Tag: Madhyom

Madhyom

  • Police: হিমঘরে আলুর বন্ড নিতে এসে পুলিশের লাঠিপেটা, জখম বহু চাষি, কোথায় দেখে নিন

    Police: হিমঘরে আলুর বন্ড নিতে এসে পুলিশের লাঠিপেটা, জখম বহু চাষি, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শনিবার রাত থেকে চাষিরা হিমঘরের সামনে ভিড় করেন। রবিবার হিমঘর থেকে চাষিদের আলুর বন্ড দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো চাষিরা হিমঘরের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন। রাত গড়িয়ে সকাল হতেই কয়েক হাজার চাষি সেখানে আলুর বন্ড নেওয়ার জন্য হাজির হন। কিন্তু, বহু চাষি আলুর বন্ড না পেয়ে পুলিশের (Police) হাতে মার খেয়ে হতাশ হয়ে শুকনো মুখে বাড়ি ফিরে যান। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের শ্রীকৃষ্ণপুর হিমঘরে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে অনেকে জখম হন। যদিও পুলিশের এক আধিকারিকের বক্তব্য, হিমঘরের সামনে প্রচুর জমায়েত হয়েছিল। হিমঘরের ভিতরে ঢোকা নিয়ে গন্ডগোলও হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতেই লাঠি উঁচিয়ে তাড়়া করা হয়েছিল।

    বন্ড না পেয়ে রাজ্য সরকারকেই কেন দুষছেন চাষিরা? Police

    রাজ্য সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের হিমঘরে আলু রাখার জন্য এবার সংরক্ষণ ঘোষণা করে। কৃষি বিপণন দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যে সব চাষির নাম রয়েছে তারা বন্ড নিতে পারবেন। সরকারের এই ঘোষণায় চাষিরা মুখে হাসি ফুটেছিল। কারণ, এতদিন হিমঘরের বন্ড এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা মোটা টাকা দিয়ে বন্ড কিনে নিতেন। সেখানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আলু রাখার মতো ক্ষমতা ছিল না। সরকারি এই সিদ্ধান্তে চাষিরাও নিজেদের জমির আলু হিমঘরে রাখার স্বপ্ন দেখেন। কারণ, এমনিতেই খোলা বাজারে আলুর দাম কম। তাই, চাষিরা হিমঘরে আলু রাখার জন্য বন্ড নিতে আসেন। আগের দিন রাত থেকে তাঁরা লাইন দেন। সারা রাত ধরে হিমঘরের সামনে পিল পিল করে চাষিদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। রবিবার সকালে হিমঘরের গেট খুলতে বিস্ফোরণ হয়। চাষিদের ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে তা সামাল দিতে পুলিশকে (Police) বেধড়ক লাঠি চার্জ করতে হয়। নজরুল ইসলাম নামে এক আলু চাষি বলেন, রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু, বন্ড পাইনি। পুলিশ (Police) লাঠিচার্জ করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা চাষিদের বক্তব্য, বন্ড বিলির নির্দিষ্ট নিয়ম থাকবে। সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। এই সুযোগে বন্ড নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে। যাদের টাকা রয়েছে, তারা বন্ড কিনে রেখে দিচ্ছে। আর আমাদের মতো চাষিরা পুলিশের (Police) হাতে মার খাচ্ছে। এদিন হাজার হাজার চাষি রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিশ (Police) চাষিদের সুষ্ঠুভাবে বন্ড দেওয়ার ব্যবস্থা না করে লাঠিচার্জ করে এলাকা ছাড়া করেছে। বহু চাষি জখম হয়েছেন। রাজ্য সরকারের ভুল নীতির জন্য হাজার হাজার চাষি নাকাল হচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dance: তৃণমূল নেতার গলা জড়িয়ে চটুল নাচ সুন্দরী নর্তকীর, টাকা ছড়াচ্ছেন নেতা, কোথায় দেখে নিন

    Dance: তৃণমূল নেতার গলা জড়িয়ে চটুল নাচ সুন্দরী নর্তকীর, টাকা ছড়াচ্ছেন নেতা, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তৃণমূল নেতার গলা জড়িয়ে চটুল নাচ (Dance) করছেন এক সুন্দরী তরুণী। আর ওই তৃণমূল নেতা তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে শুধু উপভোগ করছেন না, ওই নর্তকীর উপর টাকা ছড়াচ্ছেন তিনি। ঘটনাটি পান্ডবেশ্বর ব্লকের। আর ওই তৃণমূল নেতার নাম সন্তোষ পাশোয়ান। পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির তিনি কর্মাধ্যক্ষ। এই তৃণমূল নেতার এমন ছবি ভাইরাল হতেই তোলপাড় জেলার রাজনীতি। এমনিতেই চাকরি দুর্নীতি ইস্যুতে জেরবার শাসক দল। এরমধ্যেই পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের এই তৃণমূল নেতার এক নর্তকীর সঙ্গে এরকম আচরণ করতে দেখে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে সন্তোষবাবু বলেন, আমি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলাম। কী অনুষ্ঠান ছিল তা জানতাম না। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমি চলে আসছিলাম। সেই সময় এই তরুণী আমার সামনে চলে আসে। আমি তো তার সঙ্গে কোনও নাচ (Dance)  করিনি। আমি তাঁর সামনে শুধু দাঁড়য়েছিলাম। তারপরই আমি চলে আসি। সামান্য বিষয় নিয়ে বিজেপি এখন রাজনীতি করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

    দলীয় নেতার সঙ্গে নর্তকীর চটুল নাচ নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব? Dance

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বুথে বুথে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে পাণ্ডবেশ্বরের ব্লক নেতার ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে দলের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে জোর চর্চা চলছে। এই বিষয় নিয়ে পান্ডবেশ্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কিরীটি মুখোপাধ্যায় বলেন, ভিডিওটি পুরানো। বিষয়টি আমি জানতাম। পরে, ভিডিওটি দেখেছি। সন্তোষ এক জায়গায় দাঁড়িয়েছিল। ও কোনও নাচ (Dance)  করেনি। মহিলাই নাচ করছিল। তাই, আর আচরণ কোনও খারাপ ছিল না। আসলে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আমাদের সংগঠন আর উন্নয়নের সঙ্গে বিজেপি পেরে উঠছে না । তাই, এই ধরনের ভিডিও ভাইরাল করে আমাদের দলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।  ওরা নোংরা রাজনীতির করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। কারণ, এবার নির্বাচনেও তৃণমূল ভাল ফল করবে।

    এই বিষয়ে বিজেপি নেতা জীতেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুধু শিক্ষা চুরি, চাকরি চুরি নয়, তৃণমূল শাসনে এই বাংলার সংস্কৃতিকেও নষ্ট করছে। ভিডিওতে ওই তৃণমূল নেতা ওই নর্তকীর উপর খোশ মেজাজে টাকা ওড়াচ্ছিল তা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। একজন জনপ্রতিনিধির এই ধরনের আচরণ সমর্থণ করা যায় না। আসলে যে দলে দুর্নীতির জন্য একের পর এক নেতা জেলে যাচ্ছেন তাদের কাছে এসব চটুল নাচ কিছুই নয়। তবে, এটা বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যা আবার কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

    Scam: দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যা আবার কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে (Scam) জেরবার তৃণমূল। আদালতের নির্দেশে গ্রুপ সি-র যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে একাধিক তৃণমূলের নেতা কর্মী পরিবারের লোকজন বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম সামনে এসেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝিও আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন। একইসঙ্গে হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্যা টুম্পা মেটে (বাকুলি) চাকরিও বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাঁর বাড়ি রিষড়ার বামুনারি এলাকায়। ২০১৮ সালে শ্রীরামপুর নেতাজি বয়েজ স্কুলে তিনি চাকরি পান। পাঁচ বছর সেখানে ক্লার্ক হিসাবে তিনি চাকরি করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ৮৪২ জন গ্রুপ সির চাকরি বাতিল হয়।সেই তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আমি পরীক্ষা দিই।তারপর কয়েকটি পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে যোগ দিই। মিডিয়ার মাধ্যমে দেখছি, এই চাকরিতে অনেক টাকা পয়সার লেনদেন হয়েছে।আমি টাকা লেনদেনে যুক্ত নই। এটা সিবিআই, ইডি জিজ্ঞাসা করলেও বলব। চাকরির জন্য কাউকে এক টাকা ঘুষ (Scam)   দিইনি। এমনকি মিষ্টির প্যাকেট পর্যন্ত কাউকে দিতে হয়নি। তাহলে কী করে আমার চাকরি গেল তা আমি বুঝতে পারছি না। বিরোধীরা এটা নিয়ে হয়ত আমাকে, আমার দলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইবে। আমি এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব। কারণ, এটা আমি মেনে নিতে পারছি না।

    স্ত্রীর চাকরি চলে যাওয়া নিয়ে কী বললেন টুম্পা মেটের স্বামী? Scam

    টুম্পার স্বামীর নাম মৃত্যুঞ্জয় মেটে। তিনিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা। বর্তমানে রিষড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। স্ত্রীর চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন,চাকরির প্রয়োজন আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের সকলের আছে।কিন্তু স্ত্রীর চাকরির জন্য কাউকে কোনও টাকা দিইনি।এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল আমার স্ত্রী। ও এম আর শিটে কিছু হয়ে থাকলে সেটা মধ্য শিক্ষা পর্ষদ বলতে পারবে।আমাদের জানা নেই।আমরা দুজনেই তৃণমূল করি। তাই, স্ত্রীর এভাবে চাকরি চলে যাওয়ায়  সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে। পাঁচ বছর ওই স্কুলে চাকরি করল, তারপর কি করে কি হল আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না। টুম্পা পরাশোনায় খুব ভালো ছিল আমি নিজে ওকে পড়াতাম। এখন এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করবে।

    বিজেপি  শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদক বলেন, যে ভাবে গোটা রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে তা তৃণমূল অস্বীকার করতে পারবে না।হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, সেটা যুক্তি সংগত এবং গুরুত্বপূর্ণ।টুম্পা মেটে যতই অস্বীকার করুন আদালত বিবেচনা করেই এই রায় দিয়েছে। এটা প্রমাণিত হয়ে গেল,তৃণমূল আর দুর্নীতি (Scam) সমার্থক।।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suspend: গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার! ঘর সামলাতে প্রধানকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, কোথায় দেখে নিন

    Suspend: গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার! ঘর সামলাতে প্রধানকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুরে গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। ইসলামপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বিরোধ একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এমনিতেই ইসলামপুরে মাটিকুন্ডা এলাকায়  ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দলেরই দুই নেতা শাহনওয়াজ আলম এবং মেহেবুব আলমের মধ্যে গন্ডগোল। মেহেবুব আলম মাটিকুন্ডা- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এলাকাবাসীদের দাবি, শাহনওয়াজ আলম বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। আর মেহেবুব আলম তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালয়ের অনুগামী। ৮ মার্চ রাতে শাহনওয়াজের বাড়িতে প্রধান মেহেবুব আলম ও তাঁর লোকজনেরা  হামলা চালায় বলে অভিযোগ।চলে গুলি ও বোমা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় শাহনওয়াজের ভাই সাকিব আকতারের।তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। এই ঘটনার পর পরই মেহেবুব আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারপরও দলের একাংশে মধ্যে বিদ্রোহ থামছিল না। বিশেষ করে বিধায়ক অনুগামীরা মেহেবুবের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় খুশি হননি। তাঁরা রীতিমতো ক্ষোভ ফুঁসছেন। বিধায়ক প্রকাশ্যে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের বেআব্রু চেহারা আরও বেশি করে প্রকট হচ্ছে। তাই, পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের পঞ্চায়েত প্রধান মেহেবুব আলমকে দল থেকে বহিষ্কার (Suspend) করে দিলেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির তিনি দাবি জানালেন। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের এই কোন্দল নতুন করে আর মাথাচাড়া না দেয় তারজন্য তড়িঘড়ি ওই প্রধানকে বহিষ্কার করা হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূলীদের কাছে বোমা, গুলি মজুত থাকা নিয়ে কী বললেন জেলা সভাপতি ? Suspend

    ইসলামপুরে প্রকাশ্যে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল। সেই জের কাটতে না কাটতেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি জাকির হোসেন। ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারুদের স্তূপের মধ্যে রয়েছে এই জেলা। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বোমা, গুলি মজুত রয়েছে শাসক দলের কাছে। এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, জেলায় সবাই তৃণমূল। তাই কোথাও কোনও গন্ডগোল হলে তৃণমূলের নাম উঠে আসছে। জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অবিলম্বে জেলায় যারা অপরাধী রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বোমা, গুলি বাজেয়াপ্ত করবে। কারণ, যে বা যারা দোষী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পুলিশ প্রশাসন সেটা করবে। আর দলের পক্ষ থেকে যেখানে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School: ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে শিক্ষকরা সামিল হওয়ার অপরাধে স্কুলে একী করল তৃণমূল?

    School: ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে শিক্ষকরা সামিল হওয়ার অপরাধে স্কুলে একী করল তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে অন্যান্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন গঙ্গারামপুরের পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (School) শিক্ষক শিক্ষিকারা। এটাই ছিল এই স্কুলের শিক্ষকদের অপরাধ। শুধুমাত্র সেই কারণে শনিবার তাঁরা স্কুলে (School)  গিয়ে দেখেন আগে থেকেই স্কুলে তালা ঝুলছে। খোঁজ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানতে পারেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা এই তালা ঝুলিয়েছে। শাসক দলের নেতারা তালা লাগিয়েছে, সেই তালা ভাঙা সাহসও কারও নেই। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা একজন সিভিককে পাঠিয়ে নিজেদের দায় এড়িয়েছেন। এই বিষয়টি শুধু পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয়, পাশের রাঘবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটেছে। তালা মারার ঘটনা অন্যদের জানাতে চাইলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

     কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা? School

     বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ও যৌথ মঞ্চের সদস্যরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। গঙ্গারামপুর পর্ত্তিপাড়া, রাঘবপুর সহ একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। শনিবার স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখেন তালা ঝুলছে।এদিকে ঠাঁই রোদে স্কুলের সামনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি পড়ুয়ারাও দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুপুর একটার পর তৃণমূল নেতৃত্ব তালা খুলে দেন। দুপুর একটার পর স্কুল খোলার কারণে আজ স্কুলে মিড ডে মিলও হয়নি। এবিষয়ে পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (School)  প্রধান শিক্ষিকা নূপুর সাহা বলেন, ধর্মঘটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টি জানানোর পরে আমরা ধর্মঘটে সামিল যোগ দিয়েছিলাম। আমাদের এই অপরাধে স্কুলে তালা মেরে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা স্কুলে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় আমাদের গালিগালাজ করে।ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি।

    এবিষয়ে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক শংকর ঘোষ বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। ধর্মঘট, আন্দলোন করা এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। এই বিষয়ে সরকারকেও উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আমরা যারা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলাম আমাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতেই পারে। এটি সম্পূর্ণ আইনি ব্যাপার। এভাবে স্কুল বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের হেনস্থা করার অধিকার কারও নেই। এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে বলুন না, উনি তো বলেছিলেন শিক্ষকরা ধর্মঘট করলে তাদের বেতন কাটা যাবে। যারা স্কুলে তালা মারল তাদেরও মাইনে কাটা উচিত। তাদের কাছ থেকে একদিনের টাকা নেওয়া উচিত। একদিনের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ল, বাচ্চাদের ক্ষতি হল তার দায় কে নেবে। তৃণমূল তো এটাই চায়। হীরক রাজাও স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিল। এই নতুন হীরক রানি ও তাঁর দলবল স্কুল বন্ধ করে দিতে চায়। এরা যত বেশি জানে তত বেশি মানে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Road: খানাখন্দে ভরা রাস্তা সারাতে কী করলেন এলাকাবাসী?

    Road: খানাখন্দে ভরা রাস্তা সারাতে কী করলেন এলাকাবাসী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বহু বছর আগে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দোল্লা থেকে শালগ্রাম সীমান্ত পর্যন্ত  প্রায় দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার পিচের রাস্তা (Road) তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই রাস্তায় নিয়মিত নজরদারির অভাবে পিচের অস্তিত্ব এখন নেই বললেই চলে। দিনের পর দিন খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা(Road) দিতে যেতে কালঘাম ছোটে এলাকাবাসীর। এই রাস্তার (Road) উপর আশপাশের কয়েক হাজার মানুষ নির্ভরশীল। কিন্তু, বাস্তবে পিচের উপর প্রলেপ দেওয়ার কোনও উদ্যোগই চোখে পড়েনি এলাকাবাসীর। তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে গণস্বাক্ষর করে প্রশাসনের কাছে রাস্তা সংস্কার করার জন্য দরবার করেছেন।  ক্ষুব্ধ এই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দারা।

    সামনে পঞ্চায়েত ভোট। বেহাল রাস্তা নিয়ে কী বলছেন এলাকাবাসী? Road

    এই  রাস্তাটি (Road) অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দোল্লা এলাকার জাতীয় সড়ক থেকে  শালগাম সীমান্ত হয়ে শহরের দিকে গিয়েছে।  এই রাস্তার ধারে দোল্লা, ডুমুইর,শনিহারা -বিরহীনি, ঝিনাই পোতা, হাসইল, অযোধ্যা গ্রাম রয়েছে।  এছাড়াও বালুরঘাট শহরের ১৫ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর ভরসা এই রাস্তা।  শহরের দিকে রাস্তাটি (Road) ঠিক থাকলেও, গ্রামীণ এলাকার মানুষেরই দুর্ভোগ বেশি। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দাদের শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কঙ্কালসার রাস্তাটিতে হামেশাই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। বেহাল রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন।  অভিযোগ (Road), দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারে পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদ এমনকী পূর্ত দফতরের কোনও হেলদোল নেই। অথচ এই রাস্তার (Road) ধারেই রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র।। প্রতিদিন তাই এই রাস্তার উপরই নির্ভর করেন হাজার হাজার বাসিন্দা।  স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত কর্মকার বলেন, রাস্তাটি(Road) আমাদের কাছে  বিভীষিকা হয়ে উঠেছে। রাস্তায় অসংখ্য গর্ত। ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। কেউই দেখার নেই। আমরা বাসিন্দারা গনস্বাক্ষর করে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। মিনতি লোহার নামে এক বাসিন্দা বলেন, রাস্তা থেকে পিচ উঠে যাওয়ায়  টোটো বা অন্যান্য কোনও গাড়ি  যেতে খুব সমস্যা হয়। রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্স করে নিয়ে যেতে চরম নাকাল হতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সকলের বক্তব্য, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। রাস্তা সংস্কারের জন্য সকলের কাছে আমরা দরবার করব। আর রাস্তা ঠিক না হলে প্রয়োজনে আন্দোলন করব।

    যদিও এই বিষয়ে বিজেপি পরিচালিত অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অনুপ সরকার বলেন, পিচের রাস্তা (Road) ব্লক ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সংস্কার করা হয়। পঞ্চায়েত তা করতে পারে না। আমরা সংস্কার করতে পারলে বহু আগেই তা সংস্কার করে দিতাম। কয়েকবার রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য চিঠি দিয়েছি। আবার তাদের জানাব। কিন্তু, রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে কেউ কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের  প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড! কোথায় দেখে নিন

    Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন আগে দলীয় সভায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়া কঠিন। কারণ, সামনের পাঁচ বছর কার হাতে এলাকার ক্ষমতার রাশ থাকবে নিয়ে লড়াই চলবে। মন্ত্রীর এই কথা যে কতটা সত্যি তা মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানাপাড়া বুথ কমিটির তৃণমূল কর্মীরা অক্ষরে অক্ষরে টের পাচ্ছেন। কারণ, এখনও পঞ্চায়েতের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী (Candidate) ঠিক করা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কিছুতেই যেন থামতে চাইছে না শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল।পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী (Candidate)  বাছাই নিয়ে প্রকাশ্যে সংঘাত।বুথ কমিটির বৈঠকে তুলকালাম। দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ থেকে ধাক্কাধাক্কি। উপস্থিত দলীয় নেতৃত্বের সামনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। সমগ্র ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল।

    বৈঠকে কী নিয়ে গন্ডগোল? Candidate

     হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানা পাড়া বুথে তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক ছিল।উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ ব্যানার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।সেখানেই পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য প্রার্থী (Candidate)  তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়।প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে দুইজনের নাম।একজন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যা বাসন্তী দাস এবং অপরজন ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি সাগর দাস। কিন্তু, এই দুটি নাম উঠে আসতেই বিবাদ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এক পক্ষ দাবি করে, প্রার্থী (Candidate)  হিসেবে বাসন্তী দাস ছাড়া অন্য নাম যাবে না। এই নিয়ে তাঁরা নেতৃত্বকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে নেতৃত্বের সামনে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষই। উপস্থিত নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

    আর এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে তৃণমূল একটা জায়গাতেও জিততে পারবে না। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর বিজেপির ঘাঁটি। প্রার্থী নিয়ে ওদের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন,কোনও মারামারি বা ধাক্কাধাক্কি হয়নি।  একটা বুথেই আমাদের হাজারের বেশি কর্মী এসেছে বৈঠকে।দল বড় হয়েছে তাই প্রার্থী( Candidate)  হিসেবে একাধিক জনের নাম উঠে আসতেই পারে। এখানে বিরোধীরা প্রার্থী (Candidate)  দিতে পারবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra:  রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    Madan Mitra: রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) । তিনি বেলঘরিয়ায় দলীয় সভায় প্রকাশ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশকে বলছি, আপনারা ভুলে যান তৃণমূল কংগ্রেস শাসকদলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে রথতলায় ৫০টি মাইক বেঁধে সিপিএম সভা করল। আপনার চুপচাপ বসে বসে মজা দেখছিলেন। তবে, সব পুলিশ এক নয়। পুলিশের মধ্যে কিছু চড় রয়েছে। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,  বিজেপি বাংলার বাজার গরম করলে কিভাবে ঠান্ডা করতে হয় তৃণমূলের কাছে সেই মন্ত্র আছে। প্রয়োজনে সেই মন্ত্র প্রয়োগ করা হবে।বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জেনে রাখুন আমরা বাংলা চালাই। সিপিএম, বিজেপিকে আপনারা বাবা বলে ভাবলেও ওরা কিন্তু বাবা নয়। মুখ্যমন্ত্রী একধারে পুলিশমন্ত্রীও। শাসক দলের দাপুটে এই নেতার পুলিশ নিয়ে এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কী বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে না। কী কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য কামারহাটির কালারফুল বয় (Madan Mitra) করলেন তা তিনি খোলসা করেননি। তবে, দলের অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়নে। আসলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

    কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে একী বলেন তৃণমূল বিধায়ক? Madan Mitra

    সাগরদিঘিতে বিরোধীদের অশুভ আঁতাত হয়েছে বলে মদন মিত্র (Madan Mitra) বারবার সোচ্চার হয়েছেন। এবার বিরোধীদের অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে কামারহাটিতে ধিক্কার মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক( Madan Mitra) বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম মনে রাখবেন এই তিনজনকে বান্ডিলে প্যাক করে প্রয়োজনে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় কি করে তর্পন করতে হয়, ন্যাড়া করতে হয় তা আমরা জানি। এরপর কৌস্তভ বাগচির নাম না করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ন্যাড়া হয়ে   আমাদেরকে ভয় দেখাবেন না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Buddha Stupa: বুদবুদের এই গ্রামে এখন জোর কদমে চলছে খননের কাজ, জানেন কেন?

    Buddha Stupa: বুদবুদের এই গ্রামে এখন জোর কদমে চলছে খননের কাজ, জানেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর মহকুমার বুদবুদের ভরতপুর গ্রাম। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই গ্রামের কথা অনেকের অজানা। এই গ্রামেই কয়েকশো বছর আগে বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) ছিল। সেই বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে এই বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) । কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সেখানে এখন জোর কদমে খনন কার্য চলছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রাচীন ঐতিহ্য বহনকারী স্থানগুলিকে আরও উন্নত করে সেখানে যাতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন। ভরতপুরে যে বৌদ্ধ স্তূপ (Buddha Stupa) রয়েছে সেটি প্রাচীন ইতিহাস বহন করে। রাজেন্দ্র যাদব নামে এক আধিকারিকের নেতৃত্বে এই এলাকায় খনন কাজ শুরু হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বৌদ্ধ ধর্মের নানান স্থান খনন করে অনেক প্রাচীন ইতিহাস তুলে ধরেছেন। এই এলাকায় সেই কাজ করার তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় সাংসদ এসএস আলুয়ালিয়া খনন কার্যের কাজ খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে প্রাচীন স্থাপত্যগুলিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে প্রাচীন ঐতিহ্য বিদ্যমান। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে খনন কার্য চালিয়ে তা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরা হবে। খনন কার্য কেমন হচ্ছে তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আমি এসেছিলাম।

    কী করে হদিশ মিলল এই বৌদ্ধস্তূপের (Buddha Stupa)?

    পঞ্চাশ বছর আগেও এই গ্রামের পাশেই বৌদ্ধস্তূপ রয়েছে তা এলাকার মানুষ জানতেন না। গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা নিত্যানন্দবাবু বলেন, আমরা তখন ক্লাস এইটে পড়ি। গ্রামের রাস্তা তৈরির জন্য গ্রামের পাশে উঁচু ঢিবির মাটি কেটে আনা হয়। তখনই আমরা বেশ কয়েকটি ইটের হদিশ পাই। রাতের বেলায় গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে খননকার্য শুরু করেন। একটি মন্দিরের বেশ কিছু ইটের হদিশ পাই। আমরা বিষয়টি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাই। তাদের উদ্যোগে সরকারি সাহায্যে শুরু হয় খননকার্য। সালটা ১৯৭১। বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে খননকার্য হয়। নোটিসও দেওয়া হয়। তারপর আচমকাই খননকার্য বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, আবার বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) সেই আগের জায়গায় চলে গিয়েছিল। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এতদিন ধরে অবহেলায় পড়েছিল এই বৌদ্ধস্তূপ। নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ফের খনন কার্য শুরু হওয়ায় খুব ভাল লাগছে। আগামীদিনে এই গ্রামই বৌদ্ধস্তূপের (Buddha Stupa)  কারণে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। প্রচুর পর্যটক আসবে এই গ্রামে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বৌদ্ধস্তূপকে (Buddha Stupa)  ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dadagiri: গোঘাট বিএলআরও অফিসে ঢুকে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, আতঙ্কিত আধিকারিকরা

    Dadagiri: গোঘাট বিএলআরও অফিসে ঢুকে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, আতঙ্কিত আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গোঘাট -২ ব্লকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে তখন সাধারণ মানুষের ভিড়ে গম গম করছে। রেভেনিউ অফিসার সোম শেখর সরকারের চেম্বারে চলছে জমির মিউটেশন নিয়ে শুনানি। তাই, ঘরে এলাকার মানুষের ভিড়ও ছিল। আচমকাই সেখানে গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সাহাবউদ্দিন খান ঢোকেন। মিউটেশন সংক্রান্ত কোনও একটি বিষয় নিয়ে প্রথমে কথা হয়। আধিকারিকের কথা তাঁর পছন্দ হয়নি। তাই, তিনি স্বমূর্তি ধারণ করেন। প্রথমেই রেভেনিউ অফিসারের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁকে শারীরীকভাবে হেনস্থা করা হয়। টেবিলে থাকা ফাইলপত্র সব ফেলে দেওয়া হয়। সামনে থাকা চেয়ার উল্টে দেওয়া হয়। এককথায় ওই আধিকারিকের ঘরে ঢুকে তৃণমূল নেতা তান্ডব (Dadagiri) চালায় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে। বিএলআরও ইতিমধ্যেই গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কেন বিএলআরও অফিসে ঢুকে দাদাগিরি দেখালেন ওই তৃণমূল নেতা? Dadagiri

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার দুপুরের পর। গোঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা এলাকার তৃণমূল নেতা সাহাবউদ্দিনসাহেব জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে যান। ২ মার্চ  তাঁর মিউটেশনের দিন ধার্য হয়।কিন্তু, সেদিন ওই নেতা অফিসে কোনওকারণে যেতে পারেননি। সেই বকেয়া কাজ করতেই এদিন দুপুরে অফিসারের কাছে হাজির হয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। অফিসার নিয়ম মেনে কয়েকদিন পর আসার কথা বলেন। কিন্তু, এদিন সেই কাজ করে দেওয়ার জন্য ওই তৃণমূল নেতা চাপ দিতে থাকেন। এরপরই দুজনের মধ্যে বচসা হয়। পরে, শাসক দলের ওই নেতা অফিসের মধ্যে দাদাগিরি (Dadagiri) দেখান বলে অভিযোগ।

    এই বিষয়ে রেভেনিউ অফিসার সোম শেখর সরকার বলেন, আমি হেয়ারিং করছিলাম। তিনি প্রথম থেকেই আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে থাকেন। নিয়ম মেনে কয়েকদিন পর তাঁকে আসতে বলি। তিনি সে সব কথা না শুনে আমার উপর চড়াও হন। আমাকে হেনস্থা করেন। টেবিলের নথি ফেলে দেন। এই ঘটনায় আমি খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বিএলআরও আনন্দ বিশ্বাস বলেন, ওই নেতা এসে রেভেনিউ অফিসারের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। অফিসের মধ্যে তান্ডব চালান। বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানিয়েছি। যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা সাহাবউদ্দিন খান বলেন,কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তা মিটিয়ে নেওয়াও হয়েছে। কোনও তান্ডব চালানো হয়নি। দাদাগিরি দেখানো হয়নি। আমরা একসঙ্গে বসে চা খেয়েছি। এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে। তবে, তৃণমূলের গোঘাট ২ নম্বর ব্লক সভাপতি অরুণ ক্যাউড়া তাঁর পাশে দাঁড়াননি। তিনি বলেন,এই ঘটনা নিন্দনীয়। দল কোন ভাবেই সমর্থন করে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share