Tag: Madhyom

Madhyom

  • PM Modi: রাজ্যে এসে ৭২০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের সূচনা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: রাজ্যে এসে ৭২০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের সূচনা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাজ্যে এসে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওই মঞ্চে ছিলেন।

    কোন কোন প্রকল্পের উদ্বোধন 

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) এদিনের সরকারি কর্মসূচির তালিকায় ছিল সিলিন্ডারে এলপিজি গ্যাস ভরার প্রকল্প (এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট), কলকাতা বন্দরের নতুন বেশ কয়েকটি প্রকল্প, কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের আধুনিকীকরণের প্রকল্প। এদিন রাজ্যের তিনটি রেল প্রকল্পেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করার পরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘বাংলায় রেলের উন্নয়ন এমন হওয়া দরকার, যেমনটা দেশের অন্য রাজ্যে হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিকশিত ভারত গড়ার যে পরিকল্পনা রয়েছে তাতে গরিব, মহিলা এবং যুবদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকবে। দেশের ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিকাশের জন্য সাত হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। এর ফলে রেল, পেট্রল এবং জলশক্তির উন্নতি হবে।’’

    বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি হবে বাংলায়

    পশ্চিম মেদিনীপুরে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট চালু হলে রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। হাওড়া, হুগলি, কামারহাটি, বরানগর প্রভৃতি এলাকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে কেন্দ্রের উদ্যোগে চালু হতে চলা প্রকল্পগুলিতে। এমনটাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের উন্নয়ন সম্পর্কে মোদি বলেন, ‘‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ অতীতের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। বাংলায় ১০০ স্টেশনকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে।’’ পশ্চিমবঙ্গ পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে বলেও নিজের ভাষণে উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সহযোগিতায় বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্য পূর্ণ হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Make in India: ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র বড় সাফল্য, দেশেই তৈরি হবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ৩টি প্ল্যান্টের অনুমোদন কেন্দ্রের

    Make in India: ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র বড় সাফল্য, দেশেই তৈরি হবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ৩টি প্ল্যান্টের অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্পিউটার অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর চিপ তৈরিতে এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এই সমস্ত দেশগুলির একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। তবে মোদি সরকারের মেক-ইন-ইন্ডিয়া (Make in India) কর্মসূচিতে এবার সফ্টওয়ারের পাশাপাশি হার্ডওয়ারেও দিশা দেখাবে ভারত। এবার দেশেই তৈরি হবে চিপ। গতকাল বৃহস্পতিবারই ৩টি সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্ল্যান্টের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মোদি সরকার।

    ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি চিপ ফ্যাবরিকেশন প্লান্ট

    জানা গিয়েছে, এই ৩টি প্ল্যান্ট “ডেভেলপমেন্ট অফ সেমিকন্ডাক্টরস অ্যান্ড ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম ইন ইন্ডিয়া”-র অধীনে অনুমোদিত হয়েছে। তিনটি প্ল্যান্টের মধ্যে দু’টি হবে পশ্চিম ভারতের গুজরাটে এবং অপরটি উত্তর পূর্ব ভারতের ১টি অসমে। ৩টি চিপ প্ল্যান্টের জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই চিপ প্রকল্পে প্রত্যক্ষভাবে ২৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান ১ লাখ মানুষের হবে বলেই জানা গিয়েছে (Make in India)। এনিয়ে ট্যুইট সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। তিনি এটিকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতা বলে উল্লেখ করেছেন।

    গুজরাটে ২টি প্ল্যান্ট কোথায় কোথায় হবে?

    জানা গিয়েছে, টাটা ইলেকট্রনিক্স এবং তাইওয়ানের পাওয়ার চিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ৯১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গুজরাটের ধলেরাতে (Make in India) একটি চিপ ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করবে। টাটা গ্রুপ ছাড়াও, সিজি পাওয়ার, জাপানের রেনেসাস ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন এবং থাইল্যান্ডের স্টার মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সের যৌথ উদ্যোগে গুজরাটের সানন্দ অপর প্ল্যান্টটি তৈরি হবে। সানন্দের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টটি ৭,৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    অসমের মরিগাঁওয়ে হবে প্ল্যান্ট

    এছাড়াও টাটা গ্রুপের অধীনে থাকা টাটা সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট প্রাইভেট লিমিটেড অসমের (Make in India) মরিগাঁওয়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি প্ল্যান্ট তৈরি করবে। এটির প্রতিদিন ৪.৮ কোটি চিপ উৎপাদন করবে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘আজ প্রধানমন্ত্রী দেশে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব স্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথম বাণিজ্যিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাবরিকেশন প্ল্যান্টটি টাটা এবং পাওয়ারচিপ-তাইওয়ানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হবে। যার কারখানা হবে গুজরাটের ধলেরাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার দেশে তিনটি সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে তাদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। টাটা ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের সঙ্গে সহযোগিতায় গুজরাটে একটি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। যেটি হবে ধলেরায়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার সর্বকালের সেরা ৮.৪ শতাংশ,  উচ্ছ্বসিত পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার সর্বকালের সেরা ৮.৪ শতাংশ, উচ্ছ্বসিত পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তড়তড়িয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি। আর্থিক বৃদ্ধির হারে ক্রমশ উন্নতি করছে ভারত। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের (এনএসও) তরফে বৃহস্পতিবার যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই এক্স হ্যান্ডেলে উচ্ছ্বসিত পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পোস্টের মধ্য দিয়েই জিডিপির শ্রীবৃদ্ধির জন্য দেশবাসীকে শুভেচ্ছাবার্তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার দেখে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাজ মাধ্যমে তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘‘২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি ৮.৪ শতাংশ বৃদ্ধি আদপে ভারতের অর্থনীতির শক্তি ও ক্ষমতারই প্রতিফলন। আরও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য আমাদের সর্বক্ষণের চেষ্টা চলছে। আমাদের চেষ্টা চলছে বিকশিত ভারতের হাত ধরে ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে আরও উন্নত জীবন উপহার দেওযার। সেই লক্ষ্যে আমরা আরও দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতির চেষ্টা করব।’’ কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ভারত শীঘ্রই বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। ২০২৭ সালের মধ্যে দেশকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করার লক্ষ্যমাত্রাও নিয়ে ফেলেছে ভারত সরকার। দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার তারই প্রমাণ বলে মনে করছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

    ভারতীয় অর্থনীতির বিজয়রথ অব্যাহত

    অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অনিশ্চিত হয়ে পড়া বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত যে ব্যতিক্রমী, দু’বছর আগেই সে কথা জানিয়েছিল, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ, ব্লুমবার্গ ইকনমিক্স-সহ বিভিন্ন আর্থিক ও পরামর্শদাতা সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ ছুঁতে পারবে কি না, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের মে মাসে প্রকাশিত সরকারি রিপোর্ট জানায়, জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ। এ বার তা আরও বাড়তে চলেছে। ভরতীয় অর্থনীতির বিজয়রথ যে শীঘ্রই নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে চলেছে সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে আর্থিক উপদেষ্টা মরগান স্ট্যানলির একটি রিপোর্টও। মরগান স্ট্যানলি তাদের ‘দ্য ইন্ডিয়া অপর্চুনিটি’ রিপোর্টে বলেছে, ২০২২ সালে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ছিল ২৪০০ ডলার। যা আগামী ১০ বছরে ৩৬০০ ডলারে পরিণত হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Fire: ঢাকায় বহুতলে আগুন, মৃত অন্তত ৪৩! অগ্নিবিধি না মানার জন্যই কি দুর্ঘটনা?

    Bangladesh Fire: ঢাকায় বহুতলে আগুন, মৃত অন্তত ৪৩! অগ্নিবিধি না মানার জন্যই কি দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh Fire) একটি বহুতলে আগুন লেগে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৪০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। 

    কীভাবে ঘটল ভয়াবহ ঘটনা

    ঢাকার (Bangladesh Fire) দমকল বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেইলি রোডের একটি বহুতলে আগুন লাগে। বাড়িট সাত তলা। ওই ভবনের নিচের তলায় একটি কফির দোকান আছে। সেখান থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন সিআইডি আধিকারিক মোহাম্মদ আলী মিয়া। ওই বহুতলটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হত। সেখানে খাবারের দোকান ছাড়াও জামাকাপড়, মোবাইল এবং অন্যান্য দোকান ছিল। বহুতলটির দ্বিতলে একটি বিরিয়ানির দোকান ছিল। সেখানেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ক্রমে উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। নীচ থেকে উপরের দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বাড়িটির মধ্যেই অনেকে আটকে পড়েন। আগুন এবং ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচতে অনেকে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। বহুতলটির ভিতর থেকে মোট ৭৫ জনকে জীবিত অবস্থায় বাইরে বার করে আনা গিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    আরও পড়ুন: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    অগ্নিবিধি লঙ্ঘন করার ফলে বাংলাদেশের বহুতলে বা কারখানয় আগুন লাগার ঘটনা নতুন কিছু নয়। বারবার এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকে ওপার বাংলা। এদিনের এই ভয়াবহ ঘটনার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে এএফপিকে বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটি আরও বাড়তেও পারে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।” এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের যাতে ঠিকমত চিকিৎসা হয় তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছন তিনি। এই ঘটনার কারণ জানতে ৫সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

    Lok Sabha Election 2024: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়ে, শুক্রবারভোর ৩টে পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বৈঠকে বসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং। বাংলায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বৈঠকে বসলেও এখানে বাংলার জন্য কোনও প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি বলেই খবর। প্রাথমিকভাবে ২০টি রাজ্যের প্রার্থীতালিকা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক সেরেছেন বলে খবর। মিলেছে তাঁর সবুজ সংকেতও। ফলে পদ্ম শিবিরের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

    বৈঠকে পর্যালোচনা

    প্রাথমিক ভাবে এদিন গোটা কুড়ি রাজ্যের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় সবুজ সঙ্কেত দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। সূত্রের মতে, আগামী ১০ মার্চের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশো আসনে প্রার্থী ঘোষণার কাজ সেরে ফেলতে চান বিজেপি নেতৃত্ব। রাত ১১টা নাগাদ বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, এদিন যে আসনগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বারাণসী। যেখান থেকে লড়বেন নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া অমিত শাহ (গান্ধীনগর), রাজনাথ সিং (লখনউ)-দের মতো হেভিওয়েটদের আসন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডি’র উপরে চাপ তৈরি করবে বিজেপি। এছাড়া, প্রার্থী ঘোষণা হলে প্রচারের ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে থাকবেন গেরুয়া প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, প্রথম দফায় দেড়শোর মতো আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি।

    বৈঠকে কারা কারা

    বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত-সহ আরও অনেকে। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশে এনডিএ শরিকদের ৬টি আসন ছাড়তে চলেছে বিজেপি। ২টি আসন বরাদ্দ করা হবে রাষ্ট্রীয় লোকদল বা আরএলডি-কে। মির্জাপুর এবং রবার্টসগঞ্জ আসনদুটি ছাড়া হবে আপনা দল (এস)-কে। আর ঘোসি এবং সন্ত কবির নগর আসনদুটি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে যথাক্রমে সুভাষা এবং নিষাদ পার্টি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Koustav Bagchi Joins BJP: বিজেপিতে যোগ দিলেন কৌস্তভ, জানালেন কেন ছাড়লেন কংগ্রেস? 

    Koustav Bagchi Joins BJP: বিজেপিতে যোগ দিলেন কৌস্তভ, জানালেন কেন ছাড়লেন কংগ্রেস? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দিলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী (Koustav Bagchi)। বৃহস্পতিবার বিজেপি কার্যালয়ে গিয়ে পদ্মপতাকা হাতে নেন তিনি। একদিন আগেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন কৌস্তভ। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিলেন বিজেপিতে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে হাতে তুলে নিলেন পদ্ম-পতাকা। 

    কেন বিজেপিতে

    বিজেপিতে যোগ দিয়েই কৌস্তভ বাগচী বলেন, “মানুষের চাহিদা পূরণ না করলে তো রাজনীতি করার কোনও অর্থ নেই। যেখানে প্রদেশ কংগ্রেসের গুরুত্ব নেই। সেখানে সে দলের সঙ্গে থাকার কোনও অর্থ নেই। সন্দেশখালি নিয়ে কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব চুপ। আমার মনে হচ্ছে দিনের পর দিন কংগ্রেস যেভাবে তৃণমূল নিয়ে নরম মনোভাব দেখাচ্ছে, সেখানে আত্ম মর্যাদা নিয়ে সেই দলে থাকা যায় না।” কৌস্তভের বক্তব্য, “সন্দেশখালিকাণ্ডে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অথচ কংগ্রেসের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দলের মধ্যেও এ নিয়ে অসন্তোষের জায়গা আছে। কেউ বলছে কেউ বলছে না। আমার মনে হয় এখানে থাকাটা নিজের আত্মমর্যাদার সঙ্গে সমঝোতা করা। এই তৃণমূলের প্রতি নরম অবস্থান নিয়ে রাজ্যে তৃণমূলকে উৎখাত করা যাবে না।” সেই লড়াই লড়তেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন বলে জানান।

    কংগ্রেস ছাড়লেন কেন

    কৌস্তভ বলেন, “কংগ্রেস কেউই ছাড়ে না, ছাড়তে বাধ্য করা হয়। কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে রাজ্য তৃণমূলই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও গুরুত্ব নেই। কংগ্রেস তার রাজনৈতিক সত্তা হারিয়েছে। সেই কারণেই পদত্যাগ বলে দাবি করেছেন কৌস্তভ। অনেক দিন ধরেই দলে কিছু জিনিস ঠিক চলছিল না। বার বার সেগুলি তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু দল যে কোনও পরামর্শ চায় না, তা স্পষ্ট হয়ে যায়।” কৌস্তভের প্রশংসা করে এদিন শুভেন্দু বলেন, “গত দু’আড়াই বছরে জ্বলন্ত ইস্যুগুলির ক্ষেত্রে, দলের বাইরে গিয়ে, বাংলার মানুষের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। সশরীরে বিভিন্ন এলাকাতেও গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে, অনেক আইনি লড়াইও করতে হয় তাঁকে। মোদিজি-কে ৪০০-র বেশি আসন দিয়ে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করব আমরা। গৃহমন্ত্রী যে ৩৫ আসনের লক্ষ্য দিয়েছেন বাংলা থেকে, বাংলার একটা বড় অবদান থাকবে। সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে, দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে কাজ করব আমরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ইডি অফিসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী! কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

    Sheikh Shahjahan: ইডি অফিসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী! কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহাজাহান। গত ৫ জানুয়ারি তাঁকে ধরতে গিয়েই আক্রান্ত হয় ইডি। সে থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। টানা ৫৫ দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহজাহান। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ইডির দাবি, তথ্য লোপাটের চেষ্টা করা হবে। এমনকী শাহজাহানকে আড়াল করবে রাজ্য পুলিশ। তাই দ্রুত শাহজাহানকে ঘিরতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলছে তারই প্রস্তুতি। এরইমধ্যে ইডি ডেকে পাঠিয়েছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্ত,  অরূপ সোমকে।

    অরূপ সোমকে তলব

    শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী অরূপ সোমকে ডেকে পাঠাল এনফোরেসমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইডি’র সমন পেলেন তিনি। অনুমান, শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতেই এই তলব। চলতি সপ্তাহেই অরূপের দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের চিংড়ি মাছের ব্যবসা সংক্রান্ত মামলায় তলব করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। এই ব্যবসায়ী শাহজাহানের থেকে চিংড়ি মাছ নিয়ে অন্যান্য কোম্পানিদের বিক্রি করত বলে জানা গিয়েছে। এই কোম্পানির সঙ্গেই শেখ শাহজাহানের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন যে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু শেখ শাহজাহান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, ফলে তাঁর অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি কালো টাকা আসত ৷ সেই কালো টাকা অরূপ সোমের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হত মাছের ব্যবসার নামে। ফলে কতবার কত কোটি টাকা তাঁদের মধ্যে লেনদেন হয়েছে, সেই সমস্ত বিশদে জানার জন্যই ফের অরূপ সোমকে ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    আরও পড়ুন: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    অরুণ সেনগুপ্তকে জেরা

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বিরাটির ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তও হাজির হলেন ইডির দফতরে। সোমবারই তাঁর মেয়ে এসেছিলেন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি নিয়ে সোমবার তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যান অরুণ-কন্যা। এরপরই এদিন যান অরুণ নিজে। আমদানি-রফতানির সংস্থা রয়েছে তাঁরও। চিংড়ি মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত কাজ করে তাঁর সংস্থা। শেখ শাহজাহান সম্পর্কে দ্বিতীয় যে ইসিআইআর হয়েছে, মূলত তা অরুণ সেনগুপ্তের সংস্থার একটি পুরনো এফআইআরের ভিত্তিতে। অরুণ সেনগুপ্ত সি ফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য। ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের সঙ্গে অরুণ সেনগুপ্তের সংস্থার লেনদেন সংক্রান্ত যোগ ছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: “বিজেপির আন্দোলনের চাপে শাহজাহানকে ধরতে বাধ্য হল সরকার”, বললেন সুকান্ত

    Sheikh Shahjahan: “বিজেপির আন্দোলনের চাপে শাহজাহানকে ধরতে বাধ্য হল সরকার”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপির লাগাতার আন্দোলনের কারণে এই সরকার শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হল।” বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হওয়ার পর এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মতে, বিজেপি ও সন্দেশখালির মহিলাদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, “বিজেপির ক্রমাগত আন্দোলনের জেরে এই সরকার শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হল। সরকার অস্বীকার করছিল। এমনকি তারা স্বীকারও করছিল না যে এরকম কিছু ঘটেছে। আমি আগেই বলেছি, যে আমরা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে সরকারকে বাধ্য করব। আজ বিজেপি ও সন্দেশখালির মহিলাদের আন্দোলনের কারণে সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছেন (Sheikh Shahjahan)।”

    দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া

    বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “একটা ছিঁচকে মস্তানকে ধরতে এতদিন সময় লাগল। তাহলে যারা বড় বড় রাঘব বোয়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাঁদের তো কোনওদিনই ধরতে পারবে না। তৃণমূলের নেতারাই তো বলে দিচ্ছে কাকে কবে ধরা হবে। সন্দেশখালির মানুষ নিরন্তর লড়াই করছেন।” তিনি বলেন, “সর্বভারতীয় চাপের জন্যই পুলিশ বাধ্য হয়েছে এই গ্রেফতার করতে। দেশজুড়ে সংবাদ মাধ্যমগুলিতে ডিবেট পর্যন্ত হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্দেশখালি, শেখ শাহজাহান হচ্ছে টপিক। সবাই জানতাম, ওখানেই আছে। পুলিশই ধরছিল না। কোর্টের কানমলা খেয়ে এখন এই কাজ করছে।”

    আরও পড়ুুন: “শাহজাহান শেখের জন্য আমার কোনও সমবেদনা নেই”, বললেন প্রধান বিচারপতি

    বুধবার রাতেই এক্স হ্যান্ডেলে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছিলেন, “সন্দেশখালির শয়তান শেখ শাহজাহানকে এতদিন মমতা সরকারের পুলিশ নিরাপদে রেখেছিল। মমতা সরকারের পুলিশের সঙ্গে রফা হওয়ার পরেই তাঁকে বেড়মজুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পুলিশ হেফাজতেও তাঁকে একাধিক সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রাখা হবে। ঠিক যেমন ফাইভ স্টার হোটেলে দেওয়া হয়। তাঁকে মোবাইল ব্যবহার করার সুযোগও দেওয়া হবে। যেখানে তিনি ভার্চুয়ালি তাঁর দলের সদস্যদের নেতৃত্ব দিতে পারবেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, এমনকী উডবার্ন হাসপাতালে শাহজাহানের জন্য একটা বেড তৈরি রাখা হয়েছে। যদি শাহজাহান সেখানে কিছুদিন সময় কাটাতে চান, তার জন্য (Sheikh Shahjahan)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BCCI: শাস্তি ঈশান, শ্রেয়সকে! বিসিসিআই-এর বার্ষিক চুক্তিতে বাংলার মুকেশ ও কেকেআরের রিঙ্কু

    BCCI: শাস্তি ঈশান, শ্রেয়সকে! বিসিসিআই-এর বার্ষিক চুক্তিতে বাংলার মুকেশ ও কেকেআরের রিঙ্কু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হল ঈশান কিশন এবং শ্রেয়স আয়ারকে। ২০২৩-২৪ মরশুমের বিসিসিআইয়ের (BCCI Annual Retainership) বার্ষিক চুক্তির তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিতে রয়েছেন ৩০ জন ক্রিকেটার। বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা ও জাতীয় দলের জার্সিতেও নজর কাড়া পারফর্ম করা মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar) এবং আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা রিঙ্কু সিং বোর্ডের চুক্তির আওতায় ঢুকে পড়েছেন।

    কারা কারা চুক্তির আওতায়

    বেতনের ভিত্তিতে চারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে ক্রিকেটারদের। সর্বাধিক ১৫ জন প্লেয়ার রয়েছেন গ্রেড সি ক্যাটাগরিতে। বোর্ডের যে চুক্তি প্রকাশিত হয়েছে তাতে এ প্লাস ক্যাটাগরিতে রয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরা ও রবীন্দ্র জাদেজা। এ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৬ জন ক্রিকেটার। তাঁরা হলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, কে এল রাহুল, শুভমন গিল ও হার্দিক পান্ডিয়া। বি ক্যাটাগরিতে রয়েছেন- সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও যশস্বী জয়সওয়াল। তালিকায় সবার শেষে সি ক্যাটাগরিতে রয়েছেন- রিঙ্কু সিং, ঋতুরাজ গায়কোয়াড, তিলক ভার্মা, শিবম দুবে, রবি বিষ্ণোই, জিতেশ শর্মা, ওয়াশিংটন সুন্দর, মুকেশ কুমার, সঞ্জু স্যামসন, অর্শদীপ সিং, কে এস ভরত, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আবেশ খান, রজত পাতিদার।

    বোর্ডের বিবৃতি

    বোর্ডের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে দেশের জার্সিতে ১ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত মেয়াদকালের মধ্যে যে যে ক্রিকেটার তিনটি টেস্ট অথবা আটটি ওয়ান ডে অথবা ১০টি টি-টোয়েন্টিতে খেললেই বোর্ডের বার্ষিক চুক্তির আওতায় ধরা হবে সেই ক্রিকেটারকে। সেক্ষেত্রে গ্রেড সি-তে ঢুকে পড়বেন তাঁরা। ধ্রুব জুড়েল, সরফরাজ খানরা দুটো টেস্ট খেলেছেন। সেক্ষেত্রে ধর্মশালায় ভারত-ইংল্যান্ড শেষ টেস্টে খেলতে নামলেই চুক্তির আওতায় চলে আসবেন এই দুই তরুণ ক্রিকেটার। 

    বাদ কারা

    মোট সাত জন ক্রিকেটারকে বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাঁদের মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য নাম ঈশান কিশন ও শ্রেয়স আয়ার। সম্প্রতি বোর্ড ও ম্যানেজমেন্টের কথা না শোনায় দল থেকে বাদ পড়েছেন তাঁরা। ‘অবাধ্য’ দুই ক্রিকেটারকে শাস্তি দিয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু তাঁরা বাদে আরও পাঁচ ক্রিকেটার রয়েছেন তালিকায়। বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন শিখর ধাওয়ান, যুজবেন্দ্র চহাল, চেতেশ্বর পুজারা, উমেশ যাদব ও দীপক হুডাও। গত বার্ষিক চুক্তিতে তাঁরা ছিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: এ কেমন গ্রেফতার শাহজাহান! কোমরে দড়ি পরানো দূর, গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে পারল না পুলিশ

    Sheikh Shahjahan: এ কেমন গ্রেফতার শাহজাহান! কোমরে দড়ি পরানো দূর, গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে পারল না পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সঙ্গে পুলিশের আচরণ দেখে হতবাক রাজ্যবাসী। সাধারণত দাগী অপরাধীদের আদালতে তোলার সময় কোমড়ে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সময় কোমড় ধরে বা হাত ধরে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু, সন্দেশখালির বাদশা শাহজাহানকে কোমরে দড়ি পরানো তো দূরের কথা পুলিশ হাত পর্যন্ত দেওয়ার সাহস দেখাল না। আদালতের এজলাসে তোলার সময় কোনওভাবে মনে হচ্ছিল না শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বরং, তাঁর পিছনে যেভাবে পুলিশ ছিল তাতে তাকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমনই অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সন্দেশখালির বাসিন্দারা কী বললেন? (Sheikh Shahjahan)

    সাদা জামা, সাদা প্যান্ট, ম্যাচিং করে ধূসর রঙের কোর্ট। পায়ে সাদা স্নিকার্স। ৫৫ দিন পর শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এই সাজেই ধরা দিলেন। তবে গ্রেফতার হওয়ার পরও তাঁর শরীরে কার্যত দেখা গেল না কোনও উত্তাপ। তাঁর হাতে দেখা গেল না কোনও হ্যান্ডকাফ, কোমরে নেই দড়িও। আঙুল উঁচিয়ে এমন ভাবে আদালতে প্রবেশ করলেন যেন ‘জামাই’। তাহলে কি নিয়ম সবার জন্য আলাদা? এমনই প্রশ্ন তুলেছে সন্দেশখালিবাসী। তাঁদের বক্তব্য, শাহজাহান কোনও বীর পুরুষ নন। তিনি একজন ধর্ষণকারী। তাঁর বিরুদ্ধে জমি লুট, একাধিক খুন, বাড়ি ভাঙচুর, শ্লীলতাহানির মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ রয়েছে। এরকম একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সঙ্গে পুলিশের আচরণ মেলানো যাচ্ছে না। পুলিশের সামনেই খোশ মেজাজেই রয়েছে শাহজাহান। গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়া হল। তাহলে পুলিশ হেফাজতে শাহজাহান বহাল তবিয়তে থাকবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, আসলে ইডি-র হাত থেকে শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)  রক্ষা করতেই মরিয়া পুলিশ। তাঁকে লোকদেখানো গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে, পুলিশ এতদিন জামাই আদর দিয়ে, ভালো-মন্দ খাইয়ে রেখেছিল। আজ যখন লোক দেখানো গ্রেফতারের পর আদালতের উদ্দেশ্যে তাঁকে বার করা হচ্ছে, পুলিশ তাঁর হাতটুকু ধরার সাহস দেখাতে পারিনি। সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব জোনাল কমিটির সদস্য কিংকর কান্তি রায় বলেন, পুলিশের ক্ষমতা নেই শাহজাহানের কোমরে দড়ি পরানোর। বারবার বিভিন্ন কেস দিয়ে শুধু পিসি টানবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share