Tag: Madhyom

Madhyom

  • Amartya Sen: জমি-বিবাদে অমর্ত্য সেনকে ‘চরমপত্র’! এবার কি তাহলে উচ্ছেদ অভিযানে নামতে চলেছে বিশ্বভারতী?

    Amartya Sen: জমি-বিবাদে অমর্ত্য সেনকে ‘চরমপত্র’! এবার কি তাহলে উচ্ছেদ অভিযানে নামতে চলেছে বিশ্বভারতী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতী বনাম নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) জমি-বিবাদ এবার মারাত্মক দিকে মোড় নিল। এতদিন বিষয়টি আলাপ-আলোচনা বা চিঠি-চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখনও তাই-ই আছে। কিন্তু এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অমর্ত্য সেনকে যে নোটিশ পাঠিয়েছে, তার বিষয়বস্তু নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা শুরু হয়েছে। অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তীকে ই-মেইল মারফত যে নোটিশ বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার পাঠিয়েছেন, তাতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৯ শে এপ্রিল ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী ‘কড়া পদক্ষেপ’ নেবে কর্তৃপক্ষ। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি এবার সরাসরি উচ্ছেদ অভিযানে নামতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ? 

    কী নিয়ে উভয়পক্ষের এই বিবাদ?

    বিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অমর্ত্য সেনের লিজ নেওয়া জমি। অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) দাবি, জমির পরিমাণ ১.৩৮ একর। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, জমির পরিমাণ আরও কম এবং সেটা হল ১.২৫ একর। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, ওই বাড়তি জমি অমর্ত্য সেন জোর করে দখল করে রেখেছেন এবং তা ভোগদখল করছেন। তাই তা আসলে বিশ্বভারতীর নিজস্ব সম্পত্তি। অন্যদিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের দাবি, বিশ্বভারতী ঠিক কথা বলছে না। ওই জমি কিনেছিলেন তাঁর বাবা। সেই সংক্রান্ত কাগজপত্রও তাঁর কাছে রয়েছে। 

    কেন পরিস্থিতি জটিল দিকে মোড় নিল?

    বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ শে মার্চ এই বিষয়ে আলোচনার জন্য অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) ডাকা হয়েছিল শুনানিতে। কিন্তু তিনি আসতে পারেননি। আরও কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছিল তাঁর পক্ষ থেকে। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, আইন মোতাবেক তাঁকে সাতদিনের বেশি সময় দেওয়া যায় না। যেখানে অমর্ত্য সেন চেয়েছিলেন আরও চার মাস সময়। নোটিশে একথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ১৯ তারিখ চাইলে অমর্ত্য সেনের আইনজীবী হাজির থাকতে পারবেন, এমনকি তিনি চাইলে ই-মেইলে তাঁর বক্তব্য জানাতে পারেন।

    পুলিশ-প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?

    অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) এখন রয়েছেন বিদেশে। তিনি আগামী ১৯ শে এপ্রিলের মধ্যে আসতে পারবেন, এমন সম্ভাবনাও নেই বলেই জানা গিয়েছে। তাই ‘প্রতীচী’ বাড়ি ঘিরে যে কোনও ধরনের গণ্ডগোল হতে পারে, এরকম একটা আশঙ্কা রয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অমর্ত্য সেনের এই বাড়ি ঘিরে যাতে শান্তি বজায় থাকে, তা দেখতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mango Cultivation: তীব্র দাবদাহে পোকার আক্রমণ, ঝরে যাচ্ছে আম, দাম কি এবার নাগালে থাকবে?

    Mango Cultivation: তীব্র দাবদাহে পোকার আক্রমণ, ঝরে যাচ্ছে আম, দাম কি এবার নাগালে থাকবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দয়ে পোকার আক্রমণে ঝরে যাচ্ছে আম। মাথায় হাত আমচাষিদের। গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহের ফলে এই দয়ে পোকার উপদ্রব বেড়েছে। আর যে কারণে মালদার অর্থকারী ফসল আম (Mango Cultivation) ক্ষতির মুখে। চিন্তিত মালদা জেলা উদ্যানপালন ও বাগিচা দফতরের আধিকারিকরা। জরুরি ভিত্তিতে এই পোকার উপদ্রব কমাতে আমচাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

    উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা উদ্যানপালন দফতরের

    মালদা জেলাতে ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমচাষ (Mango Cultivation) হয়। এই বছর চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। দয়ে পোকার আক্রমণের ফলে আম উৎপাদনের যে টার্গেট জেলা উদ্যানপালন ও বাগিচা দফতরের কর্তারা করেছিলেন, তাতে ভাটা পড়তে পারে, এমনই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এই বছরের শুরুতে আম উৎপাদনে অনুকূল আবহাওয়ার ফলে চাষি থেকে ব্যবসায়ী সকলেই খুশিতে ছিলেন। সময়ের আগেই মালদার আমবাগান মুকুলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমজনতাও মালদার আমের স্বাদ অল্প খরচে পাবেন, আশা করেছিলেন এমনটাই। কিন্তু গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদহ কপালে ভাঁজ ফেলেছে সকলের। 

    কেমন আশঙ্কায় আছেন আমচাষিরা?

    আমচাষি রতন ঘোষ জানাচ্ছেন, যেহারে এই পোকার উপদ্রব বেড়েছে, তাতে আমকে বাঁচিয়ে রাখা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋণ নিয়ে আমচাষ (Mango Cultivation) করেছি। প্রথমে মুকুল ভালো হওয়ায় আশা করেছিলাম, এবার হয়তো ফলন ভালো হবে। দুপয়সার মুখ দেখবো। আজ হতাশ। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, দ্রুত এই পোকার উপদ্রব থেকে আমকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হোক।  

    কী বলছেন উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক?

    জেলা উদ্যানপালন বাগিচা দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, আমচাষে (Mango Cultivation) পোকার উপদ্রব শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদাহও চলছে। এই সময়  সংবেদনশীল পোকা মারার কীটনাশক স্প্রে  করার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া নিম তেল জাতীয় জিনিস জলে মিশিয়ে স্প্রে করলে এই দয়ে পোকার উপদ্রব কমে যাবে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality Corruption: স্বজনপোষণের ঠেলায় পুরসভায় উপচে পড়ছে অস্থায়ী কর্মী, বেতন দিতে নাভিশ্বাস

    Municipality Corruption: স্বজনপোষণের ঠেলায় পুরসভায় উপচে পড়ছে অস্থায়ী কর্মী, বেতন দিতে নাভিশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক সময়ে বেতন দিতে নাভিশ্বাস উঠছে। কোনও মাসেই নাকি সময়ে বেতন হয় না, এমনই জোরালো অভিযোগ ঘিরে তেড়েফুঁড়ে উঠলেন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীরা। বুধবার একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখানোর পর বৃহস্পতিবারও পুরসভা চত্বরে চেয়ারম্যানের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বুধবার চেয়ারম্যান অমিত রায় পুরসভায় ঢুকতে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হন। তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে হাতাহাতিও হয়। আসলে বেতন ঠিক সময়ে হবে কী করে? প্রতিটি দফতরেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোক নেওয়া হয়েছে (Municipality Corruption)। পুরসভার দেওয়ালে কান পাতলে এমনই অভিযোগ শোনা যায়।

    কী বলছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক?

    চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্য, বাম আমল থেকে যেসব অস্থায়ী কর্মী এখানে কাজ করত, তাদের সরানো হয়নি। আবার জনসংখ্যা বাড়ছে, তার সঙ্গে কাজের চাপও বাড়ছে। তাই বাড়তি কিছু লোকও নিতে হয়েছে অস্থায়ী হিসেবে।”

    বর্তমানে চিত্রটা কী? 

    পুরসভা সূত্রে খবর, এখানে প্রায় ২২০০ অস্থায়ী কর্মী (Municipality Corruption)! আর ন্যূনতম মজুরি মাথাপিছু ২৭০ টাকা প্রতিদিন। প্রায় ৬০০ জনের মজুরি রাজ্য পুর উন্নয়ন সংস্থা থেকে আসে। বাকি ওই বিপুল বোঝা পুরসভাকেই টানতে হয়। কিন্তু সেই অর্থে এই পুর এলাকায় কোনও শিল্প না থাকায় পুরকরও তেমন ওঠে না। তাই মাঝে মধ্যেই অনিয়মিত হয়ে পড়ে অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি। 

    ‘অস্থায়ী কর্মচারীদের অধিকাংশই তৃণমূলের ক্যাডার’, অভিযোগ বিজেপির

    বিরোধী দল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই বিপুল সংখ্যক অস্থায়ী কর্মীদের (Municipality Corruption) তৃণমূল আমলেই যে যেরকম পেরেছে ঢুকিয়ে গেছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ অভিযোগ করেন, এদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূল পার্টির ক্যাডার। অর্ধেক লোক কাজ করে না, বাড়িতে বসে সারা মাসের মজুরি তুলে নেয়। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। এখানে বেশিরভাগ চোর। আমরা চাইছি অবিলম্বে চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করিয়ে এখানে অ্যামিনিস্ট্রেটর বসানো হোক। 

    প্রায় ২ ঘণ্টা অবস্থানের পর অস্থায়ী কর্মচারী ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় বসেন চেয়ারম্যান অমিত রায়। আগামী সোমবারের মধ্যেই মজুরির বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এরপর অবস্থান ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mafia Raj: পুকুরের মাটি কেটে ট্রাক্টরে দেদার পাচার, মাটি-মাফিয়াদের মাথায় কাদের হাত?

    Mafia Raj: পুকুরের মাটি কেটে ট্রাক্টরে দেদার পাচার, মাটি-মাফিয়াদের মাথায় কাদের হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটি-মাফিয়াদের কি স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে আরামবাগ মহকুমার বেশ কিছু এলাকা? অভিযোগ, সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে চলছে মাটি-মাফিয়াদের (Mafia Raj) দৌরাত্ম্য। পুকুর থেকে মাটি জেসিবি দিয়ে কেটে, ট্রাক্টরে পাচার হচ্ছে অন্যত্র। ঘটনাস্থল গোঘাটের পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েতের ভাতশালা এলাকা। সেখানেই শতাধিক ট্রাক্টরে চাপিয়ে মাটি এইভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। শুধু তাই নয়, সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি গ্রামের লোকজন ডেকে ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেওয়া হয়।

    খবর সংগ্রহে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হুমকির মুখে

    কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, ভাতশালা এলাকার একটি পুকুর থেকে অবৈধভাবে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে এবং পুকুরের পাড়ে না ফেলে তা অন্যত্র পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভাতশালা এলাকায় ঢুকতেই পুকুরপাড়ে থাকা সমস্ত ট্রাক্টর তড়িঘড়ি এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সাংবাদিকদের দেখে সাময়িক ভয় পেলেও মুহূর্তের মধ্যে হাজির হয় স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মী। তারপরেই সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী গ্রামের লোকজন ডেকে তারা ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেয়। তাদের কথাতেই বোঝা গেল, এই মাটি চুরির (Mafia Raj) ক্ষেত্রে মাথায় হাত রয়েছে একাধিক নেতার। শুধু তাই নয়, রয়েছে সরকারি আধিকারিকদের সমর্থনও। সেই প্রভাব খাটিয়েই দেদার চলছে পুকুর থেকে মাটি তুলে অন্যত্র পাচার।

    কী বলছে শাসকদল এবং প্রশাসন?

    কয়েকদিন ধরে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর মাটি পাচার (Mafia Raj) হলেও, কেন পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না? তাহলে কি শাসকদলের নেতাদের হাত মাথায় থাকলে সব সম্ভব? যদিও ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে ছাড় পাবে না বলে জানান গোঘাট ২ নং তৃণমূল ব্লক সভাপতি অরুণ ক্যাউড়া। অন্যদিকে ঘটনায় আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মন্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atm Card: পুকুরপাড়ে বস্তাভর্তি এটিএম কার্ড, ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়

    Atm Card: পুকুরপাড়ে বস্তাভর্তি এটিএম কার্ড, ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলার রতুয়া দুই নম্বর ব্লকের মহারাজপুর এলাকায় বিপুল পরিমাণে এটিএম কার্ড (Atm Card) উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে। পরিত্যক্ত পুকুরের পাড় থেকে এক বস্তা এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে, যার ওজন প্রায় ১০ কেজি। এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। এত এটিএম কার্ড কীভাবে এলাকায় পৌঁছল? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হন স্থানীয়রা। 

    কী করে মিলল এতো এটিএম কার্ড?

    পাড়ারই একটি অল্পবয়সী ছেলে সকালে গিয়েছিল পুকুরপাড়ে। সেখানেই সে ওই মুখবাঁধা বস্তাটি দেখতে পায়। হাইস্কুলের পিছনে একটি গর্তের মধ্যে সেটি ছিল। তারপর সে সেটি বাড়ি নিয়ে আসে। কিন্তু তার দাবি, ভিতরে কী আছে না দেখেই সেটি সে বিক্রি করে দেয়। অন্যদিকে, পড়ে থাকা কিছু এটিএম কার্ডে (Atm Card) পাড়ারই পরিচিতদের নাম দেখে সন্দেহ হয় কয়েকজনের। তারা তেমনই একটি কার্ড নিয়ে হাজির হয় এক যুবকের কাছে, যার বাবার নামে ছিল একটি কার্ড। ওই যুবক তখন পুরো বিষয়টির ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন। তারপরই ধীরে ধীরে বিষয়টি জানাজানি হয়। 

    কোন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড?

    মালদার রতুয়া ২ ব্লকের মহারাজপুর এলাকায় রয়েছে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক-এর একটি শাখা। এর ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বস্তাভর্তি এটিএম কার্ড (Atm Card) উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে, এই এটিএম কার্ডগুলির বাতিল হওয়ার সময়সীমা এখনও বাকি রয়েছে। বহু কার্ডেই দেখা যাচ্ছে, এক্সপায়ারি ডেট লেখা রয়েছে ২০২৪, ২০২৫ বা ২০২৬ সাল। গ্রাহকদের নামে তৈরি হওয়া এই এটিএম কার্ড কী করে ফেলে দেওয়া হল, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা। 

    সবই বাতিল এটিএম কার্ড, জানাল কর্তৃপক্ষ

    গোটা ঘটনায় বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই এটিএম কার্ড (Atm Card) থেকে কোনও গ্রাহকের ক্ষতি হবে না। এটিএম কার্ড তৈরি হলেও কোনও গ্রাহকের কাছে ইস্যু করা হয়নি। তাদের ভাষায়, এগুলি রিজেক্টেড। এ থেকে একটা টাকাও তোলা যাবে না। বাতিল হওয়ার কারণেই এগুলি বস্তার মধ্যে ভরে রাখা ছিল। তাই কীভাবে সেটি ওই জায়গায় গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arrest: দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    Arrest: দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার (Arrest) করল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস এবং আনন্দ রায়। দুজনেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার ধৃত দুজনকে বালুরঘাট আদালতে তোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৭ এপ্রিল তাদের ফের আদালতে তোলা হবে বলে জানান বালুরঘাট জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী সজল ঘোষ।

    দণ্ডিকাণ্ডে গ্রেফতার (Arrest) নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি করার প্রায়শ্চিত হিসেবে তৃণমূলের জেলার প্রাক্তন মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী তিনজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপি ছেড়ে আসার পর তাঁদের হাতে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। ওই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিজেপি-র অভিযোগ। এমনিতেই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সংগঠন একজোট হয়ে আন্দোলনে নামে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাতারাতি অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে এক আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলের জেলার মহিলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আদিবাসী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু তপনের ওই গ্রামে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে, এতদিন এই ঘটনায় দলগতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রশাসনিক স্তরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল। এবার এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হল। বিজেপি-র জেলা নেতা বাপি সরকার বলেন, জেলার ওই তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে দণ্ডিকাণ্ড হয়েছিল। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তাঁকে আড়াল করতে লোক দেখানো দুজনকে গ্রেফতার (Arrest)  করা হয়েছে। আমাদের প্রথম থেকে দাবি অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    জেলা তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, দণ্ডিকাণ্ডকে প্রথম থেকে দল সমর্থন করেনি। তাই , ঘটনার পর পরই দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Corruption: স্কুলেও একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ, প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ

    Corruption: স্কুলেও একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ, প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে যেন কোনওভাবেই মুক্তি মিলছে না রাজ্যবাসীর। কখনও রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের কাঁচামাল সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা, কখনও ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, কখনওবা দুর্নীতি আবাস যোজনায়। তালিকা দিনকে দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এবার একগুচ্ছ দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা। আরামবাগের কেশবপুর ইনস্টিটিউশনের ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    কী অভিযোগ তুলছেন অভিভাবকরা?

    অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সব কিছুই নিজের ইচ্ছামতো করছেন। মিড ডে মিলে গরমিল, স্কুলের ফলক তৈরিতে অর্থ তছরুপ সহ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ (Corruption) তোলেন অভিভাবকরা। এমনকি ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত পাখা না থাকা সত্ত্বেও গরমের মধ্যে দিনে তিনটি করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে কেন? সেই  প্রশ্ন তুলেও সোচ্চার হন অভিভাবকরা। স্কুলের পরিচালন কমিটি না থাকার কারণে প্রধান শিক্ষক ইচ্ছামতো কাজ করছেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ তুলে এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। দীর্ঘক্ষণ চিৎকার-চেঁচামেচি চলে। দাবি ওঠে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের। এক অভিভাবক বলেন, স্কুলে যে পরীক্ষা হয়েছে, তাতে প্রশ্নেই উত্তর। পরীক্ষা ১১ টা থেকে আরম্ভ হওয়ার কথা। সেই পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেলা ১ টার পর। কোনও গার্ড নেই। গরমে ছেলেগুলো আধমরা হয়ে বাড়ি ফিরছে। পড়তে নয়, যেন কুস্তি লড়তে যাচ্ছে। যাদের কাছে আমরা ছেলেদের পাঠাচ্ছি, তাদের কোনও দায়িত্বই নেই। তাদের একটাই লক্ষ্য, মাস গেলে মাইনে বুঝে নেবো। 

    প্রধান শিক্ষক জবাবে কী জানালেন?

    যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজকুমার খামরুই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। ক্লাসরুমে ফ্যান আছে বলেই তিনি দাবি করেন। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার জন্যই এসব করা হচ্ছে। আইন মেনেই তিনি যা করার করছেন। দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Minor Schoolgirl Missing: কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালালো নাবালিকা দুই সহপাঠী, শোরগোল মালদায়

    Minor Schoolgirl Missing: কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালালো নাবালিকা দুই সহপাঠী, শোরগোল মালদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই বান্ধবী এমন ঘটনা ঘটালো যে, তাদের খুঁজে পেতে কালঘাম ছুটল পুলিশের। পরিবারে নাকি বাবা-মায়ের কড়া শাসন ও বকুনি। আর তা থেকে রেহাই পেতেই নাকি বাড়ি ছেড়েছিল (Minor Schoolgirl Missing) দুই সহপাঠী। কিন্তু তারা যে একরকম নাকানি-চোবানি খাওয়াবে, তা কে জানতো। তাদের উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটল মালদার চাঁচল থানার পুলিশের। কার্যত পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলল দুই সহপাঠী। অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে নাগালে এল দুই বান্ধবী। এখন আদালতের নির্দেশে দুই সহপাঠীর স্থান হয়েছে মালদা শিশু সুরক্ষা কমিশনের হোমে। 

    কীভাবে পালিয়ে গেল দুই কিশোরী?

    ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল (Minor Schoolgirl Missing) নাবালিকা দুই সহপাঠী। একই স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত তারা। তাদের বাড়িও চাঁচলে। ৭ এপ্রিল পরিবারের উপর অভিমান করে এবং বাড়ি না ফেরার জেদ নিয়ে দুই বান্ধবী চাঁচলের একটি লজে আত্মগোপন করার চেষ্টা করে। কিন্তু দুজনই নাবালিকা হওয়ায় লজ কর্তৃপক্ষ তাদের ঠাঁই দেয়নি। পরে তারা সামসি স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকে। 

    কীভাবে তারা এল পুলিশের নাগালে?

    সারাদিন বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চাঁচল থানায় নিখোঁজের (Minor Schoolgirl Missing) অভিযোগ করেন। শুরু হয় তল্লাশি। সন্ধ্যায় পুলিশ নিখোঁজ দুই সহপাঠীর আত্মীয়কে নিয়ে সামসি স্টেশনেও খোঁজ নিতে যায়। কিশোরীরা আড়াল থেকে আত্মীয়কে দেখে অন্যত্র লুকিয়ে যায়। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই দুই নাবালিকা স্থানীয় একটি রিসর্টে লুকিয়ে রাত কাটায়। পরের দিন সকালেও থাকে। ৮ এপ্রিল বিকেল নাগাদ আবার চাঁচলে আসে। চাঁচলের একটি বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে আত্মগোপন করে। কিন্তু ওই দুই বান্ধবী স্কুল ও টিউশনিতে না গিয়ে ঘরবন্দি হয়ে থাকে দুদিন। বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। এরপর বাড়ির মালিকও তাদের তাড়িয়ে দেয় ১১ এপ্রিল। দিশেহারা হয়ে চাঁচল শহরের বুকে ঘোরাফেরা করে দুই বান্ধবী। অবশেষে গতকাল রাতে তারা পুলিশের নাগালে আসে। 

    কী জানালেন পুলিশ সুপার?

    মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, গতকাল ওই দুই নাবালিকাকে (Minor Schoolgirl Missing) উদ্ধার করে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে আজ দুই নাবালিকাকে পাঠানো হয় মালদা শিশু সুরক্ষা কমিশনের হোমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Forest Minister: মিছিল করলে বিরোধীদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    Forest Minister: মিছিল করলে বিরোধীদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা মিছিল করলে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী (Forest Minister) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বারাসতে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বনমন্ত্রী (Forest Minister) বলেন, “সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি যেই এবার থেকে মিছিল করতে আসুক, আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। কোথাও মারব না! মারতে হবে ঠ্যাংয়ের গোড়ালি দুটোতে! মেরে পায়ের গোড়ালি ভেঙে দিতে হবে। যাতে বিরোধীরা জব্দ হয়ে যায়”। দুদিন আগে বারাসত জেলা পরিষদের সামনে বিভিন্ন ইস্যুতে সিপিএমের কর্মসূচি ছিল। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সিপিএম কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। ১০ জন পুলিশ কর্মী জখম হন। এই গন্ডগোলের ঘটনা নিয়ে সিপিএমকে দায়ী করে প্রকাশ্যে তাদের ক্ষমা চাওয়ার নিদানও দিয়েছেন রাজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।

    চিরকুট প্রসঙ্গে কী বললেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Forest Minister)?

    রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়। তৃণমূলের একের পর এক নেতা, মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় বামফ্রন্টের আমলে হওয়া নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এনে শাসক দলের নেতারা সিপিএমকে পাল্টা চাপে ফেলতে চাইছেন। শাসক দলের একাধিক মন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন, সিপিএমের আমলে চিরকুট দিয়ে বহু চাকরি হয়েছে। সেই ‘চিরকুট’-বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। যত দিন যাচ্ছে ততই এই ইস্যুতে বিরোধী সিপিএমের উপর পাল্টা চাপ বাড়াচ্ছে শাসক শিবির। এবার সেই ‘চিরকুট’-অস্ত্রে আরও একবার শান দিলেন রাজ‍্যের বনমন্ত্রী (Forest Minister) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রীতিমতো দলীয় মঞ্চ থেকে ‘চিরকুট’-এ চাকরি পাওয়া সিপিএমের ৭১ জনের তালিকা তুলে ধরে নিশানা করলেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় (Forest Minister) বলেন, “চোরের মায়ের বড় গলা। চিরকুটে চাকরি পেয়েছে, সে আবার বড় বড় কথা বলছে। আমরা যদি আদালতে যাই। তখন সব টাকা সুদে আসলে মেটাতে হবে”। এখানেই থেমে থাকেননি রাজ‍্যের বনমন্ত্রী। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেছেন, বাকি তালিকাও তৈরি করছি আমরা। সেই নামের তালিকা দিয়ে পরবর্তী সময়ে আলাদাভাবে একটি বই তৈরি করে জনসমক্ষে আনা হবে”। যদিও বনমন্ত্রীর (Forest Minister) এই ‘চিরকুট’ হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএম নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bridge: ‘উন্নয়নের নমুনা!’ পাকা ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে এক বছর, ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

    Bridge: ‘উন্নয়নের নমুনা!’ পাকা ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে এক বছর, ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকা সেতু ভেঙে পড়ে রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুঘাট ব্লকের বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিয়াডাঙা এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, হেলদোল নেই প্রশাসনের। সমস্যায় বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে।

    কীভাবে ভেঙে পড়েছিল ব্রিজ?

    ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বৈদ্যুতিক সিমেন্টের খুঁটি বহনকারী একটি লরি ওই পাকা ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ব্রিজের উত্তর প্রান্তে রয়েছে বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং দক্ষিণ দিকে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। যদিও ব্রিজটি বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। ফলে ওই এলাকার দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা যাতায়াতে চরম সমস্যায় রয়েছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। বর্তমানে বাঁশের মাচার উপর বৈদ্যুতিক সিমেন্টের খুঁটি ফেলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও পাকা ব্রিজ তৈরি করা হয়নি। তাঁদের প্রশ্ন, এটাই কি উন্নয়নের নমুনা!  

    কী বলছেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ললিতার টিগ্গা বলেন, আমি ওই ব্রিজটির কথা শুনেছিলাম। তবে আজ সবটা ভালো করে জানলাম। দ্রুত ওই ব্রিজটির কাজ করা হবে। এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন এবং অতি দ্রুত যাতে ব্রিজটির মেরামতির কাজ শুরু হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

    ‘দ্বিচারিতা’, বলছে দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি নেতৃত্ব

    দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপী সরকার বলেন, কাশিয়াডাঙা ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ওই গোটা এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত। আমার বিশ্বাস, সেই কারণেই শাসকদল ওই ব্রিজটি সারানোর বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। এখানে অন্য কোনও সম্প্রদায় থাকলে এই ঘটনা ঘটত না। এটা এই সরকারের দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। মিডিয়াতেই তো দেখলাম আদিবাসী সেলের সভাপতি এসেছেন। উনাকে বলব, ওই ব্রিজটা একবার ঘুরে আসুন। আদিবাসীদের প্রতি তৃণমূল সরকার যে বঞ্চনা করে, কাশিয়াডাঙা ব্রিজ তার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share