Tag: Madhyom

Madhyom

  • Daily Horoscope 11 February 2025: একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 11 February 2025: একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) কাজের জায়গায় কথার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ২) দূরে ভ্রমণের জন্য বাড়িতে আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ২) সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম হবে।

    ৩) সাবধানতা অবলম্বন করুন।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

    ২) প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় চাপ থাকলেও আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বুদ্ধির দোষে কোনও কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ৩) পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় নিজের বুদ্ধিতেই আয় বাড়বে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মকর

    ১) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) দিনটি কম বেশি ভালোই কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ২) কর্মস্থানে সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • 2024 yr4: হিরোশিমার থেকে শক্তি বেশি ১০ গুণ! পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু

    2024 yr4: হিরোশিমার থেকে শক্তি বেশি ১০ গুণ! পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল বড় এক গ্রহাণু। হিরোশিমায় যে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার থেকে ১০০ গুণ বেশি এর শক্তি। ২০২৪ ওয়াইআর৪ নামে ওই বিশাল অ্যাস্টেরয়েড ২ ডিসেম্বর ২০৩২-এ পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে নাসা-অর্থিত টেলিস্কোপ ব্যবহার করে অ্যাস্টেরয়েড ২০২৪ ওয়াইআর৪ আবিষ্কার করে। প্রথমে এর সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল ১.২%, তবে সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী এটি ২.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কত বড় এই গ্রহাণু

    বর্তমানে, নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি হাজার হাজার অ্যাস্টেরয়েড পর্যবেক্ষণ করছে। তবে ২০২৪ ওয়াইআর৪ একমাত্র অ্যাস্টেরয়েড যার সংঘর্ষের সম্ভাবনা ১%-এর বেশি। এটি বর্তমানে টোরিনো ইমপ্যাক্ট হ্যাজার্ড স্কেলে ৩ নম্বরে রয়েছে। এই স্কেলটি ০ থেকে ১০ পর্যন্ত, যেখানে ০ মানে কোন বিপদ নেই এবং ১০ মানে সভ্যতা শেষের সম্ভাবনা হতে পারে। এর আগের যে অ্যাস্টেরয়েডটি এই স্কেলে বেশি রেটিং পেয়েছিল, তা পরবর্তীতে ক্ষতিকর নয় বলে জানা যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই অ্যাস্টরয়েডের ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা ১.৮% থেকে ২.৩% হতে পারে। এই অ্যাস্টরয়েডের সাইজ প্রায় ৩০০ ফুট (৯০মিটার) পর্যন্ত হতে পারে। যে সাইজের অ্যাস্টরয়েড আসছে তা পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হলে একটি পুরো শহরকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে৷ ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়া তুঙ্গুস্কাতে যে অ্যাস্টরয়েড পড়েছিল এই গ্রহাণুর সাইজটিও সেইটার মতোই বড়৷

    সম্ভাব্য প্রভাব এবং ধ্বংসযজ্ঞ

    যদি ২০২৪ ওয়াইআর৪ পৃথিবীতে আঘাত হানে, তবে বিস্ফোরণের শক্তি ১৫ মেগাটন টিএনটি-এর সমান হবে, যা হিরোশিমা বোমার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি। সংঘর্ষের ক্ষেত্র থেকে ৫.৭ কিলোমিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক প্রভাব অনুভূত হবে। আরো বেশি ধ্বংস ৮.৮ কিলোমিটার এলাকায় হতে পারে, এবং মৃত্যু ঘটতে পারে ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত। লন্ডনে সরাসরি আঘাত হানলে, ওয়েস্টমিনস্টার থেকে ক্রোয়ডন পর্যন্ত পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। ম্যানচেস্টার, বেলফাস্ট, অথবা এডিনবরা শহরেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হবে। এমনকি ছোট শহরগুলোও কয়েক মাইল জুড়ে বিধ্বস্ত হবে। তবে,বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এখনও সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম। পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশই জলাশয়, তাই সাগরের উপর আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি। এর আগে অনেক অ্যাস্টেরয়েডের সংঘর্ষের ঝুঁকি কমে গিয়েছে হিসেব-নিকেশের মাধ্যমে।

  • India’s Quantum Leap: চন্দ্রযান, ভ্যাকসিনের হাত ধরে ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত

    India’s Quantum Leap: চন্দ্রযান, ভ্যাকসিনের হাত ধরে ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্যাকসিন ও চন্দ্রযান এর সাফল্য বিশ্ববাসীর কাছে ভারতের বিজ্ঞানের অগ্রগতির (India’s Quantum Leap) কথা তুলে ধরেছে। রবিবার দিল্লিতে “বিজ্ঞান ভারতী”-এর নতুন অফিস ভবন উদ্বোধন করে এমনই দাবি করেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। তিনি বলেন, ভারতের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ‘ভ্যাকসিন’ ও ‘চন্দ্রযান’-এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত এখন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করেন না, বরং তা শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত সম্পদ ও সরকারি-বেসরকারি খাতের মধ্যে দেশে বিজ্ঞান চর্চায় সহযোগিতা করেন।

    চন্দ্রযানের সাফল্য

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) বলেন, ‘ভারতের বৈজ্ঞানিক (India’s Quantum Leap) মেধা ও প্রতিভা সবসময়ই ছিল, তবে যে বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল তা ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ় সংকল্প এবং অগ্রাধিকার, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে তড়তড়িয়ে এগিয়ে চলেছে।’ তিনি ‘বিজ্ঞান ভারতী’-কে অনুরোধ করেন, ইনস্পেস ও বিআরএসি’র মতো সফল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর চাঁদ সংক্রান্ত ইসরোর পরবর্তী প্রকল্পেরও সময় জানান কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। চন্দ্রযান-৪ নতুন লক্ষ্য নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে। চাঁদের মাটি থেকে সেখানকার পাথরের নমুনা সংগ্রহ করাই হবে পরবর্তী অভিযানের লক্ষ্য। ২০২৭ সালে চন্দ্রযান-৪ উৎক্ষেপণ করা হবে, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    ভ্যাকসিন নিয়ে সবার আগে

    স্বাস্থ্য খাতে ভারতের (India’s Quantum Leap) উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। তিনি জানান, একসময় চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব না থাকলেও এখন দেশটি প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের শীর্ষে উঠে এসেছে। তিনি ভারতের সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু উদাহরণ দেন, যেমন মহামারীর সময় প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি, প্রথম দেশীয় এইচপিভি ভ্যাকসিনের উন্নয়ন এবং মহাকাশ প্রযুক্তিতে দ্রুত অগ্রগতি। তিনি দেশের জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ২০৭০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যের কথাও উল্লেখ করেন।

  • Atishi Marlena: ‘‘যমুনা মায়ের অভিশাপেই আপনারা হেরেছেন’’, অতিশীকে বললেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর

    Atishi Marlena: ‘‘যমুনা মায়ের অভিশাপেই আপনারা হেরেছেন’’, অতিশীকে বললেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মসনদ দখল করেছে বিজেপি। আপের পরাজয়ের কারণ হিসেবে ইতিমধ্যে উঠে আসছে নানা তত্ত্ব। গতকাল রবিবার রাজভবনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে যান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী (Atishi Marlena)। সেই সময়ই দিল্লির গভর্নর তাঁকে বলেন, ‘‘যমুনা মায়ের অভিশাপেই আপনারা হেরেছেন।’’ জানা গিয়েছে, গভর্নর আতিশী মারলেনাকে (Atishi Marlena) আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নদী পরিষ্কারের একটি প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার পর তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে যমুনার অভিশাপ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী অতিশী মারলেনা (Atishi Marlena) অবশ্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তাছাড়া, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সচিবালয় থেকেও এই কথোপকথনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

    ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কমিটি গঠন

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যমুনা নদীতে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির ঘটনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় পরিবেশ আদালত নদী পরিষ্কার পর্যবেক্ষণের জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অধীনে একটি উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠন করে। পরবর্তীকালে এই কমিটি কাজ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কেজরিওয়াল সমর্থন জানিয়েছিলেন এবং সাহায্যের প্রস্তাব দেন। পরে দিল্লি সরকার জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে। এই সময়ই আপ আইনজীবী রাখে কংগ্রেস নেতা তথা সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে। তিনি যুক্তি দেন যে একজন বিশেষজ্ঞকে কমিটির প্রধান করা উচিত। এরপর তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, এই নিষেধাজ্ঞা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যকর রয়েছে।

    ভোটাররা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন

    জানা গিয়েছে, পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় লেফটেন্যান্ট গভর্নর (Vk Saksena) আপ সুপ্রিমোকে বলেছিলেন যে তাঁকে যমুনার অভিশাপের মুখোমুখি হতে হবে। ২০১৫ সালের নির্বাচনের আগে কেজরিওয়াল পাঁচ বছরের মধ্যে যমুনা পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণে তাঁর ব্যাপক ব্যর্থতা নির্বাচনী প্রচারে একটি প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে। বিজেপি এই জন্য তাঁকে কটাক্ষও শুরু করে। ভোট-পরবর্তী বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে পূর্বাঞ্চলের একটি বড় অংশই বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে এখান থেকেই ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছিল বিজেপি।

  • Pariksha Pe Charcha: স্ট্রেস সামলাতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ টিপস মোদির

    Pariksha Pe Charcha: স্ট্রেস সামলাতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ টিপস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার আগে (Pariksha Pe Charcha) ছাত্রছাত্রীদের চ্যালেঞ্জ নিতে বললেও চাপ না-নেওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মোদির অষ্টম বার্ষিক ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ সম্প্রচারিত হয় সোমবার ৷ আজ,১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সিবিএসসি দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা ৷ আর আইসিএসই বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৮ ফেব্রুয়ারি ৷ তার আগে শারীরিক পুষ্টি, চাপ আয়ত্ত করা এবং নেতৃত্বের মতো বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    পরীক্ষা পে চর্চা

    জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা (Pariksha Pe Charcha) দিতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ভীতি কাটাতে, উৎসাহ দিতে প্রতিবছরই পরীক্ষা পে চর্চা করেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির পরীক্ষা পে চর্চার PPC 2025) এবার অষ্টম সংস্করণ। পরীক্ষা পে চর্চায় প্রতি বছরের মতোই প্রধানমন্ত্রী উত্তর দিলেন ছাত্রছাত্রীদের নানা প্রশ্নের। এই বছর ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে মোদির সেশন। “পরীক্ষা পে চর্চা”য় রেজিস্টার করিয়েছেন, ৩.৩০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী। থাকছেন ২০.৭১ লক্ষ শিক্ষক । সাড়ে ৫ লক্ষ অভিভাবকও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।

    ব্যাটারের মতো ফোকাস

    পরীক্ষার আগে ফোকাস বাড়াতে ক্রিকেট ম্যাচের উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখান ব্যাটারের টোটকা। পরীক্ষার সময়ে হই-হট্টগোলের মাঝে নিজের ফোকাস যাতে না নড়ে তার জন্য মোদি তুলে ধরেন ক্রিকেট মাঠে ব্যাটারের উদাহরণ। তিনি বলেন, সারা স্টেডিয়ামের চিৎকার সব কিছুর মাঝেও ব্যাটারের ফোকাস থাকে শুধু বলের উপর। সে আর কিছু শুনতে পায় না। পরীক্ষাতেও পরীক্ষার্থীদের এরকমই মনযোগ দিতে হবে। মোদির কথায়, চিন্তা-উদ্বেগ ভুলে শুধু পরীক্ষাতেই নয়, জীবনেও হতে হবে ওয়ারিয়র অর্থাৎ যোদ্ধা।

    প্রকৃতির মাঝে থাকা ও শরীর চর্চা

    পরীক্ষার চাপ সামলে সুস্থ থাকতে পড়ুয়াদের প্রকৃতির মাঝে থাকা অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতি আমাদের চাপ কমাতে সাহায্য করে। সূর্যোদয়ের পরেই গাছের নীচে দাঁড়িয়ে লম্বা নিঃশ্বাস নিলে অনেকটাই কমে মানসিক চাপ।’ এছাড়া পড়ার ফাঁকে নিয়মিত শরীর চর্চারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সময়ের সঠিক ব্যবহার

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সবসময় সময়ের সঠিক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন। সময়কে কাজে লাগানোর কৌশলটা ঠিক করার উপর জোর দিতে বললেন পড়ুয়াদের। পরীক্ষার হলে কীভাবে সময়টাকে ভাগ করে নেবে, কীভাবে নির্দিষ্ট সময়ে নিজেকে উজাড় করে দেবে, তার মহড়া নিতে হবে আগে থেকেই। রণকৌশল ঠিক করে নিতে হবে আগে থেকেই।

    পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপে উৎসাহ

    পরীক্ষার (Pariksha Pe Charcha) প্রয়োজনীয়তা তো আছেই। তবে প্রধানমন্ত্রী পাশাপাশি জোর দিলেন, সিলেবাসভিত্তিক পরীক্ষা আর জীবনের সত্যিকারের শিক্ষাটা আলাদা। সেটা গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।শিক্ষার্থীদের কেবল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে হবে না, জ্ঞান অর্জনের উপর মনোনিবেশ করা দরকার, মনে করেন মোদি। পরীক্ষার সিলেবাসের বাইরে পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপেও উৎসাহ জোগান প্রধানমন্ত্রী। অভিভাবকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির টিপস, পড়াশোনা তো আছেই, কিন্তু শিশুদের বিশেষ আগ্রহের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। নিজেদের পছন্দ খুঁজে বের করার স্বাধীনতা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, শিক্ষার্থীদের কেবল বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় এবং তাদের শখের দিকটিও নজর দিতে হবে। কারণ তা শিশুর সামগ্রিক বিকাশে সাহায্য করে।

    রিল নয় প্রযুক্তির সাহায্য

    পড়ুয়াদের রিল দেখার বিষয়েও সাবধান করেন নরেন্দ্র মোদি। বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল না দেখে পড়ুয়ারা যদি সে সময়ে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নতুন কিছু জানার চেষ্টা করেন তা হলে উপকার হবে। এ ছাড়া নিজেদের লক্ষ্য স্থির রাখতে রোজ একটা কাগজে পড়ুয়াদের উচিত নিজের পরিকল্পনা লিখে রাখা এবং দিন শেষে কতটুকু বাস্তবায়ন হল তা টিক চিহ্ন দিয়ে মার্কিং করা।

    বাবা-মা-শিক্ষককে টিপস

    পড়ুয়াদের সঙ্গে সঙ্গে এদিন বাবা-মা ও শিক্ষকদের উদ্দেশেও বিশেষ টিপস প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। পরীক্ষা বলে পড়ুয়াদের বাড়তি চাপ না দেওয়ার পরামর্শ। শুধু পড়ার বইয়ে মুখ গুঁজে থাকলে হবে না। নিজেদের ভালো লাগার কাজও পড়ুয়াদের করতে দেওয়া উচিত। তাতে শারীরিক-মানসিক বিকাশ কোনওটাই আটকাবে না। মোদি ছাত্রছাত্রীদের বলেন ‘জ্ঞান’ এবং পরীক্ষা দু’টি ভিন্ন জিনিস। পরীক্ষাকে জীবনের সর্বস্ব হিসেবে দেখা উচিত নয়। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কোনও কিছুর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়।

    পর্যাপ্ত ঘুম ও সুষম আহার

    ভালো করে পরীক্ষা দিতে সুষম খাদ্য খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুমও দরকার বলে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর। খাবার খাওয়ার সময়ে যেমন চিবিয়ে ভালো করে খেতে হবে তেমনি আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম না দিলে শরীর-মন তরতাজা হবে না। ফলে পরীক্ষার সময়ে পড়ুয়াদের মনসংযোগে সমস্যা হতে পারে।

  • Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (SSC Recruitment Case) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় আসল ওএমআর শিট না থাকার সমস্যার কথা তুলে ধরলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তিনি জানান, আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, সে ক্ষেত্রে আদালত কী করতে পারে?

    সিবিআইয়ের বক্তব্য (Supreme Court)

    পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়কেই সমর্থন করছে সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী বলেন, “নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। হাইকোর্টের রায় যথার্থ। ওই রায়ই বহাল রাখা হোক।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে? তিনি বলেন, “এসএসসি না কি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে অনেক সন্দেহ রয়েছে! পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?” চারটি বিভাগে কত নিয়োগ হয়েছিল, সে বিষয়টিও সিবিআই এবং এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Supreme Court)।

    গত ২৭ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি ছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেদিন প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কি না। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া কতটা কঠিন, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সেদিন মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছিলেন, অনেকে চাকরির আবেদন না করেও, নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরির আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। ওই শুনানিতে তিনি পুরো প্যানেলই বাতিল করার জন্য সওয়াল (SSC Recruitment Case) করেন। তিনি বলেছিলেন, “পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তাই পুরো প্যানেলই বাতিল করা উচিত (Supreme Court)।”

  • Delhi Election: “ইন্ডি জোটের আদৌ প্রয়োজন আছে কি?”, মোক্ষম প্রশ্ন উদ্ধব ঠাকরের

    Delhi Election: “ইন্ডি জোটের আদৌ প্রয়োজন আছে কি?”, মোক্ষম প্রশ্ন উদ্ধব ঠাকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ইন্ডি’ জোটের (INDIA Bloc) সদস্যরা যদি নিজেদের মধ্যে সংঘাত চালিয়ে যায় এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে এই জোটের আদৌ কোনও প্রয়োজন আছে কি?” মোক্ষম প্রশ্নটি তুলে দিলেন শিবসেনা (ইউবিটি) সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে স্বয়ং।

    দিল্লিতে সংঘাত (Delhi Election)

    দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Election) আলাদা করে লড়াই করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কংগ্রেসের নেতৃত্বেই জোটবদ্ধ হয়েছিল বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’। জন্মলগ্ন থেকেই ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে ভিন্নমতের স্রোত প্রবল। তার জেরে লোকসভা তো বটেই, তার পরবর্তীকালের বিভিন্ন নির্বাচনেও দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন ইন্ডি জোটের বেহাল দশা। নতুন বছরের প্রথম ভোটটি হয় ৫ ফেব্রুয়ারি, দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন।

    জয়জয়কার বিজেপির

    এই নির্বাচনে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হন আপ এবং কংগ্রেস নেতারা। এতে আদতে সুবিধা হয়ে যায় বিজেপির। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৪৮টিতে জেতে পদ্ম-পার্টি। বাকি ২২টি কেন্দ্রের রাশ যায় কেজরিওয়ালের দলের হাতে। কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি। অথচ ভোট বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ‘ইন্ডি’ জোটের (এক্ষেত্রে আপ এবং কংগ্রেস) সদস্যরা যদি একজোট হয় লড়াই করত, তাহলে দিল্লির রাশ এবারও থাকত বিজেপি বিরোধীদের হাতেই (Delhi Election)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার সুফল কুড়িয়েছে গেরুয়া শিবির।

    এর পরেই ‘ইন্ডি’ জোটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উদ্ধবের দল। শিবসেনা (ইউবিটি)-র মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য ও বিভাজন সরাসরি বিজেপির জয়কে সহজ করে দিয়েছে। দিল্লিতে আপ ও কংগ্রেস একে অপরকে ধ্বংস করতে লড়াই করেছে। ফলে বিজেপির জয় আরও সহজ হয়েছে। যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তাহলে জোট গঠনের কোনও দরকার নেই। মন খুলে লড়াই করুন… নিজেদের মধ্যেই লড়াই চালিয়ে যান।” আরও লেখা হয়েছে, “যদি এই নির্বাচনের ফল থেকে কেউ কোনও শিক্ষা না নেয়, তাহলে তাদেরই স্বীকার করে নেওয়া উচিত যে তারা স্বৈরাচারী শাসনকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য (INDIA Bloc) দায়ী। এ ধরনের মহান কাজের জন্য গঙ্গায় গিয়ে স্নান করারও আর কোনও দরকার নেই (Delhi Election)।”

  • PM Modi: আজ ফ্রান্স উড়ে যাবেন মোদি, বুধে আমেরিকা, বৈঠক হবে ট্রাম্পের সঙ্গে

    PM Modi: আজ ফ্রান্স উড়ে যাবেন মোদি, বুধে আমেরিকা, বৈঠক হবে ট্রাম্পের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মসনদে ট্রাম্প ২.০ প্রশাসন আসার পর এই প্রথম আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, সোমবার তিনি উড়ে যাবেন ফ্রান্সের উদ্দেশে। বুধবার সেখান থেকে রওনা দেবেন আমেরিকার (US) উদ্দেশে। ১০ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের প্যারিসে, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স অ্যাকশন সমিট’- এ যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্স সফরের পর সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন আমেরিকায়। ফ্রান্সে ‘ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার রিয়াক্টার’ যেখানে রয়েছে, সেই জায়গাও পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-ট্রাম্পের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ (PM Modi)

    তবে সমস্ত মহলের নজর রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির মার্কিন সফরের দিকে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদি-ট্রাম্পের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছে, দুই দেশের মধ্যে ‘মিনি ট্রেড ডিল’ সংক্রান্ত বাণিজ্যিক কথাবার্তা হতে পারে। জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি আমেরিকায় মোদিকে (PM Modi) আমন্ত্রণ করে ফোন আসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন। পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।’’  মোদি-ট্রাম্পের কথায় স্বচ্ছ্ব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    মোদির (PM Modi) সফরের বিষয়ে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ১২ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অফিশিয়াল সফরে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মেয়াদ শুরুর পরে এটি হবে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের (দ্বিতীয়বার)অভিষেক হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া প্রথম কয়েকজন বিশ্বনেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হবেন অন্যতম।’’

  • Bangladesh Border: জঙ্গি যোগ! বাংলাদেশ সীমান্তে ধরা পড়ল উর্দু ও আরবিতে সন্দেহজনক ‘কোড’ বার্তা

    Bangladesh Border: জঙ্গি যোগ! বাংলাদেশ সীমান্তে ধরা পড়ল উর্দু ও আরবিতে সন্দেহজনক ‘কোড’ বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh Border) উর্দু এবং আরবি ভাষায় সন্দেহজনক সিগন্যাল ধরা পড়ল। এতেই বেড়েছে উদ্বেগ। আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানেই জানানো হয়েছে, মাসদুয়েক ধরে রাতের দিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় সেরকম সিগন্যালের হদিশ পেয়েছেন অপেশাদার হ্যাম রেডিয়োর অপারেটররা। জানা গিয়েছে, বাংলা (বাংলাদেশি টানে), উর্দু এবং আরবিতে সাংকেতিক ভাষায় সেইসব সিগন্যাল ধরা পড়েছে। এতেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

    জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ 

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh Border) এখন যা অবস্থা এবং যেভাবে সে দেশে ভারত-বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে সাংকেতিক ভাষায় ওইসব সন্দেহজনক সিগন্যাল ধরা পড়ায় জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের। সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহলকে করা হয়েছে সতর্ক। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে সেই সাংকেতিক ভাষায় সিগন্যালের বিষয়টি সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও বনগাঁ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকায় সাংকেতিক ভাষায় বাংলা, উর্দু ও আরবি এরকম অনুমোদনহীন সিগন্যালের হদিশ মিলেছে। এরপরেই তা তড়িঘড়ি জানানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। এরপরেই ট্র্যাকিংয়ের জন্য বিষয়টি পাঠানো হয় কলকাতায় ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং স্টেশনের (রেডিও) কাছে। ভবিষ্যতে আবারও এরকম সিগন্যালের হদিশ মিললে তা সঙ্গে সঙ্গে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    রাত ১ টা থেকে রাত ৩ টের মধ্যে সিগন্যাল

    এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ (Bangladesh Border) রেডিও ক্লাবের এক শীর্ষ পদাধিকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রাত একটা থেকে রাত তিনটের মধ্যে সেই সন্দেহজনক সিগন্যাল ধরা পড়েছে। মূলত বাংলা (বাংলাদেশি ধাঁচে কথা), উর্দু ও আরবি ভাষায় সেই সাংকেতিক বার্তা ছিল। কখনও কখনও এমন কোনও (Ham Radio) ভাষায় সিগন্যাল ধরা পড়েছে, যেটা আমরা বুঝতে পারিনি। যখনই আমরা ওই লোকজনকে নিজেদের পরিচয় দিতে বলেছি, তখনই ওরা চুপ করে গিয়েছে।’’

    প্রথম এমন সিগন্যাল ধরা পড়েছিল সোদপুরে

    পিটিআইয়ের তরফে প্রকাশ করা ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ (Bangladesh Border) রেডিও ক্লাবের ওই পদাধিকারী জানিয়েছেন যে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে প্রথমবার এমন সিগন্যাল ধরা পড়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘প্রাথমিকভাবে আমরা তেমন গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু তারপর একইরকম সিগন্যাল ধরা পড়েছে বসিরহাট, বনগাঁ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকেও। জানুয়ারির মাঝামাঝি যখন গঙ্গাসাগর মেলা হচ্ছিল, তখনও একাধিক হ্যাম রেডিয়ো ব্যবহারকারী এরকম সন্দেহজনক সিগন্যালের হদিশ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।’’

    কেন উদ্বেগ ছড়াচ্ছে এমন সিগন্যাল?

    কিন্তু কেন ওইসব সিগন্যাল নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করা হচ্ছে, সেটাও সংবাদমাধ্যমের সামনে ব্যাখ্যা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ (Bangladesh Border) রেডিও ক্লাবের ওই পদাধিকারী। সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি জানিয়েছেন যে হ্যাম রেডিও ব্যবহাকারীদের ক্ষেত্রে যে বিশ্বব্যাপী নিয়ম আছে, সেটা কোনওভাবেই মানা হচ্ছে না এক্ষেত্রে। এরকম ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষকে নিজেদের ‘রেডিও আইডেন্টিফিকেশন কোড’ বা ‘রেডিও কল সাইন’ দিয়ে পরিচয় দিতে হয়। কিন্তু এইসব ঘটনার ক্ষেত্রে পরিচয় জানতে চাওয়া হলেই সব কিছু স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে।

    এরকম সিগন্যাল উদ্বেগের, জানাচ্ছেন বিএসএফের

    এমন পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ রেডিও ক্লাবের ওই পদাধিকারীর বাড়িতে এসেছেন ভারতের সুরক্ষা এজেন্সির এক আধিকারিক। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তবে ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী বিএসএফের তরফে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিএসএফের এক শীর্ষ আধিকারিক এবিষয়ে জানিয়েছেন, এরকম সিগন্যালের বিষয়টি উদ্বেগের।

    জঙ্গি সংগঠনগুলি মাঝেমধ্যেই হ্যাম রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে 

    ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, পাচারকারী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলি মাঝেমধ্যেই হ্যাম রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে থাকে। কারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক বা মোবাইলের তুলনায় হ্যাম রেডিও-র যোগাযোগের ওপরে নজরদারি চালানো কঠিন। উল্লেখযোগ্যভাবে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ২০০২-০৩ সালে এরকম সন্দেহজনক সিগন্যাল ধরা পড়েছিল। তখন অভিযান চালিয়ে ছয় উগ্রপন্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রেডিও ক্লাবের ওই পদাধিকারী।

    জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়েছে বাংলাদেশে

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্টের পর থেকেই ব্যাপক উত্তপ্ত বাংলাদেশ। প্রতিটি জেলায় দাপট দেখাচ্ছে মৌলবাদীরা। লাগাতার ওপার বাংলা থেকে দেওয়া হচ্ছে হিংসায় উসকানি। জঙ্গি গতিবিধির ব্যাপক হদিশও মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে এমন সন্দেহজনক সঙ্কেত মেলায় চিন্তা বেড়েছে সরকারের। এই সঙ্কেত ট্র্যাকিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে কলকাতায় ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং স্টেশনে।

  • VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের শেষ ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। এঁরা অন্য ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।

    লাভ জিহাদ (VHP)

    পরিষদের দাবি, লাভ জিহাদের (Love Jihad) হাত থেকে তারা রক্ষা করেছে ৩ হাজার তরুণীকে। শনিবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ নগরের সেক্টর ১৮তে তিনদিনের শিবির চলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। লাভ জিহাদের নামে হিন্দু তরুণীদের ভিন ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা এ দেশে নতুন নয়। এভাবেই বহু মুসলমান ধর্মান্তরিত করেছেন হিন্দু মহিলাদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সক্রিয় হওয়ায় সেই হার কিছুটা কমেছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর।

    ঘর ওয়াপসি

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, গত বছরের শেষ ছ’মাসে তারা ১৯ হাজার হিন্দুকে ঘরে ফিরিয়েছেন। এঁরা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরিষদের দাবি, এই ১৯ হাজারের ঘর ওয়াপসি সম্পন্ন হয়েছে সম্মতি, আধ্যাত্মিক এবং আইনি পরামর্শের মাধ্যমে। যাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরে আসতে ইচ্ছুক, তাঁদের কাছ থেকে হলফনামাও নেওয়া হয়েছে (VHP)। কেবল হিন্দু নন, গো-মাতাও রক্ষা করেছে পরিষদ। এই সময়সীমায় তারা অবৈধ কষাইখানা থেকে রক্ষা করেছে ৯৭ হাজার ৯৩৪টি গরুকে।

    গত মাসেই হিন্দুদের এই সংগঠন দাবি করেছিল, হিন্দু জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। তারা এও বলেছিল, প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তান থাকা উচিত। আয়োজিত সন্ত সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজরংলাল বাংড়া বলেন, “হিন্দুদের কমে যাওয়া জন্মহার দেশের হিন্দু জনসংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করেছে। হিন্দু সমাজের সম্মানিত সাধুরা আহ্বান জানিয়েছেন যে প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তানের জন্মগ্রহণ করা উচিত।” তাঁর দাবি, ভারতে হিন্দুরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, যেমনভাবে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিপীড়ন (Love Jihad) চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার স্বৈরাচারী ও সীমাহীন অধিকার নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়াকফ বোর্ডের ওপর একটি আইন প্রণয়নের কাজ করছে (VHP)।”

LinkedIn
Share