Tag: Madhyom

Madhyom

  • Dubai Tourist Multiple Visa: ভারতীয়দের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিচ্ছে দুবাই, কেন জানেন?

    Dubai Tourist Multiple Visa: ভারতীয়দের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিচ্ছে দুবাই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (Dubai Tourist Multiple Visa) দিচ্ছে দুবাই। এই ভিসায় ভারত ও গলফ দেশগুলিতে যাতায়াত করতে পারবেন তাঁরা। এ কথা জানিয়েছে দুবাই ডিপার্টমেন্ট অফ ইকনোমি অ্যান্ড ট্যুরিজম।

    প্রাক-করোনা পর্বের হিসেব

    জানা গিয়েছে, গত বছর ২.৪৬ মিলিয়ন ভারতীয় দুবাই গিয়েছিলেন। প্রাক-করোনা পর্বের পর এবার এটা বেড়েছে ২৫ শতাংশ। প্রতি বছরই দুবাই যাওয়ার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই সংখ্যাটাই ভারতের নম্বর ওয়ান সোর্স মার্কেট। ফি বছর যা বাড়ছে ৩৪ শতাংশ করে। এক বছর আগেও (Dubai Tourist Multiple Visa) ভারত থেকে দুবাই বেড়াতে গিয়েছিলেন ১.৮৪ মিলিয়ন পর্যটক। অথচ উনিশ সালে করোনা অতিমারি পর্বের আগে এ শহরে পা রেখেছেন ১.৯৭ মিলিয়ন ভারতীয় পর্যটক। করোনা-পর্বে নানা নিষেধাজ্ঞার জেরে দুবাই ঘুরতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা কমলেও, ফের তা বাড়তে শুরু করেছে।

    মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা

    জানা গিয়েছে, এখন প্রাপ্ত বয়স্ক ভারতীয়রা মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য দুবাই চলে যেতে পারবেন। প্রতিবার তাঁরা সেখানে থাকতে পারবেন টানা তিন মাস করে। এই ভিসার মেয়াদ আবারও তিন মাসের জন্য এক্সটেন্ড করা হবে। তবে সারা বছরে সব মিলিয়ে ১৮০ দিনের বেশি করা হবে না। মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পেতে গেলে আবেদনকারীকে কয়েকটি যোগ্যতামান পার হতে হবে। এরই একটি হল, ব্যাঙ্কে আবেদনকারীর অন্তত ৪ হাজার মার্কিন ডলার ব্যালেন্স থাকতে হবে। বিদেশি মুদ্রায় সম পরিমাণ অর্থ থাকলেও মিলবে ওই ভিসা।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    এর পাশাপাশি আবেদনকারীর থাকতে হবে স্বাস্থ্য বিমাও। যে বিমা কার্যকরী হবে সংযুক্ত আরব আমির শাহিতে। এই ভিসার সাহায্যে আবেদনকারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত নানা কাজে দুবাই যেতে-আসতে পারবেন। অবসর বিনোদনের জন্যও যেতে পারবেন ওই দেশে। দুবাই ডিপার্টমেন্ট অফ ইকনমি অ্যান্ড ট্যুরিজমের রিজিয়নাল হেড অফ প্রক্সিমিটি বাদের আলি হাবিব বলেন, “দুবাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। ভারত আমাদের এই বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডি৩৩ এজেন্ডার লক্ষ্যে পৌঁছতেই ভারত এটা করবে। ক্রমেই দুবাই হবে উঠবে একটি বিজনেস হাব, লগ্নি ও ট্যুরিজম কেন্দ্র (Dubai Tourist Multiple Visa)।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Fastest T20I Century: আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৩৩ বলে সেঞ্চুরি! জানেন দ্রুততম ১০০ করলেন কে?

    Fastest T20I Century: আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৩৩ বলে সেঞ্চুরি! জানেন দ্রুততম ১০০ করলেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে কম বলে শতরান (Fastest T20I Century) করলেন নামিবিয়ার ২২ বছরের অল-রাউন্ডার নিকোল লফটি-ইটন। নেপালের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৩ বলে শতরান করেন নামিবিয়ার এই অলরাউন্ডার। ঠিক একবছর আগে এই দিনেই দুর্দান্ত এক বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন নেপালের কুশল মাল্লা। ঠিক এক বছর পরে এদিন তাঁর চোখের সামনে সেই বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দিলেন ইটন। 

    ইটনের রেকর্ড

    মঙ্গলবার নেপালের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক শতরান (Fastest T20I Century) করার পথে জান নিকোল ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। তিনি ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৮ বলে। শেষমেশ ৩৬ বলে ১০১ রান করে আউট হন ইটন। ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ২০৬ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে নামিবিয়া। নিকোলের শতরান ছাড়া লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন ওপেনার মালান ক্রুগার। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচে ২০ রানের ব্যবধানে নেপালকে হারিয়ে দেয় নমিবিয়া। পালটা ব্যাট করতে নেমে নেপাল ১৮.৫ ওভারে ১৮৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়।

    কুশলের রেকর্ড

    এমন মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে হবে, সেটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কুশল মাল্লা (Kushal Malla)। ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর টি-২০ ফরম্যাটে দ্রুততম সেঞ্চুরি (Fastest T20I Century) করেছিলেন নেপালের (Nepal) ব্যাটার। তাঁর সেঞ্চুরি এসেছিল ৩৪ বলে। এবার সেই কুশলের সামনেই তাঁর রেকর্ড ভেঙে গেল। কারণ নেপালের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৩ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে সেই বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন জান নিকোল লফটি-ইটন। মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে এশিয়ান গেমসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন কুশল। মাত্র ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। তাঁর সেই ইনিংস ৮টি চার ও ১২টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম শতরান করার পথে নেপালের সেই ব্যাটার ভেঙে দিয়েছিলেন ডেভিড মিলার, রোহিত শর্মা ও চেক প্রজাতন্ত্রের সুদেশ বিক্রমাশেখরার নজির।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    Sukanta Majumder: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। তাতে অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বুধবার থেকে দু’দিনের ধর্নায় অনুমতি দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতির নির্দেশ, সর্বাধিক দেড়শো জনের জমায়েত নিয়ে ধর্না করতে হবে। মাইক ব্যবহার করা যাবে না। কোনও সমস্যা হলে দায় বর্তাবে মামলাকারীর ওপরই। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, জমায়েত হওয়া ও ধর্না সাংবিধানিক অধিকার। একমাত্র উপযুক্ত (Sukanta Majumder) কারণ থাকলে তবেই এই অধিকার খর্ব করা যায়। বুধবার থেকে আগামী দু’দিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সন্দেশখালি ইস্যুতে ধর্নায় বসবেন সুকান্ত মজুমদার।

    সুকান্তকে ধর্নায় বসার অনুমতি

    সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে তিন দিনের ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। রাজ্যে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সে কথা জানিয়ে সুকান্তকে ধর্নায় বসার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পদ্ম শিবির জানিয়ে দেয়, যে এলাকায় ধর্নায় বসা হবে, তার আশপাশে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। সেনাবাহিনীর তরফে অনুমতি মিলেছে বলেও জানিয়ে দেয় বিজেপি। এর পরেই শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে বসার অনুমতি দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে বাধা! সন্দেশখালির পথে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

    রেশন বিলি কেলেঙ্কারিকাণ্ডে নাম জড়ায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। তার পরেও কার্যত কর্পূরের মতো উবে যান এই তৃণমূল নেতা। এর পরেই শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে ওঠে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। তাঁদের আন্দোলন দমন করতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তা সত্ত্বেও সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ-বিতণ্ডা হয়। ধস্তাধস্তির জেরে গাড়ি থেকে নীচে পড়ে যান সুকান্ত। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। টানা তিন দিন বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এর পর সুস্থ হয়ে সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চান তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ‘অজুহাতে’ তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শেষমেশ আদালতে মিলল অনুমতি (Sukanta Majumder)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের। গ্রেফতার করা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকেও। এবার এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে মামলা দায়ের করেছে দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। 

    কেন আটকানো হল

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।” মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত রবিবার সন্দেশখালি গিয়েছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেদিন ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়ায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। কেন সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, পুলিশের উদ্দেশে সেই প্রশ্ন করতে থাকেন তাঁরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল।

    আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন’’, ফের শামির পাশে প্রধানমন্ত্রী, ধন্যবাদ জানালেন পেসারও

    এর আগে জাতীয় মহিলা সুরক্ষা কমিশন থেকে শুরু করে এসসি কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এলাকা পরিদর্শন করে। সন্দেশখালি এলাকায় যান স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, একাধিক রাজনৈতিক দল সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা খুব সহজেই সেখানে পৌঁছে যেতে পারছেন। এলাকায় ভয়ের পরিবেশ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET: দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, রণক্ষেত্র করুণাময়ী

    Primary TET: দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, রণক্ষেত্র করুণাময়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির দাবিতে (Primary TET) বিক্ষোভ, আর তাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল সল্টলেকের করুণাময়ী। মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। টেনে-হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের সরানোর অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কয়েক জনকে জোর করে পুলিশ ভ্যানে তোলাও হয় এদিন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক জন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন বলে খবর।

    বলপ্রয়োগ পুলিশের…

    মঙ্গলবার করুণাময়ী মোড়ে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে বসে পড়ে বিক্ষোোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের (Primary TET) দাবি, ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণ হলেও, এখনও কোনওরকম ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তাই নিয়োগের দাবিতে এই বিক্ষোভ। এই আন্দোলনের জেরে যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয় করুণাময়ী মোড়ে। আটকে পড়ে যায় বহু গাড়ি। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বললেও, তাঁরা কোনওভাবেই রাজি হননি। এর পরই বলপ্রয়োগ করে পুলিশ। জোর করে সরানোর চেষ্টা করলে দুই পক্ষের বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

    বিক্ষোভকারীদের দাবি 

    বিক্ষোভকারীরা দাবি জানায়, ২০২৩ সালের টেটের ফলপ্রকাশের আগে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ ছ’জন বঞ্চিতদের সুযোগ দিতে হবে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলি হল- সকল জেলার শূন্যপদে নিয়োগের (Primary TET) বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে পর্ষদকে দিতে হবে, শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় সব প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করতে হবে, ছাত্র-শিক্ষকদের অনুপাত অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। তাঁরা আরও দাবি জানিয়েছেন, ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণদের নাম, ক্রমিক সংখ্যা, কোন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, টেটে প্রাপ্ত নম্বর, জাতি শংসাপত্র-সহ সব তথ্য পিডিএফ আকারে অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে। ঠিক এই আবহে সামনে এসেছে, নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের ‘এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ’-এর কড়া বার্তা। আগামী সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে তাঁরা আত্মহত্যার পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁদের আরও দাবি, প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পরে দ্রুত দ্বিতীয় কাউন্সেলিং শুরু করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhruv Jurel: বাবা সৈনিক, লড়াই করার মানসিকতা নিয়েই সফল ভারতের ‘নতুন ধোনি’ জুরেল

    Dhruv Jurel: বাবা সৈনিক, লড়াই করার মানসিকতা নিয়েই সফল ভারতের ‘নতুন ধোনি’ জুরেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে রাঁচীতে জীবনের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন ধ্রুব জুরেল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে দু’টি ইনিংসেই তাঁর লড়াই নজর কেড়ে নিয়েছে। সেই ধ্রুব জুরেল ম্যাচের পরেই একটি বার্তা পোস্ট করেছেন রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড়ের উদ্দেশে। তাঁর উপরে আস্থা রাখার জন্য অধিনায়ক এবং কোচকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতের এই তরুণ ক্রিকেটার। 

    ধ্রুবের জেদ

    উত্তরপ্রদেশের আগ্রা শহর থেকে উঠে এসেছেন জুরেল। বাবা নেম চাঁদ ছিলেন ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সেনা। ছোটবেলার জেদই তাঁকে ক্রিকেটে নিয়ে এসেছে। ছোটবেলায় বাবা-মা চাইতেন না ধ্রুব ক্রিকেটে আসুক। তাঁরা চাইতেন সেনা অফিসার করতে। কিন্তু নিজের জেদেই ক্রিকেটে আসেন জুরেল। রাঁচি টেস্টেই প্রথম হাফসেঞ্চুরি করে বাবাকে সাফল্য উৎসর্গ করেছিলেন। বাবাকে স্যালুট জানিয়ে তাঁকে সম্মানও জানান জুরেল। 

    কী বললেন জুরেল

    ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে  জুরেল বলেন, “আমি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি। প্রথম ইনিংসে আমাদের রান দরকার ছিল। আমি জানতাম, যতটা বেশি রান করতে পারব, তত ভাল। কারণ, চতুর্থ ইনিংসে আমাদেরই ব্যাট করতে হত। সেই কাজটাই করার চেষ্টা করেছি।” ৯০ রানের পথে নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন জুরেল। সেই কারণে শুধু নিজেকে নয়, বাকিদেরও সমান কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। জুরেল বলেন, “শেষ দিকে কয়েকটা জুটি হয়েছিল। তাই ওদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। আমি শুধু বল দেখে সেই অনুযায়ী খেলছিলাম। খুব বেশি কিছু ভাবার চেষ্টা করিনি।”

    জুরেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রোহিত

    ‘‘ধ্রুব জুরেল ওর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলছে। দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে ও। ইনিংস চলাকালীন ও নিজের ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। উইকেটের চারপাশে শট খেলেছে ও। প্রথম ইনিংসে ৯০ রানের ইনিংস খেলেছিল। এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে শুভমন গিলের সঙ্গে দারুণ ধৈর্য ধরে ব্যাট করে ও। চাপটা ভালোই সামলেছে।’’

    তরুণদের পারফরম্যান্স নিয়ে রোহিত বাড়তি উচ্ছ্বসিত। বলেছেন, ‘‘তরুণ খেলোয়াড়রা জাতীয় দল পর্যন্ত পৌঁছতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা এবং সেই পারফরম্যান্স দিয়ে এখানে আসাটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ওদের থেকে যে সাড়াটা আমি পেয়েছি, তা উৎসাহজনক। আমার আর রাহুল (দ্রাবিড়) ভাইয়ের কাজ হল, ওদের খেলার জন্য আদর্শ পরিবেশ দেওয়া। যে পরিবেশে ওরা নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতে পারবে। ওরা প্রত্যেকেই খুব ভালো। কী করতে চায়, সেটা ওদের কাছে পরিষ্কার। ওরা তৈরি হয়ে নেমেছে। প্রত্যেকের সামনেই উজ্জ্বল কেরিয়ার রয়েছে। তবে তার জন্য পরিশ্রম করে যেতে হবে। তবে এখন যে ভারতে এত ভালো ভালো ক্রিকেটার উঠে আসছে, তাতে আমি খুব খুশি।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘রাম’ ধাক্কায় উত্তরপ্রদেশ, অসমে কুপোকাত বিরোধীরা, বলছে সমীক্ষা

    Lok Sabha Elections 2024: ‘রাম’ ধাক্কায় উত্তরপ্রদেশ, অসমে কুপোকাত বিরোধীরা, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের রাম ধাক্কায় লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) উত্তরপ্রদেশে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবেন বিরোধীরা! সাম্প্রতিক এই সমীক্ষায়ই এই তথ্য উঠে এসেছে। আর উত্তরপ্রদেশের রাশ মুঠোয় এসে গেলে বিজেপি যে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফিরবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

    হিন্দি বলয়েও ব্যাপক ফল করবে পদ্ম

    কথায় বলে, উত্তরপ্রদেশের রশি যার হাতে থাকবে, কেন্দ্রের কুর্সিতেও বসবে সেই দল। সম্প্রতি প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা করেছিল ফেডেরাল পুথিয়াথালাইমুরাই অ্যাপ্ট ২০২৪ নামে একটি সংস্থা। সেই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, গেরুয়া ঝড়ে উত্তরপ্রদেশে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি। কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, হিন্দি বলয়েও ব্যাপক ফল করবে পদ্ম শিবির। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমেও বিজেপি চোখ ধাঁধানো ফল করবে বলে প্রকাশ সমীক্ষায়। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে রাম মন্দিরের। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বালক রাম। রাজনৈতিক মহলের মতে, এরই অ্যাডভান্টেজ পেতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

    গেরুয়া ঝুলিতে কত আসন?

    প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় (Lok Sabha Elections 2024) জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭৮টিতে ফুটবে পদ্ম। শতাংশের হিসেবে এ রাজ্যে বিজেপি পাবে ৫৪.৩৩ শতাংশ ভোট। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে যোগী রাজ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৬২টি আসন। সেবার গেরুয়া ঝুলিতে পড়েছিল ৪৯.৯৮ শতাংশ ভোট। উনিশের আগে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপি পেয়েছিল ৭১টি আসন। সমীক্ষায় প্রকাশ, আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির হাতে যাবে ৭৮টি আসনের রশি।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    এ রাজ্যে কংগ্রেস জিততে পারে একটি আসনে। আর একটি আসন দখল করতে পারে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে অখিলেশের দল পেয়েছিল মাত্র পাঁচটি আসন, কংগ্রেস একটি। এ রাজ্যের মাত্র ২০ শতাংশ ভোটার মনে করেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির চেয়ে ভালো অখিলেশ। এই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি পেতে পারে মাত্র ১৫ শতাংশ ভোট।

    বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024) চোখ ধাঁধানো ফল করবে অসমেও। উত্তরপ্রদেশের মতো এ রাজ্যেও ভোটারদের মধ্যে বৈচিত্র্য রয়েছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ১৪টি। সমীক্ষা বলছে, এর মধ্যে ১০টি জিততে পারে বিজেপি। বাকি চারটি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: এক মাসেই রাম মন্দিরের দানবাক্সে  জমা পড়েছে ১০ কেজি সোনা, ২৫ কেজি রুপো

    Ram Temple: এক মাসেই রাম মন্দিরের দানবাক্সে জমা পড়েছে ১০ কেজি সোনা, ২৫ কেজি রুপো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৫০০ বছরের এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে অযোধ্যায় নির্মিত হয়েছে রাম মন্দির(Ram Temple)। গত ২২ জানুয়ারি মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রভু বালক রামের  প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর কেটে গিয়েছে একটা মাস। দেশের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ রামভক্ত বালক রামকে দর্শন করতে মন্দিরে যাচ্ছেন। পুণ্যার্থীদের ভিড়ে উপচে পড়েছে মন্দির চত্বর। আগত ভক্তরা মন্দিরে রামলালার শ্রীচরণে দান করছেন প্রচুর উপহার। মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর এক মাসের মধ্যেই এখনও পর্যন্ত মোট ১০ কেজি সোনা এবং ২৫ কেজি রুপো দানবাক্সে জমা পড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা হাতে গুণে শেষ করা যাচ্ছে না তাই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শরণাপন্ন হয়েছে মন্দির ট্রাস্ট।

    কী জানিয়েছে ট্রাস্ট (Ram Temple)

    মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রকাশ গুপ্তা বলেছেন, “মন্দির (Ram Temple) চত্বরে চারটি স্বয়ংক্রিয় টাকা গোনার যন্ত্র বাসিয়েছে এসবিআই। ১০ কেজি সোনা ও ২৫ কেজি রুপোর অলঙ্কার, চেক, ড্রাফ্ট এবং নগদ দান হিসাবে পাওয়া গিয়েছে। ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনলাইনে টাকা পাঠিয়েছেন অনেক ভক্ত। সবটা এখনও গোনা হয়নি। ভক্তদের ভক্তির কথা বিবেচনা করে, মন্দিরে সোনা-রুপোর তৈরি এই জিনিসগুলি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ব্যাঙ্কে জমা করা হয়েছে। পরবর্তীকালে, এগুলি বিক্রি করে নগদে পরিণত করা হবে। এসবিআই এবং ট্রাস্টের মধ্যে একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।”

    ৬২ লাখ দর্শনার্থী মন্দির দর্শন করেছে

    জানা গিয়েছে, রামমন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের পর থেকেই মন্দিরে বিরাট ভিড় উপচে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬২ লক্ষ মানুষ বালক রামকে দর্শন করেছেন। আগত দর্শনার্থীরা মন্দিরের জন্য মুক্ত হস্তে দান করছেন। ইতিমধ্যে কোটি কোটি টাকা দনাবাক্সে জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর সোনা এবং রুপো। মন্দিরে মোট ছয়টি দানপাত্র রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে চারটি আরও দানপাত্র। এখনও পর্যন্ত মোট জমা পড়েছে ৫০ কোটি টাকা। প্রত্যেক দিন গড়ে দেড় কোটি টাকা জমা পড়ছে। এরমধ্যে রয়েছে নগদ এবং চেক। প্রতিদিন ব্যাঙ্কের দশজন এবং মন্দিরের চার জন কর্মী টাকা পয়সা গোনার কাজ করছেন।

    বৃন্দাবন-পুরী-তিরুপতি-কামাখ্যার তুলনায় অনেক ভিড়

    রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ জানিয়েছে, দেশের আর কোনও মন্দিরে এক মাসে এত বিপুল সংখ্যায় ভক্ত সমাগম হয়নি। রাম মন্দির নিয়ে দেশের সকল মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা শুরু হয়েছে। মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভক্তদের অবিরাম প্রবাহ চলছে। বারাণসী, মথুরা, বৃন্দাবন, পুরী, তিরুপতি, কামাখ্যার তুলনায় অযোধ্যার ভিড় অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। আবার মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন, মন্দির ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মাঝে দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিশ্রামের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাম জন্মভূমি দর্শনের জন্য আস্থা ট্রেন চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    Recruitment Scam: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে ফের বিচারপতির তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার ৷ সোমবার গোথা হাইস্কুল মামলায় তদন্তকারী সিটের সদস্যরা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দেন। কিন্তু সকল ডিআই-দের রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। এরপরই নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের উদাসীনতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিন এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হতে তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিচারপতি।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    শিক্ষকের নিয়োগে (Recruitment Scam) বেনিয়মের অভিযোগ যাচাই করতে তদন্ত করছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)। এদিন সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তোলেন, “সিআইডি কী তদন্ত করছে? তিনজনের সিট গঠিত হয়েছে। সুতি সহ আরও যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেই তদন্ত কতদূর এগিয়েছে? স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দিন শেখ কি গ্রেফতার হয়েছেন?” উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী রুদ্র নন্দী জানান, “সিটের সদস্যদের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্ত করছে। গোথা হাই স্কুলে বাবা ও ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। আব্দুল রাকিবকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলেই এই স্কুলের শিক্ষক ও ক্লার্ক হিসাবে কাজ করতেন। এছাড়াও জাসমিনা খাতুন নামে আর একজন গ্রেফতার হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, আজ তিন রাজ্যের ১৫ আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন

    ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির

    বিচারপতি বসু বলেন, “সমস্ত জেলার ডিআইদের রিপোর্ট কোথায়? আদালত জানতে চায় তারা কী তথ্য দিচ্ছে?” রাজ্যের তরফে জানানো হয়, রিপোর্ট তৈরি হলেও এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আরও সময় দেওয়া হোক। রাজ্যের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কী অদ্ভুত! আমি কীভাবে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে আমার প্রশ্নগুলো করব? আজ সেই রিপোর্ট নিয়ে এলে মামলাটা এগিয়ে যেত। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম এত উদাসীন! হচ্ছেটা কী?” এরপর রাজ্যকে সতর্ক করে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন ডিআই-দের রিপোর্টের সঙ্গে রাজ্যকে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “আমেরিকা করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কানাডা”, ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “আমেরিকা করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কানাডা”, ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে আমেরিকা। করছে তদন্তও। তবে এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষপ করছে না কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। গত কয়েক মাসে কানাডা ও আমেরিকায় ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। হামলা চালানো হয়েছে হিন্দু মন্দিরেও। তার পরেই বাইডেন সরকার পদক্ষেপ করলেও, করেনি ট্রুডো সরকার। সোমবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন জয়শঙ্কর। ভারত-কানাডা সম্পর্ক এবং খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমাদের রাষ্ট্রদূতদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁদের প্রাণহানির ঝুঁকি ছিল। তাই আমরা কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন অবশ্য ভিসা দেওয়া ব্যবস্থা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আসলে বাক স্বাধীনতার নামে কূটনীতিকদের ভয় দেখানো যায় না।” তিনি বলেন, “এটা বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার বলে আমি মনে করি।  হাইকমিশনারদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। তাঁদের কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। ভারতের পতাকা নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হল, এটাকে কী বাক স্বাধীনতা বলা যায়?”

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে

    তিনি বলেন, “আমেরিকায়ও একই ধরনের হামলা হয়েছিল। সেই দেশে এই ঘটনার তদন্ত চলছে। যদি কানাডা কোনও পদক্ষেপ না করে, তবে সেটাকে একটা বার্তা হিসেবেই পড়তে হবে। যারা আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছে, যারা তাঁদের বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটিয়েছে, সেই সব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: কেষ্ট গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা আশা করি, সানফ্রান্সিসকোয় যেসব কালপ্রিট আমাদের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। আমরা আশা করি লন্ডনে আমাদের হাইকমিশনে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এও আশা করি, কানাডায় যারা আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    প্রসঙ্গত, গত বছর ১৯ মার্চ লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীরা। ওই বছরেরই জুলাই মাসে সান সানফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। আর সেপ্টেম্বরে কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছিল (S Jaishankar) বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share