Tag: Madhyom

Madhyom

  • Narendra Modi: ‘বাবা’র ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, করলেন কন্যাদান

    Narendra Modi: ‘বাবা’র ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, করলেন কন্যাদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ তাঁকে চেনে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তিনি বিশ্বনেতা (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার ভারতের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেল ‘বাবা’র ভূমিকায়। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রয়েছেন দক্ষিণ ভারতের সফরে। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে বিগত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন মন্দির দর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী। পালন করছেন তাঁর বিশেষ ব্রত। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন কেরালার ত্রিশূরের গুরুভায়ুর শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে। সেখানেই পুজো দেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি যোগ দেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে কন্যাদানও করতে দেখা যায়।

    কার হয়ে কন্যাদান করলেন মোদি?

    দক্ষিণের সুপারস্টার সুরেশ গোপীর কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। প্রসঙ্গত, সুরেশ এক জন খ্যাতনামা দক্ষিণী অভিনেতা তো বটেই, সেই সঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদও তিনি। একাধিকাবার নিজের পরিবারের সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। নরেন্দ্র মোদি তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। এবার নিজের কন্যাদানের গুরু দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতেই তুলে দিলেন সুরেশ। প্রধানমন্ত্রী এদিন বিবাহ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণামও করেন, ঠিক যেভাবে কোনও কন্যার পিতাকে নিজের মেয়ের বিবাহে দেখা যায়।

    হিন্দু রীতি অনুযায়ী কন্যাদান

    হিন্দু রীতি অনুসারে, কন্যাদানের দায়িত্ব অর্পিত থাকে পিতা বা পিতার অবর্তমানে পিতৃস্থানীয় কারও। পরিবারের জ্যাঠা, কাকা বা মামারাও এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ওই দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীকে পিতার ভূমিকায় দেখে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেক বিশিষ্টজনই।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs Uzbekistan: ব্যর্থ সুনীলদের লড়াই, উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে হার ভারতের

    India vs Uzbekistan: ব্যর্থ সুনীলদের লড়াই, উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও হার মানল ভারত। এশিয়ান কাপে জয়ে ফিরতে পারল না সুনীলরা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়াকু ফুটবলের পর উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধেও লড়াই করল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু প্রথমার্ধে রক্ষণের কিছু ভুলে ৩-০ গোলে ম্যাচ হারতে হল ভারতকে। 

    রক্ষণের ভুল চোখে পড়ল

    ভারতের রক্ষণকে থিতু হওয়ার সময় দিলে তা ভাঙতে সমস্যা হবে, বুঝে গিয়েছিল উজবেকিস্তান। তাই খেলার শুরুতেই গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করল তারা। ম্যাচের ৪ মিনিটেই গোল করলেন আব্বোসবেক ফাইজুলায়েভ। বক্সের মাথা থেকে বল বাড়ান শেরজদ নাসরুল্লায়েভ। দৈহিক উচ্চতা কাজে লাগিয়ে হেডে গোল করেন ফয়জুল্লায়েভ। এগিয়ে যায় উজবেকিস্তান। দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি উজবেকিস্তানকে। ১৮ মিনিটে ফের রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে হয় ভারতকে। ফয়জুল্লায়েভ বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে সেই শট আকাশ মিশ্রর গায়ে লেগে বারে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু রক্ষণের কেউ না থাকায় তা ক্লিয়ার করা যায়নি। ভারতীয় ডিফেন্স পুরো বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল। সেই বল ফলো করে এসে সার্জিভ সহজেই গোল করে। ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আরও একটি গোল খায় ভারত। নাসরুল্লায়েভের একটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বল ধরেই দলের হয়ে তিন নম্বর গোলটি করেন নাসরুল্লায়েভ।

    সিরিয়াকে হারাতেই হবে

    দ্বিতীয়ার্ধে, ভারতীয় দল অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। কিন্তু কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় সুনীলরা। ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় বেশি ঝুঁকি নিচ্ছিল না উজবেকিস্তান। নিজেদের মধ্যে বল ধরে রাখার খেলা খেলছিল তারা। তাগিদ দেখাচ্ছিল ভারত। গোলের জন্য ওঠায় কোনও কোনও সময়ে রক্ষণে ফাঁক তৈরি হচ্ছিল। সেখান থেকে প্রতিআক্রমণে উঠছিল উজবেকিস্তান। পরপর দুটি ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার পথ অনেক কঠিন হয়ে গেল ভারতের। এশিয়ান কাপের নক আউটে যেতে হলে পরের ম্যাচে সিরিয়াকে হারাতেই হবে ভারতকে। তারপর নির্ভর করতে হবে নানা অঙ্কের উপর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ তারিখে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যাতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখতে পারেন, তাই ঘোষণা করা হয়েছে অর্ধদিবস ছুটি।

    অর্ধদিবস ছুটি

    কেন্দ্রের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২২ জানুয়ারি সব কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। বিজেপি-শাসিত রাজ্যেও রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে ছুটি। উত্তরপ্রদেশের সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই দিন মদের দোকান বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, অসম এবং হরিয়ানা সরকারও। স্কুল ও সরকারি অফিসে ছুটি ঘোষণা করেছে গোয়া সরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গে এদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়নি।

    বার কাউন্সিলের আর্জি

    মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন ছুটি ঘোষণার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়েছে বার কাউন্সিল। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র রাম মন্দির উদ্বোধনের তাৎপর্য, ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এর নানা প্রভাবের উল্লেখ করেন। প্রাণপ্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠানটি হবে সোমবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে ডিডি নিউজ ও ডিডি ন্যাশনালে। ইউটিউবে দূরদর্শনের চ্যানেলেও লাইভ দেখা যাবে অনুষ্ঠানটি।

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    সোমবারের অনুষ্ঠান নিয়ে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব গোটা দেশে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার আমন্ত্রিত। এঁদের মধ্যে ভিভিআইপি রয়েছেন তিন হাজার জন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে। অতিথিদের থাকার জন্য বুক করা হয়ে গিয়েছে হোটেল। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনকে। তৈরি করা হয়েছে নয়া বিমানবন্দরও। যেহেতু ২২ তারিখে ভিভিআইপির ভিড়ে ঠাসা থাকবে অযোধ্যা, তাই আমজনতা দেব দর্শন করতে পারবে তার পরের দিন থেকে। মন্দির কমিটির আশা, প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার মানুষ অযোধ্যায় আসবেন দেব (Ram Mandir) দর্শনে।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি বাংলা বলতে চাই। আপনারাও বাংলায় সওয়াল করুন।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মঙ্গলবারই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টে কেন বাংলায় মামলার সওয়াল করা হবে না?’  

    ‘আমি বাংলায় বলতে চাই’

    বৃহস্পতিবার এজলাসে ঢুকেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি বাংলায় বলতে চাই। আমি আশা করব, আপনারাও বাংলায় সওয়াল করবেন। কারণ এজলাসে উপস্থিত অনেক মামলাকারী রয়েছেন, যাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়। তবে কারও অসুবিধা থাকলে তিনি ইংরেজিতেই বলতে পারেন।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট উত্তর চাইলে তার উত্তরও দেব। আদালতকে আমাদের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।” আইনজীবী শীর্ষন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইনের সমস্ত বিষয় ইংরেজিতেই হয়ে থাকে। বাংলায় সওয়াল করলে কীভাবে চলবে? সওয়াল পর্ব কী কাজে ব্যবহার করা হবে?

    ‘২১ ফেব্রুয়ারি অর্থহীন হয়ে পড়বে’

    প্রত্যুত্তরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি তা বলিনি। আদালত চত্বরে যাঁরা আসেন, আদালত কক্ষে কী হচ্ছে তাঁরা যাতে তা বুঝতে পারেন, সেকথা ভেবেই সওয়ালটা বাংলায় করা হোক। কারও বাংলায় সমস্যা থাকলে ইংরেজিতে বলতে পারবেন। আমি বাংলায় বলতে চাই। অন্য দিনও বাংলায় শুনানি করব।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি এখানে অনেকে এসে বাংলায় কথা বলেছেন বলে জিভ কাটছেন। মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য যেখানে জিভ কাটতে হয়, সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারির কোনও মানে হয় না।” আইনজীবী তথা কলকাতা পুরসভার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “এটা ভালো সিদ্ধান্ত। ভারতের বিভিন্ন আদালতে সেখানকার মাতৃভাষায় কথোপকথন হয়।”

    আরও পড়ুুন: তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের জমিতেও থাবা শাহজাহানের!

    এই সময় বিচারপতি আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, “এই শুরুটা আপনি করুন। ভাষার প্রতি সংবেদনশীলতা থাকা প্রয়োজন।” এই সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই বাংলা নিয়ে কেউ আমার কাছে ব্যাখ্যা চাইলে আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তার উত্তর দেব।” এর পরেই বাংলায় কোর্ট অফিসারকে বিচারপতি বলেন, “তালিকায় থাকা পরের মামলাটি ডাকা হোক।” দেশের গা থেকে পরাধীনতার গ্লানি মুছতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার আদালতের গা থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের গন্ধ মোছার ‘ভগীরথ’ হলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • CV Ananda Bose: ‘‘দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান নিয়োগ করুন’’, রাজ্যকে নির্দেশ আনন্দ বোসের

    CV Ananda Bose: ‘‘দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান নিয়োগ করুন’’, রাজ্যকে নির্দেশ আনন্দ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে নবান্নকে নির্দেশ দিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে রাজ্য সরকারকে এই নিয়োগে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। সূত্রের খবর, রাজভবনের পিস রুমে একাধিক অভিযোগ এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান না থাকায় নানা রকম সমস্যা হচ্ছে বলেই অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।

    রাজভবনের নির্দেশ

    রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, রাজভবনের পিস রুমে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তাতে বলা হয়েছে, পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ না হওয়ায় চাকরি পাচ্ছেন না যোগ্য প্রার্থীরা। পিএসসি-তে নিয়োগের ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ

    জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনও আধিকারিক নেই দীর্ঘদিন। নিয়োগ দুর্নীতির কারণে আগেই অপসারণ করা হয়েছে পিএসসি-র চেয়ারম্যানকে। তার পরেও দীর্ঘদিন আর নিয়োগ হয়নি এই পদে। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না পিএসসি। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে একাধিক সরকারি দফতরে নিয়োগে দেখা দিয়েছে জটিলতা।

    আরও পড়ুুন: এবার ইরানে হানা পাকিস্তানের, এশিয়ার আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ?

    প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটতে থাকে সন্ত্রাসের ঘটনা। তার পরেই রাজভবনে পিস রুম চালু করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জানিয়ে দেন, রাজ্যে কোথাও কেউ আক্রান্ত হলে রাজভবনের পিস রুমে জানাতে পারেন। রাজভবন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এই পিস রুমে অভিযোগ জমা পড়েছিল বিস্তর। তার পর থেকে রাজভবনে খোলাই রয়েছে পিস রুম। যে রুমে প্রায়ই জমা পড়ে কোনও না কোনও অভিযোগ। চাকরি না পাওয়ার কারণ জানিয়ে পিস রুমে অভিযোগ জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তার পরেই রাজ্য সরকারকে দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের নির্দেশ দেন আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Fake Job Card: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ! ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    Fake Job Card: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ! ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তে এবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন তাঁদের সকলের জব কার্ড (Fake Job Card) বৈধ কি না তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। বৃহস্পতিবার জব কার্ড সংক্রান্ত মামলায় এই কমিটি তৈরি করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই কমিটিতে থাকবেন রাজ্য, কেন্দ্র, ক্যাগ বা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের এক জন করে প্রতিনিধি।

    কিসের ভিত্তিতে কমিটি

    ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এর মধ্যে একটি করেছিল শ্রমিকদের একটি সংগঠন। অন্যটি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষেত মজদুর সংগঠনের দাবি ছিল, তাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছেন। অথচ কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে এই নিয়ে টানাপড়েনের জন্য প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, শুভেন্দু আদালতকে বলেছিলেন, ১০০ দিনের কাজের নামে বিপুল দুর্নীতি (Fake Job Card) হয়েছে বাংলায়। বৃহস্পতিবার এই দু’টি মামলারই শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    কী বলল আদালত

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানতে চান, বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী? প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “দুর্নীতি যতই থাক, যাঁরা প্রকৃত দরিদ্র, তাঁদের জন্য কী করা হয়েছে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে।” কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুরুলিয়ায় এই দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া যায়। আদালত যদি সিবিআইকে নির্দেশ দেয় তাহলে সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারে। আদালত জানিয়েছে, অভিযোগের গভীরে পৌঁছতে হলে আগে দেখতে হবে যাঁরা প্রাপ্য অর্থের দাবি করছেন, তাঁদের জব কার্ড (Fake Job Card) বৈধ কি না। তাই ভুয়ো জব কার্ড ধরতে বা সঠিক জব কার্ড যাচাই করতেই বৃহস্পতিবার ওই কমিটি তৈরি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা? মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা? মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ওই দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দিয়ে তা জানতে চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বছরভর রাজ্য সফর করেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। ছুটে যান এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। এককথায় গোটা রাজ্যকে হাতের তালুর মতো চেনেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ঠিক কী রকম। অতীতে বিবিন্ন ভোটের সময়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদন্তে অথবা রাম নবমীকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা। তাই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে খোঁজ নিলেন তিনি। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছিলেন শুভেন্দু

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমেত দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনেরা। ২২ জানুয়ারি কলকাতায় ‘সংহতি মিছিল’-এর ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার মিছিলে রাজ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হতে পারে তাই তা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ওই দিন স্থানে স্থানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জিও জানান বিরোধী দলনেতা। যদিও, শাসক দলের কর্মসূচিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: উদ্বোধনের মুখে রাম মন্দির, কাটোয়ার করসেবক শোনালেন ১৯৯২ সালের অভিজ্ঞতা

    ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা গুরুত্বপূর্ণ

    ফলে, একদিকে মমতার মিছিল আবার ওইদিন বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও চলবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনে। সেক্ষেত্রে ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এম আবহে ওইদিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা বৃহস্পতিবারই জানতে চাইলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। চিঠিও দিলেন মুখ্যসচিবকে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে রাজ্যপালও যে সর্বদা চিন্তিত থাকেন এই চিঠিই তার প্রতিফলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: সাইবার নিরাপত্তাতেও জোর অযোধ্যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পাঠাল বিশেষজ্ঞ দল

    Ram Mandir: সাইবার নিরাপত্তাতেও জোর অযোধ্যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পাঠাল বিশেষজ্ঞ দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধন হতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। আর আগে, অযোধ্যায় (Ram Mandir) একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলকে পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই দল সেখানে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবে বলে জানা গিয়েছে। তার কারণ রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোস্ট শুরু হয়েছে। যে কোনও ধরনের সাইবার হুমকির মোকাবিলা করার কাজে সর্বদা নিয়োজিত থাকবে এই দল। শুধুমাত্র পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা ড্রোনের মাধ্যমে নয়, তার পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তার দিকটিও অযোধ্যায় গুরুত্ব সহকারে দেখছে সরকার। এতেই বোঝা যাচ্ছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি কত বড় মেগা ইভেন্ট হতে চলেছে।

    কারা কারা থাকছেন এই বিশেষজ্ঞ দলে

    জানা গিয়েছে, এই দলে রয়েছেন ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের অফিসাররা, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের অফিসাররা, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর আধিকারিকরা এবং ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি সাইবার বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন এই টিমে। সাইবার ক্রাইমের প্রতিটি পদক্ষেপেই কড়া নজরদারি রাখার জন্য তৈরি হয়েছে এই টিম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবারই বলেছেন যে, সারা বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক মুহূর্তের দিকে।

    বুধবার রামলালার মূর্তি এল মন্দির প্রাজ্ঞণে

    ২২ জানুয়ারির আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে অযোধ্যায়। বুধবারই ফুল দিয়ে সাজানো একটি ট্রাকে করে রামলালার মূর্তিকে (Ram Mandir) নিয়ে আসা হয়। রামলালার মূর্তি যে পথ দিয়ে আসে তার দু’ধারে রাস্তার জনগণ জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলতে থাকেন। মূর্তিটি ৫১ ইঞ্চি লম্বা বলে জানা গিয়েছে এবং তা তৈরি করেছেন মাইসুরুর শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। এই মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে ২২ জানুয়ারি। মূর্তিটি তৈরি করতে কর্নাটকের কৃষ্ণ শিলা ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, অরুণ যোগীরাজের তৈরি মূর্তি যথেষ্ট আকর্ষণীয়। পাঁচ বছরের বালক রাম পদ্ম ফুলের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর এক হাতে একটি তীর এবং অপর হাতে একটি ধনুক রয়েছে।

    আমন্ত্রিত অতিথি ৭ হাজার

    প্রসঙ্গত প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ সম্পন্ন হবে। সেখানে দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ২১ জানুয়ারি অযোধ্যাতে (Ram Mandir) পা রাখবেন। ৭ হাজার খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব আমন্ত্রিত রয়েছেন রাম নগরীতে। যার মধ্যে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলি, বলিউডের সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন, শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানী সহ অন্যান্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Puja: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    Ram Puja: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কালীঘাটে আগামী ২২ জানুয়ারি রাম পুজো (Ram Pujo) করার অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের অনুমতি না মেলায় এবারও বিজেপি দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। বিজেপির মিডিয়া সেলের কনভেনর তুষারকান্তি ঘোষ রামের পুজোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যান। উচ্চ আদালত এদিন বিজেপিকে ২২ জানুয়ারি রাম পুজোর (Ram Puja) অনুমতি দিয়েছে।

    কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি? 

    পুজোর স্থান এবং সময়ও ঠিক করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিজেপি অবশ্য কালীঘাটের ৬৬ পল্লি নেপাল ভট্টাচার্য লেনে রামপুজো করার অনুমতি চেয়েছিল। তবে যানজটে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন এই কথা বিবেচনা করে ওই জায়গাটিতে পুজোয় অনুমতি দিতে আপত্তি জানায় রাজ্য। তাদের বক্তব্য, রাস্তা আটকে পুজো (Ram Puja) করা হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। এর পরে আদালত ওই রাস্তা বাদ দিয়ে পার্কে পুজো করার অনুমতি দিয়েছে। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, আগামী ২২ জানুয়ারি কালীঘাটের দেশপ্রাণ শাসমল পার্কে রামপুজোর আয়োজন করতে পারবে বিজেপি। ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পার্কের একাংশে রাম পুজো করা যাবে। 

    ২২ জানুয়ারি দেশজুড়ে রাম পুজো 

    ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই দিন দেশের ধর্মস্থানগুলিতে নাম সংকীর্তন করা হবে বলে আগেই জানিয়েছে আরএসএস। বিজেপিও ওই দিনটি বিশেষভাবে পালন করতে চায়। দিকে দিকে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা রাম পুজো (Ram Puja) করবেন। পুজোর প্রসাদ জনগণের বিতরণও করতে দেখা যাবে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের। দিনভর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। রাম পুজোর অনুমতি চেয়ে কালীঘাট বহুমুখী সেবা সমিতি নামে একটি ক্লাব পুলিশের কাছে কালীঘাটের ৬৬ পল্লি ক্লাবের কাছে রামপুজোর আয়োজন করতে চেয়ে আবেদন করে। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। অবশেষে কোর্ট অর্ডারে হতে চলেছে পুজো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ভাষণ নয়…’’, তৃণমূলকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ভাষণ নয়…’’, তৃণমূলকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন সংহতি যাত্রার আয়োজন করেছে তৃণমূল। তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের পর ২২ জানুয়ারি তৃণমূলের মিছিলে আর কোনও বাধা রইল না।

    হিংসার আশঙ্কা

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী সৌম্য মজুমদার বলেন, “২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। ব্লকে ব্লকে এই মিছিল হলে হিংসা ছড়াতে পারে। রাম নবমীতে রাজ্যে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। তেমন হিংসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।” সওয়াল-পর্ব শেষে (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে মিছিল করা যাবে ২২ জানুয়ারি। তবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে পারে এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না। মিছিল করতে হবে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে। শব্দবিধি মানতে হবে। তবে মিছিল থেকে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় নিতে হবে তৃণমূলকে।

    কী বলল আদালত?

    প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের মিছিলের ক্ষেত্রে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে, আটকে পড়তে পারে অ্যাম্বুল্যান্স। এই বিষয়গুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট পার্টি ও রাজ্য সরকারকে তৎপর হতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, প্রতি ব্লকে যদি এই মিছিল হয়, তবে সেখানকার সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। এই মিছিলের জন্য আগাম কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওই দিন আরও ৩৫টি মিছিলের আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি অনুমতি পেলে সমস্যা আরও বাড়বে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে মিছিলের যে আর্জি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, তাও খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় রাম মন্দির উদ্বোধন, নেতিবাচক প্রচার শুরু পাকিস্তানের!

    রায়ে বলা হয়েছে, ‘অঘটন ঘটলে দায় বর্তাবে ওই দলের ওপর। আদালতের (Calcutta High Court) রায় লঙ্ঘন করলে দায়ী হতে পারেন ব্যক্তিও।’ প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কলকাতার হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করেছে তৃণমূল। নাম দেওয়া হয়েছে সংহতি যাত্রা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share