Tag: Madhyom

Madhyom

  • Mary Millben: তিন রাজ্যে উড়েছে বিজেপির বিজয় কেতন, বিশ্বখ্যাত গায়িকার কণ্ঠেও মোদি-প্রশস্তি

    Mary Millben: তিন রাজ্যে উড়েছে বিজেপির বিজয় কেতন, বিশ্বখ্যাত গায়িকার কণ্ঠেও মোদি-প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরের পর ডিসেম্বর। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ফের একবার মোদি-স্তুতি ঝরে পড়ল অ্যাফ্রো-মার্কিন গায়িকা তথা নামী অভিনেত্রী মেরি মিলবেনের গলায় (Mary Millben)। তিন রাজ্যে বিজেপির জয়ের নেপথ্যের কারিগর যে তিনিই, তাও জানান এই গায়িকা।

    বিজেপির বিজয় নিশান

    নভেম্বরে শেষ হয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, তেলঙ্গানা ও মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে মিজোরাম বাদে বাকি চার রাজ্যের ফল ঘোষণা হয়েছে রবিবার। আজ, সোমবার গণনা চলছে মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনের ভোট। রবিবার যে চার রাজ্যের ফল ঘোষণা হয়েছে, তার মধ্যে তিনটিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। গোহারা হেরেছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধীর দলের মুখরক্ষা হয়েছে কেবল তেলঙ্গানায়। তিন রাজ্যে বিজেপির বিজয়-কেতন ওড়ার যাবতীয় কৃতিত্ব দলীয় নেতৃত্বও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুশাসনকে। এবার প্রায় একই স্বর শোনা গেল বিশ্বখ্যাত এই গায়িকার গলায় (Mary Millben)।

    গায়িকার কণ্ঠে মোদি-স্তুতি

    জয়ের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে মিলবেন লিখেছেন, “ভারতে আজ নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। বিজেপি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে জয়ী হয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিপুল জয়েরই বার্তা দিয়েছে এই ফল।” তিনি এও লিখেছেন, “ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য উনিই শ্রেষ্ঠ নেতা।”

    মিলবেনের কণ্ঠে মোদি-প্রশস্তি শোনা গিয়েছিল আগেও। ফিরে যাওয়া যাক জুন মাসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন-গণ-মন’ গেয়ে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই অ্যাফ্রো-মার্কিন গায়িকা। প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধাও জানিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সনাতন ধর্মকে সম্মান না জানানোর পরিণতি’’! কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ভেঙ্কটেশ প্রসাদের

    মোদি ও মিলবেনের এই পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন যে নিছক ফোটো-সেশনের জন্য নয়, তা বোঝা গিয়েছিল আরও তিন মাস পরে। সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে আয়োজন হয়েছিল জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের। এই সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-র সদস্য পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেয় ভারত। তখনও মিলবেন কণ্ঠে মোদি-প্রশস্তি শুনেছিল তামাম বিশ্ব। ভিডিও-বার্তায় এই গায়িকা-অভিনেত্রী (Mary Millben) বলেছিলেন, “জি২০-তে আফ্রিকান ইউনিয়নকে সদস্য হিসেবে অন্তর্গত করার প্রস্তাব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনেক ধন্যবাদ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের

    Calcutta High Court: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় বিজেপি বিধায়কদের স্বস্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি বিধায়কদের ‘গ্রেফতার নয়’। এমনই মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফলে, আরও একটি মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য। এদিন উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না।

    তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, গত ২৯ তারিখ বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে তাঁরা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখন নাকি বিজেপি বিধায়করা না দাঁড়িয়ে ঘাসফুল শিবিরকে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকে! যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যেখানে সেখানে, যে কোনও জায়গায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যায় না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের শাসক দল এফআইআর-ও দায়ের করে পুলিশের কাছে। সেইমতো বেশ কয়েকজন বিধায়ককে তলব করে লালবাজার। পুলিশি তলবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে দায়ের হয় মামলা। সেখানেই আদালত এই মামলায় বিজেপিকে স্বস্তি দিয়েছে ৷ বিধায়কদের গ্রেফতার না করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷

    ঠিক কী অভিযোগ বিজেপির

    গত ২৯ তারিখ ধর্মতলার সভায় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই দিনই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কালো পোশাক পরে বিধানসভা চত্বরে অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসে তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন সময় পাল্টা প্রতিবাদ জানাতে সেখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় হঠাৎ তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত শুরু করে।

    নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা?

    বিজেপির অভিযোগ, জাতীয় সঙ্গীত কোথায় বাজছিল বা ওই বিধায়করা তখন কোথায় ছিলেন— এ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হয়নি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে চরিতার্থ করতে (Calcutta High Court) এবং বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থা করতেই এই জাতীয় এফআইআর দায়ের করেছে শাসক। বিজেপির দাবি, সেদিনই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ তুলে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দেয় তৃণমূলের পরিষদীয় দল। এর পর বিধানসভায় এসে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন ডিসি সেন্ট্রাল দীনেশ কুমার। তার পর ১১ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই ইস্যুতেই এ বার আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির।

    কী জানাল আদালত?

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা বিষয়ক এই মামলাটি ওঠে। সেখানে বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, ‘‘হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না। এখানে যদি এখন কেউ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন, তা হলে তো সব কাজ বন্ধ করে সবাইকে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে। এমনটা করা যায় নাকি! অবশ্যই জাতীয় সঙ্গীতের জন্য একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত।’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এমন নয় যে, যখন তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীরা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু করেন, তখন থেকে বিজেপি বিধায়কেরাও স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা বিধানসভায় আগে থেকেই স্লোগান দিচ্ছিলেন। ফলে জাতীয় সঙ্গীতের জন্য নিয়ম মানা দরকার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Venkatesh Prasad: ‘‘সনাতন ধর্মকে সম্মান না জানানোর পরিণতি’’! কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ভেঙ্কটেশ প্রসাদের

    Venkatesh Prasad: ‘‘সনাতন ধর্মকে সম্মান না জানানোর পরিণতি’’! কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ভেঙ্কটেশ প্রসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলে গেরুয়া ঝড়। তিন রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগড়ে বিজেপি বাজিমাত করেছে। গো-বলয়ের এই রাজ্যগুলিতে এক প্রকার পদ্ম-শিবিরের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে জাতীয় দল কংগ্রেস। এই জয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয় হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। একই সঙ্গে সনাতন ধর্মকে অসম্মান করার ফল ভোগ করছে কংগ্রেস, এমনই অভিমত প্রসাদের (Venkatesh Prasad)। 

    কী বলেছেন প্রাক্তিন ক্রিকেটার?

    প্রাক্তন ক্রিকেটার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ (Venkatesh Prasad) রবিবার বিধানসভা নির্বাচনে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরে কংগ্রেস এবং জোটের অংশীদারদের তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি কংগ্রেসের বেশিরভাগ রাজ্যে এই শোচনীয় অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন কংগ্রেসের সঙ্গী উদয়নিধি স্ট্যালিনের ‘সনাতন ধর্ম এরিডিকেশন সম্মেলনে’-এ সামিল হওয়ার ঘটনাকে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রসাদ লিখেছেন, “সনাতন ধর্মকে সম্মান না করলে তার এমন পরিণতি হতে বাধ্য। এই বিপুল ব্যবধানে জয় পাওয়ার জন্য বিজেপিকে অনেক অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের আশ্চর্যজনক নেতৃত্বর আরেকটি প্রমাণ এবং তৃণমূল স্তরে দলের ক্যাডাররা দুর্দান্ত কাজ করেছে।”

    রবিবার চার রাজ্যের ভোটের ফলে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি পদ্ম শিবির সরকার গড়তে চলেছে রাজস্থান ও ছত্তিসগড়েও। টানা ৫ বার মধ্যপ্রদেশে জিতেছে বিজেপি। রাজস্থান, ছত্তিসগড় থেকে কংগ্রেসকে হারিয়ে ফের ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। মোদি ম্যাজিকে একেবারে ধরাশায়ী কংগ্রেস শিবির। কংগ্রেস জিতেছে শুধুমাত্র তেলঙ্গানায়। চার রাজ্যের ফলের পর দেশে বিজেপির একক শক্তিতে চলা সরকারের সংখ্যা বেড়ে হল ১২।  বিশাল জয়ের জন্য বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়েছে ক্রীড়া মহলও।

    আরও পড়ুন: প্রবল বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস, ল্যান্ডফল কখন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Elections 2023: নোটার চেয়েও কম ভোট বাম-ঝুলিতে, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন

    Assembly Elections 2023: নোটার চেয়েও কম ভোট বাম-ঝুলিতে, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে কি ক্রমেই ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন বামেরা? রবিবারের পর এমন প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ গোবলয়ের তিন রাজ্যে খাতাই খুলতে পারেননি তাঁরা। হেরে গিয়েছে নোটার প্রাপ্ত ভোটের কাছেও। একটি রাজ্যে অবশ্য পাঙ্গা নিয়েছে সমানে সমানে (Assembly Elections 2023)।

    ইন্ডি জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন

    রবিবারই ঘোষণা হয়েছে চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে হইহই করে জিতেছে বিজেপি। তেলঙ্গানার রাশ গিয়েছে কংগ্রেসের হাতে। প্রত্যাশিতভাবেই ইন্ডি জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই ইন্ডি জোট গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা বামেরা। সেই বামেদের করুণ হালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’, কতটা ছাপ ফেলতে পারবে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    বামেদের করুণ হাল

    অথচ পাঁচ বছর আগেও বামেদের দশা এমন ছিল না। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থানে সীতারাম ইয়েচুরির দল পেয়েছিল ২টি আসন। বৈধ ভোটের ১.২ শতাংশ পেয়েছিল তারা। আর এবার ১১টি আসনে লড়ে জয় তো আসেইনি, উল্টে গেলবারের চেয়েও এবার কমেছে প্রাপ্ত ভোটের হার। এবার এ রাজ্যে সিপিএমের প্রাপ্ত ভোটের হার ০.৯৬ শতাংশ। নোটায়ও ভোট পড়েছে এই হারেই। অর্থাৎ নোটা বনাম বাম লড়াই হয়েছে সমানে সমানে!

    মরুরাজ্যে মুখরক্ষা (Assembly Elections 2023) হলেও, বাকি তিন রাজ্যে শোচনীয় ফল হয়েছে লালপার্টির। এই তিন রাজ্যে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার নোটার চেয়েও কম। যার অর্থ, কোনও প্রার্থীই পছন্দ হয়নি বলে যাঁরা নোটায় ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের চেয়েও কম সংখ্যক মানুষ পছন্দ করছেন বামেদের। সীতারাম ইয়েচুরির রাজ্য তেলঙ্গানায় যেখানে নোটায় ভোট পড়ছে ০.৭৩ শতাংশ, সেখানে কাস্তে-হাতুড়ি প্রার্থীরা পেয়েছেন মাত্র ০.২২ শতাংশ ভোট। মধ্যপ্রদেশে নোটায় পড়েছে ০.৯৮ শতাংশ ভোট। সেখানে লালপার্টি পেয়েছে ০.০১ শতাংশ ভোট। ছত্তিসগড়ে কাস্ত-হাতুড়ির প্রার্থীরা যেখানে পেয়েছেন ০.০৪ শতাংশ ভোট, সেখানে নোটায় ভোট পড়েছে ১.২৬ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: প্রবল বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস, ল্যান্ডফল কখন?

    যে চার রাজ্যের ফল ঘোষণা হয়েছে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায়, সেই রাজ্যগুলির মধ্যে তিনটিতে মূল লড়াই হয়েছে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের। আর তেলঙ্গানায় লড়াই হয়েছে শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির সঙ্গে কংগ্রেসের। এখানে কয়েকটি আসনে অবশ্য পদ্ম ফুটিয়েছেন বিজেপি নেতারা। গোবলয়ে কোনও কালেই আহামরি ফল করেননি বামেরা। তবে যেটুকু ভোট ছিল, সেটুকুও খোয়ানোয় এ তল্লাটে বামেদের কঙ্কালসার চেহারাটাই আরও প্রকট হল বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (Assembly Elections 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Acharya Pramod Krishnam: “কংগ্রেস অভিশাপে নিমজ্জিত”! শীর্ষ নেতত্বকে তোপ দলেরই নেতার

    Acharya Pramod Krishnam: “কংগ্রেস অভিশাপে নিমজ্জিত”! শীর্ষ নেতত্বকে তোপ দলেরই নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মকে অবহেলার করার জন্যই কংগ্রেসের এই পরাজয়। এই ট্যুইট-বার্তা যাঁর, তিনি বিজেপির কোনও নেতা নন। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির বিরুদ্ধে এই তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা তথা ধর্মগুরু আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম (Acharya Pramod Krishnam)। রবিবারই ফল ঘোষণা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের। এর মধ্যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে উড়েছে গেরুয়া নিশান। আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। তার পরেই গর্জে উঠেছেন দলের ধর্মগুরু নেতা।

    কংগ্রেসকে তোপ ধর্মগুরুর

    রবিবাসরীয় সন্ধেয় কংগ্রেসের লাভ বলতে কেবলই তেলঙ্গনার রাশ। বাকি তিন রাজ্যে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল। লোকসভা নির্বাচনের আগে যাকে অশনি সঙ্কেত হিসেবেই দেখছেন কংগ্রেস নেতারা। চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের এই ফল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কৃষ্ণম লিখেছেন, “কংগ্রেস অভিশাপে নিমজ্জিত। সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করতে গিয়ে দলটি ডুবেছে।” কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জাতপাতের রাজনীতির অভিযোগও করেন তিনি। তার ফলই কংগ্রেসকে ভুগতে হচ্ছে বলে মনে করেন কৃষ্ণম। তাঁর মতে, যাঁরা সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করেন, তাঁরা ভারত বিরোধী। সনাতন ধর্ম ছাড়া হিন্দুদের কল্পনা করা যায় না। সনাতন ধর্ম বিরোধীদের রাবণের বংশধর বলেও কটাক্ষ করেছিলেন এই কংগ্রেস নেতা। সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করায় তাঁদের ধ্বংস যে নিশ্চিত, সেই ভবিষ্যৎবাণীও করেছিলেন কৃষ্ণম (Acharya Pramod Krishnam)।

    রাজনাথের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন কৃষ্ণম

    প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে লখনউ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রাজনাথ সিংহের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেসের এই ধর্মগুরু নেতা। রাজনাথের কাছে গোহারা হারেন তিনি। তবে বিজেপির এই হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন কৃষ্ণম। তার পর থেকে কংগ্রেসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেতাদের সঙ্গে দেখা যায় তাঁকে। মাঝে মধ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে জায়গা করে নেন মিডিয়ায়।

    আরও পড়ুুন: রাজস্থানের যোগী! বালকনাথ কি বসতে চলেছেন মরুরাজ্যের কুর্সিতে?

    যেমন করেছিলেন এই তো সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছেলে দয়ানিধি। সেই সময় কৃষ্ণম তাক করেছিলেন কংগ্রেস নেতাদেরও। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাম ও হিন্দুদের ঘৃণা করার অভিযোগ এনেছিলেন এই ধর্মগুরু। হিন্দু ধর্মীয় গুরুদেরও অপমান করা হচ্ছে বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন দলের বিরুদ্ধে। তিন রাজ্যে কংগ্রেস হারতেই ফের সরব হলেন কৃষ্ণম (Acharya Pramod Krishnam)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Cyclone Michaung: প্রবল বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস, ল্যান্ডফল কখন?

    Cyclone Michaung: প্রবল বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস, ল্যান্ডফল কখন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। দ্রুত বেগে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Cyclone Michaung)। আজ, সোমবার বিকেলের মধ্যে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও সংলগ্ন উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে ল্যান্ডফল করতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই এর প্রভাবে তামিলনাড়ু উপকূল এবং অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) শুরু হয়েছে এক নাগাড়ে বৃষ্টি। ভাসছে চেন্নাই।

    ভাসছে চেন্নাই, অন্ধ্র

    এদিন সকাল থেকেই তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে দুই রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দমকা হাওয়া (Cyclone Michaung)। সকালেই চেন্নাইয়ের (Chennai) ইস্ট কোস্টাল রোডের কানাথুর এলাকায় একটি নবনির্মিত দেওয়াল ধসে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ১ জন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের তামিলনাড়ুর চেন্নাই-সহ একাধিক জায়গায় একটানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভেসে যাচ্ছে চেন্নাই বিমানবন্দরের (Chennai Airport) রানওয়ে। বাতিল হয়েছে একাধিক বিমান। অন্ততপক্ষে ২০টি উড়ানের সময়ে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

    ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া

    তামিলনাডুর পাল্লিকরণী এলাকায় হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। পল্লিকরণী এলাকা সমুদ্র সৈকতের বেশ কাছে। ফলে সেখানে যে বহুতলগুলি রয়েছে, অতি ভারি বৃষ্টির প্রভাবে রেহাই পাচ্ছেন না সেখানকার বাসিন্দারাও। পল্লিকরণীর সাধারণ মানুষকেও সতর্ক করা হয়ছে। যদিও এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে পল্লিকরণী এলাকায় রাস্তায় যে গাড়িগুলি দাঁড় করানো রয়েছে, সেগুলি জলের তোড়ে এক জায়গা থেকে অন্যত্র প্রায় ভেসে যেতে শুরু করেছে। ফলে পল্লিকরণী এলাকার অবস্থা দেখে চিন্তায় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বইতে পারে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে। রবিবারই ৫৫-৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৫ কিমি/ঘণ্টা। সন্ধ্যার মধ্যে যা ৯০ কিমি ঘণ্টা ছোঁয়ার আশংকা করা হয়। আজ সোমবার সকাল থেকেই ৮০-৯০ কিমি/ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। যা আজ সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৯০-১০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

    শহরে মেঘলা আকাশ

    বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। তবে দুর্যোগের দাপট বেশি হবে না। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলায়। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। তবে দুর্যোগের দাপট বেশি হবে না। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলায়। আজ, সোমবার সকাল থেকেই শহরে মেঘলা আকাশ। নিম্নচাপ কাটলেই, শুক্রবারে পর থেকে রাজ্যে আবহাওয়ায় বদল আসতে পারে। ওই দিন থেকেই নতুন করে পারদ নামার সম্ভাবনা প্রবল। ফিরবে শীতের আমেজ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: আজই ‘সদস্য’ পদ হারাবেন মহুয়া? সোমবার লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ

    Mahua Moitra: আজই ‘সদস্য’ পদ হারাবেন মহুয়া? সোমবার লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বল্পমেয়াদী শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই মহুয়া (Mahua Moitra) ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠতে পারে লোকসভা (Loksabha Winter Session)।  আজ, সোমবার থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসছে। চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই অধিবেশনে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাতটি সহ ২১টি বিল পাশ করাতে চায়। তার মধ্যে অন্যতম হল ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধনী বিল। এ ছাড়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিলও এই অধিবেশনে পাশ করানোর কথা। 

    মহুয়ার ভবিষ্যত

    শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই নজরে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে লোকসভার এথিক্স কমিটির তদন্ত রিপোর্ট আজই অধিবেশনে পেশ হওয়ার কথা। নানা সূত্রে ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, এথিক্স কমিটি মহুয়াকে লোকসভা (Loksabha Winter Session) থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। এই রিপোর্ট লোকসভার অধিবেশনে পেশ করার পর সেটির উপরে আলোচনা হতে পারে অথবা সরাসরি ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাব পাশ করানো যায়। মহুয়ার ব্যাপারে এখন স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাঁর উপর নির্ভর করবে পরবর্তী পরিস্থিতি। স্পিকার ওম বিড়লা চাইলে প্রস্তাব পেশের পর ভোটাভুটি আপাতত স্থগিত রাখতে পারেন।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানের যোগী! বালকনাথ কি বসতে চলেছেন মরুরাজ্যের কুর্সিতে?

    আজই কি শেষ দিন

    ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। লোকসভার (Loksabha Winter Session) পোর্টালে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা লগইন ও পাসওয়ার্ড থাকে। এথিক্স কমিটি (Ethics Committee) রিপোর্টে উল্লেখ, ‘সেই লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগইন করা হয়’। কমিটির মতে, ‘স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা’।  কমিটির আরও সুপারিশ, ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের’। এ প্রসঙ্গে লোকসভার অধিকাংশ সাংসদই চাইছেন মহুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সংখ্যাধিক্যের জোরে এথিক্স কমিটির প্রস্তাব আজ পাস হয়ে যেতে পারে লোকসভায়। তেমন হলে সোমবারই এই লোকসভায় হবে মহুয়ার শেষ দিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: “শেষ ওভার স্বস্তি ফেরাল”! ভারতকে জিতিয়ে কী বললেন অর্শদীপ

    India vs Australia: “শেষ ওভার স্বস্তি ফেরাল”! ভারতকে জিতিয়ে কী বললেন অর্শদীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিজ জয় নিশ্চিত ছিল, তবে বিশ্বকাপে পরাজয়ের জ্বালা মেটাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আর কোনওভাবেই হারতে রাজি ছিল না ভারত। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীতে লো-স্কোরিং ম্যাচে রবিবার অস্ট্রেলিয়াকে ৬ রানে হারিয়ে দিল সূর্যের ভারত। ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারতের পকেটে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য অজিদের দরকার ছিল ৯ রান। কোটার প্রথম তিন ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন অর্শদীপ। তাঁর ইকোনমিই সবচেয়ে বেশি। তাঁর হাতেই বল তুলে দিলেন অধিনায়। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ম্যাথিউ ওয়েডের উইকেট নিয়ে স্বস্তি ফেরালেন অর্শদীপ।

    বিশেষ কোনও পরিকল্পনা ছিল না

    রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ শেষে অর্শদীপ বলেন, ‘প্রথম তিন ওভারে প্রচুর রান দিয়েছি। ভেবেছিলাম আমিই হয়তো খলনায়ক হব। তবে ঈশ্বর আমাকে আরও একটা সুযোগ দিয়েছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রেখেছিল আমার ওপর। সত্যি বলতে, শেষ ওভারে বোলিংয়ের জন্য আমার বিশেষ কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। সূর্য ভাই বলে, যা হবে দেখা যাবে। এই জয়ের জন্য ব্যাটিংকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। কারণ, আমাদের যা দক্ষতা সেই অনুযায়ী সার্বিক বোলিং পারফরম্যান্স খুব ভালো হয়নি। এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ভুলগুলো থেকে ঘুরে দাঁড়াবো।’

    নয়া স্পিন জুটি

    এদিন প্রথমে ব্যাট করে ১৬০ রান তুলেছিল ভারত। টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। আগে বল করার সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগালেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারেরা। দ্রুত যশস্বী, ঋতুরাজ, সূর্য, রিঙ্কুর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। শ্রেয়সের সঙ্গে থেকে ভারতকে ১৬০ রানে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেন জিতেশ শর্মা (২৪) এবং অক্ষর পটেল (৩১)। প্রথম শ্রেয়সের সঙ্গে জিতেশ ৪৭ রানের জুটি গড়েন। পরে অক্ষরের সঙ্গে শ্রেয়স যোগ করেন আরও ৪৬ রান। তাঁরা ফিরে যাওয়ার পর শ্রেয়সও (৩৭ বলে ৫৩ রান) আউট হয়ে যান। ফলে বেঙ্গালুরুতে ভারতের ইনিংস থেমে যায় ১৬০ রানে।

    এই ম্যাচ জিততে হলে বোলারদের উপর নির্ভর করতে হত। শেষ বেলায় তাঁরাই জেতালেন। মুকেশ এবং অর্শদীপ মিলে ডেথ ওভারে যেমন রান আটকালেন, তেমনই উইকেট তুলে নিলেন। দুরন্ত স্পিন-আক্রমণ শানালেন রবি বিষ্ণোই ও অক্ষর প্যাটেল। তাঁরা দু’জনে মিলে ৩ উইকেট নিলেন সেই সঙ্গে দিলেন মাত্র ৩৩ রান। তাঁদের কৃপণ বোলিং ভারতকে জিততে সাহায্য করল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “জয়ী হয়েছে সব কা সাথ, সবকা বিকাশের ভাবনা”, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “জয়ী হয়েছে সব কা সাথ, সবকা বিকাশের ভাবনা”, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন রাজ্যে গেরুয়া ঝড়। নেপথ্যের কারিগর তিনিই। তার পরেও জনতার কাছে নতজানু হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বিজেপির সদর দফতরে তিনি এলেন। মঞ্চে উঠেই জয়গান গাইলেন ‘সব কা সাথ সবকা বিকাশের’।

    সব কা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সব কা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনা জিতেছে। আজ সততা জিতেছে। সমস্ত ভোটারদের প্রণাম করি। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের মানুষ বিজেপিকে ভালবাসা দিয়েছে। তেলঙ্গনায়ও বিজেপির প্রতি সমর্থন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমাদের সৌভাগ্য যে এত ভালবাসা পেয়েছি, বিশ্বাস পেয়েছি। এরপর আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আজও আমার মনে এই ভাবনা রয়েছে।” তিনি বলেন, “এই নির্বাচনে দেশকে জাতি দিয়ে ভাগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম ৪ জাতি আমার জন্য সব থেকে বড়। নারী, যুবক, কৃষক ও গরিব পরিবাররা আমাদের ওপর ভরসা রেখেছে। এই চার জাতিকে শক্ত করলেই দেশ শক্ত হবে। এই চার জাতিই বিজেপির ওপর ভরসা রেখেছে। এই জয়ে মহিলারা নিজেদের জয় দেখছেন।”

    “আজকের হ্যাট্রিক চব্বিশের হ্যাট্রিক”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের হ্যাট্রিক চব্বিশের হ্যাট্রিককে নিশ্চিত করেছে। অনিয়ম, তোষণ ও পরিবারতন্ত্র নিয়ে সাধারণ মানুষ জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। কেন্দ্র সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই মানুষ সমর্থন করছে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ ভোটবাক্সে জবাব দিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় চলে এসেছে ‘ইন্ডি’ জোটও। তিনি বলেন, “যারা দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে জোট বাঁধছে তাদের জবাব দেবে মানুষ।” উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনার স্বপ্ন আমার সংকল্প। আপনাদের স্বপ্নপূরণ আমাদের সংকল্প তপস্যা। আজ গ্রামে গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছেছে। সমস্ত গরিব মানুষকে আগামী পাঁচ বছর বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি পিছনে হঠতে শিখিনি।”

    আরও পড়ুুন: পদ্মময় গোবলয়ের তিন রাজ্য, কেবল দক্ষিণেই মুখরক্ষা কংগ্রেসের

    তিনি (PM Modi) বলেন, “ভারতের মানুষ স্থায়ী সরকার চান। স্থায়িত্ব চান সবাই। ভারতের কোনও নাগরিক আমাদের উন্নয়নযাত্রায় পিছিয়ে পড়বেন না। সবার জন্য সরকার। সবার জন্য উন্নয়ন। সবাই বলছে, মোদির গ্যারান্টি দেওয়া গাড়ি সবার দ্বারে দ্বারে আসছে। দেশের সফলতার গাড়ি হবে। এটাও মোদির গ্যারান্টি। যেখানে বিশ্বাস খতম হয়, সেখানে মোদির গ্যারান্টি শুরু হয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Election Result: পদ্মময় গোবলয়ের তিন রাজ্য, কেবল দক্ষিণেই মুখরক্ষা কংগ্রেসের

    Assembly Election Result: পদ্মময় গোবলয়ের তিন রাজ্য, কেবল দক্ষিণেই মুখরক্ষা কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি ম্যাজিকে আরও একবার বেআব্রু হয়ে গেল কংগ্রেসের হাঁড়ির হাল। সবে মাত্র গান্ধী পরিবারের প্রত্যক্ষ ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে নয়া সভাপতি পেয়েছে দল। দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোটে মল্লিকার্জুন খাড়গে হয়েছেন সভাপতি। তার পরেও যে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির স্বাস্থ্যের বিশেষ উন্নতি হয়নি, রবিবাসরীয় সন্ধেয় ফের একবার প্রমাণ মিলল তার।

    চার রাজ্যের ফল

    এদিন গণনা হয়েছে চার রাজ্যের ফল। তাতে দেখা গিয়েছে তিনটি রাজ্যের রশি যাচ্ছে বিজেপির (Assembly Election Result) হাতে। মাত্র একটির রাশ যাচ্ছে ‘হাতে’। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেসের এই হালে কর্মী-সমর্থকরা হতাশ হবেন, তা বলাই বাহুল্য। কংগ্রেসের এহেন ফলের পর বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের ‘ইন্ডি’ জোট আদৌ টিকবে কিনা, সে প্রশ্নও উঠে গেল।

    পাশা উল্টেছে রাজস্থানেও

    গোবলয়ের তিন রাজ্যের রাশই গিয়েছে পদ্ম শিবিরের হাতে। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৩০। ম্যাজিক ফিগার ১১৬। এর মধ্যে বিজেপি এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ১৬৭টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ৬২টি। আর অন্যদের ক্ষেত্রে একটি। পাশা উল্টেছে রাজস্থানেও। সেখানেও কংগ্রেসের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে বিজেপি। ২০০ আসনের এই রাজ্যে নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯টিতে। কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন হয়নি একটি আসনে। এখানে আপাতত সরকার গড়তে প্রয়োজন ১০০টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি (Assembly Election Result) এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ১১৫টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৬৯। বিএসপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ২।

    রাজ্যের নাম মোট আসন নিরঙ্কুশ সংখ্যা বিজেপি এগিয়ে/জয়ী

    কংগ্রেস

    এগিয়ে/ জয়ী

    বিআরএস

    এগিয়ে/ জয়ী

    অন্যান্য
    রাজস্থান ২০০ ১০১ ১১৫ ৬৯  
    মধ্য প্রদেশ ২৩০ ১১৬ ১৬৭ ৬২
    ছত্তিসগড় ৯০ ৪৬ ৫৪ ৩৬
    তেলঙ্গানা ১১৯ ৬০ ৬৪ ৩৯

     

    ৯০ আসনের ছত্তিশগড়েও ধরাশায়ী কংগ্রেস। সরকার গড়তে এখানে প্রয়োজন ৪৬টি আসন। অথচ বিজেপি এগিয়ে কিংবা জিতে গিয়েছে ৫৪টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৩৬। অন্য কেউই দাঁত ফোটাতে পারেনি এ রাজ্যে।

    কংগ্রেসের মুখরক্ষা কেবল তেলঙ্গনায়। এ রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা ১১৯। ম্যাজিক ফিগার ৬০। এর মধ্যে ৬৪টি কেন্দ্রে কংগ্রেস এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে। শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৩৯। বিজেপি এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ৮টি আসনে। এআইএমআইএম এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে ৭টি কেন্দ্রে। অন্যরা একটিতে। দলের এহেন ফলে গেরুয়া শিবিরে (Assembly Election Result) যেখানে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ছবি, সেখানে মুখ ব্যাজার করে রয়েছে সোনিয়ার দল।

    কে যেন বলেছিলেন, “মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়!”

    আরও পড়ুুন: ‘‘জনতা জনার্দনের সামনে মাথানত করি’’, তিন রাজ্যে জয়ের পর ট্যুইট বার্তা মোদির

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share