Tag: Madhyom

Madhyom

  • VHP: ‘মহাকুম্ভের সঙ্গে কোনও তুলনাতেই আসে না হজ’, পরিসংখ্যান তুলে দাবি ভিএইচপির

    VHP: ‘মহাকুম্ভের সঙ্গে কোনও তুলনাতেই আসে না হজ’, পরিসংখ্যান তুলে দাবি ভিএইচপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যায় পদদলিত হয়ে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) বেশ কয়েকজন ভক্তের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনার পরেই বেশ কিছু হিন্দু বিরোধী শক্তি কুম্ভ মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ তোলে, এমনটাই দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। এর পরে গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP), সেই সমস্ত হিন্দু বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়, যারা মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিশানা করেছিল। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে ১৪৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ। কোটি কোটি ভক্ত হাজির হচ্ছেন পুণ্যস্নান করতে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এমন নিঁখুত ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। একইসঙ্গে সমাজ মাধ্যমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা মহাকুম্ভের সঙ্গে হজের একাধিক পার্থক্যও সামনে আনেন। বিবৃতি জারি করে ভিএইপি বলে, গতবারের হজে ১,৩০০-এর বেশি মৃত্যু ঘটে।

    হজের সঙ্গে তুলনা চলে না কুম্ভের (VHP)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সেই সমস্ত মন্তব্যকে চূড়ান্তভাবে নিন্দা করে যেগুলি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছিল শুধুমাত্র মহাকুম্ভের বিরোধ করার জন্য। প্রসঙ্গত, এই বিতর্ক তখনই শুরু হয়েছিল, যখন সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু হিন্দু-বিরোধী শক্তি তুলনা টানে মহাকুম্ভের সঙ্গে হজের। সেখানে হজের ব্যবস্থাপনাকে নিঁখুত বলা হয়। তখনই সরব হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এরপরই ঘোষণা করে যে হজ হল একটি ছোটখাটো তীর্থ অনুষ্ঠান। মহাকুম্ভের সঙ্গে এর কোনওভাবেই তুলনা চলে না।

    মহাকুম্ভে বার্তা দেওয়া হয় মানব কল্যাণের (VHP)

    ভিএইচপি জানিয়েছে, মহাকুম্ভে এই কয়েকদিনেই কোটি কোটি ভক্ত হাজির হয়েছেন। প্রয়াগরাজের পবিত্র সঙ্গমে তাঁরা ডুব দিয়েছেন, অমৃত স্নান করেছেন। এর সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না হজের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় যে মহাকুম্ভ হল মানব কল্যাণের জন্য অনুষ্ঠিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানের পরে একজন ব্যক্তি মানব কল্যাণের জন্য সংকল্প নেয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয়, এর সঙ্গেই তুলনা করা হচ্ছে হজের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, মহাকুম্ভে যে ধরনের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার, তার সঙ্গে কোনওভাবেই তুলনা চলে না হজের তীর্থযাত্রীদের।

    দূর্দান্ত ব্যবস্থাপনা মহাকুম্ভে (VHP)

    এনিয়ে পরিসংখ্যানও সামনে এনেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী তারা জানিয়েছে যে, গত হজযাত্রাতে ১,৩০০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এখানেই প্রশ্ন তোলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের মতে, মহাকুম্ভে কি একজন ব্যক্তি আছেন? যিনি ক্ষুধায় নিহত হয়েছেন? যিনি তৃষ্ণায় নিহত হয়েছেন? যিনি সঠিক সময় ওষুধ পাননি বলে নিহত হয়েছেন? এমন এ কজনও নেই। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, এই ঘটনাই প্রমাণ করছে যে কতটা সুষ্ঠুভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    কী বলছেন সংগঠনের জাতীয় মুখপাত্র

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র হলেন বিনোদ বনসল। তিনি উত্তরপ্রদেশের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন মহাকুম্ভের অভূতপূর্ব আয়োজনের জন্য। যেভাবে কুইক রেসপন্স টিম তৈরি রেখেছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকার, সে কথাও তুলে ধরেন বিনোদ বানসল। শুধুমাত্র যোগী আদিত্যনাথের ব্যবস্থাপনার জন্যই কোটি কোটি ভক্ত পবিত্র সঙ্গমস্থলে ডুব দিয়ে আবার তাঁরা পুণ্য অর্জন করে নিজেরা নিজেদের বাড়ি নিরাপদে ফিরে যেতে পারছেন। এমনটাই দাবি বিনোদের।

    প্রতিদিন চারশো ট্রেন ঢুকছে প্রয়াগরাজে

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, চারশোর ওপরে ট্রেন প্রতিদিন ঢুকছে প্রয়াগরাজে। এই প্রত্যেকটা ট্রেন ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা। এছাড়াও বাসে করে, গাড়িতে করে ভক্তরা ঢুকছেন এবং সমস্ত কিছু ব্যবস্থাপনা অভূতপূর্বভাবে তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেই সমস্ত ভক্তদের প্রশংসাও করেন বিনোদ বানসল যাঁরা নিজেদের ব্যস্ততার মধ্যেও মহাকুম্ভে হাজির হচ্ছেন। এতেই বোঝাই যাচ্ছে যে ত্রিবেণী সঙ্গমের আধ্যাত্মিকতার গুরুত্ব ঠিক কতটা!

    কেন এক নয় হজ ও কুম্ভ?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই মুখপাত্রের মতে, মহাকুম্ভ এবং হজ- এই দুটো কখনও এক নয় এবং এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যের কারণ হল, সেবা, ব্যবস্থাপনা ও মানবকল্যাণের উদ্দেশ্য, যা কুম্ভে আছে, হজে নেই। এমনটাই মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্রের। হজে যেখানে মাত্র কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়, সেখানে মহাকুম্ভে ৪০ কোটি জনসমাগম হচ্ছে। তাহলে, কী করে তা এক হতে পারে? প্রশ্ন ভিএইচপির। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের সরকার মৌনী অমাবস্যায় যে দুর্ঘটনা ঘটে তারপর থেকে যথেষ্ট তৎপর হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করে। এই ঘটনার জন্য ৩ জন সদস্যের একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশন তদন্ত করবে যে পদদলিত হয়ে মানুষগুলির মৃত্যুর কারণ ঠিক কী? তারপরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করবে তারা।

  • Manhole Death: ‘‘মৃত নয়, খুন’’! বানতলায় ম্যানহোলকাণ্ডে তদন্তের দাবি সুকান্তর, ক্ষতিপূরণ ঘিরেও বিতর্ক

    Manhole Death: ‘‘মৃত নয়, খুন’’! বানতলায় ম্যানহোলকাণ্ডে তদন্তের দাবি সুকান্তর, ক্ষতিপূরণ ঘিরেও বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে চলছে পরিষ্কারের কাজ। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে ম্যানহোলে নেমে মৃত্যু ৩ সাফাইকর্মীর। এই ঘটনায় দায় কার? বানতলায় ম্যানহোলকাণ্ডে তদন্তের দাবি তুললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মতে, ‘‘মারা গিয়েছে আমরা ভুল বলছি। মারা যায়নি, খুন করা হয়েছে।’’

    সরকারের ব্যর্থতা

    আইন তৈরি করে ম্যানহোলে মানুষ নামানো নিষিদ্ধ করা হলেও ম্যানহোল, সেপটিক ট্যাঙ্কের আবর্জনা পরিষ্কার করতে মানুষ নামানো বন্ধ হয়নি রাজ্যে। প্রাণের ঝুঁকি থাকলেও সামান্য রোজগারের আশায় প্রান্তিক অংশের মানুষ বাধ্য হন এই কাজ করতে। কিন্তু ন্যূনতম সুরক্ষা সরঞ্জামও পান না তাঁরা। ফলে মৃত্যু কার্যত অবধারিত হয়ে ওঠে। বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে প্রাণ হারান তাঁরা। বারবার সাফাইকর্মীদের সুরক্ষার দাবি উঠলেও সরকার কানে তোলেনি। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফাইকর্মীদের পা ধুইয়ে দিলেও তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে আলো জ্বালানোর কোনও চেষ্টা করেনি মমতা সরকার। এমনকী মৃত সাফাইকর্মীদের অনেকের পরিবার পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণও পায় না।

    কী ঘটেছিল

    রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ বানতলার লেদার কমপ্লেক্সে সাফাইয়ের কাজ করতে গিয়ে ম্যানহোলে পড়ে যান তিন শ্রমিক। প্রথমে এক জন ম্যানহোলে নেমেছিলেন। দীর্ঘ ক্ষণ পরেও তিনি উঠে না-আসায় বাকি দু’জন সেখানে নামেন। ওই নালার গভীরতা ছিল ১০ ফুট। বর্জ্যমিশ্রিত তরলে ডুবে গিয়েছিলেন তাঁরা। দুর্গন্ধে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় তিন জনের দেহ উদ্ধার করেন। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই তিন জন কলকাতা পুরসভার (কেএমডিএ) অস্থায়ী কর্মচারী বলে জানা গিয়েছে। লেদার কমপ্লেক্সের ভিতরে সেক্টর ৬ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীনে সাফাইয়ের কাজ করছিলেন তাঁরা।

    সুকান্তর দাবি

    এই দুর্ঘটনার পরে আঙুল উঠছে প্রশাসনের দিকে। নর্দমা সাফাইয়ের দায়িত্ব বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হয়ে থাকে। বড় নিকাশি নালার ক্ষেত্রে মূলত যন্ত্রের সাহায্যে সাফাই করা হয়। ছোট নর্দমাগুলির ক্ষেত্রে (যেগুলির উচ্চতা কোমরসমান) সংস্থাগুলি কর্মীদের ব্যবহার করে সাফাইকাজ করে থাকে। তবে সেই সব দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এই ঘটনায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘লেদার কমপ্লেক্সের ওখানে কী ধরনের বর্জ্য যায়, আপনারা জানেন। সেই বর্জ্যপদার্থ, তার উপস্থিতিতে মিথেন গ্য়াস থেকে শুরু করে অন্য়ন্য বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয় সেখানে। তিনজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে। আমি তো শুনেছি আরও লোক নাকি ঢুকেছিল, তাঁরা কতটা সুস্থ আছে, খবর নেওয়া উচিত। যাঁরা দায়ী, তাঁদের গ্রেফতার করা উচিত।’’

    সুপ্রিম কোর্টের সতর্কতা

    ম্যানহোলে মানুষ নামানোর কাজ বা ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং’ নিয়ে মাত্র চার দিন আগে কলকাতা-সহ দেশের ছয় শহরকে সতর্ক করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদের প্রধান নির্বাহী কর্তাদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত হলফনামা চাওয়া হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা জমা দিতে হবে। ১৯ তারিখ শীর্ষ আদালতে এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আদালত জানতে চেয়েছে, এই শহরগুলিতে ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং’ বন্ধ করার জন্য কী পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। হলফনামা আকারে সেটাই জানাতে বলা হয়েছে।

    আইনত নিষিদ্ধ

    ভারতে ম্যানহোল বা নিকাশি নালায় মানুষ নামিয়ে কাজের ব্যবস্থা ১৯৯৩ সাল থেকে বেআইনি। ২০১৩ সালে নতুন করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। আইনে বলা হয়, ম্যানহোল সাফাই, মলমূত্র সাফাই বা বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ কোনও মানুষকে দিয়ে করানো যাবে না। বিশেষ পরিস্থিতিতে কাউকে ম্যানহোলে নামাতে হলেও সংশ্লিষ্ট সাফাইকর্মীর জীবন এবং স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা

    বিশেষ পরিস্থিতিতে ম্যানহোলে মানুষ নামাতে হলে কী কী নির্দেশিকা মানতে হবে, বিশদে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছিল, নিকাশি নালায় প্রাণঘাতী বিষাক্ত গ্যাস রয়েছে কি না, সে সম্বন্ধে আগে নিশ্চিত হতে হবে। ম্যানহোলে নামার আগে সাফাইকর্মীদের কোমরে দড়ি বেঁধে দিতে হবে। তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাঁদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত বিশেষ অ্যাপ্রনে ঢাকতে হবে। বিশেষ ধরনের মুখোশ পরে ম্যানহোলে নামতে পারবেন সাফাইকর্মীরা। তাঁরা পায়ে গামবুট এবং হাতে দস্তানা পরে ম্যানহোলে নামবেন। লেদার কমপ্লেক্সের ঘটনায় কোনও নির্দেশিকাই মানা হয়নি বলে অভিযোগ।

    ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ঘিরে বিতর্ক

    রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত তিন সাফাইকর্মীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যা, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বেঁধে দেওয়া আর্থিক ক্ষতিপূরণের পরিমাণের তিনভাগের একভাগ মাত্র! মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেব আমরা। ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।’’ এ দিকে ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছিল, নিকাশি নালা পরিষ্কার করতে নেমে সাফাইকর্মীর মৃত্যু হলে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারকে। সেই রায়ের প্রতিলিপির ৪৫ এবং ৪৬ নম্বর পাতায় সে কথা বিস্তারিত বলা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ম্যানহোলে নেমে কোনও সাফাইকর্মীর শরীরের কোনও অঙ্গ স্থায়ী ভাবে অকেজো হয়ে গেলে তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তবে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ কখনওই ১০ লাখের কম হবে না।

  • Maha Kumbh 2025: বসন্ত পঞ্চমীর ভোরেই সঙ্গমে পবিত্র ডুব ১৭ লাখ ভক্তের, সংখ্যা ছাড়াতে পারে ৫ কোটি

    Maha Kumbh 2025: বসন্ত পঞ্চমীর ভোরেই সঙ্গমে পবিত্র ডুব ১৭ লাখ ভক্তের, সংখ্যা ছাড়াতে পারে ৫ কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্ত পঞ্চমীর (Basant Panchami) পুণ্য তিথিতে সোমবার ভোরেই ১৭ লাখেরও বেশি ভক্ত ইতিমধ্যে ডুব দিয়েছেন প্রয়াগরাজের পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমে। সোমবার ভোর চারটে থেকে ভক্তদের প্রচুর পরিমাণে লাইন দেখা যায় এবং তাঁরা অমৃত স্নান শুরু করেন মহাকুম্ভ মেলাতে (Maha Kumbh 2025)। সকাল সাড়ে সাতটার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩টি আখড়া, যেমন মহানির্বানী, অটল জুনা ও নিরাঞ্জনী ইত্যাদি, প্রত্যেকটি আখড়া পবিত্র স্নান সেরেছে ত্রিবেণী সঙ্গমে। সকাল নটার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬২ লক্ষ পুণ্যার্থী স্নান সেরেছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার সূত্রে খবর, শুধুমাত্র সোমবারই ৫ কোটি ভক্তের আগমন ঘটতে পারে কুম্ভে।

    নিয়ন্ত্রণ করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Maha Kumbh 2025)

    সন্ন্যাসীদের ওপরে পুষ্প বৃষ্টি করা হয় বসন্ত পঞ্চমী তিথির অমৃত স্নানে। সোমবার ভোর থেকেই একদম তদারকি শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিজের কন্ট্রোল রুমে বসে থেকেই তিনি পুরোটা দেখভাল করেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির ছিলেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরাই প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেন। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘অপারেশন ১১’ চালু করেছে। মূলত, বিপুল জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে করা ১১টি বিশেষ পদক্ষেপ। এই পরিকল্পনাটি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কঠোর নির্দেশনায় প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং জনসমাগমে অস্বস্তি দূর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই কারণেই গোটা বসন্ত পঞ্চমী তিথির অমৃত স্নান একদম সর্বাঙ্গ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।

    মহাকুম্ভের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট

    বসন্ত পঞ্চমীর স্নানের পরে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, অমৃত স্নান শুরু হয়েছে বিভিন্ন ঘাটে, নাগা সাধুরা স্নান করছেন, বিশ্বাস আস্থা ও ভক্তি নিয়ে। ত্রিবেণী সঙ্গম সাক্ষী থাকছে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের।

    প্রত্যেকটি আখড়ার জন্য সময় বরাদ্দ করা হয় ৪০ মিনিট

    বসন্ত পঞ্চমীর স্নানে অতিরিক্ত প্রচুর পরিমাণে পুলিশ কর্মী মোতায়ন করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে যোগী আদিত্যনাথ সরকার নিয়ম নিয়ে নিয়েছিল ‘জিরো এরর’-র। অর্থাৎ কোনও ভুল নয়। বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নানে প্রত্যেকটি আখড়ার জন্য সময় বরাদ্দ করা হয় ৪০ মিনিট। জানা গিয়েছে, মহানির্বানী এবং অটল আখড়া স্নান করতে যায় ঠিক ভোট চারটে নাগাদ এবং পাঁচটা চল্লিশে দুই আখড়া ফিরে আসে।

    পদদলিত হওয়ার ঘটনার পরেই বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নান

    প্রসঙ্গত, মৌনী অমাবস্যার স্নানেই কুম্ভ মেলায় (Maha Kumbh 2025) দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত পদদলিত হয়ে ৩০ জন ভক্তের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তারপরেই ছিল বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নান। তবে এদিন তা ভালোভাবেই সম্পন্ন হচ্ছে।

  • Delhi Vote: দিল্লি নির্বাচনে ঘরে বসে ভোট দিলেন ৬,৯৮০ জন ভোটার

    Delhi Vote: দিল্লি নির্বাচনে ঘরে বসে ভোট দিলেন ৬,৯৮০ জন ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কড়া নাড়ছে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন (Delhi Vote)। ভোট ঘিরে তুঙ্গে চলছে প্রস্তুতি। গত শনিবারই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, দিল্লিতে এবারের ভোটে ঘর থেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছে ৭ হাজার ৫৫২ জন ভোটার। ঘরে বসেই ভোট দিতে পারবেন ৮৫ বছরের ঊর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা। তথ্য বলছে, গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ইতিমধ্যেই ঘর থেকে ভোটারদের ৯২ শতাংশই ভোট দিয়ে ফেলেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫,৯৮২ জন প্রবীণ নাগরিক ও ৯৯৮ জন বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার (Delhi Vote)।

    ২০৬টি নির্বাচনী আধিকারিকদের টিম মোতায়েন করা হয়েছে

    জানা গিয়েছে, ভোটদানের প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন ও সুবিধাজনক করতেই কমিশনের এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রবীণ নাগরিকদের ভোটদানে উৎসাহ প্রদানে কমিশন বাড়ি বসেই ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করেছে। জানা গিয়েছে, নির্বাচনী আধিকারিক, নিরাপত্তা আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট ভোটারের বাড়িতে গিয়ে সম্পূর্ণভাবে গোপনীয়তা বজায় রেখেই ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কমিশন জানিয়েছে, দিল্লির (Delhi Vote) ১১ জেলার মোট ৭০ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় ২০৬টি নির্বাচনী আধিকারিকদের টিম মোতায়েন করা হয়েছে এই কাজে।

    মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত আবেদনকারীর ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে

    যেসমস্ত ভোটারদের (Delhi Vote) বাড়িতে নির্বাচনী আধিকারিকরা যাচ্ছেন, তাঁদের ফোনে আগে থেকেই এ সংক্রান্ত এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। নির্বাচনী স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ভোটদানের প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ ভিডিওগ্রাফিও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত আবেদনকারীর ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এছাড়াও কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যেসমস্ত প্রবীণ নাগরিকরা বুথে গিয়ে ভোট দিতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে ৮ হাজার ৭১৫ জন ভলান্টিয়ার ও ৪ হাজার ২১৮টি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সকল আধিকারিকদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের ব্যবস্থাও থাকছে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Home Voting Facility Service)। ইতিমধ্যেই এই কাজে ২৬ হাজার পোস্টাল ব্যালট ফর্ম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১৬ হাজার আধিকারিক ইতিমধ্যেই ভোটদান করেছেন। প্রসঙ্গত, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ৭০ আসনের ভোটের ফলাফল জানা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারি।

  • Daily Horoscope 03 February 2025: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 03 February 2025: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

     

     

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

     

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

     

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

     

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

     

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

     

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

     

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

     

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

     

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • PM Modi: ‘‘খসে পড়ছে ঝাড়ুর কাঠি, দিল্লিকে ধ্বংস করেছে আপ’’, তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘খসে পড়ছে ঝাড়ুর কাঠি, দিল্লিকে ধ্বংস করেছে আপ’’, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মুখী দিল্লিতে রবিবারই জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই জনসভার নাম ছিল ‘দিল্লি সংকল্প সমাবেশ’, সেখানেই আম আদমি পার্টিকে এক হাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদির কটাক্ষ, ‘‘বিগত ১১ বছর ধরে আম আদমি পার্টি গোটা দিল্লিকে ধ্বংস করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ভোটের আগেই ঝাড়ুর প্রতিটা কাঠি খসে পড়ছে। আম আদমি পার্টির নেতারা দল ছাড়ছেন। তাঁরা জানেন যে মানুষ আম আদমি পার্টির ওপরে ক্ষুদ্ধ। তাঁরা এই দলকে ঘৃণাও করেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আরকে পুরমে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ এখানে একসঙ্গে বসবাস করেন।’’

    ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নতুন বসন্ত আসছে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘বসন্ত পঞ্চমীর আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া বদলাতে শুরু করে ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নতুন বসন্ত আসছে, এবার দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠন করতে চলেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জোর দিয়েই বলেন, ‘‘নির্বাচনী লড়াইয়ে মোদির গ্যারান্টি এবং আম আদমি পার্টির মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মধ্যে লড়াই হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য ভারতের চারটি স্তম্ভের কথা বলেছি। এগুলি হল- কৃষক, মহিলা, যুবক এবং দরিদ্র।’’ গতকালের বাজেট তিনি আরও বলেন, ‘‘আম আদমি পার্টির লোকেরা স্বাস্থ্য পরিষেবা ওষুধ এবং হাসপাতাল নিয়েও দুর্নীতি করেছে। আমি দিল্লির মানুষকে আশ্বাস দিচ্ছি যারা দিল্লিকে লুট করেছে, তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দিতেই হবে।’’

    ভাষণে আসে বাজেট প্রসঙ্গও

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘দিল্লিতে বিজেপি সরকার তৈরি হওয়ার পর রাজধানী অঞ্চলের যাঁরা বিক্রেতা রয়েছেন, দোকানদার রয়েছেন তাঁদেরকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।’’ অন্যদিকে, এদিন দিল্লি জনসভাতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মুখে শোনা যায় এবছরের কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রশংসাও। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের ইতিহাসে এটি হল সবচেয়ে বড় মধ্যবিত্ত-বান্ধব বাজেট।’’  মোদি বলেন, ‘‘ভারতের উন্নয়নে আমাদের মধ্যবিত্তদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। কেবলমাত্র বিজেপি মধ্যবিত্তদের সম্মান করে এবং যাঁরা কর দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেন, তাঁদেরকে পুরস্কৃত করে।’’

  • Rashtrapati Bhavan: ইতিহাসে প্রথম, রাষ্ট্রপতি ভবনেই বিয়ে জওয়ান পুনমের

    Rashtrapati Bhavan: ইতিহাসে প্রথম, রাষ্ট্রপতি ভবনেই বিয়ে জওয়ান পুনমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনের (Rashtrapati Bhavan) ইতিহাসে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিয়ে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ব্যতিক্রমীভাবে সিআরপিএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট পুনম গুপ্তার বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সূত্রের খবর, এমন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি নিয়েছেন, তার কারণ হল পুনম গুপ্তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। রিপোর্ট বলছে, তাঁর কাজে এতটাই খুশি হয়েছেন রাষ্ট্রপতি, যে তিনি নিজেই এই অনুমতি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি ভবনের পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে সিআরপিএফের মহিলা বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন তিনি কুচকাওয়াজে।

    কার সঙ্গে হচ্ছে বিয়ে (Rashtrapati Bhavan)?

    জানা গিয়েছে, পুনম গুপ্তার এই বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে যার সঙ্গে তিনিও সিআরপিএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট। তাঁর নাম অবনীশ কুমার। বর্তমানে তিনি জম্মু এবং কাশ্মীরে কর্মরত। রাষ্ট্রপতি ভবনের মাদার টেরেজা কমপ্লেক্স গ্রাউন্ড কমপ্লেক্সে এই বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে নিকট আত্মীয় এবং বর-কনে পক্ষের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও হাজির থাকবেন। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনে বিয়ের আসর বলেই আমন্ত্রিতদের তালিকায় বেশ কাটছাঁট করা হয়েছে। অতিথি তালিকায় নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের যে নাম রয়েছে, তাঁদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতার প্রক্রিয়া এখন চলছে। জানা গিয়েছে পুনম গুপ্তা রাষ্ট্রপতি ভবন (Rashtrapati Bhavan) পর্যন্ত আসার যাত্রা অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক।

    মেধাবী ছাত্রী পুনম

    মেধাবী ছাত্রী হিসেবে তাঁর পরিচয় রয়েছে। আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা হলেন পুনম গুপ্তা। গণিতে স্নাতকের পরে তিনি মাস্টার ডিগ্রি করেন ইংরেজি সাহিত্যে। পরবর্তীকালে বিএড-ও করেন গোয়ালিয়র থেকে এবং ইউপিএসসির, সিএপিএফ পরীক্ষায় ২০১৮ সালে ৮১তম স্থান অর্জন করেন। সমাজ মাধ্যমে পুনম গুপ্তা অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁকে প্রায়ই সক্রিয় দেখা যায়। সিআরপিএফ অফিসারদের জীবন (Rashtrapati Bhavan) নিয়ে তিনি নানা কথা বলেন। এছাড়া নারী সশক্তিকরণের উপরেও তিনি নিজের মত রাখেন। আর কিছুদিন পরেই তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে দেখবেন নববধূর সাজে।

  • Saraswati Pujo Row: মমতার কলেজে সরস্বতী পুজো দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে ব্রাত্য

    Saraswati Pujo Row: মমতার কলেজে সরস্বতী পুজো দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে ব্রাত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নয়, খোদ কলকাতার কলেজ। এই কলেজেরই প্রাক্তনী তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই কলেজেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Pujo Row) হল কড়া পুলিশি প্রহরায়। সেই পুজো দেখতে গিয়ে আবার (Jogesh Chandra Day College) পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ঘটনার পরম্পরা দেখে সিনেমা করিয়েরা বলতেই পারেন, যতকাণ্ড কলকাতায়!

    কড়া পুলিশি প্রহরায় পুজো

    ভনিতা ছেড়ে দিয়ে ফেরা যাক খবরে। যোগেশচন্দ্র কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কড়া পুলিশি প্রহরায় রবিবার কলেজের ভিতরে হল আইন বিভাগের সরস্বতী পুজো। পুজো উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই কলেজের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পরিচয়পত্র দেখে তবেই কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার অজয় প্রসাদ নিজেও গিয়েছিলেন কলেজে।

    ব্রাত্যকে ঘিরে বিক্ষোভ

    দুপুরে পুজো দেখতে কলেজে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং স্থানীয় সাংসদ তথা পরিচালন কমিটির সদস্য মালা রায়। তাঁদের দেখে ‘বিচার চাই’ স্লোগান দিতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। ছাত্রীদের অভিযোগ, এদিনও তাঁদের অশালীন ভাষায় হুমকি দেওয়া হয়েছে (Saraswati Pujo Row)। বিক্ষোভের মুখে পড়ের দৃশ্যতই হকচকিয়ে যান শিক্ষামন্ত্রী। পরে চার ছাত্রীকে অধ্যক্ষের ঘরে ডেকে পাঠিয়ে বৈঠক করেন ব্রাত্য। বৈঠক শেষে কলেজ থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।

    মালা জানান, এতদিন এ বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। এনিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি। মালা বলেন, “পুজোর দিনে বিচার চাই স্লোগান শুনব না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব রকম পুজো, উৎসবে উৎসাহ দেন। সেই মতো সব ছাত্রছাত্রী (Jogesh Chandra Day College) পুজোয় শামিল হবেন, এটাই চাইব।” এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহা বিদ্যালয়েও সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে (Saraswati Pujo Row)।

  • Saraswati Puja: বাংলাদেশে পুজোর আগে ভাঙা হল সরস্বতী প্রতিমা, গ্রেফতার সেই ‘পাগল’

    Saraswati Puja: বাংলাদেশে পুজোর আগে ভাঙা হল সরস্বতী প্রতিমা, গ্রেফতার সেই ‘পাগল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী দুর্গার পর এবার সরস্বতী (Saraswati Puja)। বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের আঘাত সনাতন ধর্মের ওপর। ফরিদপুরের একটি মন্দিরে সরস্বতী প্রতিমা ভেঙে ফেলার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এই ব্যক্তি গত বছরও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিল।

    দুষ্কর্ম করেছে আগেও (Saraswati Puja)

    সেবার সে ভেঙে দিয়েছিল ইসকনের সরস্বতী মূর্তি। তখন বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল শেখ হাসিনার সরকার। দেশে পালাবদল ঘটেছে। এখন ক্ষমতায় রয়েছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকার। সেবার তাকে ‘পাগল’ তকমা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার তার কঠিন শাস্তি হবে বলেই আশ্বাস পুলিশের।

    কী বলছেন ছাত্ররা

    ৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সরস্বতী পুজো। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ ফরিদপুর শহরের ভাটিলক্ষ্মীপুর এলাকার কালীমন্দিরে গিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে ওই ব্যক্তি। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র সমর মণ্ডল বলেন, “সোমবার সরস্বতী পুজো। এলাকার এক মৃৎশিল্পীকে দিয়ে প্রতিমাটি বানানো হচ্ছিল। আমরা এই মন্দিরের পাশের একটি ছাত্রাবাসে থাকি। এখানে আমরা অনেকে মিলে সরস্বতী পুজো করতে চেয়েছিলাম। অনেক বন্ধুকে নিমন্ত্রণ করেছিলাম। কিন্তু প্রতিমাটি এমন সময় ভাঙা হল যে নতুন করে মূর্তি গড়িয়ে পুজোর আর সময় নেই (Saraswati Puja)।” ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, “এই ঘটনায় মন্দির কমিটির একজন বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হওয়ার পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পেশ করা হবে।”

    পুলিশ সূত্রে খবর, বছর তিরিশের আটক যুবকের নাম মিরাজউদ্দিন। রাজবাড়ি সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের বাজেদপুর গ্রামে তার বাড়ি। সে ফরিদপুর শহরে ইজিবাইক চালায়। শহরের রাজবাড়ি রাস্তার মোড় এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকে সে। মন্দিরের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাতে এক ব্যক্তি মন্দিরের সামনে ইজিবাইক রেখে মন্দিরের বারান্দায় গিয়ে সরস্বতী প্রতিমাটি ধাক্কা দিয়ে ফেলে ভেঙে দেয়। মন্দির পরিচালন কমিটির সদস্য রামচন্দ্র মালো বলেন, “ওই একই ব্যক্তি গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ ইসকন মন্দিরের সরস্বতী প্রতিমা ভেঙে দিয়েছিল। তখন তাকে পাগল বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।”

    হাসিনার জমানায়ও হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে ইউনূসের আমলে তা তুঙ্গে উঠেছে। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতাদেরও অনেকেই। তারও পরেও যে বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশেই (Bangladesh), এই ঘটনাই তার প্রমাণ (Saraswati Puja)।

  • Sonia Gandhi: রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য, অভিযোগ দায়ের সোনিয়ার বিরুদ্ধে

    Sonia Gandhi: রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য, অভিযোগ দায়ের সোনিয়ার বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে দায়ের হল অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিহারে। সে রাজ্যের মুজফফরপুর জেলা আদালতের আইনজীবী সুধীর ওঝা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদকে অবমাননা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগপত্রে সুধীর ওঝা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার নামও উল্লেখ করেছেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায়। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে শুনানি হবে এই মামলার।

    কী বলেছিলেন সোনিয়া

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Of India) শুক্রবার সংসদের উভয় কক্ষে ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশনের সূচনা করেন। এরপরে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘পুওর থিং’ (বেচারি) বলেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। একইসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘‘এই লম্বা ভাষণ দিয়ে তাঁকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।’’ এদিকে সোনিয়ার এই মন্তব্যের পরই ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। এই ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা উপজাতি সমাজের কাছে সোনিয়া গান্ধীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীকে একহাত নেন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত মহাপাত্রও। মন্তব্যের নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া হয় রাজভবনের তরফেও।

    সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) তোপ সুকান্ত মজুমদারের

    বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি অবমাননাকর মন্তব্য ছিল। সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীর মতো নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে। দ্রৌপদী মুর্মু একজন আদিবাসী পরিবারের মহিলা এবং এখন তিনি আমাদের দেশের পয়লা নম্বর নাগরিক এবং কংগ্রেসের জমিদারি মানসিকতা এটি গ্রহণ করতে পারে না। তাই তাঁরা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করছেন।’’

LinkedIn
Share