Tag: Madhyom

Madhyom

  • Amit Shah: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

    Amit Shah: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগামী ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন নরেন্দ্র মোদি।” বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবেন মোদি। চতুর্থবারেও তিনিই বসবেন প্রধানমন্ত্রীর আসনে।

    কী বললেন শাহ? (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “আমি বলে দিতে পারি, আগামী ১০ বছর একমাত্র মোদিই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।” তিনি বলেন, “আমরা যদি ভালো কাজ করতে পারি, তবেই ক্ষমতায় টিকে থাকব। আর যদি নিজেদের ভুল শুধরে নিতে না পারি, তাহলে আমরা জিততে পারব না।” মোদির সেনাপতি বলেন, “মোদিজি ২০৪৭ সালে ভারত কোথায় পৌঁছবে তার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন তিনিই দেখিয়েছেন।” তিনি বলেন, “খুব তাড়াতাড়িই লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর হয়ে যাবে।”

    তোষণকেন্দ্রিক রায়!

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “আমাদের দেশে যে গণতন্ত্র চলছে সেটা কাজের ওপর নির্ভর করে। সাফল্যের রাজনীতিতে মানুষ কাজ দেখে ভোট দেয়।” তিনি বলেন, “আগে জাত-পাত, ধর্মের ওপর ও তোষণকেন্দ্রিক রায় দিত দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদিই সেটা বদলে সাফল্যকেন্দ্রিক রাজনীতির আবহ তৈরি করেছেন। কে কী কাজ করেছেন তার ওপরই নির্ভর করে দেশ ক্ষমতায় থাকবে। কাজ করার যোগ্যতা মানুষ ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে দেবে।”

    আরও পড়ুুন: লোহিত সাগরে ত্রাতা ভারতীয় নৌসেনা, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার ২১

    দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর পরিবার নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। এদিন তারও উত্তর দিয়েছেন শাহ। বলেন, “যাঁরা বোকা বোকা কথা বলে দেশের রাজনীতির মান নামিয়ে দিচ্ছেন, মানুষ প্রত্যেকবার তাঁদের যোগ্য জবাব দিচ্ছেন। আমি মোদিজিকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন কাজও করেছি। একটা দিক থেকে লালুজি ঠিকই বলেছেন যে মোদিজির কোনও পরিবার নেই। কারণ যাঁদের পরিবার রয়েছে, তাঁরা চাইবেন তাঁদের ছেলেমেয়েদের প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত ৪০ বছর ধরে মোদিজি কাজ করেই চলেছেন দেশের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২৩ বছর কাটিয়ে দেওয়ার পরেও। আমি তাঁকে ছুটি নিতে দেখিনি। সকাল ৫টা থেকে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছি। রাতেও কাজ করতে দেখেছি।” প্রধানমন্ত্রীর গায়ে দুর্নীতির কালির ছিটেফোঁটাও লাগেনি বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Ujjwala Yojana: নারী দিবসে মোদি সরকারের উপহার, উজ্জ্বলা প্রকল্পে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি আরও ১ বছর

    PM Ujjwala Yojana: নারী দিবসে মোদি সরকারের উপহার, উজ্জ্বলা প্রকল্পে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি আরও ১ বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার (PM Ujjwala Yojana) আওতায় ভর্তুকি পাওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরেও এই ভর্তুকির সুবিধা পাবেন উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা মহিলারা।  বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে সোশ্যাল সাইটে জানান, নারীদিবসে নারীশক্তিকে উপহার। 

    নারীশক্তিকে উপহার

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারে (PM Ujjwala Yojana) প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় যাঁরা ৩০০ টাকা ভর্তুকি পাচ্ছিলেন, তাঁরা আগামী বছর পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন। প্রসঙ্গত, ২৯ অগাস্ট উজ্জ্বলা প্রকল্পে ২০০ টাকা ভর্তুকি বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। ৪ অক্টোবর উজ্জ্বলার সিলিন্ডার পিছু আরও ১০০ টাকা করে ভর্তুকি বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। এবার  সেই দামই আগামী এক বছর জারি রাখল কেন্দ্র। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ভর্তুকি পাওয়া যাবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি কোষাগার থেকে ১২,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    কারা, কতদিন পাবে এই সুবিধা

    এই সংযোগ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত দেয় সরকার। যেমন আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে (শুধুমাত্র মহিলা), সেইসঙ্গে একই পরিবারে অন্য কোনও এলপিজি সংযোগ থাকলে সেই পরিবার এই কানেকশন পাবে না। উজ্জ্বলা প্রকল্পের অধীনে সরকার দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগ দিয়ে থাকে।

    আরও পড়ুন: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালের ১ মে উজ্জ্বলা যোজনা (PM Ujjwala Yojana) চালু করেছিলেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে এই প্রকল্পের অধীনে এখনও পর্যন্ত ৯.৬ কোটিরও বেশি এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরেই ট্যুইট করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও। তিনি জানান, পিএম উজ্জ্বলা যোজনার সঙ্গে যুক্ত থাকা ১০ কোটিরও বেশি সুবিধাভোগী ১৪.২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারে ৩০০ টাকা করে ভর্তুকি পাবেন।        

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maha Shivratri 2024: অল্পতেই সন্তুষ্ট হন মহাদেব, শিবরাত্রির চার প্রহরের পুজোয় মেলে বিশেষ ফল

    Maha Shivratri 2024: অল্পতেই সন্তুষ্ট হন মহাদেব, শিবরাত্রির চার প্রহরের পুজোয় মেলে বিশেষ ফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সন্ধ্যা থেকেই শিবরাত্রি উপলক্ষে মেতে উঠবেন ভক্তরা। দুধ, গঙ্গাজল, ধুতুরা ফুল, বেল পাতা এসব কিছুই অর্পণ করা হবে দেবাদিদেব মহাদেবের (Maha Shivratri 2024) উদ্দেশে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, শঙ্কর ভগবান স্বল্পতেই সন্তুষ্ট হন। চতুর্দশী তিথি শুরু হচ্ছে শুক্রবার রাত আটটার দিকে। থাকবে শনিবার বিকেল পর্যন্ত। অর্থাৎ শিবরাত্রি তিথির রাত্রিকালীন সময় পড়ছে শুক্রবারে। যে কারণে ভক্তরা শুক্রবার রাতেই শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে পারেন। পুজো দিতে পারেন। যাঁরা বৈষ্ণব বা গোস্বামী মতে পুজো করেন, তাঁদের জন্য শিবরাত্রি পালনের সময় শনিবার। কারণ এই মতে তিথি শুরু হয় সূর্যোদয়ের পর থেকে। ফলে তাঁরা শনিবার শিবলিঙ্গের অভিষেক করবেন।

    চার প্রহরে শিবের পুজো বিশেষ ফলদায়ী

    শাস্ত্র অনুযায়ী, শিবরাত্রি (Maha Shivratri 2024) তিথিতে চার প্রহরে শিব পুজোয় বিশেষ মাহাত্ম্য থাকে। এই সময়ের মধ্যে দেবাদিদেবের আরাধনায় সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায় ভক্তরা। 

    প্রথম প্রহর: চার প্রহরে মধ্যে শিবরাত্রির (Maha Shivratri 2024) প্রথম প্রহরে শিবের ঈশান সরূপের পুজো করা হয়। এই সময়ের মধ্যে দুধ দিয়ে শিবের অভিষেক করা হয়। সাধারণভাবে সন্ধ্যাবেলায় হয় প্রথম প্রহরের পুজো। এই সময়ে দুধ এবং জল দিয়ে শিবের অভিষেক করা হয়।

    দ্বিতীয় প্রহর: দ্বিতীয় প্রহরের পুজোতে শিবের অঘোর রূপের আরাধনার প্রচলন রয়েছে। এ সময়ে দই দিয়ে অভিষেক করার পরে জলাভিষেক করা হয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময় শিব পুজো করলে ব্যক্তি ধন সমৃদ্ধি লাভ করে।

    তৃতীয় প্রহর: অন্যদিকে তৃতীয় প্রহরে ঘি দিয়ে শিবের পুজো করা হয়। এই প্রহরে শিব স্তুতি বিশেষ ফলদায়ী বলেই মনে করেন শাস্ত্রকাররা। নিশীথকালে এই প্রহরের পুজো হয়।

    চতুর্থ প্রহর: এই প্রহরে মধু দিয়ে শিবের সদ্যোজাত স্বরূপের পূজা করা হয়। চতুর্থ প্রহরে মধু নিবেদনের পরে জলাভিষেক করতে হয়। মনে করা হয় চতুর্থ প্রহরের পুজো মোক্ষলাভকেই সম্প্রসারিত করে। ভোররাত তিনটে থেকে সকাল ছটার মধ্যে চতুর্থ প্রহরের পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

    কোন প্রহরের পুজো কখন হবে?

    প্রথম প্রহর- সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত

    দ্বিতীয় প্রহর- রাত ৯টা ২৮ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত

    তৃতীয় প্রহর- মাঝরাত ১২টা ৩১ মিনিট থেকে ভোররাত ৩টে ৩৪ মিনিট পর্যন্ত

    চতুর্থ প্রহর- ভোররাত ৩টে ৩৪ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • DA Hike: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    DA Hike: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ফের সুখবর শোনাল মোদি সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগেই ৪ শতাংশ বাড়ল মহার্ঘ ভাতা (DA Hike)। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা মূল বেতনের ওপর ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছেন। এর আগে যা ছিল ৪৬ শতাংশ। শেষবারের মতো মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। চার মাসের মাথায় ফের তা বাড়ল ৪ শতাংশ। এর পাশাপাশি, এই দিনের ঘোষণার পরে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক হল ৪০ শতাংশ। জানা গিয়েছে, মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবেন ৪৯ লাখ ১৮ হাজার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার পেনশন ভোগী। সপ্তম শ্রেণির পে কমিশনের সুপারিশের জেরে বৃদ্ধি পেল এই ভাতা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার (DA Hike) পাশাপাশি তাঁদের যাতায়াতের ভাতা, ক্যান্টিনে খাওয়া-দাওয়ার ভাতা, ডেপুটেশন ভাতাও ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    বৃহস্পতিবার, মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরে ন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, এই বর্ধিত হারের ডিএ দেওয়ার জন্য রাজকোষ থেকে ১২,৮৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ডিএ এবং ডিআর বছরে দুবার বাড়ানো হয়। একবার জানুয়ারিতে, আরেকবার জুলাই মাসে।

    বাড়ল উজ্জ্বলা যোজনার ভর্তুকির সময়সীমা

    এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের (DA Hike) এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে যে ৩০০ টাকা করে ভর্তুকি দেয় সরকার, তার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই কারণে সরকারের ব্যয় হবে ১২,০০০ কোটি টাকা। এদিন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে উঠে আসে উত্তর-পূর্ব ভারতে শিল্পায়নের কথাও। জানা গিয়েছে, এজন্য  ১০,২৩৭ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Houthi Attacks In Red Sea: লোহিত সাগরে ত্রাতা ভারতীয় নৌসেনা, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার ২১

    Houthi Attacks In Red Sea: লোহিত সাগরে ত্রাতা ভারতীয় নৌসেনা, হুথি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার ২১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে ফের ত্রাতার ভূমিকায় ভারতীয় নৌসেনা। বুধবার বার্বাডোজের পতাকা লাগানো একটি জাহাজে হামলা চালায় ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি (Houthi Attacks In Red Sea)। ইরান সমর্থিত ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বাণিজ্যিক ওই জাহাজটি লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে। ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন, জখমও হন বেশ কয়েকজন। এই জাহাজটি থেকেই এক ভারতীয়-সহ মোট ২১জন কর্মীকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা।

    জাহাজে মিসাইল হামলা (Houthi Attacks In Red Sea)

    এদিন লোহিত সাগর দিয়ে যাচ্ছিল পণ্যবাহী জাহাজ এমভি ট্রু কনফিডেন্স। জাহাজটি (Houthi Attacks In Red Sea) যে এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, সেখান থেকে ইয়েমেনের বন্দরশহর এডেনের দূরত্ব ১০১ কিলোমিটার। আচমকাই জাহাজটিতে মিসাইল ছোড়ে হুথি জঙ্গিরা। আগুন লেগে যায় জাহাজটিতে। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠান জাহাজটির ক্যাপ্টেন। বার্তাটি পৌঁছায় ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ আইএনএস কলকাতার কাছে। দ্রুত রওনা দেয় ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনার মুখপাত্র কমান্ডার মাধওয়াল বলেন, “হেলিকপ্টার ও নৌকোর মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজটির কর্মীদের। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”

    দায় কবুল হুথির 

    ঘটনার নেপথ্যে যে হুথিই, তার প্রমাণ মিলেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামলার দায় কবুল করায়। তাদের দাবি, হামলা চালানোর আগে সতর্ক করা হয়েছিল জাহাজটিকে। সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করাতেই চালানো হয়েছে হামলা। গত অক্টোবরে শুরু হয় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। তার পর থেকেই লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে হুথির বিরুদ্ধে। হামলা বন্ধ না হলে ফল ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। তার পরেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হুথি।

    ব্রিটিশ দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “অন্তত দুজন নিরপরাধ নাবিকের মৃত্যু হয়েছে। এটি ছিল আন্তর্জাতিক জাহাজগুলিতে হুথিদের বেপরোয়াভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দুঃখজনক কিন্তু অনিবার্য পরিণতি। এদের অবশ্যই থামাতে হবে।” মাসখানেক আগেও লোহিত সাগরে দুটি জাহাজে হামলা চালিয়েছিল হুথিরা। তার প্রেক্ষিতে হুথির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, “মঙ্গলবার প্রথম হামলাটি হয় আমেরিকান জাহাজ স্টার নাসিয়াকে লক্ষ্য করে ও অন্যটি ব্রিটিশ জাহাজ মর্নিং টাইডকে লক্ষ্য করে (Houthi Attacks In Red Sea)।”

    আরও পড়ুুন: বাংলাদেশে চড়ছে ‘ভারত বয়কট’ সুর, পেঁয়াজ পাঠিয়ে মোক্ষম চাল মোদির

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relationship: বাংলাদেশে চড়ছে ‘ভারত বয়কট’ সুর, পেঁয়াজ পাঠিয়ে মোক্ষম চাল মোদির

    India Bangladesh Relationship: বাংলাদেশে চড়ছে ‘ভারত বয়কট’ সুর, পেঁয়াজ পাঠিয়ে মোক্ষম চাল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বিরোধী প্রচার শুরু হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। এবার তার আঁচ লাগল ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশেও (India Bangladesh Relationship)। জানুয়ারি মাসে সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশের কুর্সিতে ফেরে আওয়ামি লিগ সরকার। ফের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তার পরেই শুরু হয়েছে ভারত বয়কট প্রচার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে যারা আওয়ামি লিগের বিরোধিতা করেছিল, ভারত বয়কট প্রচারে সুর চড়িয়েছে তারাই। সূত্রের খবর, ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক সমর্থন করেছে বিএনপি এবং সমমনস্ক ১২টি দল।

    কমেছে ভারতীয় পণ্যের বিক্রি (India Bangladesh Relationship)

    এক সময় (India Bangladesh Relationship) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পান্থপথ এলাকায় ঢালাও মিলত ভারতীয় পণ্য। গত মাসে এই এলাকার কিছু দোকান মালিক ভারতীয় পণ্য তুলতে চায়নি। ঢাকা-চট্টগ্রামের দোকানদারদের একটা বড় অংশই জানিয়েছে, সম্প্রতি কমে গিয়েছে ভারতীয় পণ্যের বিক্রিবাটা। বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে ভারতের পছন্দের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তাই ভারতীয় পণ্য বয়কটের আওয়াজ তুলেছে সরকার বিরোধীদের একাংশ। নয়াদিল্লির মতে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পাকিস্তানপন্থীরা রয়েছে এই প্রচারের নেপথ্যে। সংগঠিত কোনও শক্তির হাতও থাকতে পারে বলে ধারণা নয়াদিল্লির।

    নেপথ্যে পাকিস্তানের হাত!

    অতীতে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছে আইএসআই। হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে সেসব অবশ্য বন্ধ হয়েছে। তবে সম্প্রতি মলদ্বীপকাণ্ডের পর বাংলাদেশে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সেই অশুভ শক্তি। যার জেরে উঠেছে ভারত বিরোধী আওয়াজ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারও বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে বাংলাদেশের ভারত-বিরোধী শক্তিকে। তবে বাংলাদেশে পণ্য বয়কটের প্রভাব অর্থনৈতিকভাবে খুব বেশি হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বাংলাদেশে মোট রফতানির পরিমাণ ছিল ২.৬ শতাংশ। তবে ভারত বিরোধী প্রচারের জেরে ছাপ পড়তে পারে দুই দেশের সম্পর্কে।

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরায় কিস্তিমাত! বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ তিপ্রা মথার

    সেই ছাপ যাতে না পড়ে তাই রমজান ও ইদের আগেই বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ পাঠিয়েছে ভারত। অথচ দেশের বাজারে পেঁয়াজের জোগানে সঙ্কট ও তার জেরে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় গত বছরই পেঁয়াজ রফতানিতে রাশ টেনেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। বাংলাদেশের পাশাপাশি আর এক বন্ধু দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। তবে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী সুর চড়তেই পেঁয়াজ পাঠিয়ে ইদের তোফা দিয়ে নয়াদিল্লি মোক্ষম চাল দিলেন বলেই ধারণা (India Bangladesh Relationship) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Derby: টিকিটের দামে ফারাক, রবিবার কলকাতা ডার্বি বয়কটের ডাক মোহনবাগানের

    Kolkata Derby: টিকিটের দামে ফারাক, রবিবার কলকাতা ডার্বি বয়কটের ডাক মোহনবাগানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা ডার্বিতে (Kolkata Derby) মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য বরাদ্দ টিকিটের দাম বেশি রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় ইস্টবেঙ্গলকে কাঠগড়ায় তুলল মোহনবাগান। কলকাতা ডার্বির এবার আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। ফলে লাল হলুদ সমর্থকদের জন্য টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১০০ টাকা থেকে। অর্থাৎ ন্যূনতম টিকিট ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা কাটতে পারবেন ১০০ টাকা থেকে। অন্যদিকে মোহনবাগান সমর্থকদের টিকিট শুরু ২৫০ টাকা থেকে। এতেই ক্ষুব্ধ সবুজ মেরুন পক্ষ। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মোহনবাগান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস দত্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। 

    মোহনবাগানের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে নিজেদের কথা জানিয়েছে মোহনবাগান। সেখানে লেখা, “ফুটবলকে কালিমালিপ্ত করেছে ইস্টবেঙ্গল। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি যে কোনও ম্যাচে আয়োজক দলের সমর্থকদের প্রায় দ্বিগুণ টাকা দিয়ে অ্যাওয়ে দলের সমর্থকদের টিকিট কিনতে হচ্ছে। কলকাতা ডার্বির (Kolkata Derby) ইতিহাসে এটা লজ্জাজনক ঘটনা।” তারা আরও লিখেছে, “ইস্টবেঙ্গলের এই কাজ মোহনবাগানের সমর্থকদের মনোভাবে আঘাত দিয়েছে। সমর্থকেরাই আমাদের দলের ভিত। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অক্রীড়াসুলভ মানসিকতাকে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মোহনবাগান ক্লাব এই ডার্বির টিকিট কিনবেও না, বিক্রিও করবে না। আমরা এই ডার্বি দেখতে যাওয়া বয়কট করলাম।” 

    কত টাকা করে টিকিট

    যে ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে টিকিট কাটা যাচ্ছে, সেই বুকমাইশো অনুযায়ী, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য টিকিটের দাম ধার্য হয়েছে ১০০ (বি১ ব্লক, বি৩ ব্লক), ১৫০ (এ১), ২০০ (সি১, সি৩), ২৫০ (বি২), ৩০০ (এ২) এবং ৪০০ (সি২) টাকা। ভিভিআইপি টিকিটের দাম ইস্টবেঙ্গলের জন্য ১০০০ টাকা। মোহনবাগান সমর্থকদের রবিবারের ডার্বি দেখতে হবে ২৫০ (ডি৩), ৩০০ (এ১, ডি১), ৩৫০ (সি১, সি৩), ৪০০ (ডি২) এবং ৫০০ (এ২)। মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য ভিআইপি টিকিটের দাম ১৫০০ টাকা। ভিভিআইপি টিকিটের দাম ৩০০০ টাকা। এই নিয়ে তোলপাড় ময়দান। রবিবারের ডার্বির আয়োজক ইমামি ইস্টবেঙ্গল। টিকিটের দাম ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামি অবশ্য দাবি করেছে আগের ডার্বিতে টিকিটের দাম দুই দলের সমর্থকদের জন্য দু’রকম ছিল। উল্লেখ্য, সেই ডার্বির আয়োজক ছিল মোহনবাগান। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মোহনবাগান জানায়, এটি একটি লজ্জাজনক ঘটনা। কলকাতা ডার্বির (Kolkata Derby) ইতিহাসে প্রথম এই ধরনের ঘটনা ঘটল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs England: কুলদীপ-অশ্বিনের ঘূর্ণি, ব্যাটে যশস্বী-রোহিত, ধর্মশালা টেস্টে দাপট ভারতের

    India vs England: কুলদীপ-অশ্বিনের ঘূর্ণি, ব্যাটে যশস্বী-রোহিত, ধর্মশালা টেস্টে দাপট ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মশালা টেস্টের প্রথম দিনেই এগিয়ে ভারত (India vs England)। কুলদীপ, অশ্বিনের ঘূর্ণির পর ব্যাট হাতে রোহিত, যশস্বী ও শুভমনের দাপটে দিশেহারা ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবার পঞ্চম টেস্টের শুরুতে কার্যত ভারতের স্পিন আক্রমণের সামনেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল  ইংল্যান্ডের তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ডের ২১৮ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতের রান ১ উইকেটে ১৩৫।  রোহিত ৫২ ও শুভমন ২৬ রানে ব্যাট করছেন। ইংল্যান্ডের থেকে ভারত এখনও ৮৩ রানে পিছিয়ে থাকলেও হাতে ৯ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবে টিম ইন্ডিয়া।

    ভারতের স্পিনে বেহাল ইংল্যান্ড

    এদিন টস জিতে ভারতের (India vs England) বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে বড় রানের প্রত্যাশায় ছিল ইংল্যান্ড। শুরুটা ভালই হয়েছিল, কিন্তু কুলদীপের ধাক্কা সামলে উঠতে পারল না ব্রিটিশ ব্যাটাররা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে একাই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন কুলদীপ যাদব। সেইসঙ্গে কেরিারের শততম টেস্টের মঞ্চে চার উইকেট শিকার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। ১৭৫ রানের মাথায় তিনটি উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। তারপর ছিল শুধু যআওয়া-আসার পালা।

    যশস্বীর যাদু

    ইংল্যান্ডের (India vs England) ২১৮ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে রোহিত ও যশস্বী শুরু থেকে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে থাকেন।  কেউ তাড়াহুড়ো করেননি। বল দেখে খেলছিলেন। রোহিতকে বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল। মার্ক উডের বলে ছক্কাও মারেন তিনি। ধীরে ধীরে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ওপেনার। খেলা যত গড়াচ্ছিল, তত হাত খুলছিলেন যশস্বী। অর্ধশতরান করেন তিনি। প্রতিটা ম্যাচে নিজের গুরুত্ব প্রমাণ করছেন যশস্বী  (Yashasvi Jaiswal)। টেস্ট কেরিয়ারে ১ হাজার রান করে ফেললেন তিনি। সেই সঙ্গে এক টেস্ট সিরিজে ৭০০র বেশি রানও হয়ে গেল তাঁর।

    দেশের মাটিতে ইংল্যান্ড (India vs England) সিরিজে খেলছেন না বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রানের দিক থেকে কিং কোহলিকে টপকে গেলেন যশস্বী জয়সওয়াল। এ বার তাঁর সামনে শুধু কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর। ৫৭ করে আউট হয়েছেন যশস্বী। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে এখনও অবধি করেছেন ৭১২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৩ রান করলেই গাভাসকরকে টপকে যাবেন যশস্বী। এর আগে ১৯৭১ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে এক টেস্ট সিরিজে সুনীল গাভাসকর করেছিলেন ৭৭৪ রান।

    আরও পড়ুন: নারী দিবসে মহিলাদের অনন্য সম্মান, লিঙ্গভেদ দূর করতে সক্রিয় বিআরও

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ত্রিপুরায় কিস্তিমাত! বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ তিপ্রা মথার

    Lok Sabha Election 2024: ত্রিপুরায় কিস্তিমাত! বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ তিপ্রা মথার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রাক্কালে ত্রিপুরায় কিস্তিমাত বিজেপির! রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল শরিক হল বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের। মন্ত্রী হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিধায়ক অনিমেষ দেববর্মণ। মন্ত্রগুপ্তির পাঠ পড়লেন তিপ্রা মথারই বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মণও। বৃহস্পতিবার রাজভবনে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, তিপ্র মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ প্রমুখ।

    তিপ্রাল্যান্ডের দাবি (Lok Sabha Election 2024)

    ত্রিপুরার জনজাতি অধ্যুষিত অংশকে আলাদা (Lok Sabha Election 2024) তিপ্রাল্যান্ড বলে ঘোষণার দাবি জানিয়ে ২০২১ সালে আত্মপ্রকাশ করে তিপ্রা মথা। দলের প্রধান হন ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোত। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে মথা জনজাতিদের সমস্যার সাংবিধানিক সমাধানের দাবি জানায় প্রদ্যোতের দল। দাবিপূরণ না হলে কোনও দলের সঙ্গেই হাত মেলাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিপ্রা মথার প্রধান।

    জোট সরকারের নেতৃত্ব দেয় বিজেপি

    তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভায় ৩২টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। জোটসঙ্গী আইপিএফটি জেতে একটি আসন। তিপ্রা মথার ১৩ জন প্রার্থী জয়ী হন। ওই নির্বাচনে সিপিএম পেয়েছিল ১১টি আসন, কংগ্রেস ৩টি। প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায় তিপ্রা মথা। বিরোধী দলনেতা হন অনিমেষ। ত্রিপুরায় দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। পূর্ব ত্রিপুরা আসনে অবশ্য এখনও কারও নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: ‘বাঘের’ চোখে জল! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে কেঁদে ফেললেন শাহজাহান

    রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, পূর্ব ত্রিপুরা আসনটি জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। এই আসনটি তিপ্রা মথাকে ছেড়ে দিতে পারে বিজেপি। অন্য অংশের মতে, রাজ্যের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে তিপ্রা মথার দুই বিধায়ককে। তার বিনিময়ে পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারে তিপ্রা মথা। পদ্ম চিহ্নে রাজবাড়িরই কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর।

    তিপ্রা ল্যান্ড আন্দোলনের কী হবে?  এ প্রশ্নের উত্তরে তিপ্র মথার তরফে নয়া মন্ত্রী বৃষকেতু বলেন, “বৃহত্তর তিপ্রা ল্যান্ড আমাদের পার্টির অ্যাজেন্ডা। এখন কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে, এটি কখন হবে? দেখুন, পাঁচশো বছরের সংগ্রামের পর তৈরি হল রাম মন্দির। আমাদের আন্দোলন তো শুরু হয়েছে মাত্র তিন বছর আগে (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: নৌসেনার হাতে এল সাবমেরিন ‘শিকারী’ কপ্টার এমএইচ-৬০আর ‘সি হক’

    Indian Navy: নৌসেনার হাতে এল সাবমেরিন ‘শিকারী’ কপ্টার এমএইচ-৬০আর ‘সি হক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক নিরাপত্তার দিক দিয়ে আরও শক্তিশালী হল ভারত। দেশের জলসীমাকে নিশ্ছিদ্র করতে নৌসেনার অস্ত্রাগারে অন্তর্ভুক্ত হলো নতুন অস্ত্র। বুধবার, শিকারী হেলিকপ্টার ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter) মাল্টি-রোল হেলিকপ্টারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোচিতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা (Indian Navy) প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। 

    কেন এই হেলিকপ্টার গুরুত্বপূর্ণ?

    আধুনিক যুগের যুদ্ধক্ষেত্রে ও রণকৌশলে সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাবমেরিনের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, একে কেউ দেখতে পায় না। জলের ওপর ভাসমান জাহাজকে সকলে দেখতে পেলেও, ডুবোজাহাজ থেকে যায় আড়ালেই। ফলে, ডুবোজাহাজ থেকে গোপনে শত্রু কখন কোথায় কীভাবে হামলা করে দেবে, তার আগে সেই অদৃশ্য সাবমেরিন কোথায় আছে, তা চিহ্নিত করা ভীষণই জরুরি। বর্তমানে, আধুনিক ও অত্যাধুনিক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়ে থাকে, এমন সব গোপন অস্ত্রের খোঁজ চালানোর জন্য। ঠিক তেমন ভাবেই, সমুদ্রের অতলে শত্রুর সাবমেরিন ঠিক কোথায় ঘাপটি মেরে বসে আছে, সেই কাজে সিদ্ধহস্ত ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter)।

    পোশাকি নাম ‘সি হক’ (Indian Navy)

    এই হেলিকপ্টারের পোশাকি নাম ‘সি হক’। অর্থ— সমুদ্রের বাজ। নামের মতোই কাজ এই কপ্টারের। জলের নীচে বহু গভীর পর্যন্ত যেতে পারে এর ‘দৃষ্টি’। এতটাই শক্তিশালী এর সেন্সর। আর শুধু নজর নয়। এই কপ্টারে মোতায়েন করা যায় টর্পিডো। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। একবার শত্রুর সাবমেরিন চিহ্নিত হলে, আকাশে উড়তে উড়তেই নির্ভুল লক্ষ্যে টর্পিডো দেগে তাকে গুঁড়িয়ে দিতে ওস্তাদ নৌসেনার নতুন ‘রোমিও’। বুধবার কেরলের কোচিতে নৌসেনার ঘাঁটি আইএনএস গরুড়-এ আনুষ্ঠানিক ভাবে মার্কিন সংস্থা সিকরস্কির তৈরি কপ্টারটির প্রথম স্কোয়াড্রন ‘কমিশন’ পেয়েছে। এখন থেকে এই কপ্টারগুলি নৌসেনার (Indian Navy) নবগঠিত ৩৩৪ নম্বর এভিয়েশন স্কোয়াড্রনে মোতায়েন থাকবে।

    বহু ক্ষেপণাস্ত্রে সমাদৃত রোমিও

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমন ২৪টি ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ (MH 60R Helicopter) মাল্টি-রোল কপ্টার কিনেছে ভারত। ২০২০ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য সি হক কেনার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। খরচ হবে ২৬০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ২১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। শুধু টর্পিডো নয়। এই শিকারী হেলিকপ্টারটি একাধিক বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণান্ত্র বহনেও সক্ষম। ষার মধ্যে অন্যতম হল বিশ্বখ্যাত ‘হেলফায়ার’ বা (নরকের আগুন) মিসাইল। আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি এবং ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে নিধন করতে মার্কিন সেনা ব্যবহার করেছিল এই ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া, এটি ৩৮ রকমের উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রবাহী রকেট বহনেও সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ থেকে শুরু করে ফ্রিগেট ও বিমানবাহী রণতরী থেকেও এটি সহজেই ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share