Tag: Madhyom

Madhyom

  • Delhi High Court: বিদেশি নাগরিকরা ভারতে বসবাসের দাবি জানাতে পারেন না, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

    Delhi High Court: বিদেশি নাগরিকরা ভারতে বসবাসের দাবি জানাতে পারেন না, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও বিদেশি নাগরিক ভারতবর্ষে বসবাস করার দাবি করতে পারেন না। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে দেশজুড়ে, ঠিক সেই সময় এমন গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শুক্রবার শোনাল দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতের সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী জীবন এবং স্বাধীনতার অধিকার পাওয়া যায়। তবে বিদেশিদের ক্ষেত্রে এই মৌলিক অধিকারের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। প্রসঙ্গত, সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভারতে আসা বিদেশি নাগরিকদেরও জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার প্রদান করা হয়েছে।

    কেন বিদেশি নাগরিকরা ভারতে বসবাসের দাবি করতে পারেন না?

    এদিন দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি মনোজ জৈন আরও বলেন যে বিদেশি নাগরিকরা ভারতবর্ষে বসবাসের দাবি রাখতে পারেন না। কারণ এটা সংবিধানের ১৯ (১) (ই) ধারার পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারায় বিভিন্ন স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাক স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত করার স্বাধীনতা ইত্যাদি। ১৯ (১) (ই) ধারাতে বলা রয়েছে, যে কোন ভারতীয় নাগরিক ভারতবর্ষের যে কোনও রাজ্যে বসবাস করতে পারেন। তবে এই অধিকার কখনই বিদেশি নাগরিকদের দেওয়া হয়নি।

    মামলার খুঁটিনাটি

    মামলা হয়েছিল বাংলাদেশি নাগরিক আজল চাকমাকে নিয়ে। এই বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করার পরে তাঁর হয়ে রিট পিটিশন দাখিল করেন তাঁর মামা। প্রসঙ্গত, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার যখন রাষ্ট্র লঙ্ঘন করেছে বলে মনে করা হয় তখনই রিট পিটিশন দাখিল করা যায়। তবে এই রিট পিটিশন দিল্লির আদালত খারিজ করে দেয় এদিন। হাইকোর্ট (Delhi High Court) জানায়, ভারত সরকার ওই বাংলাদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করে বেআইনি কিছু করেনি। ওই বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালের অক্টোবর মাস নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে সে বাংলাদেশে ফিরতে চাইলে তার জালিয়াতি ধরা পড়ে। দেখা যায় ভারতের বেআইনি পাসপোর্টও রয়েছে তার কাছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের নতুন আইনে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত

    Election Commission: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের নতুন আইনে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নতুন আইনে নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেলে দেশের প্রধান বিচারপতিকে রাখা হয়নি।  কেন্দ্রের এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা হয়েছিল। তবে শুক্রবার ওই আইনে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

    শীর্ষ আদালতের অভিমত

    বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত’র বেঞ্চ শুক্রবার প্রাথমিক শুনানি শেষে বলে আইনটির উপর স্থগিতাদেশ জারি জরুরি বলে আদালত মনে করে না। তবে মামলাকারীদের উত্থাপিত বিষয়গুলি নিয়ে আদালত কেন্দ্রীয় সরকারে বক্তব্য জানতে আগ্রহী। সেই মতো শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ২০ এপ্রিল।  

    কী এই আইন

    কেন্দ্রের নতুন আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করতে যে তিন সদস্যের প্যানেল আছে, তার সদস্য হবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই কমিটি যে নাম কিংবা নামগুলি প্রস্তাব করবে, তাঁকে বা তাঁদের নিয়োগ করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি। 

    আরও পড়ুন: কনকনে কলকাতা! পৌষের শেষে ঝোড়ো ব্যাটিং শীতের, কত নামবে তাপমাত্রা?

    স্থগিতাদেশ নয়

    জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর কেন্দ্রের আনা এই আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর তরফে উপস্থিত আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, “এই আইন ক্ষমতার বিভাজনের ভাবনার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ”। তবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের তরফে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের (Election Commission) এই আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করতে অস্বীকার করে। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, এই আইনে স্থগিতাদেশ জাকি করা যাবে না। পিটিশনের একটি কপি কেন্দ্রের কাউন্সিলকে পাঠানো হচ্ছে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, “আমরা সংশোধিত আইনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করতে পারি না। কেন্দ্রকে নোটিস দেওয়া হচ্ছে। এপ্রিল মাসের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Airstrike Against Houthis: ইয়েমেনের ‘হুথি’ জঙ্গি গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটিতে বিমান হানা আমেরিকা ও ব্রিটেনের

    Airstrike Against Houthis: ইয়েমেনের ‘হুথি’ জঙ্গি গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটিতে বিমান হানা আমেরিকা ও ব্রিটেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে একের পর এক মার্কিন পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালাচ্ছিল ইয়েমেনের বিদ্রোহী জঙ্গি গোষ্ঠী ‘হুথি’ (Airstrike Against Houthis)। গত ১৯ নভেম্বর থেকেই এই হামলা চলছিল বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। শুক্রবার ভোরে পাল্টা প্রত্যাঘাত চালাল মার্কিন ও ব্রিটিশ বায়ুসেনা। ‘হুথি’ জঙ্গি গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল মার্কিন ও ব্রিটিশ বোমারু বিমান (Airstrike Against Houthis)। ইরানের হুথি জঙ্গিগোষ্ঠী প্যালেস্তাইনের হামাস গোষ্ঠীর প্রতিও সহানুভূতিশীল এবং প্রকাশ্যেই তারা এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন জানিয়েছে।

    পরামর্শ চেয়ে জয়শঙ্করকে ফোন মার্কিন বিদেশ সচিবের

    মার্কিন জাহাজগুলির উপরে বেড়ে চলা এই হামলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ফোনে জয়শঙ্করের পরামর্শ চান মার্কিন বিদেশ সচিব। সূত্রের খবর, মার্কিন বিদেশ সচিব জানতে চান, ‘‘পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ শানিয়েছে হুথি জঙ্গিগোষ্ঠী। কী করণীয়!’’ সূত্র মারফত খবর মিলেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এবং মার্কিন বিদেশ সচিবের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় এ বিষয়ে। আসলে হুথি জঙ্গিগোষ্ঠীর (Airstrike Against Houthis) এই আক্রমণে প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। শুক্রবার ভোর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের যৌথবাহিনী হানা দেয়। ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং বন্দর শহর আল হুদাইদাহ থেকেও শোনা গিয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবৃতি

    এয়ার স্ট্রাইকের পরে বিবৃতি সামনে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তাঁর বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘মার্কিন সেনা ব্রিটেনের সঙ্গে যৌথভাবে ইয়েমেনে বিদ্রোহী হুথি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে বোমারু বিমান নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই অভিযানে আমাদের সমর্থন জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরিন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডস। লোহিত সাগরে দিনের পর দিন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছিল এই হুথি গোষ্ঠী। তার প্রতিশোধ হিসেবেই এই এয়ার স্ট্রাইক। একে মার্কিন সেনা, জলপথে যাতায়াতকারী সাধারণ নাগরিক এবং আমাদের বাণিজ্য সঙ্গীদের বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছিল। ২৭টি হামলায় ৫০টি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০টি দেশের নৌ-সদস্যের উপর হামলা চালানো হয়েছে, তাদের অনেককে আটক করা হয়েছে। লোহিত সাগর যেন আতঙ্কের জলপথে পরিণত হয়েছিল। আমেরিকাকে টার্গেট করে গত ৯ জানুয়ারি হুথিরা (Airstrike Against Houthis) সবচেয়ে বড় অ্যাটাক করেছিল। আজকের হামলা এটা স্পষ্ট করল আমরা গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক জলপথে কোনওরকম বেচার কাজ বরদাস্ত করব না। সেনাকে নির্দেশ দেওয়া আছে, আন্তর্জাতিক জলপথকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কনকনে কলকাতা! পৌষের শেষে ঝোড়ো ব্যাটিং শীতের, কত নামবে তাপমাত্রা?

    Weather Update: কনকনে কলকাতা! পৌষের শেষে ঝোড়ো ব্যাটিং শীতের, কত নামবে তাপমাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৌষের একেবারে শেষে শীতের কামড়। একদিনে ৩ ডিগ্রি পারদপতন কলকাতায়। শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কনকনে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। সকালে কুয়াশায় ঢাকা ছিল ময়দান চত্বর। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কিছুটা কমেছে। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুম ভেঙেছে রাজধানী দিল্লিরও। তার উপরে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৩ ডিগ্রিতে।

    সংক্রান্তির আগে পারদ পতন

    আগামী সোমবার, পৌষ সংক্রান্তি। গঙ্গাসাগরের পুণ্যস্নানের সময় কনকনে হাওয়া কাঁপন ধরাচ্ছে। কলকাতায় এক ধাক্কায় তিন ডিগ্রি কমে গিয়েছে তাপমাত্রা। সোয়েটার, চাদর, মাফলারে মুড়েছে শহর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সকালে ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। কলকাতায় শুক্রবার আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। 

    পশ্চিমাঞ্চলেও কাঁপন

    অন্যদিকে ৮-৯ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে পশ্চিমাঞ্চলের পারদ। শনিবার তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডায় রীতিমতো জবুথবু জেলা। একদিকে কনকনে ঠান্ডা, অন্যদিকে উত্তুরে বাতাসের জোড়া ফলায় আজ সকাল থেকে রাস্তাঘাটে মানুষ অনেকটাই কম। বিনা বাধায় উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করতে শুরু করেছে বঙ্গে। আপাতত পাঁচ দিন তাপমাত্রা কম থাকবে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা! মাথায় হেলমেট, হাতে ঢাল নিয়ে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি

    দিল্লিতে ঠান্ডা

    মরশুমের শীতলতম দিন দেখল রাজধানী। চলতি শীতের মরশুমে এই প্রথম তাপমাত্রা নামল ৩ ডিগ্রিতে। তার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা এতোটাই কম যে ২৩টি দিল্লিগামী ট্রেন ৬-৭ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। গোটা উত্তরভারত জুড়েই শৈত্য প্রবাহ চলছে। দৃশ্যমানতা কম থাকায় বিমান পরিষেবাও ব্যহত হয়েছে দিল্লিতে। সকালের প্রতিটি বিমান ৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED in Sujit Bose House: সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা! মাথায় হেলমেট, হাতে ঢাল নিয়ে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি

    ED in Sujit Bose House: সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা! মাথায় হেলমেট, হাতে ঢাল নিয়ে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি এবং বনগাঁর ঘটনার থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে অভিযানের সময় সাবধানী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED in Sujit Bose House)। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার সকালে তিন জায়গায় নতুন করে অভিযানে নেমেছে ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং উত্তর দমদম পুরসভার কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছয় ইডির আধিকারিকরা। এদিন আত্মরক্ষার জন্য বাহিনীর হাতে ছিল ঢাল এবং মাথায় হেলমেট। বাহিনীর বেশির ভাগ সদস্যের হাতে লাঠিও চোখে পড়েছে।

    কেন এই পদক্ষেপ

    সন্দেশখালি থেকে বনগাঁ দুর্নীতির (ED Raid) তদন্তে তল্লাশিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হামলার শিকার হয়েছিল তাদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীও (Central Force)। তাই এবার বাড়তি সতর্ক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  এর আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিভিন্ন অভিযানে যত সংখ্যক সিআরপিএফ দেখা যেত, এদিন সব জায়গাতেই তার চেয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযানে যাওয়া বহু জওয়ানকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতেও দেখা গিয়েছে। 

    বডি প্রোটেক্টর শিল্ড

    শুক্রবার পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযান চলে শহরের নানা প্রান্তে। এই সময় দেখা যায়, মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) বাড়ির সামনে পাহারায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মাথায় রয়েছে হেলমেট। গায়ে বডি প্রোটেক্টর শিল্ড। উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনেও একই দৃশ্য চোখে পড়ে। সেখানে আবার সিআরপিএফ-এর সঙ্গে ছিল কাঁদানে গ্যাসও। বউবাজারে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapash Roy) বাড়ির সামনে ঢাল আর লাঠি নিয়ে পাহারা দিতে দেখা যায় জওয়ানদের। 

    আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    বিশেষ নির্দেশ

    ঠিক এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ, গত শুক্রবার সকালে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে বনগাঁ এবং সন্দেশখালিতে হানা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু তল্লাশি অভিযানে গিয়ে কার্যত মার খেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকদের। আক্রান্ত হন ইডির তিন অফিসার। তাঁদের মধ্যে এক জনের আঘাত ছিল গুরুতর। সেই সময় ইডির অফিসারদের ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই একই দিনে বনগাঁতেও বাধার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। ইডি সূত্রে খবর, সন্দেশখালি এবং বনগাঁ ‘মডেল’-এর যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণেই শুক্রবারের তদন্ত অভিযানে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সাবধানী কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এই ঘটনার পরই জওয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়, এই ধরনের অভিযানের সময়, মাথায় পরতে হবে হেলমেট, থাকবে বডি প্রোটেক্টর জ্যাকেট, লাঠি রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’, ইডি হানায় খোঁচা শুভেন্দুর, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’, কটাক্ষ দিলীপের

    ED Raid: ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’, ইডি হানায় খোঁচা শুভেন্দুর, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় শুক্রবার সকালে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক, কাউন্সিলরদের বাড়িতে হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। সব জায়গায় একযোগে চলছে তল্লাশি (ED Raid)। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। একদিকে যেমন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’। অন্যদিকে, দলেরই আরেক নেতা তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’। 

    আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    ইডি হানায় তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দু-দিলীপের

    শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘‘ইডি আধিকারিকরা তথ্য প্রমাণ পেয়েছে বলেই আজকের এই পুণ্য দিনে পুণ্য কাজ করতে বেরিয়ে পড়েছে।’’ তিনি অভিযোগ করেন, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু সরাসরি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment Scam) যুক্ত। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সুজিত বসুর দুই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, দুই শ্যালকের দুই স্ত্রী কামারহাটিতে পুরসভায় চাকরি পেয়েছে। ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন। সঙ্গে শীতের জিনিসও রাখবেন।’’ গেরুয়া শিবিরের আরেক নেতা তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষও খোঁচা দেন। তিনি বলেন, ‘‘স্লোগান শুনতাম খেলা হবে, খেলা হবে। কবে হবে? এখন খেলা শুরু হয়েছে। খেলা চলবে। এই যে দুর্নীতি রন্দ্রে রন্ধ্রে ছেয়ে গেছে পশ্চিমবাংলায় যারা করেছে তারা তো ছাড় পাবে না। দুর্নীতি মুক্ত বাংলা করার জন্য যে লড়াই চলছে, তা চলতে থাকবে।’’

    তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে অভিযান

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলায় শুক্রবার সাতসকালে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী-বিধায়ক-কাউন্সিলরের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডির (ED Raid) একাধিক দল একদিকে, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) লেকটাউনের দু’টি বাড়িতে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। অন্যদিকে, বউবাজারে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapas Roy) বাড়িতেও উপস্থিত হয়েছে একটি টিম। সেখানেও চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি, বিরাটির খলিসাকোটা পল্লীতে উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলির সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। সব জায়গায় একযোগে চলছে অভিযান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barun Biswas Murder Case: সিআইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ! বরুণ বিশ্বাস খুনের মামলায় সাক্ষী হতে চান দিদি 

    Barun Biswas Murder Case: সিআইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ! বরুণ বিশ্বাস খুনের মামলায় সাক্ষী হতে চান দিদি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুটিয়ার প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের খুনের (Barun Biswas Murder Case)মামলায় সাক্ষী হতে চেয়ে আদালতে আর্জি জানালেন দিদি প্রমীলা রায় বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, কামদুনিকাণ্ডের মতো বরুণের মৃত্যু-মামলাতেও বারবার সরকারি আইনজীবী বদল করে বিচারপ্রক্রিয়ায় দেরি করা হচ্ছে। দ্রুত যাতে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়, সেই মর্মে বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করেছেন প্রমীলা। 

    বরুণ বিশ্বাসের দিদির অভিযোগ

    নিহত বরুণ বিশ্বাসের দিদি, প্রমীলার অভিযোগ, “সরকার তো চাইছে না সুবিচার হোক, কারণ একটা গুন্ডাবাহিনী নিয়ে তৈরি হওয়া দলই তো সরকার চালাচ্ছে। যিনি আমাদের ক্ষমতায় রয়েছেন, পুলিশমন্ত্রী, তিনিও ষড়যন্ত্রকারী, না হলে এই খুনিদের, এই চোরেদের কেন আড়াল করতে চাইছেন? প্রায় ১২ বছর আগে খুন হয়েছিল ভাই। তার সুবিচার চেয়ে আজও আদালতের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে।” তাঁদের বাবা সাক্ষী হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে সমন পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রমীলা। আদালত সূত্রে খবর, বরুণের দিদির আবেদনের ভিত্তিতে আগামী ৭ মার্চ শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    ২০১২ সালের ৫ জুলাই খুন হন উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সুটিয়ার প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস। সেই খুনের মামলার বিচার শুরু হয় পরের বছর ৫ জুলাই থেকে। বরুণের পরিবারের অভিযোগ, মামলায় ৫২ জন সাক্ষীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ন’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তাঁরা সকলেই জামিনে মুক্ত হন। তাঁদের এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বরুণের পরিবারের অভিযোগ, সিআইডির অসহযোগিতার কারণেই এখনও তারা বিচার পাননি। প্রমীলার কথায়, তাঁরা যাঁরা দীর্ঘদিন বরুণের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের এই ঘটনায় সাক্ষী করা হয়নি। উল্টে নতুন  নতুন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, যাঁদের সাক্ষী করা হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগই অপরিচিত। শীঘ্র ভাইয়ের খুনের বিচার চান বলে জানান প্রমীলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    ED Raid: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enfocement Directorate)। শুক্রবার সাতসকালে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী-বিধায়ক-কাউন্সিলরের বাড়িতে হানা দিল ইডির একাধিক দল (ED Raid)। একদিকে, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) লেকটাউনের দু’টি বাড়িতে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। অন্যদিকে, বউবাজারে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapas Roy) বাড়িতেও উপস্থিত হয়েছে একটি টিম। সেখানেও চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি, বিরাটির খলিসাকোটা পল্লীতে উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলির সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও আজ হানা দিয়েছে ইডি। সব জায়গায় একযোগে চলছে অভিযান। 

    শ্রীভূমিতে সুজিতের বাড়িতে হানা

    এদিন সকাল সাতটা নাগাদ লেকটাউনে মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) দুটি বাড়িতে হানা দেয় ইডি (ED Raid)। মন্ত্রীর বাড়ি বাইরে থেকে ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সুজিতের বাড়ির নীচে এসে পৌঁছে যায় পুলিশও। এর আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের সূত্রে সুজিতকে তলব করেছিল অন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত বছরের ৩১ অগাস্ট তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কিন্তু., তিনি হাজিরা দেননি। ২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন সুজিত। সেই সময় পুর নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    বউবাজারে তাপসের বাড়িতে অভিযান

    সূত্রের খবর, বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপসের (Tapas Roy) বউবাজারের বাড়িতে অভিযান শুরু করে ইডি (ED Raid)। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ওই বাড়ির দুদিকের দরজাই বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর প্রবেশ করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা। পরে গেট খুলে দেওয়া হয়। শাসকদলের এই বর্ষীয়ান নেতা বরানগরের বিধায়ক সেই ২০১১ সাল থেকে।  তিনি দলের দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও বটে।

    বিরাটিতে সুবোধের বাড়িতেও তল্লাশি

    অভিযান (ED Raid) চলছে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও।  উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলির সুবোধের বাড়ি বিরাটির খলিসাকোটা পল্লীতে। সূত্রের খবর, পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন জমা রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। সুবোধের বাড়ির চার পাশেও মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাতে নাম জড়িয়েছে উত্তর দমদম পুরসভার।  সেই সূত্রেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে।  

    গত ১৯ মার্চ নিয়োগ মামলায় অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ইডির তরফে দাবি করা হয়, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট মেলে। ইডি সূত্রের খবর, সেখানে একটি ফোল্ডার পাওয়া গিয়েছিল। ফোল্ডারে ছিল একটি নামের তালিকা। তাতেই সুজিত বসু, তাপস রায়, সুবোধ চক্রবর্তীদের নাম রয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs Afghanistan: দুরন্ত দুবে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচে সহজ জয় ভারতের

    India vs Afghanistan: দুরন্ত দুবে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচে সহজ জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় ভারতের। কনকনে মোহালিতে আফগানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলেন রোহিতরা।‌ প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তোলে আফগানিস্তান। জবাবে ১৭.৩ ওভারে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় ভারত। ৬০ রানে অপরাজিত শিবম দুবে। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে শেষ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজ এটা। এখানেই দলের কম্বিনেশন দেখে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে কোচ দ্রাবিড়ের সামনে।

    রোহিতের প্রত্যাবর্তন

    গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলে এই ফর্ম্যাটে ফিরেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। ব্যাটার রোহিতের শুরুটা যদিও ভালো হল না। শুভমনের ভুলে শূন্য হাতে রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি।  ১৪ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে খেলতে নেমে শূন্য রানে ফিরলেন রোহিত। তা-ও আবার রান আউট হয়ে। মাঠেই শুভমনের উপর ক্ষোভ উগরে দেন রোহিত।

    দুরন্ত দুবে

    ব্যাটে, বলে দাপট দেখালেন শিবম দুবে। তিনি ২ ওভার বল করে ৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতে অর্ধশতরান। পেস বোলিংয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যাটিং ভারতকে ভরসা দিচ্ছে। হার্দিক পাণ্ডিয়া চোট পেলে এবার দুবের কথা ভাবা যেতেই পারে। ৪০ বলে ৬০ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচও জেতান। ভারতীয় দলে পেসার অলরাউন্ডার হিসাবে হার্দিকের অভাব ঢাকার এক জনকে প্রয়োজন ছিল। চোটপ্রবণ হার্দিক মাঝে মধ্যেই খেলতে পারেন না। সেই জায়গা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন শার্দূল ঠাকুর। শিবম যদি ধারাবাহিক ভাবে খেলতে পারেন তাহলে আগামী দিনে তাঁকে নিয়মিত দলে দেখা যেতেও পারে। ম্যাচের সেরা হন দুবে।

    ম্যাচে ভারতের দাপট 

    এদিন টসে জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরু থেকে উইকেট না পেলেও রান দিচ্ছিলেন না ভারতীয় বোলারেরা। সেই চাপেই উইকেট দিয়ে যান ওপেনার রহমনুল্লা গুরবাজ। অক্ষর প্যাটেলের বলে স্টাম্পড হন তিনি। অধিনায়ক ইব্রাহিম জাদরান করেন ২৫ রান। তাঁর উইকেট নেন শিবম দুবে। শেষ দিকে নবি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ভারতের হয়ে ২ উইকেট নেন মুকেশ কুমার। তিনি ৪ ওভারে ৩৩ রানও দেন। রবি বিষ্ণোই ৩ ওভারে ৩৫ রান দেন। তিনি কোনও উইকেট পাননি।

    এদিন ঠান্ডায় বল করা বেশ কঠিন হচ্ছিল বোলারদের পক্ষে। বল ধরা কঠিন হচ্ছিল। তার মধ্যেও রিঙ্কু সিং দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন। পাঞ্জাবের এই মাঠে ঠান্ডায় কাঁপতে দেখা যায় সকলকে। ম্যাচের দিন আম্পায়ারদের দেখা গেল গ্লাভস পরে থাকতে। ভারতীয় ক্রিকেটারেরাও ম্যাচের আগে গ্লাভস পরেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan General Polls: প্রতীক ফিরে পেল ইমরানের দল, ক্রিকেট ব্যাট চিহ্নেই লড়বে পিটিআই

    Pakistan General Polls: প্রতীক ফিরে পেল ইমরানের দল, ক্রিকেট ব্যাট চিহ্নেই লড়বে পিটিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মিলেছিল মুক্তি। এবার হাইকোর্টের নির্দেশে ‘ক্রিকেট ব্যাট’ প্রতীক ফিরে পেল পাকিস্তানের (Pakistan General Polls) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল। জেলবন্দি হওয়ার পর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি ব্যাট প্রতীকে প্রার্থী দিতে পারবে না।

    কমিশনের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক

    কমিশনের সেই সিদ্ধান্তকে বুধবার অসাংবিধানিক আখ্যা দিল পাকিস্তানের পেশোয়ার হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিল, ক্রিকেট ব্যাট চিহ্নেই লড়তে পারবেন ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, ক্রিকেট ব্যাট চিহ্নে নির্বাচনে লড়তে চেয়ে পাক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইমরানের দল। এদিনই সেই মামলা প্রত্যাহারও করা হয়েছিল। তার পরে পরেই প্রতীক ফিরে পেল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি।

    আদালতে পিটিআই

    তোষাখানা (Pakistan General Polls) মামলায় গ্রেফতার হন ইমরান। বন্দি হন জেলে। তারপর ২২ ডিসেম্বর পাক নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে লড়তে পারবে না ইমরানের দল। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ৮ ফেব্রুয়ারি। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির ভোট ম্যানেজাররা। এদিন পেশোয়ার হাইকোর্টের বিচারপতি ইজাজ আনোয়ার ও বিচারপতি আরশাদ আলির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ভুল। ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকেই আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুুন: মলদ্বীপে বাড়তে পারে মৌলবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাদক পাচার, বলছেন গোয়েন্দারা

    মঙ্গলবারই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির তরফে আইনজীবী আলি জাফর আদালতে বলেছিলেন, “নির্বাচন কমিশন কেবল নির্বাচনে নজরদারি করতে পারে। কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীক কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই।” প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির আইনজীবীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর সওয়াল-যুদ্ধ চলে। দু’ পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আদালত জানিয়ে দেয়, ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকেই লড়বে পিটিআই। আদালতের রায়ের পর পিটিআইয়ের মুখপাত্র জাফর বলেন, “এবার আর নির্বাচনে জয় থেকে পিটিআইকে কেউ আটকাতে পারবে না।” আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন পিটিআই সেনেটরও। তিনি বলেন, “আদালত পিটিআইকে ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক ফিরিয়ে দিয়েছে। এতে আমরা খুশি (Pakistan General Polls)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share