Tag: Madhyom

Madhyom

  • Deepfake: বিপদের নাম ‘ডিপফেক’, রাশ টানতে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Deepfake: বিপদের নাম ‘ডিপফেক’, রাশ টানতে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিপফেক (Deepfake) প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাল ভিডিও বানানো হয়েছে। দক্ষিণী অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার অশালীন অঙ্গভঙ্গির ছবিও ভাইরাল হয়েছিল ডিপফেকের সৌজন্যে। প্রকাশ্যে এসেছিল ক্যাটরিনা কাইফ সহ আরও কয়েকজন অভিনেত্রীর ‘অশালীন’ ভিডিও-ও। এসবই করা হয়েছিল ঠান্ডা মাথায়, ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

    ডিপফেকের অপব্যবহার

    ডিপফেকের অপব্যবহারে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি এও জানিয়েছিলেন, স্কুল ছাড়ার পর আর কখনও গরবা নাচেননি (ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি গরবা নাচছেন দেখানো হয়েছিল) তিনি। ডিপফেকের (Deepfake) বাড়বাড়ন্ত রোধে কেন্দ্র যে তৎপর, সেকথাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর মঙ্গলবার সবকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে।

    নির্দেশিকার সাত কাহন

    ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে কোন কোন কনটেন্ট নিষিদ্ধ, ব্যবহারকারীদের তা জানাতে বাধ্য, যাঁরা কনটেন্ট আপলোড কিংবা শেয়ার করছেন। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৩ (১)(বি) অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন বা পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট শেয়ার করা নিষিদ্ধ। অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে, এমন কনটেন্টও আপলোড বা শেয়ার করা নিষিদ্ধ। যেসব কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রকৃত তথ্য থেকে বিভ্রান্ত করে, সেগুলিও আপলোড কিংবা শেয়ার করা যাবে না।

    আরও পড়ুুন: “যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরাই আসবেন”, বৃন্দার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন মীনাক্ষি

    কেন্দ্রের জারি করা ওই নির্দেশিকায় এও জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা যেখানে তাঁদের তথ্য আপলোড ও শেয়ার করে, সেখানে যখনই লগ ইন হবে, তখনই ব্যবহারকারীদের কাছে একটি রিমাইন্ডার পাঠাতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি আইন ভঙ্গ করলে কী কী শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে, তাও জানাতে বলা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ও আইটি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ডিপফেকের উপদ্রব রুখতে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্তাদের সঙ্গে। সেই বৈঠকে তিনি বর্তমান আইন সম্পর্কেও অবহিত করেছিলেন তাঁদের।

    প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাসেই ভাইরাল হয়েছিল ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর গরবা নাচের ছবি। ডিপফেকের বিপদ নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তার পরেই এই প্রযুক্তির (Deepfake) রাশ টানতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। যার জেরেই এই নির্দেশিকা বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Year 2024: বর্ষশেষের উদযাপনে মদ-মাংসের ‘যুগলবন্দি’! জানেন, কোন বিপদ ডেকে আনছেন?

    New Year 2024: বর্ষশেষের উদযাপনে মদ-মাংসের ‘যুগলবন্দি’! জানেন, কোন বিপদ ডেকে আনছেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুম! শীতকালে বছর শেষের উৎসবে (New Year 2024) মেতেছে বাঙালি।‌ পার্ক স্ট্রিট থেকে জেলার অলিগলি, বছর শেষের উদযাপন সর্বত্র! আর নতুন বছরের আগমনের আনন্দে প্রায় চলছে খানাপিনা, রাতের উল্লাসে থাকছে মদ্যপানের আসর! চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হরেক রকম মাংসের পদ, দেদার মদ্যপান আর কেক, পেস্ট্রি বিপদ বাড়াচ্ছে।‌ সতর্ক না হলে বিপদ বাড়বে‌।

    কোন বিপদের আশঙ্কা? (New Year 2024)  

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। অনেকেই শীতকালে নানান অনুষ্ঠানে মদ্যপান করেন। কিন্তু তা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।‌ মদ্যপান হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।‌ যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাদের মদ্যপান সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।‌ পাশপাশি লিভারের সমস্যা বাড়াতে পারে মদ্যপানের অভ্যাস। তাই লিভার ও হার্ট সুস্থ রাখতে উদযাপনের দিনে (New Year 2024) মদ্যপানের অভ্যাস বাদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    তবে, মদ্যপানের পাশপাশি খাবার নিয়েও সজাগ থাকা জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে অনেকেই মাংসের নানান পদ নিয়মিত খান। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।‌ আবার প্রৌঢ়দের ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।‌ কম বয়সীদের জন্যও এই ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, অনেক সময়েই এই ধরনের খাবার নিয়মিত খাওয়ার জেরে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। 
    বছর শেষে চলে দেদার কেক, পেস্ট্রি খাওয়া। কিন্তু ডায়বেটিস রোগীদের এই ধরনের খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    পাশাপাশি, শীতে অনেকের স্ট্রোক হয়। তাই এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, যাতে রক্তচাপ ওঠানামা না করে। অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত চর্বি জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে, হজমের গোলমাল হতে পারে। তার জেরে বড় বিপদ ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। 
    বছর শেষে এই সময়ে (New Year 2024) রেস্তোরাঁগুলোয় থাকে খাদ্যরসিকদের লম্বা লাইন।‌ কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের মতে, নিয়মিত রেস্তোরাঁর খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এমনকি শীতের সময়ে এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে শিশুদের একাধিক ত্বকের সমস্যা দেখা যায়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসব উদযাপন (New Year 2024) মানেই স্বাস্থ্যবিধি এড়িয়ে চলা নয়। বরং সজাগ ও সচেতন ভাবেই উদযাপন জরুরি। তাই খাদ্যাভ্যাসে থাকুক সচেতনতা। সবুজ সব্জি, ফল থাকুক ফি-দিনের মেনুতে। বেশি রাতে খাওয়া একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময়ে অনেকেই অনেক রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার রেস্তোরাঁর খান।‌ যা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনকি পাকস্থলীতে ক্ষত তৈরি করতে পারে।‌ তাই খাবারের পরিমাণের সঙ্গে নজরে রাখতে হবে খাওয়ার সময়। রাত নটার পরে‌ কোনও ভাবেই চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া চলবে না।‌ নিয়মিত মদ্যপান যাতে না হয়, সেদিকেও‌ সতর্ক থাকা জরুরি। আর খাওয়ার পাশপাশি শরীর চর্চায় গুরুত্ব দিতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। তাহলে স্থূলতা, রক্তচাপ ওঠানামার মতো সমস্যা এড়ানো যাবে। তবেই সুস্থ ভাবে নতুন বছরের উদযাপন (New Year 2024) সম্ভব হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরাই আসবেন”, বৃন্দার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন মীনাক্ষি

    BJP: “যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরাই আসবেন”, বৃন্দার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন মীনাক্ষি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে ২২ জানুয়ারি। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে। অনুষ্ঠানে দেশের কমিউনিস্ট পার্টি যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বৃন্দা কারাত।

    কী বললেন মীনাক্ষি?

    বৃন্দার এহেন মন্তব্যে জবাব দিয়েছেন বিজেপির (BJP) প্রবীণ নেত্রী মীনাক্ষি লেখি। তিনি বলেন, “প্রত্যেকের কাছেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। কেবল প্রভু রামের ডাক যাঁরা শুনেছেন, তাঁরাই আসবেন অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে।” মঙ্গলবার সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা বলেছিলেন, “অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমাদের দল যাবে না। আমরা মানুষের ধর্মীয় আবেগকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তারা (বিজেপি) ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলেছে। এটা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের গায়ে রাজনীতির রং লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এটা ঠিক নয়।”

    ৪০ হাজার অতিথি!

    বৃন্দার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই মীনাক্ষি (BJP) জানান, যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরা আসবেন। রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় সমাগম হবে প্রায় ৪০ হাজার অতিথির। এঁদের মধ্যে সন্ন্যাসী চার হাজার। বাকিদের মধ্যে যেমন আম্বানি, আদানি, টাটা, জিন্দলদের মতো শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা থাকবেন, তেমনি থাকবেন বলিউডের তারকারাও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অমিতাভ বচ্চন, অনুপম খের, আলিয়া ভট্ট, রণবীর কাপুর, অক্ষয় কুমার, মাধুরী দীক্ষিত, অজয় দেবগন, আয়ুষ্মান খুরানা, টাইগার স্রফ সহ বহু বিশিষ্ট মানুষকে। দক্ষিণী তারকা যশ, প্রভাস সহ বিনোদন জগতের বহু তারকাও উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানে।

    আরও পড়ুুন: বাংলার প্রদীপ জ্বলবে অযোধ্যায়! সাইকেলে রাম মন্দিরের উদ্দেশে পাড়ি তিন যুবকের

    আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও উপস্থিত থাকবেন। মন্দিরকে কেন্দ্র করে যেহেতু ভক্তের ঢল নামবে, তাই ঢেলে সাজানো হয়েছে রেলস্টেশন। তৈরি হয়েছে বিমানবন্দর। ৩০ ডিসেম্বর ওই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করবেন রেলস্টেশনেরও। বিমানবন্দর থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত রোড-শো করবেন তিনি। এর পাশাপাশি দিল্লি থেকে চালু হয়ে যাচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। উৎসব শেষে অযোধ্যায় দেব দর্শন শুরু হবে ২৩ জানুয়ারি থেকে। প্রতিদিন ৫০-৫৫ হাজার মানুষ ভগবান রামের দর্শনে আসবেন (BJP) বলে অনুমান মন্দির কর্তৃপক্ষের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: ২ কোটি পার! বিশ্বের বড় বড় নেতাদের পিছনে ফেলে ইউটিউব ফলোয়ার সংখ্যায় শীর্ষে মোদি

    PM Modi: ২ কোটি পার! বিশ্বের বড় বড় নেতাদের পিছনে ফেলে ইউটিউব ফলোয়ার সংখ্যায় শীর্ষে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিউব চ্যালেনে জনপ্রিয়তায় বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতাদের পিছনে ফেলে শীর্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু দেশের মাটিতেই নয়, বিদেশের মাটিতেও বারবার দেখা গিয়েছে মোদি-ম্যাজিক। মোদির ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ২ কোটি ছাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ভিউয়ার সংখ্যাও।

    শীর্ষে মোদি, অন্য নেতারা কোথায়

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটর্ফম ইউটিউবের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদির ইউটিউব চ্যানেলের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা সংখ্যা প্রায় ২০ মিলিয়ন অর্থাৎ ২ কোটি। সেই সঙ্গে ভিউয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন। এক্ষেত্রে তিনি অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের পিছনে ফেলে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছেন বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হেয়েছে। মোদির থেকে অনেক পিছনে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৭ লাখ ৯৪ হাজার। তবে, ইউটিউবে জনপ্রিয়তায় মোদির পরেই অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। তাঁর চ্যানেলের গ্রাহক সংখ্যা ৬.৪ মিলিয়ন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর। ৪.১ মিলিয়ন তাঁর গ্রাহক।

    আরও পড়ুন: বাংলায় দেড় হাজার ‘সাইবার যোদ্ধা’দের বিশেষ বার্তা শাহ-নাড্ডার

    মোদির জনপ্রিয়তা 

    প্রসঙ্গত, ভারতে মোদির জনপ্রিয়তা নিয়ে সম্প্রতি এক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে দেখা গেছে, জনপ্রিয়তার নিরিখে শীর্ষ আছেন নরেন্দ্র মোদি। ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। মোদিই বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্রনেতা, যিনি ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছিলেন। তারপর থেকে ডিজিটাল নীতির পক্ষে সওয়াল করে আসছেন তিনি। বিদেশের মাটিতেও স্লোগান ওঠে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়…’। সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা, ভিডিয়োয় ভিউ এবং ভিডিয়োর মানের দিক থেকে ইউটিউবে একাই ‘রাজ’ করছেন মোদি। মোদির ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর রাজনৈতিক বক্তৃতা গুলির অংশবিশেষ সাধারণত স্থান পেয়ে থাকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shah-Nadda in Bengal: বাংলায় দেড় হাজার ‘সাইবার যোদ্ধা’দের বিশেষ বার্তা শাহ-নাড্ডার

    Shah-Nadda in Bengal: বাংলায় দেড় হাজার ‘সাইবার যোদ্ধা’দের বিশেষ বার্তা শাহ-নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতীতে ভোট এলে চোখে পড়ত দেওয়াল লিখন। এখন প্রচার হয় ‘ফেসবুক ওয়ালে’। জনমত গঠনে এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ মাধ্যমে কাঁটাতারের বাধা নেই। এক লহমায় সাত-সমুদ্র তেরো নদীর পারেও পৌঁছে দেওয়া যায় বার্তা। তাই আসন্ন লোকসভা ভোট (Loksabha Election) প্রচারে সাইবার-যোদ্ধাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Shah-Nadda in Bengal)। কলকাতায় দলের সাইবার টিমকে সেই রণকৌশলই বুঝিয়ে দিলেন শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

    কী বললেন শাহ

    স্বেচ্ছায় যাঁরা বিজেপির সমর্থন বাড়াতে কাজ করেন, সেই ‘সাইবার যোদ্ধা’দের উৎসাহ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আইটি-সোশাল মিডিয়া টিমের বৈঠকে বার্তা দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘৩৫টি পদ্ম ফোটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে সাইবার যোদ্ধারা’। পাশাপাশি এদিন তৃণমূলের দুর্নীতি, তোষণ, হিংসার ঘটনাকে সামনে আনার সঙ্গে কৃষক ও উন্নয়ন বিরোধী তৃণমূলের নীতিকে প্রকাশ্যে আনার নির্দেশও দেন শাহ। 

    সাইবার যোদ্ধাদের উৎসাহ

    মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তাঁরা। বৈঠক শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বেরিয়ে জানান, সাইবার যোদ্ধাদের উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন দুই নেতা। তিনি জানিয়েছেন, এই সাইবার যোদ্ধাদের জন্যই বিজেপি ২০১৯ সালে ভাল ফল করেছিল, ২০২১ সালে ৩ থেকে ৭৭ (বিধায়ক সংখ্যা) হওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা যথেষ্ট।

    সূত্রের খবর, কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পগুলি আরও বেশি করে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মন্ত্রী জেলবন্দি রয়েছেন, সেই সব দুর্নীতি নিয়ে আরও সরব হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াকে আরও বেশি করে ব্যবহার করে শাসক দল তৃণমূলকে কোণঠাসা করার মন্ত্রই দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anupam Hazra: বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ খোয়ালেন অনুপম! কেন এই সিদ্ধান্ত?

    Anupam Hazra: বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ খোয়ালেন অনুপম! কেন এই সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুপম হাজরাকে। সম্প্রতি সর্বভারতীয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুপমকে দেওয়া নিরাপত্তা তুলে নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দীর্ঘ দিন কেন্দ্রের ‘ওয়াই ক্যাটেগরি’-র নিরাপত্তা পেতেন অনুপম। তখনই বোঝা গিয়েছিল অনুপমের (Anupam Hazra) দল-বিরোধী আচরণ ভালভাবে নিচ্ছে না গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার তাই কলকাতায় শাহ-নাড্ডার বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি।

    কেন অপসারণ

    একসময়ে বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ ছিলেন অনুপম হাজরা। পরে যোগ দেন বিজেপি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে গত লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর আসনে প্রার্থীও হন। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই রীতিমতো ‘বেসুরো’ হয়ে উঠেছিলেন অনুপম। স্রেফ রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা নয়, বোলপুর তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের সামনেও চলে গিয়েছিলেন। এক নাগাড়ে রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা করা, তৃণমূলের মঞ্চে যাওয়া, সমাজমাধ্যমে দলকে অস্বস্তিতে ফেলার মতো মন্তব্য করে চলছিলেন অনুপম। এটা যে রাজ্য নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখছেন না তা আগেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সেটা বুঝিয়ে দেন অনুপমকে। 

    আরও পড়ুন: ‘সিএএ হবেই দিদি, কেউ ঠেকাতে পারবে না’, বাংলায় এসে মমতাকে বার্তা শাহ-র

    দলবিরোধী মন্তব্য

    গত বিধানসভা নির্বাচনে অনুপমকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তখন থেকেই দলের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করতে থাকেন অনুপম। সেই সময়ে নানা ভাবে তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। বিজেপির অনেকেই বলেন, সেই কারণে রাজ্য থেকে সরিয়ে অনুপমকে কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিহারের সংগঠন দেখতে বলা হয়। কিন্তু তাতেও দলের রাজ্য নেতৃত্বকে ক্রমাগত আক্রমণ করেছেন অনুপম। তাই আর দেরি না করে এবার, ‘দলকে অস্বস্তিতে ফেলা’ প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করা হল। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সদর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নেতা অরুণ সিংহ মঙ্গলবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sangeet Utsab: রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ, ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে’র আয়োজন বিজেপির

    Sangeet Utsab: রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ, ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে’র আয়োজন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। অভিযোগ, এই স্বজনপোষণের কারণেই যেমন ফুলেফেঁপে উঠেছেন তৃণমূলের ছোট-বড়-মেজ নেতারা, তেমনি বঞ্চিত হয়েছেন শাসক দল-বিরোধী দলের লোকজন। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পাননি বহু নামী শিল্পী। এবার সেই সব প্রতিভাবান শিল্পীদের সুযোগ দিতে ‘বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবে’র (Sangeet Utsab) আয়োজন করছে বিজেপি।

    বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব

    উৎসব হবে ‘কালচারাল অ্যান্ড লিটেরারি ফোরাম অফ বেঙ্গলে’র ব্যানারে। উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, এই উৎসবে বাংলার লোকগান থেকে ছৌনাচ, সব শিল্পীই অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এই উৎসবের কথা ঘোষণা করেন আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা ‘কালচারাল অ্যান্ড লিটেরারি ফোরাম অফ বেঙ্গলে’র সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

    কারা থাকছেন

    তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ একদিনের বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব হবে। পাহাড় থেকে সাগর, যে শিল্পীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বজনপোষণের কারণে সুযোগ পান না, তাঁদের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।” এক্স হ্যান্ডেলে জিতেন্দ্র লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গান মেলায় শিল্পীদের প্রতি স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে মাননীয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব ২০২৪ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হল।” ট্যুইটের সঙ্গে ট্যাগ করা করা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।

    উৎসব (Sangeet Utsab) হবে প্রিন্সেপ ঘাটে। অংশ নেবেন পূর্ণদাস বাউল, দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নামীদামি শিল্পীরাও। প্রসঙ্গত, এদিন থেকেই কলকাতার ১১টি মঞ্চে একযোগে শুরু হয়েছে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সঙ্গীত মেলা। অনুষ্ঠান চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার শিল্পীরাও এই মঞ্চগুলিতে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ পাবেন। রাজ্যের দাবি, প্রতিভাবান নবীন শিল্পীরাও এই মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। উৎসব (Sangeet Utsab) প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যে কোনও মেলা হতেই পারে। যে কেউ তার আয়োজনও করতেই পারে। অসুবিধার তো কিছু নেই।”

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • India vs South Africa: ব্যর্থ ব্যাটাররা! বড় রান পেলেন না বিরাট-রোহিত, প্রথম দিনেই চাপে ভারত

    India vs South Africa: ব্যর্থ ব্যাটাররা! বড় রান পেলেন না বিরাট-রোহিত, প্রথম দিনেই চাপে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেঞ্চুরিয়ানে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই চাপে ভারত। মঙ্গলবার পুরো দিন খেলা হলে হয়তো ভারতের সব উইকেট এদিনই পড়ে যেত। শেষ বেলায় বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। দিনের শেষ ৮ উইকেটে ২০৮ রান করে ভারত। তার মধ্যে পাঁচটি উইকেটই নিয়েছেন কাগিসো রাবাডা। অভিষেকেই নজর কেড়েছেন বার্গার। দুই উইকেট নেন তিনি।

    শুরু থেকেই সমস্যা 

    এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। খেলা শুরু হওয়ার আগে বৃষ্টি হওয়ায় পিচ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছিলেন প্রোটিয়া-পেসাররা। ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়াল শুরু থেকে সমস্যায় পড়ছিলেন। কাগিসো রাবাডা ও মার্কো জানসেনের বল সুইং করছিল। রাবাডার বলে পুল মারার লোভ সামলাতে না পেরে ৫ রানের মাথায় আউট হন রোহিত। ১৭ রানের মাথায় বার্গারের বলে খোঁচা মেরে আউট হন যশস্বী। প্রস্তুতি ম্যাচে শতরান করা শুভমন গিলও বেশি ক্ষণ থাকেননি। লেগ স্টাম্পের বাইরে যাওয়া বার্গারের বল গ্লাভসে লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ২ রান করেন শুভমন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৯১। 

    রাহুলের অর্ধশতরান

    সাময়িক পতন রুখে খেলা ধরেন বিরাট ও শ্রেয়স। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর চমক দেখান রাবাডা। প্রথমে শ্রেয়স ও তার পরে বিরাটকে আউট করে ভারতকে বড় ধাক্কা দেন তিনি। শ্রেয়স করেন ৩১ রান। বিরাটের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। ৮ রান করে ফেরেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। রাবাডার বলেই ২৪ রানের মাথায় আউট হন শার্দুল ঠাকুর। মিস্টার ডিপেনডেবলের মতোই রাহুল-স্যারের অনুকরণে একদিক আগলে রাখলেন লোকেশ রাহুল। তাঁর অর্ধশতরানে ভর করে দুশোর গন্ডি টপকায় টিম ইন্ডিয়া। বার্গারের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে মাইলস্টোন স্পর্শ করেন ডানহাতি ব্যাটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • INDI Alliance: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    INDI Alliance: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরাস্রোত বইছে ইন্ডি জোটের (INDI Alliance) অন্দরে। কখনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটের অন্যতম নেতা শরদ পাওয়ারের মঞ্চ শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে, কখনওবা অন্য কোনও কারণে। তবে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুখ নিয়ে এবার প্রকাশ্যে চলে এল ইন্ডি জোটের কোন্দল।

    মমতার প্রস্তাবে জল পাওয়ারের

    তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম প্রস্তাব করেন। মঙ্গলবার এনসিপি প্রধানের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মুখ ছাড়াই নির্বাচনে জয় সম্ভব।

    কী বললেন পাওয়ার?

    সচরাচর প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তাঁকে প্রজেক্ট করেই নির্বাচনে যায় রাজনৈতিক দলগুলি। কোনও কোনও দল আবার স্ব-দলের সুপ্রিমোকেই প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রজেক্ট করে নির্বাচনে যায়। ভোটাররাও মূলত তাঁকে দেখেই ভোট দেন সংশ্লিষ্ট পার্টির পক্ষে। এর ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। মঙ্গলবার যে প্রসঙ্গ তুলেছেন পাওয়ার। তিনি বলেন, “১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনে কাউকে প্রধানমন্ত্রী প্রজেক্ট করেনি কংগ্রেস বিরোধী দল। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী করা হয় মোরারজি দেশাইকে। তার আগে মোরারজি দেশাইয়ের নাম কোথাও ছিল না। বস্তুত, তার পরেই একটি নয়া দল প্রকাশ্যে এল (INDI Alliance)। তাই প্রধানমন্ত্রী মুখ প্রজেক্ট না করেও নির্বাচনে যাওয়া যেতে পারে।” পাওয়ারের কথায়, “মানুষ যদি পরিবর্তন আনতে চায়, তাহলে পরিবর্তন আসবেই।” পাওয়ার-বচনের নির্যাস হল, তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন এনসিপি প্রধান।

    প্রসঙ্গত, মমতার প্রস্তাব শুনেই খাড়্গে জানিয়ে (INDI Alliance) দিয়েছিলেন, সবার আগে জয় কীভাবে আসবে, তার ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। তারপর আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রীর প্রস্তাবের পর পরই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এবার প্রস্তাবের উল্টো সুর পাওয়ারের গলায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা লেখেন, মমতা দিদি যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাতে খুশি ছিল না কংগ্রেসও। লোকসভা নির্বাচন হতে পারে মাঝ-এপ্রিলে। ইতিমধ্যেই আস্তিন গুটিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। অথচ এখনও ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির।

    প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কি তবে ইন্ডি জোটে শুরু হয়ে গেল মৌষলপর্ব?

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ৩৫ আসন, বাংলায় ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গড়লেন শাহ-নাড্ডা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    সকাল ১১টা থেকে ‘রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সাংবাদিক বৈঠক। সারা দেশ থেকে হাজির সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। আমরা পৌঁছাতেই দেখলাম বিরাট জেড ক্যাটাগরির কনভয় নিয়ে ঢুকছেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তাঁর সঙ্গেই এলেন তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই। আধঘণ্টার সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। সেখানেও ঢোকার মুখে বোঝা গেল কেন রাম মন্দির (Ram Mandir) এত বিশেষ! ভারতের আর কোনও মন্দিরে বোধহয় এত নিরাপত্তার বলয় থাকে না। মন্দির চত্বরে দেখা গেল কয়েক হাজার নির্মাণ কর্মী এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন। সময় যে বড় কম! প্রভু রামচন্দ্র ঘরে ফিরবেন তাও আবার ৫০০ বছর পরে। একি কম আনন্দের! জানা গেল সেখানে অনেক আইআইটি পাশ ইঞ্জিনিয়ারও কাজ করছেন। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম।

    ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠকে কোন কোন দিক উঠে এল?

    ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সব দিক থেকেই আত্মনির্ভর হতে চলেছে এই মন্দির (Ram Mandir)। নিকাশী থেকে জল, বিদ্যুৎ থেকে চিকিৎসাকেন্দ্র সবই থাকছে ভিতরে। অর্থাৎ রাম মন্দির যেন আলাদা একটা ব্যবস্থা। সরকারের কোনও সাহায্যই লাগবে না। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় রীতির মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে মন্দির। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতীয় মন্দির রীতি ‘গোপুরম’ নামে পরিচিত এবং উত্তর ভারতীয় মন্দির রীতিকে নাগারা বলে। এই দুই রীতির ছোঁয়া দেখা যাবে রাম মন্দিরে। অন্যদিকে ভগবান শঙ্করাচার্যের ভাবনা অনুযায়ী ‘পঞ্চায়তন’ ধারণার ছোঁয়াও দেখা যাবে মন্দির চত্বরে। ‘পঞ্চায়তন’ হল পাঁচ দেবদেবীর মন্দির। সূর্য, শঙ্কর, ভগবতী, গণপতি এবং বিষ্ণু। মূল রাম মন্দিরের চার দিকে এই মন্দিরগুলি থাকবে। ভগবান রামকেই বিষ্ণুর অবতার মানা হয় তাই আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মন্দির থাকছে না।

    আত্মনির্ভর রামমন্দির

    অযোধ্যার সাংবাদিক সম্মেলনে চম্পক রাই জানান, মন্দির (Ram Mandir) চত্বরেই থাকবে পাওয়ার স্টেশন। যেখান থেকে বিদ্যুৎ বন্টন করা মন্দিরের বিভিন্ন বিভাগে। আবার জল সরবরাহের জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দিরের নিজস্ব ওয়াটার প্ল্যান্টও। রামমন্দিরের ঠিক পিছনে থাকবে দিব্যাঙ্গদের জন্য লিফটও। রামমন্দির ট্রাস্টের মতে, ‘‘লাখ লাখ দর্শনার্থী আসবেন মন্দির দর্শনে। তাঁরা পরিক্রমা করবেন মন্দির। তাই তাঁদের জন্য সমস্ত রকমের পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে।’’ মন্দির চত্বরেই মিলবে চিকিৎসা ব্যবস্থাও। গড়ে উঠছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আবার ভক্তরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্রামাগারও। জানা গিয়েছে রেলের মতোই হবে এই বিশ্রামাগার। যেখানে ভক্তরা নিজেদের মোবাইল, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি সামগ্রী রাখতে পারবেন। এরজন্য আলাদা কোনও চার্জও দিতে হবে না।

    বশিষ্ট থেকে অহল্যা, বিশ্বামিত্র থেকে নিষাদ রাজের মন্দিরও তৈরি হচ্ছে

    রামজন্মভূমি প্রাঙ্গণে মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হবে আরও বেশ কতগুলি। ভগবান রাম চন্দ্রের জীবনে বিশেষ অবদান রয়েছে যাঁদের তাঁদেরও মন্দির তৈরি হবে। বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, মাতা শবরী, নিষাদরাজ গোহু, অহল্যা এই সাত মন্দির থাকবে রামন্দিরের প্রাঙ্গণে। অর্থাৎ ভক্তরা মন্দির চত্বরে এলেই আরেকবার রামায়ণ মহাকাব্যকেই চাক্ষুষ করতে পারবেন। রামের জীবনে অবদান ছিল জটায়ুরও। তাঁর মূর্তি ইতিমধ্য়ে কুবের টিলাতে স্থাপন করা হয়েছে। 

    ৭০ একর জায়গার মধ্যে ২০ একরে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৭০ একর জমি পেয়েছি আমরা। কিন্তু এর মধ্যে ২০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে মন্দির প্রাঙ্গণ। বাকি জায়গায় ১০০-এরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এদিন চম্পত রাই আরও বলেন, ‘‘৭০ একর জায়গার একেবারে উত্তর দিকেই তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। সমগ্র ভূমির যে প্লট নিয়ে বিবাদ এবং বিতর্ক ছিল সেই স্থানেই তৈরি হচ্ছে মন্দির।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share