল, টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে। চৈত্র-শেষেই কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছিল। সব নিয়ে দুর্ভোগ ছিল চরমে। রবিবারের বৃষ্টি ঝলসে যাওয়া শহরের বুকে শান্তির আমেজ ফিরিয়েছে। 

    আজকে কেমন থাকবে আবহাওয়া

    এদিন রাজ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। রবিবার থেকে গোটা রাজ্য জুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি থাকছে। দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আর তাপপ্রবাহ থাকবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আজ দিনভর মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামিকালও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। 

    তাপমাত্রার হেরফেরে সতর্ক থাকতে হবে

    তীব্র গরম থেকে হঠাৎই একধাক্কায় তাপমাত্রা পড়ে যাওয়াতে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার (Weather Report) এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্‍সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share