Tag: Madhyom

Madhyom

  • NAM Summit: দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছেন ভারতীয়রা, স্বীকার করলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট

    NAM Summit: দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছেন ভারতীয়রা, স্বীকার করলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বদলাচ্ছে দেশের অর্থনীতির হাল। তাতে সব চেয়ে বেশি অবদান যাঁদের, তারা ভারতীয় অভিবাসী। এই ভারতীয়দের জন্যই যে বদলাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক চিত্র, সেকথা মনে করিয়ে দিলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়েওরি মুসেভানি। পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ উগান্ডা। রাজধানী কাম্পালা। এখানেই এবার হচ্ছে নন অ্যালায়েড মুভমেন্টের ১৯তম সামিট (NAM Summit)।

    প্রেসিডেন্টের স্বীকারোক্তি

    এই সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়েই প্রেসিডেন্ট মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করে নেন ভারতীয় অভিবাসীদের অবদান। প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিলাম ভারতীয় অভিবাসীরা আমাদের দেশে কতগুলো কল-কারাখানা বানিয়েছেন। তারা আমায় বলল, তাঁরা (ভারতীয় অভিবাসীরা) ফিরে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ কল-কারখানা স্থাপন করেছেন।” ভারতীয় অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়ানো যে ঠিক হয়নি, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইয়েওরি মুসেভানি। উগান্ডা থেকে এশিয়ান, বিশেষত ইন্ডিয়ান-উগান্ডানদের তাড়ানো হয়েছিল ইদি আমিনের শাসনকালে। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে মুসেভানি বলেন, “সরকার কাজটি (ইন্ডিয়ান-উগান্ডানদের তাড়ানো) ভুল করেছিল।”

    কী বললেন মুসেভেনি?

    উগান্ডার প্রেসিডেন্ট বলেন, “নন-অ্যালায়েড মুভমেন্টের (NAM Summit) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিও কখনও কখনও ভুল করেছিল। এই যেমন উগান্ডায় করেছিল।” প্রসঙ্গত, আমিনের শাসনকালে ভারত-উগান্ডা সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। যার জেরে এক সময় উগান্ডার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে ভারত। আমিনের সিদ্ধান্তের প্রভাব যে উগান্ডার অর্থনীতিতে পড়েছিল, তাও মনে করিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট। বলেন, “নন-অ্যালায়েড মুভমেন্টে আপনাদের একজন নেতা ছিলেন, যিনি দেশীয় অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছিলেন। যাঁদের দেশ থেকে তাড়ানো হয়েছিল, চিনি, হোটেল এবং ইস্পাত উৎপাদন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান কম নয়।”

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    মুসেভেনি বলেন, “আমাদের (নন-অ্যালায়েড মুভমেন্ট) দেশগুলিতে বিনিয়োগের পরিবেশ খতিয়ে দেখা হয়। আমরা এই সব লোকদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। পরে সরকারে ফেরে আমার দল। তারপর ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের। আমরা আমাদের এশিয়ান নাগরিক বা অ-নাগরিকদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। অথচ এঁদেরই তাড়িয়ে দিয়েছিলেন ইডি আমিন। আমরা তাঁদের ফিরিয়ে এনেছি। এনিয়ে পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়েছিল। কেউ বলছিলেন, কাজটি ঠিক হবে না। আমরা বলছিলাম, না, তাঁদের অবশ্যই সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। সেই মতো সম্পত্তি ফেরতও দেওয়া হয়েছে।” নন-অ্যালায়েড মুভমেন্ট (NAM Summit) প্রতিষ্ঠায় ভারতের অবদানও স্বীকার করেছেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    Ram Temple: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পুরুষোত্তম। তিনি (Ram Temple) অবতার। দুষ্ট দমন করে শিষ্ট পালন করতেই তিনি ধারণ করেছিলেন পার্থিব দেহ। যে শরীর ধারণ করলে কষ্ট পায় জীব, সেই পঞ্চভৌতিক শরীর ধারণ করে দুঃখ-কষ্ট-বিরহ-দহনজ্বালা তিনি সয়েছেন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো।

    ভগবান রাম

    ভারতভূমে প্রতিষ্ঠা করেছেন রামরাজ্য। তাই তিনি হয়েছেন মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র। এই চরিত্রের পায়েই প্রণতি স্বীকার করেন আসমুদ্রহিমাচলবাসী। আবার নিছকই মহাকাব্যীয় কল্প-চরিত্র বলে গল্পকথা রটিয়ে দেয় অর্বাচিনের দল। এহেন মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের জন্য তৈরি হয়েছে আস্ত একটি মন্দির। বানর সেনার সেতু বন্ধনের মতো যে মন্দির তৈরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছেন তামাম ভারতবাসী। যে মন্দিরে ২২ জানুয়ারি, সোমবার প্রতিষ্ঠিত হবে তাঁর বালকরূপের প্রতিমূর্তি। রচনা হবে নয়া ইতিহাস। যে ইতিহাসের সাক্ষী থাকবেন দেশ-বিদেশের হাজার আটেক মানুষ। তাঁরা সবাই (Ram Temple) যে ভক্ত, তা নন। তবে তাঁদের প্রত্যেকের কাছে রাম মর্যাদা পুরুষোত্তম।

    পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য ‘মহাভারত’

    এহেন অবতার পুরুষোত্তমের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে ‘মহাভারত’। অযোধ্যায় তিনি প্রকাশিত হন সেই কোন ইতিহাসের কালে। তারপর তাঁর দৃপ্ত পদচারণা অখণ্ড ভারতে। যে ভারতভূম ছিল তাঁর এক সময়ের লীলাভূমি, সেখানেই তিনি ছিলেন নিজ ভূমে পরদেশির মতো। তারপর সরযূ নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে সময়ের স্রোত। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আক্ষরিক অর্থেই এবার রাজপ্রাসাদে ঠাঁই পেতে চলেছেন ভগবান রাম।

    অযোধ্যা

    তাঁর শৈশবের লীলাভূমি অযোধ্যা (Ram Temple) এখন ফৈজাবাদ জেলার অন্তর্ভুক্ত। এই অযোধ্যায়ই কেটেছিল তাঁর শৈশব-বাল্য-কৈশোর। পরে বিয়ে হয় তাঁর। সীতাকে বিয়ে করতে তিনি গিয়েছিলেন নেপালের জনকপুরে। পরে পিতা দশরথের প্রতিজ্ঞা পালনে তিনি হন বনবাসী। তাঁর সঙ্গ নেন স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণ। এর পর লঙ্কার রাবণ কর্তৃক অপহৃত হন সীতা।

    অশোকবন

    একদা রাজনন্দিনীর ঠাঁই হয় রাবণের অশোক বনে। বানর সেনার সহায়তায় সেখানে গিয়ে সীতাকে উদ্ধার করেন রাম। এজন্য তুমুল যুদ্ধ হয় লঙ্কায়। যে যুদ্ধে হত হন রাবণ। আসুরিক শক্তি অবনত হয় পুরুষোত্তম রামের পায়ে। সীতা এলিয়ার গ্রামের এই অশোক বনে রয়েছে সীতা আম্মার মন্দির।

    চিত্রকূট-পঞ্চবটী

    রামের (Ram Temple) পদধূলিতে ধন্য হয়েছে মধ্যপ্রদেশও। এখানে চিত্রকূট পাহাড়ের কাছে নদী তীরে লক্ষ্মণ তৈরি করেছিলেন কুটির। এখানেই রামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল ভাই ভরতের। এখান থেকেই রামের পাদুকা নিয়ে ভারত ফিরে যান অযোধ্যায়। নাসিকের পঞ্চবটী বনে রাম-সীতার বসবাসের জন্য কুটির তৈরি করেছিলেন লক্ষ্মণ। এখান থেকেই অপহৃত হন সীতা। অন্ধ্রপ্রদেশের লেপাক্ষীও ধন্য হয়েছে রামের পদধূলিতে। এখানেই সীতা চুরির ঘটনার কথা রাম জানতে পারেন ভক্ত জটায়ূর কাছে। এখানেই ডানা কাটা অবস্থায় পড়েছিলেন জটায়ূ। এখানেই শাপোদ্ধার হয় শবরীর, রামের অপেক্ষায় এক যুগ ধরে পাথর হয়ে পড়েছিলেন যিনি।

    আরও পড়ুুন: গোধরা গণহত্যায় হত ৫৮ করসেবকের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ অযোধ্যায়

    রামেশ্বরম

    তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম এবং ধনুষ্কোটিও রয়েছে রামের লীলাভূমির তালিকায়। ভক্ত হনুমান যখন সীতাকে অশোক বনে খুঁজে পেলেন, তখন রাম এই জায়গাটিতে একটি ধনুক পুঁতে রাখেন। সীতা উদ্ধারে লঙ্কায় যেতে বানর সেনার সাহায্যে এখানেই হয়েছিল সেতুবন্ধন। রাবণকে পরাস্ত করে দিভিরুমপোলা এলাকা থেকেই সীতাকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যার দিকে রওনা দেন রাম। শ্রীঙ্গভেরপুরে গঙ্গা পার হন রাম-লক্ষ্মণ-সীতা। গঙ্গা পেরিয়ে রাম-লক্ষ্মণ-সীতা পৌঁছান প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গমে। এখানেই ভরদ্বাজ ঋষির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রামের। পরে ভাই ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রাম চলে যান চিত্রকূট পর্বতের দিকে। রামটেক এখানে ঋষি অগস্ত্যর কাছে ব্রহ্মাস্ত্রের বিষয়ে জানেন রাম।

    দণ্ডকারণ্য

    সেখান থেকে তাঁরা চলে যান ছত্তিশগড়ের দণ্ডকারণ্যে। আশীর্বাদ নেন অত্রি ঋষির। তাঁর স্ত্রী অনসূয়া সীতার হাতে তুলে দেন তাঁর হারানো গয়নার কয়েকটি। দণ্ডকারণ্যের পর তাঁরা যান কর্নাটকের কিষ্কিন্ধ্যায়। এখানেই রাম-লক্ষ্মণের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বালি ও সুগ্রীবের। কিষ্কিন্ধ্যার হৃত সাম্রাজ্য ফেরত পেতে সুগ্রীবকে সাহায্যও করেছিলেন রাম। লঙ্কায় যাওয়ার যে সেতু তৈরি করা হয়েছিল, সেই সেতু রাম সেতু নামে পরিচিত। ভান্ডারদারা, তুলজাপুর, সুরিবানা, কোপ্পালের ধুলোয়ও রয়েছে মর্যাদা পুরুষোত্তমের পদচিহ্ন। তিরুচিরাপল্লি, রামপদ এবং রামনাথপূরম ধন্য হয়েছে তাঁর পদধূলিতে।  সুভেলায় সেনাদের একত্রিত করেছিলেন রাম।

    আলাইমান্নার

    শ্রীলঙ্কায় রয়েছে আলাইমান্নার সমুদ্র সৈকত। এখানেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল রাম-রাবণের। ব্রহ্মাস্ত্র দিয়ে এই জায়গায়ই দশানন বধ করেন রাম। দুষ্ট দমন শেষে শিষ্ট পালন করতে পুরুষোত্তম অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন রামরাজ্য। সোমবার তাঁর শৈশব-বাল্য-কৈশোরের সেই লীলাভূমিতেই প্রতিষ্ঠিত (Ram Temple) হবেন রামলালা। আবারও প্রতিষ্ঠা হবে রামরাজ্য। যে রাজ্যে সুখে কাল কাটাবেন ভারতবাসী। মন দেবেন রাম-নাম জপে। অস্ফুটে বলবেন, ‘মন জপ নাম…’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্য তুলে ধরে বাথৌ ধর্ম”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্য তুলে ধরে বাথৌ ধর্ম”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্য তুলে ধরে বাথৌ ধর্ম।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিন দিনের অসম, মেঘালয় সফরে গিয়েছেন শাহ। অসমের শোনিতপুরে ১৩তম ট্রেন্নিয়াল বাথৌ মহাসভা কনফারেন্সে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে বোড়োল্যান্ড সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংশা করেন শাহ।

    শাহের মুখে মোদি-স্তুতি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যই যে উত্তর-পূর্বে হিংসা দমন সম্ভব হয়েছে, তাও জানান তিনি। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলে যান বাথৌনিজমের অন্তর্নিহিত দর্শনের আলোচনায়। এই ধর্মের মধ্যে যে নৈতিকতা রয়েছে, তাও তুলে ধরেন তিনি। ১৯৬২ সালে গুয়াহাটিতে প্রতিষ্ঠিত হয় দুলারাই বাথৌ গৌথাম। এই প্রতিষ্ঠান বোড়ো সম্প্রদায়কে বাথৌ ধর্মে দীক্ষিত করতে নিরলস চেষ্টা করে চলেছে। মহাসভা যে বাস্তব ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে (Amit Shah) বোড়ো সম্প্রদায়ের মধ্যে যেভাবে বাথৌইজমের বীজ প্রোথিত করছে, তারও প্রশস্তি শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে।

    বাথৌ ধর্মের তাৎপর্য 

    মাঘ মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার বাথৌ পুজো উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করেছেন অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গের উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সরকার বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে তাঁর ধর্ম পালনে সুযোগ দিয়েছে। বাথৌ ধর্ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ ‘বা’ শব্দের অর্থ হল ‘পাঁচ’। ‘থৌ’ শব্দ ব্যবহার করা হয় ‘গভীর’ বোঝাতে। সুতরাং ‘বাথৌ’ শব্দের অর্থ হল, ‘মহাবিশ্বের পাঁচটি উপাদান’ (পঞ্চভূত) এবং তাদের মধ্যে লুক্কায়িত পারস্পরিক সম্পর্ক। বাথৌবাদের মূল কথা হল, এই পাঁচটি উপাদানের অন্তর্নিহিত ঐক্য। প্রকৃতির পুজোর ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকা দর্শন বুঝতেও সাহায্য করে এই ধর্ম।”

    আরও পড়ুুন: ‘ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো,’ তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বাথৌবাদের মধ্যে যে পাঁচটি নীতি রয়েছে, ভাষণ দিতে গিয়ে তার ওপরও আলোকপাত করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাথৌবাদের মূল নীতি হল দয়া, সত্য, এবং ঘৃণা পরিত্যাগ। শাহ বলেন, “বোড়ো সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের সংস্কৃতি রক্ষা করছেন। চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করেও তাঁরা তাঁদের সংস্কৃতি রক্ষা করে চলেছেন।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে বোড়ো চুক্তি হয়েছে, উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে যে কাঙ্খিত শান্তি ফিরে এসেছে, তারও উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Maldives India Row: ভারতীয় বিমান ব্যবহারে না মুইজ্জু সরকারের, মলদ্বীপে বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    Maldives India Row: ভারতীয় বিমান ব্যবহারে না মুইজ্জু সরকারের, মলদ্বীপে বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্টের একগুঁয়ে মনোভাবের বলি কিশোর! শনিবার দ্বীপরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে বছর চোদ্দর ওই কিশোরের (Maldives India Row)। তাকে এয়ারলিফ্টের জন্য ভারতের দেওয়া ডর্নিয়ার বিমান ব্যবহার করার অনুমতি দেয়নি মহম্মদ মুইজু প্রশাসন। তার জেরেই অসুস্থ ওই কিশোরটির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

    মুইজ্জু সরকার

    গত নির্বাচনে দ্বীপরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে চিনপন্থী মুইজ্জুর সরকার। তার পর থেকে পরম মিত্র ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে মলদ্বীপের। দুই দেশের সম্পর্ক যখন প্রায় তলানিতে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বসে মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। তার পরে ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্কে আক্ষরিক অর্থেই ফাটল ধরে। বিশ্ব নেতা মোদিকে কক্ষাট করায় ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে যায় মুইজ্জু প্রশাসন। বাধ্য হয়ে (Maldives India Row) সাসপেন্ড করে অভিযুক্ত তিন মন্ত্রীকে। তার পরেও অবশ্য উন্নতি হয়নি দুই দেশের সম্পর্কের। এহেন আবহে অসুস্থ বালককে ভারতীয় বিমান ব্যবহারের অনুমতি না দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মুইজ্জুর সরকার।

    বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের ব্রেন টিউমার ছিল। স্ট্রোক হওয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তার পরিবারের তরফে বাড়ি গাফ আলিফ ভিলিংগিলি থেকে রাজধানী মলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের অনুরোধ করা হয়। অভিযোগ, অসুস্থ কিশোরের পরিবারের অনুরোধে কান দেয়নি মুইজ্জু সরকার। যার জেরে কার্যত বেঘোরে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। ঘটনার জেরে শোকে মুহ্যমান মৃতের পরিবার। কান্না সামলে কোনওরকমে ওই কিশোরের বাবা বলেন, “ছেলের স্ট্রোকের পরেই আমরা তাকে মালেতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইল্যান্ড অ্যাভিয়েশনকে কল করেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কলের উত্তর দেয়নি।”

    আরও পড়ুুন: বাঙালি শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া, নজরুলের লেখা ‘রাম বন্দনা’ ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মেডিক্যাল ইভাকুয়েশনের দায়িত্বে থাকা সংস্থা আসান্ধা কোম্পানি লিমিটেডের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি কিশোরটির অকাল প্রয়াণ দুর্ভাগ্যজনক। ১৮ জানুয়ারি ছেলেটিকে জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল ইভাকুয়েশন দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। আসান্ধা কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট ও স্টাফেরা শোকন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও আল্লার কাছে কিশোরটির আত্মার শান্তি কামনা করি (Maldives India Row)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Vs Bangladesh: বাংলাদেশকে ৮৪ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু ভারতের

    India Vs Bangladesh: বাংলাদেশকে ৮৪ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করল ভারত। শনিবার গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে ৮৪ রানে হারালেন উদয় সাহারানের দল। ভারতের ৭ উইকেটে ২৫১ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১৬৭ রানে। ভারতের হয়ে এই ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দেখালেন অধিনায়ক উদয় সাহারান, ওপেনার আদর্শ সিং ও বাঁ হাতি বোলার সাওমি পাণ্ডে। দলের জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। 

    দুরন্ত ভারত

    এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। প্রথমে ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। এই পরিস্থিতিতে ইনিংসের হাল ধরেন আদর্শ ও উদয়ন। তাঁদের জুটিতে যোগ হয় ১১৬ রান। আদর্শ ৯৬ বলে ৭৬ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি। উদয় ৯৪ বলে ৬৪ রান করেন। তিনি ৪টি বাউন্ডারি মারেন। প্রিয়াংশু মলিয়া করেন ২৩ রান। উইকেটকিপার-ব্যাটার আরাভেল্লি অবনীশও ২৩ রান করেন। ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন সচিন ধাস। ৪ রান করেন মুরুগান অভিষেক। ২ রান করে অপরাজিত থাকেন রাজ লিম্বানি।

    জয়ের জন্য ২৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনও সময়ই প্রয়োজনীয় জুটি তৈরি করতে পারেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা। ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারায় ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ীরা। দলের ব্যাটিং ভরাডুবির মধ্যে কিছুটা লড়াই করলেন আরিফুল ইসলাম (৪১) এবং মহম্মদ শিহাব জেমস (৫৪)। আরিফুল ৭১ বলের ইনিংসে মারলেন ৩টি চার। জেমসের ৭৭ বলের ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম সাওমি পান্ডে। তিনি ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন। ৩৫ রান খরচ করে ২ উইকেট মুশিরের। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রাজ লিম্বানি, আর্শিন এবং প্রিয়াংশু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ১০০০ কোটি টাকার বদল! রেশন দুর্নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ ইডি

    Ration Scam: ১০০০ কোটি টাকার বদল! রেশন দুর্নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Scam) রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইডি। এক দশকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এর মধ্যে জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya mallick) ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা রয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যরও (Shankar Addhya) বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসা রয়েছে। 

    কত টাকার বিনিময়

    ইডির (ED) দাবি, গত এক দশকের মধ্যে (২০১২-২০২৩) শঙ্করের এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার ভারতীয় মুদ্রাকে বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, এই বিদেশি মুদ্রায় বদলের মাধ্যমেই দুর্নীতির টাকা সরানো হয়ে থাকতে পারে। ইডি সূত্রের দাবি, এই এক হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে শঙ্করের চারটি সংস্থার মাধ্যমে। তাছাড়া হিরামতি এক্সপোর্ট সংস্থার মাধ্যমে ১১৭ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের নামে আটটি এমন সংস্থা থাকলেও নামে-বেনামে প্রায় ৫০টির বেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা খুলে বিদেশে টাকা পাচার করেছিলেন শঙ্কর। তার মধ্যে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং হিসাবরক্ষকের নামেও সংস্থা রয়েছে। ইডির দাবি, শঙ্করই সংস্থাগুলি নিয়ন্ত্রণ করতেন।

    আরও পড়ুন: চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি! বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা

    কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ

    ইডির এক কর্তার কথায়, বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসা সম্পূর্ণ ভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন। রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Scam) ধৃত শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন আটটি সংস্থা-সহ ১০০টিরও বেশি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার তথ্য এবং গত ১০ বছরের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানার জন্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে তদন্তে উঠে আসা সমস্ত নথি-সহ চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, দু’টি পন্থায় দুবাই ও অন্য স্থানে পাঠানো হয়েছে ওই টাকা। প্রথমত, নগদ টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে ভুয়ো সংস্থায় জমা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nusrat Jahan: আদালতের নির্দেশ মেনে সশরীরে হাজিরা তৃণমূলের নুসরতের, সঙ্গে ছিলেন যশও

    Nusrat Jahan: আদালতের নির্দেশ মেনে সশরীরে হাজিরা তৃণমূলের নুসরতের, সঙ্গে ছিলেন যশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে শনিবার সশরীরে হাজিরা দিলেন সাংসদ তৃণমূলের নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। এদিন আলিপুর আদালতে হাজিরা দেন তিনি। ১৬ জানুয়ারি আলিপুর জজ কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আদালতে নুসরতকে হাজিরা দিতে হবে সশরীরে।

    সশরীরে হাজিরার নির্দেশ

    আলিপুর আদালত তাঁকে সশরীরে হাজিরা দেওযার নির্দেশ দিয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। সেখানে নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে জজ কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন আদালতে হাজিরা দেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সঙ্গে আদালতে গিয়েছিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্তও। যশকে পাশে নিয়েই আদালতে আইনজীবী মারফত বন্ড দেন নুসরত।

    প্রতারণায় অভিযুক্ত নুসরত

    টাকা নিয়েও রাজারহাটে ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেত্রী নুসরতের (Nusrat Jahan) বিরুদ্ধে। একটি ব্যাঙ্কের কর্মীদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে টাকা নেয় সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। ২০১৩-১৪ সালে ৪২৯ জনের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টাকা করে নেয় ওই সংস্থা। সব মিলিয়ে সংস্থার আয়ের অঙ্ক দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৮০ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরেও গত ন’ বছরে কেউ ফ্ল্যাট পাননি। তাঁদের টাকায় নুসরত নিজে একটি ফ্ল্যাট কেনেন বলে অভিযোগ। তার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন প্রতারিতরা।

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে নজরুলগীতির ভিডিও পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর!

    অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ ও ইডির গোয়েন্দারা। নুসরতকে তলব করে ইডি। গত সেপ্টেম্বরে সিজিও কমপ্লেক্সে তৃণমূলের তারকা নেত্রীকে প্রায় সাড়ে ছ’ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন-বাণ সামলে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে নুসরত জানান, অভিযোগ যখন করা হয়, তার ঢের আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা ছেড়ে দেন নুসরত। তাঁর দাবি, ওই কোম্পানি থেকে ঋণ বাবদ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। পরে শোধ করে দিয়েছেন ঋণের টাকা। ব্যাঙ্কের সব নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ জানান, নুসরতকে (Nusrat Jahan) কোনও ঋণ দেননি তাঁরা।

     

  • Khalistani Terrorist: রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যায় ধৃত পান্নুনের সংগঠনের তিন সদস্য

    Khalistani Terrorist: রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই অযোধ্যায় ধৃত পান্নুনের সংগঠনের তিন সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে আর মাত্র ৩৬ ঘণ্টা। তার পরেই শুরু হবে অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। তার আগে শনিবার অযোধ্যায় ধরা পড়ল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের তিন জঙ্গি (Khalistani Terrorist)। গুরুপন্ত সিং পান্নুনের সংগঠনের ওই জঙ্গিদের গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড।

    শিখ ফর জাস্টিসের ঝান্ডা ওড়ানোর ছক

    জানা গিয়েছে, ধৃত তিন জঙ্গি রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন শিখ ফর জাস্টিসের ঝান্ডা ওড়ানোর ছক কষেছিল। পৃথক খালিস্তানের দাবিতে স্লোগান দেওয়ার পরিকল্পনাও কষেছিল ভারতে নিষিদ্ধ ওই জঙ্গি সংগঠনের তিন সদস্য। এদিন যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল, শঙ্করলাল দুষাদ ওরফে জাজোদ, অজিত কুমার ও প্রদীপ পুনিয়া। এই তিনজনকে গ্রেফতার করার পরে পরেই অডিও-বার্তায় পান্নুন জানিয়েছে, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই তার সংগঠনের সদস্য। পান্নুনের দাবি খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    জঙ্গি দমন শাখার অভিযান

    ২২ জানুয়ারি, সোমবার উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। দেশ-বিদেশের সাত হাজার আমন্ত্রিত উপস্থিত থাকবেন অযোধ্যায়। এঁদের মধ্যে তিন হাজার জনই ভিভিআইপি। প্রত্যাশিতভাবেই কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা অযোধ্যা শহর। শিখ ফর জাস্টিসের ঝান্ডা ওড়ানোর ছকচালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ জঙ্গি দমন শাখা। এই অভিযানেই গ্রেফতার হয় পান্নুনের সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের (Khalistani Terrorist) তিন সদস্য। উত্তরপ্রদেশ জঙ্গি দমন শাখার পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (আইন-শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেন, “গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এই সময় অযোধ্যায় সন্দেহজনক একটি গাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। সাদা রংয়ের স্করপিও গাড়িটি ত্রিমূর্তি হোটেলে যাওয়ার আগে অযোধ্যার সংবেদনশীল বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করেছিল।”

    আরও পড়ুুন: গর্ভগৃহের বেদিতে বসানো রামলালার মূর্তির মধ্যে রয়েছে বিষ্ণুর দশাবতার

    পরে গ্রেফতার করা হয় তাদের। পুলিশি জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা শিখ ফর জাস্টিসের সদস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, শঙ্করলাল একজন দাগি আসামি। বিকানিরে তার বিরুদ্ধে দুটি খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।জানা গিয়েছে, পান্নুনের সংগঠনের তিন ষড়যন্ত্রী খালিস্তানপন্থী হরমিন্দর সিং ওরফে লান্ডার কাছ থেকে অযোধ্যায় গিয়ে রেইকি করার নির্দেশ পেয়েছিল। হরমিন্দরকে এই নির্দেশ দিয়েছিল পান্নুন। ধৃতদের অযোধ্যার ম্যাপ পাঠানো হয়েছিল। সংগঠনের তরফে পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছিল তারা। কেউ যাতে তাদের সন্দেহ করতে না পারে, তাই গাড়িতে তারা টাঙিয়ে দিয়েছিল রাম নাম লেখা ঝান্ডা (Khalistani Terrorist)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Deepfake Video: রশ্মিকা মান্দানার ডিপফেক ভিডিওকাণ্ডে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    Deepfake Video: রশ্মিকা মান্দানার ডিপফেক ভিডিওকাণ্ডে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের নভেম্বর মাসেই অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার ডিপফেক ভিডিও (Deepfake Video) ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২ মাসের মাথায় মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করল দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে শনিবারই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    নভেম্বর মাসেই এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ

    গত নভেম্বরে একটি ডিপফেক ভিডিওতে (Deepfake Video) প্রযুক্তিগত কারচুপি করে রশ্মিকার মুখ জুড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হন সব মহলই। নিন্দা করেন বলিউডের বিগ বি অমিতাভ বচ্চনও। গতবছরের ১০ নভেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি এবং ৬৬ই ধারায় দিল্লি পুলিশের তরফে সেসময়ই দায়ের করা হয় এফআইআর।

    ভিডিও নিয়ে মত জানান রশ্মিকা

    ভিডিও (Deepfake Video) ছড়িয়ে পড়ার পরে মুখ খোলেন খোদ রশ্মিকাও। সোশ্যাল মিডিয়াতে রশ্মিকা লেখেন, ‘‘আমার মুখ বসানো যে ডিপফেক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েও আমার খারাপ লাগছে। এই ঘটনা আমার কাছে যতটা যন্ত্রণার, ততটাই ভয়েরও। কোনও প্রযুক্তির যে এমন অপব্যবহার হতে পারে, তা ভেবেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।”

    তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করা হয় একাধিক সন্দেহভাজনকে

    এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সন্দেহ বশত বিহারের এক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারপরেই চার সন্দেহভাজনকেও গ্রেফতার করা হয়। ফেসবুক, হোয়্যাটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম এই তিনটি সংস্থাই মেটার অধীনে। মেটার থেকে তথ্য নিয়ে তদন্ত চলতে থাকে। সেই তথ্য খোঁজ মেলে ওই চার জন সন্দেহভাজনের। তবে জানা যায়, ভিডিওটি তারা বানায়নি, নিজেদের ফেক আইডি থেকে তা আপলোড (Deepfake Video) করেছিল তারা। পরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে নজরুলগীতির ভিডিও পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর!

    PM Modi: রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে নজরুলগীতির ভিডিও পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় রাম মন্দির উদ্বোধনের শুভক্ষণ। দেশজুড়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। তার আগে কাজি নজরুল ইসলামের ‘মন জপ নাম’ গানের একটি ভিডিও পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শিল্পী পায়েল কর বাঙালি। গানটি তাঁরই গাওয়া।

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা…

    ভিডিও পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভগবান রামের প্রতি প্রবল ভক্তি ও শ্রদ্ধা রয়েছে। আপনাদের জন্য রইল বিখ্যাত নজরুলগীতি মন জপ নাম।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বাংলায় রাম-নাম সম্বলিত গানের ভিডিও পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী আসলে চেয়েছেন রাম নিয়ে বাঙালির আবেগটাকে উসকে দিতে। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। এদিন পশ্চিমবঙ্গে মিছিল করবে তৃণমূল। নাম দেওয়া হয়েছে সংহতি যাত্রা। এনিয়ে আদালতে গিয়েছিল বিজেপি। সেখানে শর্ত সাপেক্ষে মিলেছে মিছিলের অনুমতি।

    সাজো সাজো রব অযোধ্যায়

    রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব অযোধ্যায়। ইতিমধ্যেই শহরের দখল নিয়ে নিয়েছে এসপিজি। সোমবার ১২টা ১৫ মিনিট থেকে ১২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে হবে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। সেই সময় মন্দিরের ভিতরে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সহ পাঁচজন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল ও অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যন্দ্র দাস। বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরে হবে আরতি। সকাল থেকে শুরু হওয়া বিশেষ পুজো শেষ হবে এই আরতিতেই। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পুরো অনুষ্ঠানটি করবেন তিনটি দলে ভাগ হওয়া পুরোহিতরা। একটি দলের নেতৃত্ব দেবেন স্বামী গোবিন্দ দেবগিরি মহারাজ, আর একটি দলের নেতৃত্ব দেবেন শঙ্করাচার্য বিজেন্দ্র সরস্বতী এবং অন্য দলটি গঠিত হয়েছে কাশীর পণ্ডিতদের নিয়ে।

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠান ২২ জানুয়ারি হলেও, আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে গত ১৬ তারিখ থেকে। মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি-পর্ব খতিয়ে দেখতে শুক্রবার অযোধ্যায় গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অনুষ্ঠানের সব কিছুই মসৃণ গতিতে চলছে বলে জানান তিনি। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের সাত হাজার মানুষকে। এঁদের মধ্যে ভিভিআইপি রয়েছেন তিন হাজার। তাঁদের থাকার জন্য ভাড়া করা হয়েছে হোটেল। ব্যবস্থা করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশন। তৈরি করা হয়েছে বিমান বন্দরও। ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে এই বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গতবার ওঁর ১২ আসন নিয়েছি, এবার আরও ১২টা গেলে…’’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share