Tag: Madhyom

Madhyom

  • Manipur Situation: মণিপুরে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার বাহিনীর, নতুন হিংসায় বলি ৪, পৌঁছলেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    Manipur Situation: মণিপুরে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার বাহিনীর, নতুন হিংসায় বলি ৪, পৌঁছলেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরের (Manipur Situation) শান্তি রক্ষা অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। দুটি জায়গা থেকে উদ্ধার হল বিপুল অস্ত্রশস্ত্র। তার মধ্যেই মণিপুরের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের সফরে গিয়েছেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি। 

    রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সেনাকর্তার

    বৃহস্পতিবার সেনার তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের অশান্ত কাংপোকপি, সেনাপতি, জ্বলামুখি ও চূড়াচাঁদপুরে অবস্থিত অসম রাইফেলসের ফরমেশনে গিয়ে কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি রাজ্যে শান্তি প্রচেষ্টায় জওয়ানদের নিরন্তর প্রচেষ্টাকে বাহবা দিয়ে তাঁদের মনোবল বাড়ান। এছাড়া, রাজ্যের পরিস্থিতি (Manipur Situation) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেণ সিং এবং রাজ্যপাল অনুসিয়া উইকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন জিওসি-ইন-সি। রাজ্যে শান্তি ও স্থিবাবস্থা ফেরানোর জন্য সকল সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান করেন।

    গত বছর মে মাস থেকে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তির (Manipur Situation) জেরে জ্বলছে মণিপুর। এখনও পর্যন্ত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সবচেয়ে হিংসা-কবলিত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল চূড়াচাঁদপুর। বুধবার সেখান থেকেই বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছে বাহিনী। একইসঙ্গে, তেঙ্গনুপল থেকেও অস্ত্র উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একে-৫৬ রাইফেল থেকে শুরু করে গ্রেনেড, কার্বাইন উদ্ধার হয়। 

    উদ্ধার বিপুল অস্ত্র, গোলাবারুদ

    বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চূড়াচাঁদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে— ১টি কার্বাইন, ম্যাগাজিন ও বুলেট সমেত ১টি দেশি ৯এমএম পিস্তল, ৫টি একনলা বন্দুক, ৬টি শেল সমেত ১টি কাঁদানে গ্যাসের বন্দুক, ৮টি এইচই-৩৬ হ্যান্ড গ্রেনেড, ২৬টি রবার বুলেট, ১টি এসএলআর ম্যাগাজিন, ৫.৫৬ রাইফেলের বুলেট, ২০টি .৩০ এমএম এম১ কার্বাইনের গুলি। 

    অন্যদিকে, তেঙ্গনুপল থেকে উদ্ধার হয়েছে— ১১টি গুলি সমেত ১টি একে-৫৬ রাইফেল, গুলি সমেত ৫টি দেশি শটগান, ৪টি এইচই-৩৬ হ্যান্ড গ্রেনেড, ৫.৫৬ রাইফেলের গুলি, ম্যাগাজিন সমেত ১টি ৯এমএম পিস্তল, দেশি ম্যাগাজিন সমেত .৩০৩ রাইফেল, দেশি গোলা, ৫টি দেশি বোমা, ৪টি আইইডি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ২টি এম১৬ ম্যাগাজিন, ১টি ছুরি, একটি মটোরোলা ওয়ারলেস সেট, ব্যাটারি চার্জার সেট, একে-৪৭ ম্যাগাজিন।

    নতুন হিংসার বলি ৪

    এরই মধ্যে, বুধবার সেখানে নতুন করে হিংসা (Manipur Situation) ছড়িয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর জেলার সীমানা এলাকার কুমবি বিধানসভা কেন্দ্রে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। তাতে নিখোঁজ হন চার জন। বুধবার তাঁধের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই সেখানে নতুন করে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই চারজন জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন। গোটা এলাকায় চিরুনি-তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আদালতের ভিতরে হোক বা বাইরে তাঁর একাধিক মন্তব্যে সমস্যআয় পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। এমনকী তাঁর করা মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গেই এবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “আমার কাজকর্ম-কথাবার্তায় এক শ্রেণি খুব বিপদে পড়ছে, তাই হয়ত নানা পদক্ষেপ।” 

    বিচারপতির প্রশ্ন

    বিবেকানন্দ পাঠচক্র আয়োজিত স্বামী বিবেকানন্দ মিলন মেলায় উপস্থিত হয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “বহু বিখ্যাত মানুষ, যাঁরা কাজ করার চেষ্টা করেছেন, তাঁদেরকে সব সময় টেনে নামানোর চেষ্টা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বহু প্রচার হয়েছে। এমনকি বিধবা বিবাহ প্রচলনের সময় বিদ্যাসাগর মশাই নিজে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন।” এই অনুষ্ঠানে স্বামী বিবেকানন্দের জীবন-আদর্শের কথা তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে সমাজের বিচ্যুতি থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, যে বাংলায় এত মনীষীদের জন্ম হয়েছে সেই বাংলার বর্তমান সমাজে এত বিচ্যুতি হয় কীভাবে।

    আরও পড়ুন: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    কী বললেন বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক (Abhishek Banerje)। আবেদনে তিনি জানান, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তৃণমূল সাংসদের আর্জি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যে কেউ মামলা করতে পারেন। যে কোনও আর্জি জানাতে পারেন। বলতেই পারেন, চাঁদ আমাকে পেড়ে দাও। যিনি শুনছেন (মামলা), তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।” তার পরই বিচারপতির সংযোজন, “মনে হয় আমার কাজে এবং কথাবার্তায় একটা শ্রেণি খুব বিপদে পড়ছে।” তাঁর মন্তব্যে, তদন্তকারী সংস্থা প্রভাবিত হচ্ছে কি না, তা ওই সংস্থাগুলিই বলতে পারবে বলে জানান বিচারপতি। তাঁর কথায়, “একটা কথায় এজেন্সি প্রভাবিত হচ্ছে, এ সব আষাঢ়ে গল্প।” সময় পাল্টে গিয়েছে বলে দাবি করে বিচারপতির প্রশ্ন, “আগে এত চুরি-জোচ্চুরি দেখেছেন? চাকরি বিক্রি দেখেছেন?” হতাশার সুরে বিচারপতি জানান, বর্তমানে বাংলায় অবক্ষয় চোখে পড়ছে, যা বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দের বাংলায় কাম্য নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে থাকবেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও

    Ram Temple: অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে থাকবেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীও। বুধবার এ খবর জানান বিশ্বহিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি অলোক কুমার। এদিনই অলোক কুমারের সঙ্গে আডবাণীর বাসভবনে গিয়েছিলেন আরএসএস নেতা কৃষ্ণ গোপাল। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রবীণ বিজেপি নেতাকে।

    উপস্থিত থাকবেন আডবাণী

    অলোক কুমার জানান, যেহেতু প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আদবানি উপস্থিত থাকবেন, তাই তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হচ্ছে মন্দির চত্বরে। ২২ তারিখে রাম মন্দিরের (Ram Temple) গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার বিগ্রহের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। গর্ভগৃহে মূর্তিটি বসাবেন তিনিই। তার পরেই হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। মূল অনুষ্ঠানটি ২২ তারিখে হলেও, তার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠান চলবে চার দিন ধরে 

    মন্দির কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি অক্ষত পুজোর মাধ্যমে শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠান। মূল অনুষ্ঠানের দিন গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে দুপুরের শুভক্ষণে। তার পরেই শুরু হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রধান অনুষ্ঠান। যদিও এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে পুজো-পাঠ। এদিন রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজটি করবেন বারাণসীর পুরোহিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত  অযোধ্যায় চলবে অমৃত মহোৎসব।

    আরও পড়ুুন: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের ৭ হাজার মানুষকে। এঁদের মধ্যে তিন হাজারই ভিআইপি। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন সাধু-সন্তরাও। আমন্ত্রিতদের থাকার জন্য ইতিমধ্যেই বুক করা হয়ে গিয়েছে অযোধ্যার হোটেলগুলি। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশন। উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরেরও। যেহেতু ২২ তারিখে প্রধান অনুষ্ঠান, তাই দেবভক্তরা বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন ২৩ তারিখ থেকে। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তাই এই ব্যবস্থা।

    এদিকে, প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও যাচ্ছেন না কংগ্রেসের কেউ। মন্দির কমিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সোনিয়া গান্ধী এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না বলে (Ram Temple) আগেই জানিয়ে দিয়েছিল সিপিএম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Row: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    India Maldives Row: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য মুইজ্জু মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রীর। তার জেরে গদি টলোমলো মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর (India Maldives Row)। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবিও উঠেছে দ্বীপরাষ্ট্রে।

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    মলদ্বীপের সাংসদ তথা পার্লামেন্টে বিরোধী দলনেতা আলি আজিম ওই দাবি জানিয়েছেন। মোদির অপমান সম্পর্কে বিদেশমন্ত্রী মুশা জামিরকে কেন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না, সে বিষয়ে পার্লামেন্টকে প্রশ্ন করতে বলছেন মলদ্বীপের আর এক সাংসদ মিকালী নাসিম। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার কিছু ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারই কয়েকটির কমেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। ঘটনার জেরে মলদ্বীপ সফর বাতিল করেন ভারতীয়রা।

    অশনি সঙ্কেত দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা

    মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেওয়া হয় ভারতীয় পর্যটকদের তরফে। যেহেতু মলদ্বীপের সিংহভাগ পর্যটকই ভারতীয় এবং তারা মলদ্বীপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় অশনি সঙ্কেত দেখেন সে দেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষ। তাঁরাও ভারতের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন। ভারতের কাছে (India Maldives Row) ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন মলদ্বীপের ভারতপন্থী নেতারাও। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ওই মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করে মুইজ্জু সরকার। তা সত্ত্বেও কমেনি ক্ষোভের আঁচ। তার পর থেকে মলদ্বীপে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি। আজিম বলেন, “মুইজ্জুকে পদ থেকে সরাতে যা করতে হয়, করব। তাঁকে অপসারণের জন্য আমরা অনাস্থা প্রস্তাব আনব।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমরা চাই দেশের বিদেশনীতিতে স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক। কোনও প্রতিবেশী দেশকে কোণঠাসা করার চেষ্টা বন্ধ হোক।”

    আরও পড়ুুন: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা চিনপন্থী মুইজ্জুকে দুষে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষত মেরামতের ডাক দিয়েছেন মলদ্বীপের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান ফয়াজ ইসমাইলও। মুইজ্জুর বিরুদ্ধে মলদ্বীপ-ভারত সম্পর্ক নষ্ট করার অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ দিদি। তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতাও। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের নিন্দা করেছিলেন মলদ্বীপের দুই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিও। ওই মন্ত্রীদের মন্তব্য ঘৃণার্হ্য বলেও মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: বাড়িতে আধিকারিকরা! শোনার পরেই ফোন কাটেন শাহজাহান, দাবি ইডির

    Sandeshkhali Incident: বাড়িতে আধিকারিকরা! শোনার পরেই ফোন কাটেন শাহজাহান, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে তাঁকে ফোন করেন দফতরের আধিকারিকরা। ফোন রিসিভও করেন শাহজাহান, আর ইডির (ED Attack) কথা শুনেই কল কেটে দেন। এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা ও জেলার পুলিশ সুপারকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতেও বিষয়টি তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    ফোন কাটেন শাহজাহান

    ইডির অভিযোগ, ওই হামলার ঘটনার ঠিক আগে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল আধিকারিকদের। রেশন দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁর বাড়ির সামনে এসেছে এই কথা শোনার পরেই ফোন কেটে দেন শেখ শাহজাহান। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তৃণমূল নেতার দুটি মোবাইল ফোন। শুক্রবার একটি মোবাইল ফোন নম্বরে শেখ শাহজাহানকে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে এসেছেন বলে জানান ইডি-র আধিকারিক। এরপরই ফোন কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় থেকে তাঁর সেই ফোন নাকি অনবরত ব্যস্ত ছিল। ইডির দাবি, দুটি মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনই দেখাচ্ছিল, তৃণমূল নেতা রয়েছেন বাড়ির ভিতরেই। ইডি-র অভিযোগ, সেই সময় শেখ শাহজাহানই ফোন করে তাঁর অনুগামীদের উস্কানি দেন। ইডির দাবি পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    কোথায় শেখ শাহজাহান?

    গত শুক্রবার রেশন দুর্নীতি তদন্তে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি-র আধিকারিকরা। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না শেখ শাহজাহানের। এই ঘটনায় পালটা ইডির বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে শোনা যায়। সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিশের এফআইআর খারিজের আবেদন করে হাইকোর্টে গিয়েছে ইডি। অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর হামলার ৬ দিন পার হয়ে গেলও কোথায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান? লঘু ধারাতেই বা কেন মামলা রুজু করল পুলিশ? তারই প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির ন্যাজাট থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি, নেতৃত্বে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Row: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    India Maldives Row: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পরে পরে ভারত সফরে আসতে চেয়েছিলেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু (India Maldives Row)। তবে ভারত বিশেষ আগ্রহ না দেখানোয় ভারত-দর্শন হয়নি মুইজ্জুর। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মলদ্বীপের জুনিয়র তিন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই তলানিতে এসে ঠেকেছে।

    উদাসীন ভারত

    অথচ ভারত মলদ্বীপের পরম মিত্র দেশ। এহেন এক দেশের শাসকের ভারত সফর নিয়ে নয়াদিল্লির ‘শৈত্য’ বুঝিয়ে দেয়, চিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধায় মুইজ্জুর প্রতি ভারত উদাসীন। সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার কিছু ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারই কয়েকটি ছবির কমেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ওই মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করে সরকার। তার পরেও অবশ্য মলদ্বীপের প্রতি ভারতের ক্ষোভের আঁচ স্তিমিত হয়নি এতটুকুও। যার প্রমাণ,  অতি সম্প্রতি মলদ্বীপের বিভিন্ন হোটেলের ১৪ হাজার টিকিট বাতিল করেছেন ভারতীয় পর্যটকরা।

    জানুন কারণ

    কী কারণে মলদ্বীপের (India Maldives Row) নয়া শাসকের প্রতি এই শৈত্য প্রদর্শন ভারতের? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ তিনটি। প্রথম কারণটি হল, মুইজ্জু চিনপন্থী। ক্ষমতায় বসেই মলদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় সেনাদের দেশে ফিরে যেতে বলে মুইজ্জু সরকার। দ্বিতীয় কারণটি হল, ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে মুইজ্জু লাগাতার ভারত-বিরোধী প্রচার করে চলেছিলেন। সর্বোপরি, প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই মুইজ্জু প্রথা ভেঙে ভারতের পরিবর্তে তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছিলেন। অথচ তাঁর পূর্বসূরিরা প্রথমে ভারত সফর করতেন। পরে যেতেন অন্যত্র।

    আরও পড়ুুন: ব্যর্থ চিন! ভুটানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগে, শুভেচ্ছা মোদির

    এই তিন কারণে নয়াদিল্লি বুঝে যায়, ভারতের প্রতি মুইজ্জু সরকারের মনোভাব কী। তাই তুরস্ক এবং আরব আমিরশাহি সফর সেরে মুইজ্জু যখন ভারত সফরের সিদ্ধান্ত নেন, তখন আর বিশেষ আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি। অগত্যা চিন সফরের সিদ্ধান্ত নেন মুইজ্জু। এই সফরের মধ্যেই মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য তাঁর তিন মন্ত্রীর। যার জেরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে। শুধু তাই নয়, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন হাজার হাজার ভারতীয়। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপে যাঁরা বেড়াতে যান, তাঁদের সিংহভাগই ভারতীয় (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Farooq Abdullah: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    Farooq Abdullah: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকাতেও দুর্নীতি! এবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে (Farooq Abdullah) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল ইডি (Enforcement Directorate)। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-এর নেতা ফারুক আবদুল্লাকে তাদের শ্রীনগরের দফতরে হাজির থাকতে বলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আর্থিক বেনিয়মের (Money Laundering) তদন্তেই সমন পাঠানো হয়েছে ফারুক আবদুল্লাকে। 

    ইডির অভিযোগ

    ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই যে, জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটিয়ে তিনি টাকা নয়ছয় করেছেন। ভারতের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই-এর থেকে প্রাপ্ত টাকা ফারুকের আমলে বেআইনিভাবে অনেকের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আজ, ১১ জানুয়ারি শ্রীনগরের ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ফারুক আবদুল্লাকে। যদিও তিনি হাজিরা দেবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ফারুকের বয়স ৮৬। বয়সজনিত কারণে তিনি হাজিরা এড়াতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। 

    কখন হয়েছিল এই দুর্নীতি

    ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফারুক তাঁর রাজ্যের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ, টাকা তছরুপের ঘটনাটি ঘটে ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে। অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট বোর্ডের জন্য বরাদ্দ টাকা বিভিন্নভাবে হাতিয়ে নেওয়া হত। অ্যাসোসিয়েশনের তহবিলে যে টাকা জমা পড়ার কথা, তা অ্য়াসোসিয়েশনের অধিকর্তা সহ একাধিক ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। তদন্তকারীদের দাবি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদের অপব্যবহার করেছিলেন এবং বহু লোকজনকে নিয়োগ করেছিলেন, যারা বিসিসিআই-র তহবিল তছরুপ করার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    উল্লেখ্য, এই একই মামলায় তদন্ত করছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তারা ইতিমধ্যেই মামলায় একটি চার্জশিট পেশ করেছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে ইডি। ২০২২ সালে ইডির চার্জশিটে শ্রীনগরের লোকসভার সাংসদ ফারুক আবদুল্লার নাম ছিল। ইডির দাবি, ফারুকের সময় ৪৫ কোটিরও বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bhutan Election: ব্যর্থ চিন! ভুটানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগে, শুভেচ্ছা মোদির

    Bhutan Election: ব্যর্থ চিন! ভুটানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগে, শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুটানের ভোটে (Bhutan Election) জয়ী হল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। ভুটানে দ্বিতীয় দফার সংসদীয় নির্বাচনে ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসনে জিতেছে শেরিং তোবগের দল। ‘ভারত বন্ধু’ বলে পরিচিত শেরিং তোগবে। তিনিই পাহাড় ঘেরা ছোট্ট দেশে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খুশি ভারতীয় কূটনীতিবিদরা। ইতিমধ্যেই শেরিং তোবগেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।

    বিপুল ভোটে জয়লাভ

    মঙ্গলবার ভুটানে দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত দফার সংসদীয় নির্বাচন (Bhutan Election) হয়েছিল। মোট ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে শেরিংয়ের দল পিডিপি। গত বছর গঠিত হওয়া চিন পন্থী নতুন দল ‘ভুটান টেন্ড্রেল পার্টি’ (বিটিপি) বাকি ১৭টিতে জিতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’তে বিরোধী শক্তি হয়েছে। সঙ্গত, ভুটানের সাধারণ নির্বাচন দু’টি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দু’টি দল দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নেয়। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে পিডিপি ৪২ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিল। বিটিপির ঝুলিতে গিয়েছিল প্রায় ২০ শতাংশ।বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের দল ‘ড্রুক নয়ামরুপ সোগপা’ (ডিএনটি) ২০১৮-র ভোটে ৩০টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেলেও নভেম্বরের নির্বাচনে ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    ভারতের বন্ধু শেরিং

    প্রসঙ্গত, পিডিপি নেতা শেরিং ২০১৩-১৮ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। তার সময় ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল। ২০১৮ সালে ভারতেও এসেছিলেন শেরিং। দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে। ভুটানের ভোটে (Bhutan Election) নাক গলানোর কম চেষ্টা করেনি চিন। ভারত বন্ধুদের হারানোর চেষ্টাও করলেও সফল হয়নি বেজিং।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার ভোটে জয়ের জন্য অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন শেরিংকে। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার বন্ধু শেরিং তোগবে এবং তাঁর দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিকে সংসদীয় নির্বাচনে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। এর ফলে ভারত-ভুটান দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী এবং সহযোগিতা আরও নিবিড় হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Anthem Case: বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট নয়, জাতীয় সঙ্গীত মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের

    National Anthem Case: বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট নয়, জাতীয় সঙ্গীত মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার (National Anthem Case) দু’টি মামলাতেই স্বস্তিতে বিজেপি। আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ ছাড়া ওই মামলায় কোনও চার্জশিট পেশ করা যাবে না। বুধবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এছাড়া বিজেপি বিধায়কদের জেরা করা যাবে না বলে যে নির্দেশ আগে দেওয়া হয়েছিল, সেটাও বহাল রাখা হয়েছে। একক বেঞ্চ আগেই এই মামলাকে ‘ছেলেমানুষি’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছিল।

    কী বলল আদালত

    বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা (National Anthem Case) করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের তরফে একটি নয়, দুটি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু আগেই এই মামলাকে ‘ছেলেমানুষি’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে এখনও পর্যন্ত কোনও শুনানি হয়নি। তাই একক বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দ্বিতীয় মামলাতেও তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে না পুলিশ। পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া দেওয়া যাবে না চার্জশিটও। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দুই মামলারই শুনানি হতে পারে সিঙ্গল বেঞ্চে। যদি তার আগে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের দায়ের প্রথম মামলার শুনানি হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    বিতর্কের সূত্রপাত, গত মাসে বিধানসভায় একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়কেরা। ওই একই সময়ে তৃণমূলের বিক্ষোভস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিজেপি বিধায়কেরা পাল্টা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তুলছিলেন সরকার-বিরোধী স্লোগান। তৃণমূল বিধায়কেরা সেই সময় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। সেই সময়েও বিজেপি শিবির থেকে স্লোগান শোনা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিজেপি বিধায়কদের দাবি ছিল, অপরাধযোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    Pervez Musharraf: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তবে তাঁকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সে দেশের বিশেষ আদালত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে (Pervez Musharraf) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। যদিও তার প্রায় সাত বছর আগেই পাকিস্তান ছেড়ে প্রয়াত সেনা প্রধান আশ্রয় নিয়েছিলেন দুবাইয়ে। ক্রিমিনাল ট্রায়াল এড়াতেই দুবাইয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট।

    মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ আদালত 

    বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয় এই মামলার। বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি কাজি ফিরোজ ইসা। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারি এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়ে ওই সাজা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যে সময় ওই অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত মুশারফ নিয়েছিলেন, সেই সময় ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ। মুশারফের (Pervez Musharraf) তরফে করা আবেদন খারিজ করে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, একাধিক নোটিশ পাওয়ার পরে পারভেজ মুশারফের উত্তরসূরিরা মামলাটি নিয়ে নাড়াচাড়া করেননি। মুশারফের আইনজীবী সলমান সফদর বলেন, “আদালত যখন মুশারফের করা আবেদনের শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমি ওঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা তাতে সাড়া দেননি।”

    দুবাইয়ে প্রয়াত মুশারফ

    গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে প্রয়াত হন পাকিস্তানের একনায়ক শাসক মুশারফ। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বীরবিক্রমে দেশ শাসন করলেও, প্রয়াত একনায়ক শাসককে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয় বিদেশে। ভারতের সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল মুশারফের। তাঁর পরিবার বাস করতেন দিল্লিতে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তাঁর পরিবার চলে যান পাকিস্তানে। পরে হয়ে ওঠেন সে দেশের একনায়ক (Pervez Musharraf)।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মুশারফ পাকিস্তানের সেনা প্রধান হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই বাসে করে লাহোরে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তিনি যখন পড়শি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই কার্গিল সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক সেনা। যার জেরে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ। যে যুদ্ধে ধরাশায়ী হয় পাক সেনা (Pervez Musharraf)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share