Tag: Madhyom

Madhyom

  • Sukhoi-30 MKI: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    Sukhoi-30 MKI: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) প্রধান স্তম্ভ সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান। রুশ-নির্মিত এই যুদ্ধবিমানের বড় আধুনিকীকরণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিমানে যেমন যুক্ত হতে চলেছে নতুন রেডার, মিশন কন্ট্রোল সিস্টেম। তেমনই এতে বাড়ানো হচ্ছে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সক্ষমতা এবং আধুনিক ও পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্রবহণের ক্ষমতা। 

    ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

    সূত্রের খবর, এই বিশাল প্রকল্পের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) — যৌথভাবে এই আধুনিকীকরণের কাজ করবে। পাশাপাশি, এই প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহকারী হিসেবে যুক্ত হবে দেশের বেসরকারি সংস্থাও। 

    ২ পর্বে হবে আধুনিকীকরণ

    সম্প্রতি, দুদিকের শত্রু থেকে দেশের আকাশকে রক্ষা করতে এবং আধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে এই প্রকল্পকে দ্রুত সম্পন্ন করতে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। জানা গিয়েছে, মোট ২ পর্বে এই প্রকল্প সম্পন্ন করা হবে। প্রথম পর্বে যুদ্ধবিমানের (Sukhoi-30 MKI) এভিয়োনিক্স ও রেডার সিস্টেম উন্নত করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নত করা হবে ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ওপর জোর

    প্রতিরক্ষায় ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর ফলে, দেশীয় প্রযুক্তি ও অস্ত্র-সরঞ্জাম উৎপাদন থেকে শুরু করে কেনা ও ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আধুনিকীকরণের সিংহভাগে পুরনো সেকেলে রুশ সরঞ্জামকে সরিয়ে দেশীয় সিস্টেম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। 

    দেশীয় রেডার ও ইডব্লু সিস্টেম

    যেমন, সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত রুশ রেডারের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষম দেশীয় ‘উত্তম’ রেডার। এর পাল্লাও অনেকটাই বেশি। আধুনিকীকরণের প্রথম পর্যায়ে বিমানে নতুন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার (ইডব্লু) সিস্টেম বসানো হবে। এর ফলে, শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে অকেজো করা আরও সহজ হবে। পাশাপাশি, আকাশ থেকে আকাশ ও আকাশ থেকে ভূমিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুল টার্গেট করতে বসানো হচ্ছে দেশে তৈরি অত্যাধুনিক মানের নতুন ইনফ্রা-রেড ট্র্যাক অ্যান্ড সার্চ সিস্টেম।

    দেশেই তৈরি হচ্ছে আরও সুখোই

    ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force) ২৭০-এর বেশি সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান রয়েছে, যা রাশিয়া থেকে কিনেছে ভারত। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৯০টি বিমানের আধুনিকীকরণ হবে, যা শুরু হতে চলেছে চলতি বছরেই। পরের ধাপে ধীরে ধীরে সবকটি বিমানের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এর পাশাপাশি, ১১ হাজার কোটি টাকায় আরও ১২টি যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সেগুলি তৈরি হচ্ছে এদেশেই। হ্যাল-এর কারখানায় সেগুলি উৎপাদন হচ্ছে, যাতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দেশীয় যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে বন্দিরা কলঙ্কিত হন’’, সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে বন্দিরা কলঙ্কিত হন’’, সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সংশোধনাগারে অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant in Jail) হচ্ছেন মহিলারা! মহিলা বন্দিদের সঙ্গে এখন ১৯৬ শিশু রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সব পক্ষকে নিয়ে রাজ্যকে বৈঠকে বসতে হবে। সেখান থেকে কী উঠে এল, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-কে তা নিয়ে আগামী ৮ মার্চ আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। 

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এই ধরনের অভিযোগের কী সামাজিক প্রভাব পড়তে পারে তা আমরা জানি। এটা মহিলাদের কালিমালিপ্ত করার চরম পথ। এমনিতেই তাঁরা অভিযুক্ত হয়ে জেলে। এই পরিস্থিতিতে এমন একটা অভিযোগ যদি সামনে আনা হয় সেক্ষেত্রে তা তাঁদের আরও বেশি কলঙ্কিত করতে পারে। এটা দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের আরও বেশি করে মাথায় রাখা জরুরি।’ মঙ্গলবার আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জের সওয়াল, জেলে ঢোকার পরে মহিলাদের পুরুষ বন্দিদের সেলের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলাদের জন্য আলাদা রাস্তা বা প্রবেশপথ নেই। এর ফলে অনেক সময় পুরুষ বন্দিরা হায়নার মতো আচরণ করেন। এটা আটকানো দরকার। আর মহিলা কয়েদিদের নিয়মিত ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’ করানো হোক।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    গর্ভধারণের পরীক্ষা নিয়ে নিজে থেকে কোনও নির্দেশ দেবে না বলে আদালত জানায়। বিচারপতি বাগচীর মন্তব্য, ‘‘এমন নির্দেশ আদালত একেবারেই দেবে না। কোনও মহিলা স্বেচ্ছায় চাইলে বা কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দিতে পারে। কিছু সমস্যা রয়েছে, তা থেকে বার হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রাজ্যের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার পরামর্শ দিন রাজ্যকে পুরুষ ও মহিলা বন্দিদের পথ আলাদা করা যায় কিনা।’’ এদিন বিচারপতি জানান, রাজ্যকে সমস্ত পক্ষের সঙ্গে বসতে হবে। সেখানেই বাড়তি বন্দি ভিড়, মহিলা বন্দি, জেলে বন্দি মৃত্যু, জেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অসুস্থ বন্দিদের মৃত্যু সহ নানা বিষয়ে সহমতের ভিত্তিতে একটি রূপরেখা তৈরি করার পর আদালত শুনানি করবে সমস্যা ধরে ধরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই”, ভূস্বর্গে বললেন মোদি

    PM Modi: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই”, ভূস্বর্গে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই।” মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূস্বর্গে এদিন ৩২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ, বিজেপির জম্মু-কাশ্মীর ইউনিটের প্রেসিডেন্ট রণবীর রায়না।

    চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র

    অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না জম্মু-কাশ্মীরের মৌলানা আজাদ স্টেডিয়ামে। এদিনের অনুষ্ঠানে দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ‘বিকশিত ভারত, বিকশিত জম্মু’ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বর্তমানে ৪৫ হাজারেরও বেশি ছেলেমেয়ে স্কুলের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে মেয়েদেরও।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আজ জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ আমার সঙ্গে কথা বলছেন এবং যে উচ্চকিত কণ্ঠে তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা নিঃসংকোচে আমায় বলছেন, তুলে ধরছেন তাঁদের সুখের কথা, এটা অভাবনীয়। আজ দেশের যে প্রান্তের মানুষই আমাদের এই কথোপকথন শুনছেন, তাঁর নৈতিকতা বোধ বৃদ্ধি পাবে, শক্তিশালী হবে বিশ্বাস।”

    মোদির গ্যারেন্টি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মোদির গ্যারান্টি চলতেই থাকবে। দেশে উন্নতি হতে থাকবে। যেভাবে কংগ্রেস কাশ্মীরকে নিয়ে রাজনীতি করেছিল, তা থেকে কাশ্মীরবাসীকে মুক্তি দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিকশিত ভারতের টার্গেট বজায় রাখতে কাশ্মীরকে সঙ্গে নিয়েই চলবে বিজেপি।” তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে গত ১০ বছরে যে হারে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, তা নজির সৃষ্টি করেছে।”

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের উন্নতির পথে প্রধান বাধা ছিল ৩৭০ ধারা। বিজেপি সেই বাধা অতিক্রম করেছে। দেশের অন্য অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবার কাশ্মীরেও সমানভাবে উন্নতি ঘটবে।” ৩৭০ ধারার ওপর একটি ফিল্ম বানিয়েছেন ইয়ামি গৌতম। সে প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি শুনেছি ৩৭০ ধারার ওপর একটি ছবি এই সপ্তাহেই মুক্তি পেতে চলেছে। এটা একটা ভালো বিষয়। চলচ্চিত্রটি দেখে মানুষ প্রকৃত তথ্য জানতে পারবেন।” ভূস্বর্গে এদিন একটি ইলেকট্রিক ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • India Vs England: রাঁচিতে নেই বুমরা! সুযোগের অপেক্ষায় বাংলার দুই তারকা পেসার

    India Vs England: রাঁচিতে নেই বুমরা! সুযোগের অপেক্ষায় বাংলার দুই তারকা পেসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাঁচি টেস্টে নেই বুমরা। বল হাতে টানা তিন টেস্টে ইংল্যান্ডের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। আপাতত তিনিই সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। কিন্তু বুমরাকে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য চতুর্থ টেস্টে রাঁচিতে বিশ্রাম দেওয়া হবে। তাঁর জায়গায় দলে ঢুকতে পারেন মুকেশ কুমার। আবার ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখা যেতে পারে বাংলার পেসার আকাশদীপকেও। 

    সিরাজের সঙ্গী কে   

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এগিয়ে ভারত। রাঁচিতে চতুর্থ টেস্ট। প্রথম তিন ম্যাচেই খেলেছেন জসপ্রীত বুমরা। চতুর্থ টেস্টে বিশ্রামের সম্ভাবনা বুমরার। রাজকোটেই সেই সম্ভাবনা ছিল। যদিও দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মাঝে ১০ দিনের বিরতি থাকায় বুমরাকে আর বিশ্রাম দেওয়া হয়নি। প্রথম টেস্টে বুমরার সঙ্গে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। বিশাখাপত্তনমে বুমরার বোলিং সঙ্গী হন মুকেশ কুমার। তৃতীয় ম্যাচে দেখা যায় ফের বুমরা-সিরাজ জুটিকে। চতুর্থ টেস্টে এই জুটি ভাঙতে পারে। মুকেশের লড়াইটা বাংলার হয়ে খেলা পেসার, আকাশ দীপের সঙ্গে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আকাশ দীপ। শুধু তাই নয়, ভারত এ দলের হয়ে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধেও চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করেছেন। মুকেশের তুলনায় তাঁর বলের গতি বেশি। টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকেও সুযোগ দিয়ে দেখতে পারে। হয়তো রাঁচিতেই বাংলা আরও এক টেস্ট ক্রিকেটার পেয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: শীর্ষে ওঠার সুযোগ মোহনবাগানের সামনে, ছয় নম্বরে চলে আসতে পারে লাল-হলুদ

    যশস্বীর যাদু

    ইংল্যান্ডের বোলিং ব্রিগেডকে তৃতীয় টেস্টে বেশ নিম্নমানের লেগেছে। জেমস অ্যান্ডারসনের মত তারকা পেসারকেও গলি স্তরে নামিয়ে এনেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ইংরেজ পেসারের এক ওভারে ২১ রান তুলেছিলেন যশস্বী।  রাজকোট টেস্টে একদিন বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত। সেই ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিশতরান করেছিলেন ভারতের তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। যশস্বী জয়সওয়াল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ২০৯ রান এবং তৃতীয় টেস্টে ২১৪ রান করেছেন। জয়সওয়াল এখনও পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ১৩ টেস্ট ইনিংসে ৮৬১ রান করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে যশস্বী যদি ১৩৯ রান করেন, তাহলে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০০ রান পূর্ণ করবেন। অর্থাৎ ১৪তম ইনিংসে সহস্রাধিক টেস্ট রান পূর্ণ করতে পারবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে মমতা-পুলিশ রক্ষা করছে বলে এবার সন্দেহ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় এই মন্তব্য করতে শোনা যায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে, না হলে তিনি পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন।’’

    শাহজাহানকে নিয়ে কেন্দ্র করে এত সমস্যা!

    প্রধান বিচারপতি পলাতক শাহজাহানকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এসে আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘শেখ শাহজাহানকে আমরা এই কোর্টে আসতে বলতে পারি। ইডি, সিবিআই এবং পুলিশ সবাই থাকবে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তাঁকে আমরা এখানে আত্মসমর্পণ করতে বলতে পারি। এত দিন ধরে ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এত সমস্যা। শাহজাহান প্রকাশ্যে এসে তো বলতে পারেন, এই সব অভিযোগ সঠিক নয়। কারও জমি নেওয়া হয়নি। তা না করে ওই ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদি তিনি পালিয়ে বেড়ান, তবে স্বাভাবিক ভাবে সমস্যা আরও বাড়বে। তাঁর সমর্থকেরাই সমস্যা তৈরি করতে পারে।’’

    মূল মাস্টারমাইন্ড শাহজাহান 

    এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্যে সন্দেশখালির মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে শাহজাহানের নাম। শাহজাহানকে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এক জন ব্যক্তি পুরো সমস্যার জন্য দায়ী। অথচ তিনি কিনা জনপ্রতিনিধি! মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন। যেখানে জনগণের স্বার্থে ওই ব্যক্তির কাজ করা উচিত, সেখানে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তিনি জনগণের ক্ষতিই করেছেন।’’

    পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ

    সন্দেশখালি ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) এবং তিনি বলেন, ‘‘মামলা দায়ের হয়েছে, অথচ রাজ্য পুলিশ তাঁকে (শাহজাহানকে) ধরতে পারছে না। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেল কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। কিন্তু তাঁকে সমর্থন করা উচিত নয় রাজ্যের।’’

    মামলায় যুক্ত করা হল ইডি-সিবিআইকে

    পাশাপাশি, এ দিনই প্রধান বিচারপতি সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত করেন ইডি এবং সিবিআইকে। প্রসঙ্গত, মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং জমি দখল করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেখানে। এবিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়। ওই মামলা এবার থেকে শুনবেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। আগামী সপ্তাহের সোমবারে এই মামলার শুনানি হবে। সেদিন মামলার সব পক্ষকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    সন্দেশখালি প্রেক্ষাপট

    গত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে তবে এখনও তিনি বেপাত্তা রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি সকালে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ জনের উন্মত্ত জনতা গাড়ি ভাঙচুর করে তাঁদের। মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয় ইডি অফিসারদের। এই ঘটনায় আবার ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ন্যাজাট থানায়। সেখানে শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এরপরেই সেখানে শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার নামের শাহজাহানের দুই শাগরেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সন্দেশখালির মানুষজন। হাজার হাজার মহিলা রাস্তায় নামেন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য রাজনীতিতে সন্দেশখালি নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: চিনা অর্থনীতির গতি শ্লথ, লাভের ফসল ঘরে তুলছে ভারত

    Indian Economy: চিনা অর্থনীতির গতি শ্লথ, লাভের ফসল ঘরে তুলছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা অর্থনীতির গতি শ্লথ। এরই ফসল কুড়োচ্ছে সাউথ এশিয়ান জায়ান্টস স্টক মার্কেট। লগ্নিকারীরা বিলিয়ন, বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছেন ভারতের স্টক মার্কেটে (Indian Economy)। অদূর ভবিষ্যতে চিনা অর্থনীতির গতি হবে আরও শ্লথ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আর্থিক নীতির সংস্কারের মাশুল গুণতে হতে পারে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটিকে। সেই কারণেই ভারতের স্টক মার্কেটের ওপর ভরসা করছেন বিনিয়োগকারীরা।

    অর্থনৈতিক সঙ্কট

    সম্প্রতি নয়া অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে বেজিং। মুদ্রাস্ফীতির পরিবর্তে সেখানে শুরু হয়েছে মুদ্রাসঙ্কোচন। তাই সে দেশের মুদ্রা ইউয়ানের দাম ক্রমশ চড়ছে। প্রত্যাশিতভাবেই দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে জিনিসপত্রের দাম। বাজারে জোগান রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। তবে সে দেশের বাসিন্দারা সঞ্চয়ী হওয়ায় কমছে চাহিদা। স্বাভাবিকভাবেই জিনিসপত্র বিকোচ্ছে জলের দরে। এতেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে ভেঙে পড়তে পারে দেশের (Indian Economy) অর্থনীতি। যার প্রভাব পড়বে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপরও।

    রফতানিতে জোর

    ইতিমধ্যেই চিনে শি জিনপিং সরকারের ওপর ঋণের বোঝা চেপেছে বিপুল পরিমাণে। তাদের সম্মিলিত মোট ঋণের পরিমাণ ১৩ লক্ষ কোটি ডলার। যেহেতু দেশে কমেছে জিনিসপত্রের চাহিদা, তাই এখন রফতানিতে জোর দিচ্ছে ড্রাগনের দেশ। ভারতেও পাঠাচ্ছে আরও বেশি করে জিনিসপত্র। তবে ভারত এখন আর আগের মতো কিনছে না চিনা পণ্য।।

    আরও পড়ুুন: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের আর্থিক সংস্কার নীতির জেরে দেশের অর্থনীতি হয়েছে আগের চেয়ে ঢের বেশি মজবুত। তাই চিন নয়, বিনিয়োগকারীরা ভরসা করছেন ভারতের স্টক মার্কেটের ওপর। মোদি জমানায় বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে ভারত। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে যখন মোদি সরকার আসে, তখন ওই তালিকায় দেশ ছিল ১০ নম্বরে। অচিরেই ভারতের জায়গা হবে ওই তালিকার আরও একটু ওপরে। সেই কারণেই চিন নয়, বিনিয়োগকারীরা ভরসা করছেন ভারতের স্টক মার্কেটের ওপরও। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স এবং নিফটিও ইঙ্গিত দিচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতির (Indian Economy) বৃদ্ধি সম্পর্কে।

    ভারতের পৌষমাস আর চিনের সর্বনাশ, তাই কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ISL 2023-24: শীর্ষে ওঠার সুযোগ মোহনবাগানের সামনে, ছয় নম্বরে চলে আসতে পারে লাল-হলুদ

    ISL 2023-24: শীর্ষে ওঠার সুযোগ মোহনবাগানের সামনে, ছয় নম্বরে চলে আসতে পারে লাল-হলুদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন কোচ হাবাসের হাত ধরে ঘুৱে দাঁড়িয়েছে মোহনবাগান। ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, শুভাশিস বসুরা। গত বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের ঘিরে ফের স্বপ্ন দেখা শুরু সবুজ-মেরুন জনতার। অন্যদিকে, আইএসএলে শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দুই হারের পরে ফের জয়। একটি জয়ই বদলে দিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে।  ইস্টবেঙ্গলের পাখির চোখ এখন জামশেদপুর ম্যাচ। গত ম্যাচে তিন পয়েন্ট পাওয়ায় সুপার সিক্সে যাওয়ার দৌড়ে চলে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। 

    মোহনবাগানের প্রস্তুতি

    চেনা ছন্দে ফিরেছে সবুজ-মেরুন।  লিগ জেতার দাবিদার হয়ে উঠেছে মোহনবাগান। সামনে শুধু ওড়িশা এফসি। হাবাসের হাতে পড়তেই চেনা মোহনবাগানকে দেখা যাচ্ছে মাঠে। স্প্যানিশ কোচের অনুশাসনে ভাল খেলছে দল। কাকে কখন দরকার, কাকে কোথায় দরকার সেটাও তিনি জানেন। শনিবার ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ। নর্থ ইস্ট ম্যাচ জেতার পর ফুটবলারদের দুদিনের ছুটি দিয়েছেন হাবাস। ওড়িশাকে হারালে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে যাবে মোহনবাগান। ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ওড়িশা। ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ২ নম্বরে বাগান। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বড় ম্যাচে আনোয়ারের মতোই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। এরপর তিনটি ম্যাচ কেটে গেলেও মাঠে নামা তো দূর সবুজ মেরুনের স্কোয়াডেও জায়গা করে নিতে পারেনি এই বিদেশি ‌ডিফেন্ডার। ফলে হ্যামিল না থাকায় রক্ষণে চাপ বাড়ছে। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে একা খেলছেন হেক্টর। সম্ভবত ওড়িশা ম্যাচেও তারকা বিদেশির সার্ভিস পাবে না দল।

    ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তুতি

    আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি জামশেদপুরের ঘরের মাঠে খেলা ইস্টবেঙ্গলের। তিন দিন আগেই জামশেদপুর পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। সোমবারই হায়দরাবাদ থেকে জামশেদপুরে পৌঁছেছে ইস্টবেঙ্গল। সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নতুন বিদেশি ডিফেন্ডার সার্বিয়ার আলেকজান্ডার পান্তিচ। হোসে পার্দোর পরিবর্তে তাঁকে নেওয়া হয়েছে। পার্দো, ডিফেন্স ও মিডফিল্ড দু’জায়গাতেই সাবলীল ছিলেন। কোচ পার্দোকে দলের পরিস্থিতি অনুযায়ী কখনও রক্ষণে, কখনও মাঝমাঠে ব্যবহার করেছেন। পার্দোও নিজের সেরাটাও দিয়েছেন। সেই একই কাজটা করতে হবে পান্তিচকে। জামশেদপুর ম্যাচে কার্ড সমস্যা কাটিয়ে দলে ফিরবেন নাওরেম মহেশ সিং, লালচুংনুঙ্গা। পূর্ণশক্তির দল নিয়ে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে নামতে পারবে ইস্টবেঙ্গল। ১৪ ম্যাচ খেলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ১৫। জামশেদপুরকে হারালে হবে ১৮। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আগের দিন খেলা রয়েছে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। প্রতিপক্ষ গোয়া এফসি। নর্থ ইস্ট হারলে আর ইস্টবেঙ্গল জিতলে ১৫ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে চলে আসবে লাল-হলুদ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: কারা করেছিলেন আরএসএস-এর নামকরণ? প্রথম শাখা শুরু হয়েছিল কবে? জানুন সেই ইতিহাস

    RSS: কারা করেছিলেন আরএসএস-এর নামকরণ? প্রথম শাখা শুরু হয়েছিল কবে? জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধবরাও সদাশিব গোলওয়ালকারের জন্মদিন। তাঁর আমলেই সঙ্ঘ পরিবারের পত্তন হয়। দেশজুড়ে বিস্তার পায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। আজ সারা পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কাজ ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রান্তে চলছে। সঙ্ঘের কাজের জন্য রয়েছে বিভিন্ন শাখা সংগঠন। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বত্রই বিস্তার লাভ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। আরএসএস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিজয়া দশমী তিথিতে। ১৯২৫ সালের দশেরার দিন মহারাষ্ট্রে ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার প্রতিষ্ঠা করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। প্রতিষ্ঠার দিন হিসেবে বিজয়া দশমীর দিনটিকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল যে সেইদিন শুভ শক্তি, অশুভ শক্তির উপরে জয় লাভ করেছিল, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে। সেদিন ভগবান রামচন্দ্র, রাবণকে বধ করেছিলেন বলে মানা হয়। ১৯২৫ সাল থেকেই তাই রীতি রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর-সঙ্ঘচালক বিজয় দশমীর দিন স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশে বার্তা দেন। গত বছরেও ডঃ মোহন ভাগবতের মুখ থেকে শোনা গিয়েছে বক্তব্য।

    মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন যুবক নিয়ে পথ চলা শুরু আরএসএস-এর

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) স্থাপিত হয় মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন যুবক এবং কিশোরকে নিয়ে। প্রতিষ্ঠার দিনে হাজির ছিলেন ভাউজি  কাওড়ে, আন্না সোহনি, বিশ্বনাথ রাও কেলকর, বালাজি হুড্ডর, বাপু রাও ভেদিরা। এঁরাই ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রথম দিকের একনিষ্ঠ কর্মী, যাঁরা সারা ভারত জুড়ে সংগঠন বিস্তারে ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৯২৫ সালে বিজয় দশমীর দিনে সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার বলেছিলেন যে, আমরা আজকে সঙ্ঘের কাজ শুরু করলাম। ওই দিনে সঙ্ঘের ভবিষ্যতের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি। নিজের বক্তব্যে হেডগেওয়ার বলেন, ‘‘আমাদেরকে শারীরিকভাবে সক্ষম হতে হবে বৌদ্ধিক ভাবে বিকশিত হতে হবে প্রতিটা ক্ষেত্রে যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যকে পেতে পারি।’’

    সঙ্ঘের প্রথম শাখা শুরু হয় ১৯২৬ সালের ২৮ মে

    গবেষকদের মতে, প্রথম দিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সেভাবে কোনও লক্ষ্য নির্ধারিত ছিল না। শুধু শারীরিক এবং মানসিকভাবে যুবকদেরকে শক্তিশালী করা এবং তাদেরকে দেশের কাজে নিয়োগ করাই ছিল সঙ্ঘের কাজ। সঙ্ঘের প্রথম শাখা শুরু হয় ১৯২৬ সালের ২৮ মে থেকে। পরবর্তীকালে তা নিয়মিত চলতে থাকে। জানা যায় নাগপুরের মোহিতওয়াড়ার মাঠে শুরু হয় আরএসএস এর শাখা। বর্তমানে সেখানেই রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মুখ্য কার্যালয়। প্রথমদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কমান্ড বা নির্দেশ সংস্কৃততে দেওয়া হত। কিছু কমান্ড ইংরেজিতেও দেওয়া হত। কিন্তু পরবর্তীকালে সেগুলিকে স্থানীয় বিভিন্ন ভাষা এবং সংস্কৃততেই দেওয়া হয়ে থাকে। সঙ্ঘের শাখাতে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয় যা ‘গৈরিক ধ্বজ’ নামে পরিচিত। গৈরিক ধ্বজকে প্রণাম করেই চলে শাখার কাজ।

    সংগঠনের নামকরণ করতে বৈঠক করেন ২৬ জন স্বয়ংসেবক

    প্রথমদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখাগুলিতে মারাঠি এবং হিন্দি শ্লোক গাওয়া হত। পরবর্তীকালে সংস্কৃততে চলতে থাকে প্রার্থনা। প্রতিটি প্রার্থনাই যুব সমাজের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগানোর উদ্দেশে রচনা করা হত। সঙ্ঘের প্রথম প্রার্থনা অনুবাদ করলে দেখা যায় যে সেখানে বলা হচ্ছে— আমরা প্রণাম জানাই সেই জন্মভূমিকে যেখানে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি। এটা জানা যায় যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ তার প্রথম নামকরণ পায় প্রতিষ্ঠার ৬ মাস পরে। ১৯২৬ সালের ১৭ এপ্রিল ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার একটি বৈঠক করেন তাঁর নিজের বাড়িতে। যেখানে ২৬ জন স্বয়ংসেবক অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানেই বিস্তৃত আলোচনা হয় সংগঠনের নামকরণ নিয়ে এবং প্রত্যেকেই ভাববিনিময় করেন এবিষয়ে। উপস্থিত ২৬ জন কেউই এই আন্দাজ করতে পারেননি যে তাঁরা আগামীদিনের সব থেকে বড় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামকরণ করতে চলেছেন। সেই দিন অনেক নামই উঠে এসেছিল যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS), জরিপটকা মণ্ডল, ভেদ্রতোদ্ধরক মণ্ডল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারতরত্ন পাওয়ার অধিকার কি কেবল কংগ্রেসেরই”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ভারতরত্ন পাওয়ার অধিকার কি কেবল কংগ্রেসেরই”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতরত্ন পাওয়ার অধিকার কেবল মাত্র একটি পরিবারেরই রয়েছে বলে মনে করে কংগ্রেস।” সোমবার এই ভাষায়ই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে প্রায় ১৪ হাজার প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পের মূল্য ১০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।

    চৌধুরী চরণ সিংহকে ভারতরত্ন

    সেই অনুষ্ঠানেই কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “দিন কয়েক আগে আমাদের সরকার কৃষক নেতা চৌধুরী চরণ সিংহকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করেছে। তিনি ছিলেন উত্তরপ্রদেশের ভূমিপুত্র। তাঁর এই সম্মান দেশের কোটি কোটি কৃষক ও শ্রমিককে সম্মাননা জ্ঞাপন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা এটা বুঝতে চায়নি।” তিনি বলেন, “আপনারা অবশ্যই দেখেছেন, যখন চৌধুরী চরণ সিংহের নাম নিয়ে আলোচনা হয় পার্লামেন্টে, তখন কীভাবে কংগ্রেস বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছিল।”

    “কংগ্রেস দলিতদের শ্রদ্ধা করে না”

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের লোকজন বিশ্বাস করেন, এ দেশে ভারতরত্ন পাওয়ার হক রয়েছে কেবল একটিই মাত্র পরিবারের। কংগ্রেস দশকের পর দশক ধরে বাবা সাহেব আম্বেদকরকে ভারতরত্ন দেয়নি, দিয়েছে নিজেদের পরিবারের লোকজনকে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস বাবা সাহেব আম্বেদকরকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করেছিল ১৯৯০ সালে, তাঁর মৃত্যুর অনেক পরে। কংগ্রেস গরিবদের শ্রদ্ধা করে না। দলিত, পিছড়ে বর্গ, কৃষক, শ্রমিক এঁদেরও শ্রদ্ধা করে না। কারণ তাঁদের কথা কংগ্রেস কখনওই ভাবে না। এমনকি ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংহের জীবদ্দশায় কংগ্রেস তাঁর সঙ্গেও দর কষাকষি করেছিল।”

    আরও পড়ুুন: আদালতের নির্দেশকে অমান্য! সন্দেশখালিতে যেতে শুভেন্দুকে বাধা দিল পুলিশ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চৌধুরী সাহেব প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। যদিও নীতির সঙ্গে আপোস করেননি। এটা দুঃখজনক ঘটনা যে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস তাঁর নামে রাজনীতি করলেও, তাঁর নীতি-আদর্শ অনুসরণ করেনি।” তিনি (PM Modi) বলেন, “চৌধুরী সাহেব ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য কী কী করেছিলেন, দেশ তা কখনও ভুলবে না। চৌধুরী সাহেবের আদর্শে প্রাণিত হয়ে আমরা অনবরত দেশের কৃষকদের শক্তিশালী করে চলেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Number: কোনও আধার নম্বর বাতিল হয়নি, জানাল কেন্দ্র, সমস্যা হলে কী করণীয়?

    Aadhaar Number: কোনও আধার নম্বর বাতিল হয়নি, জানাল কেন্দ্র, সমস্যা হলে কী করণীয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নাগরিকদের কারও আধার (Aadhaar Number) বাতিল করা হয়নি, বলে স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।  যে কোনওরকম বিভ্রান্তিতে কী করতে হবে তাও জানানো হল সরকারের তরফে। বাংলায় আধার কার্ড বাতিলের আতঙ্ক কাটাতে কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।  প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আধার বাতিলের চিঠি গিয়ে থাকতে পারে।

    কী বলছেন আধার কর্তৃপক্ষ

    আধার (Aadhaar Number) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কখনও কখনও নতুন তথ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। তখন নিচের লিংকে প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে। ক্লিক করতে হবে এই লিঙ্কে –  https://uidai.gov.in/en/contact-support/feedback.html৷ লোকসভা ভোটের মুখে জেলা জেলা থেকে আসছে আধার কার্ড বাতিলের অভিযোগ। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় একাধিক ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিলের খবর সামনে এসেছে। আধার বাতিলের জেরে ফর্ম ফিল আপ করতে পারেননি কাঁকসার কলেজ ছাত্রী। এই আবহেই ইউআইডিএআই (Unique Identification Authority of India) জানিয়ে দিল, কোনও আধার কার্ড বাতিল হয়নি। 

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    ভুল প্রচার

    আধার বাতিল( Aadhaar Number)নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই অভিযোগকে সর্বৈব মিথ্যে বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপি শিবির থেকে। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আধার কার্ডের রাঁচি আঞ্চলিক দফতরের ভুলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে’, পোস্ট শুভেন্দু অধিকারীর। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর  আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, ‘যাঁদের আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে, তাঁদের জন্য আলাদা ই মেল আইডি, হোয়াটস অ্যাপ নম্বর, আলাদা অ্যাক্টিভেশন ফর্ম দেওয়া হবে, ফর্ম ফিল-আপ করে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালেই হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share