Tag: Madhyom

Madhyom

  • Victoria Memorial: জেলখানার জমিতেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল!

    Victoria Memorial: জেলখানার জমিতেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় যাঁরা থাকেন বা কলকাতায় যাঁরা ঘুরতে যান, তাঁদের মধ্যে কেউ ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial) ঘুরতে যাননি, এমনটা হতেই পারে না। কলকাতায় ভ্রমণ পিপাসুদের মূল কেন্দ্রবিন্দুই হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। শহরজোড়া কংক্রিটের ভিড়ের মাঝখানে যেন স্নিগ্ধতায় মোড়া পরিবেশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এক সৌধ। একবার এসে পৌঁছালে চোখ সরানো যায় না। শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় সংগ্রহশালা এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। রানী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির উদ্দেশ্যে বানানো এই মেমোরিয়াল গড়ে ওঠার পিছনে আছে অনেক ইতিহাস ও অজানা তথ্য।

    কেন ও কীভাবে গড়ে উঠল এই ইমারত?

    ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন ভারতের রাজধানী ছিল কলকাতা। গোটা ভারতের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল আজকের মহানগরী। আর সেই সময় ভারতের সম্রাজ্ঞী ছিলেন রানী ভিক্টোরিয়া। ১৮৫৭ থেকে ১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি মৃত্যুদিন পর্যন্ত তাঁর শাসনকাল চলেছিল। তাঁর মৃত্যুর পরেই ভারতীয় উপনিবেশে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি সৌধ নির্মাণ করা হবে বলে তখনকার ব্রিটিশরাজের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  আর এমনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সেই স্মৃতিসৌধটি হবে আগ্রার তাজমহলের আদলে। রানীর মৃত্যুর পরেই তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন এক বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানেই তিনি এই তাক লাগানো সৌধের (Victoria Memorial) নির্মাণের কথা তুলে ধরেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, তাজমহলের আদলে এটি তৈরি হবে এবং প্রচুর ফুলের গাছ ও জলাধার থাকবে এই সৌধকে ঘিরে, যা দেখতে কলকাতায় ভিড় জমাবে মানুষ এবং যা তাজমহলকেও টেক্কা দেবে। এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের প্রস্তাবটি তৈরি করা হয় ১৯০১ সালে। এর পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ১৯০৬ সালে এর সম্পূর্ণ নকশা তৈরি করা হয় এবং নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। এর  ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। ভিক্টোরিয়া পঞ্চম জর্জের বোন ছিলেন। ভিক্টোরিয়া মারা যাওয়ার পর তাঁরই রাজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাবা সপ্তম এডওয়ার্ড যেহেতু বেঁচে ছিলেন, তাই তিনি ততদিন রাজা হতে পারেননি। পঞ্চম জর্জ ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের বিদ্বেষমূলক মনোভাব মেনে নিতে পারেননি। তাঁরই রাজত্বকালে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়।

    ভিক্টোরিয়া গড়ে উঠতে কত বছর সময় লেগেছিল? কে এর নকশা তৈরি করেছিল?

    ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর ১৯১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর (Victoria Memorial) নির্মাণকার্য শুরু হয় এবং তা শেষ হতে প্রায় এগারো বছর সময় লাগে। এরপরেও সম্পূর্ণরূপে এই নির্মাণকার্যটি শেষ হয় ১৯২১ সালে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে কুড়ি বছর সময় লেগেছিল এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল গড়ে উঠতে। তৎকালীন ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ আর্কিটেক্ট-এর প্রেসিডেন্ট স্যার উইলিয়ম এমার্সন এর নকশা তৈরি করেন। ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন বাগানটির নকশা তৈরি করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। এই সমস্ত নির্মাণকার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মার্টিন অ্যান্ড কোং কে। এই কোম্পানির কর্ণধার ছিলেন দুজন যথা স্যার থমাস অ্যাকুইনাস এবং স্যার রাজেন মুখার্জি। রাজেন মুখার্জিকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে সেই সময় নাইট উপাধি দেওয়া হয় এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য। 

    জায়গাটি কার বা কাদের ছিল? তৈরিতে মোট কত খরচ হয়েছিল?

    শুনলে হয়তো একটু অবাক লাগতে পারে, বর্তমানে আমরা যে স্থানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে (Victoria Memorial) দেখতে পাই, সেটি মূলত ছিল প্রেসিডেন্সি জেলের জমি। সেই সময়কার প্রধানত রাজনৈতিক বন্দিদের এই জেলে রাখা হত।  ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জেলটিকে এই স্থান থেকে আলিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে আলিপুরে সেই জেলটি অবস্থিত।ব্রিটিশদের সিদ্ধান্তে এই স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠতে দেশের টাকাই খরচ করা হয়েছিল, ব্রিটিশদের খরচ ছিল তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। তৈরি করার জন্য তৎকালীন জমিদার, রাজা, ধনী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, অভিজাত ব্যক্তিদের কাছে থেকে লর্ড কার্জন অর্থ প্রদানের আবেদন জানান। এই আদেশ খণ্ডন করার সাহস কারও ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে সবার উদ্যোগে ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Exotic Birds: বিদেশি পাখি পুষে বেকার যুবকদের রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন দুর্গাপুরের পড়ুয়া

    Exotic Birds: বিদেশি পাখি পুষে বেকার যুবকদের রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন দুর্গাপুরের পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশের রঙবেরঙের পাখি (Exotic Birds) পুষেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন দুর্গাপুরের এক পড়ুয়া অভিষেক রাম। নিজের আয়ের পাশাপাশি রাজ্য ও ভিন রাজ্যের বহু যুবককে রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন অভিষেক। বর্তমানে তাঁর পাখির সম্ভার চারশোরও অধিক। লক্ষ টাকা মূল্যের ম্যাকাও সহ আফ্রিকার জঙ্গল থেকে আনিয়েছেন নানা ওয়াইল্ড বার্ড। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে একটি সাদা আমব্রেলা কাকাতুয়া, যার মূল্য প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। বিভিন্ন জেলা থেকে বহু কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমায় তাঁর খামারে। ইতিমধ্যেই বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০ থেকে ২৫ টি প্রজাতির পাখি সংগ্রহ করে তাক লাগিয়েছেন অভিষেক।

    দক্ষিণ ভারত থেকেই ভাবনা শুরু

    বাবা অশোক রাম পেশায় ফুচকা বিক্রেতা, মা গৃহবধূ। আর্থিক অনটনের সংসারে অভিষেক ও তাঁর দাদা বিবেক রামের বেড়ে ওঠা। তাঁর দাদা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে গ্রাজুয়েশন করে অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করছেন। অভিষেকও সবেমাত্র গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। অভিষেক একজন দক্ষ ক্রিকেটার। ক্রিকেটের জন্যই তিনি গিয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতে। তখনই তাঁর নজরে পড়ে একটি বার্ডস ফার্ম। যা দেখার পরেই অভিষেকের এমন ভাবনা মাথায় আসে। আগেও তিনি বদ্রি, ককটেল, লাভবার্ডস ইত্যাদি পাখি (Exotic Birds) পালন করতেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই উত্থান

    এই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে সেই সমস্ত পাখির (Exotic Birds) খাবার-দাবার, পরিচর্যা ইত্যাদির পাশাপাশি সঠিক পরিবেশ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, প্রজনন প্রক্রিয়া, বিভিন্ন রোগের  চিকিৎসা ইত্যাদি ভিডিও’র মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বছর খানেকের মধ্যেই অভিষেকের তৈরি করা সেইসব ভিডিও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পশুপ্রেমীদের পাশাপাশি অসংখ্য দর্শকের কাছে। সেখান থেকেই রোজগারের দিশা দেখেন অভিষেক। আরও অনেকেই রোজগারের পথ খুঁজে পান তাঁর দেখানো রাস্তায়।

    মাসিক আয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা!

    এরপর তিনি প্রায় আড়াই বছর ধরে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, পড়াশোনা করেছেন। আর নিজের জমানো টাকায় এক এক করে কিনেছেন নানান নামিদামি পাখি (Exotic Birds)। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে বর্তমানে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার পাখি। সান কনিওর পাখির ব্রিডিং শুরু করে তিনি প্রথম উপার্জন করা শুরু করেন। বয়স অনুযায়ী এই পাখির দাম ৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এখন তাঁর মাসিক আয় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। অভিষেক রাম জানিয়েছেন, তিনি ২০১৪ সাল থেকে পাখি পালন শুরু করেন। ২০২২ সালে তিনি দুর্গাপুরের পারদই গ্রামে একটি বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়ির ছাদেই তৈরি করেছেন বার্ডস ফার্ম হাউস। সেখানে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। পাখিদের থাকার মতো পরিবেশ তৈরি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে সেখানে পাখিদের ব্রিডিংও শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ টাকা, বোলেরো গাড়ি, ল্যাপটপ লুট করল দুষ্কৃতীরা, চলল শূন্যে গুলি

    Malda: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ টাকা, বোলেরো গাড়ি, ল্যাপটপ লুট করল দুষ্কৃতীরা, চলল শূন্যে গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই রাতে এক ব্যবসায়ী এবং আরেক ব্যবসায়ীর গাড়ির চালককে মারধর করে ছিনতাই। চালকের কাছ থেকে নগদ অর্থ, বোলেরো গাড়ি এবং ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ অর্থ, ল্যাপটপ ছিনতাই করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি চালায়। লোহার রড দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। পুলিশের তল্লাশিতে আটক দুই সন্দেহভাজন। প্রশ্নের মুখে এলাকার নিরাপত্তা।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার ব্যবসায়ী শুভম আগরওয়াল সোমবার রাত ২ টো নাগাদ ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী কুমেদপুর ক্লাবের পাশে নাকা চেকিং পয়েন্টে তার পথ আটকায় একদল দুষ্কৃতী। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তার কাছে থাকা নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং একটি ল্যাপটপ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য তারা শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে শুভম আগরওয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা। এদিকে ভোর ৫ টা নাগাদ রামশিমুল গ্রামের ব্যবসায়ী সেফিকুল আলির গাড়ির চালক তাঁর বোলারো গাড়ি নিয়ে কুমেদপুরের দিকে ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলেন। নীলকুটি ঈদগাহের পাশে পাঁচ থেকে ছয় জন দুষ্কৃতী তাঁকে আক্রমণ করে। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে নগদ টাকা ছিনতাই করে গাড়ি থেকে নামিয়ে বোলারো গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দুটি ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    কী বললেন ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ির চালক?

    ব্যবসায়ী সেফিকুল আলি বলেন, আমার গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে কুমেদপুর যাচ্ছিল। পথ আটকে ওকে মারধর করে নগদ টাকা এবং গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আক্রান্ত গাড়ির চালক মামুন আলি বলেন, আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করে। আমাকে বলছিল যা আছে সবকিছু দিয়ে দিতে। ওরা সংখ্যায় বেশ কয়েকজন ছিল। তাই আটকাতে পারিনি। প্রসঙ্গত, বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসার দিক থেকে জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন সময় চেষ্টা করে অপরাধমূলক কাজ করে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার। নাকা চেকিং পয়েন্টের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এলাকা জুড়ে পুলিশের টহলদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে ঘটনা দুটি ঘটিয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ খবর পাওয়া মাত্র তল্লাশি চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে। সমগ্র ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির উত্তর মালদার (Malda)  সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য কিষাণ কেডিয়া বলেন, এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এরকম হলে ব্যবসায়ীরা কীভাবে কাজে যাবেন। আমরা অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story:  ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ আচমকা না দেখানোয় ক্ষুব্ধ দর্শকরা, হলের সামনে বিক্ষোভে বিজেপি, ধস্তাধস্তি

    The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ আচমকা না দেখানোয় ক্ষুব্ধ দর্শকরা, হলের সামনে বিক্ষোভে বিজেপি, ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) দেখতে এসে পুলিশি হেনস্থার শিকার হলেন সিনেমাপ্রেমীরা। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী-সমর্থক ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়ার রূপমন্দির সিনেমা হলে। সিনেমাপ্রেমীরা এদিন হলে এসে সিনেমা না দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সোমবারই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) সিনেমাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে সরকারি সেই নির্দেশিকা এসে না পৌঁছানোয় হল কর্তৃপক্ষ সিনেমা দেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। বেলঘরিয়ার এই সিনেমা হলেও এদিন সকালের দিকে বিতর্কিত সিনেমাটি দেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। অনেকে এই সিনেমা দেখার জন্য অনলাইনে টিকিট কেটেছিলেন। সকাল সকাল এই সিনেমা হলের সামনে পৌঁছান সিনেমাপ্রেমীরা। তখনও কোনওরকম সিনেমা বন্ধের নোটিশ আসেনি। কিছুক্ষণ পর বেলঘরিয়া থানার পুলিশ এসে সিনেমা হলের সামনে হাজির হয়। ততক্ষণে সিনেমা হলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা সিনেপ্রেমীরা এরপরে বিক্ষোভে সামিল হন। সিনেমা হলের গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

    কী বললেন সিনেমাপ্রেমীরা?

    এক সিনেমাপ্রেমী সংযুক্তা মিত্র বলেন, আমি কলেজ ছাত্রী। আমার বাড়ি চুঁচুড়া। সাত সকালে বন্ধুদের সঙ্গে এই সিনেমা দেখার জন্য এসেছিলাম। আমাদের সামনে নোটিশ দিয়ে জানানো হল, এই সিনেমা দেখানো হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ, এই সিনেমা ব্যান না করে সকলের দেখার ব্যবস্থা করুন। নিউটাউনের বাসিন্দা অনুস্কা বণিক বলেন, বেলঘরিয়ার এই সিনেমা হলে দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) সিনেমাটি চলছে। তাই এসেছিলাম। এখন সিনেমাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এত ভালো সিনেমা বন্ধ করা  উচিত হয়নি।

    কী বললেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা?

    এদিন বিজেপি-র যুব মোর্চার নেতা অচিন্ত্য মণ্ডল বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে সিনেমা দেখতে আসেন। সিনেমা দেখা নিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের প্রথমে বচসা হয়। পরে, ধস্তাধস্তি হয়। অচিন্ত্যবাবু বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking water: জেলায় সেরার তকমা পেয়েছে পঞ্চায়েত, সেখানেই আদিবাসী গ্রাম ভুগছে তীব্র জলকষ্টে!

    Drinking water: জেলায় সেরার তকমা পেয়েছে পঞ্চায়েত, সেখানেই আদিবাসী গ্রাম ভুগছে তীব্র জলকষ্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের সালানপুর ব্লকের অধিকাংশ গ্রাম তীব্র জলকষ্টে ভুগছে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ, আর সেই সঙ্গেই শুরু হয়েছে জলের জন্য হাহাকার। বাসিন্দারা বলছেন, জেলায় এই সমস্যা শুধু এই বছরের নয়, প্রত্যেক বছরের। পানীয় জলের (Drinking water) সংকটের এমন ভয়াবহ দৃশ্যই উঠে এসেছে সালানপুর ব্লকের অন্তর্গত কল্যা পঞ্চায়েতের আদিবাসী পাড়ায়। যদিও কল্যা পঞ্চায়েতকে কাজের নিরীখে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সেরা পঞ্চায়েত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সেই পঞ্চায়েতের আদিবাসী গ্রামেই রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে জলের সমস্যা। অনেকের প্রশ্ন, কীভাবে জেলার সেরা পঞ্চায়েত হিসেবে চিহ্নিত হল ওই পঞ্চায়েত, যেখানে একটি গ্রাম এমন তীব্র জলকষ্টে ভুগছে! তাছাড়া এই এলাকায় সেরকম কোনও উন্নয়নও হয়নি বলে অভিযোগ।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর আগে পিএইচই দফতর থেকে পানীয় জলের (Drinking water) ট্যাপকল বসানো হয়েছে। কিন্তু তাতে নেই জল। এমনকী গ্রামে থাকা একটি নলকূপও দীর্ঘদিন অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জলের এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, মাঝে মধ্যে কোনও কোনও দিন একটি ট্যাংকারে করে জল দিয়ে যায়। তাতে কি জলের সমস্যা মিটবে? পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবি জানান গ্রামের মহিলারা। দ্রুততার সঙ্গে সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    সর্বত্র জানিয়েও সমাধান অধরা

    গ্রামের এক গৃহবধূ বলেন, “পঞ্চায়েত, প্রশাসনিক অফিস সব জায়গায় এই জলকষ্টের (Drinking water) কথা জানানো হয়েছে। কারও দিক থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। নেতাদেরও দেখা মেলে শুধুই ভোটের সময়। আর মেলে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আসছে। এবার নেতাদের দেখা মিলবে। তবে জল পাব কিনা, তার কোনও ঠিক নেই। এই গ্রামেরই এক মহিলা বললেন, এমনই শোচনীয় অবস্থা যে বলার নয়, পুকুরেও জল নেই। কোথাও জানাতে বাকি নেই। কিন্তু কেউই ফিরে তাকাচ্ছে না।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Land Mafia: ফের প্রকাশ্যে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নাম জড়ালো এক সিভিক ভলান্টিয়ারের!

    Land Mafia: ফের প্রকাশ্যে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নাম জড়ালো এক সিভিক ভলান্টিয়ারের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা থেকে যেতেই ফের প্রকাশ্যে মাটি মাফিয়াদের (Land Mafia) দৌরাত্ম্য। আর এই কাণ্ডে নাম জড়ালো এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। যিনি আবার তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সরনপুর গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামেরই তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা ফারহানা রহমানের স্বামী উমর ফারুক। তিনিই আবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে রাতের অন্ধকারে সরকারি জমি দখল করে মাটি কেটে ক্যানাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। যে ক্যানাল গ্রামের একমাত্র নিকাশি ব্যবস্থা। আর যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

    জানাজানি হতেই বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা

    দিনের আলো ফুটতেই ঘটনাস্থলে যান গ্রামবাসীরা। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কোনওভাবেই এই জমি দখল হতে দেওয়া যাবে না। ক্যানাল ভরাট (Land Mafia) করলে গ্রামের চাষবাস ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। তাঁদের অভিযোগ, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। তাঁর ভয়ে সব সময় সন্ত্রস্ত থাকছে এলাকার মানুষ। এমনকী এলাকাবাসীর অভিযোগে সহমত পোষণ করে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ধর্মা মণ্ডল। যেখানে পুলিশের কাজ আইন রক্ষা করা, সেখানে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে কীভাবে আইন ভাঙলেন ফারুক, উঠেছে প্রশ্ন। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র এলাকায়। 

    কী অভিযোগ বিজেপির? কী বলছে তৃণমূল?

    যদিও অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার উমর ফারুক ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, মাটি মাফিয়াদের (Land Mafia) পিছনে শাসকদল এবং প্রশাসনের একাংশের মদত রয়েছে। সেটা এই ঘটনায় দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। আইন আইনের পথে চলবে, পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। তাঁদের বক্তব্য, এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এটা করা হয়েছে। যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Beekeeping: কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে মৌমাছি পালনে জোর কেন্দ্রের, উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী

    Beekeeping: কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে মৌমাছি পালনে জোর কেন্দ্রের, উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জৈব ও প্রাকৃতিক চাষের ওপর নির্ভর করে বেড়ে উঠছে দেশের পরিবর্তনশীল কৃষি ব্যবস্থা। এবার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌমাছি পালনের (Beekeeping) মাধ্যমে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, যা ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবিকা ব্যবস্থায় একটি অসাধারণ প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, মধু উৎপাদন দেশে কৃষকদের জীবনশৈলীরও পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

    লকডাউনের সময় থেকেই উদ্যোগ শুরু

    প্রসঙ্গত, গত ২০২০-২১ সালে করোনা আবহে লকডাউন চলাকালীন নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন দেশবাসী। কৃষির গুরুত্ব কতখানি, হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন তাঁরা। যদিও, ওই সময় কেন্দ্র আত্মনির্ভরতার বার্তা দিয়েছিল। একইসঙ্গে গুরুত্ব দিয়েছিল কৃষিজ ফসলে। তার ফলস্বরূপ উষরমুক্তি প্লাস প্রকল্পে ও ১০০ দিনের কাজে সবজি চাষে জোর দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয় সবজি চাষ, উদ্যান পালন। তাতে একদিকে যেমন বাজারে পর্যাপ্ত সবজির জোগান থাকবে, একইসঙ্গে আয় বাড়বে গোষ্ঠীর সদস্যদের। এবার কৃষকদের মৌমাছি পালনের (Beekeeping) ওপর গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

    মৌমাছি পালন কীভাবে করবেন কৃষকরা?

    প্রসঙ্গত, শুরু হয়েছে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌমাছি পালন (Beekeeping)। এর জন্য দরকার বিশেষ ধরনের বাক্স, যেখানে মৌমাছিদের কলোনি থাকবে। ২০-৫০ হাজার মৌমাছি থাকবে একটি কলোনিতে। কৃষি প্রধান এলাকা, যেখানে সরষে, তিষি, ফুল চাষ হয় এবং বনভূমি এলাকায় ওই বাক্স রাখতে হবে। একজন চাষিকে কমপক্ষে ৪০-৫০টি বাক্স রাখতে হবে মৌমাছি পালনে। খরচ পড়বে ৫ হাজার টাকা। তার সঙ্গে শ্রমিকের খরচ ও কখনও মৌমাছিদের চিনি অথবা গুড়ের রস করে খাওয়ানোর খরচ। মৌমাছি পালনের মরশুম নভেম্বর থেকে মে-জুন মাস। মরশুমে একজন চাষি ২-৩ মাসে একটা কলোনিতে ১২-১৪ কেজি পর্যন্ত মধু সংগ্রহ করতে পারবেন। বাজারে বিভিম্ন নামী কোম্পানির থেকে অনেকগুণ উৎকৃষ্টমানের হবে এই মধু। 

    লাভজনক এবং পরিবেশবান্ধব মডেল

    প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকের শেষের দিক থেকে ভারতে মধু উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ৭০ শতাংশ অবদান হল অসংগঠিত ক্ষেত্রের। এই নিরিখে মৌমাছি পালনকে (Beekeeping) সবচেয়ে লাভজনক এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি-ব্যবসার মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন, মধু উৎপাদন আমাদের কৃষকদের আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবনশৈলীরও পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি দেশের যুব জনগোষ্ঠীকে ব্যবসায়িক মনোভাবের মাধ্যমে মৌমাছি পালন এবং নতুন সম্ভাবনাগুলি উপলব্ধি করার আহ্বান জানান।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট?

    সম্প্রতি, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ ‘মন কি বাত’-এর প্রেক্ষাপটে ভারতব্যাপী একটি সমীক্ষা করেছে। যেখানে ৪০ জন মৌমাছি পালক এবং ৪০টি মৌমাছি পালনকারী (Beekeeping) দল অংশগ্রহণ করেছিল। সমীক্ষাটি ছিল দেশের ২৬টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৬টি জেলা জুড়ে। তাতে দেখা গেছে, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলি সচেতনতা, প্রশিক্ষণ এবং প্রদর্শনী কর্মসূচির মাধ্যমে মৌমাছি পালনের অনুশীলনকে উন্নত করতে সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের এইসব কর্মসূচি প্রায় ৩২.৫০ শতাংশ মৌমাছি পালনকারীকে অনুপ্রাণিত করেছে। মৌমাছি পালনের লাভজনক দিক প্রায় ২৭.৫০ শতাংশ ব্যক্তিকে মৌমাছি পালনে উদ্বুদ্ধ করেছে। সফলতার নিরিখে সর্বমোট ২২.৫০ শতাংশ একক মৌমাছি পালনকারী এটিকে ব্যবসায়িক উদ্যোগ হিসাবে গ্রহণ করেছেন। লক্ষণীয় হল, মৌমাছি পালন সহায়ক চাষের বিকল্প হিসাবে সত্যিই একটি লাভজনক উদ্যোগ হিসাবে পরিলক্ষিত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় ধৃতের মৃত্যু দমদম জেলে, কী অভিযোগ জানাল পরিবার?

    BJP: বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় ধৃতের মৃত্যু দমদম জেলে, কী অভিযোগ জানাল পরিবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জগদ্দলে বিজেপি (BJP) কর্মী আকাশ যাদব খুনের ঘটনায় রোহিত ওরফে গুড্ডু যাদব নামে এক যুবককে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার ভাই সুমিত যাদবকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। গুড্ডু এতদিন দমদম জেলে ছিল। ৭ মে জেলেই সে অসুস্থ হয়। তাকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুড্ডু বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল। সোমবার রাতে জগদ্দলে গুড্ডুর দেহ আনতেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিবারের লোকজন ও গুড্ডুর অনুগামীরা তার মৃত্যুর প্রকৃত বিচার দাবি করেন।

    কীভাবে খুন হয়েছিলেন বিজেপি (BJP) কর্মী আকাশ?

    ২০২১ সালের মে মাসে ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হন জগদ্দলের বাসিন্দা আকাশ যাদব। তিনি এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে সবে বেরিয়েছিলেন আকাশ। অভিযোগ, বাড়ির অদূরেই তাঁকে প্রথম বোমা ছোড়া হয়েছিল। তারপর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। জগদ্দলের পুরানি তালাবের কাছে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আকাশের। ঘটনার পর থেকে ফেরার ছিল মূল অভিযুক্ত গুড্ডু। তার নামে হুলিয়া জারি হয়। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মাঠ থেকে গুড্ডুকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে কার্তুজ, আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রথমে এই খুনের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। পরে, সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে। সিবিআইয়ের হাতে গুড্ডু গ্রেফতার হয়। গুড্ডুকে নিয়ে এসে গত বছর তারা খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল। বিজেপি কর্মী খুনের তথ্যপ্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে এসেছিল। দমদম জেলে থেকেই গুড্ডুর বিচার চলছিল। তারমধ্যেই তার মৃত্যুতে নতুন করে রহস্য দানা বেঁধেছে।

    কী বললেন গুড্ডুর পরিবারের লোকজন?

    গুড্ডুর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, জেলে থাকাকালীন গত পাঁচদিন ধরে সে অসুস্থ ছিল। এই বিষয়ে আদালত এবং জেল কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। কেউ কোনও সুরাহা করেনি। কার্যত বিনা চিকিত্সায় তার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব মৃত্যুই দুঃখজনক। আকাশ আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁকে খুনের ঘটনায় সিবিআই গুড্ডুকে গ্রেফতার করেছিল। গুড্ডু অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে, না এর পিছনে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র রয়েঁরা, তা সিবিআই খতিয়ে দেখুক। কারণ, বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে সব কিছুই সম্ভব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Migraine: মাইগ্রেনে অতিষ্ঠ জীবন! যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত?

    Migraine: মাইগ্রেনে অতিষ্ঠ জীবন! যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছর ২৯-এর যুবক। মাথার যন্ত্রণায় কাতর। শেষ পর্যন্ত নিলেন চরম সিদ্ধান্ত! মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ! সম্প্রতি হাওড়ার টিকিয়াপাড়া এলাকার এক যুবকের মৃত্যুর কারণ শুনে হতবাক হচ্ছেন অনেকেই। তবে, এই ঘটনাকে ব্যতিক্রম বলছেন না চিকিৎসকরা। আগেও একাধিকবার মাইগ্রেনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বহু রোগী! তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ক্রনিক রোগের দীর্ঘকালীন চিকিৎসা করলে সুস্থ থাকা সম্ভব।

    মাইগ্রেনের সমস্যা কী? 

    মাইগ্রেন একধরনের স্নায়ুঘটিত সমস্যা। একে নিউরোভাস্কুলার ডিসঅর্ডার বলা যায়। মাথার মাঝখানে কিংবা যে কোনও একটা পাশে এই যন্ত্রণা হয়। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা একটানা এই ধরনের যন্ত্রণা থাকে। মাসে একাধিকবার মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। তথ্য বলছে, বিশ্বের প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন মানুষ মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। পুরুষের তুলনায় মহিলারাই এই সমস্যায় বেশি ভোগেন।

    কীভাবে বুঝবেন আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা হচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতি মাসে একাধিকবার মাথার যন্ত্রণা হলে বুঝতে হবে, তা মাইগ্রেনের লক্ষণ। বমি, মাথা ঝিমঝিম, মানসিক অস্থিরতার মতো উপসর্গও দেখা যায়। যন্ত্রণার সময় অনেকেই অনেক কিছু অবাস্তব কল্পনা করেন। তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মাইগ্রেন ঔরা (aura) বলা হয়। যেমন, অনেকেই ভাবেন, তাকে কেউ হয়তো খুন করবে কিংবা তার চরম কোনও ক্ষতি করা হবে। এমন নানারকম আশঙ্কায় রোগী ভোগেন। খাবারের প্রতিও অনীহা তৈরি হয়।

    কীভাবে কমাবেন মাইগ্রেনের সমস্যা? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মাইগ্রেনের সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়। অনেকেই প্রথমে সাধারণ মাথার যন্ত্রণা বলে মাইগ্রেনকে অবহেলা করেন। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে বিপদ কমে। কারণ, চিকিৎসক নানান শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারেন, মাইগ্রেন চরম নাকি মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। সেইমতো চিকিৎসা করলে রোগী সুস্থ থাকতে পারে। শুধুমাত্র ব্যথা কমার ওষুধ নয়। স্নায়ুঘটিত নানান ওষুধের প্রয়োজন হয়। তাই যন্ত্রণা কমাতে নিজেই ওষুধের দোকান থেকে ইচ্ছেমতো পেনকিলার খাওয়ার অভ্যাস বিপদ বাড়ায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, জীবনযাপনের বদল মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। অতিরিক্ত আওয়াজ বা অতিরিক্ত গরম মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ায়। তাই সেরকম পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। সহজে হজম হয়, এমন খাবার খেতে হবে। হজমের অসুবিধা হলে মাইগ্রেনের ভোগান্তি বাড়তে পারে। 
    মানসিক চাপ মাইগ্রেনের জন্য অত্যন্ত খারাপ। তাই যাঁরা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। মানসিক চাপ যাতে তৈরি না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে নিয়মিত শারীরিক কসরত করারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jeans: ফ্যাশন দুনিয়ার কেতাদুরস্ত জিন্স তৈরি হয়েছিল কাদের জন্য? জানলে অবাকই হবেন

    Jeans: ফ্যাশন দুনিয়ার কেতাদুরস্ত জিন্স তৈরি হয়েছিল কাদের জন্য? জানলে অবাকই হবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন আট থেকে আশি, সবার জামাকাপড়ের তালিকায় জিন্স (Jeans) বা ডেনিম-এর প্যান্ট থাকবেই থাকবে। ছেলে হোক বা মেয়ে, নিত্য পরিধান হিসাবে জিন্স বহুল জনপ্রিয়। সবথেকে যে বিষয়টি জিন্সকে বেশি জনপ্রিয় করেছে সেটি হল, এর কাপড় মজবুত, সস্তা ও খুবই টেকসই। শুধু বর্তমান নয়, প্রায় ষোড়শ শতক থেকে এর জনপ্রিয়তা একে ফ্যাশন দুনিয়ায় অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। কিন্তু একটা কথা জানলে অবাক হতেই হবে, এই জিন্স কিন্তু ফ্যাশন দুনিয়ার জন্য বানানো হয়নি।

    কী এই জিন্সের ইতিহাস?

    ইতিহাস থেকে জানা যায়, ষোড়শ শতকে এই জিন্স (Jeans) নামের উৎপত্তি হয়। সেই সময় বিভিন্ন কলকারখানা এবং শিল্পক্ষেত্রে শ্রমজীবীদের জন্য মজবুত ও টেকসই পোশাক হিসেবে জিন্স ব্যবহার করা হত। জিন্সের পোশাক প্রথম তৈরি করা হয় ইতালির জেনোয়া এলাকায়। এই জেনোয়া থেকেই প্রথম ‘জিন’ শব্দটির উৎপত্তি হয়। পরবর্তীতে ফ্রান্সের নিম নামক এলাকার কিছু তাঁতি এই ধরনের কাপড় তৈরি করতে শুরু করেন। এই কাপড়কে ডি নিম (De nimes) নামকরণ করেন তাঁরা। পরে সেই নামই ধীরে ধীরে ডেনিমে পরিবর্তিত হয়। পরে উনিশ শতকে ডেভিস নামক ইউরোপের একজন লাটাভিয়ন এই জিন্স প্যান্ট তৈরি করেন। সেই সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাভেডায় একজন বিক্রয়কর্মী হিসেবে এখানকার খনি শ্রমিকদের এই জিন্সের প্যান্ট বিক্রি করতে থাকেন এবং সেখান থেকে তিনি ভালো মাপের টাকা উপার্জন করেন। আস্তে আস্তে তখন থেকেই শ্রমিকদের ব্যবহারের পোশাক থেকে সাধারণের পোশাক হিসাবে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।

    জিন্সের পিছনে বা পকেটে ধাতব বোতামের মতো রিভেট কেন থাকে? 

    এরও আছে এক ইতিহাস। শোনা যায়, একসময় এক খনি শ্রমিকের স্ত্রী এক তাঁতিকে জানিয়েছিলেন, প্রায়ই তাঁর স্বামীর প্যান্টের পকেট ছিঁড়ে যায়। কাজ করার সময়, প্রতিদিন এই সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে। কীভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? যেমন করে হোক এর উপায় বের করতে বলেন তিনি। এই সমস্যার কথা শুনে এই বিষয়ে দিনরাত এক করে ভাবতে শুরু করেন জ্যাকব ডেভিস নামএর একজন তাঁতি। এর সমাধােস্বরূপ জিন্সের (Jeans) পকেটগুলিতে ধাতব বোতামের মতো রিভেট বসিয়ে দেন, যাতে পকেটগুলি আগের মতো ছিঁড়ে না যায়। এখনও জিন্সের প্যান্টে এই রিভেটের দেখা মেলে। অনেকের ধারণা, ওটা ফ্যাশনের জন্য। কিন্তু আদৌ তা নয়। এগুলি স্টাইল বা সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য নয়।

    জিন্স প্যান্টের রং সাধারণত বেশিরভাগ নীল রঙেরই হয়, কিন্তু কেন? 
     
    যখন জিন্সের (Jeans) প্যান্টের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়, তখন নীল রঙের প্যান্ট সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয় এবং নীল রঙের জিন্সেরই সবথেকে বেশি উৎপাদন হতে থাকে। এরও কয়েকটি বিশেষ কারণ আছে। এই নীল রংই কেন সবথেকে বেশি জনপ্রিয়, তা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন আছে। যে সময় জিন্সের উৎপত্তি হয়, সে সময় আমেরিকাতে প্রচুর নীল চাষ হত। তাই তা ছিল সবথেকে বেশি সহজলভ্য। সেই কারণেই নীল রং ব্যবহার করা হত। আর খনি এলাকা বা কোনও শিল্পক্ষেত্রে কাজ করার সময় প্যান্টে অনেক দাগ লেগে যেত। সেগুলিকে ঢাকার জন্য নীল রং ছিল সবথেকে উপযোগ্য। আবার নীলের রং উঠে গিয়ে হালকা হয়ে গেলেও এই প্যান্ট অনায়াসে পরা যেত। এভাবেই শ্রমজীবী মানুষদের জন্য তৈরি জিন্স গোটা পৃথিবী জুড়ে আজ সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহৃত পোশাক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share