Tag: Madhyom

Madhyom

  • Ayhika Mukherjee: বিশ্ব টিটিতে বাঙালি মেয়ে ঐহিকার হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াল ভারত

    Ayhika Mukherjee: বিশ্ব টিটিতে বাঙালি মেয়ে ঐহিকার হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব টেবিল টেনিস  চ্যাম্পিয়নশিপে (World TT Championship) দুরন্ত ছন্দে রয়েছে ভারত। টানা তিনটে ম্যাচে জিতে প্লে অফে উঠলেন ঐহিকা মুখোপাধ্যায় (Ayhika Mukherjee), মোনিকা বাত্রা (Manika Batra)-রা। ভারতীয় মহিলারা ৩-২ হাঙ্গেরি, উজবেকিস্তানকে ৩-০ ও স্পেনকে ৩-২ হারাল। বুধবার রাউন্ড অফ ৩২-এ ইতালিকে ৩-০ ফলাফলে পরাজিত করে রাউন্ড অফ ১৬ য় পৌছেছে ভারত। এরপর ভারতের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী চিনা তাইপেই।

    ছন্দে নৈহাটির ঐহিকা

    স্পেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলকে টেনে তুলেছিলেন বাংলার মেয়ে ঐহিকা (Ayhika Mukherjee)। তাঁর হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় দল। এক সময় স্পেনের কাছে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল তারা। সেখান থেকে তৃতীয় সিঙ্গলস খেলতে নেমে জেতেন ঐহিকা। পরের দু’টি ম্যাচও জিতে যায় ভারত। গ্রুপের প্রথম খেলায় চিনের কাছে ৩-২ হারে ভারত। তবে বাংলার নৈহাটির মেয়ে ঐহিকা মুখোপাধ্য়ায় বিশ্বের (World TT Championship) এক নম্বর টেবিল টেনিস খেলোয়াড়কে হারিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। হাঙ্গেরির বিরুদ্ধেও হারের জায়গা থেকে ভারতকে উদ্ধার করেছিলেন ঐহিকা। এবার স্পেনের বিরুদ্ধে চাপের মুখে দলকে জেতালেন তিনি। ঐহিকার পরে মণিকা বাত্রা এবং শ্রীজা আকুলা জেতায় স্পেনকে ৩-২ হারায় ভারত। গ্রুপ ১-এ তিনটি জয় এবং একটি হার নিয়ে নকআউটের যোগ্যতা অর্জন করে ভারত। নক আউটের প্রথম ধাপে ইতালির বিপক্ষে অবশ্য ভারতের তিন কন্যাই জয় পায়।

    প্যারিস অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র!

    কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারলে প্যারিস অলিম্পিক্সের ছাড়পত্র পাবে ভারত। কিন্তু ভারতের কাছে কাজ মোটেই সহজ নয়। এবার ভারতের প্রতিপক্ষ র‌্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা চিনা তাইপেই। সেই দলে শক্তিশালী খেলোয়াড়েরা রয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে আয়োজেত বিশ্ব দলগত টেবিল টেনিসে (World TT Championship) ৪০টি দেশকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করে চলছে গ্রুপ পর্বের খেলা। ৮টি গ্রুপের রানার্স ও তৃতীয় স্থানে থাকা দল প্লে অফে একে অপরের সঙ্গে খেলে শেষ ১৬-তে খেলার যোগ্যতা পাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে কার্যত লেজেগোবরে দশা তৃণমূলের। এহেন আবহে সন্দেশখালি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে ‘খালিস্তানি’ গল্প ফেঁদেছে তৃণমূল। অন্তত এমনই অভিযোগ বিরোধীদের (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী একজন শিখ পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলার অভিযোগ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণ করার জন্য এডিজিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। অন্যথায় তাঁকে পরিণতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আড়ালে থেকে যা খুশি করতে পারে না রাজ্য পুলিশ।”

    ২৪ ঘণ্টা সময়

    অভিযোগ প্রমাণ করতে শুভেন্দু স্বয়ং এডিজি দক্ষিণবঙ্গকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলছেন, “কর্তৃপক্ষ যদি দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়, তবে মানহানির মামলা করব।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যেদিন সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন, সেদিন তাঁকে ধামাখালিতে বাধা দিতে এক শিখ আইপিএসকে মোতায়েন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইপিএস যশপ্রীত সিংহ তাঁকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেন। সেই সময় শুভেন্দু খালিস্তানি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেন শুভেন্দু।

    মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি

    তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ প্রমাণ করতে বলেছেন এডিজিকে। তা না হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্য পুলিশের এডিজি সুপ্রতীম সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি সুপ্রতীম সরকারকে চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিলাম। যদি ওই সময়ের মধ্যে ধামাখালিতে পুলিশ অফিসারকে আমি খালিস্তানি বলেছি তা প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে আমি রাজ্য পুলিশের এডিজি সুপ্রতীম সরকারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।”

    আরও পড়ুুন: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    মঙ্গলবার সুপ্রতীম বলেন, “জনৈক পুলিশ অফিসার যশপ্রীত সিংকে যেভাবে খালিস্তানি বলেন আক্রমণ করা হয়েছে, তা তাঁর এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে আক্রমণ করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা এমন মন্তব্য করতে পারেন না। আমরা বিরোধী দলনেতার খালিস্তানি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনি যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।” শুভেন্দু বলেন, “সন্দেশখালিতে যেভাবে আমার যাওয়ার পর জন সুনামি হয়েছিল, তা থেকে নজর ঘোরাতেই প্লট তৈরি করা হয়েছে (Suvendu Adhikari)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করতে এবং ভালো পোস্টিং পেতে নিজে এ কথা বলেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • FRCV: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    FRCV: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন পাল্টে যাচ্ছে যুদ্ধের ধরন ও গতিপ্রকৃতি, ঠিক তেমন ভাবেই পাল্টাতে থাকছে সামরাস্ত্রও। প্রতিনিয়ত আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজ নিজ অস্ত্র থেকে শুরু করে সামরিক যান ও যন্ত্রপাতিকে আধুনিক যুদ্ধের যুগোপযোগী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিটি দেশ। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। আর সেই দিশায় এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। সূত্রের খবর, বুড়ো হয়ে যাওয়া রুশ-নির্মিত ‘টি-৭২’ যুদ্ধট্যাঙ্ককে (T-72 Battle Tank) অবসরে পাঠিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ট্যাঙ্ক (FRCV) কেনার দিকে হাত বাড়াল ভারত।

    ঠিক কী জানা যাচ্ছে?

    দীর্ঘদিন ধরেই স্থলসেনার মেকানাইজড ও আর্মার্ড ডিভিশনকে অত্যাধুনিক সামরাস্ত্রে সজ্জিত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর সেই প্রক্রিয়ার অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে মান্ধাতার আমলের ‘টি-৭২’ যুদ্ধট্যাঙ্ককে (T-72 Battle Tank) অবসরে পাঠিয়ে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিসম্পন্ন একেবারে সর্বাধুনিক ‘ফিউচার রেডি কমব্যাট ভেহিক্যল’ বা সংক্ষেপে ‘এফআরসিভি’-কে (FRCV) অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এই বিশেষ যুদ্ধট্যাঙ্কটি দেশীয় প্রযুক্তির, এবং এর উৎপাদনও দেশেই হবে।

    ১৭৭০টি এফআরসিভি তৈরি হবে

    সূত্রের খবর, মোট ১৭৭০টি এমন এফআরসিভি তৈরি হবে। প্রতিটি এফআরসিভি প্রযুক্তিগতভাবে অনেকটাই উন্নত হবে। এতে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম যুক্ত করা হবে, যা আধুনিক রণকৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জানা গিয়েছে, এতে থাকবে— কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কম্পিউটার, ড্রোন ইন্টিগ্রেশন, অ্যাক্টিভ প্রোটেকশন সিস্টেম এবং আরও উন্নত পরিস্থিতি মূল্যায়নের ক্ষমতা। জানা গিয়েছে, এই এফআরসিভি-র (FRCV) অন্তর্ভুক্তি তিনটি পর্যায়ে হবে। প্রতিটি পর্যায়ে নতুন সংস্করণ মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি সংস্করণ তার পূর্বসূরির তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে অধিক উন্নত এবং বেশি শক্তিশালী হবে।

    আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    বরাদ্দ ৫৭ হাজার কোটি টাকা

    সূত্রের খবর, এই ১৭৭০টি এফআরসিভি অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রকল্পে খরচ হবে আনুমানিক ৫৭ হাজার কোটি টাকা। জানা যাচ্ছে, এই এফআরসিভিগুলিতে চালক থাকবেন। তবে, একইসঙ্গে ভবিষ্যতের কথা ভেবে চালকবিহীন ভার্সানের সংস্থানও রাখা হচ্ছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে প্রযুক্তি ও যোগাযোগ-নির্ভর। ফলে, এফআরসিভি-তে (FRCV) এই দুটি বিষয়ের ওপর ভীষণ জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সামরিক যানে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে যে কোনও পরিস্থিতিতে তার সঙ্গে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ে।

    আরও শক্তিশালী হচ্ছে অর্জুন

    তবে, যতদিন না এফআরসিভির (FRCV) অন্তর্ভুক্তিকরণ সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততদিন বর্তমানে ব্যবহৃত ট্যাঙ্কগুলিকে আরও শক্তিশালী করা হবে। এই মর্মে, ১১৮টি দেশীয় ‘অর্জুন মার্ক-১এ’ ট্যাঙ্কগুলির অস্ত্রসম্ভার থেকে শুরু করে তার সুরক্ষা, সহনশীলতা এবং ক্ষিপ্রতা আরও বাড়ানো হবে। এর পাশাপাশি, প্রোজেক্ট জোরাবর-এর অন্তর্গত নির্মিত ৩৫৪টি দেশীয় হাল্কা ট্যাঙ্ককে চিন-সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়া, বর্তমানে ব্যবহৃত টি-৭২ ট্যাঙ্কগুলিতে আরও শক্তিশালী ১০০০ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ananya Banerjee: ভাবাবেগে আঘাত! তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যার বিরুদ্ধে পথে বিজেপি

    Ananya Banerjee: ভাবাবেগে আঘাত! তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যার বিরুদ্ধে পথে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সোমবার কলকাতা পুরনিগমের বাজেট অধিবেশনে তৃণমূল কাউন্সিলর তথা অভিনেত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় (Ananya Banerjee) খ্রিস্ট ধর্মের ফাদার ও নানদের সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেন। শোনান ‘যৌনগন্ধী’ গল্পও। তৃণমূল কাউন্সিলরের এমন মন্তব্যের কারণে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার তরফ থেকে বুধবারই নিউ মার্কেট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতারির দাবিও তুলেছে গেরুয়া শিবির। এদিন ঘটনার প্রতিবাদে হাজরা মোড় থেকে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পুলিশ আটক করে বিজেপি নেতাদের। ঘটনা নিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরের অন্দরে।

    আরও পড়ুুন: হাজার কোটির সাইবার ‘প্রতারণা’! ‘কিংপিন’ কুণালের একাধিক ডেরায় হানা ইডির

    কী বলছেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি চার্লস নন্দী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সংগঠনের তরফে নিউ মার্কেট থানায় অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। ওনার (Ananya Banerjee) পদত্যাগ দাবি করছি। দল থেকে বহিষ্কারেরও দাবি তুলছি।’’

    অনন্যার আপত্তিকর মন্তব্য, প্রতিবাদে বিজেপি কাউন্সিলররা

    গত সোমবার পুরসভার বাজেট বিতর্কে পশ্চিমী সংস্কৃতিতে ‘ফাদার’ এবং ‘নান’দের সম্পর্ক নিয়ে নানা গল্পের কথা উল্লেখ করেছিলেন অনন্যা (Ananya Banerjee)। এর পরে একটি গল্পও শোনান তিনি। সেই ‘যৌনগন্ধী’ গল্পে বাইবেলের ১১২ নম্বর অধ্যায়ে ‘গভীরে যাও, আরও গভীরে যাও’ বাণী রয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূল কাউন্সিলর। এখানেই ওঠে বিতর্ক। সেই সময়েই প্রতিবাদ জানান সজল ঘোষ সমেত অন্যান্য বিজেপি কাউন্সিলররা। এর পাশাপাশি ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী তৃণমূল কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্যের সঙ্গেও অনন্যার বাদানুবাদ বেঁধে যায়। সেই ইস্যুতে এবার আন্দোলনে নেমে পড়ল বিজেপিও। এ বার অনন্যার বলা গল্প নিয়েই পুলিশে তাঁর কাছে গ্রেফতারির আবেদন জানাতে এফআইআর দায়ের করা হল রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশন, নবান্নর রিপোর্ট তলব

    Sandeshkhali: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশন, নবান্নর রিপোর্ট তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় তফশিলি কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে ফিরেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছিল। জাতীয় মহিলা কমিশনও সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাইসিনা হিলসে। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এবার সন্দেশখালি যাচ্ছে জাতীয় আদিবাসী কমিশন।

    বুধবারই চিঠি দেওয়া হয়েছে নবান্নকে

    বুধবারই জাতীয় আদিবাসী কমিশন একটি চিঠি দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এক আদিবাসী মহিলা এবং এক আইনজীবীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মর্মেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি রাজীব কুমারের কাছ থেকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একটি রিপোর্টও তলব করছে আদিবাসী কমিশন। চিঠিতে তিন দিনের মধ্যে ওই রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন। অন্যথায় রাজীব কুমার এবং গোপালিককে সশরীরে দিল্লিতে কমিশনের হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানোও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। না এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে কমিশন। সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচার, জমি দখল সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করেছে সরকার এবং রাজ্য পুলিশ তা জানাতে হবে কমিশনকে।

    সন্দেশখালিতে একের পর এক কমিশন

    গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি অশান্ত সন্দেশখালি গিয়েছিলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। সেখানে ওই প্রতিনিধি দলকে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এর ঠিক ৪ দিন পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সংবাদমাধ্যমের সামনে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘দিনের পর দিন মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে। ১৮টা অভিযোগ পেয়েছি। দু’জন ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের উপর মানুষের আস্থা নেই। আমাকে ধরে গ্রামের মহিলারা কাঁদছেন। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া কোনও উপায় নেই।’’ তফশিলি কমিশন, মহিলা কমিশনের পরে এবার সন্দেশখালিতে পা পড়তে চলেছে আদিবাসী কমিশনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন শাসক নিরো। প্রায় একই ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবাংলায়ও। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বাহিনীর অত্যাচারে যখন অশান্তির আগুন জ্বলছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে, তখন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় একটি রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নেবেন তিনি। সেই শোয়েরই শ্যুটিং চলছে হাওড়ায়।

    শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত!

    জানা গিয়েছে, এই শোয় নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন না সেখানকার নির্যাতিতাদের কথা শুনতে। তিনি দিদি নং ১ এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত।” ‘দিদি নম্বর ১’ শীর্ষক রিয়েলিটি শোয়ে যোগ দিয়ে জীবন সংগ্রাম কিংবা সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরেন মহিলারা। দিন কয়েক আগে রচনাকে নবান্নে দেখা যায়। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি দিদি নম্বর ওয়ানে অংশ নিতে তিনি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে? এ ব্যাপারে অবশ্য রচনা কিছু বলেননি (Sukanta Majumdar)। মুখ খোলেননি তৃণমূল নেত্রীও।

    নেপথ্য কথন

    রেশন বিলিকাণ্ডে কেলেঙ্কারির জেরে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থেকেও ইডির আধিকারিকদের ঘরে ঢুকতে দেননি শাহজাহান। পরে শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। চারজনকেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এর পরে পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    শাহজাহান এলাকা ছাড়তেই তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সোচ্চার হন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, মিটিংয়ের কথা বলে রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত তাঁদের। পরে বাছাই করা কয়েকজনকে রেখে বাকিদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত। যাঁদের রেখে দেওয়া হত, তাঁদের হয় পার্টি অফিসে, নয় বাগান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত। যাঁরা তাঁদের ডাকে সাড়া দিতেন না, তাঁদের বাড়িতে সাদা থান কাপড় পাঠিয়ে দেওয়া হত। নির্যাতিতাদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার বদলে শ্যুটিং করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সুপ্রিমো।

    সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ (পড়ুন রাজ্য)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Ameen Sayani: বিনাকা গীতমালা খ্যাত প্রবীণ বেতার উপস্থাপক আমিন সায়ানির জীবনাবসান

    Ameen Sayani: বিনাকা গীতমালা খ্যাত প্রবীণ বেতার উপস্থাপক আমিন সায়ানির জীবনাবসান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন ভারতীয় বেতারের কণ্ঠ, উপস্থাপক আমিন সায়ানি (Ameen Sayani) । মঙ্গলবার মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দীর্ঘ দিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। রেডিও এবং বিনোদন জগতে আমিন সায়ানির অবদান অপরিসীম। তাঁর অনুষ্ঠান ‘বিনাকা গীতমালা’এক অনবদ্য সৃষ্টি। অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে সম্প্রচারিত আইকনিক অনুষ্ঠান গীতমালার উপস্থাপক ছিলেন আমিন। রেডিয়ো শোটিকে জনপ্রিয়তার উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পিছনে আমিনের অবদান ভোলার নয়।

    বার্ধক্যজনিত অসুখে  প্রয়াত

    আমিনের পুত্র রাজিল সায়ানি জানান মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দক্ষিণ মুম্বইতে নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন প্রবীণ বেতার শিল্পী। তিনি গত ১২ বছর ধরে পিঠে ব্যথা ও বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। তাঁকে চলাফেরার জন্য ওয়াকার ব্যবহার করতে হতো। পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে আমিনের। কিছু আত্মীয়ের জন্য অপেক্ষা করছে পরিবার। তাঁরা এলেই শেষ বিদায় জানানো হবে আমিনকে। প্রায় ৫৪ হাজার রেডিও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন আমিন। বিজ্ঞাপনের জগতেও তাঁর ভয়েসওভারের সংখ্যা ১৯ হাজারেরও বেশি।  তিনি ‘ভূত বাংলা’, ‘তিন দেবিয়ান’ এবং ‘কাতল’-এর মতো চলচ্চিত্রেও ঘোষক হিসেবে কাজ করেছেন।

    আরও পড়ুন: ‘বিরুষ্কা’র কোলে দ্বিতীয় সন্তান, ছেলেন নাম ‘অকায়’, জানালেন কোহলি

    আমিনের কীর্তি

    ১৯৩২ সালের ২১ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন আমিন (Ameen Sayani)। বেতার জগতে তাঁর সফর শুরু হয় মূলত ইংরেজি উপস্থাপক হিসেবে। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তিনি হিন্দি উপস্থাপনার উপর বেশি জোর দেন। নিজস্ব ব্যারিটোন কণ্ঠস্বরের জন্য শ্রোতাদের মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যেই আমিন পরিচিত হয়ে ওঠেন। তবে ১৯৫২ সালে আমিনকে (Ameen Sayani) প্রচারের আলোয় নিয়ে আসে জনপ্রিয় বেতার সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘বিনাকা গীতমালা’। সেই সময়ে বলিউডের জনপ্রিয় গানের সঙ্গে তাঁর কণ্ঠস্বরের যুগলবন্দি দেশের মানুষের মন জয় করে নেয়। “নমস্কার ভাইয়োঁ অউর বহেনো, ম্যায় আপকা দোস্ত আমিন সায়ানি বোল রাহা হুঁ।” তাঁর এই ডাকে সবকিছু ফেলে রেখে রেডিও সেট অন করা ছিল শ্রোতাদের একমাত্র কাজ। এই অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রেডিয়োতে তা নিয়মিত সম্প্রচারিত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০০ ও ২০০১ সালে কিছু পরিবর্তন করে পুনরায় অনুষ্ঠানটিকে ফিরিয়ে আনা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত নাড্ডা, শমীক সহ বিজেপির ২০ প্রার্থী

    Rajya Sabha: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত নাড্ডা, শমীক সহ বিজেপির ২০ প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাজ্যসভার (Rajya Sabha) ৫৬টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যে ৪১টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। যারমধ্যে ২০ জন প্রার্থী রয়েছেন গেরুয়া শিবিরের। বাকি কংগ্রেসের ৬ জন, তৃণমূল কংগ্রেসের ৪ জন, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ৩ জন, আরজেডি এবং বিজেডি থেকে ২জন এবং এনসিপি, শিবসেনা, বিআরএস এবং জেডিইউ থেকে একজন করে প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পৌঁছে গেলেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। গুজরাট থেকে রাজ্যসভায় এলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও।

    রাজ্যসভায় শমীক, মঙ্গলবারই নেন শংসাপত্র

    প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার ছিল রাজ্যসভা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। বিকেল তিনটে নাগাদ মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হয়। এরপরেই বিজেপির প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য বিধানসভায় আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গের বিধায়ক দীপক বর্মন ও বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। রিটার্নিং অফিসারের ঘরে ঢুকে জয়ের শংসাপত্র নেন শমীক। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যে বিরোধী দল হয় বিজেপি। এটা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের ২ জন গেলেন রাজ্যসভায় (Rajya Sabha)। এর আগে রাজ্য থেকে অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দিয়েছিল বিজেপি। রিটার্নিং অফিসারের ঘর থেকে বেরিয়ে শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “আমি রাজ্যের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাদের দলকে এতটা শক্তি দিয়েছে যে, এ রাজ্য থেকে বিজেপি নিজেদের রাজ্যসভার সাংসদ পাঠাতে পারছে। এ ছাড়াও আমার দল ও দলের বিধায়কদের ধন্যবাদ জানাব, আমাকে মনোনীত করা ও সমর্থন জানানোর জন্য।”

    গুজরাট থেকে জয়ী জেপি নাড্ডা

    গুজরাট থেকে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পৌঁছলেন রাজ্যসভায় (Rajya Sabha)। তিনি ছাড়াও যশোবন্ত সিং পারমার, মায়াঙ্ক নায়ক এবং গোবিন্দভাই ঢোলাকিয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। রাজস্থান থেকে বিজেপির চুন্নিলাল গারাসিয়া এবং মদন রাঠোর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মহারাষ্ট্র থেকে, বিজেপির মেধা কুলকার্নি এবং অজিত ঘোপচাড়ে, শিবসেনার মিলিন্দ দেওরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উত্তরাখণ্ড থেকে বিজেপি প্রার্থী মহেন্দ্র ভাট, হরিয়ানার সুভাষ বারালা, ছত্তিসগড় থেকে দেবেন্দ্র প্রতাপ সিং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রসঙ্গত বর্তমানে উচ্চকক্ষে বিজেপির ৯৩ জন সাংসদ রয়েছেন যেখানে কংগ্রেসের রয়েছেন ৩০ জন। রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদরা ৬ বছরের জন্য নির্বাচিত হন এবং এটি একটি স্থায়ী সভা যা কখনও ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। প্রতি দু বছরে এক-তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    Pakistan: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের মতো ভাঙতে পারে পাকিস্তান। ঢের আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রায় একইরকম সম্ভাবনার কথা মনে করিয়ে দিলেন তালিবান আফগানিস্তানের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই। পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম দেখেছিল পাকিস্তান। ফের একই অবস্থা হতে পারে।”

    শরণার্থীদের পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ

    গত অক্টোবরের শুরুর দিকে প্রায় ১৭ লক্ষ শরণার্থীকে পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বরের এক তারিখের মধ্যেই তাঁদের পাকিস্তান ছাড়তে বলা হয়েছিল। এই শরণার্থীদের সিংহভাগই আফগান। মূলত তার পর থেকেই আফগানিস্তানের তালিবান শাসক ও ইসলামাবাদের বিবাদ তুঙ্গে উঠেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পড়শি দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এহেন আবহেই মিলল হুঁশিয়ারি। আফগানিস্তানে তালিবানের বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী পাকিস্তানই। এক সময় তালিব নেতাদের আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তানই (Pakistan)। সাহায্য করেছে অর্থ দিয়েও। সময় গুণে সেই তালিবরাই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন আফগান মন্ত্রী?

    ১৬ ফেব্রুয়ারি এক জনসভায় শের মহম্মদ বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশটি শরণার্থীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে নিষ্ঠুরের মতো। সবাইকে বলা হচ্ছে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে।” এর পরেই তিনি বলেন, “যেভাবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান দু টুকরো হয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে।” আফগান তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আফগান শরণার্থীদের প্রতি পাকিস্তানের এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুুন: হাজার কোটির সাইবার ‘প্রতারণা’! ‘কিংপিন’ কুণালের একাধিক ডেরায় হানা ইডির

    শের মহম্মদ বলেন, “আমরা কখনওই ডুরান্ডকে স্বীকৃতি দিইনি। একে কখনও স্বীকৃতি দেবও না। আজ আফগানিস্তানের অর্ধেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুরান্ড লাইনের অন্য দিকে রয়েছে আরও একটি অংশ। এই ডুরান্ড লাইন টেনেছিল ইংরেজরা। তারা এটা করেছিল আফগানদের বুকের ওপর দিয়ে।” তিনি বলেন, “আর আজ? আমাদের প্রতিবেশী দেশটি (Pakistan) শরণার্থীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে নিষ্ঠুরভাবে। তাঁদের বলা হচ্ছে দ্রুত তাঁদের স্বদেশে ফিরে যেতে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এই ঔদ্ধত্যের জেরে আরও একবার ভাঙন দেখতে হবে পাকিস্তানকে, যেমনটা দেখতে হয়েছিল ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের জন্মের সময়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট বাঁধা নিয়ে জল্পনা চলছে। এই আবহে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর থানার পানিপিয়া এলাকায় এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম এনামুল মণ্ডল। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনামুলসাহেব ও তাঁর ছেলেরা পঞ্চায়েত ভোটে জোট প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন। সেই সময় থেকে চলত হুমকি। তারপর ছেলেরা কেরলে কাজে চলে যায়। মঙ্গলবার রাতে এনামুল তাঁর বাড়ির সামনের একটি মুদিখানা দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরেই বাঁশ, লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় এনামুলকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছেন এনামুলকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা মারধর করে। পরে, এলাকা ছেড়ে ওরা পালায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের জেলা (Murshidabad) সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, এটা গ্রাম্য বিবাদ। আর সেটাকেই রাজনীতির রং চড়ানো হচ্ছে। তাই, গ্রামের সাধারণ বিবাদের সঙ্গে যদি রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সে সব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া খুব মুশকিল। মৃত্যুর ঘটনা সমর্থন করা যায় না। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আইন আইনের কাজ করবে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলকে জড়ানো ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share