Tag: Madhyom

Madhyom

  • Attacks on Hindu: বাংলাদেশে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের জমি দখলের হুমকি

    Attacks on Hindu: বাংলাদেশে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের জমি দখলের হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) নাগাড়ে অশান্তি চলছেই। বেছে বেছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Attacks on Hindu) উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটাচ্ছে সেদেশের হিন্দুরা। শনিবার (২৮ জুন) রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলায় স্থানীয় সন্ত্রাসী শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে পরিকল্পিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা একাধিক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালায়, দেব-দেবীর প্রতিমা নষ্ট করে এবং বেছে বেছে হিন্দুদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ধারালো অস্ত্র, দা, লাঠি নিয়ে হামলা

    স্থানীয় একজন হিন্দু (Attacks on Hindu) প্রবীণ নাগরিক বিজয় চন্দ্র রায় জানান, জমি নিয়ে পূর্বে থেকেই শাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। শনিবারের হামলা ছিল সেই বিরোধেরই ধারাবাহিকতা, যা জমি দখলের উদ্দেশ্যেই চালানো হয়েছে। হামলার সময় শাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে থাকা দুর্বৃত্তরা বিজয় চন্দ্র রায়ের বাড়ির সামনে একটি লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মন্দিরে থাকা মা মনসার প্রতিমা-সহ অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তিও ভাঙচুর করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তরা হাতে ধারালো অস্ত্র, দা, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় এবং সংখ্যালঘু পরিবারগুলিকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। এক হিন্দু মহিলা বলেন, “ওরা বলেছে— জমি দখল করে নেবে, আমাদের পুড়িয়ে মারবে। ওরা আবার আসবে বলেও হুমকি দিয়েছে।”

    হেলদোল নেই ইউনূস প্রশাসনের

    রবিবার (২৯ জুন) ‘বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) অগ্নিবীর, রংপুর বিভাগ’ নামক একটি হিন্দু (Attacks on Hindu) সংগঠন সামাজিক মাধ্যমে ওই ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে, যেখানে মন্দিরে ভাঙচুরের ছবি এবং আহত লোকজনের আর্তনাদ শোনা যায় (ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এর আগেও, গত মাসে নওগাঁ জেলার খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর এলাকায় একটি মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে হিন্দু সম্প্রদায়। ওই ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতির উপরও হামলা চালানো হয়েছিল। স্থানীয় সংখ্যালঘুদের দাবি, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের হামলা আরও বাড়তে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা ঘটলেও তা স্বীকার করতে রাজি নয় মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতিদিন পদ্মাপারের দেশে আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ইউনূস প্রশাসনকে বারবার বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। কিন্তু, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তা নিয়ে বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি।

  • Daily Horoscope 02 July 2025: ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 July 2025: ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়িতে অতিথি আগমন হতে পারে।

    ২) পরিবারে ব্যস্ততা বাড়বে।

    ৩) ছোট বাচ্চারা হইহুল্লোড়ে ব্যস্ত থাকবেন।

    বৃষ

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ বাবার পরামর্শে বিবাদের সমাধান হবে।

    ২) বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা নতুন কিছু করতে চাইবেন।

    মিথুন

    ১) ছাত্রছাত্রীরা নতুন কিছু শিখতে পারবেন।

    ২) অনাবশ্যক ব্যয় এড়িয়ে যেতে হবে।

    ৩) সুসংবাদ পাবেন।

    কর্কট

    ১) সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।

    ২) মা-বাবার আশীর্বাদ পাবেন।

    ৩) ভাই-বোনকে কিছু পরামর্শ দিতে পারেন।

    সিংহ

    ১) রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দিন কাটাবেন।

    ২) কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ আপনার অনুকূলে থাকবে।

    ৩) বিরোধী প্রবল হবে।

    কন্যা

    ১) অতীত সমস্যার সমাধান হবে।

    ২) শত্রুতা ও বিবাদের সমাধান হবে।

    ৩) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    তুলা

    ১) আত্মীয়দের কাছ থেকে সুসংবাদ পাবেন।

    ২) ব্যবসায়ীদের ধনলাভ হবে আজ।

    ৩) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) বহুদিন ধরে দেখা করতে চান এমন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ হতে পারে।

    ২) কাছের বা দূরের যাত্রা করতে পারেন।

    ৩) খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ধনু

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সুখ ও সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) আত্মবিশ্বাস চরমে থাকবে।

    ৩) সন্ধ্যা ও রাতে কোনও বিশেষ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।

    মকর

    ১) আর্থিক লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

    ২) ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন না।

    ৩) কারও ওপর ভরসা করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি আইনি কাজের জন্য ফলদায়ী।

    ২) আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।

    ৩) ব্যবসায়ীরা নিজের কথা অন্যের সামনে রাখতে পারবেন।

    মীন

    ১) ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে।

    ২) পরিবারে পুজোর আয়োজন করতে পারেন।

    ৩) আজকের দিনটি আপনাদের জন্য ভালো।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।..

  • Welfare Revolution: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত

    Welfare Revolution: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল নরেন্দ্র মোদির ভারত। এক দশকেরও কম সময়ে এই কভারেজ বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ন্যাশনাল ইন্ডিকেটর ফ্রেমওয়ার্কের অগ্রগতি (Social Security Coverage) রিপোর্ট ২০২৫-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। এই তথ্য উপস্থাপিত করেছে পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক (Welfare Revolution)।

    সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা (Welfare Revolution)

    প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতা ২০১৬ সালে যেখানে ছিল মাত্র ২২ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩ শতাংশে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কোনও বড় গণতান্ত্রিক দেশের অন্যতম বৃহত্তম কল্যাণমূলক সাফল্য। এই বিপুল বৃদ্ধি ভারত সরকারের একটি সুস্পষ্ট নীতিগত পরিবর্তন নির্দেশ করে, যেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপত্তা-নির্ভর উন্নয়ন মডেল গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। এর লক্ষ্য হল সমাজের দুর্বল শ্রেণিগুলির ক্ষমতায়ন এবং বৈষম্য হ্রাস করা, যা সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ১ (SDG 1) অর্থাৎ, “সর্বত্র ও সকল মাত্রায় দারিদ্র্য দূরীকরণ”-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

    গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি

    ভারত গত এক দশকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি শুরু করেছে, যা সামাজিক নিরাপত্তা কভারেজের দ্রুত সম্প্রসারণে সহায়ক হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল নগদ হস্তান্তর, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পেনশন কভারেজ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং বিমা প্রকল্পসমূহকে একটি বিস্তৃত নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের আওতায় এনে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি (PM-KISAN) প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রতি বছর ৬,০০০ টাকা সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে চালু হওয়া আয়ুষ্মান ভারত (Social Security Coverage) প্রধানমন্ত্রীর জন আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY) প্রকল্পে প্রতি পরিবারকে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য কভার দেওয়া হয় (Welfare Revolution)। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, যা ২০১৩ সালে কার্যকর হয়েছিল, এবং সাম্প্রতিক কিছু প্রকল্প যেমন প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় (PMGKAY) বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছে।

    ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বার্ধক্য পেনশন যোজনা (IGNOAPS) এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনার মাধ্যমে ভারত অসংগঠিত খাতের শ্রমিক, বৃদ্ধ ও বিধবাদের জন্য পেনশন ব্যবস্থার পরিধি বাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (PMJDY) ৫০ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা (Social Security Coverage) বিমা যোজনার মতো স্বল্প খরচের জীবন ও দুর্ঘটনা বিমা প্রকল্পগুলি লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের কাছে বিমা সুরক্ষা পৌঁছে দিয়েছে (Welfare Revolution)।

  • Air India Flight: হঠাৎই বিমান নেমে এল ৯০০ ফুট নীচে, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল এয়ার ইন্ডিয়া

    Air India Flight: হঠাৎই বিমান নেমে এল ৯০০ ফুট নীচে, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রেশ (Ahmedabad Crash) এখনও মিলিয়ে যায়নি। তার মধ্যেই বড়সড় বিপদ এড়াল সেই এয়ার ইন্ডিয়ার আরও একটি বিমান (Air India Flight)। ওড়ার খানিক পরেই হঠাৎই দিল্লি-ভিয়েনা বিমানটি নেমে আসে ৯০০ ফুট উচ্চতায়, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তবে পাইলটদের দক্ষতায় দ্রুত বিমানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান তাঁরা। শেষমেশ গন্তব্যের দিকে নিরাপদেই পাড়ি দেয় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি।

    মাটির কাছাকাছি চলে এল বিমান (Air India Flight)

    এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পাইলটদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৪ জুন ভোরে বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি দিল্লি থেকে ওড়ার সময় আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ ছিল। আমেদাবাদ দুর্ঘটনার মাত্র ৩৮ ঘণ্টা পর এই ঘটনাটি বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে আরও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এআই-১৮৭ ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৭৭ ধরনের বিমান। ওই দিন দিল্লি থেকে ভিয়েনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল সেটি। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটিতে ‘স্টল’ সতর্কতা দেখা দেয় এবং সেটি হঠাৎ করেই ৯০০ ফুট উচ্চতায় নেমে আসে। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) জানিয়েছে, বিমানের সিস্টেম তখন ‘গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি ওয়ার্নিং’ও জারি করেছিল, যা এমন সময়ে বাজে যখন বিমানটি মাটির খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল।

    নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছল বিমান

    সূত্রের খবর, বিমানটি একবার স্টল সতর্কতা এবং দু’বার গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি অ্যালার্ট পেয়েছিল। ক্রু সদস্যরা দ্রুত বিমানটিকে স্থিতিশীল করেন এবং প্রায় ৯ ঘণ্টা আট মিনিটের যাত্রা শেষে নিরাপদে ভিয়েনা পৌঁছান (Air India Flight)। তবে পাইলটদের রিপোর্ট ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যে পার্থক্য ধরা পড়েছে। পাইলটরা ঘটনাটিকে শুধু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট টার্বুলেন্স হিসেবে বর্ণনা করেন এবং কেবল স্টল সতর্কতার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু তাঁরা গ্রাউন্ড প্রক্সিমিটি অ্যালার্টের বিষয়ে কিছু বলেননি।

    ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণের পরেই জানা যায়, ফ্লাইট ক্রু এবং সেফটি ডিপার্টমেন্ট উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন (Ahmedabad Crash) করেছেন। এর পরেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওই বিমানের দুই পাইলটকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিজিসিএ ডেকেছে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flight) সেফটি ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে।

  • Kazakhstan: জনসমক্ষে আর মুখ ঢাকা পোশাক পরা যাবে না, ফরমান কাজাখ সরকারের

    Kazakhstan: জনসমক্ষে আর মুখ ঢাকা পোশাক পরা যাবে না, ফরমান কাজাখ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে হিজাব (Niqabs) পরে আসা যাবে না বলে বছর কয়েক আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল ৭০ ভাগ মুসলমানের দেশ কাজাখস্তান (Kazakhstan)। সরকারি ওয়েবসাইট ‘নাগরিকদের জন্য’ শিরোনামে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন থেকে আর হিজাব পরা যাবে না। কারণ এমন ধর্মীয় পোশাক বা চিহ্ন কোনও না কোনওভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো বা গোঁড়ামি প্রচারে ভূমিকা রাখতে পারে। সেখানে এও বলা হয়েছিল, ধর্মনিরপেক্ষ দেশের সরকারের দায়িত্ব সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা। কোনও ধর্মাবলম্বীদের কোনওভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া পুরোপুরিভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিবিরোধী।

    নিষিদ্ধ নিকাব (Kazakhstan)

    এহেন ধর্মনিরপেক্ষ দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত টোকায়েভ একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে বলা হয়েছে জনসমক্ষে আর মুখ ঢাকা পোশাক পরা যাবে না। নয়া এই আইনে অবশ্য কিছু নির্দিষ্ট ও সুষ্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত পরিস্তিতিতে ওই পোশাক পরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কাজাখ সংসদে এই বিলটি পাশ হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় প্রেসিডেন্টের কাছে। প্রেসিডেন্টের শিলমোহর পাওয়ায় বিলটি পরিণত হয়েছে আইনে। নয়া এই আইনে জনসমক্ষে যে কোনও ধরনের মুখ ঢাকা পোশাক পরা নিষিদ্ধ করেছে। তবে, কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মুখ ঢাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে — যেমন, আইনগত প্রয়োজন, সরকারি দায়িত্ব পালনের সময়, চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে, চরম আবহাওয়া থেকে সুরক্ষার জন্য অথবা খেলাধুলো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় (Kazakhstan)।

    জননিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ

    কাজাখ প্রশাসনের মতে, মুখ ঢাকার পর্দা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষে কোনও ব্যক্তিকে শনাক্ত করা কঠিন করে তোলে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। সে দেশের গণমাধ্যমের মতে, এই পদক্ষেপটি কাজাখস্তানের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর উদ্দেশ্য হল, জাতীয় পরিচয়কে আরও সুদৃঢ় করা এবং এমন কিছু ধর্মীয় চর্চা থেকে নিজেকে দূরে সরানো, যেগুলিকে “বিদেশি” হিসেবে বিবেচনা করা হয় (Niqabs)।

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট টোকায়েভ মন্তব্য করেছিলেন যে, নিকাব একটি পুরাতন ও অপ্রচলিত পোশাক, যা সদ্য চরমপন্থায় ঝুঁকে পড়া কিছু গোষ্ঠী কাজাখ নারীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এটি দেশের ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রসিডেন্ট বলেছিলেন, “এই নীতিটি শিক্ষা-সহ সকল ক্ষেত্রেই কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত। স্কুল সর্বপ্রথম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে (Niqabs) শিশুরা জ্ঞান অর্জনের জন্য আসে। অন্যদিকে ধর্মীয় বিশ্বাস একটি পছন্দ এবং প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিষয় (Kazakhstan)।”

  • Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    Kaviraj Jamini Bhusan Roy: অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ! নতুন পথের দিশারী কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই অযত্নে পড়ে থাকা ফড়িয়াপুকুর স্ট্রিটের ২৯ নম্বর বাড়িটায় হঠাৎই শুরু হল মেরামতির কাজ। করা হল চুনকাম। ভ্যানে করে আসতে লাগল টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ। ব্যাপার কী? গুঞ্জন উঠল সেখানে নাকি মেডিক্যাল কলেজ খুলবেন কোনো এক বদ্যিমশাই। কিছুদিনের মধ্যেই চালু হয়ে গেল সেই কলেজ। আসতে শুরু করল শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে শুরু হল বিনামূল্যে চিকিৎসাও। দরিদ্রদের চিকিৎসা করতে স্বয়ং সেই কলেজের প্রতিষ্ঠাতাই রোজ হাজির হতেন সেখানে। সালটা ১৯১৬, ফড়িয়াপুকুরে গড়ে উঠেছিল ‘অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতাল’। ভারত তো বটেই, গোটা এশিয়ার মধ্যেই সেটাই ছিল প্রথম আয়ুর্বেদিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার নেপথ্যে ছিলেন ডঃ যামিনীভূষণ রায় (Kaviraj Jamini Bhusan Roy)। সবার কাছে তিনি জে বি রায় নামে বেশি পরিচিত। বাংলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে অনেকেই ভুলতে বসেছেন তাঁর নাম।

    জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ যামিনী

    সালটা ১৮৭৯। অধুনা বাংলাদেশের খুলনা জেলায় ১লা জন্ম যামিনীভূষণের। বাবা পঞ্চানন রায় ছিলেন খুলনার নামকরা কবিরাজ। পূর্ববঙ্গে বড়ো হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে সংস্কৃত শিক্ষার জন্যই তিনি চলে আসেন কলকাতায়। ভবানীপুরে ভাড়া বাড়িতে থেকেই চলত পড়াশোনা। স্নাতক পরীক্ষায় ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করার পর ভর্তি হলেন স্নাতকোত্তরেও। সংস্কৃতের পাঠ চুকিয়ে ১৯০২ সালে ভর্তি হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। পাশাপাশি বাবার কাছেও চলতে থাকল আয়ুর্বেদ চিকিৎসার পাঠ। ১৯০৫ সালে গোল্ড মেডেল নিয়েই ব্যাচেলর অফ মেডিসিন পাস করলেন যামিনীভূষণ। হয়ে উঠলেন ‘গাইনোকলজি এবং মিডওয়াইফারি’-র বিশেষজ্ঞ। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালে চাকরির সুযোগ থাকলেও, সে পথে গেলেন না। ঠিক করে ফেললেন বাবার মতোই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হবেন তিনি। আয়ুর্বেদ (Ayurveda) চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যামিনীভূষণ রায় (J B Roy) না থাকলে হয়তো দেশে এই চিকিৎসা ব্যবস্থাই উঠে যেত।

    অ্যালোপ্যাথি ছেড়ে আয়ুর্বেদ

    প্রথাগত চিকিৎসা শাস্ত্রের থেকে সরে এসে আয়ুর্বেদ নিয়ে তাঁর গবেষণা অনেকের কাছে বোকামি হলেও, যামিনীভূষণের মতো করে ভাবলে নতুন দিশা দেখতে পাবেন সবাই। আসলে আজ যে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত ভারতে, সেই অ্যালোপ্যাথি এসেছে ব্রিটিশ শক্তির হাত ধরে। তারও বহু আগে থেকেই এদেশে প্রচলিত ছিল আয়ুর্বেদ। সেখানেই যে লুকিয়ে রয়েছে সংস্কৃতির শিকড়। আর অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় দ্রুত আরোগ্যলাভ হলেও, দীর্ঘস্থায়ী রোগকে বাগে আনা বেশ কঠিন এই চিকিৎসায়। সেখানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দুরারোগ্য রোগকেও ধীরে ধীরে সারিয়ে তুলতে পারে বলেই বিশ্বাস ছিল তাঁর। বিখ্যাত চিকিৎসক মহামহোপাধ্য়ায় কবিরাজ রিজয়রত্ন সেনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করেন যামিনীভূষণ। অনেক মানা করেছিলেন তাঁকে। পরামর্শ দিয়েছিলেন, পশ্চিমী চিকিৎসায় উপার্জনের সুযোগ অনেক বেশি। তবে সে কথা না শুনেই নিজের পথ ধরেছিলেন। ব্যর্থ হননি। ইতিহাস তা-ই বলছে।

    গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’

    যামিনী বুঝেছিলেন আয়ুর্বেদকে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। তাই পড়াশোনার সঙ্গে বগল মাড়োয়াড়ি হাসপাতালে শুরু করলে চিকিৎসাও। সে সময় তাঁর মাসিক বেতন ছিল চল্লিশ টাকা। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল গোটা ভারতে। ডাক আসতে থাকল বরোদা, গোয়ালিয়র, কোচি রাজবাড়ি থেকে। আজকের দিনের হিসেবে দেখতে গেলে এককথায় তিনি কোটিপতি হয়ে উঠেছিলেন তৎকালীন সময়ে। তবে বিলাসবহুল জীবন তাঁকে টানেনি কোনোদিনই। বরং, সেই টাকাতেই দরিদ্রদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন ‘বৈদ্যরাজ ফার্মাসি’। আধুনিক পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি হত সেখানে। আর দরিদ্ররা সেই ওষুধ পেতেন বিনামূল্যেই। সেখানে রীতিমতো আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করা হয়।

    মানুষের সেবায় নিয়োজিত

    ১৯২৬ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হন যামিনীভূষণ। মৃত্যুর আগে নিজের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিই তিনি দান করে গিয়েছিলেন জনকল্যাণে। নিজের তৈরি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার গবেষণাগার ও সংগ্রহশালা তো বটেই, পাতিপুকুরে ১২ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত বিশাল বাগানবাড়িও দান করে গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যুর ৭ বছর পর সেই বাগানবাড়িতেই ডঃ বিধানচন্দ্র রায় তৈরি করেন যক্ষ্মার হাসপাতাল। যা পাতিপুকুর টিবি হাসপাতাল বলেই পরিচিত। অদ্ভুত বিষয় হল, কিংবদন্তি এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের জন্মদিন ১ জুলাই-ই। হ্যাঁ, এই একই দিনে জন্ম বিধানচন্দ্রেরও। এও যেন এক অদ্ভুত সমাপতন। চিকিৎসাশাস্ত্রে আজও অস্বীকার করা যায় না তাঁর অবদান। শিশুদের রোগ নির্ণয় হোক কিংবা টক্সিকোলজি— তাঁর লেখা বইগুলি প্রমাণ্য হয়েই রয়ে গিয়েছ। ইএনটি’র চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দিশা দেখিয়েছিলেন যামিনীভূষণ।

  • Census 2026: দায়িত্বে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী! আগামী বছরেই শুরু হবে জনগণনা, কীভাবে হবে?

    Census 2026: দায়িত্বে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী! আগামী বছরেই শুরু হবে জনগণনা, কীভাবে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল শুরু হবে জনগণনা (Census 2026)। ভারত সরকারের তরফে এ খবর আগেই জানানো হয়েছে। এটি হবে দেশের ষোড়শতম জনগণনা, স্বাধীনতার পর অষ্টমবার (Caste Data)। এই কর্মসূচির সূচনা হবে হাউসলিস্টিং অপারেশন দিয়ে। এটিই শুরু হবে পয়লা এপ্রিল। রেজিস্ট্রার জেনারেল ও জনগণনা কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ একটি চিঠির মাধ্যমে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের উদ্দেশে একথা জানিয়ে দেন। এই বৃহৎ তথ্যসংগ্রহ প্রচেষ্টায় যাতে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী (গণনাকারী, তদারক ও ১.৩ লাখ জনগণনা আধিকারিক) থাকবেন, তাঁদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি ।

    ১০ বছর অন্তর জনগণনা (Census 2026)

    দেশ যখন পরাধীন ছিল, তখনও জনগণনা হত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও হয়। প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা করা হয়। তবে কোভিড অতিমারির কারণে বন্ধ ছিল সপ্তদশ জনগণনা। সেটাই শুরু হবে ২০২৬ সালের পয়লা এপ্রিল। এই জনগণনা হবে ভারতের ইতিহাসে প্রথম ডিজিটাল জনগণনা। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ ও আপলোড করার এই পদ্ধতি তথ্য সংগ্রহের নির্ভুলতা, গতি ও দক্ষতায় বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করছেন আধিকারিকরা। দেশবাসীদের জন্য স্ব-গণনার (self-enumeration) সুযোগও থাকছে। এই পদ্ধতিতে তাঁরা নিজেরাই অনলাইনে জনগণনা সংক্রান্ত ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। এটি হবে জনসাধারণের বড় পরিসরে অংশগ্রহণের প্রথম উদাহরণ।

    জনগণনা হবে দু’টি ধাপে

    প্রসঙ্গত, ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল গণনার এই হাইব্রিড মডেলটি ভারতের প্রযুক্তিনির্ভর শাসনব্যবস্থার দিকে একটি সাহসী পদক্ষেপ। এর উদ্দেশ্য হল নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ, মনুষ্যকৃত ভুল কমানো এবং জনকল্যাণ ও নীতিনির্ধারণে সহায়ক একটি কার্যকর জনতথ্যভান্ডার গড়ে তোলা। এবার জনগণনা হবে দু’টি ধাপে। প্রথম ধাপে হবে গৃহতালিকা প্রস্তুতের কাজ। এটাই শুরু হবে ১ এপ্রিল। এই ধাপে গৃহের অবস্থা, গৃহস্থালির সম্পদ এবং সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলজুড়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও জীবনধারার একটি চিত্র পাওয়া যাবে (Caste Data)। দ্বিতীয় ধাপে হবে জনগণনা। এটি শুরু হবে ২০২৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।  এই ধাপে সংগ্রহ করা হবে ব্যক্তিগত স্তরে জনসংখ্যার তথ্য যেমন, জনতাত্ত্বিক (Census 2026) বৈশিষ্ট্য, সামাজিক-আর্থিক অবস্থা, ধর্ম, ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিবরণ।

    জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ

    এবারই প্রথম জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি পূর্ববর্তী সরকারি প্রতিশ্রুতি এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থানকারীদের দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের কল্যাণমূলক কর্মসূচি, সংরক্ষণ নীতি এবং নির্বাচনী কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। জানা গিয়েছে, আগামী বছর যে জনগণনা শুরু হতে যাচ্ছে, তাতে অংশ নেবেন ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী। এঁরা ভারতের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যাবেন। এটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডগুলির একটি। জানা গিয়েছে, তথ্য সংগ্রাহক ও তত্ত্বাবধায়কদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ অবিলম্বে শুরু হবে। এঁদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কেন্দ্র, রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের যৌথ সমন্বয়ে।

    তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই

    এই কর্মীরা মেট্রোপলিটন ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের কুঁড়েঘর পর্যন্ত প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করবেন। তাঁদের কাজকে সহায়তা করবে অ্যাপ-ভিত্তিক টুল এবং রিয়েল-টাইম তত্ত্বাবধায়ক ট্র্যাকিং সিস্টেম। এর ফলে নিশ্চিত হবে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা (Caste Data)। জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনগণনা কমিশনারের কার্যালয় নাগরিকদের জন্য প্রায় তিন ডজন প্রশ্ন তৈরি করেছে। এই সমীক্ষায় ফোন, ইন্টারনেট, সাইকেল, স্কুটার, মোটরসাইকেল, গাড়ি, ভ্যান, রেডিও, টিভি-র মতো জিনিসপত্র আছে কিনা, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে (Census 2026)। এছাড়াও, পরিবারে পানীয় জলের উৎস, আলোর উৎস, শৌচাগারের ধরন, বর্জ্য জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, স্নান ও রান্নাঘরের সুবিধা, রান্নার জন্য ব্যবহৃত জ্বালানি এবং এলপিজি বা পিএনজি সংযোগের মতো বিষয়গুলি সম্পর্কেও জনতে চাওয়া হবে। বাড়ির মেঝে, দেওয়াল এবং ছাদ কী দিয়ে তৈরি, সেটির অবস্থা, কতজন সদস্য সেখানে থাকেন, ঘরের সংখ্যা, বিবাহিত দম্পতি কতজন, পরিবারের প্রধান মহিলা নাকি তিনি তফশিলি জাতি-উপজাতির অন্তর্ভুক্ত, এই ধরনের নানা প্রশ্নও করা হবে।

    প্রশাসনিক ইউনিট

    কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রশাসনিক ইউনিটগুলির সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাবিত কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলেছে। জনগণনার কাজের জন্য এই সীমানা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে (Census 2026)। মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে কর্পোরেশন, রাজস্ব গ্রাম, তহশিল, মহকুমা বা জেলার সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাবিত কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণনাকারীদের কাজের চাপ কমানোর জন্য প্রতিটি প্রশাসনিক অঞ্চলকে কতগুলি অংশে ভাগ করা হয়। এগুলিকে ব্লক বলা হয়। জনগণনার উদ্দেশ্যে তৈরি করা মানচিত্রে একটি ব্লককে একটি গ্রাম বা শহরের মধ্যে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে (Caste Data)। প্রসঙ্গত, শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে (Census 2026)।

  • Shubhanshu Shukla: মহাকাশে মাইক্রো অ্যালগি নিয়ে গবেষণায় মগ্ন শুভাংশু, ৪ তারিখ ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে বলবেন কথা

    Shubhanshu Shukla: মহাকাশে মাইক্রো অ্যালগি নিয়ে গবেষণায় মগ্ন শুভাংশু, ৪ তারিখ ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে বলবেন কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছনো ৬৩৪ নম্বর মহাকাশচারী ভারতের নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের কিছুটা পরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ভারতীয় সময়) পৌঁছেছেন তিনি। তারপর থেকে সেখানেই নানা পরীক্ষা করছেন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছেন। বর্তমানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) প্রেরিত মাইক্রো অ্যালগি পরীক্ষায় ব্যস্ত রয়েছেন শুভাংশু। মহাকাশে মাইক্রো অ্যালগির ব্যবহার ভারতের ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী শুক্রবার, ৪ জুলাই মহাকাশ থেকেই দেশের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপ জমানোর কথা রয়েছে শুভাংশুর।

    ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন শুভাংশু

    জানা গিয়েছে, আগামী ৪ জুলাই ভারতীয় সময় দুপুর ৩টে ৪৭ নাগাদ কর্নাটকের ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার (ইউআরএসসি)-এর সঙ্গে মহাকাশ থেকে হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে চলেছেন শুভাংশু (Shubhanshu Shukla)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানটি হবে। দেশজুড়ে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এখানে যোগ দিতে পারবেন। বর্তমান প্রজন্মকে মহাকাশ ও মহাকাশ গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই হ্যাম রেডিও যোগাযোগ ভারতীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং শিক্ষার জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত হবে। যা বিশ্বব্যাপী মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির প্রতীক হিসাবে নজির গড়বে। বলে রাখা ভালো, নির্ধারিত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে, হ্যাম রেডিও অপারেটররা শহর, দেশ এবং এমনকী মহাকাশে থাকা মহাকাশচারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারে। হ্যাম রেডিও জরুরি অবস্থার সময় খুবই নির্ভরযোগ্য। যখন বিভিন্ন নেটওয়ার্ক যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থ তখনও এই হ্যাম রেডিও কাজ করে।

    মাইক্রো অ্যালগি নিয়ে গবেষণায় শুভাংশু

    ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ অভিযানের (Axiom 4 Space Mission) পদে পদে দেশবাসীকে সঙ্গে রাখছেন গ্রুপ ক্যাপটেন শুভাংশু। আগেই জানিয়েছিলেন মহাকাশে একা বোধ করছেন না তিনি। যেহেতু তাঁর সঙ্গে রয়েছে একশো চল্লিশ কোটি ভারতবাসী। ইসরো, জৈবপ্রযুক্তি দফতর (ডিবিটি) ও নাসার মধ্যে সহযোগিতার অঙ্গ হিসেবে গবেষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন শুভাংশু। দীর্ঘদিন মহাকাশে থেকে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য খাদ্য ও পুষ্টিগত ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা প্রয়োজন। অর্থাৎ মহাকাশেই প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ফলনের গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এই মিশনের লক্ষ্য। জানা যাচ্ছে, সেই লক্ষ্যেই শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) কাজ হচ্ছে খাদ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য মাইক্রো অ্যালগি বা অতি ক্ষুদ্র শৈবালের উপর মাইক্রোগ্র্যাভিটি ও রেডিয়েশনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ। পুষ্টির ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এইসব মাইক্রো অ্যালগিকে মহাকাশে থাকাকালীন খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে এই গবেষণা। সায়ানোব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি ও প্রোটিন সংশ্লেষ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণও করছেন শুভাংশু। মূলত প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর এইসব সায়ানোব্যাকটিরিয়াকে মহাকাশে থাকাকালীন ‘সুপারফুড’ হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। ইউরিয়া সহ মানববর্জ্যের নাইট্রোজেন ব্যবহার করে মহাকাশে সায়ানোব্যাকটিরিয়াগুলির বৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব কি না, মূলত সেটা খতিয়ে দেখাই এই গবেষণার উদ্দেশ্য। এই গবেষণা ভারতের গগনযান অভিযানে কাজে আসবে বলে জানিয়েছে ইসরো।

  • Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী কেন্দ্র ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলির (Pakistan Terror Camps) পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, হামলার এক মাস পর ফের চালু হয়েছে বাহাওয়ালপুরের একটি কুখ্যাত মাদ্রাসার সুইমিং পুল—যা সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার, সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মানের কাজ চলছে। ঘাঁটিগুলিতে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি প্রশিক্ষণ দিত।

    জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা পাক সেনার

    পহেলগাঁও হামলার পর সম্মুখ সমরে নামে ভারত-পাকিস্তান। ভারতের কাছে রীতিমতো পর্যদুস্ত হওয়ার পরও শোধরানোর কোনও লক্ষণ নেই ইসলামাবাদের। বরং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানে ভারত যে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছিল, পাকিস্তান সেগুলির পুনর্নির্মাণ করছে। নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির এবং লঞ্চপ্যাডের নির্মাণ চলছে সেখানে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের অভিযানে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস হওয়ার পরে ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ বরাবর ছোট ছোট শিবির গড়ে প্রশিক্ষণ (Pakistan Terror Camps) দেওয়ার কাজ করছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। কিন্তু এবার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অত্যাধুনিক কেন্দ্র গড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং দেশের সরকার জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা করছে, আর্থিক সাহায্য় জোগাচ্ছে।

    ফের খুলল জঙ্গিদের সাঁতার কেন্দ্র

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে নির্ভুল হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন উপগ্রহ সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট চিত্রে তা স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও নির্ভুল বোমার সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল। বাহাওয়ালপুরে জইশ এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবার প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। তবে পুনরায়, পাক সেনা, আইএসআই ও সরকারের পূর্ণ মদতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছোট ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। খোলা হয়েছে বাহাওয়ালপুরের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Pakistan Terror Camps)। এই সাঁতার অনুশীলন কেন্দ্রটিই ব্যবহার করেছিল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিরা। ওই হামলায় ভারতের সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। জানা যায়, ওই চার মূল জঙ্গি—মহম্মদ উমর ফারুক, তালহা রাশিদ আলভি, মহম্মদ ইসমাইল আলভি ও রাশিদ বিল্লা—হামলার আগে এই পুলেই ছবি তুলেছিল। সাঁতার প্রশিক্ষণ ছাড়াও, এই পুলটি সন্ত্রাসবাদীদের “শারীরিক পরীক্ষার” অংশ। যেসব জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালাতে চায়, তাদের এই পুলে কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং সাঁতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।

    পুনরায় তৈরি হচ্ছে লঞ্চ প্যাড

    গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (TRF) মতো সংগঠনগুলোর নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC)-এর কাছাকাছি জঙ্গলে, যাতে সেগুলি সহজে নজরে না আসে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে চারটি লঞ্চপ্য়াডের পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানের আওতায় যেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জম্মু সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর চারটি লঞ্চপ্যাডকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। মসরুর বড়া ভাই, ছাপরার, লুনি রয়েছে তালিকায়, শকরগড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ড্রোন কেন্দ্র। ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান। বড় বড় শিবিরগুলিকে ভেঙে ছোট করা হচ্ছে, যাতে এক জায়গায় সমস্ত রসদ, সব জঙ্গি না থাকে। এতে হামলা হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।

    আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে যে, সম্প্রতি বাহওয়ালপুরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Pakistan Terror Camps) সঙ্গে পাক প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। জইশ, লস্কর, হিজবুল, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করা দ্য রেজিসস্ট্যান্স ফ্রন্ট, আইএসআই আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মোটা টাকা অর্থসাহায্য় দিতে সম্মত হয় আইএসআই। জঙ্গি ঘাঁটি নির্মাণে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে ছোট ছোট শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে সহজে চোখে না পড়ে, সহজে হামলাও চালানো যায় না। এই মুহূর্তে লুনি, পুটওয়াল, তাইপু পোস্ট, জামিলা পোস্ট, উমরানওয়ালি, ছাপরার, ফরোয়ার্ড কাহুটা, ছোটা চক, জঙ্গলোরায় জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে সেখানে, থার্মাল ইমেজার প্রতিহত করার ব্যবস্থা থাকছে। রেডার, স্যাটেলাইট নজরদারি এড়ানোর প্রযুক্তিও থাকছে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

  • Doctor-Patient Relationsip: ওষুধের নিদানেই শেষ নয়, রোগীর মন বোঝাও ডাক্তারদের দায়িত্ব

    Doctor-Patient Relationsip: ওষুধের নিদানেই শেষ নয়, রোগীর মন বোঝাও ডাক্তারদের দায়িত্ব

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ নির্ণয়, তার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা, এতেই শেষ নয়। বরং আধুনিক জীবনে রোগী চিকিৎসায় সবচেয়ে জরুরি পাঠ রোগীর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া। শারীরিক রোগের সঙ্গে মনের যোগ কতখানি, তা বিচার করা। সেই মতোই চিকিৎসা চালানো। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) এই নয়া সমীকরণে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    ১ জুলাই ভারতে পালিত হচ্ছে জাতীয় চিকিৎসক দিবস (National Doctors Day)। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রখ্যাত চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস। আর সেই উপলক্ষে কলকাতায় একটি কর্মশালার আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্ক নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। আধুনিক সময়ে চিকিৎসা পদ্ধতিতে নানান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। চিকিৎসকদের শুধু সেই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলেই চলবে না। পাশপাশি, রোগীকে কীভাবে সে সম্পর্কে জানাবেন, রোগীর সঙ্গে ‘কমিউনিকেশন স্কিল’ নিয়ে সজাগ থাকতে হবে। কীভাবে সেই দক্ষতা বাড়ানো যায়, সেদিকেও নজর দিতে হবে!

    রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে (Doctor-Patient Relationsip) কেন বাড়তি নজর?

    রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা এতেই দায়িত্ব শেষ নয়। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকলে রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অনেক রোগ নির্ণয় সহজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রোগ নিরাময়ের জন্য রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সুসম্পর্ক জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একটি সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত কিনা, সেটা বোঝা যায়। কিংবা খুবই সাধারণ কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব সম্পর্কেও‌ জানা যায়। কিন্তু এই সমস্যা কেন হচ্ছে, সেটা জানার জন্য রোগীর সঙ্গে কথা বলা জরুরি। রোগীর ব্যক্তিগত জীবনে কোনও জটিলতা রয়েছে কিনা, তাঁর মানসিক চাপ কতখানি, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করতে না পারলে, রোগীর এই রোগ নিরাময় কঠিন। তাই রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং কথা বলার অর্থাৎ কমিউনিকেশন স্কিলের (Communication Skill) দিকে নজরদারি জরুরি।

    বারবার রোগীদের ক্ষোভের মুখে চিকিৎসকরা

    কলকাতা ও রাজ্য জুড়ে গত কয়েক বছরে বারবার চিকিৎসক হেনস্থার ঘটনা ঘটছে। একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও চিকিৎসকদের শারীরিক হেনস্থা করার ঘটনা চলছে। তাই এই পরিস্থিতিতে রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) নয়া সমীকরণ নিয়ে সচেতনতা বাড়তি জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নানান পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। অনেক সময়েই রোগী সময় মতো চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু তার জন্য চিকিৎসককে পুরোপুরি দায়ী করা যায় না। চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনের তরফে ওই কর্মশালায় বলা হয়েছে, চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রথম সারিতে থাকা কর্মী মাত্র। পরিকাঠামো ঠিক করার দায় সরকারের। চিকিৎসকের সেক্ষেত্রে বিশেষ কিছুই করার থাকে না। কিন্তু তাঁদের রোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তাই রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্কে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজ কিছুটা সহজ হবে।

    রোগী-চিকিৎসক নতুন সম্পর্কের সমীকরণ কীভাবে হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসা-পড়ুয়াদের পঠনকালের প্রথম বছর থেকেই এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল করা জরুরি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (National Medical Council) সুপারিশ মেনে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে সম্পর্ক (Doctor-Patient Relationsip) ও যোগাযোগের দক্ষতা নিয়ে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদেরও সেই সমস্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ওই আলোচনা চক্রে (National Doctors Day) বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, রোগীর সামাজিক পরিচয় জরুরি। অর্থাৎ, চিকিৎসক রোগী কোথায় থাকেন, কীভাবে থাকেন, পরিবারের পরিস্থিতি, এগুলো সম্পর্কে জানাও জরুরি। কারণ, অনেক সময়েই এই অবস্থাগুলো রোগীর রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি হয়ে ওঠে। কারণ, একাধিক রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তার সামাজিক পরিস্থিতি রোগ নিরাময়ের পথে বাধা হয়ে ওঠে। তাই সে সম্পর্কে চিকিৎসক ওয়াকিবহাল না থাকলে, রোগীকে চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে উঠবে। তাই চিকিৎসক এবং রোগীর সম্পর্কের (Doctor-Patient Relationsip) নয়া দিক সবচেয়ে জরুরি হয়ে উঠছে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share