Tag: Madhyom

Madhyom

  • Vijay Mallya Nirav Modi: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    Vijay Mallya Nirav Modi: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা ঋণখেলাপি। পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ব্রিটেনে। ঋণখেলাপি সেই বিজয় মালিয়া ও নীরব মোদির (Vijay Mallya Nirav Modi) খোঁজে এবার লন্ডন পাড়ি দিচ্ছে সিবিআই-ইডি এবং এনআইএর পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের দল। বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ওই দুই ঋণখেলাপির প্রত্যর্পণের চেষ্টা করবে ওই তদন্তকারী দল। এজন্য ব্রিটেনের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলবেন ওই দলের সদস্যরা। সিবিআই-ইডি এবং এনআইএর আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত এই দলের লন্ডন সফর নিয়ে অবশ্য এখনও কিছু বলা হয়নি কেন্দ্রের তরফে।

    নীরব-বিজয়-সঞ্জয়

    নীরব মোদি হিরে ব্যবসায়ী। বিজয় মালিয়া কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন মালিক। এই দুই (Vijay Mallya Nirav Modi) ঋণখেলাপি ছাড়াও আরও এক পলাতক ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণের বিষয়েও গতি আনতে চাইছে নয়াদিল্লি। তিনি অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারি। ইউপিএ জমানায় একাধিক অস্ত্রচুক্তিতে তিনি মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে অভিযোগ। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লন্ডন ও দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনেছেন।

    প্রত্যর্পণের চেষ্টা চলবে

    অর্থনৈতিক অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়া চললে এক দেশ অন্য দেশের সঙ্গে তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করবে বলে চুক্তি রয়েছে নয়াদিল্লি ও লন্ডনের মধ্যে। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও নীরব ও বিজয়কে প্রত্যর্পণের চেষ্টা করলেও, আইনি জটে এখনও তা সম্পন্ন হয়নি। সেই কারণেই ফের একবার চেষ্টা করছে ভারত।

    জানা গিয়েছে, ব্রিটেন পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষস্তরে কথা বলে পলাতক নীরব, বিজয় ও সঞ্জয়কে দেশে ফেরানোর চেষ্টার পাশাপাশি বিদেশে তাঁদের নামে-বেনামে কেনা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদনও জানাবে সিবিআই-ইডি এবং এনআইএ আধিকারিকদের সমন্বয়ে গঠিত ভারতীয় গোয়েন্দাদের দলটি।

    আরও পড়ুুন: ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’কাণ্ডে বিপাকে তৃণমূলের নুসরত, কী বলল আদালত?

    প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বিপুল পরিমাণ টাকা তছরুপের অভিযোগে কাঠগড়ায় নীরব। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালানোর অভিযোগ লিকার ব্যারন বিজয়ের বিরুদ্ধে। আর সঞ্জয় দেশ ছাড়েন ২০১৬ সালে, ইডি এবং আয়কর দফতর তদন্ত শুরু করতেই (Vijay Mallya Nirav Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Indian Coast Guard: ফের মুড়িগঙ্গার চরে আটকে পড়ল পুণ্যার্থী-বোঝাই ভেসেল, উদ্ধারে উপকূলরক্ষী বাহিনী

    Indian Coast Guard: ফের মুড়িগঙ্গার চরে আটকে পড়ল পুণ্যার্থী-বোঝাই ভেসেল, উদ্ধারে উপকূলরক্ষী বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাওয়ার সময় একই বিপত্তি ঘটেছিল। পুনরাবৃত্তি দেখা গেল ফেরার পথেও। ফের, নদীর চরে আটকে পড়ল পুণ্যার্থী-বোঝাই ভেসেল। আবার উদ্ধারকার্যে (Gangasagar Pilgrims Rescued) নেমে সকলকে নিরাপদে পৌঁছে দিল উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard)।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard) তরফে মঙ্গলবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান সেরে ফিরছিলেন ১৭৫ জন পুণ্যার্থী। সোমবার রাতে কচুবেড়িয়া থেকে ভেসেলে ওঠেন পুণ্যার্থীরা। কাকদ্বীপ ফিরছিল ভেসেলটি। কিন্তু, মাঝপথে ভাটা শুরু হয়ে মুড়িগঙ্গার চরে ভেসেলটি আটকে যায়। প্রায় ৬ ঘণ্টা আটকে ছিলেন পূণ্যার্থীরা (Gangasagar Pilgrims Rescued)। সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একদিকে তীব্র ঠান্ডা হাওয়া, তার সঙ্গে কুয়াশার দাপট— অনেকে ঠান্ডার মধ্যে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। 

    উদ্ধারে উপকূলরক্ষী বাহিনী

    বেলার দিকে কুয়াশা সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েন উপকূলরক্ষী বাহিনী। ২টি হোভারক্র্যাফট এবং একাধিক স্পিড বোটে করে পৌঁছে যায় উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard) ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের সদস্যরা। এক-এক করে পুণ্যার্থীকে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সকল পুণ্যার্থীকে (Gangasagar Pilgrims Rescued) নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে। জানা গিয়েছে, ঘন কুয়াশার জেরে দিকভ্রষ্ট হন ভেসেল চালক। যে কারণে এই বিপত্তি। 

    এর আগে, গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথেও, এই চরে দুটি ভেসেল আটকে যায়। যাত্রী বোঝাই একটি ভেসেল প্রায় ৫ ঘণ্টা আটকে ছিল। তার আগে, গত বছরও এই মুড়িগঙ্গাতেই আটকে পড়েছিল পুণ্যার্থী-বোঝাই ভেসেল। সেবারও উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard) গিয়ে সকলকে উদ্ধার করেছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lionel Messi: অটুট রইল মুকুট! এমবাপ্পে-হালান্ডকে পিছনে ফেলে অষ্টমবার ফিফার বর্ষসেরা মেসি

    Lionel Messi: অটুট রইল মুকুট! এমবাপ্পে-হালান্ডকে পিছনে ফেলে অষ্টমবার ফিফার বর্ষসেরা মেসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃদ্ধ রাজা, তবু মুকুট টলল না। গত ৪ বছরে মোট ৩ বার ফিফার বিচারে বর্ষসেরার (Fifa Award) তকমা পেলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। ২০২২ সালের সেরা ফুটবলার হয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের নিরিখেও সেই পুরস্কার পেলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে কড়া টক্কর ছিল আর্লিং হালান্ডের। হালান্ড ও মেসির সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পেও। শেষ পর্যন্ত তাঁদের টেক্কা দিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। অষ্টম বার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন লিয়োনেল মেসি।

    মেসি ভোট দেন হালান্ডকে

    লন্ডনে সোমবার রাতে ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ উপলক্ষে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনেকেই ভেবেছিলেন এবার হয়তো মেসিকে (Lionel Messi) হারিয়ে সেরার শিরোপা উঠবে হালান্ডের মাথায়। অবশ্য দুই প্রজন্মের দুই সেরা ফুটবলারের মধ্য়ে ভোটিংয়ের ময়দানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। ৩৭ বছর বয়সে এসেও এখনও তিনি পাল্লা দিয়ে লড়ে যাচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের তাককাদের সঙ্গে। বুঝিয়ে দিলেন তাঁর সাম্রাজ্য-আধিপত্য এখনও অটুট। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মেসি জানিয়েছিলেন যে আসন্ন কোপা আমেরিকা পর্যন্ত আপাতত খেলা চালিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ”যত দিন মন থেকে ফুটবলটা উপভোগ করছি, তত দিনই খেলব। আমার লক্ষ্য এখন শুধু ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা। সময় বলবে আমি পরের বিশ্বকাপে থাকব কি না। সেই সময় আমার বয়স ৩৯ বছর হবে। তাতে বিশ্বকাপ খেলা কঠিন।”

    সুনীলের পছন্দ মেসি

    ছেলেদের ‘দ্য বেস্ট’ বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, সংবাদকর্মী ও বিশ্বব্যাপী ভক্তরা। মেসি এবং হালান্ড দুজনেই ৪৮ পয়েন্ট পেয়েছেন ভোটে। কিন্তু জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে সেরা মনোনীত হন মেসি। উল্লেখ্য, মেসি নিজে হালান্ডকে ভোট দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী ভোট দিয়েছিলেন মেসিকে। যদিও এদিন লন্ডনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মেসি। তাঁর হয়ে অ্যাওয়ার্ড নেন থিয়েরি অঁরি। মেয়েদের ফুটবলের বর্ষসেরা (Fifa Award) হয়েছেন স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানো বনমাতি। ছেলেদের ‘দ্য বেস্ট’ কোচের পুরস্কার ওঠে পেপ গুয়ার্দিওলার হাতে। ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ব্রাজিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যবসা হবে এক লাখ কোটি টাকার!

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যবসা হবে এক লাখ কোটি টাকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথ দেখার পাশাপাশি হবে কলা বেচাও! ব্যতিক্রম নয় অযোধ্যাও। ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এই শহরে হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হবে এদিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাত হাজার জনকে। মন্দির উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে দেশে এক লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)-র সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল।

    অর্থনীতিতে প্রভাব

    সোমবার তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যে কেবল ধর্মের সম্পর্ক রয়েছে, কেবল তা নয়, অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। মানুষের ভগবৎ বিশ্বাসের কারণে দিন দিন কত নতুন নতুন ব্যবসা হচ্ছে দেশে। যার প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে।” তিনি জানান, দেশের ৩০টি শহরের ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এ খবর পাওয়া গিয়েছে। খাণ্ডেলওয়াল জানান, রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে সমাজের সর্বস্তরে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। তাই অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিস মানুষ কিনবেন। আমজনতার এই চাহিদা পূরণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।

    মন্দিরের মডেলের চাহিদা তুঙ্গে

    সিএআইটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “রাম মন্দিরের মডেলের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আশা করা যাচ্ছে, সারা দেশে মন্দিরের মডেল বিক্রি হবে পাঁচ কোটি। চাহিদা পূরণ করতে দিনরাত এক করে দেশের বহু শহরে কাজ করছেন ব্যবসায়ীরা।” রাজধানীর দু’শোর বেশি বড় এবং ছোট বাজারে শ্রী রামের (Ram Mandir) ছবি আঁকা পতাকা বিক্রি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই বিক্রি আরও বাড়বে। তিনি জানান, বাজারে শ্রী রাম পতাকা, ব্যানার, টুপি, টি-শার্ট এবং রাম মন্দির আঁকা কুর্তার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। অংশ নেবেন বৃন্দাবন ও জয়পুরের শিল্পীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন জানালেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন এবং গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা হবে ২২ জানুয়ারি, সোমবার। যদিও মূল ওই অনুষ্ঠানের আচার শুরু হয়ে গিয়েছে আজ, মঙ্গলবার থেকেই। মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরের দিন থেকেই দেব দর্শন করতে পারবেন আমজনতা। মন্দির কর্তৃপক্ষের আশা, ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার দেবভক্ত আসবেন রামরাজ্য অযোধ্যায়, চাক্ষুষ করবেন শিশু রামের অনিন্দ্যসুন্দর বিগ্রহ (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দেন তিনি। ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য দায়ী করেন দফতরের চার কর্মীকে। পর্ষদকে ভুল শুধরে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেয় আদালত।

    পর্ষদকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

    বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, ২২ জানুয়ারির মধ্যে কার্যকর করতে হবে আদালতের নির্দেশ। কোথায় গাফিলতি ছিল, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে পর্ষদকে। গাফিলতির প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, জানাতে হবে তাও। রাজ্য শিক্ষা দফতর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসিকে শূন্যপদ নিয়ে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাঁকুড়া শালতোড়া গার্লস স্কুলে চাকরির সুপারিশ পান জনৈক উমা প্রামাণিক। অভিযোগ, দু’বছর (Calcutta High Court) পরেও তাঁকে চাকরি দেয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    কীভাবে ঘুরল মামলার মোড়?

    হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে পর্ষদ জানায়, সুপারিশপত্র দেয়নি এসএসসি। তাই চাকরি দেওয়া যায়নি। পরে এসএসসি উমাকে সুপারিশপত্র দিয়েছে, এমন প্রমাণ তুলে ধরতেই ঘুরে যায় মামলার মোড়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদ অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। পর্ষদের গাফিলতির জেরেই দু’বছর পরেও চাকরি পাননি মামলাকারী। এর পরেই পর্ষদের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব করেন বিচারপতি। আদালত কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না, তার কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন জানালেন শুভেন্দু

    এদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে সুব্রত বলেন, “ভুল ছিল পর্ষদেরই। দফতরের চার কর্মীর উদাসীনতার কারণেই ওই ভুল হয়েছে। এঁরা হলেন, পর্ষদের সহকারী সচিব, পর্ষদ সভাপতির পিএ এবং চুক্তিভিক্তিক দুই গ্রুপ সি কর্মী।” বিচারপতি বসু জানান, একজন যোগ্য প্রার্থীকে এতদিন চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর জন্য যাঁরাই দায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ওই চারজনের বিরুদ্ধে পর্ষদ সচিব কী পদক্ষেপ করেছেন, পরবর্তী শুনানিতে তা জানাতে হবে আদালতে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Deepfake: সচিনের ক্ষোভ! সজাগ কেন্দ্র, ডিপফেক রুখতে কড়া আইন আনছে সরকার

    Deepfake: সচিনের ক্ষোভ! সজাগ কেন্দ্র, ডিপফেক রুখতে কড়া আইন আনছে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে বাড়ছে অনলাইন প্রতারণা। সম্প্রতি সোশ্যাল সাইটে ভুয়ো ভিডিয়ো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের তথা বিশ্বের কিংবদন্তী ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। এবার তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে সমাজ মাধ্যমগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। ডিপফেক রুখতে দ্রুত কড়া তথ্য-প্রযুক্তি আইন আনা হবে বলে জানালেন তিনি।

    সচিনের অভিযোগ

    সেলিব্রিটি থেকে আমজনতার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিপফেক (Deepfake) প্রযুক্তি। আর এই ডিপফেকের রমরমা রুখতে এবার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। সচিনের অভিযোগ, একটি অনলাইন গেমিং সংস্থা প্রযুক্তির সাহায্যে অন্য ব্যক্তির কণ্ঠস্বরকে তাঁর বলে চালিয়ে প্রচার করছে। এই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে সচিন কন্যা সারা সংস্থাটির অনলাইন গেম খেলছে। এবং সচিন বার্তা দিচ্ছেন, গেমটি খেলে উপার্জনও করা যায়। এরপরই প্রযুক্তির ব্যাপক অপব্যবহার নিয়ে সোচ্চার হন সচিন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।

    কঠোর আইনের আশ্বাস

    প্রাক্তন ক্রিকেটারের বার্তা দ্রুত পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে। কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।  সমাজমাধ্যমে দেওয়া উত্তরে তিনি বলেছেন,‘‘এই বার্তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সচিন। এআইয়ের মাধ্যমে ডিপফেক এবং ভুল তথ্য ভারতের সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে হুমকির মতো হয়ে যাচ্ছে। তঁদের নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসভঙ্গ হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে। যে প্ল্যাটফর্ম বা সংস্থাগুলো এ সব করছে, তাদের উচিত এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক নির্দেশিকা সম্পূর্ণ ভাবে মেনে চলা। সংস্থাগুলো যাতে নির্দেশিকা মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে আইন কঠোর করা হবে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কাঁপছে কলকাতা থেকে জেলা! কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে এবার বৃষ্টিও?

    Weather Update: কাঁপছে কলকাতা থেকে জেলা! কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে এবার বৃষ্টিও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁপছে কলকাতা। আজ, কলকাতার তাপমাত্রা ১৩.৬ ডিগ্রি। জাঁকিয়ে শীত পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা পাল্লা দিচ্ছে দার্জিলিং-গ্যাংটকের সঙ্গে। ভোরের দিকে কিংবা সন্ধ্যার পর কুয়াশায় ঢাকছে চারপাশ। এবার সঙ্গী বৃষ্টি। দ্রুত হাওয়া বদলের সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। শুধু তাই নয়, রয়েছে বৃষ্টিরও পূর্বাভাস। আজ মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা পাহাড়-উপকূলে।

    শীতের মধ্যে বৃষ্টি

    মাঘের প্রথম দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দিল আবহাওয়া দফতর। এদিন হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু অংশে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার দক্ষিণের প্রায় সব এবং উত্তরের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলতে পারে বৃষ্টি। শীতের বৃষ্টিতে আলু ও সব্জি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সেই নিয়ে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে বাড়তে পারে ভোগান্তি। স্কুল, কলেজ, অফিস যাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও উচ্চচাপ বলয়ের জেরে সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণ বঙ্গে। এর ফলে মঙ্গলবার থেকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত আবহাওয়া এরকমই থাকবে।

    আরও পড়ুন: উদ্বিগ্ন মায়ানমার সরকার! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহরের দখল নিল বিদ্রোহীরা

    উত্তরের হাওয়া

    মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হতে পারে। হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার জেলায়। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি বুধবার দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হাল্কা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হতে পারে। কার্শিয়াং-এ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময় বাকি জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: প্রাণপ্রতিষ্ঠা আগামী সোমবার, আজ থেকে রাম মন্দিরে শুরু ৭ দিনের আচার-অনুষ্ঠান

    Ram Mandir: প্রাণপ্রতিষ্ঠা আগামী সোমবার, আজ থেকে রাম মন্দিরে শুরু ৭ দিনের আচার-অনুষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। আগামী সোমবার সারা বিশ্বের নজর থাকবে অযোধ্যায়। আগামী ২২ জানুয়ারি, রাম নগরীতে হতে চলেছে রাম মন্দিরের দ্বোরোদঘাটন এবং সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে হবে রামলালা বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা। তবে সেই সম্পর্কিত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল তার সাত আগেই। অর্থাৎ, আজ, মঙ্গলবার থেকেই। ১৬ থেকে শুরু করে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত কবে কোন কোন কর্মসূচি রয়েছে সেই তালিকা সোমবার প্রকাশ করেছে ‘শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’।

    মন্দির ট্রাস্টের তরফে সংস্থার এক্স হ্যান্ডলে আগামী সাতদিনের আচার-অনুষ্ঠানের যাবতীয় বিবরণ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে— রামলালার মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা যোগ আগামী পৌষ শুক্লা কুর্ম দ্বাদশী, বিক্রম সংবত ২০৮০, অর্থাৎ সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪-এ পড়েছে৷ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পবিত্রতম অভিজিৎ মুহূর্তে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে। তার আগে শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে আগামী সাতদিন কিছু রীতি পালন করা হবে। কী সেই নিয়ম?

    আগামী সাত দিনের কর্মসূচি—

    ১৬ জানুয়ারি: প্রায়শ্চিত্ত এবং কর্মকুটি পুজো।
    ১৭ জানুয়ারি: মূর্তি পরিসর প্রবেশ পুজো।
    ১৮ জানুয়ারি বিকেল: তীর্থপুজো, জলযাত্রা এবং গন্ধাধিবাস।
    ১৯ জানুয়ারি সকাল: ঔষধাধিবাস, কেসরাধিবাস এবং ঘৃতাধিবাস।
    ১৯ জানুয়ারি বিকেল: ধন্যধিবাস।
    ২০ জানুয়ারি সকাল: শর্করাধিবাস, ফলাধিবাস।
    ২০ জানুয়ারি বিকেল: পুষ্পাধিবাস।
    ২১ জানুয়ারি সকাল: মধ্যধিবাস।
    ২১ জানুয়ারি বিকেল: সহ্যধিবাস।

    অধিবাসের নিয়ম ও আচার্য

    সাধারণত, প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে সাতটি আধিবাস থাকে এবং ন্যূনতম তিনটি আধিবাস আচারে থাকে। ১২১ আচার্য মিলে এই গোটা অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। গোটা আচার-অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধান, সমন্বয় এবং পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন শ্রী গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। প্রধান আচার্য হবেন কাশীর শ্রী লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পরিচালক মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। 

    বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থিতি

    মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাক্ষী থাকতে ওইদিন অযোধ্যায় উপস্থিত থাকতে চলেছেন ভারতীয় আধ্যাত্মবাদ, ধর্ম, সম্প্রদায়, উপাসনা পদ্ধতি, ঐতিহ্যের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের আচার্যেরা, ১৫০-রও বেশি বিভিন্ন মত-পন্থের সাধু-সন্ন্যাসী এবং ৫০-এরও বেশি আদিবাসী, জনজাতি শ্রেণির শীর্ষ নেতৃত্ব। এর পাশাপাশি, উপস্থিত থাকবেন জৈন, বুদ্ধ, শিখ সমাজের ধর্মীয় নেতা এবং হিন্দু ধর্মের নানা মতে বিশ্বাসী জনগণের ধর্মীয় প্রতিনিধিরাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Myanmar Rebel:  ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহরের দখল নিল বিদ্রোহীরা! উদ্বিগ্ন মায়ানমার সরকার

    Myanmar Rebel: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহরের দখল নিল বিদ্রোহীরা! উদ্বিগ্ন মায়ানমার সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে মায়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর পালেতাওয়ার দখল করল সেখানকার বিদ্রোহীরা। রাখাইন প্রদেশের অন্তর্গত কালাদান নদীর তীরবর্তী ওই শহর  দখল করেছে মায়ানমারের শক্তিধর সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ওই বন্দরের সাহায্যে ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালাত মায়ানমার। এই বন্দর বিদ্রোহীদের হাতে গেলে মানানমারের সামরিক জুন্টা সরকার আর্থিক ও বাণিজ্যিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অনুমান কূটনীতিকদের। একই সঙ্গে এর ফলে নতুন করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শরণার্থীদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    মায়ানমারে বিদ্রোহ

    মায়ানমারের পশ্চিমাংশের রাখাইন প্রদেশ থেকে সশস্ত্র কার্যকলাপ পরিচালনা করে ‘আরাকান আর্মি’। মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। বিদ্রোহীদের হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সে দেশের অর্ধেক এলাকা সরকারি সেনার হাতছাড়া হয়েছে। বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়েছে, সীমান্তে স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাঁরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার চেষ্টা চালিয়ে চালাবেন।’ সংগঠনের মুখপাত্র খিন থু খা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘পালেতাওয়ার প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেব আমরা।’’

    আরও পড়ুন: পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে সেনার হাতে আসছে দেশীয় ড্রোন ‘দৃষ্টি-১০’

    আরাকান আর্মির দাবি

    বিষয়টি নিয়ে আপাতত মায়ানমার সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, পালেতাওয়ার অঞ্চলে গত সপ্তাহে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তবে অধিকাংশ মানুষই চলতি মাসের গোড়ার দিকে পালেতাওয়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন। স্থানীয় গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। কয়েকজন বাসিন্দাই শুধুমাত্র পালেতাওয়ায় থেকে গিয়েছেন। যেখানে ইন্টারনেট এবং মোবাইল সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ , যার মধ্যে কয়েক হাজার আশ্রয় নিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মিজেরামে। উল্লেখ্য, মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ২০১৫ সালে ওই পালেতাওয়া অঞ্চলে প্রথমবার পা রেখেছিল আরাকান আর্মি। যে অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা আদতে চিন গোষ্ঠীর। যত দ্রুত সম্ভব পালেতাওয়া অঞ্চলে সুরক্ষা এবং আইনের শাসন কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drishti-10: পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে সেনার হাতে আসছে দেশীয় ড্রোন ‘দৃষ্টি-১০’

    Drishti-10: পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে সেনার হাতে আসছে দেশীয় ড্রোন ‘দৃষ্টি-১০’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সীমান্ত (Indo-Pak Border) দিয়ে চোরাচালান-গতিবিধির ওপর নজরদারির ক্ষেত্রে এবার থেকে আরও সজাগ হতে চলেছে সেনার দৃষ্টি। পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে এবার ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে দেশীয় ‘দৃষ্টি-১০’ ড্রোন (Drishti-10) বা চালকবিহীন সশস্ত্র বিমান।

    নজরদারির পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র বহনও সক্ষম

    সেনা সূত্রে খবর, পাঞ্জাব সেক্টরের ফরোয়ার্ড বেসগুলিতে এই বিশেষ ড্রোন মোতায়েন করা হচ্ছে। ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় দীর্ঘক্ষণ ধরে উড়তে সক্ষম ‘দৃষ্টি-১০’ (Drishti-10)। একটানা ৩৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই চালকবিহীন বিমান। সীমান্তে (Indo-Pak Border) নজরদারির পাশাপাশি অস্ত্রবহনেও সক্ষম ‘দৃষ্টি-১০’। এর জন্য বিমানের পেটে তিনটি হার্ড-পয়েন্ট (ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জায়গা) রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই এই ড্রোনগুলি সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই বিশেষ ড্রোন বানিয়েছে আদানি ডিফেন্স সংস্থা। সূত্রের খবর, জরুরি ভিত্তিতে, ২টি ‘দৃষ্টি-১০’ ড্রোনের বরাত দিয়েছে সেনা। শর্ত এটাই যে, উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের ৬০ শতাংশ দেশীয় হতে হবে। 

    পাঞ্জাব ও মরু সীমান্তের নিরাপত্তায় জোর

    সেনা সূত্রের খবর, পঞ্জাব সীমান্তের (Indo-Pak Border) পাশাপাশি, মরু অঞ্চলেও নজরদারি চালাতে ব্যবহৃত হবে এই ড্রোন। বর্তমানে, এই অঞ্চলের নজরদারিতে ‘হেরন মার্ক ওয়ান’ ও ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এবাপ তার পাশাপাশি ‘দৃষ্টি-১০’ (Drishti-10) বা ‘হারমিস-৯০০’ ড্রোনের বরাত দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই ড্রোন ভারতেই উৎপাদন করবে আদানি ডিফেন্স। এর জন্য ইজরায়েলি সংস্থা এলবিট-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা। সংস্থার দাবি, ড্রোনের ৭০ শতাংশই দেশি হবে। পরবর্তীকালে, সেই অনুপাত আরও বাড়ানো হবে। 

    ‘দৃষ্টি-১০’-এর (Drishti-10) পাশাপাশি ইজরায়েল থেকে আরও বেশ কয়েকটি স্যাট-কম যোগাযোগে সমৃদ্ধ ড্রোন অন্তর্ভুক্ত করেছে ভারতীয় নৌসেনা। গত সপ্তাহে সেগুলি প্রকাশ্যে আনেন ভারতীয় নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং আর্মি এভিয়েশনের ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অজয় সুরী। জানা যাচ্ছে, সেগুলিকে পৌরবন্দরে মোতায়েন করা হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share