Tag: Madhyom

Madhyom

  • Indian Economy: চিনা অর্থনীতির গতি শ্লথ, লাভের ফসল ঘরে তুলছে ভারত

    Indian Economy: চিনা অর্থনীতির গতি শ্লথ, লাভের ফসল ঘরে তুলছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা অর্থনীতির গতি শ্লথ। এরই ফসল কুড়োচ্ছে সাউথ এশিয়ান জায়ান্টস স্টক মার্কেট। লগ্নিকারীরা বিলিয়ন, বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছেন ভারতের স্টক মার্কেটে (Indian Economy)। অদূর ভবিষ্যতে চিনা অর্থনীতির গতি হবে আরও শ্লথ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আর্থিক নীতির সংস্কারের মাশুল গুণতে হতে পারে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটিকে। সেই কারণেই ভারতের স্টক মার্কেটের ওপর ভরসা করছেন বিনিয়োগকারীরা।

    অর্থনৈতিক সঙ্কট

    সম্প্রতি নয়া অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে বেজিং। মুদ্রাস্ফীতির পরিবর্তে সেখানে শুরু হয়েছে মুদ্রাসঙ্কোচন। তাই সে দেশের মুদ্রা ইউয়ানের দাম ক্রমশ চড়ছে। প্রত্যাশিতভাবেই দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে জিনিসপত্রের দাম। বাজারে জোগান রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। তবে সে দেশের বাসিন্দারা সঞ্চয়ী হওয়ায় কমছে চাহিদা। স্বাভাবিকভাবেই জিনিসপত্র বিকোচ্ছে জলের দরে। এতেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে ভেঙে পড়তে পারে দেশের (Indian Economy) অর্থনীতি। যার প্রভাব পড়বে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপরও।

    রফতানিতে জোর

    ইতিমধ্যেই চিনে শি জিনপিং সরকারের ওপর ঋণের বোঝা চেপেছে বিপুল পরিমাণে। তাদের সম্মিলিত মোট ঋণের পরিমাণ ১৩ লক্ষ কোটি ডলার। যেহেতু দেশে কমেছে জিনিসপত্রের চাহিদা, তাই এখন রফতানিতে জোর দিচ্ছে ড্রাগনের দেশ। ভারতেও পাঠাচ্ছে আরও বেশি করে জিনিসপত্র। তবে ভারত এখন আর আগের মতো কিনছে না চিনা পণ্য।।

    আরও পড়ুুন: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের আর্থিক সংস্কার নীতির জেরে দেশের অর্থনীতি হয়েছে আগের চেয়ে ঢের বেশি মজবুত। তাই চিন নয়, বিনিয়োগকারীরা ভরসা করছেন ভারতের স্টক মার্কেটের ওপর। মোদি জমানায় বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে ভারত। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে যখন মোদি সরকার আসে, তখন ওই তালিকায় দেশ ছিল ১০ নম্বরে। অচিরেই ভারতের জায়গা হবে ওই তালিকার আরও একটু ওপরে। সেই কারণেই চিন নয়, বিনিয়োগকারীরা ভরসা করছেন ভারতের স্টক মার্কেটের ওপরও। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স এবং নিফটিও ইঙ্গিত দিচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতির (Indian Economy) বৃদ্ধি সম্পর্কে।

    ভারতের পৌষমাস আর চিনের সর্বনাশ, তাই কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • ISL 2023-24: শীর্ষে ওঠার সুযোগ মোহনবাগানের সামনে, ছয় নম্বরে চলে আসতে পারে লাল-হলুদ

    ISL 2023-24: শীর্ষে ওঠার সুযোগ মোহনবাগানের সামনে, ছয় নম্বরে চলে আসতে পারে লাল-হলুদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন কোচ হাবাসের হাত ধরে ঘুৱে দাঁড়িয়েছে মোহনবাগান। ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, শুভাশিস বসুরা। গত বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের ঘিরে ফের স্বপ্ন দেখা শুরু সবুজ-মেরুন জনতার। অন্যদিকে, আইএসএলে শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দুই হারের পরে ফের জয়। একটি জয়ই বদলে দিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে।  ইস্টবেঙ্গলের পাখির চোখ এখন জামশেদপুর ম্যাচ। গত ম্যাচে তিন পয়েন্ট পাওয়ায় সুপার সিক্সে যাওয়ার দৌড়ে চলে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। 

    মোহনবাগানের প্রস্তুতি

    চেনা ছন্দে ফিরেছে সবুজ-মেরুন।  লিগ জেতার দাবিদার হয়ে উঠেছে মোহনবাগান। সামনে শুধু ওড়িশা এফসি। হাবাসের হাতে পড়তেই চেনা মোহনবাগানকে দেখা যাচ্ছে মাঠে। স্প্যানিশ কোচের অনুশাসনে ভাল খেলছে দল। কাকে কখন দরকার, কাকে কোথায় দরকার সেটাও তিনি জানেন। শনিবার ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ। নর্থ ইস্ট ম্যাচ জেতার পর ফুটবলারদের দুদিনের ছুটি দিয়েছেন হাবাস। ওড়িশাকে হারালে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে যাবে মোহনবাগান। ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ওড়িশা। ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ২ নম্বরে বাগান। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বড় ম্যাচে আনোয়ারের মতোই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। এরপর তিনটি ম্যাচ কেটে গেলেও মাঠে নামা তো দূর সবুজ মেরুনের স্কোয়াডেও জায়গা করে নিতে পারেনি এই বিদেশি ‌ডিফেন্ডার। ফলে হ্যামিল না থাকায় রক্ষণে চাপ বাড়ছে। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে একা খেলছেন হেক্টর। সম্ভবত ওড়িশা ম্যাচেও তারকা বিদেশির সার্ভিস পাবে না দল।

    ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তুতি

    আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি জামশেদপুরের ঘরের মাঠে খেলা ইস্টবেঙ্গলের। তিন দিন আগেই জামশেদপুর পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। সোমবারই হায়দরাবাদ থেকে জামশেদপুরে পৌঁছেছে ইস্টবেঙ্গল। সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নতুন বিদেশি ডিফেন্ডার সার্বিয়ার আলেকজান্ডার পান্তিচ। হোসে পার্দোর পরিবর্তে তাঁকে নেওয়া হয়েছে। পার্দো, ডিফেন্স ও মিডফিল্ড দু’জায়গাতেই সাবলীল ছিলেন। কোচ পার্দোকে দলের পরিস্থিতি অনুযায়ী কখনও রক্ষণে, কখনও মাঝমাঠে ব্যবহার করেছেন। পার্দোও নিজের সেরাটাও দিয়েছেন। সেই একই কাজটা করতে হবে পান্তিচকে। জামশেদপুর ম্যাচে কার্ড সমস্যা কাটিয়ে দলে ফিরবেন নাওরেম মহেশ সিং, লালচুংনুঙ্গা। পূর্ণশক্তির দল নিয়ে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে নামতে পারবে ইস্টবেঙ্গল। ১৪ ম্যাচ খেলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ১৫। জামশেদপুরকে হারালে হবে ১৮। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আগের দিন খেলা রয়েছে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। প্রতিপক্ষ গোয়া এফসি। নর্থ ইস্ট হারলে আর ইস্টবেঙ্গল জিতলে ১৫ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে চলে আসবে লাল-হলুদ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: কারা করেছিলেন আরএসএস-এর নামকরণ? প্রথম শাখা শুরু হয়েছিল কবে? জানুন সেই ইতিহাস

    RSS: কারা করেছিলেন আরএসএস-এর নামকরণ? প্রথম শাখা শুরু হয়েছিল কবে? জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধবরাও সদাশিব গোলওয়ালকারের জন্মদিন। তাঁর আমলেই সঙ্ঘ পরিবারের পত্তন হয়। দেশজুড়ে বিস্তার পায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। আজ সারা পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কাজ ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রান্তে চলছে। সঙ্ঘের কাজের জন্য রয়েছে বিভিন্ন শাখা সংগঠন। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বত্রই বিস্তার লাভ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। আরএসএস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিজয়া দশমী তিথিতে। ১৯২৫ সালের দশেরার দিন মহারাষ্ট্রে ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার প্রতিষ্ঠা করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। প্রতিষ্ঠার দিন হিসেবে বিজয়া দশমীর দিনটিকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল যে সেইদিন শুভ শক্তি, অশুভ শক্তির উপরে জয় লাভ করেছিল, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে। সেদিন ভগবান রামচন্দ্র, রাবণকে বধ করেছিলেন বলে মানা হয়। ১৯২৫ সাল থেকেই তাই রীতি রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর-সঙ্ঘচালক বিজয় দশমীর দিন স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশে বার্তা দেন। গত বছরেও ডঃ মোহন ভাগবতের মুখ থেকে শোনা গিয়েছে বক্তব্য।

    মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন যুবক নিয়ে পথ চলা শুরু আরএসএস-এর

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) স্থাপিত হয় মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন যুবক এবং কিশোরকে নিয়ে। প্রতিষ্ঠার দিনে হাজির ছিলেন ভাউজি  কাওড়ে, আন্না সোহনি, বিশ্বনাথ রাও কেলকর, বালাজি হুড্ডর, বাপু রাও ভেদিরা। এঁরাই ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রথম দিকের একনিষ্ঠ কর্মী, যাঁরা সারা ভারত জুড়ে সংগঠন বিস্তারে ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৯২৫ সালে বিজয় দশমীর দিনে সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার বলেছিলেন যে, আমরা আজকে সঙ্ঘের কাজ শুরু করলাম। ওই দিনে সঙ্ঘের ভবিষ্যতের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি। নিজের বক্তব্যে হেডগেওয়ার বলেন, ‘‘আমাদেরকে শারীরিকভাবে সক্ষম হতে হবে বৌদ্ধিক ভাবে বিকশিত হতে হবে প্রতিটা ক্ষেত্রে যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যকে পেতে পারি।’’

    সঙ্ঘের প্রথম শাখা শুরু হয় ১৯২৬ সালের ২৮ মে

    গবেষকদের মতে, প্রথম দিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সেভাবে কোনও লক্ষ্য নির্ধারিত ছিল না। শুধু শারীরিক এবং মানসিকভাবে যুবকদেরকে শক্তিশালী করা এবং তাদেরকে দেশের কাজে নিয়োগ করাই ছিল সঙ্ঘের কাজ। সঙ্ঘের প্রথম শাখা শুরু হয় ১৯২৬ সালের ২৮ মে থেকে। পরবর্তীকালে তা নিয়মিত চলতে থাকে। জানা যায় নাগপুরের মোহিতওয়াড়ার মাঠে শুরু হয় আরএসএস এর শাখা। বর্তমানে সেখানেই রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মুখ্য কার্যালয়। প্রথমদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কমান্ড বা নির্দেশ সংস্কৃততে দেওয়া হত। কিছু কমান্ড ইংরেজিতেও দেওয়া হত। কিন্তু পরবর্তীকালে সেগুলিকে স্থানীয় বিভিন্ন ভাষা এবং সংস্কৃততেই দেওয়া হয়ে থাকে। সঙ্ঘের শাখাতে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয় যা ‘গৈরিক ধ্বজ’ নামে পরিচিত। গৈরিক ধ্বজকে প্রণাম করেই চলে শাখার কাজ।

    সংগঠনের নামকরণ করতে বৈঠক করেন ২৬ জন স্বয়ংসেবক

    প্রথমদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখাগুলিতে মারাঠি এবং হিন্দি শ্লোক গাওয়া হত। পরবর্তীকালে সংস্কৃততে চলতে থাকে প্রার্থনা। প্রতিটি প্রার্থনাই যুব সমাজের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগানোর উদ্দেশে রচনা করা হত। সঙ্ঘের প্রথম প্রার্থনা অনুবাদ করলে দেখা যায় যে সেখানে বলা হচ্ছে— আমরা প্রণাম জানাই সেই জন্মভূমিকে যেখানে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি। এটা জানা যায় যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ তার প্রথম নামকরণ পায় প্রতিষ্ঠার ৬ মাস পরে। ১৯২৬ সালের ১৭ এপ্রিল ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার একটি বৈঠক করেন তাঁর নিজের বাড়িতে। যেখানে ২৬ জন স্বয়ংসেবক অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানেই বিস্তৃত আলোচনা হয় সংগঠনের নামকরণ নিয়ে এবং প্রত্যেকেই ভাববিনিময় করেন এবিষয়ে। উপস্থিত ২৬ জন কেউই এই আন্দাজ করতে পারেননি যে তাঁরা আগামীদিনের সব থেকে বড় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামকরণ করতে চলেছেন। সেই দিন অনেক নামই উঠে এসেছিল যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS), জরিপটকা মণ্ডল, ভেদ্রতোদ্ধরক মণ্ডল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারতরত্ন পাওয়ার অধিকার কি কেবল কংগ্রেসেরই”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ভারতরত্ন পাওয়ার অধিকার কি কেবল কংগ্রেসেরই”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতরত্ন পাওয়ার অধিকার কেবল মাত্র একটি পরিবারেরই রয়েছে বলে মনে করে কংগ্রেস।” সোমবার এই ভাষায়ই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে প্রায় ১৪ হাজার প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পের মূল্য ১০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।

    চৌধুরী চরণ সিংহকে ভারতরত্ন

    সেই অনুষ্ঠানেই কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “দিন কয়েক আগে আমাদের সরকার কৃষক নেতা চৌধুরী চরণ সিংহকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করেছে। তিনি ছিলেন উত্তরপ্রদেশের ভূমিপুত্র। তাঁর এই সম্মান দেশের কোটি কোটি কৃষক ও শ্রমিককে সম্মাননা জ্ঞাপন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা এটা বুঝতে চায়নি।” তিনি বলেন, “আপনারা অবশ্যই দেখেছেন, যখন চৌধুরী চরণ সিংহের নাম নিয়ে আলোচনা হয় পার্লামেন্টে, তখন কীভাবে কংগ্রেস বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছিল।”

    “কংগ্রেস দলিতদের শ্রদ্ধা করে না”

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের লোকজন বিশ্বাস করেন, এ দেশে ভারতরত্ন পাওয়ার হক রয়েছে কেবল একটিই মাত্র পরিবারের। কংগ্রেস দশকের পর দশক ধরে বাবা সাহেব আম্বেদকরকে ভারতরত্ন দেয়নি, দিয়েছে নিজেদের পরিবারের লোকজনকে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস বাবা সাহেব আম্বেদকরকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করেছিল ১৯৯০ সালে, তাঁর মৃত্যুর অনেক পরে। কংগ্রেস গরিবদের শ্রদ্ধা করে না। দলিত, পিছড়ে বর্গ, কৃষক, শ্রমিক এঁদেরও শ্রদ্ধা করে না। কারণ তাঁদের কথা কংগ্রেস কখনওই ভাবে না। এমনকি ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংহের জীবদ্দশায় কংগ্রেস তাঁর সঙ্গেও দর কষাকষি করেছিল।”

    আরও পড়ুুন: আদালতের নির্দেশকে অমান্য! সন্দেশখালিতে যেতে শুভেন্দুকে বাধা দিল পুলিশ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চৌধুরী সাহেব প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। যদিও নীতির সঙ্গে আপোস করেননি। এটা দুঃখজনক ঘটনা যে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস তাঁর নামে রাজনীতি করলেও, তাঁর নীতি-আদর্শ অনুসরণ করেনি।” তিনি (PM Modi) বলেন, “চৌধুরী সাহেব ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য কী কী করেছিলেন, দেশ তা কখনও ভুলবে না। চৌধুরী সাহেবের আদর্শে প্রাণিত হয়ে আমরা অনবরত দেশের কৃষকদের শক্তিশালী করে চলেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Number: কোনও আধার নম্বর বাতিল হয়নি, জানাল কেন্দ্র, সমস্যা হলে কী করণীয়?

    Aadhaar Number: কোনও আধার নম্বর বাতিল হয়নি, জানাল কেন্দ্র, সমস্যা হলে কী করণীয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নাগরিকদের কারও আধার (Aadhaar Number) বাতিল করা হয়নি, বলে স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।  যে কোনওরকম বিভ্রান্তিতে কী করতে হবে তাও জানানো হল সরকারের তরফে। বাংলায় আধার কার্ড বাতিলের আতঙ্ক কাটাতে কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।  প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আধার বাতিলের চিঠি গিয়ে থাকতে পারে।

    কী বলছেন আধার কর্তৃপক্ষ

    আধার (Aadhaar Number) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কখনও কখনও নতুন তথ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। তখন নিচের লিংকে প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে। ক্লিক করতে হবে এই লিঙ্কে –  https://uidai.gov.in/en/contact-support/feedback.html৷ লোকসভা ভোটের মুখে জেলা জেলা থেকে আসছে আধার কার্ড বাতিলের অভিযোগ। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় একাধিক ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিলের খবর সামনে এসেছে। আধার বাতিলের জেরে ফর্ম ফিল আপ করতে পারেননি কাঁকসার কলেজ ছাত্রী। এই আবহেই ইউআইডিএআই (Unique Identification Authority of India) জানিয়ে দিল, কোনও আধার কার্ড বাতিল হয়নি। 

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    ভুল প্রচার

    আধার বাতিল( Aadhaar Number)নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই অভিযোগকে সর্বৈব মিথ্যে বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপি শিবির থেকে। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আধার কার্ডের রাঁচি আঞ্চলিক দফতরের ভুলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে’, পোস্ট শুভেন্দু অধিকারীর। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর  আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, ‘যাঁদের আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে, তাঁদের জন্য আলাদা ই মেল আইডি, হোয়াটস অ্যাপ নম্বর, আলাদা অ্যাক্টিভেশন ফর্ম দেওয়া হবে, ফর্ম ফিল-আপ করে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালেই হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Farmers Protest: কেন্দ্রের সহায়ক মূল্যের প্রস্তাব নিয়ে কী বললেন আন্দোলনরত কৃষকরা?

    Farmers Protest: কেন্দ্রের সহায়ক মূল্যের প্রস্তাব নিয়ে কী বললেন আন্দোলনরত কৃষকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের কোনও লাভ হবে না। তাই সরকারের দেওয়া প্রস্তাব মানছি না।” কেন্দ্রের দেওয়া ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত প্রস্তাব (MSP) প্রসঙ্গে একথাই বললেন আন্দোলনকারী কৃষকরা (Farmers Protest)। 

    কী বলছেন কৃষকরা?

    পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমান্ত এলাকায় সাংবাদিক বৈঠক করেন কৃষকরা। সেখানেই তাঁরা বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব এসেছে, আমরা তা খারিজ করেছি। কারণ, তাতে কৃষকদের কোনও লাভ হচ্ছে না।” কৃষক নেতাদের আন্দোলন যে এখনই স্তিমিত হচ্ছে না়, তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গেল। কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পাণ্ডে বলেন, “সরকারের দেওয়া প্রস্তাব আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়নি। প্রতিবাদী কৃষকরা বুধবার থেকে ফের শান্তিপূর্ণভাবে দিল্লির দিকে পদযাত্রা (Farmers Protest) শুরু করবে।”

    আন্দোলন করবেন কৃষকরা

    কৃষক নেতা জানান, কৃষকদের পক্ষ থেকে সরকারকে কোনও পাল্টা প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। ২১ তারিখে তাঁরা দিল্লিতে যাবেন। সীমান্ত এলাকায় পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড যে তাঁরা ভাঙবেন না, তাও জানান আন্দোলনকারী কৃষকরা। সরকারের তরফে আগামী পাঁচ বছরের জন্য পুরানো ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেবল তিন ধরনের ডাল, ভুট্টা ও তুলো কেনার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। সরকারি এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে কৃষকদের দাবি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চাই ২৩টি ফসলের ক্ষেত্রেই।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    রবিবার মধ্য রাতে শেষ হয়েছিল কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে চতুর্থ দফার বৈঠক। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “বৈঠকে কৃষক নেতারা জলস্তর নেমে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।” এজন্য শস্য বৈচিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরেন মন্ত্রী। কেন্দ্রের নয়া প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ধরুন গম ছেড়ে কৃষকরা যদি ডালের চাষ করেন, তাহলে ভারতকে কম পরিমাণ ডাল আমদানি করতে হবে। এতে মানুষের চাহিদাও মিটবে, মিটবে জলস্তরের সমস্যাও। মন্ত্রীর প্রস্তাব, এনসিসিএফ, এনএএফইডির মতো সমবায় সমিতিগুলি পাঁচ বছরের জন্য কৃষকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে এবং শস্য বৈচিত্রের ক্ষেত্রে কাজ করবে। এই শস্যগুলির ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করবে সমবায়গুলি (Farmers Protest)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে টেনে-হিঁচড়ে সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ, প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে টেনে-হিঁচড়ে সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ, প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা। এই আবহের মধ্যে এবার সন্দেশখালি থেকে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের এক সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে চর্চা চলছে। আর সন্দেশখালির মানুষের ওপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের খবর রাজ্য তথা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা সেখানে ছিলেন। আর সোমবার বিশেষ করে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। ফলে, এক ঝাঁক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি তুলে ধরছিলেন। বিকেল ৫ টা নাগাদ আচমকাই রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিনা নথিতে গ্রেফতারের বিরোধিতা করলে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। টোটোয় করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার তোলা হবে আদালতে। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই সাংবাদিককে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশ কী সাফাই দিলেন?

    বসিরহাটের এসপি হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, এলাকার এক মহিলার বাড়িতে ক্যামেরা নিয়ে ঢুকেছিলেন সন্তু পান ও তাঁর চিত্রগ্রাহক। সেই সময় মহিলার পোশাক ঠিক মতো ছিল না। ফলে তিনি অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। পুলিশের দাবি, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    সাংবাদিকের গ্রেফতারির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে সব মহল। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সন্তু পানের পাশে দাঁড়াতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলের প্রোফাইল ছবি ২৪ ঘণ্টার জন্য কালো করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    প্রেস ক্লাবও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে

    কলকাতা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাংবাদিক সন্তু পানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকে তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু, কর্তব্যরত অবস্থায় সাংবাদিকের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাচ্ছে প্রেস ক্লাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়েই আজ সন্দেশখালিতে শুভেন্দু

    Sandeshkhali: হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়েই আজ সন্দেশখালিতে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের থেকে অনুমতি নিয়ে আজ, মঙ্গলবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন বিজেপির পাঁচ বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বিশাল লামা, অগ্নিমিত্রা পাল, সুমিতা সিনহা রায় ও তাপসী মণ্ডল। সন্দেশখালিতে এতদিন যে ১৪৪ ধারা জারি ছিল, সোমবারই তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে এখন সন্দেশখালি যেতে আর কোনও বাধা থাকার কথা নয় বিরোধীদের।

    আদালতের নির্দেশকে মান্যতা

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালির নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার, আদালত জানায়, শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করবে রাজ্য পুলিশ। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে। আদালতের এই নির্দেশের পর মঙ্গলবারই সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু। এদিন আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি মাহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট এবং বিচারপতি মহোদয়ের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই যে তিনি আমাকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করব সন্দেশখালির গ্রাম পঞ্চায়েতে আমার চিহ্নিত করে দেওয়া ছয়, সাত, আটটি মৌজা বা পাড়াতে মানুষজনের সঙ্গে দেখা করতে।’’

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    সন্দেশখালিতে শুভেন্দু 

    এর আগে দু’বার সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। দু’বারই বাধার মুখে পড়তে হয়। একবার বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় শুভেন্দুকে। আরেকবার সন্দেশখালির রামপুরে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। উভয়পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে সোমবারই তাঁর সন্দেশখালি সফরের অনুমোদন মেলে। সন্দেশখালির যে ১৫টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল, সেখানেও আদালতের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে। ফলে শুভেন্দু বা বিজেপি বিধায়কদের সেই জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। শুভেন্দুর সঙ্গে রয়েছেন তিন মহিলা বিজেপি বিধায়ক। সন্দেশখালিতে যেহেতু মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে, সেখানে মহিলা বিধায়করা নির্দেযাতিতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

    সাংবাদিক নিগ্রহের প্রতিবাদ

    সন্দেশখালিতে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি সন্তু পানকে গ্রেফতারের ঘটনায় গর্জে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাতেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি সরিয়ে সেখানে কালো করে দেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajbhawan: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    Rajbhawan: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) সন্ত্রাসের শিকার মানুষের জন্য রাজভবনে (Rajbhawan) খোলা হয়েছে ‘পিস হোম’। সন্দেশখালিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের জন্য বেনজির পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। শুধু অভিযোগ শুনতে নয়, একেবারে নির্যাতিতাদের থাকার জন্যই রাজভবনের ঘরের দরজা খুলে দিলেন তিনি। রাজভবনের ৩টি ঘরকে পিস হোমের রূপ দেওয়া হয়েছে। 

    মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানোই লক্ষ্য

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) মহিলাদের ওপর গণধর্ষণ-সহ নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তোলার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেখানকার মহিলারা। পুলিশে অনাস্থা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরই পদক্ষেপ করেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সন্দেশখালির কোনও বাসিন্দা বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে রাজভবনের (Rajbhawan) পিস হোমে থাকতে পারেন। প্রধানত রাজ ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের আবাসন হিসাবে ব্যবহার করা হয় যে ঘরগুলি, সেখানেই তিনটি ঘরকে পিস হোম বানানো হয়েছে। সেখানেই সন্দেশখালির বিপন্ন বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যপাল বলেন, “আমি কোনও রাজনৈতিক লোক নই। রাজনৈতিক মন্তব্য করা আমার কাজ নয়। আমার কাজ সংবিধানের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানো ও মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানো। আমি সেই কাজ করছি। আমি চাই সন্দেশখালিতে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরুক।”

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    সন্দেশখালিতে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন

    গত সপ্তাহেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়ে  মহিলাদের পাশে থাকার বার্তা দেন সিভি আনন্দ বোস। সোমবার সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সন্দেশখালি থানায় নির্যাতিতাদের নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করান তিনি। থানায় মোট ১৮টি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর সেখান থেকে যান রাজভবনে। সন্দেশখালির সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখা রাষ্ট্রপতি শাসনের সওয়াল করেন তিনি। রেখা শর্মা বলেন, “এখানে ভীষণ খারাপ অবস্থা। এখানে এত খারাপ অবস্থা মহিলারা আমাকে ছাড়তে চাইছেন না। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া এখানে আর কিছু হতে পারে না বলেই আমার মনে হয়। আমি জানি না শাসন কোথায়, প্রশাসন কোথায়, মুখ্য়মন্ত্রী কোথায়। আমার মনে হয় ওঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Tata Group: টাটা গোষ্ঠীর মূলধন পাকিস্তানের মোট অর্থনীতির চেয়েও বেশি!

    Tata Group: টাটা গোষ্ঠীর মূলধন পাকিস্তানের মোট অর্থনীতির চেয়েও বেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা গোষ্ঠীর (Tata Group) মোট মূলধন ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানের অর্থনীতির চেয়েও বেশি। ইকনমিক টাইমসের রিপোর্টেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। এই গোষ্ঠীর মূলধন ৩৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ৩০.৩ লক্ষ কোটি টাকার সমান। এদিকে, পাকিস্তানের জিডিপির পরিমাণ প্রায় ৩৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অঙ্কের হিসেবে ২৮.২ লাখ কোটি টাকার সমান। আর ভারতের জিপিডির পরিমাণ ৩.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা পাকিস্তানের তুলনায় ১১ গুণ বেশি। বর্তমানে বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম চারে রয়েছে যথাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, জার্মানি ও জাপান।

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    একা টিসিএস-ই পাকিস্তানের অর্থনীতির অর্ধেক!

    টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস। সংক্ষেপে, টিসিএস (TCS)।  টিসিএস টাটা গ্রুপেরই (Tata Group)। এটা যে কেবল ভারতের বৃহত্তম আইটি কোম্পানি তাই নয়, এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানিও। এর আগে রয়েছে কেবল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ইকনমিক টাইমসের ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, কেবল টিসিএসের মূলধনই প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা। মার্কিন ডলারের নিরিখে দাঁড়ায় ১৭০ বিলিয়ন। এই পরিমাণটি হল পাকিস্তানের অর্থনীতির অর্ধেক। এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হতে বসেছে দেশটি।

    টাটা গোষ্ঠীর একাধিক ব্যবসা

    টাটা গোষ্ঠীর (Tata Group) অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে। এর মধ্যে যেমন আইটি সার্ভিস রয়েছে, তেমনি রয়েছে স্টিল উৎপাদন, হসপিটালিটি, কেমিক্যালস এবং ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি)। ওই রিপোর্ট থেকে আরও জানা গিয়েছে, টাটা গোষ্ঠীর সব চেয়ে বেশি লভ্যাংশ আসে টাটা মোটরস এবং ট্রেন্ট থেকে। টাইটান, টিসিএস এবং টাটা পাওয়ারের থেকেও বেশি গ্রোথ টাটা মোটরস ও ট্রেন্টের।

    স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত টাটা গ্রুপের (Tata Group) ২৫টি কোম্পানির মধ্যে একমাত্র টাটা কেমিক্যালসের শেয়ার নিম্নমুখী। গত এক বছরে এই কোম্পানি ডাউন হয়েছে ৫ শতাংশ। রিপোর্ট থেকে এও জানা গিয়েছে, টাটা গোষ্ঠীর কিছু কোম্পানি যেমন টাটা সন্স, টাটা ক্যাপিট্যাল, টাটা প্লে, টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস এবং এয়ারলাইন্স ব্যবসা সমৃদ্ধ হতে পারে অচিরেই। যার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৬০ থেকে ১৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share