Tag: Madhyom

Madhyom

  • Weather Update: ভরা বসন্তে ঝড়-শিলাবৃষ্টির ভ্রুকুটি রাজ্যে, জানুন কখন, কোথায়

    Weather Update: ভরা বসন্তে ঝড়-শিলাবৃষ্টির ভ্রুকুটি রাজ্যে, জানুন কখন, কোথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ওপর সক্রিয় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে ভোল বদলেছে বসন্তের (Weather Update)। ভরা বসন্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আজ, বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যের সব জেলায়ই। বৃষ্টির সঙ্গে কোনও কোনও জেলায় বইতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়া। দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছ। এদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও।

    উপভোগ্য হবে বসন্ত?

    তবে বৃষ্টি (Weather Update) হলেও, এখন আর কমবে না তাপমাত্রা। তাই উপভোগ্য হবে বসন্ত। বৃহস্পতিবার রাজ্যের গড় তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রির কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরের আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টি হতে পারে দফায় দফায়। আগামী পাঁচদিন রাজ্যের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। তাই গ্রীষ্মের ভ্রুকুটি নয়, বসন্তই উপভোগ করবেন বঙ্গবাসী।

    রাজ্যে শিলাবৃষ্টি 

    পূর্বাভাস মতো রাজ্যের প্রায় সবকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে বুধবারও। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হয়েছে শিলাবৃষ্টিও। শুক্রবার পর্যন্ত আবহাওয়া এরকমই থাকবে বলে পূর্বাভাস ছিল হাওয়া অফিসের। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকবে। তার জেরেই পরিবর্তন হবে আবহাওয়ার। আবহবিদদের একাংশের মতে, বৃষ্টির কারণও এটাই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতার বিবেকের মৃত্যু হয়েছে’’, সন্দেশখালিকাণ্ডে তীব্র আক্রমণ রবিশঙ্করের

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে পূবালি হাওয়ার সংঘাতের ফলেরই বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। অসমের ওপরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এগোচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে। শনিবার আরও একটি ঢুকবে বলেও পূর্বাভাস। তার জেরেই এই অকাল বর্ষণ। আজ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলার কিছু অংশে। শিলাবৃষ্টি হতে পারে মালদা, দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার কিছু অংশে (Weather Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ্যসচিব ও ডিজিকে নোটিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ্যসচিব ও ডিজিকে নোটিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-কে নোটিশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গত ৫ জানুয়ারি থেকে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। এখনও বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এদিকে, যাঁর বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি, সেই শাহজাহান শেখ এখনও অধরা। এ প্রসঙ্গে উদ্বিগ্ন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। এবার গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালিতে বিশেষ দল পাঠাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    নোটিশে কী বলেছে কমিশন

    ইতিমধ্যেই জাতীয় মহিলা, শিশু ও তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) ঘুরে গিয়েছে। এ বার সেখানে যাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলও। সেই সঙ্গে সন্দেশখালিতে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক এবং ডিজি রাজীব কুমারকে নোটিশও ধরিয়েছে কমিশন। রাজ্যের দুই শীর্ষ কর্তার থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিশন নোটিসে জানিয়েছে, সন্দেশখালিতে এক রাজনৈতিক নেতার আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা গ্রামবাসীরা আক্রান্ত হচ্ছে, মহিলারা যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছে। মহিলা, শিশু থেকে বয়স্করা নানাভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছে। অসামাজিক এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ স্থানীয় প্রশাসন। মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য সন্দেশখালি বিপজ্জনক বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।

    কী জানতে চাওয়া হয়েছে

    কমিশন জানিয়েছে, দুই কর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) তারা এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে। স্থানীয়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কী কী করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি ঘুরে দেখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশনের এক সদস্যের নেতৃত্বে শীঘ্রই একটি প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কবে সেই দল রাজ্যে আসবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা হয়নি। বুধবারই সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতায় এসেছেন জাতীয় তপসিলি উপজাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অনন্ত নায়েক। বৃহস্পতিবারই তিনি সন্দেশখালি যাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: লোকসভা নির্বাচন কবে? চলতি মাসের শেষেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Lok Sabha Election 2024: লোকসভা নির্বাচন কবে? চলতি মাসের শেষেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের (Lok Sabha Eection 2024) নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগে রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে মানুষ ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। আতঙ্কের পরিবেশ গ্রাম বাংলায়। বিরোধীদের এই অভিযোগে উদ্বিগ্ন জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই  দ্রুত, সম্ভবত চলতি মাসের শেষের দিকেই রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি অংশ।

    কবে আসছে বাহিনী

    গত লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Eection 2024) দিন ঘোষণার পরে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার অনেক আগেই চলে আসছে কেন্দ্রীয় জওয়ানেরা। এবার রাজ্যে নির্বাচনের সময় মোতায়েনের জন্য রেকর্ড ৯২০ কোম্পানি বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চেয়েছে কমিশন।  ৪ মার্চ রাজ্যে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ৫ মার্চ তারা বৈঠক করবে সব রাজনৈতিক দল, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে। সূত্রের দাবি, স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল বুথের তালিকা হাতে নিয়েই বৈঠকে বসতে চাইছে তারা। সে জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত স্পর্শকাতর, সংবেদনশীল বুথের তালিকাও চাওয়া হয়েছে জেলা শাসকদের কাছে। 

    আরও পড়ুন: প্রবল তুষারপাত! সিকিমে আটকে বহু, ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার সেনার

    কোথায় মোতায়েন বাহিনী

    কমিশন সূত্রে খবর, যে সমস্ত এলাকায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা আছে সেখানে রুট মার্চ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্পর্শকাতর বুথের উপর নির্ভর করেই লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আধা সেনা মোতায়েন করা হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের নিয়ে সশরীরে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী (Lok Sabha Eection 2024) আধিকারিক। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় যে অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে সেই এলাকাগুলিকে মার্ক করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। কমিশন সূত্রে খবর, এবারের বুথ-তথ্যের সঙ্গে ২০১৯-এর লোকসভা ও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরিস্থিতির তুলনা করা হবে। প্রয়োজনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘মমতার বিবেকের মৃত্যু হয়েছে’’, সন্দেশখালিকাণ্ডে তীব্র আক্রমণ রবিশঙ্করের

    Sandeshkhali: ‘‘মমতার বিবেকের মৃত্যু হয়েছে’’, সন্দেশখালিকাণ্ডে তীব্র আক্রমণ রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম জমানার অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছে মমতার রাজত্ব। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) মমতা সরকারকে কড়া নিশানা করলেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। বুধবার দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবেকের মৃত্যু হয়েছে ৷ তিনি কি এই ব্যাপারে কিছু লুকোতে চাইছেন?’’

    কেন ইন্ডি জোটের বাকি দলগুলি সন্দেশখালি ইস্যুতে চুপ?

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহান এখনও ফেরার। শাহজাহানকে রক্ষা করছে পুলিশই। এমন সন্দেহ করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। এই আবহে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। মহিলাদের উপর মারাত্মক যৌন নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। গণধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। রাজ্যজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন সন্দেশখালি ইস্যুতে। বিজেপির সদ্য সমাপ্ত জাতীয় অধিবেশনেও উঠে এসেছে সন্দেশখালি ইস্যু। এমনই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য প্রশাসনকে কড়া আক্রমণ করলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর প্রশ্ন, ‘ইন্ডি’ জোটের দলগুলি সন্দেশখালি নিয়ে চুপ করে রয়েছে কেন?

    মহিলাদের যৌন হেনস্থা, সমাজ ও গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার

    সাংবাদিক বৈঠকে প্রবীণ বিজেপি নেতা আরও বলেন, ‘‘সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যুটি দিনে দিনে আরও গুরুতর হয়ে উঠছে। মহিলাদের উপর যৌন হেনস্থা, অপমান আমাদের সমাজ ও গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে প্রত্যক্ষভাবে সন্দেশখালির ঘটনা সমর্থন করছেন, তাও এদিন বলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর কথায়, ‘‘অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামেদের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি অনির্দিষ্টকালীন ধরনায় বসেছেন। আজ তাঁর অত্যাচার, তাঁর পুলিশের নিপীড়ন সেই সময়ের সিপিএমের শাসনকালকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটা লজ্জাজনক। তাঁর বিবেক আজ কোথায়? আমার মনে হয় তাঁর বিবেকের মৃত্যু হয়েছে।’’ সোমবার রাতে সন্দেশখালিতে কর্তব্যরত অবস্থায় এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেন রবিশঙ্কর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Snowfall: প্রবল তুষারপাত! সিকিমে আটকে বহু, ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার সেনার

    Sikkim Snowfall: প্রবল তুষারপাত! সিকিমে আটকে বহু, ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুষারপাতে বিধ্বস্ত সিকিম (Sikkim Snowfall)। পূর্ব সিকিমের নাথুলায় হঠাতই প্রবল তুষারপাতের জেরে প্রায় ১৭৫টি যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন কলকাতা-সহ অন্যান্য স্থানের শতাধিক পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে। সেনা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

    উদ্ধারে সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কোর

    সেনা সূত্রে খবর, বুধবার আচমকাই উত্তর সিকিমের নাথুলা অঞ্চল-সহ বেশ কিছু এলাকায় ভারী তুষারপাত ঘটে। যার ফলে উত্তর সিকিমের সেই সব জায়গায় বেড়াতে আসা কলকাতা-সহ দেশের অন্যান্য অংশের বহু পর্যটক তুষারপাতের কবলে পরে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিরক্ষা দফতরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করতে, প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কোরের জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। নিরাপদে পর্যটকদের বার করে আনতে প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধপত্র, গরম খাবার এবং নিরাপদ পরিবহণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আটকে পড়া যানগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে, উদ্ধার করা হয়েছে আটক পর্যটকদেরও।

    সেনার সহমর্মিতায় আপ্লুত পর্যটকরা

    সকাল থেকে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও বিকেল থেকে পূর্ব সিকিমের নাথুলাতে ব্যাপক তুষারপাত শুরু হয়। অবিরাম তুষারপাতের ফলে কমে আসে দৃশ্যমানতা। বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল। আটকে পড়েন পর্যটকরা। শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় উদ্ধারে নামে সেনা। উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁদের ছাউনিতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়৷ তুষারপাত থেকে বাঁচতে পর্যটকদের হাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয়। সেনা জওয়ানদের এহেন ভূমিকায় আপ্লুত পর্যটকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fali Nariman: আইন জগতের ‘পিতামহ ভীষ্ম’ নরিম্যানের প্রয়াণে দেশজুড়ে শোকের ছায়া

    Fali Nariman: আইন জগতের ‘পিতামহ ভীষ্ম’ নরিম্যানের প্রয়াণে দেশজুড়ে শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুগের অবসান। প্রবীণ আইনজীবী ফলি স্যাম নরিম্যান (Fali Nariman) প্রয়াত হলেন বুধবার। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিভিন্ন মহলে। ভারতের আইন জগতে তিনি ছিলেন অন্যতম কিংবদন্তী। এদিন দিল্লিতে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুপ্রিম কোর্টের এই প্রবীণ আইনজীবী। জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী রবিশঙ্কর প্রসাদও শোকপ্রকাশ করেন নরিম্যানের মৃত্যুতে।

    এক পার্সি পরিবারে জন্ম হয় নরিম্যানের

    নরিম্যানের (Fali Nariman) জন্ম হয় সাবেক বর্মার রেঙ্গুনে (অধুনা মায়ানমারের ইয়াঙ্গন)। ১৯২৯ সালের ১০ জুলাই এক পার্সি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্কুল জীবন সম্পূর্ণ করেন সিমলায়। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য আসেন মুম্বইতে। তৎকালীন বম্বের সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন আইনজীবী। তার পর মুম্বইয়ের সরকারি কলেজে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কাডজ শুরু করেন বম্বে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসাবে।

    দেশের আইন জগতে তিনি ‘পিতামহ ভীষ্ম’

    ২২ বছর তিনি বম্বে হাইকোর্টে আইনজীবী (Fali Nariman) হিসাবে প্রাকটিস করেন। এরপর দিল্লিতে এসে সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেন তিনি। সেখানেই আইনজীবী হিসাবে দীর্ঘ দিন কাজ করেন। অনেক বড় বড় মামলায় তিনি সওয়াল করেছেন। আন্তর্জাতিক আইনজীবী মহলেও তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। দেশের আইন জগতে তিনি ‘পিতামহ ভীষ্ম’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩,৮০০ মানুষের। সেই মামলায় ইউনিয়ন কার্বাইডের পক্ষে মামলা লড়েন নরিম্যান। এই মামলা লড়ার জন্য পরে অবশ্য আক্ষেপও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে।

    পেয়েছেন একাধিক সম্মান

    আইন জগতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য নরিম্যান (Fali Nariman) পেয়েছেন একাধিক সম্মান। ১৯৯১ সালেই তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০০৭ সালে তিনি পান পদ্মবিভূষণ সম্মান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ছিলেন। ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দেশে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিলেন তিনি। তার পরই অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দেন। দীর্ঘ সময় ভারতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদও অলঙ্কৃত করেছেন নরিম্যান। ১৯৯৯ সালে তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে মনোনীত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কেআর নারায়ণন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: আখের ন্যায্য পারিশ্রমিক মূল্য বাড়ানো হল, বড় সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের

    Modi Government: আখের ন্যায্য পারিশ্রমিক মূল্য বাড়ানো হল, বড় সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আখের ন্যায্য পারিশ্রমিক মূল্য (ফেয়ার অ্যান্ড রেমুনারেটিভ প্রাইস বা এফআরপি) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। কৃষক আন্দোলনের আবহে এই সিদ্ধান্ত চাষিরা খুশি হবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। বুধবারই একথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র (Modi Government)। এফআরপি বাড়ানোর প্রভাব উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্যে পড়বে। এর মধ্যে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সীমান্তে কৃষক আন্দোলন দেখা গিয়েছে। মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মতো রাজ্যের আখচাষিরাও এর ফলে উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে আখচাষিরা ভালোই লাভবান হবেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে (Modi Government) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আখের এফআরপি কুইন্টাল পিছু ২৫ টাকা বাড়িয়ে ৩৪০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সেখানেই তিনি এই ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, অন্য ফসলের ক্ষেত্রে যা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), আখের ক্ষেত্রে সেটিই হল এফআরপি। এই মূল্যেই চাষিদের কাছ থেকে চিনিকলগুলি আখ কেনে। অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘‘আখ চাষিদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই ১০.২৫ শতাংশ দাম বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদিজির (Modi Government) এই পদক্ষেপ। আমরা আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করছি। ভবিষ্যতেও আলোচনা চলবে।’’

    বুধবারও কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রের

    জানা গিয়েছে, আখচাষের খরচ এবং মূল্য কমিশনের (সিএসিপি) সুপারিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সরকার এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আগেই আলোচনা করেছিল মোদি সরকার। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত সামনে এল। এরই মধ্যে গতকাল বুধবারও চণ্ডীগড়ের আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি মন্ত্রিসভার (Modi Government) দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে ৪ মার্চ। তার ঠিক আগের দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। চাণক্যপুরীর সুষমা স্বরাজ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে হবে ওই বৈঠক। এই বৈঠকে সব মন্ত্রীরই উপস্থিত থাকার কথা।

    লোকসভা নির্বাচন

    মাঝ-এপ্রিলে হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মাঝেমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়ন নিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী কি, কীভাবে কাজ করলে উন্নয়নে গতি আসবে, পলিশি তৈরি মূলত এসব নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে। চোদ্দর লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারও নির্বাচন হতে পারে ন’দফায় (PM Modi)। সেবার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছিল ৫ মার্চ। ফল ঘোষণা হয়েছিল ১৬ মে। উনিশের লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল সাত দফায়। সেবার নির্বাচন শুরু হয়েছিল ১০ মার্চ। ফল ঘোষণা হয়েছিল ২৩ মে।

    কুর্সিতে ফিরতে চলেছে বিজেপি

    গত দু’বারের মতো এবারও কেন্দ্রের কুর্সিতে ফিরতে চলেছে বিজেপি। নানা সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এ কথা বলেছেন। তিনি এও বলেছেন, আগের বারের চেয়েও এবার বেশি আসন নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি সরকার। সম্প্রতি এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই জয়ী হবে ৩৭০টি আসনে। আর এনডিএ পাবে ৪০০টি আসন। লোকসভার মোট আসন ৫৪৫টি হলেও, নির্বাচন হয় ৫৪৩টিতে।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে গোপন ফাইল গেল কেন্দ্রের কাছে, কী আছে তাতে?

    এই ৫৪৩টির মধ্যেই ৪০০ আসন পেয়ে তৃতীয় দফায় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে বিজেপি। চোদ্দর লোকসভা নির্বাচনে যখন কেন্দ্রের কুর্সিতে বিজেপি আসে, তখন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল ভারত। মোদি জমানায় ওই তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গাটা দখল করেছিল ইংল্যান্ড। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দাবি, এবার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকার তিন নম্বরে চলে আসবে ভারত। বর্তমানে এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। তার পরেই রয়েছে চিন। বিজেপির দাবি, এবার মোদি সরকার ক্ষমতায় এলেই চিনের পরেই জ্বলজ্বল করবে ভারতের নাম (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে গোপন ফাইল গেল কেন্দ্রের কাছে, কী আছে তাতে?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে গোপন ফাইল গেল কেন্দ্রের কাছে, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) হস্তক্ষেপ করতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। খুব শীঘ্রই এনআইএর তরফে দায়ের করা হতে পারে মামলা। সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও অধরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাঁর খোঁজে হন্যে তদন্তকারীরা।

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বহিরাগত সমাজবিরোধী যোগ!

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, সন্দেশখালিকাণ্ডে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের পাশাপাশি যোগ ছিল বহিরাগত সমাজবিরোধীদেরও। শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা, তার নেপথ্যে একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা রয়েছে।

    মহিলাদের নির্যাতন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। সিআরপিএফের দুই জওয়ানও আহত হন শাহজাহানের ছোড়া ইটের ঘায়ে। এর পরেই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মহিলারা (Sandeshkhali Case)। জোর করে জমি গ্রাস করার অভিযোগও তোলেন তাঁরা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই ছিল সন্দেশখালির মহিলাদের দিনলিপি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে একটি গোপন ফাইল পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ফাইলে সন্দেশখালি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে। ফাইল খোলা হলেই, প্রকাশ্যে আসবে সন্দেশখালিকাণ্ডের কালপ্রিটদের নাম। তদন্তের আঁচ লাগতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গায়েও। সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের পাঁচ আইএএস-আইপিএসকে তলব করেছিল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সন্দেশখালি এলাকা থেকে সীমান্ত খুব দূরে নয়। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনার যাবতীয় কিছু লুকোনো রয়েছে শাহজাহান ও তাঁর দুই শাগরেদের কাছে।

    শাহজাহানের শাগরেদরা গ্রেফতার হলেও, তৃণমূল নেতা অধরা। স্থানীয়দের একাংশের মতে, শাহজাহানই হল মূল চক্রী। উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরা নামে শাহজাহানের ওই দুই শাগরেদ (Sandeshkhali Case) সুন্দরী মহিলাদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি যেত বলে অভিযোগ। পরে দলীয় মিটিংয়ের অছিলায় পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হত তাঁদের। কিছুক্ষণ রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা বলার পর তাঁদের মধ্যে বাছাই করা কয়েকজনকে নিয়ে তাঁরা চলে যেতেন পার্টি অফিসে কিংবা বাগানবাড়িতে। তার পর শুরু হত নির্যাতন। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: স্পর্শকাতর বুথ ক’টি? জেলাশাসকদের কাছে তালিকা চাইল নির্বাচন কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: স্পর্শকাতর বুথ ক’টি? জেলাশাসকদের কাছে তালিকা চাইল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় প্রতিটি লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের অধীনে কতগুলি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে, জেলাশাসকদের কাছে সেই তালিকা চাইল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুধবারের মধ্যেই স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকার তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ২০১৯-এর তুলনায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা বেড়েছে কিনা, সেটাও জানতে চাইল কমিশন। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যার উপর নির্ভর করেই মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ

    আর মাস খানেকের অপেক্ষা। এগিয়ে আসছে লোকসভা ভোট। প্রতিটি রাজ্যেই প্রশাসনের কাছ থেকে আইন শৃঙ্খলার রিপোর্ট নেওয়ার কাজ চলছে। লোকসভা ভোটে শুধুমাত্র বাংলার জন্যই ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। স্পর্শকাতর বুথের উপর নির্ভর করেই লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আধা সেনা মোতায়েন হবে। তার জন্যই দ্রুত তালিকা চাইল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কেন্দ্রীক হিংসা ও তার পরবর্তী সময়ে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ একাধিকবার তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি৷ বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করাতে বারংবার অনুরোধ আগেও করা হয়েছে। ২০১৯-এর তুলনায় স্পর্শকাতর বুথ ও স্পর্শকাতর অঞ্চলের সংখ্যা কি বেড়েছে? তারও রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে ওই কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচনের সমস্ত পরিচালনার ভার কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ 

    আরও পড়ুুন: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, জেলায় জেলায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আগেও রিপোর্ট তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন। কোন জায়গায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে তার রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তরফে। এই বিষয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে গত সপ্তাহেই ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের নিয়ে সশরীরে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। জেলায় জেলায় যে অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে সেই এলাকাগুলিকে মার্ক করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার দিকে এবার বিশেষ নজর দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share