Tag: Madhyom

Madhyom

  • TMC Inner Clash: ‘বয়ঃ-বিধি’ দ্বন্দ্বে বেসামাল তৃণমূল, নেত্রীর রোষেই কি ‘অন্তরালে’ অভিষেক?

    TMC Inner Clash: ‘বয়ঃ-বিধি’ দ্বন্দ্বে বেসামাল তৃণমূল, নেত্রীর রোষেই কি ‘অন্তরালে’ অভিষেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের ‘যুবরাজ’। সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তাঁর একটা পদও রয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের এহেন এক কর্তাই দিন কয়েক ধরে সেঁধিয়ে রয়েছেন গোঁসাঘরে। কারণ কি? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলে সম্প্রতি নবীন-প্রবীণ নিয়ে বিতর্ক (TMC Inner Clash) দানা বেঁধেছে।

    দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও অন্তরালে ভাতিজা!

    বয়সবিধি নিয়েও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে তাঁরই ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই দলের নবীন ‘মুখ’ অভিষেককে সাইড করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই ১ জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবেসেও তিনি রইলেন অন্তরালে। কারণ হিসেবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, তিনি যে আগ্রাসী আন্দোলনের পথে হেঁটেছিলেন, তা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি শুধুমাত্র নিজের কেন্দ্র নিয়েই থাকবেন। তবে নেপথ্যে রইলেও চালিয়ে যাচ্ছেন ছায়াযুদ্ধ! অবশ্য সরাসরি ভাতিজা নন, তাঁর স্তাবকরা।

    বক্সি-কুণাল বাক্-যুদ্ধ

    ধানাইপানাই ছেড়ে আসা যাক কেজো কথায়। এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে তৃণমূলের (TMC Inner Clash) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াইয়ের ময়দান (লোকসভা নির্বাচন) থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে লড়াই করবেন উনি।” বক্সির এই “যদি…কিন্তু”তে বেজায় আপত্তি অভিষেক ‘ফ্যান-ক্লাবে’র। তাদের বক্তব্য, “যদি…কিন্তু”তে অভিষেকের ‘পলায়নী মনোবৃত্তি’ প্রকাশ পেয়েছে। তাই বক্সির বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

    তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (অভিষেক অনুগামী বলে দলে পরিচিত) বলেন, “রাজ্য সভাপতির বাক্যগঠন নিয়ে আপত্তি রয়েছে। এটা কখনওই কাঙ্খিত নয়।” তিনি বলেন, “অভিষেক লড়াইয়ের ময়দানেই রয়েছেন। আর তিনি যে কথা বলতে চান, তা শুনলে দলেরই মঙ্গল।” অভিষেক-বৃত্তের এক নেতা বলেন, “এই ধরনের আলটপকা কথা বলে আসলে অভিষেকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হয়েছে। যা দলের জন্য মোটেই ভালো সঙ্কেত নয়।” অভিষেক ঘনিষ্ঠদের দাবি, অভিষেকের বয়ঃ-তত্ত্বে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেক প্রবীণ নেতা। তাই মমতাকে তোষামোদ করতে এই ধরনের মন্তব্য করে আদতে অস্তস্তিতে ফেলা হচ্ছে দলকেই।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    বুয়া-ভাতিজার এই দ্বন্দ্বের জেরে যে ভাতিজা- গোষ্ঠীই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা বুঝতে পেরে যুবরাজের দ্বারস্থ হন তাঁর ‘ফ্যান-ক্লাবে’র সদস্যরা। তাই দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের ‘গোঁসা’ ভাঙাতে অভিষেকের কালীঘাটের অফিসে বৈঠকে বসেছিলেন কুণাল, ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক, তাপস রায়দের মতো কয়েকজন। তবে গোঁসা যে ভাঙেনি, তার প্রমাণ মিলল ১ জানুয়ারি। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পিকচারেই ছিলেন না অভিষেক।

    মমতার গুরুত্ব অস্বীকার (TMC Inner Clash) করলে যে বিপদ বাড়বে, তা জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন রাজনীতিতে থাকবেন না, সেদিন বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে।” সুদীপের নিশানায় যে অভিষেকই তা বুঝতে রাজনীতিবিদ হতে হয় না। সুদীপের বক্তব্যেরও পাল্টা (TMC Inner Clash) দিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন, “অন্ধ ভক্তি দেখাতে গিয়ে এঁরা আসলে বিভাজন রেখা তৈরি করছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    Panihati: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলতেন বিরোধীরা। তোলা না দিলেই হামলা করার অভিযোগ উঠত শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবার সেই তাদের তৈরি ফাঁদে পড়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক তৃণমূল কর্মীর। তোলার টাকা না দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হল। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটির (Panihati) ঘোলা থানার অপূর্বনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অভিজিৎ বিশ্বাস। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোলা থানায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে, ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটির (Panihati) অপূর্বনগরে ওই তৃণমূল কর্মীর চানাচুরের কারখানা রয়েছে। দল করার পাশাপাশি তিনি ব্যবসা করতেন। বাদল মণ্ডল ও তাঁর লোকজন এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। এই বাদল মণ্ডল অভিজিৎ বিশ্বাসের কাছে ২ লক্ষ টাকা তোলা চান বলে অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরে তোলা চাওয়া নিয়ে অভিজিতের সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়েছে। অভিজিৎবাবুর স্ত্রী মৌ বিশ্বাস বলেন, এলাকার কিছু দুষ্কৃতী আমার স্বামীকে হুমকি দিত। তোলার টাকা চাইত। কয়েকদিন ধরে ওকে বাড়ি থেকে বের হতে দিইনি। রবিবার বাবাইদা বলে এক তৃণমূলে ওকে ডেকেছিল বলে আমার স্বামী গিয়েছিলেন। পরে, মেয়ের জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। পরে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    তৃণমূল কর্মীর দাদা কী বললেন?

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, অভিজিৎ আমার মামার ছেলে। রবিবার রাতে বাইকে করে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। পাড়ার কাছে বাদল, অর্জুন সহ কয়েকজন আমাদের পথ আটকায়। আমি অভিজিৎকে কথা না বলে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু, ও শুনল না। আমি বাইক থামাতে পাশের গলি থেকে সাত-আট জন বেরিয়ে এসে আমাকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। আমি মাথায় চোট পাই। অভিজিৎ ছুটে পালাতে গেলে ওকে ঘিরে ধরে। আমি সেখান থেকে কিছুটা দূরে চলে যাই। এরপর ঘটনাস্থলে ফিরে গিয়ে দেখি, ভাইকে ওরা বেধড়ক মারছে। ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করছে। আশপাশের লোকজন আসতেই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাদল ও তাঁর লোকজন এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ কায়েম করে রেখেছে। অভিজিতের কাছ থেকে তোলার টাকা না পেয়ে ওরা এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনা তীব্র নিন্দা করছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক  শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “রাম মন্দির রাজনৈতিক কোনও ইস্যু নয়, সাংস্কৃতিক,” বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “রাম মন্দির রাজনৈতিক কোনও ইস্যু নয়, সাংস্কৃতিক,” বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাম মন্দির কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়, সাংস্কৃতিক ইস্যু।” সোমবার অসমের তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তন উৎসবে কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিন রাম মন্দির প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রাজনাথ বলেন, “২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসব। ওই দিন উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

    কী বললেন রাজনাথ?

    এর পরেই তিনি বলেন, “রাম মন্দির আমাদের কাছে ভোট পাওয়ার জন্য কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ইস্যু।” ১৬ জানুয়ারি অক্ষত সংগ্রহের মাধ্যমে শুরু হবে রাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার উৎসব। মূল উৎসব হবে ২২ জানুয়ারি। এদিন সকালে পুজোর পর রাম লালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে দুপুরে, মৃগশিরা নক্ষত্রে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, “২০২৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম আথর্নীতির দেশের তালিকায় তিন নম্বরে জায়গা করে নেবে। আর এক নম্বর হবে ২০৪৭ সালের মধ্যে।”

    রাজনাথের মুখে যুব-প্রশস্তি

    শিক্ষক হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতাও এদিন পড়ুয়াদের সঙ্গে শেয়ার করে নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দেশের যুব সমাজ কীভাবে নয়া ধারণাগুলি গ্রহণ করছেন, তাও জানান তিনি। বলেন, “দেশের যুবসমাজকে আমি যতটুকু বুঝেছি, তা থেকে আমি বলতে পারি, শিক্ষকদের চেয়ে পড়ুয়ারা অনেক বেশি উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী। পড়ুয়াদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। তারা সহজেই নতুন নতুন ধারণাগুলিকে গ্রহণ করে নেয়। অসম দেশকে এমন অনেক আইকন দিয়েছে। এই আইকনরা শিল্প, সাহস, ধর্ম, রাজনীতি-সহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।”

    আরও পড়ুুন: বাংলাদেশের অন্যতম সতীপীঠ চন্দ্রনাথ মন্দিরের দখল নিচ্ছে মৌলবাদীরা?

    তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “তোমাদের মতো তরুণদের সমৃদ্ধশালী করতে আমরা স্টার্ট-আপ সংস্কৃতি এবং উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেমের ওপর জোর দিচ্ছি। সরকারের প্রচেষ্টা এবং তরুণ উদ্যোগপতিদের উৎসাহিত করতে আজ আমরা ভারতে এক লাখেরও বেশি স্টার্ট-আপ ও একশোর বেশি ইউনিকর্ন তৈরি করেছি। আমরা উদ্ভাবনকে প্রোমোট করেছি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর স্টার্ট-আপের মাধ্যমে।” এদিন পুরনো ভারত ও নতুন ভারতের পার্থক্যও করেন রাজনাথ। বলেন, “পুরনো ভারত ও নয়া ভারতের মধ্যে প্রধান পার্থক্য নিহিত রয়েছে চিন্তার বিবর্তন ও অ্যাপ্রোচের মধ্যে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “আমাদের পড়ুয়াদের মধ্যে সৃজনশীলতা রয়েছে, লক্ষ্য রয়েছে। এসবকেই নয়া চিন্তাভাবনা বলা যেতে পারে। এগুলিই নয়া ভারতের ব্যাকগ্রাউন্ডও।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: নতুন বছরের প্রথম দিনে সুকান্তর হাত ধরে চালু হল বালুরঘাট-শিয়ালদা এক্সপ্রেস

    Sukanta Majumdar: নতুন বছরের প্রথম দিনে সুকান্তর হাত ধরে চালু হল বালুরঘাট-শিয়ালদা এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেল স্টেশন থেকে পথচলা শুরু হল বালুরঘাট-শিয়ালদা নয়া ট্রেনের। নতুন এই ট্রেনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন রেলমন্ত্রী। আর বালুরঘাট থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার দুপুর ১২ টায় বালুরঘাট স্টেশন থেকে ট্রেনটি চলাচলের শুভ সূচনা হয়। আগামীকাল থেকে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসারে প্রতিদিন চলবে এই ট্রেন।

    প্রতিদিন কখন ছাড়বে এই ট্রেন?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে এই ট্রেনটি বালুরঘাট স্টেশন থেকে রওনা হবে। শিয়ালদা পৌঁছাবে ভোর ৪ টে ২০ মিনিটে। অন্যদিকে, শিয়ালদহ থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ ছাড়বে। বালুরঘাটে পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮ টায় পৌঁছাবে। এদিনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রশংসা করে বলেন, সুকান্ত দাদা লাগাতার লেগে থাকার জন্যই দ্রুত ট্রেনটি চালু করা গেল। এই প্রথম এলএইচবি কোচের নতুন ট্রেনে খুশি জেলাবাসী।

    কী বললেন সাংসদ সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এতদিন পর্যন্ত বালুরঘাট স্টেশন থেকে এলএইচবি কোচের কোনও ট্রেন ছিল না। সাধারণ কামরা নিয়েই রেল চলাচল করে। নতুন এই ট্রেনের প্রতিটি কোচে উচ্চতর গতিতে দক্ষ ব্রেকিংয়ের জন্য একটি “অ্যাডভান্সড নিউমেটিক ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম” রয়েছে, আরও রয়েছে “মডিউলার ইন্টেরিয়র”। এলএইচবি কোচের উন্নত সাসপেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত রেকের তুলনায় যাত্রীদের আরও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করে। এলএইচবি কোচের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুরাতন রেকের তুলনায় উচ্চতর ক্ষমতা সম্পন্ন এবং তা একটি মাইক্রোপ্রসেসর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। গরম এবং শীতকালে যাত্রীদের পুরানো কোচের তুলনায় আরও অধিক আরাম দেয় বলে জানা যায়। সব মিলিয়ে অনেক উন্নত পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। এই প্রথম জেলায় এলএইচবি কোচের ট্রেন আসায় জেলাজুড়ে খুশি বাসিন্দারা। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, বহুদিন ধরে শিয়ালদা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেনের ব্যবস্থা করার দাবি ছিল জেলাবাসীর। আজ কল্পতরু দিবস, শুভ এই দিনে জেলার মানুষের সেই স্বপ্নপূরণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এবিষয়ে বালুরঘাটের এক বিশিষ্ট শিক্ষক অপূর্ব মণ্ডল বলেন, আমাদের মতো প্রান্তিক জেলায় এই ট্রেনটি পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। অবশেষে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হল। আমরা আশা করছি, আগামীতে আরও ট্রেন আমরা পাব। আগামীদিনে প্রান্তিক জেলার তকমা এভাবে ঘুচে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: কনে সীতার জন্মস্থান থেকে অযোধ্যায় আসছে হাজারেরও বেশি উপহারের ডালি

    Ram Mandir: কনে সীতার জন্মস্থান থেকে অযোধ্যায় আসছে হাজারেরও বেশি উপহারের ডালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই সাজো সাজো রব অযোধ্যা জুড়ে। পিছিয়ে নেই নেপালের জনকপুরও। তার কারণ এটিই সীতামাতার জন্মস্থান বলে ভক্তদের বিশ্বাস। মন্দির উদ্বোধনের আগেই তাই জানকীর জন্মস্থান থেকে ৫০০ জনের একটি প্রতিনিধি দল অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা হবেন। ৪ জানুয়ারি ওই প্রতিনিধি দলের রওনা হওয়ার কথা। তাঁদের সঙ্গে থাকবে ১,১০০ ডালি অর্থাৎ বাক্স। যেখানে ভগবান রামের জন্য থাকবে বিভিন্ন উপহার। যে কোনও বাঙালি বাড়ির বিয়েতে তত্ত্বের ডালি নিয়ে যাওয়ার রীতি রয়েছে বর ও কনের দু’বাড়ির তরফ থেকেই। রামে ঘরে ফেরার আগে এখানেও সেই রীতি দেখা যাবে।

    রামের জন্য ডালি ভরা উপহার

    জনকপুর থেকে যাত্রা করার পরে ওই প্রতিনিধি দল অযোধ্যায় পৌঁছাবে ঠিক দুদিন পরে ৬ জানুয়ারি। কী কী থাকবে ওই ডালিগুলিতে? জানা গিয়েছে, সেখানে থাকবে বিভিন্ন জুয়েলারি যেমন সোনা এবং রুপোর অলংকার, শুকনো ফল, পোশাক, প্রসাধনিক। এছাড়াও খাদ্যদ্রব্য, চাল এই সমস্ত কিছু। জনকপুর থেকে অযোধ্যাপুরী (Ram Mandir) পর্যন্ত এই যাত্রার জন্য একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটির অন্যতম সদস্য রয়েছেন ললিত শাহ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সীতা মাতার জন্মস্থান থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত এই যাত্রা সম্পন্ন হবে এবং তা পৌঁছাবে ৬ জানুয়ারি।

    ৬ জানুয়ারি সকাল ৮টায় মন্দিরে পৌঁছাবে ওই প্রতিনিধি দল

    জানা গিয়েছে, অযোধ্যার (Ram Mandir) স্থানীয় প্রশাসনও জনকপুর থেকে আগত অতিথিদের থাকার বন্দোবস্ত করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। প্রসঙ্গত জনকপুর থেকে অযোধ্যার দূরত্ব হল ৪৫৮ কিলোমিটার। ওই অতিথিরা আসবেন তিরিশটি ছোট গাড়ি এবং পাঁচটি বাসে। ৫ জানুয়ারি তাঁরা রক্সৌল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবেন। এরপরে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন বেতিয়াতে। তারপর তাঁরা গোরক্ষপুর এবং বস্তিপুর হয়ে অযোধ্যায় (Ram Mandir) পৌঁছাবেন সকাল ৮টায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: বছরের শুরুতেই গুচ্ছ কর্মসূচি বাতিল মুখ্যমন্ত্রীর, কারণ কী? জল্পনা

    Mamata Banerjee: বছরের শুরুতেই গুচ্ছ কর্মসূচি বাতিল মুখ্যমন্ত্রীর, কারণ কী? জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে পূর্ব নির্ধারিত গুচ্ছ কর্মসূচি বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবিবারই এ ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি হয়েছে নবান্নের তরফে। যদিও ঠিক কী কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। 

    ছড়াচ্ছে জল্পনা

    উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় মাথাচাড়া দিয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। লোকসভা নির্বাচনের মুখে একে অশনি সঙ্কেত হিসেবেই দেখছেন তৃণমূল নেত্রী। এই দ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিতেই এই এলাকায় বাড়তি মনোযোগ দিতে পারেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির অদল-বদল হওয়ার এটা একটা কারণ হতে পারে। অন্য একটি অংশের মতে, শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে ছোট একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। বিশ্রামের প্রয়োজন। সেটাও একটা কারণ হতে পারে। জানা গিয়েছে, ২ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)। আপাতত সেটি বাতিল করা হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর নয়া কর্মসূচি

    ৩-৪ জানুয়ারি তাঁর যাওয়ার কথা ছিল গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে। গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে ৪ জানুয়ারি জয়নগরে সভা করার কথা ছিল তাঁর। সেই কর্মসূচিও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডিভিশন অফিসের উদ্বোধনের দিনও। ২ জানুয়ারির পরিবর্তে উদ্বোধনের দিন ধার্য হয়েছে ৮ জানুয়ারি। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর পিছিয়ে করা হচ্ছে ৮-৯ জানুয়ারি। অবশ্য মেলা শুরু হয়ে যাবে ৮ তারিখ থেকেই। তাই মেলার প্রস্তুতি আর খতিয়ে দেখা হচ্ছে না তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী আসছেন মেলা শুরুর দিনই। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন কপিল মুনির আশ্রমেও।

    আরও পড়ুুন: মোদির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা ‘অবধারিত’, এবার বলছে ব্রিটিশ দৈনিকও

    যেহেতু নবান্নের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি বদলের কোনও কারণ দর্শানো হয়নি, তাই ছড়িয়েছে নানা জল্পনা। প্রতিবার গঙ্গাসাগর মেলার ঢের আগেই প্রস্তুতি-পর্ব খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) চলে যেতেন গঙ্গাসাগরে। এবার সেখানে যাচ্ছেন মেলা শুরুর দিন। নেতাজি ইন্ডোরের সরকারি কর্মসূচি কিংবা জয়নগরের সভা স্থগিত করায়ও শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Anti Hindu Violence: বাংলাদেশের অন্যতম সতীপীঠ চন্দ্রনাথ মন্দিরের দখল নিচ্ছে মৌলবাদীরা?

    Anti Hindu Violence: বাংলাদেশের অন্যতম সতীপীঠ চন্দ্রনাথ মন্দিরের দখল নিচ্ছে মৌলবাদীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দু পীঠস্থানগুলি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই তালিকায় নবতম সংযোজন চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ মন্দির। কয়েক দিন ধরেই চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ মন্দিরকে ঘিরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার (Anti Hindu Violence) খবর মিলেছে। এরই মধ্যে দুষ্কৃতীদের হামলায় চন্দ্রনাথ ধামের ১০ জন ভক্ত আহত হয়েছেন তিন দিন আগেই। চন্দ্রধাম হল হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান। ভক্তদের বিশ্বাস এখানে মাতা সতীর ডান হাত পড়েছিল। এক হাজার কুড়ি ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই মন্দির হিন্দুদের (Anti Hindu Violence) পবিত্র আস্থাস্থল বলে পরিচিত। বহু পুণার্থী এখানে আসেন তাঁদের মনস্কামনা পূরণের জন্য।

    মন্দির চত্বরেই চলছে গো-মাংস রান্না!

    অভিযোগ, পবিত্র এই ধর্মস্থানে উঠে এসেছে বেশ কিছু মুসলিম দোকানদার, ততদূর পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু এই সমস্ত দোকানগুলিতে এমন কিছু কাজ করা হচ্ছে যা হিন্দু ধর্মের (Anti Hindu Violence) ভাবাবেগে আঘাত লাগছে। ২০২২ সালের পর থেকেই চন্দ্রনাথ মন্দিরের আশপাশের এই দোকানগুলিতে গরুর মাংস রান্না করার অভিযোগ ওঠে এবং কিছু উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা পাহাড়ি এই মন্দিরে ঘনঘন যাতায়াত শুরু করে। এতেই বোঝা যায় তাদের উদ্দেশ্য। মন্দির চত্বরকে অপবিত্র করা এবং ভক্তদের উপর হামলার ঘটনায় সে দেশের সংখ্যালঘু সংগঠন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে উগ্রপন্থী মুসলমানরা মন্দির চত্বরে ‘আল্লাহু আকবর’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ধ্বনি তুলছে এবং মন্দিরকে ঘিরে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছে।

    মৌলবাদীরা রাজনৈতিক মদতপুষ্ট

    বাংলাদেশের ওই সংখ্যালঘু সংগঠনের আরও অভিযোগ, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকেই মন্দিরের (Anti Hindu Violence) চত্বরে নামাজের আয়োজন করে মৌলবাদীরা এবং মন্দিরের পাশেই একটি মসজিদ বানানোর পরিকল্পনা শুরু করে। এর পাশাপাশি সেখানে  নানা গুজবও ছড়ানো হতে থাকে। জানা গিয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ যারা করছে তারা সবাই জামাতের সদস্য। এই জামাত আবার বিএনপি বা বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে জোটে রয়েছে। আবার এই ধরনের কার্যকলাপে যুক্ত অনেকেই হেফাজত-এ-ইসলাম বাংলাদেশ নামে সংগঠনের সদস্য। যাদের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে আবার শাসকদল আওয়ামি লিগের। ডিসেম্বর মাস পড়তেই এই বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে শুরু করে। সেখানে দর্শন করতে যাওয়া অনেকের কাছেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এর পাশাপাশি উগ্রপন্থীরা উস্কানিমূলক স্লোগানও দিতে থাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দেশের দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, আরও গুচ্ছ কর্মসূচি এমাসেই

    PM Modi: দেশের দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, আরও গুচ্ছ কর্মসূচি এমাসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জানুয়ারির ১২ তারিখে উদ্বোধন হবে ভারতের দীর্ঘতম সেতুর। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতুও। মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক নামের এই সেতুটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার এ খবর জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।

    কী বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী?

    তিনি জানান, সেতুটি ২১.৮ কিমি দীর্ঘ। এ যাবৎ কাল পর্যন্ত এটিই ভারতের দীর্ঘতম সেতু। সেতুটি মুম্বইয়ের সেওরির সঙ্গে জুড়বে রাইগাদের নবসেবা এলাকাকে। স্থলপথে যেতে গেলে এখন সময় লাগে ঘণ্টা দুয়েক। সেতু চালু হয়ে গেলে সময় কমে দাঁড়াবে ১৫-২০ মিনিটে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই দুই জায়গার সংযোগের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি এলাকার শ্রীবৃদ্ধিও ঘটবে। সেতুটিতে ছ’টি লেন থাকবে। এর ১৬.৫ কিলোমিটার অংশ যাবে সমুদ্রের ওপর দিয়ে। বাকি ৫.৫ কিলোমিটার অংশ যাবে স্থলভাগের ওপর দিয়ে। পরে এই সেতুটিকে জুড়ে দেওয়া হবে মুম্বই পুণে এক্সপ্রেস ওয়ের সঙ্গে।

    প্রধানমন্ত্রীর গুচ্ছ কর্মসূচি

    জানুয়ারির ১২ তারিখে এই সেতু উদ্বোধনের আগেও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। চলতি মাসের ২ এবং ৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী যাবেন তামিলনাড়ু এবং লাক্ষাদ্বীপেও। এই দুই এলাকায় তিনি বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী যাবেন তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে। ভারতী দশন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনিই হবেন প্রধান অতিথি।

    আরও পড়ুুন: মোদির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা ‘অবধারিত’, এবার বলছে ব্রিটিশ দৈনিকও

    পরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন তিনি। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে রেল, রাস্তা, তেল, গ্যাস, শিপিং এবং উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্র। তিরুচিরাপল্লিতে তিনি তিরুচিরাপল্লি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে নয়া টার্মিনাল বিল্ডিংয়েরও উদ্বোধন করবেন। এই টার্মিনালে পরিষেবা পাবেন বছরে ৪৪ লাখেরও বেশি যাত্রী। প্রতিদিন পিক আওয়ার্সে টার্মিনালটি ব্যবহার করতে পারবেন ৩ হাজার ৫০০ যাত্রী।

    এখান থেকেই প্রধানমন্ত্রী উড়ে যাবেন লাক্ষাদ্বীপের উদ্দেশে। এখানে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা তাঁর। ৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী যাবেন লাক্ষাদ্বীপেরই কাভারাত্তিতে। এখানেও পানীয় জল, সৌরশক্তি, স্বাস্থ্য এবং টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে একাধিক প্রকল্পের শিল্পান্যাস করবেন তিনি (PM Modi)।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: মোদির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা ‘অবধারিত’, এবার বলছে ব্রিটিশ দৈনিকও

    PM Modi: মোদির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা ‘অবধারিত’, এবার বলছে ব্রিটিশ দৈনিকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটিতে উড়েছে গেরুয়া নিশান। তার ওপর লোকসভা নির্বাচনের আগে উদ্বোধন হচ্ছে ভারতবাসীর আবেগের রাম মন্দিরের। তাই কেন্দ্রে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি (PM Modi)। ব্রিটেনের জনপ্রিয় দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ানে’র দাবি, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির টানা তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরা ‘প্রায় অবধারিত’।

    হ্যাটট্রিক করতে চলেছে বিজেপি

    মাসখানেক আগেই শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্তানে জয়ী হয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যা বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়েছে পদ্ম-শিবিরকে। ব্রিটেনের ওই দৈনিকের কলামে বলা হয়েছে, এই কারণে ২০২৪ সালে বিজেপি হ্যাটট্রিক করতে চলেছে। ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক দৃশ্যপটের ভিত্তিতে নির্বাচনী বিশ্লেষকরাও জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-ই ফের আসতে চলেছে।

    প্রতিপক্ষ ছন্নছাড়া 

    ‘দ্য গার্ডিয়ানে’ বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এর সঙ্গে রয়েছে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা। এটা দেশের বৃহত্তম হিন্দু সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করবে। বিশেষত, উত্তরের হিন্দু বলয়ে। ২০১৪ সাল থেকে মোদি যেহেতু জিতে আসছেন, সেহেতু রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে বিজেপির জয় হবে অনায়াস। দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে বিজেপির প্রতিপক্ষরা শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও, গোটা দেশের প্রেক্ষিতে তারা ছন্নছাড়া ও দুর্বল। সংবাদপত্রটির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী – জাতীয় কংগ্রেস চলতি মাসে জয়ী হয়েছে কেবল তেলঙ্গানায়। গোটা দেশের মধ্যে তারা ক্ষমতায় রয়েছে তিনটি রাজ্যে। এভাবে বিজেপির সঙ্গে লড়া যাবে না বলেও জানানো হয়েছে ব্রিটিশ ওই দৈনিকটির প্রতিবেদনে।

    আরও পড়ুুন: সুখ-শান্তিতে ভরে উঠুক নতুন বছর, দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি

    বিজেপিকে হারাতে জোট বেঁধেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডি’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জোটের অন্দরেও রয়েছে মতানৈক্য। যদিও এই জোট বিজেপিকে পরাস্ত করার শপথ নিয়েছে, তা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ কোনও ইস্যুতে আলগা হয়ে যেতে পারে জোটের বাঁধন। প্রতিবেদনটির দাবি, সেই কারণেও কেন্দ্রে বিজেপি ক্রমেই হয়ে উঠছে অপরাজেয়। বিজেপির ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’র প্রশস্তিও গাওয়া হয়েছে ইংরেজি দৈনিকের ওই প্রতিবেদনে।

    বলা হয়েছে, গত ন’বছরে বিজেপি জনকল্যাণমূলক কী কী কাজ করেছে তার ফিরিস্তি দিতে গোটা দেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে হাজার হাজার সরকারি আধিকারিককে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’ মাস ধরে জনগণের কাছে এসব তুলে ধরবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জেরেই যে বিজেপি ফের কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে, গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন জনসভায় তা দাবি করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Xposat Satellite Launch: ২০২৪ দুরন্ত শুরু ইসরোর, প্রথম দিনেই মহাকাশে পাড়ি দিল ‘এক্সপোস্যাট’

    Xposat Satellite Launch: ২০২৪ দুরন্ত শুরু ইসরোর, প্রথম দিনেই মহাকাশে পাড়ি দিল ‘এক্সপোস্যাট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সাল ছিল ঐতিহাসিক। ২০২৪ সালটাও দুরন্ত শুরু করল ইসরো। বছরের প্রথম দিনই মহাকাশে পাড়ি দিল দেশের প্রথম তথা বিশ্বের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট, যাকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে এক্সপোস্যাট। 

    বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বিরল কৃতিত্ব

    সোমবার, সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্‌ল বা পিএসএলভি সি-৫৮-এর পিঠে চেপে যাত্রা মহাকাশে পাড়ি দেয় এক্সপোস্যাট। এই বিশেষ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে নাসার পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই এই বিরল কৃতিত্ব অর্জন করল ভারত। 

    ২১ মিনিটেই কক্ষপথে উপগ্রহ

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, মাত্র ২১ মিনিট উড়েই এই রকেট পৌঁছে গিয়েছে ৬৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়। তারপর এটি তার কক্ষপথে স্থির হবে। এই কৃত্রিম উপগ্রহটির আয়ু পাঁচ বছর। পৃথিবীর উপরে নীচু কক্ষপথেই প্রদক্ষিণ করবে এক্সপোস্যাট। ভূমি থেকে তার সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার। 

    কী কাজ করবে এক্সপোস্যাট

    এক্সপোস্যাটে ২টি মূল পেলোড রয়েছে। সেগুলি হল— পোলিক্স (পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট ইন এক্স-রে) এবং এক্সস্পেক্ট (এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি অ্যান্ড টাইমিং)। মহাকাশে এক্স-রে উৎসের সন্ধান চালাবে এক্সপোস্যাট। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইসরো ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশা পেতে পারে। কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি, সন্ধান, উৎস প্রভৃতি নানা তথ্য জোগাড় করবে এই স্যাটেলাইট। এই উপগ্রহের আয়ু আনুমানিক ৫ বছর। অর্থাৎ, ২০২৮ পর্যন্ত কাজ করবে এক্সপোস্যাট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share