Tag: Madhyom

Madhyom

  • CPM: দিনের বেলায় সিপিএমের কার্যালয়ে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    CPM: দিনের বেলায় সিপিএমের কার্যালয়ে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে সিপিএমের (CPM) দলীয় কার্যালয়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। পরে, দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বরানগরের বনরিণি এলাকায়। ইতিমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বনরিণি পার্টি অফিসে সিপিএম (CPM) কর্মীরা লেনিনের জন্মদিন পালন করেন। সেখানে একাধিক কর্মী, সমর্থক হাজির ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই কার্যালয়ে স্থানীয় লোকজন আগুন দেখতে পান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ওই পার্টি অফিসে জানলা খোলা ছিল। দরজা বাইরে থেকে লাগানো ছিল। আচমকাই পার্টি (CPM) অফিসের ভিতর থেকে আগুন দেখে আমরা ছুটে যাই। সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নিই। দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন সিপিএম (CPM) নেতৃত্ব?

     সিপিএম (CPM) নেতা স্বপন মজুমদার বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে দেওয়াল লিখতে তারা বাধা দেয়। আমরা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। আর দলীয় কার্যালয়ে যে বা যারা আগুন লাগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নই। আসলে ওই পার্টি অফিসটির কিছু অংশ ভাঙা রয়েছে। দিনের বেলায় কী করে আগুন লাগল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ১২ বছর ধরে আমি বিধায়ক রয়েছি। এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আর ওই এলাকায় এদিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে, দলের বা সিপিএমের কেউ কিছু জানাইনি। তবে, কোনও কিছু হলে সিপিএম (CPM) সবার পিছনে তৃণমূল রয়েছে অভিযোগ করে। এক্ষেত্রেও সেই অভিযোগ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে সুকান্ত, কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে সুকান্ত, কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যুকাণ্ডে রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। শুক্রবারই রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেছিলেন, ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ছাত্রীর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃতদেহের কাছে থেকে বিষের কৌট উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবারে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই ইস্যুতে আদালতে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করলেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশ বলছে ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ কীভাবে এটা বলতে পারে? গ্রামবাসীরা বলছে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কুকর্ম করা হয়েছিল। তাঁরা দেখেছেন কী অবস্থায় পড়েছিল ছাত্রীর দেহ। মৃত ছাত্রীর পরিবার রাজি থাকলে সিবিআই তদন্তের জন্য হাইকোর্ট যাবে বিজেপি।

    জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে অবস্থান বিক্ষোভে কেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    শুক্রবার সকালে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।  স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরের ধার থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাকার বাসিন্দারা ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ আটকে রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার সকাল থেকে এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত কিশোরীর বাড়িতে যান বিজেপির প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)  সঙ্গে আরও দুই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, খগেন মুর্মু ছিলেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিধায়কও ছিলেন। তাঁরা মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তাঁরা আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে সরাসরি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায়  অবস্থিত পুলিশ সুপারের দফতরে এসে হাজির হয় বিজেপির প্রতিনিধি দল। কিন্তু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এসপি অফিসে আসার খবর অনেক আগেই ফোন মারফৎ পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও এদিন সেখানে কোনও পুলিশ কর্তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। দফতের ঢোকার দরজা খোলা নিয়েও অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর এসপি অফিসের ভিতরে অবস্থান ও ধর্ণায় বসে প়ড়েন রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদ এবং বিধায়করা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এই ঘটনার তদন্তে তারা সন্তুষ্ট নন।

    কালিয়াগঞ্জে আসছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি টিম

    পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মৃতদেহ টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও টুইট করেছেন। অভিযোগ সামনে আসার পর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কালিয়াগঞ্জ যাচ্ছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি টিম। চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতা ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

    বিজেপি-র প্রতিনিধি দল বেরিয়ে যেতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ

    বিজেপির প্রতিনিধি দল বেরিয়ে যেতেই শনিবার দুপুরে পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা মোড় এলাকা। আশেপাশের গ্রামবাসীরা জমায়েত হয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয় দোকানপাটগুলিতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।  বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন কোন পুরসভার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন কোন পুরসভার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চলা তদন্তের মধ্যেই এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের বাড়ি থেকে ইডি-র উদ্ধার করা নথির সূত্র ধরেই তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। সিবিআই প্রয়োজন মনে করলে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত চালাতে পারবে বলেও জানিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ের পরই নন্দীগ্রামের হরিপুরে একটি পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, গরু পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এসেছে। এবার এই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। আর এই দুর্নীতিতে শাসকদলের একাধিক বিধায়ক, সাংসদ, প্রাক্তন বিধায়কসহ নেতা, নেত্রীরা যুক্ত রয়েছেন। আমি কয়েকজনের তালিকাও দিয়েছি। আর মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। আমার নাকি বিভিন্ন জেলায় কোটা ছিল। আমি নিশ্চিত করে বলছি, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও যদিও আমার হাতের লেখা সুপারিশের প্রমাণ মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেন, তাহলে আমি তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন কোন পুরসভার জড়িত থাকার কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসলে কলকাতা পুরসভা, বিধাননগর পুরসভার পাশাপাশি বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, খড়দহ, ভাটপাড়া, নৈহাটি, বারাসত, বনগাঁ, মধ্যমগ্রাম, হরিণঘাটা, চাকদা পুরসভা সহ একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, বিধায়করা কেউ বাইরে থাকবেন না। এমনকী এই দুর্নীতিতে পুরমন্ত্রীর জড়িত থাকার অভিযোগও সামনে আসবে। কীভাবে পুরসভায় পুর কর্মী নিয়োগে পরীক্ষার খাতায় কারচুপি করা হয়েছে তা অয়ন শীলের দুর্নীতি চক্র সব কিছু সামনে নিয়ে আসবে। ওএমআর শিট তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আর এই দুর্নীতিতে কতজন ভিতরে ঢুকবেন তার কোনও হিসেব নেই। আগামীদিনে এই পার্টির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। সব কিছুই শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mamata Banerjee: অক্ষয় তৃতীয়ায় ‘শুভনন্দন’! অথচ ইদের বেলায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, এ কোন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: অক্ষয় তৃতীয়ায় ‘শুভনন্দন’! অথচ ইদের বেলায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, এ কোন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শুভনন্দন’! মুখ্যমন্ত্রীর আবিষ্কৃত নয়া বাংলা শব্দ, যার অর্থ উদ্ধার করতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে ভাষাবিদদের। পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে দিঘায় প্রথম এই শব্দ ব্যবহার করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘হাঁস ছিল সজারু, হয়ে গেল হাঁসজারু’। অনেকেই রসিকতার ছলে বলছেন এটা অনেকটা আবোল তাবোলে সুকুমার রায়ের হাঁসজারু শব্দের মতো। যে বাংলা শব্দের নেই কোনও অর্থ বা স্বীকৃতি। এমন জোড়কলম শব্দ বাংলা অভিধানেও মেলে না। কিন্তু তাতে কী! হিন্দু বাঙালির পয়লা বৈশাখ হোক বা অক্ষয় তৃতীয়া, মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা বয়ে আসে এই শব্দ বেয়ে। কিন্তু ইদের বেলায় অবশ্য ভিন্ন নিয়ম! সেখানে ‘শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন’ শব্দ দুটি ব্যবহার করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। 

    শব্দচয়নে এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ কেন করেন মাননীয়া?

    ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, আসলে এখানেও ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি। একধরনের সংখ্যালঘু তোষণের উদ্দেশ্যেই দুটি আলাদা উৎসবে, আলাদা ধরনের শব্দের ব্যবহার করা হয়। স্বীকৃত শব্দ ইদে এবং অর্থহীন শব্দ অক্ষয় তৃতীয়ায়। বিরোধী রাজনৈতিক মহলের একাংশ এ প্রসঙ্গে টেনে আনছেন ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য। প্রকাশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে যে আমি সংখ্যালঘু তোষণ করি, বেশ করেছি, যে গরু দুধ দেয়, আমি তার লাথি খেতে প্রস্তুত।”

    তোষণে পিছিয়ে নেই মমতার (Mamata Banerjee) পুলিশও

    মুখ্যমন্ত্রীর মতো তোষণের একই রাস্তায় হাঁটছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশও। দোলযাত্রা হোক বা কালীপুজো শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তারা বলে দিচ্ছে, বিবাদ এড়িয়ে চলুন। উৎসবের দিন কাউকে আঘাত করবেন না। 

    অথচ একই পুলিশ ইদের শুভেচ্ছা বার্তায় শুধুই অভিনন্দন জানাচ্ছে। সেখানে বিবাদ এড়িয়ে চলা বা কাউকে আঘাত না করার কোনও বার্তা নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আমলে সংখ্যালঘু তোষণের প্রতিষ্ঠানকরণ হয়ে গেছে। তাই পিছিয়ে নেই প্রশাসনও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal: ডাইনি সন্দেহে তিন বছর ধরে তিন আদিবাসী পরিবার ঘরছাড়া! কোথায় জানেন?

    Tribal: ডাইনি সন্দেহে তিন বছর ধরে তিন আদিবাসী পরিবার ঘরছাড়া! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন আদিবাসী (Tribal) পরিবারের বারোজন সদস্য গ্রাম ছাড়া। গত ৩ বছর ধরে তাঁরা নিজেদের এলাকায় ঢুকতে পারছেন না। পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা শিকেয় উঠেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এর আগেও একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় ওই তিন পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনটা অভিযোগ নির্যাতিতা পরিবারের।  আবারও শান্তিনিকেতন থানা এবং এসডিপিও-র কাছে দ্বারস্থ হল এই পরিবার।

    কেন তিন পরিবারের সদস্যদের গ্রাম ছাড়া করা হয়েছিল?

    ২১ জুলাই ২০২০ সালে শান্তিনিকেতন থানার মুলুক এলাকার মণিকুন্ঠ গ্রামে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই দুর্ঘটনার জন্য তিন আদিবাসী (Tribal) পরিবারের দুজনকে দায়ী করা হয়। ডাইনি বলে চিহ্নিত করে দুর্ঘটনার জন্য তাঁদের দায়ী করা হয়। এরপরই এলাকাবাসীর নিদানে তাঁদের গ্রাম ছাড়া করা হয়। ফলে, তিন বছর ধরে নিজের বাড়ি থাকার পরও তাঁরা থাকতে পারছেন না। শুক্রবারই ওই পরিবারের সদস্যরা শান্তিনিকেতন থানাতে যান। এলাকাবাসীর নিদানে তিন বছর ধরে তারা যে গ্রামে ঢুকতে পারছেন না তা পুলিশ প্রশাসনকে জানান। এমনকী গ্রামে ফিরতে না পারার কারণে কী কী সমস্যা হচ্ছে তা তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের সামনে তুলে ধরেন।  পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন পরিবারকে ফেরানোর  আশ্বাস দেওয়া হয়।  

    কী বললেন এসটি,এসসি, ওবিসি মাইনরোটি সেলের জয়েন্ট ফোরামের সভাপতি?

    এসটি,এসসি, ওবিসি মাইনরোটি সেলের জয়েন্ট ফোরামের সভাপতি  বৈদ্যনাথ সাহা বলেন,  এখনও মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। কোনও ঘটনার জন্য একটি বা দুটি পরিবারের সদস্যদের দায়ী করা ঠিক নয়। কিন্তু, ওই তিন আদিবাসী (Tribal) পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ওই তিন পরিবারকে বাড়ি ফেরানোর জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে প্রচুর আবেদন করেছি। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। ফলে, তিন পরিবারের ছেলে ও মেয়েরা বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষার আলো থেকে। তিন বছর ধরে স্কুলে না যাওয়ার কারণে স্কুল ছুট হয়েছেন তাঁরা। আমরা আবারও প্রশাসনের দ্বারস্থ হলাম। এখন তাঁরা কবে বাড়ি ফেরেন সেদিকেই আমরা তাকিয়ে রয়েছি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Akshay Trtiya 2023: লেগে গেছে অক্ষয় তৃতীয়া তিথি! সোনা কেনার শুভ সময় জানেন তো?

    Akshay Trtiya 2023: লেগে গেছে অক্ষয় তৃতীয়া তিথি! সোনা কেনার শুভ সময় জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি অক্ষয় তৃতীয়া নামে পরিচিত। দীপাবলি অথবা ধনতেরাসের থেকে এই তিথির গুরুত্ব কোনও অংশে কম নয়। এদিন প্রতিটি হিন্দু বাঙালি বাড়িতেই পুজো হয়ে থাকে। পরিবারে মঙ্গল কামনায় অনেকেই মন্দিরে যান। ভক্তদের বিশ্বাস এই তিথির ব্রত পালন করলে জীবনে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি নেমে আসে। 

    অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Trtiya 2023) পুজোর শুভ সময়

    অক্ষয় তৃতীয়া পুজোর শুভ সময় ২২ এপ্রিল সকাল ০৭টা ৪৯ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত হবে। পুজোর মোট সময়কাল হবে ৪ ঘণ্টা ৩১ মিনিট।

    তৃতীয়া তিথি ২২ এপ্রিল সকাল ০৭টা ৪৯ মিনিট থেকে শুরু হবে।

    তৃতীয়া তিথি শেষ হবে ২৩ এপ্রিল সকাল ০৭টা ৪৭ মিনিট মিনিটে।

    সোনা কেনার জন্য শুভ সময়

    অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshay Trtiya 2023) সোনা কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। সোনা কিনলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়ে। আপনি যদি সোনা কিনতে না পারেন তবে সোনা ছাড়াও এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে কেনা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনার সময় ২২ এপ্রিল ২০২৩ সকাল ০৭টা ৪৯ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ২৩ এপ্রিল সকাল ০৫টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। সোনা কেনার মোট সময়কাল হবে ২১ ঘন্টা ৫৯ মিনিট।

    কী কী হয় এদিন

    এই দিনে চারধাম যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীর দরজা খোলা হয়। ছয়মাস বন্ধ থাকার পর এইদিনেই দ্বার উদ্‌ঘাটন করা হয়। এর কয়েকদিন পর খোলে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা। দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ যা ছয়মাস আগে জ্বালিয়ে রাখা হয়েছিল। পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রথ নির্মাণ শুরু হয় এই শুভ দিন থেকেই। 

    শুভ কাজ

    বৈদিক মত অনুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোনও শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। 

    বর্তমানে অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা ও রুপো কেনার পাশাপাশি নতুন ব্যবসা শুরু করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এ দিনে বিবাহ করলে দম্পত্তিদের জীবনে সর্বদা সুখ ও সমৃদ্ধি থাকে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশ করা বা একটি নতুন বাহন কেনাও খুব শুভ বলে মনে করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ORS: ডিহাইড্রেশন রুখতে সঙ্গে রাখছেন ‘ওআরএস’! ভাল করে দেখে নিয়েছেন তো?

    ORS: ডিহাইড্রেশন রুখতে সঙ্গে রাখছেন ‘ওআরএস’! ভাল করে দেখে নিয়েছেন তো?

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের জেলাজুড়ে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির চৌকাঠ পেরিয়ে উর্ধ্বমুখী! কিন্তু তার মধ্যেও কাজের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে, ঘামও হচ্ছে প্রচুর। শরীর ঠান্ডা আর সুস্থ রাখতে অনেকেই তাই সঙ্গী করছেন ওআরএসের (ORS) প্যাকেট। গুঁড়ো প্যাকেট নয়, একেবারে তৈরি প্যাকিং ওআরএস। জলে গোলার ঝামেলা নেই। এমনকী আপেল, আনারস কিংবা কমলালেবুর নানান রকমারি স্বাদের তৈরি জিনিস! গরমে তেষ্টা মেটানোর সঙ্গে দিচ্ছে আরাম। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করছেন, সেখানে বিপদ লুকিয়ে আছে কি না, দেখে নিয়েছেন তো? আসুন, তার আগে শুরুতেই জেনে নিই, এই ওআরএস আসলে কী?

    ওআরএস কী? 

    শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে ওআরএস (ORS) অত্যন্ত কার্যকর। অতিরিক্ত ঘাম হলে কিংবা কলেরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দেহে ডিহাইড্রেশন রুখতে ওআরএস বিশেষ কাজ দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০২ সালে ওআরএস অর্থাৎ, ওরাল রিহাইড্রেশন সল্টে কী কী উপাদান কত পরিমাণ থাকবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, অনেক কোম্পানিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ওআরএস তৈরি করছে না। ফলে, সেসব ক্ষেত্রে উপকারের থেকে ক্ষতির ঝুঁকিই বাড়ছে। অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ওআরএস-এর নামে যা বিক্রি করছেন, তা কেবল প্যাকিং ঠান্ডা পানীয় ছাড়া কিছুই নয়। তাতে শরীরের জন্য লাভ তো নেই। বরং, শিশুদের জন্য ক্ষতিকর বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। 

    সমস্যা কোথায়? 

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু জায়গায় এমন কিছু সুস্বাদু পানীয় প্যাকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে, যাকে বিক্রেতারা ওআরএস বলছেন। সাধারণ মানুষ অনেক সময়েই ওআরএস (ORS) কিনা, তা যাচাই করছেন না। ওই প্যাকেট পানীয় শিশুদের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। শিশুদের পেটের সমস্যা হলে কিংবা অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে গেলে ওই ধরনের প্যাকেট পানীয় বিপদ বাড়াচ্ছে। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই সব পানীয়তে যে উপাদান থাকে, তাতে দেহে পটাসিয়াম, সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এমনকী ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই শিশুদের ওআরএস দেওয়ার আগে বাড়তি সতর্ক ও যাচাই জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 

    কীভাবে চিনবেন ওআরএস? 

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  ফর্মুলা ওআরএস-র (ORS) প্যাকেটে ছাপা আছে কিনা, তা যাচাই করে নিতে হবে। যদি না থাকে, তাহলে ওষুধ দোকান কিংবা যে কোনও বিক্রেতার কথায় ওআরএস হিসাবে অন্য কোনও পানীয় কিনলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, দোকানের প্যাকেট ওআরএস-এর পরিবর্তে বাড়িতে নুন-চিনি মিশিয়ে জল খেলেও একরকম উপকার হবে। তবে, যাদের ডায়বেটিসের বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের যে কোনও পানীয় খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, অতিরিক্ত পরিমাণ নুন, চিনি তাদের শরীরে অন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ দিনে তাপমাত্রা ছিল ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস! কোথায় জানেন?

    Heat Wave: বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ দিনে তাপমাত্রা ছিল ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে তাপমাত্রা রেকর্ড ভাঙছে। ৪২ এর মাত্রা ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। বঙ্গবাসীর নাজেহাল অবস্থা। এই পর্বে বৃষ্টির আশা থাকলেও ভবিষ্যতে ফের কতদিন এই গরম সহ্য করতে হবে, জানা নেই। এবার ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ, অশেষ দুর্ভোগের মধ্যেই অফিস ছুটতে হয়েছে চাকরিজীবীদের। স্কুল-কলেজে তো আগেই ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপনার কি জানা আছে, এই ৪২ ডিগ্রির থেকেও মারাত্মক গরম (Heat Wave) সহ্য করেছে মানুষ? বিশ্বের ইতিহাসে আছে এমন এমন বছর, যেগুলি জনজীবনে অভিশাপ হয়ে উঠেছিল। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়েছিল জীবন। 

    কবে, কোথায় এই মারাত্মক তাপপ্রবাহ থাবা বসিয়েছিল?

    যখন কোনও স্থানে তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় এবং সেই সঙ্গে আর্দ্রতা বেড়ে যায়, তখন সৃষ্টি হয় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। আর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, বিশ্বে এরকম অনেক সময় আছে, যে বছরগুলিতে তাপপ্রবাহের (Heat Wave) পরিমাণ ছিল মারাত্মক। পৃথিবীর সবথেকে উষ্ণ দিনটি রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯১৩ সালের জুলাই মাসে, ক্যালিফোর্নিয়াতে। তখন সেই জায়গায় তাপমাত্রা ছিল ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়, কীভাবে মানুষ এই মাত্রাতিরিক্ত গরম সহ্য করেছে। মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়া। আরও অনেক জায়গায় এই দাবদাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিহাসে তার মধ্যে ৪ টি হল নিউইয়র্ক বিপর্যয় ১৮৯৬ সাল, দ্যা গ্রেট স্টিনক ১৮৫৮, ইউরোপের দাবদাহ ১৭৫৭ সালে, ইউরোপের খরা ১৫৪০ সালে। 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত প্রচণ্ড তাপের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে এবং তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই বছর সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। এপ্রিলের এই তাপপ্রবাহ উত্তর ও পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বেশি আঘাত হেনেছে। 

    ভারতের ইতিহাসে কি এর থেকেও খারাপ পরিস্থিতি হয়েছে?

    শুধু সুদূর বিদেশের মাটিতে নয়, ভারতও এর থেকে মারাত্মক গরম (Heat Wave) সহ্য করেছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ১৯৭১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে ৭০৬ টি তাপপ্রবাহের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে ভারতের রাজস্থানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৫৬ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ১৯৯৮ সালে মে-জুন মাসে তাপমাত্রা ছিল ৪৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় ২৫০০ জনের মৃত্যুও হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SIT: রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিতের বাড়িতে হানা দিল সিট! কেন?

    SIT: রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিতের বাড়িতে হানা দিল সিট! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শুক্রবার কাঁকসার বামুনারায়  রাজু ঝা খুনের ঘটনায়  ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিল সিট (SIT) -এর সদস্যরা। রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় অভিজিত্ মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই খুনের পিছনে আর কারা রয়েছে, তা নিয়ে চর্চা চলছে সর্বত্র। অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনার তদন্তে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিটের (SIT) সদস্যরা পৌঁছে যান দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের অন্য এক ব্যবসায়ী নারায়ণ খারকার অফিসে। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের দুটি দোকানে তল্লাশি চালান সিটের (SIT)  তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও ওই বন্ধ দোকান দুটির চাবি না মেলায় পুলিশ সিল করে। এবার সিসি টিভি খতিয়ে দেখতে অভিজিতের বাড়িতে পৌঁছাল সিট (SIT)।

    সিসি টিভি খতিয়ে দেখে কী পেল সিট (SIT)?

    নারায়ণ খারকার দোকানের পর এবার ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিল সিট (SIT) । তার বাড়ির সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তবে, সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টার  ভিডিও ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। নেই ২৪ ঘণ্টার আগের কোনও ভিডিও ফুটেজ, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তবে, কী কোনও বিশেষ প্রমাণ লোপাট করতেই মুছে ফেলা হয়েছে সেই সমস্ত ফুটেজ? মূলত তারসঙ্গে কার ওঠাবসা ছিল, তার বাড়িতে কারা কারা আসত তা খতিয়ে দেখতেই সিটের আধিকারিকরা সিসি টিভি খতিয়ে দেখেন। পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুনের শার্প শুটারদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল অভিজিত্। কয়েকমাস ধরেই শুটাররা টার্গেট করছিল রাজুকে। অবশেষে ১ এপ্রিল দুর্গাপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজু ঝা। সঙ্গে ছিল ব্রতীন ও আবদুল লতিফ। শক্তিগড়ে তাঁরা ঝালমুড়ি খেতে গাড়ি থেকে নীচে নামেন। সেই মুহূর্তে একটি নীল রংয়ের গাড়িতে করে আসা দুই জন শার্প শুটার গাড়ির প্রথম সিটে বসে থাকা রাজুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। এই ঘটনার ১৮ দিনের মাথায় অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হয়। পুলিশ তাকে হেপাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Collapse: রাস্তা জুড়ে ফের ধস! আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা

    Collapse: রাস্তা জুড়ে ফের ধস! আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধস (Collapse) ! এবার ধসের (Collapse) আতঙ্কে ঘর ও দোকানপাট ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার দুপুরে এমনই চিত্র উঠে এল অন্ডালের পড়াশকোল এলাকায়। এদিন দুপুর থেকেই অন্ডালের পড়াশকোল এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। বিশেষ করে চোখের সামনে চলাচলের রাস্তা জুড়ে বিশাল ফাটল দেখে অনেকের রাতে ঘুম চলে যায়।  পড়াশকোল এলাকার প্রসিদ্ধ পদ্মাবতী মন্দির রয়েছে এখানে। মন্দিরে পুজো দিতে বহু ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু, এদিনের ধসের কারণে মন্দিরে ভক্তদের সংখ্যাও কম ছিল।

    ধস (Collapse) নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?

    শুক্রবার দুপুরে স্থানীয়দের একাংশ লক্ষ্য করেন ,পড়াশকোলের বগুলা কাজরা যাওয়ার প্রধান রাস্তার উপর জায়গায় জায়গায় গভীর আকারের ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত দুই বছর আগে এই এলাকায় ব্যাপক আকারে ই সি এল- এর খোলা মুখ খনির কারণেই ধসের (Collapse) সৃষ্টি হয়েছিল।  সেই মুহূর্তে এলাকা ও ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখনও এলাকার বহু মানুষ আতঙ্কে ধস (Collapse) কবলিত এলাকা থেকে দূরে ক্লাব ঘরে বাস করছেন। দুই বছর আগে ধসের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন, শাসক দল, ইসিএল আধিকারিকদের বৈঠক করে। সেই সময় এলাকাবাসীদের পুনর্বাসনের বিষয়টি আলোচনা হয়। কিন্তু দু’বছর পার হয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আজও আতঙ্কে বসবাস করছেন এলাকার মানুষ । প্রসঙ্গত, পড়াশকোল এলাকা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে জামবাদ খোলামুখ খনি এলাকায় দু’বছর আগে ধসে তলিয়ে যায় আস্ত একটা বাড়ি,তলিয়ে যায় বাড়ির লোকজনও। বেশ কয়েক দিনের চেষ্টার পর মৃতদেহ উদ্ধার হয় মাটির তলা থেকে। এই ঘটনার পরেই আতঙ্কিত জামবাদ,পড়াশকোল এলাকার বাসিন্দারা পুনর্বাসনের দাবি জানান ইসিএলের দফতরে। কিন্তু সেই দাবি পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসী। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা এলাকায় থাকছিলেন। এদিন নতুন করে ধস (Collapse) শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হচ্ছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share