Tag: Madhyom

Madhyom

  • Delhi Assembly Election: ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা, ৪ লাখ অংশগ্রহণ! দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আরএসএসের নিভৃত প্রচার

    Delhi Assembly Election: ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা, ৪ লাখ অংশগ্রহণ! দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আরএসএসের নিভৃত প্রচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাবরই লোকসভা তথা বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের হাতে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়। গোটা রাজ্যে গত কয়েকমাস ধরে নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন আরএসএস নেতা-কর্মীরা।

    দিল্লি দখলের স্ট্র্যাটেজি

    দিল্লিতে কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেললে সাফল্য আসতে পারে, তা ভালোই জানেন আরএসএস নেতারা। ‘জন সম্পর্ক’ গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয় আরএসএসের ওপরতলা থেকে। বিজেপির দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার অভিযান শেষ হয়েছে  সোমবার।  এই প্রচার অভিযানে দলটির প্রধান আধ্যাত্মিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গত কয়েকটি নির্বাচনে যেমন হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির সাফল্যের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের। তেমনি দিল্লিতেও বিজেপির প্রচারে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে সংগঠন।

    গ্রামীণ অঞ্চলে আরএসএস-এর বার্তা

    বিজেপি প্রায় তিন দশক ধরে দিল্লিতে ক্ষমতার বাইরে। রাজধানীতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল-নেতৃত্বাধীন আাম আদি পার্টির (AAP) সঙ্গে বিজেপির ধারাবাহিক সংঘর্ষের শুরু, আন্না হজারের আন্দোলন থেকে। চলতি বছর দিল্লির নির্বাচন বিজেপির জন্য এক মর্যাদার লড়াই। আরএসএস, একটি সামাজিক সংগঠন যা সাধারণত রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে কিছুটা দূরে থাকে, তবে বিজেপির পক্ষে এর প্রচারণা একেবারে সহজাত। সাধারণত এটি ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে বিজেপির হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে।

    আরএসএসের ড্রয়িং রুম সভা

    দিল্লিতে নির্বাচনের আগে, আরএসএস তার প্রচার শুরু করে দেয়। সংগঠনটির কাজ আটটি বিভাগে (জোন) ভাগ করা হয়েছে, যা ৩০টি জেলা এবং ১৭৩টি নগরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, প্রত্যেকটি জোনকে “ড্রয়িং রুম সভা” আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই সভাগুলি ছোট ছোট গ্রুপে আয়োজন করা হতো, যেগুলি স্থানীয় এলাকাগুলির অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং সেন্টার, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিত হত। এখানে মূলত বিজেপির লক্ষ্য, উন্নততর ভারত গঠনের চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। বলা হত, অমৃতকালের কথা।

    জাতীয় স্বার্থে কাজ করে বিজেপি

    আরএসএসের লক্ষ্য ছিল ৬০,০০০টি সভার আয়োজন করা। এ জন্য আরএসএস প্রচারকরা রাজধানীতে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। দলীয় সূত্রে খবর, মোট ৫০,০০০ ড্রয়িং রুম সভা আয়োজিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। পশ্চিম দিল্লির এক আরএসএস কর্মী জানান, “আমাদের কাজ ছিল ভোটারদের শেখানো, যাতে তারা বুথে গিয়ে জাতীয় স্বার্থে ভোট দেন। তবে হ্যাঁ, আমরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছিলাম, কারণ তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে।”

    মহিলাদের যোগদান

    এছাড়া, প্রতি স্তরে (ভিভাগ, জেলা, নগর) নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হত। যাতে ড্রয়িং রুম সভাগুলোর প্রতিক্রিয়া নেওয়া যায়। প্রায় ২,০০০টি ড্রয়িং রুম সভা আরএসএস কর্মীরা পরিচালনা করেছেন, আর ৪,৫৫০টি সভা অন্যান্য আনুষঙ্গিক সংগঠনগুলি যেমন ভারতীয় শ্রমিক সংঘ (BMS), সেবা ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ আয়োজন করেছে। এই সভাগুলিতে প্রায় ৫৩,০০০ জন অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে একটি বড় অংশ ছিল মহিলা। দেশে নারী শক্তির জাগরণে মোদি সরকারের সক্রিয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেছে আরএসএস। এর ফলে মহিলা কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

  • World Cancer Day 2025: দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা, ১২ থেকে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধির শঙ্কা

    World Cancer Day 2025: দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা, ১২ থেকে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধির শঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষয় হচ্ছে। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত হয়। সারা বিশ্বে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এদিন নানা পদক্ষেপ করা হয়। গত কয়েক দশকে, ক্যান্সার দেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠেছে। রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি ক্যান্সার। ভারতের জন্য ক্রমে এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর নতুন তথ্য অনুযায়ী, আগামী দিনে ভারতে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১২ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ বাড়বে।

    ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কারণ

    আজকাল, দ্রুত নগরায়ন, অলস জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং দূষণের প্রতি বাড়তি এক্সপোজারের কারণে ক্যান্সার বিভিন্ন বয়সের মানুষকে আক্রান্ত করছে। বিশেষ করে বয়স্কদের চেয়ে তরুণদের মধ্যে বেশি ক্যান্সারের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহিলাদের মধ্যে সাধারণত সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ব্রেস্ট ক্যান্সার। পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। লাং ক্যান্সারও দুটি লিঙ্গের মধ্যেই সাধারণ। সিগারেট খাওয়া, স্থূলতা, দেরিতে ডায়াগনোসিস এবং সচেতনতার অভাব এই সমস্যার বাড়তি কারণ। ধূমপান করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যাদের ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, যারা ক্ষতিকর রাসায়নিক বা বিকিরণের সংস্পর্শে আসে, এবং যারা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ যেমন হেপাটাইটিস বা এইচপিভি আক্রান্ত, তাঁদের ক্যান্সার বেশি হয়। জীবনযাত্রার কারণে যেমন প্রসেসড খাবারের অতিরিক্ত ব্যবহার, অনুশীলনের অভাব এবং মদ্যপানের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

    ক্যান্সারের ধরন এবং প্রভাব

    বৈচিত্র্যময় খাদ্যাভ্যাস, ভৌগোলিক অবস্থান এবং জীবনযাত্রার কারণে ভারতে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পুরুষরা লাং এবং মুখগহ্বর ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হন, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট এবং সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। পেট, যকৃত এবং কোলন ক্যান্সারের প্রবণতাও বাড়ছে। ক্যান্সার শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যেই প্রভাব ফেলে না, এর চিকিৎসার ব্যয় অনেক সময় পরিবারগুলোর ওপর মানসিক ও আর্থিক চাপ তৈরি করে। যেমন, তামাক চিবানোর কারণে মুখগহ্বরের ক্যান্সার কেবল মুখের বিকৃতি ঘটায় না, এটি ভাষণ, খাওয়া এবং জীবিকার ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে।

    ক্যান্সারের চিকিৎসা

    ভারতে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয় একাধিক পদ্ধতির মাধ্যমে, যেমন সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি। প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সারে, বেশিরভাগ সময়, সার্জারি চিকিৎসার প্রথম ধাপ। বিশেষত কোলন ক্যান্সার বা মাথা এবং গলার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সার্জারি ছাড়া উপায় নেই। অনেক ক্যান্সার দেরিতে ধরা পড়ে, যার জন্য প্রথমে কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি বা ইমিউনোথেরাপি দিয়ে সেগুলি ছোট করা হয় এবং পরে সার্জারি করা হয়। তবে অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে দেরি করেন, ফলে রোগ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব হয় না। তখন কেবল রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

    রেডিয়েশন থেরাপি: ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হাতিয়ার

    রেডিয়েশন থেরাপি ক্যান্সার চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ক্যান্সার সেলের প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের ধ্বংস করে। রেডিয়েশন বেশিরভাগ ক্যান্সারের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষত ব্রেস্ট এবং সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, রেডিয়েশন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তবে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীদের ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এগুলি রেডিয়েশনের প্রভাবকে আরও খারাপ করতে পারে এবং জটিলতা তৈরি করতে পারে। এটি স্পষ্ট যে, ক্যান্সার মোকাবিলার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অপরিহার্য।

    ক্যান্সার প্রতিরোধে কেন্দ্রের ভূমিকা

    আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় ক্যান্সার আক্রান্ত বহু রোগী উপকৃত হয়েছেন, বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ রোগী তথা তাঁদের পরিবারের চিকিৎসার জন্য আর্থিক বোঝা অনেক কমে গিয়েছে ৷ ক্যান্সার মোকাবিলায় মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের একটি সমীক্ষা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী জানান, ওই সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে সময়মতো ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করার প্রবণতা আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে ৷ আগের থেকে অনেক বেশি সতর্ক হয়েছেন দেশের নাগরিকরা ৷ মারণ রোগে আক্রান্ত রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ভূমিকার উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রের এই প্রকল্পের জন্য ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশ সময়মতো চিকিৎসা শুরু করতে পেরেছেন ৷ আগে অর্থের অভাবে মারণ এই রোগের চিকিৎসা থেকে সরে দাঁড়াতেন দরিদ্র রোগীরা ৷ কিন্তু, আয়ুষ্মান ভারতের কারণে আজ তাঁরা নিজেরাই চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের এই প্রকল্প ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ অনেক কমিয়ে দিয়েছে ৷

    চলতি বছর বাজেটে ক্যান্সারের ভাবনা

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে সমস্ত জেলা হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী জানান, ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধের উপর মৌলিক শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে। এতে করে বড় রকমের সুবিধে পাবেন, ক্যান্সার, বিভিন্ন বিরল রোগ এবং অন্যান্য গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।

  • Criminal Organisation: ট্রাম্প জমানায় অতীত ইউএসএআইডি, স্বস্তির শ্বাস ফেলছে ভারত

    Criminal Organisation: ট্রাম্প জমানায় অতীত ইউএসএআইডি, স্বস্তির শ্বাস ফেলছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউএসএআইডি একটি অপরাধমূলক সংস্থা (Criminal Organisation)। এই সংস্থারই শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। এই বার্তা দিয়েছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক স্বয়ং। তিনি এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনে ডিওজিই-র নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের পদক্ষেপ (Criminal Organisation)

    প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বিতর্কিত ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন কর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে কন্ট্রাক্টরদের। ট্রাম্প প্রশাসন যখন বৈদেশিক সহায়তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে, তখন স্বাধীন এই সংস্থার ওয়েবসাইটও অফলাইনে চলে যায়। রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্প ইউএসএআইডির সবচেয়ে বড় সমালোচক। তিনি বলেন, “এটি কিছু উগ্র পাগলদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। আমরা তাদের বের করে দিচ্ছি (USAID)।”

    হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন

    ২০১৭ সালে হেরিটেজ ফাউন্ডেশন দ্বারা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বারাক ওবামা (প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট) প্রশাসনের সময় ইউএসএআইডি বামপন্থী বিলিয়নিয়ার জর্জ সরোসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিল। তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল একাধিক দেশে তাদের চরমপন্থী অ্যাজেন্ডা প্রচার করা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “গত আট বছরে সরোস, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এবং তাদের বহু ছোট সহযোগী সংগঠন ইউএসএআইডির মাধ্যমে মার্কিন করদাতাদের অর্থ পেয়েছে এবং ইউএসএআইডি ওপেন সোসাইটিস ফাউন্ডেশনকে তার সহায়তা কার্যক্রমের প্রধান রূপায়ণকারী করেছে।”

    ভারত-বিরোধী প্রচারে অর্থায়ন

    অবশ্য এটি কোনও গোপন বিষয় নয়। সরোস বহু ভারতবিরোধী প্রচারে অর্থায়ন করেছেন। তিনি দেশে একটি “কালার রিভোলিউশন” (বর্ণ বিপ্লব) সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। সরোস আদানি গ্রুপের উত্থান নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, মোদি এবং আদানি ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেছিলেন, আদানি স্টক মার্কেটে তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন, যদিও ব্যর্থ হন। তিনি আদানিকে শেয়ার মূল্য কারসাজির অভিযোগেও অভিযুক্ত করেছিলেন, যার জেরে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দর ধসে পড়ে (Criminal Organisation)।

    মোদিকে কটাক্ষ সরোসের

    সরোস ইউএসএআইডির সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পুঁজিপতিদের ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “মোদি এই বিষয়ে নীরব। কিন্তু তাঁকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।” তাঁর আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র তৈরি করছেন। তাঁর অ্যাজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে ভারতে তাঁর অনেক অনুগামী রয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, তাঁর অর্থায়নে থাকা শীর্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন অমৃতা সিং। অমৃতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত মনমোহন সিংয়ের কন্যা (USAID)।

    প্রতিরক্ষা চুক্তি ব্যাহত

    ২০১৮ সালে সরোস একটি এনজিওকে অর্থায়ন করেছিলেন। তার জেরে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তি একসময়ে বিঘ্নিত করার চেষ্টা হয়েছিল। ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমানগুলির সরবরাহ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। এই রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন সোসিও-লিগ্যাল ইনফর্মেশন সেন্টারকে অর্থায়ন করেছে। এই সংস্থা দেশদ্রোহিতা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। ইউএসএআইডির ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫১ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এই বছরই প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান “ভারত জরুরি খাদ্য সহায়তা আইন” স্বাক্ষর করেছিলেন (Criminal Organisation)। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইউএসএআইডির কর্মসূচি দশকের পর দশক ধরে ধাপে ধাপে বিকশিত হয়েছে—জরুরি খাদ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে পরিকাঠামো উন্নয়ন, ভারতের প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, অর্থনীতির উন্মুক্তকরণে সহায়তা এবং আরও অনেক কিছু।”

    রাসায়নিক সার কারখানা

    ইউএসএআইডি ভারতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনোলজি কলেজ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিল এক সময়ে। তবে এই সহায়তা সবসময়ই এসেছে কিছু শর্তসাপেক্ষে। ১৯৬৫ সালে, ইউএসএআইডি চেন্নাই শহরে একটি রাসায়নিক সার কারখানা নির্মাণের জন্য ভারতকে ৬৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল। শর্ত ছিল, ভারত সরকারের পরিবর্তে একটি মার্কিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সার বিতরণের দায়িত্ব নেবে। ওই অঞ্চলে নতুন কোনও সার কারখানা নির্মাণও করা যাবে না (USAID)।

    বিপাকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ

    ২০০৪ সালে ভারত সরকার শর্তযুক্ত বিদেশি সাহায্য গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই এই ধরনের সহায়তার পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে।  ২০০১ সালে ভারতে ইউএসএআইডির (Criminal Organisation) সাহায্যের পরিমাণ ছিল ২০৮ মিলিয়ন ডলার । ২০২৩ সালে তার পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১৫৩ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ১৪১ মিলিয়ন ডলারে।

    তবে, ইউএসএআইডির সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে ভারতের দুই পড়শি – পাকিস্তান ও বাংলাদেশ (বিশেষ করে বর্তমান প্রশাসন)। তবে ভারত এনিয়ে আদৌ চিন্তিত নয়। অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের সহায়তা বন্ধ হলেও ভারতের কোনও বড় সমস্যা হবে না। যদিও এটি কিছু প্রকল্পে অর্থায়ন করে, তবে ভারতের সামগ্রিক সামাজিক (USAID) কল্যাণ ব্যয়ের তুলনায় তা অতি নগণ্য (Criminal Organisation)।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইউএসএআইডি। এমনটাই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। তাঁর অপসারণের কয়েক মাস আগে, তিনি মার্কিন ষড়যন্ত্রের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সরব হয়েছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে মার্কিন প্রশাসন এবং এর সংস্থাগুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল।

  • Delhi Assembly: রাত পোহালেই দিল্লির ভোট, ভাগ্য নির্ধারণ ৬৯৯ প্রার্থীর, মোট ভোটার ১ কোটি ৫৬ লাখ

    Delhi Assembly: রাত পোহালেই দিল্লির ভোট, ভাগ্য নির্ধারণ ৬৯৯ প্রার্থীর, মোট ভোটার ১ কোটি ৫৬ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন (Delhi Assembly)। প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে ময়দানে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি, আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস। ইতিমধ্যে প্রচার পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। দিল্লি নির্বাচনে সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারাই নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছেছেন এবং মিছিল, রোডশো, জনসভা, পদযাত্রা, বাইক মিছিল সবকিছুই সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক সভা করেছেন এবং বিগত ১১ বছর ধরে আমাদের পার্টির অপশাসনের নানা চিত্র তিনি তুলে ধরেছেন।

    সকাল সাতটা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ পর্ব (Delhi Assembly)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ পর্ব এবং তা চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। দিল্লি নির্বাচন ঘোষণা হয় গত মাসের ৭ তারিখ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যদিও কংগ্রেস প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন অংশগ্রহণ করছে কিন্তু তারা খুব বেশি ফ্যাক্টর নয়। মূল লড়াই হতে চলেছে বিজেপির (Delhi Assembly Election) সঙ্গে আম আদমি পার্টির। বিগত নির্বাচনগুলিতে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে রিগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে এবং এই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীদল বিজেপিও। ২০২৫ সালের নির্বাচনে সেরকম যাতে কিছু না হয়, সেজন্য গেরুয়া শিবির ইতিমধ্যে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাড়ায়-পাড়ায় বুথস্তরে পৌঁছে গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বাছাই করা সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও মাঠে নামিয়েছিল বিজেপি এবং প্রত্যেক কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রী ও সাংসদদের একটি করে বিধানসভা প্রচারের জন্য বেঁধে দিয়েছিল তারা। প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হবে ভোটগ্রহণ। অন্যদিকে ফলাফল দেখা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারি। দিল্লি বিধানসভায় মোট আসন রয়েছে ৭০টি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে এই আসনগুলিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোট ৬৯৯ জন প্রার্থী। অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি জানা যাবে কাদের দখলে আসতে চলেছে দিল্লি বিধানসভা। সেদিনই ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৬৯৯ জন প্রার্থীর (Delhi Assembly)।

    দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি

    প্রসঙ্গত দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে (Delhi Assembly) আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল যে বিগত লোকসভা নির্বাচনের সময় আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের মধ্যে যে জোট হয়েছিল, তা বিধানসভাতে নেই। দুই দলই আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্রসঙ্গত, জোর থাকা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে দিল্লিতে বিপুল ভরাডুবি হয়েছিল আম আদমি পার্টির এবং কংগ্রেসের। সেই ফলাফল বিধানসভা ভোটে থাকে নাকি সেদিকেই এখন সবার নজর।

    দিল্লির ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৫৬ লাখ

    নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে মোট ১৩ হাজার ৭৬৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। দিল্লির (Delhi Assembly) ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৫৬ লাখ। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ৮৩.৭৬ লাখ পুরুষ এবং অন্যদিকে ৭২.৩৬ লাখ মহিলা। দিল্লি নির্বাচনে ভোট দেবেন ১,২৬৭ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। প্রসঙ্গত, দিল্লির প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ৭৩৩টি আলাদা ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, দিল্লি নির্বাচনকে সামনে রেখে কিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অ্যাপ চালু করেছে এবং এর মাধ্যমে ভোটাররা কেন্দ্রে ভোটের লাইনের ভিড় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

    কেজরিওয়াল নতুন দিল্লি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন

    দিল্লি নির্বাচনে, প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ফের একবার নতুন দিল্লি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে বিজেপি মাঠে নামিয়েছে দলের প্রার্থী পরবেশ বার্মা এবং কংগ্রেস মাঠে নামিয়েছে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে। প্রসঙ্গত, দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির প্রার্থী অতিশী, কালকাজি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এই আসনে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অলকা লাম্বা এবং বিজেপির প্রার্থী রয়েছেন রমেশ বিধুরি। আপের মণীশ সিসোদিয়া জঙ্গপুরা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনে বিজেপির হয়ে লড়ছেন তরবিন্দর সিং মারওয়া এবং কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন ফরহাদ সুরি। আপের আর এক নেতা সত্যেন্দ্র জৈন শাকুর বস্তিতে বিজেপির কর্নাইল সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মালব্য নগর আসনে, আম আদমি পার্টির সোমনাথ ভারতী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী সতীশ উপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের জিতেন্দ্র কুমার কোচার।

    আপের দুর্নীতি ইস্যুতে সরব

    বিগত নির্বাচনের সভাগুলিতে বিজেপি আম আদমি পার্টিকে তীব্র নিশানা করেছে যমুনার বিষাক্ত জল, আম আদমি পার্টির দুর্নীতি, আফগারি দুর্নীতি ইত্যাদি নানা ইস্যুতে। একই সঙ্গে এই নির্বাচনে বিজেপি একাধিক আশ্বাসও দিয়েছে ছাত্র-যুবক, কৃষক, শ্রমিক, অটো-ট্যাক্সিচালক ও মহিলাদের। এর পাশাপাশি প্রদেশের বয়স্কদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবার কথাও বলেছে গেরুয়া শিবির। একই সঙ্গে নগদ ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করার কথা বলেছে বিজেপি। এর পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের জন্য ২১ হাজার টাকা ভাতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।

    ৩,০০০ ভোটকেন্দ্রকে সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে

    প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার জানানো হয়েছে যে ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রদেশজুড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে এবং ২২০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনীও থাকবে। এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেন বিশেষ পুলিশ কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) মধুব তেওয়ারি। ওই সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দিল্লি পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখনও পর্যন্ত দিল্লি প্রদেশের ৩,০০০ ভোটকেন্দ্রকে সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বুথগুলিতে ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হবে। এর পাশাপাশি বিশেষ নিরাপত্তারও ব্যবস্থা থাকবে।

  • PM Modi: দিল্লি নির্বাচনের দিন মহাকুম্ভে মোদি, মাঘ অষ্টমীতে সঙ্গেমে পুণ্যস্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দিল্লি নির্বাচনের দিন মহাকুম্ভে মোদি, মাঘ অষ্টমীতে সঙ্গেমে পুণ্যস্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি নির্বাচনের দিন, বুধবার প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহাকুম্ভে গিয়ে সেখানে সাধুসন্তদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। কুম্ভে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা নিয়েও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। দলে দলে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন পৌঁছচ্ছেন কুম্ভে। মোদির কুম্ভ স্নানের পরিকল্পনা ঘিরে প্রচণ্ড আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    মহাকুম্ভে মোদির সফর

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ৫ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে পৌঁছচ্ছেন। মহাকুম্ভ উপলক্ষে প্রয়াগরাজে এখন কোটি কোটি মানুষের সমাগম। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে সফরকাল। নতুন সূচি অনুসারে, মোদি মাত্র এক ঘণ্টাই মহাকুম্ভে থাকবেন। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে বদল আনা হয়েছে বেশ খানিকটা। তবে শেষ মুহূর্তে প্রাধনমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে আর কিছু বদল হতে পারে কিনা, তা জানা যায়নি। সফরসূচি অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টা ০৫ নাগাদ প্রয়াগরাজ বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে তিনি ১০টা ১০ নাগাদ ডিপিএস হেলিপ্যাডে যাত্রা করবেন এবং ১০টা ৪৫ নাগাদ পৌঁছবেন অরিয়াল ঘাটে। সেখান তিনি ১০টা ৫০ নাগাদ একটি নৌকায় চড়ে সঙ্গম ঘাটে পৌঁছবেন তিনি। সকাল ১১টা থেকে ১১টা ৩০ পর্যন্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করার কথা রয়েছে তাঁর। ১১টা ৪৫ নাগাদ নৌকায় অরিয়াল ঘাটে ফিরে এসে ডিপিএস হেলিপ্যাডের দিকে যাত্রা করবেন মোদি। দুপুর ১২টা ৩০ নাগাদ প্রয়াগরাজ বিমানবন্দর থেকে ফিরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে সাধু-সন্তদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

    হিন্দুশাস্ত্রে মাঘ অষ্টমীর গুরুত্ব

    হিন্দুশাস্ত্রমতে ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটির বিশেষ আধ্যাত্মিক তাৎপর্য আছে। চলতি বছর এদিন মাঘ অষ্টমী। এই তিথিকে ভীষ্ম অষ্টমীও বলা হয়। মাঘ অষ্টমী হল হিন্দু মাসের অষ্টম দিন, যেখানে প্রায়শই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান, দান ও ধ্যান করা হয়। অন্যদিকে, ভীষ্ম অষ্টমী মহাভারতের চরিত্র ভীষ্ম পিতামহের স্মৃতিতে পালিত হয়ে থাকে। জানা যায়, ভীষ্ম পিতামহ তীরের বিছানায় শায়িত থাকাকালীন উত্তরায়ণ এবং শুক্লপক্ষের প্রবেশের সময় মৃত্যু হয়। সে কারণে এই সময়ে ভীষ্ম অষ্টমী পালন করা হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এই বিশেষ দিনটিকেই পুণ্যস্নানের জন্য বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে চলতি বছর, ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নির্বাচন। এদিনই প্রধানমন্ত্রী মোদি মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান সারবেন।

  • US Migrants: অবৈধ অভিবাসীদের ভারতে পাঠানো শুরু করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন

    US Migrants: অবৈধ অভিবাসীদের ভারতে পাঠানো শুরু করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে শুরু করে দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের (US Migrants) ভারতে পাঠানো শুরু করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার একটি সামরিক বিমানে করে ভারতে পাঠানো হচ্ছে তাঁদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন আধিকারিক জানান, একটি সি-১৭ বিমান ইতিমধ্যেই অভিবাসীদের নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

    অভিবাসন রুখতে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি (US Migrants)

    আমেরিকার নির্বাচনের আগে থেকেই অভিবাসন রুখতে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পরেই এ বিষয়ে তৎপর হয়েছেন তিনি। বিনা নথিতে যাঁরা আমেরিকায় রয়েছেন, তাঁদের ধরে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, “অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতিগত অবস্থান রয়েছে, যা প্রতিটি দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমরা বৈধ অভিবাসন সব সময় সমর্থন করি।” তিনি বলেন, “অবৈধ যাতায়াত ও অভিবাসনের আমরা তীব্র বিরোধিতা করি। কারণ যখনই কোনও একটি অবৈধ ঘটনা ঘটে, তার সঙ্গে আরও অনেক অবৈধ কার্যকলাপ জুড়ে যায়। এটি দেশের সুনামের দিক থেকে কখনওই ভালো নয়।”

    ধরপাকড় শুরু

    ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ট্রাম্প (US Migrants)। তার পর থেকেই সে দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরাতে শুরু হয় তৎপরতা। ধরপাকড়ও শুরু করে আমেরিকার প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরতও পাঠিয়েছে আমেরিকা। এজন্য পেন্টাগনে আমেরিকার সামরিক দফতর থেকেও সাহায্য নিচ্ছে ওয়াশিংটন। অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে বিমান দেওয়া হচ্ছে পেন্টাগন থেকে।

    টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, সান দিয়েগো, এল পাসো থেকে ধরা হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে। তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর বিমান। জানা গিয়েছে, পেরু, হন্ডুরাস এবং গুয়েতেমালায় ইতিমধ্যেই ফেরত পাঠানো হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের। যে সি-১৭ এয়ারক্র্যাফ্টে করে ভারতীয়দের দেশে পাঠানো হচ্ছে, সেটি ভারতে ল্যান্ড করবে ২৪ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় পরে (US Migrants)।

  • Modi Govt: দেশ, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে রাহুলের ‘মিথ্যাচার’, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে বিজেপি?

    Modi Govt: দেশ, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে রাহুলের ‘মিথ্যাচার’, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে সংসদে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে বিজেপি। ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা ও বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের মার্কিন সফর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু গান্ধীর মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতা দেশের সম্মান, প্রধানমন্ত্রীপদ এবং সংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন।’’

    জয়শঙ্করের মার্কিন সফর প্রসঙ্গ

    সোমবার সংসদে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর বন্দোবস্ত করানোর জন্য আমাদের বিদেশমন্ত্রীকে আমেরিকায় পাঠাব না।’’ বিজেপির অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বরে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওয়াশিংটন সফরকেই ইঙ্গিত করেছেন রাহুল। বোঝাতে চেয়েছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই ছিল ওই সফর। সোমবার বিকেলে জয়শঙ্কর সরাসরি রাহুলকে নিশানা করে এক্স পোস্টে লেখেন— ‘‘বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আমার ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের আমেরিকা সফর সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কথা বলেছেন ৷’’

    ক্ষমা চান রাহুল

    বিদেশমন্ত্রীর দাবি, তিনি আমেরিকার তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভানের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি ভারতের কনসাল জেনারেলের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করার জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কোনও পর্যায়েই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এটা সকলেই জানেন যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন না। সাধারণত ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁর বিশেষ দূতেরা।’’ প্রসঙ্গত, ২০ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে মোদির দূত হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর নিজেই। এ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রিজিজু বলেন, ‘‘তিনি কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন? প্রধানমন্ত্রী এবং পুরো সরকার এক। রাহুল গান্ধী সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের বিপরীতে কথা বলেছেন, তা চ্যালেঞ্জ করা উচিত।’’

    চিনা আগ্রাসন নিয়ে মিথ্যাচার রাহুলের

    লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে এ দিন লোকসভায় মুখর হন রাহুল গান্ধী। প্রথমে অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের এই সাংসদের প্রশ্ন, ‘‘লাদাখ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবির সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বক্তব্যের অ-মিল রযেছে। দু’পক্ষের দাবি পরস্পর-বিরোধী। প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন চিনা আগ্রাসন হয়নি। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, আমাদের ৪,০০০ বর্গ কিমি এলাকা চিন দখন করে রেখেছে। কোনটা ঠিক?’’ এ প্রসঙ্গে রিজিজু বলেন, ‘‘বিজেপি সাংসদরা গান্ধীকে তাঁর দাবির প্রমাণ দিতে বলবেন। তিনি মিথ্যা বলছেন। রাহুল গান্ধী যতটা চিনকে প্রশংসা করেছেন, তা আগে কেউ করেনি। তিনি এমন একটি দলের সদস্য, যাদের পরিবার ১৯৫৯ ও ১৯৬২ সালে চিনকে আমাদের জমি দখল করতে দিয়েছে। তাঁর পরিবারের ভুলের জন্য তাঁকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’’

  • Chandrika Tandon: বৈদিক স্তোত্রের সঙ্গে আধুনিক সঙ্গীতের অভিনব মিশেল! গ্র্যামি জয় চন্দ্রিকা ট্যান্ডনের

    Chandrika Tandon: বৈদিক স্তোত্রের সঙ্গে আধুনিক সঙ্গীতের অভিনব মিশেল! গ্র্যামি জয় চন্দ্রিকা ট্যান্ডনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬৭তম গ্র্যামির আসরে বেস্ট নিউ এজ, অ্যাম্বিয়েন্ট বা চ্যান্ট অ্যালবাম বিভাগে ‘ত্রিবেণী’ অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি পুরস্কার (Grammy Awards) পেলেন চন্দ্রিকা ট্যান্ডন (Chandrika Tandon)। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসের Crypto.com অ্যারেনায় বসেছিল বড় মিউজিক্যাল অ্যাওয়ার্ড নাইটের আসর। সেখানেই এই পুরস্কার পেলেন তিনি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁশিবাদক ওয়াউটার কেলারম্যান এবং জাপানি চেলিস্ট ইরু মাতসুমোটোর সঙ্গে এই পুরষ্কার জিতে নেন চন্দ্রিকা। গ্র্যামি জয়ের পরেই তিনি এক সাক্ষাৎকার দেন। চেন্নাইয়ে বেড়ে ওঠা এই সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘দারুণ লাগছে।’ গ্র্যামি জয়ী চন্দ্রিকাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    কী বললেন চন্দ্রিকা?

    গত বছর ৩০ নভেম্বর, ‘ত্রিবেণী’ অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছিল। এই অ্যালবামে ভারতের প্রাচীন বৈদিক স্তোত্রের সঙ্গে আধুনিক বিশ্ব সঙ্গীতের এক অভিনব মিশেল ঘটিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী।  চন্দ্রিকা ট্যান্ডন (Chandrika Tandon) বলেন, ‘‘এই ক্যাটেগরিতে আমাদের সঙ্গে দুর্দান্ত সব শিল্পীরা মনোনীত ছিলেন। আমরা যে এটা জিতেছি, এটা সত্যিই আমাদের জন্য বাড়তি বিশেষ মুহূর্ত। আমাদের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছেন অসাধারণ সব মিউজিশিয়ানরা।’’ গ্র্যামি আসরেও নিজের শিকড়কে ভুললেন না চন্দ্রিকা। ভারতীয় পোশাকেই হাতে নিলেন পুরস্কার। সবুজ রঙা লম্বা ঝুলের সালোয়ারের সঙ্গে গোলাপি জ্যাকেটে পাওয়া গেল তাঁকে। চেন্নাইয়ে জন্ম হয় চন্দ্রিকার। তাঁর পরিবার সনাতন ঐতিহ্যের সঙ্গে পুরোপুরি ভাবে সম্পৃক্ত বলেই জানা যায়। সামবেদকে অনুসরণ করে চলে তাঁর পরিবার। সঙ্গীতের (Grammy Awards) পরিবেশেই চন্দ্রিকার বেড়ে ওঠা। শৈশবে তাঁর কেটেছে বৈদিক স্তোত্র শুনেই।

    চন্দ্রিকার পড়াশোনা মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে

    জানা যায়, চন্দ্রিকার (Chandrika Tandon) পড়াশোনা মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে। এর পরবর্তীকালে তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট বা আইআইএম আমেদাবাদ থেকেও ডিগ্রি নেন। পরে যোগ দেন বাণিজ্যের জগতে। কর্পোরেট জগতে অনেক বড় বড় পদ সামলেছেন তিনি। কিন্তু কখনও সঙ্গীতকে ছেড়ে যাননি। সঙ্গীত, আধ্যাত্মিকতা ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রতি তাঁর যে অদম্য ভালোবাসা, সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর গ্র্যামি (Grammy Awards) জয়ে। পুরস্কার পাওয়ার পরেই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বক্তব্য রাখেন ট্যান্ডন। তিনি বলেন, ‘‘সঙ্গীত আমার ভালোবাসা। সঙ্গীতে আমাদের অন্তরে আলো জ্বালায়। অন্ধকার এবং কালো দিনগুলোতেও সঙ্গীতের মাধ্যমে আমরা হাসিখুশিতে থাকতে পারি।’’

  • Indias Border: গৃহযুদ্ধ চলছে মায়ানমারে, শরণার্থীরা ঢুকছে মণিপুরে! সীমান্তে সতর্ক ভারত

    Indias Border: গৃহযুদ্ধ চলছে মায়ানমারে, শরণার্থীরা ঢুকছে মণিপুরে! সীমান্তে সতর্ক ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৃহযুদ্ধ চলছে মায়ানমারে। যুদ্ধ যত তীব্র হচ্ছে, ততই উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের (Indias Border)। প্রত্যাশিতভাবেই মণিপুর (Manipur) সীমান্ত বরাবর শরণার্থী পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।

    মায়ানমারের শরণার্থী মণিপুরে (Indias Border)

    জানা গিয়েছে, ২৭ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আনুমানিক ২৬০ জন মায়ানমারের শরণার্থী মণিপুরের মোরেহতে ঢুকেছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কর্তারা বিশ্বাস করেন মায়ানমারে মণিপুরী যুবকদের হতাহত সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি অতিরঞ্জিত হতে পারে। এগুলি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির প্রচারের অংশ হতে পারে। গত সপ্তাহে মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব জেলার অন্দ্রোয় পিপলস লিবারেশন আর্মির এক সদস্যের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। পিপলস লিবারেশন আর্মি একটি নিষিদ্ধ মেইতেই বিদ্রোহী সংগঠন, যা মণিপুরকে ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে আন্দোলন চালায়।

    প্রতীকী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া

    অবশ্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াটি প্রতীকীভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কারণ কোনও দেহ উপস্থিত ছিল না। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর, সরকার একটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত ক্যাডার (Indias Border) ২৭ জানুয়ারি মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তের কাছে একটি সশস্ত্র সংঘর্ষে মারা যান। পিএলএর রাজনৈতিক শাখা বিপ্লবী জনগণের ফ্রন্ট এক বিবৃতিতে দাবি করে, ক্যাডারটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলায় জখম হয়ে মারা যান। তাদের দাবি, ওই ক্যাডার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পিএলএতে যোগ দেন।

    এই ঘটনাটি ঘটেছিল মণিপুরে ৩ মে ২০২৩ সালে কুকি-জো ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত হিংসা ছড়িয়ে পড়ার কয়েক মাস পরেই। নিষিদ্ধ মেইতেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি ভ্যালি-বেইজড ইনসারজেন্ট গ্রুপস নামেও পরিচিত। এই গোষ্ঠী মায়ানমার থেকে তাদের কার্যকলাপ পরিচালনা করে। তারা (Manipur) প্রায়ই মায়ানমারের সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছে, সেই পিপলস ডিফেন্স ফোর্স এবং কুকি ন্যাশনাল আর্মি (বর্মা)-এর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি তামু শহরের কাছে (এলাকাটি মণিপুরের মোরেহ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে) পিডিএফ ও মায়ানমারের জুন্টা বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ ঘটে (Indias Border)।

  • Rahul Gandhi: ৪৫ মিনিটে মুখে ৩৪ বার চিনের নাম! রাহুলকে ‘জিনপিং’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    Rahul Gandhi: ৪৫ মিনিটে মুখে ৩৪ বার চিনের নাম! রাহুলকে ‘জিনপিং’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বক্তব্য মাত্র ৪৫ মিনিটের। এই পৌনে এক ঘণ্টার বক্তব্যে অন্তত ৩৪ বার চিনের নাম নিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতার এহেন ‘চিন-প্রীতি’তে বেজায় চটেছে বিজেপি। রাহুলকে তীব্র আক্রমণ শানান পদ্ম নেতৃত্ব। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “৪৫ মিনিটের বক্তব্যে রাহুল গান্ধী অন্তত ৩৪ বার চিন শব্দটি উল্লেখ করেছেন।”

    রাহুলের অভিযোগ (Rahul Gandhi)

    দেশের উৎপাদন ক্ষেত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, “চিন অন্তত এই ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে ১০ বছর এগিয়ে আছে। চিন ব্যাটারি, রোবট, মোটর-সহ নানা ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছে। গত ১০ বছর ধরে তারা এই সব নিয়ে কাজ করছে। আর আমরা এই কাজে পিছিয়ে রয়েছি।”

    বিজেপির নিশানায় রাহুল

    রাহুলকে (Rahul Gandhi) নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও। তিনি ব্যঙ্গ করে তাঁকে ‘রাহুল জিনপিং’ (চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং) বলে অভিহিত করেন (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, “আমি তাঁকে ‘রাহুল জিনপিং’ বলেই সম্বোধন করতে চাই। তিনি চিনের নাম ৩৪ বার উচ্চারণ করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই প্রার্থনা করছেন যেন পরের জন্মে তিনি চিনা হতে পারেন।”

    তিনি বলেন, “২০০৪-১৪ সালের কংগ্রেস শাসন আমলে ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ২৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।” তিনি রাহুলের ব্যাঙ্কিং খাত সংক্রান্ত মন্তব্যও উড়িয়ে দেন। তিনি এও উল্লেখ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার মুদ্রা প্রকল্পের আওতায় ৫১ কোটি মানুষকে ঋণ দিয়েছে, সেখানে কংগ্রেস ইউপিআইয়ের মতো আর্থিক উদ্ভাবনের বিরোধিতা করেছিল। এটি বর্তমানে দৈনিক ৫০ কোটি লেনদেন পরিচালনা করছে।’

    প্রসঙ্গত, রাহুল বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের প্রস্তাব করেছিলেন। আমার মনে হয় এটা একটা ভালো আইডিয়া। আর তার ফল তো আপনাদের সামনেই হাজির। ২০১৪ সালে (BJP) উৎপাদন ক্ষেত্রে জিডিপি ছিল ১৫.৩ শতাংশ। সেটা আরও নেমে গিয়ে হয়েছে ১২.৬ শতাংশ। ৬০ বছরে এটা সর্বনিম্ন (Rahul Gandhi)।”

LinkedIn
Share