Tag: Madhyom

Madhyom

  • Rajasthan Bandh: ‘রাজস্থানে-রক্তপাত’! কার্ণি সেনার প্রধানের মৃত্যু, আজ দিনভর বনধের ডাক

    Rajasthan Bandh: ‘রাজস্থানে-রক্তপাত’! কার্ণি সেনার প্রধানের মৃত্যু, আজ দিনভর বনধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনেদুপুরে বাড়িতে ঢুকে রাষ্ট্রীয় রাজপুত কার্ণি সেনার (Karni Sena) প্রধানকে খুন করল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। সুখদেব সিং গোগামেদিকে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজস্থানে (Rajasthan) উত্তেজনা ছড়ায়। খুনের প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বুধবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই খুনের দায় স্বীকার করেছে গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার গোষ্ঠী।

    কী ঘটেছিল

    জয়পুর পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামনগর এলাকায় সুখদেবের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে খুন করে কয়েক জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, নিহত নেতার সামনে বসে রয়েছে কয়েক জন। গোগামেদি যখন নিজের ফোন দেখতে ব্যস্ত, সেই সময় হঠাৎই উঠে দাঁড়িয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন তাঁরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোগামেদিকে লক্ষ্য করে মোট ৫টি গুলি চালানো হয়। শেষ গুলিটি নিহতের মাথায় লাগে। তিন জন সশস্ত্র দুষ্কৃতীর মধ্যে এক জনকে পাল্টা গুলি চালিয়ে হত্যা করেন গোগামেদির এক নিরাপত্তারক্ষী। বাকি দু’জন চম্পট দেয়। রাজপুত নেতার হত্যার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চুরু, উদয়পুর, আলওয়ার, যোধপুরের নানা জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।

    প্রতিবাদ-বিক্ষোভ

    পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই  কার্ণি সেনার প্রধান সুখদেব সিং গোগামেদিকে খুনের হুমকি দিয়েছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য সম্পত নেহরা। পুলিশেও এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরই মঙ্গলবারের ভয়ঙ্কর হত্যালীলা। রাষ্ট্রীয় রাজপুত কার্ণি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গোগোমেদির হত্যার তদন্তের দাবিতেই রাজস্থান জুড়ে আজ, বুধবার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের অন্যান্য সম্প্রদায়গুলিও এই বনধে সমর্থন জানিয়েছে।

    রাজপুত প্রভাবিত কার্ণি সেনার নরমপন্থী গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন গোগামেদি। খুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই জয়পুরে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় কার্ণি সেনার সদস্য ও সমর্থকরা। মেট্রো মাস হাসপাতালের বাইরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। মানসরোবর যাওয়ার পথ আটকেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। বহু দোকান জোর করে বন্ধ করিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ বিজেপির?

    PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ বিজেপির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরানোর চেয়ে নতুন মুখেই ভরসা বেশি তাঁর। তাই গোবলয়ের যে তিন রাজ্যে উড়েছে বিজেপির বিজয় কেতন, সেই তিন রাজ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন মুখকেই বেছে নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নতুন বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখেই নতুন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে ওই তিন রাজ্যে।

    প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক

    এই রাজ্যগুলির কুর্সিতে কাকে বসানো হবে, তা নিয়ে বুধবার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রবিবারই ফল ঘোষণা হয়েছে চার রাজ্যের। এর মধ্যে কেবল তেলঙ্গানা ছাড়া বাকি তিন রাজ্যের রশি গিয়েছে বিজেপির হাতে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ের কুর্সিতে কাকে বসানো হবে, তা নিয়েই চলছে ম্যারাথন বৈঠক। 

    মুখ্যমন্ত্রী পদে কে কে?

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার অনেকে।এঁদের মধ্যে রয়েছেন মরুরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াও। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেও বসানো হতে পারে ওই পদে। আবার রামচন্দ্রের বংশধর দিয়া কুমারিকেও বসানো হতে পারে ওই পদে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিপি জোশীও। মধ্যপ্রদেশের কুর্সিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বসিয়ে চমক দিতে পারেন বিজেপির শীর্ষ (PM Modi) নেতৃত্ব। কংগ্রেসের মেরুদণ্ড ভাঙতে বসানো হতে পারে সোনিয়ার দলের প্রাক্তনী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন প্রহ্লাদ প্যাটেল এবং নরেন্দ্র সিং তোমারও।

    আরও পড়ুুন: মহাদেব বেটিং অ্যাপকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বাবার দেহ উদ্ধারে রহস্য

    ছত্তিসগড়ের কুর্সিতে বসানো হতে পারে প্রাক্তন আইএএস আধিকারিক ওপি চৌধুরীকে। দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিংহ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি অরুণকুমার সাউ-ও। এর আগে উত্তরপ্রদেশের কুর্সিতে যোগী আদিত্যনাথকে বসিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেবার কেউ ভাবতেই পারেননি, রাজনীতিতে আনকোরা নাথ সম্প্রদায়ের এই যোগীকেই বসানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। এবারও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) তেমন কোনও চমক দিতে পারেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahadev Betting Apps: মহাদেব বেটিং অ্যাপকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বাবার দেহ উদ্ধারে রহস্য

    Mahadev Betting Apps: মহাদেব বেটিং অ্যাপকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বাবার দেহ উদ্ধারে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে মহাদেব বেটিং অ্যাপ (Mahadev Betting Apps) বিতর্ক। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল মূল অভিযুক্তের বাবার দেহ। মৃতের নাম সুশীল দাস। ছত্তিসগড়ের ঘটনায় দানা বাঁধছে রহস্য।

    কুয়ো থেকে উদ্ধার দেহ

    ৩ নভেম্বর গ্রফতার করা হয় মহাদেব বেটিং অ্যাপ চক্রের অন্যতম মূল অভিযুক্ত অসীম দাসকে। ইডির দাবি, মহাদেব ওই ব্যাটিং অ্যাপের মালিক আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নগদ টাকা লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে অসীমের বিরুদ্ধে। এহেন অসীমের বাবা সুশীল দাস নিখোঁজ ছিলেন গত দু’দিন ধরে। মঙ্গলবার দুর্গের আন্ডা থানার আছোটি গ্রামের একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় বছর বাষট্টির সুশীলের দেহ। পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন সুশীল। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

    বাঘেলকে টাকা দিয়েছিলেন!

    ছত্তিসগড় বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে রবিবার। রাজ্য জয় করেছে বিজেপি। ঘটনাচক্রে এদিন বিকেল থেকেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি সুশীলকে। স্থানীয় একটি নিরাপত্তারক্ষী সংস্থার কর্মী সুশীল কোথায় গেলেন, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন তাঁর পরিবারও। শেষমেশ কুয়ো থেকে মিলল দেহ। জানা গিয়েছে, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর নানা বিস্ফোরক (Mahadev Betting Apps) দাবি করেছিলেন অসীম। তদন্তকারীদের জেরায় তিনি জানিয়েছিলেন, ছত্তিসগড়ের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের কাছে ৫০৮ কোটি টাকা সরবরাহ করেছিলেন তিনি। অসীমের আরও দাবি, তিনি ইংরেজি জানেন না। তাই ইডি তাঁকে দিয়ে মিথ্যা বয়ানে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: পাশে আফজলের ছবি, সংসদ ভবন ওড়ানোর হুমকি দিল খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুন

    অসীমকে যেদিন গ্রেফতার করা হয়, সেদিন পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ছত্তিসগড় পুলিশের কনস্টেবল ভীম সিং যাদবকেও। সেদিন ধৃতদের কাছ থেকে নগদ ৫ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। মহাদেব বেটিং অ্যাপের মালিকরা ভূপেশকে ৫০৮ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও ইডির জেরায় কবুল করেছেন অসীম। বিতর্ক দানা বাঁধতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে অসীম দাবি করেন, তিনি কাউকে কোনও টাকাই দেননি। ইংরেজি জানেন না বলেই ইংরেজিতে লেখা নথিতে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে তাঁকে দিয়ে। এনিয়ে ইডির ডিরেক্টরকে চিঠিও লেখেন অসীম।

    এসব নিয়েই যখন সরগরম রাজ্য-রাজনীতি, সেই সময় সুশীলের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং পরে দেহ উদ্ধার হওয়ায় ঘনাচ্ছে রহস্য। প্রসঙ্গত, এই বেটিং চক্রে (Mahadev Betting Apps) নাম জড়িয়েছে সানি লিওনি, শ্রদ্ধা কাপুর, রণবীর কাপুর, কপিল শর্মা, নেহা কক্কর, বিশাল দাদলানি সহ টিনসেল টাউনের একাধিক নামী-দামি তারকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2024 LS Polls: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    2024 LS Polls: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (2024 LS Polls) কয়েক মাস আগে তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজয় নিশান উড়িয়ে দেশের রাজনৈতিক ময়দানে নিজদের কর্তৃত্ব প্রমাণ করেছে বিজেপি (BJP)। শুধু কথার কথা নয় তা। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১২টিতেই শাসক বিজেপি। আরও চারটি রাজ্যে জোট বেঁধে শাসক শিবিরে রয়েছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেসের শাসিত রাজ্যের সংখ্যা মাত্র ৩— কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ ও সদ্য জয় করা তেলঙ্গানা।

    কী বলছে পরিসংখ্যান

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের করা পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় প্রথমবার আসার পর কীভাবে ধীরে ধীরে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে গেরুয়া-ঝান্ডা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি দেশের মোট ভূমি এলাকার ৫৮ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ নিয়ে গঠিত। অন্যদিকে, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি দেশের মোট ভূমি এলাকার ৪১ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ নিয়ে গঠিত।

    মোদির মুখে ‘হ্যাটট্রিক’ তত্ত্ব

    ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিজেপির (BJP) এই তিন রাজ্য যথা— মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগড় জয় লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় প্রভাব ফেলবে জনমানসে এবং রাজনৈতিক রণাঙ্গণে। ফলাফল বের হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেই দিয়েছেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 LS Polls) বিজেপি যে ‘হ্যাটট্রিক’ করতে চলেছে, তা নিশ্চিত করেছে বিধানসভা নির্বাচনে দলের এই ‘হ্যাটট্রিক’। তিন রাজ্যে দলের জয়কে সুশাসন ও স্বচ্ছতার প্রতিফলন হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

    অর্ধেক লোকসভা বিজেপির দখলে

    এই তিন রাজ্য জয়ের ফলে, লোকসভার নিরিখে ৫৪৩ আসনের প্রায় অর্ধেক বিজেপির (BJP) দখলে। ২০১৪ সালে, যখন প্রথমবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি, তখন দেশের কয়েকটি রাজ্যে শাসক ছিল বিজেপি। যার মধ্যে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া ও ছত্তিসগড় অন্যতম। সেখানে থেকে বিজেপি ধীরে ধীরে নিজেদের জমি শক্ত করেছে এবং প্রসারিত করেছে। এখন একক-সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং জোট মিলিয়ে ১৬টি রাজ্যের শাসনে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি হতে চলেছেন দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদ ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী (2024 LS Polls)।

    উল্লেখযোগ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চল

    তবে, বিজেপির (BJP) এই বিজয় যাত্রার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দলের নিশান প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হওয়া। ২০১৪ সালে, দেশের এই অংশে বিজেপির তেমন কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু, এখন তিন রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সরকার পরিচালনার দায়িত্বে বিজেপি। আরও তিন রাজ্যে জোট সরকার গড়ে ক্ষমতাসীন গেরুয়া-শিবির।

    ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির

    একদিকে যখন বিজেপি (BJP) বাড়ছে, তখন বিরোধী শিবিরে ছন্নছাড়া দৃশ্য। একা না পেরে বিজেপির মোকাবিলা করতে ২৬ বিরোধী দল জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, সেই জোটে চিড়। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে জোটের বৃহত্তম দল কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। তাতে গ্র্যান্ড-ওল্ড পার্টিকে খুবলোতে শুরু করেছে শরিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে, তারা করবে মোদির মোকাবিলা! ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 LS Polls) বিজেপির হ্যাটট্রিক যে হচ্ছেই, সত্যিই তা একপ্রকার নিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী তা বলেই দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India GDP: ভয় পাচ্ছে চিন! ২০৩০ সালেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় স্থান পেতে চলেছে ভারত?

    India GDP: ভয় পাচ্ছে চিন! ২০৩০ সালেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় স্থান পেতে চলেছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আাগামী ৭ বছরের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত (India GDP)। এমনই দাবি করেছে মার্কিন মূল্যায়ন সংস্থা এস অ্য়ান্ড পি গ্লোবাল (S&P)। চলতি অর্থবর্ষে এদেশের জিডিপি ৬.৪ শতাংশে পৌঁছবে। ২০২৬-এ তা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশ। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আমেরিকার ওই মূল্যায়ন সংস্থা। একই সঙ্গে আরেকটি মার্কিন মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজ-এর (Moody’s) রিপোর্ট বলছে, চিনের (China) অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেই ভাল নয়। তারা বিশ্ব অর্থনীতিতে চিনের রেটিং “স্টেবল” থেকে নামিয়ে “নেগেটিভ” করেছে।

    উৎপাদনশীল দেশ ভারত

    বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। নয়াদিল্লির সামনে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, জার্মানি ও জাপানের মতো সুপার পাওয়ার দেশ। এস অ্য়ান্ড পি গ্লোবালের (S&P) তরফে জানানো হয়েছে, এতদিন পর্যন্ত ভারতের অর্থনীতি ছিল পরিষেবামূলক। এবার সেখানেই বড় পরিবর্তন এসেছে। ধীরে ধীরে উৎপাদনশীল দেশে পরিণত হচ্ছে ভারত। যা অর্থনীতির দিক থেকে ভারতকে শক্তিশালী করছে। কয়েক বছরের মধ্যেই চিনের মতোই বিশ্বের অন্যতম বড় উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে ভারত। 

    ভারতের মার্কেট

    ঘরোয়া বাজারে ব্যবসায় প্রভূত লাভের কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশ হল ভারত (India GDP)। ফলে দেশীয় মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রির সুযোগ থাকছে। মার্কিন সংস্থার দাবি, জনবহুল দেশে সব সময়ই উদ্যোগপতিরা বেশি বিনিয়োগ করতে চান। কারণ সেখানে লোকসানের সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে। মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনীতির চাকা আরও দ্রুত গতিতে দৌড়বে। ফলে ২০৩০-এর মধ্যেই ভারত সারা বিশ্বে তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হিসেবে নিজের জায়গা পাকা করবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘দাদা আপনার বয়স হয়েছে’’! সৌগতকে ফের খোঁচা শাহের, কেন জানেন?

    চিনের বিপদ

    ভারত (India GDP) যেখানে এগিয়ে চলেছে, বিশ্ববিখ্যাত রেটিং এজেন্সি মুডিজ সেখানে চিন (China) ও তার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য বিপদের ঘণ্টা বাজিয়েছে।  সংস্থার সর্বশেষ রিপোর্ট, চিনের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক দিকে স্থানান্তর করেছে। উল্লেখ্য যে, চিন ইতিমধ্যেই তার ক্রমহ্রাসমান অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। এছাড়াও, সেখানকার রিয়েল এস্টেট সেক্টরও ক্রমাগত ভেঙে পড়ছে। এই পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই, বলে মত সংস্থার বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতিতে, মুডিজ (Moody’s) চিনকে সামগ্রিকভাবে ‘এ-১’ রেটিং দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, চিনের প্রপার্টি সেক্টর সমগ্র অর্থনীতির অনুপাতে ২০২১ সালে আগের চেয়ে ক্রমশ ছোট হবে। এর ফলেই ধাক্কা খাবে সে দেশের অর্থনীতি। অন্যদিকে, ভারতের ক্রমবর্ধমান জিডিপি চিনকে ভয় ধরাতে বাধ্য। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaumutra States Row: “গোমূত্র রাজ্যে জয়ী বিজেপি”, মন্তব্য ডিএমকের, “সনাতন ধর্মের অপমান”, বলছে বিজেপি

    Gaumutra States Row: “গোমূত্র রাজ্যে জয়ী বিজেপি”, মন্তব্য ডিএমকের, “সনাতন ধর্মের অপমান”, বলছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সনাতন ধর্মকে বেনজির আক্রমণ। এবারও কাঠগড়ায় সেই ডিএমকে। সনাতন ধর্মের অপমানের (Gaumutra States) জবাব দেবেন সাধারণ মানুষ, বলছে বিজেপি। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দি বলয়ে চোখ ধাঁধানো ফল করেছে বিজেপি। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তিন রাজ্যেই গোহারা হেরেছে কংগ্রেস।

    ইন্ডি জোটে রয়েছে ডিএমকে

    এই কংগ্রেস আবার বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত ইন্ডি জোটের প্রধান স্তম্ভ। এই জোটে রয়েছে ডিএমকেও। প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপির জয়ে গায়ে ফোস্কা পড়ার জোগাড় ডিএমকের। আজ, মঙ্গলবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ডিএমকে সাংসদ সেন্থিলকুমার এস বলেন, “মূলত হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলিতে নির্বাচনে জেতে বিজেপি। যে রাজ্যগুলিকে আমরা গোমূত্র রাজ্য (Gaumutra States Row) হিসেবে বিবেচনা করি। তোমরা কোনওদিন দক্ষিণে আসতে পারবে না। ওখানে আমরা খুব শক্তিশালী।” তিনি বলেন, “আপনারা যদি ওই সব রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে চান, তবে আমরা অবাক হব না। একমাত্র এই উপায়ে রাজ্যগুলির ওপর প্রভাব খাটাতে পারবেন আপনারা। কারণ ওই রাজ্যগুলিতে সরাসরি ক্ষমতা দখলের স্বপ্নপূরণ হবে না আপনাদের।”

    কী বলছে বিজেপি?

    ডিএমকে সাংসদের এহেন মন্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষি লেখি বলেন, “এটা সনাতন ধর্মের বড়সড় অপমান। যাঁরা দেশের মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে ছেলেখেলা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে যোগ্য জবাব দেবেন সাধারণ মানুষ।” পদ্ম সাংসদ অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, “বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় কষ্ট হচ্ছে বিরোধীদের। তাই বিকৃত মন্তব্য করা হচ্ছে।” এর আগেও একাধিকবার সনাতন ধর্মকে আক্রমণ শানিয়েছে ডিএমকে।

    সেপ্টেম্বর মাসেই স্ট্যালিন মন্ত্রিসভার সদস্য তথা জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা উদয়নিধি চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলার এই অনুষ্ঠানে আমায় আমন্ত্রণ জানানোয় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই। সনাতন ধর্মের আদর্শের বিরোধিতা না বলে তাকে নিশ্চিহ্ন করার কথা বলায় অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “আমাদের প্রথম কাজ হল বিরোধিতা নয়, সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলা। এই সনাতন প্রথা সামাজিক ন্যায় ও সাম্যের বিরোধী। করোনা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির যেমন বিরোধিতা নয়, তাদের নিশ্চিহ্ন করা প্রয়োজন, তেমনই সনাতন ধর্মের আদর্শকেও মুছে ফেলা দরকার (Gaumutra States Row)।”

    আরও পড়ুুন: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কার্শিয়ংয়ের কন্যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিবাহের আসরে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের পর কলকাতায় নিউটাউনের একটি হোটেলে ভোজের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়ের এলাহি আয়োজন নিয়ে এবার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর কথায়, ‘আগামী পরশু পিসির ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীমানের বিবাহবাসর বসতে চলেছে শৈলশহরে। প্রীতিভোজ দিন কয়েক পরে, নিউটাউনের বিলাসবহুল ব্যাঙ্কুয়েট হলে, যেখানে বিশিষ্ট শিল্পপতিদের সন্তানদের বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।’ শুভেন্দু দাবি করছেন, আগামী রবিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠানের এই কয়টা দিন কার্শিয়াং হাসপাতালের আঠাশজন চিকিৎসককে, সঙ্গে প্রায় সমসংখ্যক নার্স, ফার্মাসিস্ট ও অ্যাটেন্ড্যান্টদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে দুই শিফটে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশক কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘রাজবৈদ্যদের নিশিযাপনের জন্য যে শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে তা নাকি নিম্নমানের লজের বিছানারও অধম, এবং মধ্যাহ্নভোজনে যে ‘মিড-ডে মিল’ পরিবেশন করা হয়েছে, তা দেখে লজ্জা হয়।’ 

    এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকেও শুভেন্দু বলেন, ‘উনি নাকি গরীবের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আত্মীয়ের বিয়েবাড়িতে এই রকমের আয়োজন। মানুষ তো সব দেখছে।’ তাঁর কথায়, ‘পিসির পরিবার, জ্ঞাতি, আত্মীয় ও কুটুম্বদের বেশ কয়েকদিনের অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে চা-বাগিচা এলাকার পাঁচতারা হোটেল’ তবে অন্যদিকে, চিকিৎসকদের মোতায়েন করার বিষয়টি নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘এলাহি আয়োজনের ছিটেফোঁটা ভাগ কি এই ব্যাক্তিদের দেওয়া যেত না, যাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাধ্য করা হয়েছে ওখানে যেতে।’ এরই সাথে খাবারের একটি ছবিও দিয়েছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! তাণ্ডব অন্ধ্রপ্রদেশে, বাংলায় বুধবার থেকে বৃষ্টি

    উল্লেখ্য, বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক্তার পুত্র আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় (Abesh Banerjee)। পারিবারিক সূত্রে খবর, নিজের সহপাঠী প্রেমিকার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তিনি। বরকর্তা হচ্ছেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের এই রাজ-বিয়ে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা চলছে। এর মধ্যেই বিয়েতে সাহায্য করা সাধারণ কর্মীদের হাল নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! তাণ্ডব অন্ধ্রপ্রদেশে, বাংলায় বুধবার থেকে বৃষ্টি

    Cyclone Michaung: আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! তাণ্ডব অন্ধ্রপ্রদেশে, বাংলায় বুধবার থেকে বৃষ্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থলভাগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এবং মছলিপত্তনমের মাঝে বাপাটলা উপকূলে দুপুরে স্থলভাগে প্রবেশ করে মিগজাউম। অন্ধ্রের নেল্লোর এবং মছিলিপত্তনমের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করছে ঘূর্ণিঝড়টি। এই আবহে অন্ধ্র উপকূলে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। দমকা হাওয়ার বেগ ১১০ কিমিতে পৌঁছে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ অন্ধ্রের জন্য লাল সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।

    সতর্কতা জারি

    মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডব চলল অন্ধ্র উপকূলে। দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করে নেল্লোর এবং মছিলিপত্তনমের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি, নেল্লোর, প্রকাশম, বাপতালা, কৃষ্ণ, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসীমা ও কাকিনাড়া জেলায়। তেলঙ্গানার বহু জায়গাতেও আজ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশে উপকূলে। জারি হয়েছে সতর্ককা। মঙ্গলবার উপকূলবর্তী সব এলাকাতেই ভারী বৃষ্টি হবে। ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে চলেছে। দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। অন্যদিকে একাধিক বিমান বাতিল করেছে উড়ান সংস্থাগুলি। গতকাল চেন্নাইয়ে বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছিল। 

    কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মিগজাউম আছড়ে পড়ার আগেই টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পুদুচেরির বিস্তীর্ণ এলাকা। তেলঙ্গানা ও ওড়িশাকেও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া দফতরের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।  জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আগেভাগেই আটটি জেলায় সতর্কতা জারি করেছে। তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরি, কোনসিমা এবং কাকিনাদায় সকলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। পুদুচেরির উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বাড়ির বাইরে বেরতেই বারণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। 

    আরও পড়ুন: কলকাতায় শুরু বৃষ্টি! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম-এর পরোক্ষ প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে

    বাংলায় প্রভাব

    মিগজাউমের প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা বঙ্গে। বুধবার ও বৃহস্পতিবারে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। হলুদ সতর্কবার্তা জারি রয়েছে বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinese Websites: জালিয়াতি রুখতে পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ভারতে নিষিদ্ধ হচ্ছে শতাধিক চিনা ওয়েবসাইট

    Chinese Websites: জালিয়াতি রুখতে পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ভারতে নিষিদ্ধ হচ্ছে শতাধিক চিনা ওয়েবসাইট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েবসাইট খুলে দিব্যি চলছিল জালিয়াতি কারবার। চিনে বসেই ভারত থেকে লুটে নেওয়া হচ্ছিল কোটি কোটি টাকা (Chinese Websites)। সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসেছিলেন সাধারণ মানুষ। ভারত থেকে অবৈধভাবে লুটে নেওয়া টাকায় ফুলেফেঁপে উঠছিলেন ওয়েবসাইটগুলির চিনা মালিকরা। ঘটনাটি নজরে আসতেই দুর্নীতির মূলে কুঠারাঘাত করল কেন্দ্র।

    ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু

    ড্রাগনের দেশের লুটেরাদের খপ্পর থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে ১০০টিরও বেশি বিনিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করল নয়াদিল্লি। জানা গিয়েছে, এই বিনিয়োগ কেলেঙ্কারির সাইটগুলির মুখ ভারতীয়। তবে হাত ফের হয়ে লুটে নেওয়া অর্থ পৌঁছে যায় ওয়েবসাইগুলির (Chinese Websites) চিনা মালিকদের কাছে। এই সাইটগুলি ব্লক করতে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রের মতে, এই অ্যাপগুলি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছিল।

    অনলাইন প্রতারণা থেকে বাঁচতে কী করবেন? 

    কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন এই জালিয়াতি থেকে? প্রথমত, বিশ্বস্ত অ্যাপ ছাড়া অপরিচিত কোনও অ্যাপ ব্যবহার করবেন না। কেন্দ্রীয় সাইবার নিরাপত্তা সার্ট-ইন সংস্থার ‘ফ্রড অ্যালার্ট’, এসসিএসএপি-র ‘এমসেফ’ বা ‘অ্যান্টি-ফিশিং অ্যাপ’ ইনস্টল করুন। এই অ্যাপগুলি আপনাকে নিয়মিত সতর্ক করবে। দ্বিতীয়ত, ব্যক্তিগত তথ্য যত সম্ভব কম শেয়ার করুন। ফোন নম্বর, ইমেল অ্যাড্রেস এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো বিষয় শেয়ার করবেন না।

    তৃতীয়ত, সন্দেহজনক কোনও ইমেল এবং মেসেজ যেগুলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চায়, সেসব ইমেল ও মেসেজ এড়িয়ে চলুন। চতুর্থত, বিশ্বস্ত সোর্স যেমন, অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোরগুলি থেকেই ডাউনলোড করুন। আনভেরিফায়েড ওয়েবসাইটগুলি কখনওই ডাউনলোড করবেন না। পঞ্চমত, সফ্টওয়্যার আপডেট নিয়মিত মেনটেন করুন। এটা আপনার নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করবে। সর্বোপরি, উপযুক্ত ভেরিফিকেশন না করে কখনওই অনলাইনে কাউকে পেমেন্ট করবেন না (Chinese Websites)। 

    আরও পড়ুুন: মমতা-নীতীশদের অনুপস্থিতির জের! শরিক-ঘোঁটে ভেস্তে গেল ইন্ডি-জোটের বৈঠক?

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে ভারত সরকার ২৫০টির মতো চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। এই অ্যাপগুলি ভারতের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার পক্ষে ক্ষতিকর ছিল। এবার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে আরও শতাধিক চিনা অ্যাপ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?” মঙ্গলবার নিয়োগ কেলেঙ্কারির শুনানির প্রথম দিনই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের তোপের মুখে পড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পর্ষদ কেন হাইকোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টে দুরকম কথা বলছে, তা পরিষ্কার করে জানাতে হবে। এ ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে সাত দিনের মধ্যে গোটা বিষয়টি জানাতে হবে কমিশনকে।

    কমিশনের দ্বিচারিতা 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলাও ফেরত পাঠিয়েছে হাইকোর্টে। মামলার নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ বেঞ্চও গঠন করেছে হাইকোর্ট। এই বেঞ্চের তরফেই এদিন প্রশ্ন তোলা হয়েছে পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (Calcutta High Court) মামলাটির মূল মামলাকারী লক্ষ্মী তুঙ্গা, সাবিনা ইয়াসমিন ও সন্দীপ প্রসাদ। ওই মামলায় হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে। একই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের চাপে একাজ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। এই মামলায়ই এদিন কমিশনের কাছে হাইকোর্ট জানতে চায়, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?

    কমিশনের দাবি

    কমিশনের দাবি, মামলাকারীরা প্রথমে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। চাকরি না পেয়ে মামলা করেছেন তাঁরা। তাই তাঁদের পরীক্ষায়ও বেনিয়ম হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, “একজন দুর্নীতির চেষ্টা করেছে বলে কি আপনারাও দুর্নীতির ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন?” এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, এই সব মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই এক তরফাভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “যদি সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়, তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জনগণের টাকা (Calcutta High Court) কেন এভাবে নষ্ট হবে?”

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

LinkedIn
Share