Tag: Madhyom

Madhyom

  • Chinese Items Banned: গত এক বছরে ৪৫% ভারতীয় কেনেননি চিনা পণ্য! কী বলছে সমীক্ষা?

    Chinese Items Banned: গত এক বছরে ৪৫% ভারতীয় কেনেননি চিনা পণ্য! কী বলছে সমীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে চিন (China) থেকে আমদানি করা সমস্ত পণ্য বর্জন করার ডাক দেওয়া হয়েছে। চিনের পণ্যের (Chinese Items Banned In India) উপর নির্ভরতা কমাতে কেন্দ্রের মোদি সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির উপর জোর দিয়েছে। সীমান্তে চিনের বিদ্বেষী মনোভাব ভারতীয় বাজারে প্রভাব ফেলেছে। সম্প্রতি লোকাল সার্কেলস (LocalCircles) নামক একটি সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে- ৪৫% ভারতীয়রা গত ১২ মাসে চিনা পণ্য কেনা ছেড়ে দিয়েছেন যদিও এখনও  ৫৫% মানুষ লেছেন যে তারা চিনের তৈরি পণ্যগুলি এখনও  গ্রহণ করেছেন।

    চিন থেকে এখনও কী কী কেনা হচ্ছে

    সমীক্ষায় জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে ভোক্তারা গত ১২ মাসে মেড ইন চায়না পণ্যের বিভিন্ন বিভাগ থেকে কি কি  কিনেছেন? উত্তরে ৭০২২ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫৬% স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, পাওয়ার ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক বা মোবাইল আনুষাঙ্গিক ক্রয়ের কথা বলেছে, ৪৯% জানিয়েছে তারা ” উত্সবের আলো, বাতি, মোমবাতি এবং জলের বন্দুক”, ৩৩% খেলনা এবং স্টেশনারি, ২৯% “উপহার সামগ্রী” কিনেছেন, ২৬% “ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স এবং যন্ত্রপাতি (টেলিভিশন, এয়ার পিউরিফায়ার, কেটলি), ২৬% কিনেছেন “আলোর মতো ঘরোয়া পণ্য” এবং আসবাবপত্র” এবং ১৫% বলেছেন ফ্যাশন পণ্য যেমন পোশাক, ব্যাগ এবং আনুষাঙ্গিক।

    কেন চিনা পণ্য বয়কট

    ইতিমধ্যে দেশে ২০ শতাংশ চিনা দ্রব্য বিক্রি কমে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে রাজস্থানে চিনা দ্রব্য বিক্রি কমে গিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। সমীক্ষায় উঠে এসেছে চিনা সরঞ্জাম বর্জনের কারণও। ১২৩৫০ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে ৬৩% বলেছেন যে তারা “ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়াতে ভারতে তৈরি পণ্য বেশি কিনেছেন”; ১৬% ইঙ্গিত করেছে যে তাদের কাছে  চিনা পণ্যের থেকে ভারতীয় বিকল্প ছিল ভাল মূল্য ও ভাল মানের সমন্বয়, তাই তারা সেই হিসাবে পরিবর্তন করেছে; ১৬% বলেছেন যে মেড ইন ইন্ডিয়া পণ্যগুলির সঙ্গে আরও ভাল গ্রাহক পরিষেবাও পাওয়া গেছে, ১৩% বলেছেন “একটি বিকল্প অ-চিনা কিন্তু বিদেশী (অ-ভারতীয়) পণ্য উপলব্ধ ছিল যার দাম, গুণমান এবং গ্রাহক পরিষেবার সমন্বয় রয়েছে”,৭ % বলেছেন যে তারা “বাজারে বা স্টোর বা অনলাইনে চিনে তৈরি পণ্যগুলি খুঁজে পাননি”।

    আরও পড়ুন: আত্মহত্যা না খুন! চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট জিনপিং

    সরকারের সঙ্গে সহমত

    ভারতের ৩৩৪টি জেলায় এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশীয় পণ্য কেনার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন বহু ভারতীয়। গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারতীয়দের মধ্যে চিন বিরোধী মনোভাব বেড়েছে। চিনা দ্রব্য বর্জন করার জন্য রীতিমতো প্রচার চালানো হয়েছে। দেশীয় পণ্য কেনার উপর জোর দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন পেশার মানুষ প্রতিদিন পথে-ঘটে চিনা দ্রব্য বর্জনের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বয়কট করা হোক চিনা দ্রব্য, এই আবেগকে ভিত্তি করেই চলছে প্রচার৷ পাশাপাশি, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে চিনা দ্রব্য বর্জনের কথা প্রচার করা হচ্ছে৷ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: বাইডেন-সুনক নয়, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতা মোদি, বলছে আন্তর্জাতিক সমীক্ষা

    Narendra Modi: বাইডেন-সুনক নয়, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতা মোদি, বলছে আন্তর্জাতিক সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা নেই তাঁর জনপ্রিয়তার ধারেকাছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোক অথবা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, জনপ্রিয়তায় মোদিকে (Narendra Modi) টক্কর দিতে পারছেন না কেউই। রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতা হলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের জনপ্রিয়তা নিয়ে সমীক্ষা চালায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। তাতে দেখা যাচ্ছে গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) পছন্দ করছেন ৭৬ শতাংশ মানুষই। ২৯ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর এর মধ্যে এই সমীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করে ‘মর্নিং কনসাল্ট’ নামের  মার্কিন সংস্থা।

    বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মোদি

    তবে শুধুমাত্র ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসেই নয়। এর আগেও একাধিক সংস্থার রিপোর্টে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেছেন নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন দেশে তাঁর বক্তব্য শুনতে উপচে পড়তো ভিড়। একই ছবি দেখা গিয়েছে অন্য দেশেও। দুবাই থেকে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা— সর্বত্রই সমানভাবে জনপ্রিয় মোদি (Narendra Modi)। তা ফের প্রমাণ হল এই আন্তর্জাতিক রিপোর্টে।

    বিশ্বের বাকি রাষ্ট্রনেতারা কে কোন স্থানে?

    এদিকে এই সমীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মেক্সিকোর অ্যান্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৬৬ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে আছেন সুইৎজারল্যান্ডের অ্যালেইন বারসেট। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৫৮ শতাংশ। এরপর তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৪৯ শতাংশ। এরপরই তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৪৭ শতাংশ। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৪১ শতাংশ। এই তালিকায় অষ্টম স্থানে আছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তালিকায় নবম স্থানে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা মাত্র ৩৭ শতাংশ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক ঠাঁই পাননি প্রথম দশে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস নেতার বাড়িতে আয়কর হানা, ‘‘লুটের টাকা ফেরত দিতেই হবে’’, ট্যুইটবাণ মোদির

    PM Modi: ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস নেতার বাড়িতে আয়কর হানা, ‘‘লুটের টাকা ফেরত দিতেই হবে’’, ট্যুইটবাণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের ২৫ জায়গায় হানা দিয়ে আয়কর দফতর উদ্ধার করেছে ২০০ কোটিরও বেশি টাকা। বেআইনিভাবে দেশি মদ বিক্রির এই কারখানার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের রাজ্য় সভার সাংসদ ধীরজ শাহুর। এনিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়েছে তল্লাশির সময়। দেশের মানুষের টাকার ওই বান্ডিল দেখা উচিত এবং তারপর ওই দলের নেতাদের সততার ভাষণটাও শোনা উচিত। জনগণের কাছ থেকে যা লুট করা হচ্ছে, তার প্রত্যেকটি পয়সা ফেরত দিতে হবে। এটাই মোদির (PM Modi) গ্যারান্টি।’’

    ১২ সদস্যের আয়কর দল হানা দেয় ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায়

    ১২ সদস্যের একটি দল, কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান চালায়। বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড (বিডিপিএল) এস শিব গঙ্গা অ্যান্ড কোম্পানি, এবং রানিসাটি প্যাডি প্রসেসিং প্রাইভেট লিমিটেড-এর অফিসে চলে এই হানা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের পরে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তা স্টেট ব্যাঙ্কের বুলাঙ্গীর শাখায়  নিয়ে আসেন একটি ট্রাকে করে।

    কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদের যোগ

    জানা গিয়েছে, মোট ১৫০ কোটি টাকায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড (বিডিপিএল) এর বিভিন্ন শাখা থেকে। এই বিডিপিএল-ই হল দেশের মধ্যে সবথেকে বড় মদ তৈরির কারখানা। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে ওড়িশার বাইরেও এই সংস্থা দেশি মদ বিক্রি করছে কোনও রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড (বিডিপিএল)-এর সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ শাহুর সঙ্গে।

    টাকা গুনতে নাস্তানাবুদ আয়কর আধিকারিকরা

    গত তিনদিন ধরে আয়করের এই তল্লাশি চলছে। এত বিপুল পরিমাণ টাকা, যে গুনতেই হিমসিম অবস্থা আয়কর আধিকারিকদের। ৩৬টি টাকা গোনার মেশিন এনেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্য়েই, শনিবার আরও টাকা উদ্ধার হওয়ার খবর মিলেছে। মদের কারখানার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে ১৯ ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খবর, আয়কর আধিকারিকরা অনুমান করছেন এই টাকার পরিমাণ প্রায় ২০-২৫ কোটি হতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: এবার ছুটবে বালুরঘাট-শিয়ালদা নয়া ট্রেন, রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ সুকান্তর

    Indian Railway: এবার ছুটবে বালুরঘাট-শিয়ালদা নয়া ট্রেন, রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কথা রাখল ভারতীয় রেল। উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা আসার জন্য পাওয়া গেল নতুন ট্রেন। শুক্রবারই শিয়ালদা থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত নতুন এই ট্রেনের ঘোষণা করেছে রেল (Indian Railway)। কবে থেকে তা চালু হবে সেটা অবশ্য বলা হয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে রেল সুত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই নতুন এই ট্রেনের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গ থেকে মানুষদের কলকাতা আসার পথ খুলে যাবে।

    কোন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে ট্রেনটি?

    রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যে ট্রেনটি (Indian Railway) ঠিক কোন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে? প্রতিদিনই শিয়ালদা স্টেশন থেকে নতুন এই ট্রেন ছাড়বে রাত্রি সাড়ে দশটায়। বালুরঘাট পৌঁছাবে পরের দিন ঠিক সকাল আটটায়। ভোর পাঁচটা চল্লিশ মিনিটে মালদা স্টেশনে থামবে। দক্ষিণবঙ্গে আরও স্টেশনে থামবে ট্রেনটি। যাত্রা পথে নৈহাটি, ব্যান্ডেল, নবদ্বীপ ধাম, কাটোয়া আজিমগঞ্জ, জঙ্গিপুর রোড, নিউ ফারাক্কা, মালদা টাউন, একালাখি, গাজোল, বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর, রামপুর স্টেশনে ট্রেনটি থামবে বলে জানা গিয়েছে। বালুরঘাট পর্যন্ত ট্রেন অবশ্য সেভাবে কিছু চালু নেই। গৌড় এক্সপ্রেস ট্রেনও (Indian Railway) সরাসরি বালুরঘাট পর্যন্ত যায় না। লিঙ্ক ট্রেন হিসেবে অন্য ট্রেন যায়। অনেকে আবার বাসেও চলে যান মালদা টাউন থেকে। এতে অনেকের সময়ও খরচ হয়। কিন্তু নতুন এই ট্রেন সরাসরি বালুরঘাট থেকে কলকাতা পর্যন্ত যাতায়াত করবে। 

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    নতুন এই ট্রেন (Indian Railway) পাওয়ার বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দাদের বহুদিনের দাবি হল একটা ট্রেন। সেটা সত্যি হতে চলেছে। কলকাতা এর ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষদের আরও কাছে চলে আসবে বলে মন্তব্য বালুরঘাটের সাংসদের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘বালুরঘাটের সাংসদ এবং বাসিন্দা হিসাবে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিন বৈষ্ণবকে জানাই ধন্যবাদ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষের জন্য একটি খুশির খবর। অবশেষে দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হল। সেই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারায় আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: লোকসভা থেকে মহুয়ার বহিষ্কার নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর! কী বললেন সুকান্ত?

    Mahua Moitra: লোকসভা থেকে মহুয়ার বহিষ্কার নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর! কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা থেকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বহিষ্কারের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে তাঁকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে মহুয়া দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করেছেন। তাঁর আরও কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত, অভিমত  রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। 

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    মহুয়ার কালী বিতর্ক অত্যন্ত পুরনো। কানাডার একটি তথ্য চিত্রের পোস্টারে কালীর ছবি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। মহুয়া মৈত্র কালীর শাক্ত আচারে পুজো সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। এদিন পরোক্ষে সেই প্রসঙ্গ উসকে দিয়ে  বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ‘ভগবানকে নিয়ে অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করবেন না। তাঁর ক্রোধ আপনাকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে। জয় মা কালী। তুমি তাঁর মহিমাকে ছোট করতে পারবে না। বরং তাঁর প্রকোপে তুমি মুছে যাবে।’ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করায় শুক্রবার লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। ২ ঘণ্টা আলোচনার পর ধ্বনীভোটে গৃহীত হয় সহবৎ সমিতির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকরের পেশ করা প্রস্তাব।

    সুকান্তর অভিমত

    এদিন সুকান্ত বলেন, ‘মহুয়াকে বহিষ্কার অনৈতিক হয়ে থাকলে দেশের সমস্ত সাংসদের বাড়ির দরজায় রেট চার্ট টাঙিয়ে দেওয়া উচিত। সুকান্ত মজুমদারকে দিয়ে প্রশ্ন করাতে হলে প্রশ্নপ্রতি ১০ হাজার। সৌগত রায় যেহেতু অনেক দিনের সংসদ তাই তাঁর ১৫ হাজার। মহুয়া মৈত্র যখন দেশে ছিলেন তখন তাঁর আইডি দিয়ে বিদেশ থেকে লগ ইন হয়েছে। উনি নিজে স্বীকার করেছেন যে উপহারের বিনিময়ে প্রশ্ন করেছেন। ওনাকে সহবৎ সমিতির সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উনি নিজের সমর্থনে বক্তব্য রেখেছেন। তার পর ওনাকে প্রশ্ন করা হলে উনি পালিয়ে গিয়েছেন। এখন উনি দাবি করছেন সংসদে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। লোকসভা চলে রুল বুক অনুসারে। মহুয়া মৈত্রের ইচ্ছায় লোকসভা চলে না। লোকসভার রুল বুকে এরকম কোনও অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Putin to Modi: ‘মোদিকে ভয় দেখানোর কথা ভাবতেও পারি না’, বললেন মুগ্ধ পুতিন

    Putin to Modi: ‘মোদিকে ভয় দেখানোর কথা ভাবতেও পারি না’, বললেন মুগ্ধ পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতির জন্য ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক ক্রমশ উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি এই মত প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশের স্বার্থে মোদির ‘কঠোর’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি।  সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে নিয়ে পুতিন বলেন, ‘ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক সবদিক দিয়েই আরও দৃঢ় হচ্ছে। এই নীতির সবথেকে বড় গ্যারান্টি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে।’

    কী বললেন পুতিন

    সম্প্রতি পুতিনের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রুশ নেতা হিন্দিতে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছেন। পুতিন নিজে অবশ্য হিন্দি বলেননি। রুশ ভাষায় তাঁর বলা কথাগুলি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়েছে। ওই ভিডিও-তেই মোদির নীতির প্রশংসা করেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, “সত্যি বলতে গেলে, ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তাঁর কঠোর অবস্থান দেখে মাঝে মাঝে আমি বিস্মিত হই।” তিনি জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তার ভিত্তিতেই তাঁর মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে বা ভয় দেখাতে পারে না। পুতিন বলেন, “আমি কল্পনাও করতে পারি না যে মোদিকে ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে ভারত ও ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে বা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা যেতে পারে। আমি জানি তাদের উপর এমন চাপ রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই ভারত-রুশ সম্পর্কে ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। তবে পশ্চিমী দেশগুলির চাপের মুখে মাথা নত করেনি মোদি সরকার। জ্বালানি তেল কেনা প্রসঙ্গে ভারত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, দেশের জনগণের স্বার্থে সস্তায় তেল পেলে, তা কেনা হবেই। এমনকী যুদ্ধের সমালোচনা করলেও রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটাভুটি থেকে ধারাবাহিক ভাবে বিরত থেকেছে ভারত। দিন কয়েক আগেই, ভারত-রুশ সম্পর্ক নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, এই সম্পর্ক ভারতকে অতীতে বহুবার বহু সমস্যা থেকে রক্ষা করেছে। এই আবহে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখে ফের ভারত বন্দনা শোনা গেল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে মোদি-নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন পুতিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Junior Mahmood: প্রয়াত বর্ষীয়ান কৌতুক অভিনেতা ‘জুনিয়র মেহমুদ’

    Junior Mahmood: প্রয়াত বর্ষীয়ান কৌতুক অভিনেতা ‘জুনিয়র মেহমুদ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন কিংবদন্তী অভিনেতা নঈম সৈয়দ (Naeem Sayyed)। চলচ্চিত্র জগতে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘জুনিয়র মেহমুদ’ (Junior Mahmood) নামে। ‘মেরা নাম জোকার’, ’হাথি মেরে সাথি’, ’কারাভান’-এর মতো একাধিক সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। পাঁচ দশক ধরে চলচিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। মাত্র ৬৭ বছর বয়সে ক্যানসার কেড়ে নিল প্রাণ।

    শিশু শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা

    ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নঈম। কিছু দিন আগে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।  শুক্রবার ভোরবেলা মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পাঁচ দশকের অভিনয় জীবনে ২৫০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছিলেন নঈম। এর মধ্যে ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘মেরা নাম জোকার’, ‘পরওয়ারিশ’, এবং ‘দো অর দো পাঁচ’-এর মতো বহু সফল ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। ১৯৬৭ সালে সঞ্জীব কুমার, বলরাজ সাহানী এবং ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘নৌনিহাল’ ছবিতে শিশু অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন নঈম। শিশু শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তাও লাভ করেন তিনি। তাঁর নাম জুনিয়র মেহমুদ হয় ১৯৬৮ সাল থেকে। যখন তিনি মেহমুদের সঙ্গে ‘সুহাগ রাত’ সিনেমায় কাজ করেছিলেন, তখন থেকে তিনি এই নামে পরিচিত। শুধুমাত্র সিনেমা নয় বিভিন্ন জনপ্রিয় সিরিয়ালেও কাজ করেছিলেন নঈম।

    আরও পড়ুন: আত্মহত্যা না খুন! চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট জিনপিং

    শোকস্তব্ধ বলিউড

    অভিনেতার ছোট ছেলে জানিয়েছেন, ক্যানসারের কারণে মাত্র ১ মাসেই তাঁর ৩০-৪০ কেজি ওজন কমে গিয়েছিল। গত ১৭ দিন ধরে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তিনি গেছেন। মাত্র ১৮ দিন আগে তাঁরা অভিনেতার ফোর্থ স্টেজ ক্যানসারের ব্য়াপারে জানতে পারে। সেই মূহুর্তে তাঁদের হাতে করার মতো কিছুই ছিল না। ডাক্তারই তাঁদেরকে বলেছিলেন বাড়িতে রেখে অভিনেতার খেয়াল রাখতে। মেডিক্যাল রিপোর্টে জানা যায়, অভিনেতা লিভার ও ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁর অন্ত্রে একটি টিউমার ছিল। জন্ডিসেও ভুগছিলেন তিনি। শুধু কৌতুকশিল্পী হিসাবে নয়, পরে পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবেও দর্শকদের বিনোদন জুগিয়ে গিয়েছেন জুনিয়র মেহমুদ। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিনেমা-সিরিয়ালে চুটিয়ে অভিনয় করে গিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলিউড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China: আত্মহত্যা না খুন! চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট জিনপিং

    China: আত্মহত্যা না খুন! চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট জিনপিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে জনসমক্ষে দেখা যায়নি চিনের (China) প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে (Qin Gang)। ২৫ জুন বেজিংয়ে শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কিন গ্যাং। তারপর থেকেই তাঁকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের মৃত্যুসংবাদ। অথচ, তাঁর মৃত্যু হয়েছে মাস পাঁচেক আগে। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে বেজিংয়ের হাসপাতালে কিন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। কী ভাবে এই মৃত্যু, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। অনেকে আবার মনে করছেন, অত্যাচার করে তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। আসলে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping ) কী করছেন তা গোপনই থেকে যাচ্ছেয তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাব বারবার সামনে এলেও, প্রমাণ আড়াল করা হচ্ছে, মত বিশেষজ্ঞদের।

    কে ছিলেন কিন গ্যাং

    গ্যাং ছিলেন চিনের রাজনীতিতে উদীয়মান নক্ষত্র। সারা জাগিয়ে শুরু করেও কেন এভাবে পতন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে ময়নাতদন্ত। চিনের রাজনীতিতে বিতর্কিত এবং বর্ণময় চরিত্র এই কিন গ্যাং। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির দাপুটে রাজনীতিবিদ ছিলেন। মাস ছয়েক সামলেছেন বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব। গত জুলাই মাসে কিনকে বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। অপসারণের পরেই কিনের মৃত্যু হয়। গত ২৫ জুলাই প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে (Wang Yi) ফের মন্ত্রকের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই সময়ে চিনা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কিন গ্যাং। যদিও পরে সরকারি নথিপত্র-সহ সমস্ত জায়গা থেকেই সরিয়ে নেওয়া হয় এই কথা। তারপর থেকেই চিনা প্রশাসন থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে কিন গ্যাংয়ের অস্তিত্ব।

    কী করেন কিন

    দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একটি রিপোর্টে কিনের পরকীয়ার কথা উল্লেখ করেছিল। আমেরিকায় চিনের রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা পালন করেছিলেন কিন। সেই সুবাদে দীর্ঘ দিন আমেরিকায় ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই তাঁর সঙ্গে এক মার্কিন তরুণীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিনের এই পরকীয়া সম্পর্কের কথা সামনে আসতেই বিপদে পড়েন জিনপিং ঘনিষ্ঠ কিন। মনে করা হয় তিনি তাঁর প্রেমিকার কাছে চিন সরকারের গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন। কিনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছিল। জুলাই মাসে কিনকে বিদেশ মন্ত্রক থেকে সরিয়ে দেন জিনপিং। তার পর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়। 

     লি খেচিয়াং-এর মৃত্যু

    গত অক্টোবর মাসে মারা যান চিনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লি খেচিয়াং। দশ বছর ধরে চিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট তথা কমিউনিস্ট পার্টির আজীবন সদস্য শি জিনপিংয়ের সঙ্গে লি খেচিয়াংয়ের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিতেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অবসর নেন খেচিয়াং। এরপর সাংহাইতে আচমকাই সুইমিং পুলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁর মৃত্যুও রহস্যাবৃত।

    আরও পড়ুন: করাচিতে গুলিতে নিকেশ কাশ্মীর হামলার মাথা, ২৬/১১-এর ষড়যন্ত্রীর শরীরে বিষক্রিয়া

    লি স্যাংফু নিখোঁজ

    লি স্যাংফু হলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরোধী লবির সদস্য। চিনের সঙ্গে আফ্রিকার শান্তি ও সুরক্ষা ফোরামের একটি বৈঠক হয়েছিল বেজিংয়ে, সেটা ছিল ২৯ অগাস্ট। তখনই শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে (Chinese Defence Minister)। লি পার্টির স্টেট কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি সেখান থেকে তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে। তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি।

    প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট

    এক এক করে কীভাবে গায়েব হয়ে যাচ্ছেন চিনা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা? সত্যিই কি তাঁরা নিখোঁজ? নাকি চিনা কমিউনিস্ট শাসনে তাঁদের গোপনে হত্যা করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনে নিরঙ্কুশ আনুগত্য নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর আমলেই ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে অর্থনীতির গ্রাফ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও তাইওয়ান ইস্য়ুতে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে খবর, এহেন পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার নামে দলের মধ্যে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের এক এক করে নির্মূল করছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। লি ও কিন বারবার তাঁর একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। অনেকেরই অনুমান সেই কারণে দু’জনকে গুম খুন করে থাকতে পারেন জিনপিং।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ৩ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে বিজেপি নিয়োগ করল ৯ পর্যবেক্ষক, কে কোথায় দায়িত্ব পেলেন?

    BJP: ৩ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে বিজেপি নিয়োগ করল ৯ পর্যবেক্ষক, কে কোথায় দায়িত্ব পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটেই বিপুল জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। গত ৩ ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় রাজস্থান এবং ছত্তিসগড়কে কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি (BJP)। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশেও বেড়েছে জয়ের ব্যবধান। চলছে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই পর্ব। শুক্রবারই তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল বিজেপি। জানা গিয়েছে, তিন রাজ্যে মোট ৯ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি।

    কোন রাজ্যের কে পর্যবেক্ষক হলেন?

    রাজস্থানের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওরে এবং রাজ্যসভার সাংসদ সরোজ পান্ডে। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই তাঁরা রাজস্থানে গিয়ে বিধায়ক দলের সঙ্গে কথা বলবেন। অন্যদিকে, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, বিজেপির ওবিসি মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি কে লক্ষণ এবং বিজেপির জাতীয় সম্পাদক আশা লাখরাকে মধ্যপ্রদেশের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আশা লাখরা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে, বিজেপিরও সহ পর্যবেক্ষক রয়েছেন। ছত্তিসগড়ের পর্যবেক্ষক হিসেবে নাম রয়েছে কৃষি ও আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, জাহাজ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক দুষ্মন্ত কুমার গৌতমের। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর পর্যবেক্ষকরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যে গিয়ে বিধায়ক দলের সঙ্গে কথা বলার রাজস্থান মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর নাম সুপারিশ করবেন তারা। এরপরেই শেষ সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    কোন রাজ্যে কে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে?

    মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে শিবরাজ সিং চৌহ্বান মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তো রয়েছেন। এর পাশাপাশি সেখানে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও নরেন্দ্র সিং তোমরের। ছত্তিসগড় রাজ্যের ক্ষেত্রে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের নাম যেমন রয়েছে তেমনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি অরুন কুমার সাউ, বিরোধী দলনেতা ধর্মলাল কৌশিক, প্রাক্তন আইএএস অফিসার ওপি চৌধুরীর নামও সেখানে রয়েছে। অন্যদিকে, রাজস্থানের ক্ষেত্রে দৌড়ে রয়েছেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। এর পাশাপাশি সাংসদ দিয়া কুমারী, সাংসদ মহন্ত বালকনাথ যোগী, রাজ্যবন্ধন সিং রাঠোরও দৌড়ে রয়েছেন। তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, অশ্বিনী বৈষ্ণব, অর্জুন রাম মেঘওয়ালের নামও উঠে আসছে। এর পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নামও রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cash For Query Scam: খারিজ হল মহুয়ার সাংসদ পদ, ধ্বনিভোটে পাশ বহিষ্কারের প্রস্তাব

    Cash For Query Scam: খারিজ হল মহুয়ার সাংসদ পদ, ধ্বনিভোটে পাশ বহিষ্কারের প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা হওয়ার ছিল, সেটাই হল। ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্নকাণ্ডে (Cash For Query Scam) লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra Expelled)। এদিন লোকসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে খারিজ করা হয় মহুয়ার সদস্যপদ। তার আগে, আধ ঘণ্টা এই বিষয়ে আলোচনা হয় সংসদের নিম্নকক্ষে। 

    সময় বরাদ্দ ৩০ মিনিট

    মহুয়া (Mahua Moitra Expelled) নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট এদিন বেলা ১২টা নাগাদ লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল (Cash For Query Scam)। রিপোর্ট পেশ করেছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ কুমার সোনকর। এথিক্স কমিটির রিপোর্টে করা সুপারিশে বলা হয়েছিল, ‘‘মহুয়া যে অবৈধ ভাবে টাকা নিয়েছেন, তা প্রতিষ্ঠিত সত্য। সেটি অস্বীকার করার জায়গাই নেই। সাংসদ হিসাবে তাঁর আচরণ অনৈতিক। সেই কারণে লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কৃত করা উচিত বলে মনে করে এথিক্স কমিটি। পাশাপাশি তিনি যে অপরাধ করেছেন, সরকারের তরফে তার আইনি তদন্তও করা দরকার।’’ এদিকে, রিপোর্ট পেশ হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভার অধিবেশন। সভা জুড়ে তুমুল হই-হট্টগোল বাঁধিয়ে দেন বিরোধীরা। স্লোগান দিতে শুরু করেন। রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে তৃণমূল। চেঁচামেচির জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।  পরে, দুপুর ২টোয় অধিবেশন পুনরায় শুরু হলে এদিন মহুয়ার স্বপক্ষে কথা বলেন ইন্ডি-জোটের অন্যতম শরিক দল কংগ্রেস। অধীর দাবি করেন, এই রিপোর্ট পড়তে সময় লাগবে। ভাল করে পড়ে এটা নিয়ে চর্চা করা উচিত। রিপোর্ট পড়ার জন্য তিন-চার দিন সময় চেয়ে বসেন আরেক কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি।

    মহুয়াকে থামিয়ে দিলেন স্পিকার

    কিন্তু, স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়ে দেন, এই ইস্যুতে (Cash For Query Scam) কক্ষে আলোচনার জন্য ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা যেতে পারে। সেই অনুযায়ী, লোকসভায় শুরু হয় মহুয়া-চর্চা। সেই সময় কক্ষে বসেছিলেন মহুয়া। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ জানান, তৃণমূলের তরফে তিনি কথা বলবেন না। কথা বলবেন মহুয়া নিজে। মহুয়া এর পর বলার চেষ্টা করলে, স্পিকার তাঁকে থামিয়ে দেন। প্রাক্তন লোকসভা স্পিকার প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উদাহরণ টেনে এদিন কৃষ্ণনগরের সাংসদের (Mahua Moitra Expelled) উদ্দেশে ওম বিড়লা জানান, মহুয়া আগে এথিক্স কমিটির সামনে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। তাই আবার তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে না। মহুয়ার বলার প্রচেষ্টায় বাধা দেয় বিজেপিও। বিজেপি তার বিরোধিতা করে। অপরাজিতা সরঙ্গি বলেন, ‘‘মহুয়াকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সুযোগ পেলেও তখন কিছু বলেননি। ওয়াক আউট করে গিয়েছিলেন।’’ এর পরই, নিজের আসনে বসে পড়েন মহুয়া। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আলোচনার পর স্পিকার এথিক্স কমিটির সুপারিশের (Cash For Query Scam) ওপর বিজেপির আনা ভোটাভুটির প্রস্তাব পেশ করেন স্পিকার। ধ্বনিভোটে প্রস্তাব পাশ হওয়ায় লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra Expelled)। এর পর, স্পিকার সকল সদস্যের উদ্দেশে পরামর্শ দেন, সকলে যেন তাঁদের প্রশ্ন নিজেই তৈরি করেন। অন্য কাউকে প্রশ্ন তৈরি করতে যেন দেওয়া না হয়। এই নিয়ম না মানলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন স্পিকার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share