Tag: Madhyom

Madhyom

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশ করে তৃণমূল। যুব কংগ্রেসের ব্যানারে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করতে গিয়ে (Suvendu Adhikari) বাম আমলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজন যুব কংগ্রেস কর্মীর। তাঁদেরই ‘শহিদ’ (যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দেন, তাঁদের শহিদ বলে। এটা তো ছিল পার্টির প্রোগ্রাম!) আখ্যা দিয়ে ফি বছর ঘটা করে ২১ জুলাই পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গঠন করলেও, নিয়ম করে শহিদ দিবস পালন করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক (Suvendu Adhikari)

    এবারও পালিত হবে ২১ জুলাই। তৃণমূল যেদিন ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে, সেদিনই উত্তরকন্যা অভিযানের (Uttarkanya Abhiyan) ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার যুব মোর্চার এক কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানালেন, ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সদর দফতর উত্তরকন্যার উদ্দেশে অভিযান করবে বিজেপি যুব মোর্চা। পাশাপাশি ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাকও দিলেন তিনি।

    হবে নবান্ন অভিযানও

    গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার, যিনি ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই দিনটির স্মরণেই এবার হবে নবান্ন অভিযান।  শুভেন্দু বলেন, “অভয়ার চোখ দিয়ে সেদিন জল নয়, রক্ত বেরিয়েছে। হাঁসখালি থেকে বগটুই – এই সরকার ও তার বাহিনী ধর্ষকদের রক্ষাকারী। তাই এদের ক্ষমতা থেকে সরাতেই হবে।” এদিন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই ভাষণ দিচ্ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বৃষ্টি তো দূরের কথা, এই সরকারকে সরাতে গুলি খেতেও রাজি আছি। আমাদের লড়াই চলবে। ২১ জুলাই ওরা কলকাতায় ডিম-ভাত খাবে, আর আমরা উত্তরকন্যায় যাব। কর্মীদের বলছি, নিজের খরচে যাবেন, ভালো করে লড়তে হবে (Uttarkanya Abhiyan)।”

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) জানান, নবান্ন অভিযানের আগে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে যাবেন অনুমতি নিতে। নবান্ন অভিযানে তাঁরা যাতে যোগ দেন, সেই অনুরোধও করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা সেদিন পতাকা ছাড়াই আন্দোলনে যাব। অভয়ার স্মৃতিতেই হবে এই প্রতিবাদ। ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে মমতার সরকারের পতন ঘটানোর ডাকও দেওয়া হবে।” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “আগামিকালই (বৃহস্পতিবার) নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানাব। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে আসবে নতুন লড়াইয়ের কর্মসূচি।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, এটা শেষ নয়, এটা ওদের শেষের শুরু।”

    গণধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল

    কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে প্রথম বর্ষের (Suvendu Adhikari) ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বুধবার মিছিল ও জনসভা করেন শুভেন্দু। রাসবিহারী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মিছিল এগিয়ে গিয়েছে কসবার দিকে। মিছিলে বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকদের দেখা যায় ঝাঁটা হাতে নিয়ে হাঁটতে। ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরাও। ‘কন্যা বাঁচাও’ স্লোগান তুলে সেই মিছিল গিয়ে শেষ হয় (Uttarkanya Abhiyan) সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কাছে। সেখানেই হয় সমাবেশ। সেই সমাবেশেই রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে শানিত আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বাঙালি হিসেবে অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ হয়। এ রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অনেক অপরাধ হয়। তবে কোনও প্রতিকার হয় না।” সমাবেশ থেকে অনেক স্লোগান দেন শুভেন্দু। তার মধ্যে রয়েছে, ‘ঝাড়ু মেরে করো সাফ, মমতার সরকার’। ‘এক হাজার ঝাড়ু, এক হাজার মা মিছিল করেছেন।’ ‘কন্যা বাঁচাও, মমতা হটাও।’ ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, মমতার পতন দেখতে চাই।’ ‘বিজেপি কর্মীরা গুলি খেতেও তৈরি।’

    জোড়া কর্মসূচির কথা ঘোষণা

    এই সমাবেশেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেন জোড়া কর্মসূচির কথা। ২১ জুলাই উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “ওই দিন চোরেরা কলকাতায় ডিম-ভাত খেতে আসে। আর আমরা উত্তরকন্যা নড়িয়ে দেব (Uttarkanya Abhiyan)।” এর পরেই তিনি জানান, ৫ অগাস্ট তিনি যাবেন অভয়ার বাবা ও মায়ের কাছে, অনুমতি নিতে। শুভেন্দু বলেন, “৫ তারিখে পানিহাটিতে উল্টো রথে যাব। ওই দিন আমি অনুমতি নিতে অভয়ার বাবা-মায়ের কাছে যাব। তাঁদের বলব, পতাকা ছাড়া ৯ অগাস্ট অভয়ার ধর্ষণ-খুনের বর্ষপূর্তিতে নবান্ন অভিযান করতে হবে।”

    মাস আটেক পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশের নামে তৃণমূল ফের একবার নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করিয়ে নিতে চাইছে। বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে দেখিয়ে দিতে চাইছে (Uttarkanya Abhiyan), তাদের শক্তি কতটা।

  • Mali: কারখানা থেকে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা, মালির ঘটনায় উদ্বেগে ভারত

    Mali: কারখানা থেকে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা, মালির ঘটনায় উদ্বেগে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে (Mali) তিন ভারতীয় নাগরিকের অপহরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। বর্তমানে এই দেশটির একাধিক অঞ্চলে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক ঘটনাটিকে ‘নিন্দনীয় হিংসা’ অভিহিত করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। অপহৃতদের উদ্ধার ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে মালির সরকারকে (Al Qaeda)।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Mali)

    বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালির কায়েসে অবস্থিত ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিন  ভারতীয় শ্রমিককে ১ জুলাই অপহরণ করা হয়। ওইদিন একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী ওই ফ্যাক্টরিতে হামলা চালিয়ে অপহরণ করে তিন ভারতীয় নাগরিককে। খবর পাওয়ার পরেই অপহরণকারীদের উদ্ধার করতে তৎপর হয় নয়াদিল্লি। ভারত মালির সরকারকে আহ্বান জানায় যাতে অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের “নিরাপদ ও দ্রুত” মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

    গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে “মালি প্রজাতন্ত্রের কায়েস শহরের ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণের ঘটনায় বিদেশ মন্ত্রক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ঘটনাটি ঘটে ২০২৫ সালের ১ জুলাই, যখন একদল সশস্ত্র হামলাকারী কারখানাটিতে হামলা চালায় এবং জোর করে ওই তিন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় (Mali)।”

    যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে আল-কায়েদার সঙ্গে যোগ রয়েছে জামাআত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন (JNIM) নামে এক সংগঠনের।  মঙ্গলবার এরাই মালির বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত হামলার দায় স্বীকার করেছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালির রাজধানী বামাকোয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গেও দূতাবাসের তরফে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার এই নিন্দনীয় সহিংস ঘটনার কঠোর নিন্দা করছে (Al Qaeda) এবং মালি সরকার যাতে দ্রুত ও নিরাপদে অপহৃত ভারতীয়দের মুক্তির জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, সেই আহ্বানও জানাচ্ছে (Mali)।”

  • Daily Horoscope 03 July 2025: নতুন সম্পত্তি ক্রয় করতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 03 July 2025: নতুন সম্পত্তি ক্রয় করতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে ভরপুর থাকবে।

    ২) আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত আপনার পক্ষে আসবে।

    ৩) জীবনসঙ্গীর জন্য অলংকার ও পোশাক কিনতে পারেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি মিশ্র ফলাফল প্রদান করবে।

    ২) নতুন কাজ শুরুর পরিকল্পনা করে থাকলে তা আজ করতে পারেন।

    ৩) নতুন চুক্তির দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    মিথুন

    ১)  মিথুন রাশির জাতকদের আজকের দিনটি ভালো।

    ২) নিজের দায়িত্বপূরণ করতে পারেন।

    ৩) পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত থাকবেন।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল থাকবে।

    ২) কাজ করার আগে বাবার পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

    ৩) আপনার তেজ দেখে শত্রু পরাজিত হবে, তাঁরা নিজেদের মধ্যে লড়াই ঝগড়া করেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

    সিংহ

    ১) নিজের ভালো চিন্তাভাবনার দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ২) গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

    ৩)  কর্মক্ষেত্রের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করবেন।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

    ২) ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন, এর ফলে একাধিক সমস্যা দূর হবে।

    ৩) ব্যবসায়ীরা ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

    তুলা

    ১) অপ্রত্যাশিত লাভ হওয়ায় মন আনন্দিত হবে।

    ২) স্বাস্থ্যের বিষয়ে গাফিলতি করবেন না।

    ৩) অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজ ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে দিন কাটাতে হবে।

    ২) দাম্পত্য জীবনে আনন্দ থাকবে।

    ৩) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দপূর্ণ সময় কাটাবেন।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি ব্যয়বহুল।

    ২) কারও কাছ থেকে টাকা ধার নেবেন না।

    ৩) সীমিত আয় থেকে বুঝে শুনে ব্যয় করুন।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) পরীক্ষার ফলাফলে আনন্দিত হবেন।

    ৩) মামাবাড়ির তরফে আর্থিক লাভ হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) আজ কিছু নতুন সম্পত্তি ক্রয় করবেন।

    ২) ব্যক্তিগত বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন।

    ৩) প্রিয়জনদের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সক্ষম হবেন।

    মীন

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত তাঁদের আজকের দিনটি ভালো কাটবে।

    ২) কোনও দোটানা ছাড়া নিজের কাজে অগ্রসর হবেন।

    ৩) সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Iskon Temple Attack: ভিতরে দর্শনার্থীদের ভিড়, আমেরিকার ইসকন মন্দিরে পরপর গুলি! তদন্ত চাইল ভারত

    Iskon Temple Attack: ভিতরে দর্শনার্থীদের ভিড়, আমেরিকার ইসকন মন্দিরে পরপর গুলি! তদন্ত চাইল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নয় এবার আমেরিকা। ইসকনের শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে (Iskon Temple Attack) চলল গুলি। আমেরিকার ইউটাহ্ প্রদেশের স্প্যানিশ ফর্ক শহরের ইসকনের শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে (ISKCON Sri Sri Radha Krishna Temple in Spanish Fork) গুলিবর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। রাতের অন্ধকারে পরপর গুলি চলেছে এই বিখ্যাত মন্দির চত্বরে। পুলিশ ও মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমান, এটি পূর্বপরিকল্পিত অপরাধ। ঘটনায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ প্রদেশে অবস্থিত ইসকন মন্দিরে গুলি চালানোর ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

    ভক্তদের উপস্থিতিতেই গুলি

    ইসকনের (Iskon Temple Attack) তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিনে মন্দির চত্বরে ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্দিরের বেশ কিছু মূল্যবান কাঠের কারুকার্য ও স্থাপত্য। ঘটনার সময় মন্দিরের ভিতরে ভক্ত ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। কোনও প্রাণহানির খবর না থাকলেও, বহু মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে। ইসকনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৮ জুন রাতে মন্দির চত্বর থেকে বিকট শব্দ ও ধোঁয়া লক্ষ্য করেন মন্দিরে উপস্থিত সকলে। পরের দিনে মন্দিরের জানালা এবং আর্চের অংশে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ঠিক বাইরে থেকে ২০টিরও বেশি গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বিদ্বেষমূলক এই হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে। এর আগে একাধিক ঘটনায় আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়েছে। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রেই খালিস্তানিরা কালি দিয়ে মন্দিরের দেওয়ালে ভারত বিরোধী স্লোগান লিখেছে বা ভাঙচুর চালিয়েছে। এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা এর আগে সাম্প্রতিককালে ঘটেনি।

    ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া

    সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতের কনস্যুলেট এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে ভারত জানিয়েছে, “আমরা ইউটাহ্ শহরের স্প্যানিশ ফর্কের ইসকন মন্দিরে (Iskon Temple Attack) গুলি চালানোর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা সকল ভক্ত ও মন্দির কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” এর আগেও, চলতি বছরের মার্চ মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসের বিখ্যাত বিএপিএস (Bochasanwasi Akshar Purushottam Swaminarayan Sanstha) মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে ‘খালিস্তান গণভোট’-এর যোগ ছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলো বারবার এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে এসেছে। কৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, “এই হামলা পরিকল্পিত এবং এটি সরাসরি ঘৃণার ফলাফল।” উল্লেখ্য, দুই দশকের পুরনো এই ইসকন মন্দির দোল-খেলার জন্য পরিচিত।

  • India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    India China Relation: “ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ জটিল”, কবুল চিনের, তবে ‘আলোচনায় প্রস্তুত’, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তাই কি বদলাচ্ছে চিনও (India China Relation)! কারণ সোমবার বেজিংয়ের তরফে একটি মন্তব্য, যাতে তারা স্বীকার করে নিয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ (Border Dispute) জটিল। তবে এই সমস্যার সমাধান জটিল হলেও, ভারত-চিন সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত তারা। এর পাশাপাশি তারা যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতেও আগ্রহী, তাও জানিয়ে দিয়েছে ড্রাগন।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক (India China Relation)

    ২৬ জুন কুইংদাওয়ে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হয় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দং জুনের। সেই বৈঠকে রাজনাথ সীমান্তে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং গ্রাউন্ডে অ্যাকশনের মাধ্যমে আস্থা ফেরানোর বার্তা দেন। এই বৈঠকের প্রেক্ষিতেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “সীমান্ত সংক্রান্ত প্রশ্নটি অত্যন্ত জটিল। এটা এক দিনে মিটবে না। তবে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে একাধিক স্তরে যোগাযোগের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।”

    কী বললেন মাও নিং

    মাও নিং জানান, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনার একটি ফোরাম রয়েছে এবং সেখানে রাজনৈতিক মানদণ্ড ও দিশা নির্দেশক নীতি নিয়ে একমত হওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, “চিন আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত নির্ধারণ এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সীমান্ত রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।” চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা আশা করি ভারতও চিনের সঙ্গে একই পথে চলবে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রেখে সীমান্তে শান্তি রক্ষায় কাজ করবে।”

    ২৩টি বৈঠক

    ভারত ও চিন (India China Relation) দুই দেশের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২৩টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাহলে সীমান্ত বিরোধ সমাধানে এত সময় লাগছে কেন (Border Dispute)? এই প্রশ্নের উত্তরেই মাও নিং বলেন, “সীমান্ত প্রশ্নটি জটিল এবং এটি সমাধান করতে সময় লাগবে।” ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ সমাধানের জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে কিনা, জানতে চাইলে মাও নিং বলেন, “আমরা আশা করি, ভারত-চিনের সঙ্গে একই বিষয়ে কাজ করবে। জটিল বিষয়গুলিতে কথা বলা চালিয়ে যাবে যাতে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।”

    ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ

    গত সেপ্টেম্বরে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মধ্যে ২৩তম বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে দুই দেশই ২০২৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি নিশ্চিত করেছিল, যাতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল এবং পশুচারণ ফের শুরু করার অনুমতি মেলে। মাও নিং বলেন (India China Relation), “চিন সীমা নির্ধারণ আলোচনা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা-সহ বিভিন্ন বিষয় (Border Dispute) নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রস্তুত। সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা এক সঙ্গে রক্ষা করতে এবং সীমান্ত পারাপার বিনিময় সহযোগিতা এগিয়ে নিতেও আগ্রহী চিন।”

    আকসাই চিন দখল

    এশিয়া মহাদেশের দুই বৃহত্তম দেশ হল ভারত ও চিন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার। এই সীমান্ত নিয়েই দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলছে বিরোধ। এই সীমান্ত বিরোধ কেবল উভয় দেশকেই প্রভাবিত করে না, সমগ্র এশিয়া মহাদেশের শান্তি এবং নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করে। অনেক আগেই পশ্চিম লাদাখের আকসাই চিন দখল করেছে চিন। লাদাখের এই অংশটি ভারতের। যদিও চিন মনে করে এটি জিনজিয়াং প্রদেশের একটি অংশ। চিন পূর্বাঞ্চলীয় অরুণাচলপ্রদেশকে তাদের অংশ বলে দাবি করে। তাদের মতে, এটি তিব্বতেরই অংশ (India China Relation)।

    ভারত-চিন বিরোধ

    ২০১৭ সালে ডোকলামে চিন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। চিন ভারত-ভুটান-চিন ট্রাই-জংশনে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করলে বাধা দেয় ভারত। এর পর ৭৩ দিন ধরে চোখে চোখ রেখে ঠায় দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনা (Border Dispute)। এর ঠিক তিন বছর পরে ২০২০ সালের ১৫-১৬ জুন গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন ও ভারতীয় জওয়ানরা মুখোমুখি হন। সেবার দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছিল। এই সংঘর্ষে একজন কমান্ডার-সহ শহিদ হন ২০জন ভারতীয় সেনা। ২০২২ সালে তাওয়াংয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনে সেনাবাহিনী। উত্তরপ্রদেশের তাওয়াংয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। তার পর থেকে দু’দেশেই রয়ে গিয়েছে সীমান্তে (Border Dispute) উত্তেজনা। যে উত্তেজনা প্রশমনে বরাবর সক্রিয় হয়েছে ভারত (India China Relation)।

  • Amarnath Yatra 2025: পহেলগাঁও হামলা অতীত! কড়া নিরাপত্তা, ভয় কাটিয়ে অমরনাথের পথে পুণ্যার্থীরা

    Amarnath Yatra 2025: পহেলগাঁও হামলা অতীত! কড়া নিরাপত্তা, ভয় কাটিয়ে অমরনাথের পথে পুণ্যার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বম বম ভোলে” ও “হার হার মহাদেব” ধ্বনিতে মুখরিত চারপাশ। পহেলগাঁও হামলা, অপারেশন সিঁদুরের জের কাটিয়ে পরম শান্তির খোঁজে বুধবার সকালে জম্মুর ভাগবতী নগরের যাত্রী নিবাস বেস ক্যাম্প থেকে অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra 2025) প্রথম দল রওনা দিল। এই যাত্রার সূচনা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। মোট ৫,৮৯২ জন তীর্থযাত্রী ও ৩১০টি গাড়ির কনভয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে যাত্রা শুরু হয়। আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত সিআরপিএফের গাড়ি এই কনভয়কে পূর্ণ নিরাপত্তা দিচ্ছে।

    বেস ক্যাম্পে পুজো

    এদিন হালকা বৃষ্টির মধ্যে ভক্তরা শঙ্খ বাজিয়ে, ভজন-স্তোত্রে পরিবেশকে ধন্য করে তুলেছিলেন। যাত্রা শুরু আগে মনোজ সিনহা বেস ক্যাম্পে পুজো করেন এবং যাত্রা শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন সম্পন্ন হওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। ডোগরা ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি পরে, মুখে হাসি নিয়ে তিনি তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান। পহেলগাঁও রুটে ১৪৪টি গাড়িতে ৩,৪০৩ জন তীর্থযাত্রী যাত্রা শুরু করেন, যাঁদের মধ্যে ২,৬৪৭ জন পুরুষ, ৪৬৭ জন মহিলা, ৮ জন শিশু, ১৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের যাত্রী, ২০০ জন সাধু এবং ৬৫ জন সাধ্বী ছিলেন। অন্যদিকে, বালতাল রুটে ১৬৬টি গাড়িতে ২,৪৮৯ জন তীর্থযাত্রী যান—যাঁদের মধ্যে ছিলেন ১,৭৪৮ জন পুরুষ, ৫৭৬ জন মহিলা, ২৩ জন শিশু, ১৩৫ জন সাধু এবং ৭ জন সাধ্বী।

    কড়া নিরাপত্তায় যাত্রার শুরু

    এদিন অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2025) শুরুর সময় মনোজ সিনহা বলেন, “এই পবিত্র যাত্রা আত্ম-অনুসন্ধানের এক পরম পথ। আশা করি প্রতিটি ভক্তের জন্য এই যাত্রা এক গভীর আত্মিক অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে। জম্মু শহর এখন এক নতুন প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠেছে। ভক্তদের উৎসাহ অসাধারণ। সন্ত্রাসী হামলার ভয় উপেক্ষা করে ভোলেবাবার ভক্তরা বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হচ্ছেন। আশা করি এই বছরের যাত্রা অতীতের যে কোনও বছরের চেয়ে বেশি ঐতিহাসিক হবে।” সিনহা আরও জানান, প্রশাসন, জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ, শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড, পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী সবদিক দিয়ে তীর্থযাত্রীদের জন্য সুব্যবস্থা করেছে। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর থেকে আগত ৩৭ বছর বয়সি তীর্থযাত্রী মনোজ কুমার বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও ভয় নেই। ভোলের বাহিনী আনন্দেই থাকবে। ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলা আমাদের মনোবল ভাঙতে পারেনি।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছেন। আমাদের সুরক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শত্রুরা আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।” আজমগড়ের ৫১ বছর বয়সি রাম প্রসাদ বলেন, “এটাই যাত্রার প্রথম দিন, কিন্তু দেখুন, ভক্তদের মধ্যে কী উন্মাদনা! দিন যত যাবে, সংখ্যাও ততই বাড়বে।” শিরডির ৪৭ বছর বয়সি আশিস কাম্বলি, যিনি তৃতীয়বার অমরনাথ যাত্রায় এসেছেন, বলেন, “এবারের আয়োজনে আরও উন্নতি হয়েছে। কোনও সমস্যায় পড়িনি। প্রশাসন আমাদের সর্বাত্মক সাহায্য করছে।”

  • Stroke Warning Signs: মাস খানেক আগেই পাওয়া যায় আঁচ! স্ট্রোকের আগে শরীর কোন পাঁচ ইঙ্গিত দেয়?

    Stroke Warning Signs: মাস খানেক আগেই পাওয়া যায় আঁচ! স্ট্রোকের আগে শরীর কোন পাঁচ ইঙ্গিত দেয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি। বয়স কুড়ির চৌকাঠ পার হলেই অনেকে রক্তচাপ ওঠানামার সমস্যায় ভুগছেন‌। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। আর তার জেরেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি (Stroke Symptoms)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মহিলাদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোক অনেক সময়েই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। আবার অনেক সময়ে প্রাণ বাঁচানো গেলেও স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে‌ যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও স্ট্রোকের ঘটনা দেখা দিচ্ছে। স্ট্রোকের জেরে অনেকেই পরবর্তী জীবনে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না। কথা বলতেও নানান জটিলতা তৈরি হয়। দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে ও নানান বাধা তৈরি হয়। কিন্তু সতর্কতাই বাঁচাতে পারে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। ফলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

    কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা?

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্ট্রোকের এই ভয়ঙ্কর বিপদ কমাতে পারে সতর্কতা।‌ ইংল্যান্ডের একদল চিকিৎসক-গবেষক জানাচ্ছেন, স্ট্রোক হওয়ার আগে শরীর জানান দেয়। একদিন কিংবা দুইদিন নয়, প্রায় মাস খানেক ধরে শরীর ইঙ্গিত (Stroke Warning Signs) দেয়। বড় বিপদ হওয়ার আগে এই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়। সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে মূলত পাঁচটি ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়। যা থেকে সতর্ক হয়ে ওঠা যেতে পারে। স্ট্রোকের মতো‌ বড় বিপদ আটকানো যেতে পারে।

    কোন পাঁচ ইঙ্গিতের কথা বলছেন চিকিৎসক-গবেষকের দল?

    বারবার বমি ও মাথা ঘোরা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার বমি ও মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে সতর্কতা জরুরি। হঠাৎ করেই কেউ যদি অনুভব করেন তাঁর মাথা ঘুরছে। কয়েক দিন ধরে খেয়াল করেন, হয়তো যে কোনও সাধারণ কাজ করতে গেলেও‌ মাথা ঘুরছে, কিংবা দীর্ঘ সময় বসে থাকার পরে, ওঠার সময় বারবার মাথা ঘুরছে, তাহলে সতর্ক থাকা জরুরি। পাশপাশি স্ট্রোকের আরেক ইঙ্গিত (Stroke Warning Signs)  হলো‌ বমি। শরীরের মধ্যে অস্বস্তি, হজম করতে না পারার জেরে বারবার বমি হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ মস্তিষ্ক ইঙ্গিত দেয়। সেই কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না। যার ফলেই বারবার বমি হয়।

    চোখের দৃষ্টিতে সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হলে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। যদি যেকোনও একটি চোখে হঠাৎ ঝাপসা লাগে, যেকোনও জিনিস লক্ষ্য করতে অসুবিধা হয়, তাহলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অনেক সময়েই একটি জিনিস দুটি বা তিনটি মনে হয়। এই ধরনের উপসর্গ একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোক মস্তিষ্কের স্নায়ুর কারণে হয়। মস্তিষ্কের স্নায়ু ঠিকমতো কাজ না করলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যাবে। তখন সতর্ক হলে‌ বড় বিপদ আটকানো সম্ভব।

    তীব্র মাথার যন্ত্রণা!

    মাথার পিছনে অসহ্য যন্ত্রণা কখনোই অবহেলা করা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাইগ্রেন বা অন্য কোনও শারীরিক অসুবিধা থাকলে অনেকেই মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন। কিন্তু এই ধরনের সমস্যা না থাকলে হঠাৎ লাগাতার যদি মাথা যন্ত্রণা হয়, তাহলে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাথার পিছনে কয়েকদিন ধরে তীব্র যন্ত্রণা হলে তা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হলে এই ধরনের যন্ত্রণা হয়। যা স্ট্রোকের অন্যতম ইঙ্গিত।

    মুখ কিংবা শরীরের যে কোনও অংশে অসাড়তা!

    মস্তিষ্কের জন্য শরীরের সমস্ত অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করে। মস্তিষ্কের স্নায়ুর সঙ্গে শরীরের সমস্ত পেশি ও স্নায়ুর সমন্বয় থাকে। তবেই শরীর স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারে। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে তাই কোনো সমস্যা হলে, গোটা শরীর তাই টের পায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ মুখ, ঠোঁটের কোনো অংশ কিংবা শরীরের যেকোনও অংশে অসাড়তা দেখা দিলে তা নিয়ে সতর্কতা জরুরি। কারণ এটি স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হতে পারে।

    হঠাৎ করেই স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাওয়া!

    বয়সজনিত কারণ কিংবা অন্যকোন মানসিক চাপ না থাকলেও হঠাৎ করেই খুব সাধারণ জিনিস মনে রাখতে না পারলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোকের অন্যতম উপসর্গ এই স্মৃতিভ্রষ্ট। কারণ মস্তিষ্ক ঠিকমতো সক্রিয় থাকতে পারে না।‌ তাই স্মৃতিশক্তিতেও তার জোরালো প্রভাব পড়ে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই আগাম সতর্কতা জরুরি (Stroke Warning Signs) । বড় বিপদ এড়াতে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা জরুরি। যাতে ঝুঁকি কতখানি সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা যায়। পাশপাশি তরুণ বয়স থেকেই খাদ্যাভাস ও জীবনযাপন স্বাস্থ্যকর হলে স্ট্রোকের মতো বিপদের ঝুঁকি (Stroke Symptoms) সহজেই এড়ানো সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ধাপে অনেকখানি শক্তি বাড়ল ভারতের নৌসেনার। মঙ্গলবার, ১ জুলাই নৌসেনায় যোগ হল স্টেলথ প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তমাল (INS Tamal)। রাশিয়ার সংস্থা কালিনিনগ্রাদে ইয়ান্তার শিপইয়ার্ডে ইন্দো-রাশিয়ান যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে যুদ্ধজাহাজটি। সমুদ্রে চিনের কড়া অবস্থানের মোকাবিলায় তমাল ভারতের নৌসেনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আইএনএস তমাল হল তলোয়ার ক্লাস ফ্রিগেট। এটাই বিদেশ থেকে কেনা শেষ রণতরী হতে পারে। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদির আত্মনির্ভর ভারত সাম্প্রতিককালে দেশেই রণতরী এবং সাবমেরিন তৈরির ওপর মন দিয়েছে।

    ইন্দ্রের তলোয়ারই হল তমাল

    স্বর্গের দেবতা ইন্দ্রের তলোয়ারের নাম তমাল। ভারতীয় সেনার নতুন এই রণতরীর নাম ইন্দ্রদেবের সেই অস্ত্রের নামেই। আইএনএস তমাল রণতরীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১০ ফুট। বিশালাকার রণতরীর ওজন ৩ হাজার ৯০০ টন। সমুদ্রে রণতরীর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ নট বা ৫৬ কিলোমিটার। এটি গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত। আইএনএস তমাল নির্মাণে ২৬ শতাংশ দেশীয় উপকরণ ব্যবহার হয়েছে।

    জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”

    ভারতীয় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই যুদ্ধ জাহাজ নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিম নৌ কমান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল সঞ্জয় জসজিৎ সিং, যিনি নিজে উপস্থিত থেকে কমিশনের নেতৃত্ব দেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল রাজারাম স্বামীনাথন ও রাশিয়ান নৌবাহিনীর সিনিয়র অফিসার ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই লিপিন। আইএনএস তামাল ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জলে নামানো হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ট্রায়াল হয়। এর পর ধারাবাহিকভাবে ফ্যাক্টরি ট্রায়াল, স্টেট কমিটি ট্রায়াল এবং ডেলিভারি অ্যাকসেপ্ট্যান্স ট্রায়াল সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের জুন মাসে সম্পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুত অবস্থায় কমিশন হয়। জাহাজটি সমুদ্র, আকাশ, জলের নিচে এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম — এই চারটি ক্ষেত্রেই সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করতে পারবে। জাহাজটি পরিচালিত হবে প্রায় ২৬ জন অফিসার ও ২৫০ জন নাবিকের দল দিয়ে। এই ,জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”।

    নৌযুদ্ধের মহড়ায়  উত্তীর্ণ তমাল

    নৌসেনা সূত্রের খবর, শত্রুপক্ষের রাডারের নজরদারি এড়াতে বিশেষ ধাতুতে তৈরি আইএনএস তমাল। এই ইঞ্জিনও পৃথক প্রযুক্তির। ৩৯০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজে হেলিকপ্টার ওঠানামা এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে, শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ খোঁজার জন্য অত্যাধুনিক ‘সোনার’ এবং তাকে ধ্বংস করার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টর্পিডো। ইতিমধ্যেই সফল ভাবে নৌযুদ্ধের মহড়ায় (সি ট্রায়াল) উত্তীর্ণ হয়েছে তমাল। বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্টেল্‌থ রণতরীটি আমেরিকার, ইউএসএস জুমওয়াল্ট ডেস্ট্রয়ার। তার পরেই নাম আসে রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি তলোয়ার গোত্রের ফ্রিগেটের নাম। যার নবতম সংস্করণ আইএনএস তমাল।

    তমাল-এ থাকবে ২৪টি মিসাইল

    আইএনএস তমাল-এর মধ্যে রয়েছে ২৪টি মিসাইল। প্রতিটির রেঞ্জ ৭০ কিলোমিটার। দীর্ঘ ৩ মাস ধরে সমুদ্রে রণতরীর ট্রায়াল করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয় রণতরীর আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। করা হয়েছে মিসাইল টেস্টও। আইএনএস তমাল থেকে ব্রহ্মস মিসাইল ছোড়া যাবে। এছাড়া স্থিল-১ স্যাম এয়ার ডিফেন্সও ব্যবহার করা যাবে এই রণতরী থেকে। এই রণতরীতে ১০০ এমএম বন্দুক আছে। এতে-৬৩০ সিআইডাব্লুএস, টর্পিডো এবং আরবিইউ-৬০০০ অ্যান্টি সাবমেরিন রকেট আছে। এই রণতরীতে একটি হেলিকপ্টার ওঠা-নামা করতে পারবে। আইএনএস তমাল ‘তলোয়ার শ্রেণি’র রণতরী। রাশিয়া থেকে আমদানি করা চতুর্থ রণতরী এটি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রাশিয়া থেকে দুটি যুদ্ধজাহাজ কেনার জন্য একটি চুক্তি সই করে। ভারতীয় মুদ্রায় সেই চুক্তির অর্থমূল্য প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা। সেই চুক্তিতেই আইএনএস তমাল কেনার কথা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ওই রণতরী ২০২২ সালেই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ওই রণতরী নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

    তমাল-এ ভীত চিন-পাকিস্তান

    রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএনএস তমাল নৌবাহিনীর পশ্চিম কমান্ডের অধীনে আরব সাগরে মোতায়েন করা হবে, একটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখানে ভারত ও পাকিস্তানের সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। এখান থেকে করাচির দূরত্ব খুব কম। একদিকে আরব সাগর, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর। অন্যদিকে, পাকিস্তান এবং চিনের মতো দুটি প্রতিকূল দেশের সাথে স্থল সীমান্ত ভারতের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এই আবহে নৌসেনায় তমালের অন্তর্ভুক্তি ভারতকে বেশ সুবিধা দেবে। আইএনএস তমাল এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শত্রু রাডার এটিকে কোন ভাবেই সনাক্ত করতে না পারে। এই সমস্ত আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে, ভারত তার নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও বাড়ানোর দিকে বিশেষ জোর দিচ্ছে এই যুদ্ধজাহাজটি অত্যাধুনিক ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার। থাকবে আধুনিক হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যার সাহায্যে এটি সাবমেরিন এবং আকাশপথে হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

  • Agni-5 Bunker Buster: মার্কিন এমওপি বনাম অগ্নি বাঙ্কার-বাস্টার, মারণশক্তির বিচারে এগিয়ে কে? অঙ্ক কষে তুলনা

    Agni-5 Bunker Buster: মার্কিন এমওপি বনাম অগ্নি বাঙ্কার-বাস্টার, মারণশক্তির বিচারে এগিয়ে কে? অঙ্ক কষে তুলনা

    সুশান্ত দাস

    মার্কিন জিবিইউ-৫৭এ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (GBU 57A MOP) নাকি ভারতের অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টার (Agni-5 Bunker Buster)— কে বেশি শক্তিশালী? কার মারণ ক্ষমতা বেশি? ভারতের সুপার-অস্ত্র কি সত্যি আমেরিকাকেও ছাপিয়ে যাবে? আবেগ নয়, একেবারে অঙ্ক দিয়ে ব্যাখ্যা এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করা হল, দুই শক্তিশালী বোমার ক্ষমতাকে (Agni-5 Bunker Buster vs GBU 57A MOP)।

    জনমানসে ‘বিবি’ নিয়ে বিরাট কৌতুহল

    যবে থেকে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচার হতে শুরু করেছে যে, ভারত নিজস্ব এবং সম্পূর্ণ স্বদেশীয় বিধ্বংসী বাঙ্কার বাস্টার (সংক্ষেপে ‘বিবি’ উল্লেখ করা হয়) তৈরি করছে, তখন থেকেই জনমানসে বিরাট একটা কৌতুহল তৈরি হয়েছে। কাগজ থেকে চ্যানেল, বা পোর্টাল হোক বা সোশ্যাল— সর্বত্র এই নিয়ে জোর চর্চা। শুধু তাই নয়। সদ্য ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন বোমারু বিমান বি-২ থেকে নিক্ষিপ্ত বাঙ্কার বাস্টার জিবিইউ-৫৭এ বোমা নাকি ভারতের অগ্নি বাঙ্কার-বাস্টার, কোনটা বেশি শক্তিশালী তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। কিন্তু, সেই সব আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক একটা বিষয়তেই সীমাবদ্ধ। তা হল ওজন দিয়ে তুলনা। আবার সেটাও সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। ফলে, যুক্তির থেকে সেখানে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে আবেগ। অঙ্কের থেকে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে দেশপ্রেম। কিন্তু, এই দুই ভিন্ন বোমার তুল্যমূল্য বিচার করতে হলে আগে জানতে হবে কতটা বিস্ফোরক আছে? হিসেব করতে হবে বেগ। তার পর গণনা করতে হবে কতটা শক্তি উৎপন্ন করছে এই বোমাগুলি। সেই সব করে তুলনা টানা সম্ভব হবে।

    তুল্যমূল্য বিশ্লেষণ শুরুর আগে, প্রথমেই বলে রাখা দরকার, এই দুই বোমা, অর্থাৎ জিবিইউ-৫৭এ এবং অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার— একেবারে ভিন্ন চরিত্রের। এর প্রধান কারণ হল, মার্কিন ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর আদতে একটি বোমা। অন্যদিকে, অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার একটি মডিফায়েড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

    বোমা বনাম ক্ষেপণাস্ত্র

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক জিবিইউ-৫৭এ বোমা ঠিক কীভাবে কাজ করে। বোমারু বিমানে চাপিয়ে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে একে স্রেফ ড্রপ বা ফেলে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, একে বিমানে বহন করে লক্ষ্যের কাছে পর্যন্ত পৌঁছে নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে ফেলা হয়। এর পিছনে কোনও রকেট/মিসাইল ইঞ্জিন নেই। ফলে, লাগে না কোনও জ্বালানির। স্রেফ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ওপর ভর করে এটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যাতে এটি পৌঁছতে পারে, তার জন্য ছোট ডানা (ফিন) এবং পিছনে প্রপেলার আছে, যা একে দিশা দেয়। ফলে, বাতাসে কার্যত ভেসে এটি দ্রুত গতিতে নামতে থাকে। ভারী হওয়ায় এটি বিপুল গতি উৎপন্ন করে, যা পড়তে পড়তে ক্রমশ বাড়তে থাকে। একটি জিবিইউ-৫৭এ বোমায় বিস্ফোরক থাকে ২,৩০০ কেজির মতো। তবে, গোটা বোমার ওজন যা নেমে আসে, তা প্রায় ১৩,৫০০ কেজির মতো।

    অন্যদিকে, এবার দেখে নেওয়া যাক ভারতের অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার ঠিক কেমন। অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার একটি মডিফায়েড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ভারতের অগ্নি-৫ হল পরমাণু অস্ত্রবহণে সক্ষম ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম)। এর পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু, ভারতের ডিআরডিও- বিজ্ঞানীরা ওই ক্ষেপণাস্ত্রে বদল ঘটিয়ে এর একটি বাঙ্কার বাস্টার ভেরিয়েন্ট তৈরি করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে দুই প্রধান বদল করা হয়েছে। এর ওয়ারহেড বা বিস্ফোরকের পরিমাণ বাড়িয়ে পাল্লা বা দূরত্ব কমানো হয়েছে। যেখানে অগ্নি-৫ আইসিবিএমের ওয়ারহেড ৩ থেকে ৪ হাজার কেজি, সেখানে অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার সংস্করণটির ওয়ারহেডে ৭,৫০০ কেজি সাধারণ বা অপারমাণবিক বিস্ফোরক বহন করা যায়। ফলে, এর পাল্লা ৫০০০ থেকে কমে ২৫০০ করা হয়েছে।

    অগ্নি-৫ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ওজন (নিক্ষেপের সময়) ৫০ থেকে ৫৬ হাজার কেজি। কারণ, এতে কঠিন জ্বালানি থাকে। থাকে থ্রি-স্টেজ বা তিন-স্তরের রকেট, যা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে এটি আবার প্যারাবোলিক কার্ভ বা পরাবৃত্তীয় বক্ররেখা পথ অনুসরণ করে ফিরে আসে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আছড়ে পড়ে। তবে, নিচে নামার সময় গোটা ক্ষেপণাস্ত্র থাকে না। বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে পৌঁছে রকেটের মতো এরও স্টেজ সেপারেশন হয়। অর্থাৎ, নামার আগে স্টেজ সেপারেশন হওয়ার সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাথার (ওয়ারহেড থাকে যেখানে) অংশ বাকি অংশের থেকে আলাদা হয়ে যায়। অগ্নি সিরিজের সব সংস্করণের কার্যপদ্ধতি একই রকম। ধরে নেওয়া যেতে পারে, সাড়ে সাত হাজার বিস্ফোরক সমেত বাঙ্কার-বাস্টার সংস্করণটির ওজন সেই সময় দাঁড়াবে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ হাজার কেজি।

    তফাত গড়ে দেয় বেগ

    এতো গেল ওজনের কথা। এবার আসা যাক, দ্বিতীয় তথা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরের বিষয়ে। তা হল বেগ। সংবাদমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই বোমা যখন নেমে আসে তখন এর বেগ প্রায় মাক ৩। অর্থাৎ বাতাসে শব্দের গতির ৩ গুণ। অন্যদিকে, অগ্নি-৫ যখন নামে তখন তার বেগ দাঁড়ায় মাক ২০। অর্থাৎ, শব্দের গতির ২০ গুণ! স্পষ্ট, আছড়ে পড়ার সময় প্রবল হাইপারসনিক মোড-এ চলে যায়। আর, এই বেগই ফারাক গড়ে দেয়। সাধারণ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পক্ষে একে কোনওভাবে আটকানোর ক্ষমতা নেই। এমনকী, এস-৪০০ বা তার সমগোত্রীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পক্ষেও একে রোখা দুঃসাধ্য।

    দুটি ফ্যাক্টর— অর্থাৎ ওজন বা ভর এবং বেগ — এই দুইয়ের তুল্যমূল্য পরিসংখ্যান তো মিলল। কিন্তু, মারণক্ষমতা! সেটা পেতে ভর এবং বেগের প্রয়োজন হবে। তার আগে, এটা বুঝে নেওয়া যাক, একটি কনভেনশনাল বা অপারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষমতা নির্ভর করে সে কতটা শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম। যা আবার নির্ভর করে ভর ও বেগের সমীকরণের ওপর। কাইনেটিক এনার্জি (কেই) বা গতিশক্তির একক হচ্ছে জুল। আর এই গতিশক্তিকে ধরে বের করতে হয় মারণ ক্ষমতা। গণিতের ফর্মুলা অনুযায়ী, কোনও বস্তুর গতিশক্তি বের করতে হলে, প্রথমে বস্তুটির মাস বা ভরের অর্ধেক বের করতে হবে। সেই সংখ্যাকে বস্তুর ভেলোসিটি বা বেগের বর্গফলের সঙ্গে গুণ করতে হবে। যে সংখ্যা প্রাপ্ত হবে, সেটাই ওই বস্তুর কাইনেটিক এনার্জি বা গতিশক্তি। এখানে ভর ধরা হবে কিলোগ্রামের হিসেবে, আর বেগ মাপা হবে মিটার প্রতি সেকেন্ড হিসেবে। অর্থাৎ, গতিশক্তি = ১/২ * m * v²। এখানে, m = বস্তুর ভর, v = বস্তুর বেগ। 

    আসল তুলনা, কার শক্তি কতটা?

    প্রথমে জিবিইউ-৫৭এ এমওপি-র গতিশক্তি দেখে নেওয়া যাক। ওজন – ১৩৫০০ কেজি বা ১৩.৫ টন। বেগ – মাক ৩ বা প্রতি সেকেন্ডে ১০২৯ মিটার (বাতাসে শব্দের গতি = ৩৪৩ মিটার/সেকেন্ড। যাকে ‘মাক ১’ বলা হয়)। ফলে, এর কাইনেটিক এনার্জি বা গতিশক্তি দাঁড়াবে: ৬৭৫০ * ১০৫৮৮৪১ = ৭১৪৭১৭৬৭৫০ জুল বা ৭.১৪ গিগাজুল। যা ১.৭ টন টিএনটির সমতুল্য। ফলে, জিবিইউ-৫৭এ এমওপি-র ইমপ্যাক্ট পাওয়ার (বিস্ফোরণের প্রতিঘাতে তৈরি হওয়া শক্তি) বা মারণ ক্ষমতা হল ৭.১ + ১৩.৫ = ২০.৬ টন টিএনটির সমতুল্য।

    এবার দেখে নেওয়া যাক, অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টারের গতিশক্তি। ওজন – ১০০০০ কেজি বা ১০ টন। বেগ – মাক ২০ বা প্রতি সেকেন্ডে ৬৮৬০ মিটার। ফলে, এর কাইনেটিক এনার্জি বা গতিশক্তি আনুমানিক: ৫০০০ * ৪৭০৫৯৬০০ = ২৩৫২৯৮০০০০০০ জুল বা ২৩৫ গিগাজুল। যা ৫৬ টন টিএনটির সমতুল্য। ফলে, অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টারের মারণ ক্ষমতা হল ৫৬ + ১০ = ৬৬ টন টিএনটির সমতুল্য।

    তিনগুণ বেশি মারণ ক্ষমতা ভারতের অগ্নি-র

    পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, মার্কিন এমওপি-কে একেবারে কার্যত উড়িয়ে দেবে ভারতের অগ্নি-৫ বাঙ্কার বাস্টার। আবেগ নয়, একেবারে অঙ্ক কষে বলা হচ্ছে, ভারতের অগ্নি বাঙ্কার বাস্টার মার্কিন এমওপি-র তুলনায় কতটা বেশি শক্তিশালী হতে চলেছে। যে কারণে, ডিআিডিও জোরালো দাবি, ভারতের বাঙ্কার বাস্টার মাটির ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীর পর্যন্ত শক্ত কংক্রিটের নিচে লুকানো শত্রুপক্ষের বাঙ্কার, কমান্ড সেন্টার, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বা পারমাণবিক পরিকাঠামো ধ্বংস করতে সক্ষম। এখন ভারত কবে এই বাঙ্কার বাস্টারের পরীক্ষা করে, সেটাই দেখার।

  • India vs England 2nd Test: সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া ভারত, রেকর্ড বলছে অন্য কথা! এজবাস্টনে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট

    India vs England 2nd Test: সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া ভারত, রেকর্ড বলছে অন্য কথা! এজবাস্টনে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে (India vs England 2nd Test) মুখোমুখি হবে ভারত-ইংল্যান্ড। সিরিজ নিজেদের দখলে রাখতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচেই সমতা ফেরাতে হবে ভারতকে। বিদেশ সফর, তার উপর আবার অনভিজ্ঞ দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে পড়া সমস্যায় ফেলেছে গৌতম গম্ভীরের দলকে। এজবাস্টন টেস্ট হাতছাড়া হলে, বাকি ৩ ম্যাচই জিততে হবে। সেটা বেশ কঠিন কাজ। তাই কাজটা একেবারেই কঠিন করতে নারাজ শুভমন গিলরা। লাল বলের ক্রিকেটে এজবাস্টনে কোনও সুখস্মৃতি সরবরাহ নেই ভারতের। কারণ, এ মাঠে কখনও টেস্ট জেতেনি ভারত।

    অনিশ্চিত বুমরা

    এজবাস্টনে সচরাচর ফাস্ট বোলাররা (Jasprit Bumrah) মদত পেয়ে থাকেন। প্রায়শই আকাশে মেঘ দেখা যায় ফলে টেস্টের শুরুর দিকে বিশেষত বল স্যুইং করানোর জন্য একেবারে ঠিকঠাক পরিবেশ থাকে। এই ম্যাচের পিচ দেখেও কিন্তু তেমনটারই পূর্বাভাস মিলছে। টেস্টের প্রথম দুই দিনে ডিউক বলে ফাস্ট বোলাররা মদত পেতে পারেন। তাই এই ম্যাচে বুমরাকে প্রয়োজন ভারতের। কিন্তু ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে জসপ্রীত বুমরাকে। আগেই জানা গিয়েছিল তিনি সিরিজের সব ম্যাচ খেলবেন না। ফলে বার্মিংহ্যামে তাঁর বদলে খেলতে পারেন আকাশ দীপ ও অর্শদীপ সিং-এর মধ্যে এক জন। তবে বুমরা ছাড়া দল নামাতে ব্যাকফুটে ভারত। দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের সম্ভাব্য বোলিং আক্রমণ সম্পর্কে অধিনায়ক শুভমন বলেছেন, ‘‘জসপ্রীত বুমরাকে পাওয়া যাবে। আমরা সঠিক বোলিং আক্রমণ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে বিপক্ষের ২০টি উইকেট নেওয়া যায় এবং কিছু রানও হয়। অনুশীলনের পর পিচ দেখে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’ আসলে, ব্যাটাররা পাঁচটি সেঞ্চুরি করলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট হারতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। জসপ্রীত বুমরা ছাড়া বাকি বোলারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণেই হারতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে।

    দলে বাংলার আকাশ দীপ

    বুমরা এজবাস্টনে না খেলা মানে, ভারতের উপর চাপ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়া। সমর্থক থেকে প্রাক্তনী, সকলেই প্রবলভাবে চাইছেন বুধবার বুমরাকে নামিয়ে দেওয়া হোক। ঘুরে দঁড়াতে মরিয়া ভারতীয় দল আসলে বড় বেশি বুমরা নির্ভর হয়ে পড়েছে। ম্যাচ জেতালে তিনিই জেতাবেন। বাকিরা তালপাতার সেপাই। হেডিংলে টেস্টে ৩৭১ রানের টার্গেট দিয়েও ইংল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হার, সেই ধারণাকে আরও দৃঢ় করেছে। তাই বুধবার এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে বুমরাকে নিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বার বার হোঁচট খেতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এই ম্যাচে বুমরাকে না পাওয়া গেলে তাঁর জায়গায় খেলার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা বাংলার পেসার আকাশ দীপের। এজবাস্টনের নেটে চেনা ছন্দে দেখা গেল আকাশ দীপকে। আরেকটা সুবিধা হচ্ছে, দুদিকেই বল ঘোরাতে পারেন তিনি।

    কেমন হবে দল

    প্রথম টেস্টে হারের পর একাধিক প্লেয়ারের পারফরম্যান্স নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে (India vs England 2nd Test) ভারতের একাদশ কী হবে তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলে যার সুযোগ পাওয় নিয়ে সবথেকে বেশি প্রশ্ন উঠেছে তিনি শার্দুল ঠাকুর। না বোলিংয়ে, না ব্যাটিংয়ে কোনও কিছুতেই নিজের সেরাচা দিতে পারেনি তিনি। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে তার বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। শার্দুলের জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন কুলদীপ যাদব। এছাড়া মিডল অর্ডারে প্রথম ডাউন অভিষেক টেস্টে হতাশ করেছেন সাই সুদর্শনও। প্রথম ইনিংসে ০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রান করেন তিনি। ফলে দ্বিতীয় টেস্টে তারও বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার বাদলে দলে আসতে পারেন ওয়াশিংটন সুন্দর, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, নীতিশ কুমার রেড্ডি। সমস্যা হচ্ছে, প্রথম টেস্টে ভারতকে ভুগিয়েছে ফিল্ডিংও। একাই চারটি ক্যাচ মিস করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় টেস্টের স্লিপ কর্ডনে থাকবেন না যশস্বী।

    এজবাস্টনে জেতেনি ভারত

    ইংল্যান্ড সফরের শুরুটা ভালো হয়নি ভারতীয় দলের। লিডস টেস্টে জয়ের কাছে পৌঁছেও হার মানতে হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে ০-১ পিছিয়ে। এই অবস্থায় এজবাস্টনের (India vs England 2nd Test) রেকর্ডও ভারতের অনুকূলে নয়। ১৯৬৭ সালে ভারতীয় দল এজবাস্টনে প্রথমবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামে। তারপর থেকে ৫৮ বছর কেটে গিয়েছে। এই মাঠে আরে সাতবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ভারত। দুর্ভাগ্যবশত আটবারের মধ্যে টিম ইন্ডিয়া এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটিও টেস্ট ম্য়াচ জিততে পারেনি। তিন ম্যাচে তো ইনিংসে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। কেবল ১৯৮৬ সালে টেস্ট ম্য়াচ ড্র করতে সক্ষম হয়েছিল ভারতীয় দল। বাকি সাত ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে ভারত। শেষবার তিন বছর আগেও সাত উইকেটে হেরেছিল ভারত। তবে কাজটা কঠিন হলেও শুভমন-গম্ভীরের তরুণ ভারত অবশ্য ইতিহাস পাল্টানোর অপেক্ষাতেই রয়েছে।

LinkedIn
Share