Tag: Madhyom

Madhyom

  • Budget 2024: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    Budget 2024: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক বাজেট (Budget 2024) পেশ করায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বাজেটকে “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট” বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রাক-নির্বাচন পর্বের এই বাজেটকে অভিনবও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

    উদ্ভাবনের বাজেট

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেটে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য। এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। স্টার্ট-আপগুলির জন্য কর ছাড়ের ঘোষণাও করা হয়েছে।” এই বাজেট আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে আরও এক কদম বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। নির্মলার বাজেটের (Budget 2024) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেলে বাজেট সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের স্বপ্ন অর্জনের একটি রোডম্যাপ।”

    বিকশিত ভারত

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের ভিত্তি পোক্ত করার গ্যারেন্টি দিচ্ছে এই বাজেট। আমি নির্মলাজি ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানাই। তরুণ ভারতের আকাঙ্খার প্রতিফলন এই বাজেট। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্ষমতায়ন এবং নয়া আয়ের দিশার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। এক কোটি পরিবারকে নিখরচায় বিদ্যুৎ পেতে সাহায্য করবে রুফটপ সোলার স্কিম।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বাজেট তরুণদের জন্য অসংখ্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একবিংশ শতাব্দীর ভারতের উপযোগী আধুনিক পরিকাঠামোও তৈরি করবে এই বাজেট। ২০ মিলিয়ন মহিলাকে লাখপতি দিদি করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছি আমরা। এটা এখন বাড়িয়ে ৩০ মিলিয়ন করা হয়েছে। গ্রাম ও শহরের গরিব মানুষকে আমরা ৪০ মিলিয়ন বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। আরও ২০ মিলিয়ন বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রাও ধার্য করেছি।”

    আরও পড়ুুন: ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা চালু করছে মোদি সরকার, কারা পাবেন সুযোগ?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এছাড়াও আজকের বাজেট কৃষক কল্যাণেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাজেট বিকশিত ভারতের চারটে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ তরুণ, দরিদ্র, মহিলা এবং কৃষককে শক্তিশালী করবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে যে উন্নত ভারত হবে, তার ভিত্তি শক্তিশালীর করার গ্যারেন্টিও দিচ্ছে এই বাজেট (Budget 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: বাড়ল তাপমাত্রা, শুক্রবারও ভিজতে পারে কলকাতা, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: বাড়ল তাপমাত্রা, শুক্রবারও ভিজতে পারে কলকাতা, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। কয়েক পশলা বৃষ্টিও পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে এই দুর্যোগ চলবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে শহরে। শনিবার থেকে কলকাতা-সহ (Winter in Kolkata) গোটা রাজ্যের আবহাওয়ার (Weather Update) উন্নতি হবে। মেঘ কাটলেও শীত আর ফিরছে না বলেই অনুমান। মাঘের মাঝামাঝি শীতও বিদায় নিতে চলেছে শহর থেকে। জেলায় এখনও ঠান্ডার আমেজ থাকলেও শহর কলকাতার পারদ চড়ল বেশ কয়েক ধাপ।

    বৃষ্টির পূর্বাভাস

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জের। বুধবারই এক ধাক্কায় চার ডিগ্রি বেড়েছিল তাপমাত্রা (Weather Update)। বৃহস্পতিবার ফের চড়ল পারদ। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৩, যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। জানুয়ারির শেষে তাপমাত্রার এমন ঊর্ধ্বগতি বিরল। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে। বাকি জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। অসময়ের বৃষ্টিতে সারাদিন প্যাচপ্যাচে আবহাওয়ায় বিরক্ত শহরবাসী। শীত বিলাস ছেড়ে গরম পড়বে তো ঠিকই কিন্তু এই অকাল বৃষ্টিতে মন ভাল নেই শহরের।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের পর ধর্মীয় পর্যটনে জোর, বাজেটে উঠে এল লাক্ষাদ্বীপ প্রসঙ্গও

    শীত বিদায় 

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হলেও নতুন করে ঠান্ডার (Winter in Kolkata) আর ইঙ্গিত নেই। গত ৪৮ ঘণ্টায় শুধু কলকাতাতেই তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে, তাপমাত্রা আর একটু কমলেও ঠান্ডার ঝোড়ো ব্যাটিং এই মরশুমে আর দেখা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সরস্বতী পুজো পর্যন্ত পারদ ওঠা-নামা করলেও জাঁকিয়ে শীত আর পড়ছে না শহরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakhpati Didi: ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা চালু করছে মোদি সরকার, কারা পাবেন সুযোগ?

    Lakhpati Didi: ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা চালু করছে মোদি সরকার, কারা পাবেন সুযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের ক্ষমতায়ন হয়েছে। এবার তাঁদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই লক্ষ্যে ‘লাখপতি দিদি’ (Lakhpati Didi) যোজনা শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁদের লক্ষ্য দেশের মহিলাদের আর্থিক উন্নতি করে লাখপতি দিদি তৈরি করা।

    লাখপতি দিদি

    প্রাথমিকভাবে দেশের দু’ কোটি মহিলাকে লাখপতি দিদি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং দিয়ে দু’ কোটি মহিলার ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলারা এই প্রকল্পের দ্বারা সব চেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। অনলাইন ফর্ম পূরণ করে এই স্কিমের সুবিধা পেতে পারেন মহিলারা। এই প্রকল্পের অধীনে স্বনির্ভর (Lakhpati Didi) গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের এলইডি বাল্ব, প্লাম্বিং, ড্রোন মেরামতের মতো প্রযুক্তিগত কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর করা হবে।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় মধ্যরাতে পুজো হিন্দু পক্ষের

    স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাফল্য

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই মহিলাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, ক্ষমতায়ন ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করা হবে। বীমা ও ঋণের সুবিধাও দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়নের মধ্যে দিয়ে গ্রামীণ আর্থ-সামজিক প্রেক্ষাপট বদলাচ্ছে। গ্রামীণ মহিলাদের জীবনযাত্রায় বদল এসেছে। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাফল্যে ১ কোটি মহিলা লাখপতি দিদি হয়েছেন। মহিলাদের এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতেই এবার লাখপতি দিদির সংখ্যা ২ কোটি থেকে ৩ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।”

    সীতারামন বলেন, “আগামী পাঁচ বছরেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। ২০৪৭ এর মধ্যে বিকশিত ভারত গঠনই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। আর সেই লক্ষ্যপূরণেই মোদি সরকারের ফোকাস থাকবে গরিব, মহিলা, যুব ও কৃষকদের ওপর।” লাখপতি দিদি প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে আবেদনকারীদের অবশ্যই হতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা। মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়াও বাধ্যতামূলক। আবেদন করার সময় দিতে (Lakhpati Didi) হবে আধারকার্ড, আয় ও বসবাসের শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল নম্বর এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হেমন্ত সোরেন

    Hemant Soren: ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হেমন্ত সোরেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বৃহস্পতিবার সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হেমন্ত। হেমন্তের হয়ে লড়ছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, শীর্ষ আদালত হেমন্তের আবেদন গ্রহণ করেছে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে আবেদনের। তবে রাঁচি হাইকোর্টকে এড়িয়ে হেমন্ত কেন সটান সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন, সে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

    ভুয়ো নথির মাধ্যমে জমি কেনাবেচা

    হেমন্তের (Hemant Soren) বিরুদ্ধে সেনার জমি ভুয়ো নথির মাধ্যমে কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এই দুর্নীতি মামলার অধিকাংশ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সব বেআইনি আর্থিক লেনদেনের হদিশও মিলেছে। ইডির হাতে এ সংক্রান্ত সব তথ্যপ্রমাণ এসেছে। বেআইনিভাবে কেনা জমিগুলির ওপর হেমন্তের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগ রয়েছে। সে সংক্রান্ত নথিও ইডির হাতে এসেছে।

    বাজেয়াপ্ত বহুমূল্যের বাড়ি

    হেমন্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে আগে ছ’  বার চিঠি দিয়েছিল ইডি। প্রতিবারই নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সপ্তমবার তলব করার পরে হাজিরা দেন হেমন্ত। টানা জেরার পর এদিন রাতেই করা হয় গ্রেফতার। ২৯ জানুয়ারি হেমন্তের দিল্লির বাসভবনেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁকে না পেয়ে বহুমূল্য বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের টানা জেরায় যেসব উত্তর দেন হেমন্ত, তাতে নানা অসঙ্গতি মিলেছে। এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত প্রেম প্রকাশ, অমিত আগরওয়াল এবং তৎকালীন ডিসি ছবি রঞ্জনের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ পেয়েছে ইডি। বেআইনি খননের ক্ষেত্রেও তদন্ত চলাকালীন হেমন্তের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় মধ্যরাতে পুজো হিন্দু পক্ষের

    এদিনই যে তিনি গ্রেফতার হচ্ছেন, তা আগেই আঁচ করে ফেলেছিলেন ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী (Hemant Soren)। অনুগামীদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “ইডি আমাকে আজ গ্রেফতার করতে এসেছে। সারাদিন আমায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ওরা আমায় পরিকল্পনামাফিক গ্রেফতার করবে। এমন একটি মামলায় আমায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, যার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি। ওরা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় মধ্যরাতে পুজো হিন্দু পক্ষের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় মধ্যরাতে পুজো হিন্দু পক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ বছর বাদে পুজো পেলেন ব্যাসজি। বুধবার মধ্যরাতে কড়া নিরাপত্তায় পুজো হল বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ‘ব্যাস কা তেহখানা’য়। এদিন দুপুরেই পুজোর অনুমতি দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার পরেই পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে মধ্য রাতে হয় পুজো।

    পুজো শুরু 

    পুজো করেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের সদস্য গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। হয় মঙ্গল আরতিও। পুজোর সময় উপস্থিত ছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্তারা। বারাণসীর জেলাশাসক কৌশল রাজ শর্মাও উপস্থিত ছিলেন। পুজোর আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় পুজোস্থল। সরানো হয় ব্যারিকেড। তার পরেই নিয়ম মেনে হয় পুজো। পুজোর আগে রাত ১২টা নাগাদ বৈঠকে বসেন বারাণসীর জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার। চলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে। কাশী বিশ্বনাথ ধামের একটা হলে হয় এই বৈঠক। তার পরেই হয় মঙ্গল আরতি, পুজোপাঠ।

    ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় প্রবেশ

    রাত ১টা নাগাদ মসজিদের নীচে ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় প্রবেশ (Gyanvapi Mosque) করেন হিন্দু পক্ষের মামলাকারীরা। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পুজারি সহ মোট পাঁচজন। ওম প্রকাশ মিশ্র নামক এক পুরোহিতকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গর্ভগৃহে পুজোর। পুজোর পর তেহখানা থেকে বেরিয়ে হিন্দু পক্ষের মামলাকারী সোহন লাল আর্য ও লক্ষ্মী দেবী বলেন, “আমরা তেহখানায় অবস্থিত ব্যাসজির দর্শন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। আশা করছি, শীঘ্রই সাধারণ হিন্দু ভক্তদেরও পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘১০ বছরেই নয়া উচ্চতায় দেশের অর্থনীতি’’, বাজেট বক্তৃতায় বললেন নির্মলা

    প্রসঙ্গত, বুধবারই জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) অন্দরে সিল করা বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার পরেই হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছিলেন, “আগামী সাত দিনের মধ্যে জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো শুরু হবে। সব হিন্দুরাই সেখানে পুজোর অনুমতি পাবেন।” হিন্দুরা যাতে নির্বিঘ্নে এই চত্বরে পুজো করতে পারেন, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করার নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে জ্ঞানবাপী মসজিদের ওই অংশে পুজোর জন্য একজন পূজারির নামও সুপারিশ করতে বলা হয়েছিল। ব্যারিকেড সরানো থেকে পুজোর স্থান পরিষ্কার সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছিল প্রশাসনকে। সেসব করেই এদিন হয়েছে পুজো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • GST Collections: জিএসটি থেকে রেকর্ড আয়! জানুয়ারি মাসে কোষাগারে ঢুকল ১.৭২ লক্ষ কোটি টাকা

    GST Collections: জিএসটি থেকে রেকর্ড আয়! জানুয়ারি মাসে কোষাগারে ঢুকল ১.৭২ লক্ষ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটের আগেই দেশের আর্থিক খাতের জন্য সুখবর। জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ল ১০.৪০ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম মাসে দেশে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে মোট ১.৭২ লক্ষ কোটি টাকা। এই পরিমাণ ১ জুলাই, ২০১৭-এ জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। 

    কত টাকা আয়

    অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মোট জিএসটি সংগ্রহ বার্ষিক ভিত্তিতে ১০.৪০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জিএসটি থেকে আয় ১,৫৫,৯২২ কোটি টাকার তুলনায় ১,৭২,১২৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এটি এখন পর্যন্ত দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ মাসিক সংগ্রহ চিহ্নিত করে। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে সরকারের কোষাগারে জিএসটি বাবদ জমা পড়েছিল ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা। 

    প্রধনামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শিতা

    গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি হল ভারতে পণ্য এবং পরিষেবার উপর লাগু করা কর ব্যবস্থা। ২০১৭ সালে এই পদ্ধতি চালু হয়। এর আগে দেশে পণ্য এবং পরিষেবার উপর ভ্যাট করের প্রচলন ছিল। গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) হল ভ্যাটের একটি আধুনিক ও ডিজিটাইজড রূপ, যেখানে আপনি পণ্য এবং পরিষেবাগুলিও ট্র্যাক করতে পারেন৷ ভ্যাট ও জিএসটি উভয়েরই একই ট্যাক্সেশন স্ল্যাব আছে। বর্তমানে প্রায় সব পরোক্ষ ট্যাক্সকেই জিএসটি-র আওতায় আনা হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের বাজেট অনুসারে, কেন্দ্র আশা করছে যে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জিএসটি সংগ্রহ ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞরা এই বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য সচেতনতা, কেন্দ্রে স্থিতিশীল সরকার এবং প্রধনামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শিতার কাথাই তুলে ধরছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share