Tag: Madhyom

Madhyom

  • Sheikh Shahjahan Arrest: ‘‘ধরতে পারবে ইডি-সিবিআইও’’, আদালতের নির্দেশ দেখেই কি গ্রেফতারে তৎপর পুলিশ?

    Sheikh Shahjahan Arrest: ‘‘ধরতে পারবে ইডি-সিবিআইও’’, আদালতের নির্দেশ দেখেই কি গ্রেফতারে তৎপর পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়ে শেখ শাহজাহানের দলবলের হাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৫ জানুয়ারি। আর রাজ্য পুলিশের হাতে ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শাহজাহান গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) হলেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। মাঝে কেটে গিয়েছে ৫৬ দিন। প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন সময় লাগল কেন পুলিশের?

    ‘ক্রোনোলজি’-তেই বিষয়টা পরিষ্কার

    বিরোধীরা দাবি করে আসছিলেন, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সন্দেশখালিতেই (Sandeshkhali) রয়েছেন। বিরোধীদের কথা যদি বাদই দেওয়া হয়, স্থানীয় বাসিন্দারাও দাবি করছিলেন, সেখানেই দিব্যি বহাল তবিয়তে রয়েছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। অথচ, পুলিশের দাবি, ‘ফেরার’ শেখ শাহজাহান কোথায় আছেন, তার হদিস মিলছে না। অন্যদিকে, শাসক দলের দাবি, আদালতের জন্যই নাকি পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না তাঁকে ধরতে। তাহলে, কী এমন ঘটল, যে পুলিশ তড়িঘড়ি গ্রেফতার করল? পুলিশ-প্রশাসনের অবশ্য দাবি যে, আদালত তরফে অনুমতি মেলার পরই শাহজাহানকে গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) করা হয়েছে। যদিও, এর মাঝে কলকাতা হাইকোর্টে ঘটে গিয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ‘ক্রোনোলজি’-টা একবার দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে গোটা বিষয়টা—

    আরও পড়ুন: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    সোমবার কী বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলায় শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বড় নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয়, সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে যুক্ত করা হল। ওই একই দিন, ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে এ-ও জানিয়ে দেয় যে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে কখনই আটকানো হয়নি। এমন কোনও স্থগিতাদেশ নেই। স্রেফ, পুলিশ ও ইডি-তে নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চ যে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এটা সোমবারের ঘটনা। তার পরও কিন্তু, সেদিন বা পরের দিন অর্থাৎ, মঙ্গলবার গোটা দিন চলে গেলেও শাহজাহান গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) হয়নি।

    হাইকোর্টের বুধবারের নির্দেশই বদলে গেল খেলা!

    এর পর বুধবার, অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে, ওই একই মামলার শুনানিতে, হাইকোর্ট আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয়। তা হলো, শুধু পুলিশ নয়। চাইল শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারবে ইডি-সিবিআইও। অর্থাৎ, যে আগে পাবে, ‘ফেরার’ শাহজাহানকে সেই গ্রেফতার করতে পারবে। আদালতের এই ছোট্ট নির্দেশই যে ঘুম উড়ে যায় শাসক দলের। কেন? এর কারণ, শাসক দল বুঝে যায়, যদি একবার শাহজাহানকে খুঁজে পেয়ে ইডি-সিবিআই তুলে নেয়, তাহলে প্রমাদ গোনা ছাড়া উপায় নেই। অথএব, আগে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেওয়াই শ্রেয়। ফলস্বরূপ, ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan Arrest)।

    আরও পড়ুন: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    কেষ্টর ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল পুলিশের ‘সক্রিয়তা’

    এর আগে, বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও অনেকটা একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল। লক্ষ্য, ইডি-সিবিআইয়ের হাতে পড়া থেকে কেষ্টকে বাঁচানো। তাই কোনও একটি ‘আষাঢ়ে’ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিল কেষ্টকে। যদিও, কিছুদিন পরই সেই কেন্দ্রের হাতেই সঁপে দিতে হয়েছিল কেষ্ট মণ্ডলকে। সেটাও ছিল এক বড় দুর্নীতি— গরু পাচার মামলা। এবারেও বড় দুর্নীতির তদন্তে ইডি-সিবিআই রেডারে এসেছে শেখ শাহজাহানের নাম। রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় তদন্ত করছে ইডি। সেই প্রেক্ষিতেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। 

    সন্দেশখালির কোন অজ্ঞাতস্থানে গিয়েছিলেন রাজীব?

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে কতদিন শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ইডি-সিবিআইয়ের হাতে পড়া থেকে ঠেকাতে পারবে মমতা-প্রশাসন? কতদিন এভাবে শেষ শাহজাহানকে ‘বাঁচানো’ সম্ভব হবে? সপ্তাহখানেক আগেই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। একটা গোটা রাত কাটিয়ে সেখান থেকে ফেরেন। লঞ্চে চেপে কোনও এক অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রাজীব কুমার। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সুপ্রতিম সরকার এবং পুলিশের একাধিক শীর্ষকর্তা। বিরোধীদের কটাক্ষ, শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan Arrest) সঙ্গে বসে ‘ডিল’ করতে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তা।

    ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচাতেই ‘গ্রেফতার’

    শুধু বিরোধী নয়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তো খোদ হাইকোর্টও প্রশ্ন তুলেছে। শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) রাজ্যের পুলিশ রক্ষা করছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে, না হলে তিনি পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন।’’ এখানেই শেষ নয়। বুধবারের শুনানিতে ভরা এজলাসে রাজ্যের কৌঁসুলির উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্ন করেন— ‘‘তার মানে আপনি জানেন উনি কোথায়?’’ এর সঙ্গেই, হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, চাইলে ইডি-সিবিআইও গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) করতে পারে। হাইকোর্টের এই নির্দেশেই কি ‘সক্রিয়’ হয়ে উঠল মমতা-পুলিশ? এই নির্দেশের পরই কি তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ-কে? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: পুলিশি হেফাজতে শাহজাহান, তথ্য লোপাটের আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি

    Shahjahan Sheikh: পুলিশি হেফাজতে শাহজাহান, তথ্য লোপাটের আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে (Shahjahan Sheikh) ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আশঙ্কা, এর জেরে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় যে তদন্ত ইডি করছে, তার অনেক তথ্য ও নথি নষ্ট হতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, “রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তাই ইডি যে মামলার তদন্ত করছে, তার অনেক তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে দেওয়া হতে পারে।”

    শাহজাহানের পুলিশি হেফাজত

    টানা ৫৫ দিন লুকিয়ে থাকার পরে বৃহস্পতিবার কাকভোরে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিন তোলা হয় আদালতে। তাঁকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে পুলিশ। যদিও আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আদালতে জমা দেওয়া নথিতে শাহজাহানকে (Shahjahan Sheikh) অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ। তাঁকে জামিন দিলে সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানা এলাকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। এদিনই শাহজাহানকে কলকাতার ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরে নিয়ে আসে পুলিশ।

    দ্রুত শুনানি হোক

    সিট গঠন সক্রান্ত যে মামলা ছিল, এদিন মূলত তা নিয়েই আদালতে হাজির হন ইডির কর্তারা। তাঁরা চান, দ্রুত শুনানি হোক মামলাটির। প্রধান বিচারপতির কাছে এ নিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে ইডির তরফে। এদিন ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে চিঠি দিয়ে বলেন, “সিট গঠন সংক্রান্ত ডিভিশন বেঞ্চের মামলাটি ৬ মার্চ শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই তদন্তে রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছিল। ইডি এর বিরোধিতা করেছিল। ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার পরে পরেই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। তখনই তথ্য লোপাটের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূলের এই অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতার পুলিশি হেফজত হওয়ায় আরও একবার তথ্য ও নথি লোপাটের আশঙ্কা করল ইডি (Shahjahan Sheikh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: “শাহজাহান শেখের জন্য আমার কোনও সমবেদনা নেই”, বললেন প্রধান বিচারপতি

    Shahjahan Sheikh: “শাহজাহান শেখের জন্য আমার কোনও সমবেদনা নেই”, বললেন প্রধান বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) জন্য আমার কোনও সমবেদনা নেই।” বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    এদিন শাহজাহানের আইনজীবী আদালতে হাজির হতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনার জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম। আগামী দশ বছর আপনাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হবে। আপনার মক্কেলের (শাহজাহান) অনেক কাজ করতে ব্যস্ত থাকতে হবে। চার-পাঁচজন জুনিয়র রাখতে হবে। কারণ মামলার যা সংখ্যা।” এর পরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই ব্যক্তির (শাহজাহান) জন্য আমার কোনও সমবেদনা নেই।”

    আদালতে শাহজাহানের আইনজীবী

    শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ৪৩টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারির পরেই শাহজাহানকে তোলা হয় বসিরহাট আদালতে। বিচারক তাঁকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শাহজাহান গ্রেফতার হতেই এদিন তাঁর আইনজীবী হাজির হন কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে তিনিই জানান শাহজাহানের গ্রেফতারির খবরটি। নিম্ন আদালতের পেন্ডিং জামিনের আবেদনগুলি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে চায় শাহজাহান। সেই কারণেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন শাহজাহানের আইনজীবী। তার পরেই প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ ওই মন্তব্য।

    আরও পড়ুুন: “এবার নতুন সূর্যোদয় দেখবে সন্দেশখালি”, শাহজাহানের গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া বোসের

    শাহজাহানের আইনজীবীর দাবি ছিল, আদালতে নিজের বক্তব্য জানাতে চায় তাঁর মক্কেল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, জরুরি ভিত্তিতে শুনানির কোনও প্রয়োজন নেই। আদালতের আরও অনেক কাজ আছে। তাই শাহজাহানের আইনজীবীর আর্জি খারিজ হয়েছে। এদিকে, শাহজাহানের গ্রেফতারির পর এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, “আইনি বাধ্যবাধকতার কারণেই গ্রেফতার করা যায়নি শেখ শাহজাহানকে। আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে গা ঢাকা দেয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান। তৃণমূলের এই নেতা ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। তাঁকে গ্রেফতার করতে রাজ্য প্রশাসনকে একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার পর এদিন কাকভোরে মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের এই হাঙর (আপাতত এই নামেই শাহজাহানকে ডাকছেন স্থানীয়দের একাংশ) নেতাকে (Shahjahan Sheikh)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Sheikh Shahjahan: “এবার নতুন সূর্যোদয় দেখবে সন্দেশখালি”, শাহজাহানের গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া বোসের

    Sheikh Shahjahan: “এবার নতুন সূর্যোদয় দেখবে সন্দেশখালি”, শাহজাহানের গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ৫৫ দিন পরে তাঁর নাগাল পেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে। তারপরেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি বলেন, “আশা করি, এবার নতুন সূর্যোদয় দেখবে সন্দেশখালি।”

    বেপাত্তা ছিলেন শাহজাহান

    সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। জখম হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। অভিযোগ, শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হয়েছিলেন ওই চারজন। ঘটনার পরে পরেই বেপাত্তা হয়ে যান তৃণমূলের এই নেতা। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে মাঝে মধ্যেই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার করতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে একাধিকবার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদেরও একই বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি।

    রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া 

    মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে ফের চিঠি দেন রাজ্যপাল। সেই চিঠিতে শাহজাহানকে ৭২-ঘণ্টার মধ্যে হয় গ্রেফতার নয়তো কেন গ্রেফতার করা হয়নি সেই রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই গ্রেফতার হয়েছেন শাহজাহান। রাজ্যপাল বলেন, “এটাই হল গণতন্ত্র। অন্ধকারের পর আলো। এটা প্রত্যেকের জন্য একটি শিক্ষা। আমি খুশি।” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বলেছিলাম সুড়ঙ্গের শেষে আলো থাকবে। আমরা অপেক্ষা করেছিলাম কিন্তু তা করা হয়েছে। এখন আসুন, আশা করি, আইনের শাসনের একটি নতুন ভোর ফিরে আসবে বাংলায়।”

    আরও পড়ুুন: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    শাহজাহানকে নিয়ে গত পঞ্চান্ন দিন ধরে চর্চা হয়েছে চায়ের দোকানেও। শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার সুন্দরী মেয়েদের তৃণমূল পার্টি অফিস কিংবা এলাকার বাগানবাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত। নানা অছিলায় দখল করা হত গরিবের চাষের জমি। শাহজাহান বাহিনীর কথা মতো না চললেই নানাভাবে হেনস্থা করা হত বলেও অভিযোগ। পলাতক শাহজাহানকে গ্রেফতার করার দাবিতে পথে নামেন স্থানীয় মহিলারাও।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর পরেই চাপে পড়ে যায় তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির জনমত ঘুরে যেতে পারে ভেবে শঙ্কিত হয়ে পড়েন তৃণমূলের ভোট ম্যানেজাররা। তৃণমূলের অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ধরিয়ে দেওয়া হয় শাহজাহানকে। সেই কারণেই মিনাখাঁয় লুকিয়ে থাকলেও, শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পুলিশের সময় লাগল ৫৫ দিন (Sheikh Shahjahan)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ১৭ লক্ষ ‘ভুয়ো ভোটার’! ২৪ ব্যাগ ভর্তি অভিযোগ নিয়ে কমিশনে শুভেন্দু

    Lok Sabha Election 2024: ১৭ লক্ষ ‘ভুয়ো ভোটার’! ২৪ ব্যাগ ভর্তি অভিযোগ নিয়ে কমিশনে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভুয়ো ভোটার নিয়ে ফের সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার প্রায় ১৭ লক্ষ ডুপ্লিকেট ভোটারের তালিকাসহ রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। এদিন বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (Election Commission) দফতরে গিয়ে এই সংক্রান্ত তালিকা জমা দিয়ে আসে বিজেপির প্রতিনিধি দল। 

    ভুয়ো ভোটারের নথি

    নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গত ২৫ জানুয়ারি লোকসভা নির্বাচনের সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় প্রায় ১৭ লাখ নাম ‘ভুয়ো’ বলে দাবি বিজেপির। একই ভোটারের নাম একাধিকবার তালিকায় রয়েছে। বিজেপির পক্ষে দাবি করা হয়েছে, দলের হিসাবে মোট ‘ভুয়ো ভোটার’-এর সংখ্যা ১৬,৯১,১৩২। বুধবার ২৪টি ব্যাগে করে দলের দাবি করা ‘ভুয়ো ভোটার’-দের তালিকা কমিশন দফতরে জমা দিয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে কমিশনকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূলের থেকে ১৭ লাখ ভোট কম পেয়েছিল। আর ‘ভুয়ো ভোটার’-এর সংখ্যাও সমান সমান। বুধবার কমিশন দফতরে এই অভিযোগ জানাতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের দুই নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও শিশির বাজোরিয়া। 

    শুভেন্দুর দাবি

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘এই মেকানিজমটা মমতা ব্যানার্জি করে রেখেছেন। আমরা এটা, চুরিটাকে ধরেছি। কারণ, আমরা ভোটার তালিকাটাকে পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন চাই। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে, পঞ্চায়েতে ১ কোটি গ্রামের মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। সন্দেশখালির যার কাছে গিয়ে আপনারা জিজ্ঞাসা করছেন – ভোট দিয়েছেন? বলছে, না…ভোট দিইনি। যতদিন মমতা, ততদিন আমাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। শেষ ১১ সালে ভোট দিয়ে তো ওনাকে ক্ষমতায় এনেছিলাম। এই ১৬ লক্ষ ৯১ হাজার ১৩২ ভোটারের ডকুমেন্ট আমরা নিয়ে এলাম, দিয়ে গেলাম।’  রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এলে সেখানেও এই অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির ‘সেতু’ প্রসন্নর ২০০টি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৭০ কোটি টাকা! আদালতে দাবি ইডির

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির ‘সেতু’ প্রসন্নর ২০০টি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৭০ কোটি টাকা! আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ ‘দুর্নীতি’তে (SSC Scam) ধৃত প্রসন্ন রায়ের ২০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রসন্নকে গ্রেফতার করে ইডি। বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে প্রসন্নের মামলার শুনানি ছিল। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে একেবারে মিডলম্যান হিসাবে কাজ করতেন প্রসন্ন। এদিন আগামী সোমবার পর্যন্ত প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

    আদালতে ইডির দাবি

    আদালতে ইডি লিখিত আকারে জানিয়েছে, প্রসন্নর নামে ১০০টির বেশি সংস্থা রয়েছে। তিনি একাই ২০০টির বেশি অ্যাকাউন্টের মালিক অথবা নিয়ন্ত্রক। প্রসন্ন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন বলেও দাবি করেছে ইডি। তারা জানিয়েছে, ওই সমস্ত সম্পত্তি কেনা হয়েছে অত্যন্ত কম দামে। অভিযোগ, এ ভাবে ‘দুর্নীতি’র টাকা কাজে লাগিয়েছেন প্রসন্ন। ইডির দাবি, গ্রেফতারের পর প্রসন্নকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং সংশ্লিষ্ট তদন্তের মাধ্যমে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ইডি আরও জানিয়েছে, যে সময়ের মধ্যে এসএসসি নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ উঠেছে, সেই সময়ে প্রসন্নর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে অন্তত ৭০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। প্রসন্নই সেই লেনদেন সম্পর্কে জেরার মুখে ইডিকে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘মমতার পুলিশের সেফ কাস্টডিতে শাহজাহান’’, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    প্রসন্নর ইডি হেফাজত

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রসন্ন রায়ের ছক কাজে লাগানো হয়েছিল। ইডি অফিসাররা তদন্ত করে জানতে পারেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, জীবনকৃষ্ণ সাহা–সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তাব্যক্তির ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন প্রসন্ন রায়। আগে সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছিল, যারা অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে, তারা এই প্রসন্ন রায়ের হাতেই টাকা দিয়েছে। সেই টাকা এই দুর্নীতির রাঘব বোয়ালদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন প্রসন্ন রায়। কেন্দ্রীয় সংস্থা আদালতে জানায়, এই ‘দুর্নীতি’র শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতে প্রসন্ন নিয়ন্ত্রিত সমস্ত সংস্থা নিয়ে বিশদে তদন্ত প্রয়োজন। তাই তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এর পরেই প্রসন্ন রায়ের ইডি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে ইডির হেফাজতে থাকবে প্রসন্ন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu On Shahjahan: ‘‘মমতার পুলিশের সেফ কাস্টডিতেই শাহজাহান’’, শুভেন্দুর এই দাবিই তাহলে সত্যি?

    Suvendu On Shahjahan: ‘‘মমতার পুলিশের সেফ কাস্টডিতেই শাহজাহান’’, শুভেন্দুর এই দাবিই তাহলে সত্যি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ডিজি রাজীব কুমারের রাত্রিযাপনের পরই গ্রেফতার শেখ শাহজাহান। ৫৫ দিন টালবাহানার পর সন্দেশখালি থেকেই গ্রেফতার তৃণমূলের দাপুটে নেতা। তাহলে কি বিরেধীদের দাবিই সত্যি? পুলিশের সুরক্ষিত হেফাজতেই এতদিন কাটিয়েছেন শাহজাহান। রাজ্য পুলিশ জানত কোথায় ছিলেন তিনি। চলছিল শেষ সময়ের দর কষাকষি। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার আগের দিনই, অর্থাৎ বুধবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সেফ কাস্টডিতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান।’’

    কী বললেন শুভেন্দু

    ‘‘পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন শেখ শাহজাহান। আনুষ্ঠানিক গ্রেফতারির আগে তাঁর সঙ্গে দর কষাকষি চলছে পুলিশের।’’ বুধবার দুপুরে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘সন্দেশখালির বজ্জাত শেখ শাহজাহান মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে মমতা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাঁকে বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তার আগে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মমতা পুলিশের সঙ্গে চুক্তি করেছে সে। চুক্তি অনুসারে পুলিশ ও জেল হেফাজতে থাকাকালীন তাকে পর্যাপ্ত যত্ন আদ্দি করতে হবে। তাকে জেলে থাকাকালীন ৫ তারা বিলাশের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবহার করতে দিতে হবে মোবাইল ফোন। যার মাধ্যমে সে জেল থেকেই তৃণমূলকে নেতৃত্ব দেবে। এমনকী উডবার্ন ওয়ার্ডে তাঁর জন্য একটা শয্য সব সময় খালি রাখতে হবে। যাতে ইচ্ছা করলেই সেখানে এসে সময় কাটাতে পারে সে’।

    কী ভাবছেন রাজনীতিকরা

    শুধু শুভেন্দু অধিকারী নন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও শহরে এসে স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘শেখ শাহজাহান কোথায়, সব জানে।’ মমতা সরকারকেই নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। শাহজাহান শেখের সন্দেশখালির বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডির গোয়েন্দারা ৫ জানুয়ারি হানা দিয়েছিলেন। সেদিন থেকে শাহজাহান নিঁখোজ। প্রায় ৫৫ দিন ধরে বেপাত্তা। অনেকের ধারণা ছিল শাহজাহান বুঝি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে। কেউ বা দাবি করছিলেন, শাহজাহান রয়েছে পুজালীতে। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবিই কিছুটা হলেও সত্য বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। বুধবার শুভেন্দু যা বলেছিলেন , সেই সন্দেশখালির গ্রাম থেকেই বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার হলেন শেখ শাহজাহান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Shahjahan Sheikh: সন্দেশখালির ‘হাঙর’ তৃণমূলের শেখ শাহজাহান গ্রেফতার

    Shahjahan Sheikh: সন্দেশখালির ‘হাঙর’ তৃণমূলের শেখ শাহজাহান গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) গ্রেফতার। রাজ্যের শাসক দলের এই ‘অপরাধী’কে ধরতে পুলিশের সময় লাগল ৫৫ দিন। শাহজাহান যে এলাকায়ই গা ঢাকা দিয়েছিলেন, তার প্রমাণ মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। গ্রেফতার করার পরেই তৃণমূলের এই নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বসিরহাট কোর্ট লকআপে। আজ, বৃহস্পতিবারই তাঁকে তোলা হবে আদালতে।

    তৃণমূলের ‘ছেঁদো’ যুক্তি

    শাহজাহানকে ধরার জন্য রাজ্যকে ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই মন্তব্যের দুদিন পরই গ্রেফতার সন্দেশখালির এই তৃণমূল নেতা। শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে আদালতকেই দুষছে তৃণমূল। গত ২৫ তারিখে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “শেখ শাহজাহানকে ধরার ক্ষেত্রে রাজ্যের হাত বেঁধে রেখেছে বিচার ব্যবস্থা।” অভিষেকের আইনি জটিলতা মন্তব্যের বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করেছিলেন আদালত বান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ। সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেছিলেন, “শাহজাহানকে গ্রেফতার না করার জন্য পুলিশকে কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি। আমরা পুলিশকে বলিনি যে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। ইডির মামলায় শুধু সিট গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল (Shahjahan Sheikh)।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার গাড়ি ও হোটেল খরচ কত জানেন?

    শাহজাহান বাহিনীর (কু)কীর্তি!

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে নাম জড়ায় তৃণমূলের শাহজাহানের। এর পরেই তাঁর সন্দেশখালির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, শাহজাহানের অনুগামী তৃণমূল কর্মীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। তার পরেই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। তৃণমূলের এই নেতা ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। নানা অছিলায় স্থানীয়দের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের এই নেতার দলবলের বিরুদ্ধে। তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে জবকার্ডের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয়রা। শাহজাহান বাহিনীর কথা মতো না চললে মারধর, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ সহ নানা অত্যাচার করা হত বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, এহেন এক অপরাধী নিশ্চিন্তে ছিলেন তৃণমূলের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে। যার জেরে শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে সময় লাগল প্রায় দু’মাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ইসরোর রকেটের গায়ে চিনের পতাকার ছবি! ডিএমকের ‘কীর্তি’তে কড়া সমালোচনা মোদির

    PM Modi: ইসরোর রকেটের গায়ে চিনের পতাকার ছবি! ডিএমকের ‘কীর্তি’তে কড়া সমালোচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর নয়া রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শাসক দল ডিএমকের অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল সংবাদপত্রে। তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছবির সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে চিনের পতাকা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি রকেটের ওপর চাপানো হয়েছে চিনের জাতীয় পতাকার ছবি। পোস্টারের এই ছবি নিয়ে ডিএমকের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ডিএমকেকে তোপ মোদির

    তিনি বলেন, “সকলে জানেন, ডিএমকে আমাদের সকল প্রকল্প নিজেদের প্রকল্প বলে চালায়। এবার তারা লজ্জা-শরমের সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তামিলনাড়ুতে ইসরোর লঞ্চপ্যাডের কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য তারা লাগিয়ে দিয়েছে চিনের পতাকা। ডিএমকের নেতারা অন্ধ হয়ে গিয়েছে। মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি তারা দেখতে পাচ্ছে না। ভারতের মহাকাশ গবেষণার সাফল্য বিশ্বকে দেখাতে চায় না তারা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই পোস্টার ছেপে ডিএমকে সরকার বিজ্ঞানীদের অপমান করেছে। ইসরোর অপমান করেছে, মহাকাশ কেন্দ্রের অপমান করেছে।”

    কী বললেন বিজেপি সভাপতি?

    তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই বলেন (PM Modi), “এই বিজ্ঞাপন ডিএমকের চিনের প্রতি আনুগত্য ও ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ।” তিনি বলেন, “ষাট বছর আগে ইসরো তাদের প্রথম লঞ্চপ্যাডটি করতে চেয়েছিল তামিলনাড়ুতেই। কিন্তু ইসরোর সঙ্গে আলোচনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএমকে মন্ত্রী বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মদ্যপ অবস্থায়। তাই লঞ্চপ্যাডটি তৈরি হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশে।” তিনি বলেন, “অতীতের সেই ভুল ঢাকতেই যেনতেন প্রকারে ইসরোর নয়া লঞ্চপ্যাড তৈরির কৃতিত্ব নিতে চাইছে ডিএমকে সরকার।”

    আরও পড়ুুন: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্টেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছিলেন, ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য কুলশেখরপট্টিনমে ইসরোকে এই নয়া মহাকাশ বন্দর স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই নয়া মহাকাশ বন্দর থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ছোট ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ছোট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে খরচ বেশি হয় (PM Modi)।

    বেকায়দায় পড়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে ডিএমকে। ডিএমকের তরফে সাংসদ কে কানিমোঝি বলেন, “আমি জানি না কে এই ছবির ডিজাইন করেছে। আমি মনে করি না যে ভারত চিনকে শত্রু দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমি দেখেছি, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং চিনের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁরা মহাবলীপুরমে গিয়েছেন। সত্যটা গ্রহণ করতে আপনারা জানেন না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly: কর্নাটকে রাজ্যসভায় জয়ী কংগ্রেসের নাসির, অনুগামীদের গলায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান!

    Karnataka Assembly: কর্নাটকে রাজ্যসভায় জয়ী কংগ্রেসের নাসির, অনুগামীদের গলায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি জিতেছেন কংগ্রেসের প্রতীকে। সাংসদ হয়েছেন ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার। অথচ দলীয় প্রার্থীর জয়ে উল্লসিত কংগ্রেসের নাসির হুসেনের অনুগামীরা ধ্বনি দিতে শুরু করলেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে (Karnataka Assembly)। অন্তত এমনই অভিযোগ বিজেপির। কর্নাটকের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা দেশে। কংগ্রেস অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে বিজেপির অভিযোগ।

    পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান

    মঙ্গলবার গোটা দেশে রাজ্যসভার ১৫টি আসনে হয় নির্বাচন। এর মধ্যে ছিল কর্নাটকের একটি আসনও। এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের রাজনৈতিক সচিব নাসির হুসেন। নির্বাচনে জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নাসির। সেই সময় হঠাৎই পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিতে থাকেন (Karnataka Assembly) নাসিরের অনুগামীরা। এর কিছুক্ষণ পরেই নাসিরের অনুগামীদের পাকিস্তান-প্রেমের কথার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন বিজেপির আইটি সেলের সভাপতি অমিত মালব্য। ভিডিওটিতে স্পষ্টই পাকিস্তানের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছে নাসিরের অনুগামীদের। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম

    ‘কংগ্রেসের আবেগ বিপজ্জনক’

    এক্স বার্তায় অমিত জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের প্রতি কংগ্রেসের আবেগ বিপজ্জনক। এটা দেশের পক্ষে নিরাপদ নয়। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে বিজেপি।” নাসিরের অনুগামীদের পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের নিন্দায় সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ও কর্নাটকের নেতা সিটি রবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করেছেন তাঁরাও।

    আরও পড়ুুন: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি

    নাসির ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বেঙ্গালুরু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন কর্নাটকের বিজেপি নেতৃত্ব। মামলা করা হয়েছে ১৫৩ ধারায়। বুধবার বিধান সৌধের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে বরখাস্ত করার দাবিও জানানো হবে বলে জানান তাঁরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “বিধানসভার মধ্যে নাসির হুসেনের অনুগামীরা পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়েছেন। ভিডিওতে তা স্পষ্ট। তার পরেও কংগ্রেস সাংসদ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘনিষ্ঠ নাসির হুসেন। পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে কংগ্রেস কোনও ব্যবস্থা না নিলে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামবে বিজেপি (Karnataka Assembly)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share