Tag: Madhyom

Madhyom

  • Tmc Leader: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলীয় নেত্রীকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ তৃণমূলের?

    Tmc Leader: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলীয় নেত্রীকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ তৃণমূলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করতেও কাটমানি! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদুল শেখের বিরুদ্ধে। তিনি আদতে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়ত প্রধানের স্বামী। আর স্থানীয় এই তৃণমূল নেতাকে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা ইংরেজবাজার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিভা সিংহের বিরুদ্ধে। ফলে, দলীয় নেতাদের এই আচরণে শাসক দলের একাংশ বহুদিন ধরেই ক্ষোভ ফুঁসছিলেন। ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় ব্লক সভানেত্রী প্রতিভা সিংহ দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আসতেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে দলীয় নেত্রী ও তাঁর অনুগামীদের রীতিমতো কসরত করতে হয়। আর এই ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই শাসক দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে তৃণমূল কর্মীরা কেন বিক্ষোভ দেখালেন?

    ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিলা। তাঁর স্বামী জাহিদুলই বকলমে পঞ্চায়েত চালান বলে দলের একাংশের অভিযোগ। শুধু পঞ্চায়েত পরিচালনা নয়, আর্থিক সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নেন তিনি। দলের গ্রাম পঞ্চায়ত সদস্যদের তিনি পাত্তা পর্যন্ত দেন না। ফলে, দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের পাশাপাশি দলের একটি বড় অংশ তাঁর আচরণে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁর নামে দরবার করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে, দলীয় কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের চোরাস্রোত বইছিল। বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, জাহিদুল পঞ্চায়েতকে ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। এখন দল একে অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন। সেই পদ ভাঙিয়ে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করার টোপ দিয়ে তিন-চার লক্ষ টাকা করে তুলছেন। দলীয় সভানেত্রী দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আসতেই দলীয় কর্মীদের একাংশ নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। দলীয় ঝান্ডা হাতে নিয়ে দলীয় নেত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ বলেন, দলের অন্দরে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। আর যার বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ সেই জাহিদুল শেখ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অভিযোগ তুলে আদালত পর্যন্ত ওরা গিয়েছিল। জেলা প্রশাসনও সমস্ত বিষয়টি জানে। কিন্তু, অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Tea Stall:  বাহাত্তর বছরের চায়েওয়ালার জীবন যুদ্ধের কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    Tea Stall: বাহাত্তর বছরের চায়েওয়ালার জীবন যুদ্ধের কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। চাঁপদানী ফাঁড়ির সামনে অর্জুন টি স্টলের (Tea Stall) মালিক বছর বাহাত্তরের অর্জুন রাজভর তার জ্বলন্ত প্রমাণ। যে সময় মানুষ অবসর জীবন কাটান, সেই বয়সে দাঁড়িয়ে তিনি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।  ভোর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত তাঁর চায়ের দোকানে (Tea Stall)  ভিড় লেগে থাকে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁর এই চায়ের দোকান।

    কীভাবে গড়ে উঠল এই অর্জুন টি স্টল? Tea Stall

    দোকানের মালিক  অর্জুনবাবুর বাড়ি  চাঁপদানীর ফেসুয়াবাজারে। এই দোকান তৈরি হয়েছে মাসখানেক আগে। তৈরি করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই চায়ের দোকানের (Tea Stall)  পিছনে রয়েছে এক লম্বা ইতিহাস। আসলে এই চায়ের দোকানের মধ্য দিয়েই এক জন যাবজ্জীবন কয়েদিকে তার মেয়াদ পূর্ন হবার পর নতুন ভাবে পথ চলার পথ খুলে দেন জেলা প্রবেশন অফিসার মনোজ রায়। অতীত আর মনে রাখতে চাননা অর্জুনবাবু। একসময় তিনি একটি কারখানার গাড়ির চালক হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু, ছেলের অসুখকে কেন্দ্র করে কিছু অতিরিক্ত অর্থ দাবি করায় মালিকপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাধে। খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেটা ২০০৪ সাল। খুনে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। ঠাঁই হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রায় ১৭ বছর সংশোধনাগারে কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। সংশোধনাগারে তাঁর ভালো আচরণের জন্য জেলা প্রবেশন অফিসারের সুনজরে পরে যান তিনি। সেই অফিসার মনোজ রায় জেলাশাসকের কাছে দরবার করে আইনগত ভাবে অর্জুনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন। আর তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী নিয়ে অর্জুনবাবু বলেন, পুরোনো দিনের কথা আর মনে রাখতে চাইনা। কিছু ভুল করেছিলাম। তার শাস্তি পেয়েছি। শাস্তি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তাঁর আরও সংযোজন, যাঁরা শাস্তি দিলেন তাঁরাই আবার আমায় সাহারা দিয়েছেন। এরজন্য আমি সরকারি আধিকারিক দের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। শুধু যে ভালোভাবে তিনি দোকান চালাচ্ছেন তা নয়, দোকানে মাইনে দিয়ে দু জন কর্মচারীও রেখেছেন তিনি। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইকে সকলেই কুর্ণিশ জানাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Magician: জাদুকরের ভেলকিতে স্বামীর ঘর থেকে ভ্যানিশ হয়ে গেল বধূ, কোথায় দেখে নিন?

    Magician: জাদুকরের ভেলকিতে স্বামীর ঘর থেকে ভ্যানিশ হয়ে গেল বধূ, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জাদু সম্রাট জুনিয়র পিসি সরকারের (PC Sarkar) জাদুর ভেলকিতে কিছুক্ষনের জন্যই কলকাতার ভিক্টোরিয়া বিল্ডিং ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিল। নব্বইয়ের দশকে রাজ্যবাসীর অনেকেই সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। এবার রাকেশ পাহাড়ি নামে অন্য এক কুখ্যাত জাদুকরের (Magician) হদিশ মিলেছে। তাঁর হাতযশের ক্যারিশমা এখন হারে হারে টের পাচ্ছেন মালদহের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দারা। কারণ, জাদুকরের (Magician)হাতযশে গ্রামের বহু বধূর সোনার গয়না উধাও হয়ে গিয়েছে। আর তাঁর জাদুর ভেলকিতে স্বামীর ঘর থেকে গৃহবধূ ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। হন্যে হয়ে সেই জাদুকরকে খুঁজছে গোটা শান্তিপুর গ্রাম।

    শান্তিপুরে গিয়ে জাদুকর আর কী কী ভেলকি দেখিয়েছেন?

    কিছুদিন আগে নিছক সাইকেল খেলা দেখাবেন বলেই গ্রামে ঘাঁটি বেঁধেছিলেন জাদুকর(Magician) রাকেশ পাহাড়ি। সুঠাম চেহারা, তেমনি মুখে মিষ্টি কথা। তাঁর হাতে ভেলকি ছিল চোখ জুড়ানো। কচিকাঁচা থেকে গ্রামের সকলেই তাঁর জাদুতেই মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন। সোনা ডবল করার টোপও দিয়েছিলেন তিনি। সেই ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেক বধূ নিজের কানের সোনার দুল, হাতের বালা, আংটি জাদুকরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আর জাদুকরের (Magician) মিষ্টি কথার জাদুতেই মজে গিয়েছিলেন প্রসেনজিত্ রায়ের অষ্টাদশী স্ত্রী খুশি রায়। তাঁর জাদুর (Magician) ভেলকি এতটাই নিখুঁত ছিল যে স্ত্রীর মন চুরি হওয়ার খবর স্বামীও টের পাননি। স্ত্রীকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন প্রসেনজিত্ রায়। তিনি বলেন, গ্রামে এসে জাদুকর খুব সুন্দর খেলা দেখাতেন। কথাবার্তাও তাঁর খুব ভালো ছিল। গ্রামের সকলের সঙ্গে ওর সখ্যতা হয়ে গিয়েছিল। সোনা, টাকা ডবল করার প্রলোভন দেখিয়ে বহু বাসিন্দাদের সর্বস্ব লুঠ করেছেন ওই জাদুকর। তবে, কখন যে আমার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তা টের পাইনি। জাদুকরের (Magician) হাত ধরে চলে যাওয়ার পরই আমাদের টনক নড়ে। ততক্ষণে ওই জাদুকর আমাদের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। তবে, শুধু খুশি রায়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন নন,অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গোটা গ্রাম।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জাদুকরের (Magician)  বাড়ি নদিয়া জেলায়। তবে, সেটা তাঁর আসল বাড়ি কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ওই জাদুকরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Poppy Cultivation: ধান, আলু ছেড়ে জমিতে এ কী চাষ করছেন গোঘাটের চাষিরা?

    Poppy Cultivation: ধান, আলু ছেড়ে জমিতে এ কী চাষ করছেন গোঘাটের চাষিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তৃণমূল সরকারের আমলে ধান বা আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পান না চাষিরা। এমনই অভিযোগ চাষিদের। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কেনার কথা বলা হলেও আদতে ফড়েরা লাভের গুড় খেয়ে নেয়। তাই, বেশি লাভের আশায় হুগলির গোঘাটের মান্দারণ, কাঁটালি এলাকায় প্রথাগত চাষ ছেড়ে বিঘার পর বিঘা জমি জুড়়ে রমরমিয়ে চলছে পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation)। পোস্ত চাষ করা বেআইনি। কারণ, এই পোস্ত থেকে আফিম তৈরি হয়। মাদক বিরোধী প্রচার চলছে রাজ্য জুড়ে। কিন্তু, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই কারবার চললেও পুলিশ প্রশাসন উদাসীন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে এলাকার একজন বা দুজন এই চাষ করতেন। আর এই চাষ করে চাষি পরিবার রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠতেই গ্রামের অন্য চাষিরা এখন পোস্ত চাষে মেতেছেন।

    এক বিঘা জমিতে পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) করলে কত আফিম তৈরি হয় জানেন কী?

    বিঘা প্রতি পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) করে তৈরি হচ্ছে ২ থেকে ৩ কেজি করে আফিম। প্রতি কেজি আফিম বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকারও বেশি দামে।  চাষিদের মতে, এক বিঘা জমি থেকে পোস্তর আঠা সংগ্রহ করে ২ থেকে আড়াই কেজি মতো আফিম তৈরি হয়। যার বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। পোস্তর আঠা বের করে নেওয়ার পর যে ফলটি পড়ে থাকে, তার ভেতর থেকে তৈরি হয় খাবারের পোস্ত।

    পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) আদতে বেআইনি। জরিমানা থেকে শুরু করে জেল পর্যন্ত হতে পারে। কড়া আইন থাকলেও তাকে উপেক্ষা করেই বিঘার পর বিঘা জমিতে চলছে পোস্ত চাষ। প্রশাসনের তরফে পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে প্রচার এবং আবগারি দফতর মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও কোনও সুরাহা হয়নি। জমির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যই রমরমিয়ে এই চাষ হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু হুগলির গোঘাট বলে নয়, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম জেলায় এই  চাষের রমরমা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়। বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় মানুষেরও।

    যদিও এই বিষয়ে গোঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের খবর আমাকে কেউ দেয়নি। সংবাদ মাধ্যমের কাছেই শুনলাম। যদি কেউ এরকম করে থাকে, আমরা ব্যবস্থা নেব।” অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, প্রশাসনের প্রশয়ে এই ধরনের বেআইনি চাষের রমরমা। প্রশাসন খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা না নিলে, আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Visva Bharati: বিশ্বভারতীর জমি বিন্যাস ও তার বিচিত্র সমীকরণ

    Visva Bharati: বিশ্বভারতীর জমি বিন্যাস ও তার বিচিত্র সমীকরণ

    সোমেশ্বর

    বিশ্বভারতীর অন্যতম প্রধান সমস্যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্যাম্পাস’ সীমায়িত বা ‘ডিমারকেটেড’ নয়। একটি ধর্মীয় আশ্রম হিসাবে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা এবং একটি স্কুল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল, সেখানে স্বাভাবিক কারণেই সীমাবদ্ধ ‘ক্যাম্পাস’ আরম্ভ থেকে ছিল না। কিন্তু ক্রমে ক্রমে এই না থাকার অসুবিধা অনুভূত থাকে। দেখা যায়, গুরুদেবের আশ্রমের বহু জমি তার ভক্তরা নিজের মনে করে দখল করে নিয়েছেন। ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী অ্যাক্ট পাশ হওয়ার সময় বিশ্বভারতীর এলাকা হিসাবে ৩০০০ হেক্টরের একটি বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হলেও বাস্তবে সেই জমির সবটার ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ অধিকার ছিলো না। বিশ্বভারতী সম্ভবত এদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার এলাকায় আস্ত একটা গ্রাম আছে। এরপর ১৯৮৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ’ গঠন করে বিশ্বভারতী এলাকাকেও তাদের ‘উন্নয়ন – এলাকার’ মধ্যে ধরে নিলো। বাইরে থেকে যে ভূমিখণ্ড বিশ্বভারতীর ‘ক্যাম্পাস’ বলে মনে হয় তার ভিতরের চরিত্র বিচিত্র। এই বিচিত্র ‘ক্যাম্পাসে’ তিন ধরণের জমি বা ঘরবাড়ি আছে – বিশ্বভারতীর মালিকানার এবং দখলে আছে, বিশ্বভারতীর মালিকানার কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী লিজে দেওয়া জমি বা তার ওপর বাড়ি এবং সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা বা বাড়ি। জমির এই জটিল চরিত্রের জন্যই সীমানা প্রাচীর দেওয়ার সমস্যা, সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া এবং ‘ক্যাম্পাসে’র ভিতর দিয়েই ব্যক্তিগত জমি বা বাড়িতে যাতায়াতের আব্দার সহ্য করা।

    রবীন্দ্রনাথের পুত্র রথীন্দ্রনাথের সময়েই জমি দীর্ঘ মেয়াদী লিজ দেওয়া শুরু হয়। মূলত তৎকালীন বিশ্বভারতীর সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত মানুষ জনকেই এই লীজ দেওয়া শুরু হয়। বিশ্বভারতীর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত ছিলেন না এমন মানুষদেরও সেসময় জমি লীজ দেওয়া হয়। মুলতঃ এই উদ্দেশেই ‘ফ্রেন্ডস অফ বিশ্বভারতী’ বা বিশ্বভারতী সুহৃদ সমিতি গঠন করা হয়েছিলো। অমর্ত্য সেন এর দাদু ক্ষিতিমোহন সেন জমির লীজ পেয়েছিলেন বিশ্বভারতীর শিক্ষক হিসাবে; অমর্ত্য সেন এর বাবা আশুতোষ সেন জমির লীজ পেয়েছিলেন বিশ্বভারতীর ‘সুহৃদ’ হিসাবে। আলাদা আলাদা সময়ে দুটি লিজ দেওয়া হয়েছিলো। ক্ষিতিমোহন সেনকে দেওয়া জমিতে নির্মিত বাড়ি এখনও ভোগ করছেন অমর্ত্য সেন এর মামাতো ভাই ও তাদের পরিবার। রথীন্দ্রনাথের সময়ে দেওয়া ৯৯ বছরের লীজ যাদের নামে দেওয়া হয়েছিলো তারা সবাই প্রয়াত হয়েছেন। লীজের শর্ত হিসাবে সেসব জমিতে বা বাড়িতে তাদের বংশধররা বসবাস করছেন। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা লীজের সময়সীমা শেষ না হলেও সেইসব জমি বা বাড়ি বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আবার খুব কৌশলে কিছু জমি যে হাতবদল হয়নি – তাও নয়। বেশিরভাগ দীর্ঘমেয়াদী লীজ ২০৪১ / ৪২ সালে শেষ হয়ে যাবে। যদি বিশ্বভারতীর আগামীদের প্রশাসন লীজ না নবীকরণ করেন, তাহলে এই সমস্ত জমি বা বাড়িই বিশ্বভারতীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু সমস্যার এখানেই শেষ নয়। এরপরেও ব্যক্তি মালিকানার যেসব বাড়ি থেকে যাবে সেগুলোও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ বজায় রাখার পথে বাধা হতে পারে। একটা উদাহরণ দিই – ধরুন আপনি বাইরে থেকে বেড়াতে এসেছেন , সঙ্গীত ভবন সংলগ্ন মাঠে ঘুরছেন, হটাত আপনার চোখে পড়ছে মাঠের সীমানায় একটা আস্ত রেস্টুরেন্ট। আপনি বিস্মিত হবেন – ক্যাম্পাসের ভিতরে এটা কি করে হলো। আসলে ওটি ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা একটি প্রাইভেট বাড়িতে। যেহেতু ‘প্রাইভেট’ অতএব যা খুশী করা যায়। বিশ্বভারতীর মধ্যে দিয়ে যে দীর্ঘ রাস্তা – শ্রীনিকেতন থেকে ভূবন ডাঙ্গা অব্দি (অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে দিয়ে) তা এক সময়ে রাজ্য সরকার বিশ্বভারতীকে হস্তান্তরিত করে। বিশ্বভারতীর নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য ওই রাস্তায় যান চলাচল ও মানুষ চলাচলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইন – শৃঙ্খলা – পরিবেশ বজায় রাখা সুবিধা হয়। কিন্তু অসুবিধা বোধ করেন ক্যাম্পাসের কিছু বাসিন্দা। মুলতঃ তাদের দাবীতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই রাস্তার অধিকার আবার ফিরিয়ে নেন। অর্থাৎ যে খানিকটা ক্যাম্পাসের ‘সীমাবদ্ধতা’ ছিলো তাও নষ্ট হয়ে যায়। বিশ্বভারতীর জমিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশসহ অন্ততঃ তিনটে দফতর অবস্থিত। বিশ্বভারতীর জমির ওপর দিয়েই ওইসব জমিতে যাতায়াতের রাস্তা।

    একটি প্রতিষ্ঠান তার দখল হয়ে যাওয়া জমি দখলমুক্ত করবে এবং ভবিষ্যতে যাতে আবার বেআইনিভাবে দখল না হয় তার জন্য প্রাচীর দিয়ে ঘিরবে – এর মধ্যে অন্যায় কোথায়? কিন্তু বিশ্বভারতীতে কর্তৃপক্ষের এই স্বাভাবিক উদ্যোগকেই অস্বাভাবিক বলে মনে করেন তথাকথিত আশ্রমিক, বুদ্ধিজীবী ও গুরুদেবের কিছু ভক্ত। মেলার মাঠে সীমানা নির্মাণের সময় যা যা ঘটেছে তা এযাবৎ দেশের অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটেছে বলে জানা নেই; সম্ভবত কাশ্মীরেও ‘বুলডোজার’ দিয়ে একটি প্রাচীন তোরণ ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি! বেআইনি পারকিং করে তোলা আদায় সহ নানা বেআইনি কাজের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিলো মেলার মাঠ, ধীরে ধীরে বেআইনি দখলদাররা মাঠ গ্রাস করতে শুরু করে। কারণ এরা সবাই মনে করে – ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’ – অতএব যা খুশী করা যাবে। বিশ্বভারতীর জমি উদ্ধারের কাজ বা সীমানা প্রাচীর যে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রথম শুরু করলেন তা নয়। ২০০৪ সাল থেকেই এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এমনটা নয় যে – তৎকালীন উপাচার্যরা নিজেদের উদ্যোগে এবং ইচ্ছায় এই কাজ শুরু করেছিলেন। ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে জমি পুনুরুদ্ধারে উদ্যোগী হতে বলা হয় । ২০০৬ এ গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নেতৃত্বে গঠিত ‘হাই লেভেল কমিটি’ তাদের সুপারিশে পরিস্কার ইংরাজিতে লিখেছিলো – ‘The campus boundary will be demarcated and boundary walls and fencing will be constructed to improve and protect the property from encroachment.’ যে দ্রুততার সঙ্গে বিশ্বভারতীর জমি উদ্ধারের কাজ হওয়া উচিত ছিল তা হচ্ছে না – এখনো দখলে থাকা বিশ্বভারতীর সিংহভাগ জমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সীমানা প্রাচীর বা বেড়া দেওয়ার কাজ অনেকটা করা সম্ভব হলেও রাজ্য সরকার পি ডবলু ডি র রাস্তা ফেরত নিয়ে নেওয়ায় ক্যাম্পাস ঘেরার এই উদ্যোগ অনেকাংশে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে ।

    অমর্ত্য সেনের জমি সম্পর্কে সাম্প্রতিক বিতর্কের মধ্যে একটি প্রশ্ন অনেকের মধ্যে এসেছে – ‘আচ্ছা ওনার মতো একজন বিশ্বখ্যাত মানুষ, ভারতরত্ন কে ওই জমিটা উপহার হিসাবে দিয়ে দেওয়া যেত না?’ অধ্যাপক সেন অর্থনীতিতে তার অবদানের জন্য সুইডেনের পুরষ্কারটি পাওয়ার পর ‘প্রতীচী ট্রাস্ট’ গঠন করেন। শোনা যায়, বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যে ‘প্রতীচী ট্রাস্ট’ এর অফিস করার জন্য একটি জায়গা চাওয়া হয়েছিলো। অধ্যাপক সেন নিজে চেয়েছিলেন নাকি তার হয়ে কোনো ব্যক্তি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু তৎকালীন উপাচার্য বা কর্মসমিতি এই প্রস্তাবে রাজী হয়নি, অর্থাৎ তাঁকে ক্যাম্পাসে জায়গা দেওয়া হয়নি। সেই উপাচার্য প্রয়াত হয়েছেন, কিন্তু সেসময়ের দু একজন আধিকারিক এখনো আছেন। তারা হয়তো বলতে পারবেন কেন তাঁকে ক্যাম্পাসে জমি দেওয়া হয়নি। একই ভাবে তার পৈত্রিক বাড়ির জমি নিয়ে এই যে বিতর্ক তা যে শুধুমাত্র বর্তমান উপাচার্যের মস্তিস্কপ্রসুত, তাও নয়। এই জমি নিয়ে মাঝে মাঝেই কথা উঠেছে। শোনা যায়, একজন প্রাক্তন উপাচার্য, যিনি এখনো জীবিত – এই জমি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান করার জন্য ওনার কাছে, ওনার বাড়িতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সেভাবে সাড়া পাননি। অনেকেই বলবেন এসব ‘শোনা যায়’, ‘জানা যায়’ – কথার প্রমাণ নেই। সত্যিই নেই, কারণ এসবের কোনো লিখিত প্রমাণ থাকে না। যদি এই তথ্যগুলো ঠিক না হয়, তাহলে অধ্যাপক সেনের পরিচিত জন অবশ্যই প্রতিবাদ করতে পারেন। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে অমর্ত্য সেনের মতো এত উচ্চাসনে থাকা ব্যক্তি যেভাবে অপ্রীতিকর একটি বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন তার নিরসন হওয়া উচিত। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা ভারত সরকার কি চাইলেই ওই জমি উপহার হিসাবে তাঁকে দিতে পারেন? খানিকটা নিয়ম কানুন বদলে হয়তো সেটা পারেন, তবে সেক্ষেত্রে আরও নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম হবে, বিশ্বভারতীর জমি সমস্যা জটিলতর হবে। নোবেল প্রাইজ প্রাপক বা ভারতরত্ন না পেলেও সেসময় জমির লীজ প্রাপকরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে অনেকেই বিখ্যাত। এখন তাদের স্বল্পখ্যাত বংশধররা সবাই যদি উপহার পাবার দাবী তোলেন তখন কি হবে? বামফ্রন্ট সরকার লবনহ্রদে যে জমি দিয়েছিলো সেখানেই এখন ‘প্রতীচী-ট্রাস্টের’ একটি অফিস; শান্তিনিকেতনে ক্যাম্পাসের বাইরে তারা নিজেদের উদ্যোগে একটি অফিস করেছেন। বর্তমান সরকার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের বাইরে আর একটি জমি দিয়ে, ‘প্রতীচী’ বাড়ির আদলে আর একটি বাড়ি তৈরী করে ওনাকে উপহার দিলে কারো কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।

    চাহিদার তুলনায় বিশ্বভারতীর জমির পরিমাণ কম। বিশ্বভারতীকে একটি সম্পূর্ণ আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে আরও হোস্টেল ভবন নির্মাণ করতে হবে। এই মুহূর্তে সেখানে হস্টেল সংখ্যা অত্যন্ত কম। ভবিষ্যতে আরও শ্রেণীকক্ষ, খেলার মাঠ, গবেষণাগার ইত্যাদি নির্মাণের জন্য আরও জমির প্রয়োজন হবে। এজন্য একদিকে বেআইনিভাবে দখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে হবে অন্যদিকে নিজেদের জমি রক্ষা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Lok Sabha Elections 2024: গোয়ায় ইতিহাস বিজেপির, প্রথম মহিলা পদ্ম-প্রার্থী পল্লবীকে চেনেন?

    Lok Sabha Elections 2024: গোয়ায় ইতিহাস বিজেপির, প্রথম মহিলা পদ্ম-প্রার্থী পল্লবীকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের তীরে ইতিহাস বিজেপির। গোয়ায় প্রথম মহিলা প্রার্থী দিল পদ্ম শিবির। প্রার্থীর নাম পল্লবী ডেম্পো। তিনি ডেম্পো ইন্ডাস্ট্রিজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) দক্ষিণ গোয়া কেন্দ্রের পদ্ম প্রার্থী তিনি।

    গোয়ার এই কেন্দ্রে পদ্ম ফুটেছে দু’বার (Lok Sabha Elections 2024)

    বর্তমানে গোয়ার এই কেন্দ্রের রাশ রয়েছে কংগ্রেসের হাতে। সাংসদ ফ্রান্সিসকো সারদিনহার। ১৯৬২ সাল থেকে এই কেন্দ্রে মাত্র দু’বার জিতেছে গেরুয়া শিবির। এই লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে ২০টি বিধানসভা এলাকা। লোকসভার এই আসনটিতে কখনও জয়ী হয়েছে মহারাষ্ট্র গোমান্তক পার্টি, কখনও আবার ইউনাইটেড গোয়ান্স পার্টি। কংগ্রেসও জিতেছে বেশ কয়েকবার। তবে ১৯৯৯ ও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) আরব সাগরের তীরের এই কেন্দ্রটিতে ফুটেছে পদ্ম। বিজেপির টিকিট পেয়ে যারপরনাই খুশি পল্লবী। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনিও।

    চিনুন পল্লবীকে

    রসায়নে স্নাতক পল্লবীর ঝুলিতে রয়েছে পুণের এমআইটির বিজনেস ম্যানেজমেন্টের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও। বছর ঊনপঞ্চাশের পল্লবী ডেম্পো ইন্ডাস্ট্রিজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। ইন্দো-জার্মান এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট পদেও রয়েছেন তিনি। গোয়া ক্যানসার সোসাইটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্যও এই বিজেপি প্রার্থী। পল্লবীর স্বামী শ্রীনিবাস ডেম্পোও একজন নামী শিল্পপতি। গোয়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধানও তিনি। মেয়েদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দানের জন্য গ্রামীণ বিদ্যালয় দত্তক কর্মসূচির অধীনে কয়েকটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে ডেম্পো পরিবার। এহেন পরিবারের সদস্য পল্লবীকেই এবার পদ্ম প্রতীকে বাজি ধরেছে বিজেপি।

    রবিবার রাতে পঞ্চম দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। এতে নাম রয়েছে ১১১টি কেন্দ্রের প্রার্থীর। এই তালিকায়ই রয়েছে পল্লবীর নামও। পল্লবীকে প্রার্থী করায় গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলেন। গোয়ায় এর হার ৫০ শতাংশ। এবং সেটাও সংরক্ষণ ছাড়াই। এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পার্টি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডাকে (Lok Sabha Elections 2024)।”

    আরও পড়ুুন: ফের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, তালিকায় রয়েছেন ‘রাম’, কঙ্গনাও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Chip: সরকারি কম্পিউটারে এএমডি-ইন্টেলের চিপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি চিনে

    Chip: সরকারি কম্পিউটারে এএমডি-ইন্টেলের চিপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি চিনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের সরকারি কম্পিউটার ও সার্ভারে এএমডি ও ইন্টেলের মতো মার্কিন চিপ (Chip) কোম্পানির প্রসেসর ব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি চিনের। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও বিদেশে তৈরি ডেটাবেস সফটওয়্যারের পরিবর্তে স্থানীয় পণ্য ব্যবহারের নির্দেশনাও রয়েছে বেজিংয়ের জারি করা ওই নির্দেশিকায়।

    জারি নির্দেশিকা (Chip)

    চিন সরকারের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে চিনের বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে অবশ্যই এএমডি ও ইন্টেলের চিপের (Chip) বদলে ব্যবহার করতে হবে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য স্থানীয় পণ্য। নির্দেশিকায় কোন কোন চিপ ব্যবহার করা যাবে তার একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ১৮টি প্রসেসর। এর মধ্যে রয়েছে হুয়াওয়ে ও চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ফিটিয়ামের বানানো চিপ। উল্লেখ্য যে, উভয় কোম্পানিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ।

    নির্ভরযোগ্য প্রসেসর ও অপারেটিং সিস্টেম

    জানা গিয়েছে, চিনের সরকারি বডি ও অর্গানাইজেশনগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল ২৬ ডিসেম্বর। সেটি কার্যকর করা হয়েছে সম্প্রতি। টাউনশিপ লেভেলে থাকা সরকারি সংস্থাগুলির প্রয়োজন নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য প্রসেসর ও অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা।   

    চিনের শিল্পমন্ত্রক গত ডিসেম্বরে জারি করা বিবৃতিতে তিনটি আলাদা আলাদা সিপিইউ, অপারেটিং সিস্টেমস এবং কেন্দ্রীভূত ডেটাবেসের লিস্ট দিয়েছিল। পাবলিকেশন ডেটের তিন বছর পর্যন্ত এগুলি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বলে বলা হয়েছিল। এগুলি সবই চিনে তৈরি। মার্কিন পণ্যের পরিবর্তে এগুলি ব্যবহার করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। দ্য স্টেট কাউন্সিল ইফর্মেশন অফিস, যারা চিনা মন্ত্রিসভার কাউন্সিলের হয়ে মিডিয়া হ্যান্ডেল করে, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তারা মুখে কুলুপ এঁটেছে।

    আরও পড়ুুন: ফের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, তালিকায় রয়েছেন ‘রাম’, কঙ্গনাও

    জানা গিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে চিনের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিগুলি বিদেশি প্রযুক্তি নির্ভরতা কমাতে শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে বেজিংয়ে সেমিকন্ডাক্টর ইক্যুইপমেন্ট ও প্রযুক্তি রফতানির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করেছিল। তার পরেই ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে চিনের দেশীয় চিপ ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্মগুলি। বাড়তে থাকে তাদের রোজগারও (Chip)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ফের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, তালিকায় রয়েছেন ‘রাম’, কঙ্গনাও

    Lok Sabha Elections 2024: ফের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, তালিকায় রয়েছেন ‘রাম’, কঙ্গনাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) পঞ্চম দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। রবিবার প্রকাশিত এই তালিকায় যেমন বাদ গিয়েছে পুরানো  কিছু মুখ, তেমনি এসেছেও নতুন।

    তালিকায় মানেকা, ঠাঁই হয়নি বরুণের (Lok Sabha Elections 2024)

    এই তালিকায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর ঠাঁই হলেও, জায়গা হয়নি তাঁর ছেলে বরুণের। নানা সময় মানেকা প্রার্থী হয়েছিলেন পিলিভিট কেন্দ্রে। জয়ীও হয়েছিলেন বেশ কয়েকবার। উনিশের নির্বাচনে এখানে প্রার্থী করা হয়েছিল বরুণকে। আড়াই লাখ ভোটে তিনি হারান সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে। এবার অবশ্য পিলিভিটে মা কিংবা ছেলে কারও নাম (Lok Sabha Elections 2024) নেই। যদিও মানেকা লড়বেন সুলতানপুর কেন্দ্রে। এবার পদ্ম প্রতীকে লড়বেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। প্রার্থী হচ্ছেন রামায়ণে যিনি রামের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, সেই অরুণ গোভিলও।

    প্রার্থিতালিকায় গুচ্ছ চমক

    এবার বিজেপির প্রার্থিতালিকায় রয়েছে একগুচ্ছ চমক। উজিয়ারপুরে প্রার্থী হয়েছেন নিত্যানন্দ রাই। বেগুসরাই থেকে লড়ছেন গিরিরাজ সিংহ। পাটনা সাহিবে প্রার্থী হয়েছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। মান্ডিতে কঙ্গনা রানাউত, কুরুক্ষেত্রে নবীন জিন্দাল, মিরাটে অরুণ গোভিল লড়ছেন পদ্ম প্রতীকে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় লড়ছেন তমলুক কেন্দ্রে। বিজেপির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীরা হলেন সম্বলপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভুবনেশ্বরে প্রাক্তন আইএএস অপরাজিতা সারঙ্গি, পুরীতে সম্বিত পাত্র, রাজামপেটে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি, আরাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিংহ, সারানে রাজীব প্রতাপ রুডি এবং পাটলিপুত্রে রামকৃপাল যাদব।

    আরও পড়ুুন: ওয়েনাড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রাহুল, বিজেপির প্রার্থী কে জানেন?

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া জেএমএমের প্রাক্তনী সীতা সোরেনকে প্রার্থী করা হয়েছে দুমকা কেন্দ্রে। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তার লড়বেন বেলগাঁও থেকে। ওয়েনাড়ে রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির কেরালা রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন। এবার টিকিট দেওয়া হয়নি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ গাংওয়ার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ভিকে সিংহকে। বিজেপির প্রার্থিতালিকায় নাম রয়েছে হরিয়ানা সরকারের মন্ত্রী রঞ্জিত চৌতালারও। হিসার কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। এই দফায় বিজেপি ১১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নামও (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Gandhi News: ওয়েনাড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রাহুল, বিজেপির প্রার্থী কে জানেন?

    Rahul Gandhi News: ওয়েনাড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রাহুল, বিজেপির প্রার্থী কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi News)। উত্তরপ্রদেশের আমেঠি লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলেন। তাঁকে গোহারা হারিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। রাহুল জিতেছিলেন কেরালার ওয়েনাড় কেন্দ্রে।

    বিজেপির প্রার্থী (Rahul Gandhi News)

    কেরালার এই আসনটিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনকে প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির। ওয়েনাড় কেন্দ্রটি কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। ২০০৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রে টানা জয়ী হয়ে আসছে কংগ্রেস। এবার সুরেন্দ্রনকে প্রার্থী করে রাহুলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। ওয়েনাড়ে বিজেপির পাশাপাশি রাহুলকে (Rahul Gandhi News) লড়তে হবে বামেদের প্রার্থীর সঙ্গেও। সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেস এবং বামেরা ‘ইন্ডি’ জোটে থাকলেও, দক্ষিণের রাজ্যগুলির অনেক কেন্দ্রেই সম্মুখ সমরে ‘ইন্ডি’র বিভিন্ন শরিক।

    কে এই সুরেন্দ্রন?

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন সুরেন্দ্রন। হেরে গিয়েছিলেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও পরাস্ত হয়েছিলেন তিনি। সেবার হেরেছিলেন মাত্র ৮৯ ভোটে। উনিশের উপনির্বাচনেও পদ্ম প্রতীকে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিলেন সুরেন্দ্রন। তবে লড়াকু মানসিকতা এবং মাটি কামড়ে পড়ে থাকার ক্ষমতা থাকায় সুরেন্দ্রনকে ২০২০ সালে বিজেপির কেলারা ইউনিটের সভাপতি করা হয়। শবরীমালা মন্দির বিতর্কে প্রতিবাদীদের মুখ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। এহেন এক প্রতিবাদীকেই রাহুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেরলের দুটি আসনের দিকে এবার নজর থাকবে দেশবাসীর। একটি ওয়েনাড়, যেখানে সম্মুখ সমরে রাহুল-সুরেন্দ্রন। আর একটি হল তিরুবনন্তপূরম। এখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির রাজীব চন্দ্রশেখরের সঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন কংগ্রেসের শশী থারুর।

    আরও পড়ুুন: তমলুকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল হারিয়েছিলেন সিপিআই প্রার্থী পিপি সুনেরকে। ৪ লাখ ৩০ হাজার ভোটে পরাস্ত করেছিলেন সিপিআই প্রার্থীকে। এবারও রাহুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন প্রবীণ বাম নেত্রী  অ্যানি রাজা। ওয়েনাড়ে যাতে রাহুল প্রার্থী না হন, সেজন্য চেষ্টার কম কসুর করেননি সিপিআই নেতৃত্ব। তার পরেও লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন ইন্ডি জোটের বড় শরিক কংগ্রেসের প্রার্থী রাহুল। এই ভোট কাটাকুটির খেলায় বিজেপির সুরেন্দ্রর জয় অনিবার্য বলে আশাবাদী পদ্ম নেতৃত্ব। এখন দেখার, কেরলের এই আসনে শেষ (Rahul Gandhi News) হাসি হাসেন কে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • DMK: ফের টিকিট না পেয়ে কীটনাশক খেলেন ডিএমকে নেতা, কী বলছে দল?

    DMK: ফের টিকিট না পেয়ে কীটনাশক খেলেন ডিএমকে নেতা, কী বলছে দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ডিএমকের (DMK) বিদায়ী সাংসদ। এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। সূত্রের খবর, তার জেরেই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। সেই কারণেই কীটনাশক খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অনুমান দলীয় কর্মীদের একাংশের।

    হতাশায় ভুগছিলেন সাংসদ (DMK)

    ডিএমকের বিদায়ী সাংসদ অবিনাশী গণেশমূর্তি। তিনি ইরোড কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। ডিএমকে সূত্রে খবর, লোকসভায় না পাঠিয়ে দল তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করবে বলে ভেবে রেখেছিল। নিজে টিকিট না পাওয়ার পরে তিনি ভেবেছিলেন ইরোড কেন্দ্রে দল (DMK) প্রার্থী করবে তাঁর ছেলেকে। তা না করে ওই কেন্দ্রে অন্য একজনের নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। শেষমেশ খান কীটনাশক।

    কী বলছে পরিবার?

    গণেশমূর্তির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাংসদ। ঘন ঘন বমি করতে শুরু করেন। পরে পরিবারের সদস্যদের টানা জেরায় জানিয়ে দেন, কীটনাশক খেয়েছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তাঁর লোকসভা কেন্দ্র এরোডেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ছিলেন আইসিইউতে। দিতে হয়েছিল ভেন্টিলেশন সাপোর্টও। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কোয়েম্বাটোর হাসপাতালে।

    আরও পড়ুুন: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিএমকে সাংসদের শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদিন সঙ্কটাপন্ন বিদায়ী সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে যান শাসক, বিরোধী সব দলের নেতারাই। তামিলনাড়ুর মন্ত্রী এস মুথুস্বামী, বিজেপি নেতা সি সরস্বতী, এআইএডিএমকে নেতা ভি রামলিঙ্গম-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সাংসদকে দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। গণেশমূর্তির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তাঁরা। তামিলনাড়ুর এমডিএমকের সাধারণ সম্পাদক দুরই বাইকোও হাসপাতালে গিয়েছিলেন সঙ্কটাপন্ন সাংসদকে দেখতে।

    তিনি বলেন, “দল ওঁকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার কথা ভেবে রেখেছিল। সেই কারণেই লোকসভায় টিকিট দেওয়া হয়নি। কিন্তু উনি চরম পদক্ষেপ করে ফেলেছেন।” প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ডিএমকের প্রার্থী হয়েছিলেন গণেশমূর্তি। এবার ডিএমকে এবং তার সহযোগীদের ছাড়া হয়েছে কেবল তিরুচিরাপল্লি আসনটি। সেখানে (DMK) প্রার্থী করা হয় ভাইকোর ছেলে দুরাই ভাইকোকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share