Tag: Madhyom

Madhyom

  • SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত রাজ্যের সমস্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত সমস্ত তদন্ত সিবিআই এবং ইডিকে দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দেয়। 

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আগামী ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সব মামলা এতদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন ছিল, সেগুলিকেও কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার শুনানিও আগামী ছ’মাসে শেষ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারে সায় এথিক্স কমিটির! পক্ষে থাকলেন মাত্র ৪ জন

    প্রসঙ্গত, এসএসসি সংক্রান্ত অনেকগুলি মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই নিয়ে এর আগে একবার বিরক্তিও প্রকাশ করেছিল বিচারপতি বোস এবং বিচারপতি ত্রিবেদীর বেঞ্চ। বিচারপতিদ্বয় বলেছিলেন, ‘‘২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ সাল-সহ বিভিন্ন বছরের আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এতগুলি মামলার মধ্যে কোনটা আগে শুনব?’’ আদালত সূত্রের খবর, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী পাওয়া গিয়েছে, তা এদিন আদালতকে জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ বিষয়ে এদিন আদালতে চারটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়। এরপরই এসএসসি মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে বিশেষ নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলে, তাদেরও এসএসসি সংক্রান্ত বাকি থাকা সমস্ত তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারে সায় এথিক্স কমিটির! পক্ষে থাকলেন মাত্র ৪ জন

    Mahua Moitra: মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারে সায় এথিক্স কমিটির! পক্ষে থাকলেন মাত্র ৪ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পক্ষেই মত দিলেন এথিক্স কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য। মহুয়ার পক্ষে থাকলেন মাত্র চার জন সাংসদ। মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করে বুধবার খসড়া রিপোর্ট কমিটির সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছিলেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকার। তার পর বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির বৈঠক ডেকে ওই খসড়া রিপোর্ট নিয়ে সদস্যদের মতামত চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, রিপোর্ট অনুমোদনের পক্ষে তথা মহুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ৬ জন সদস্য। বাকি চার জন সাংসদ খসড়া রিপোর্টের বিরুদ্ধে মত জানিয়েছেন। 

    মহুয়ার বিরুদ্ধে কংগ্রেস সাংসদের ভোট

    তাৎপূর্যপূর্ণভাবে, লোকসভা থেকে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন যে ছ’জন তাঁদের মধ্যে আছেন কংগ্রেসের এক সাংসদও রয়েছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধীদের জোটে আছে মহুয়ার দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পরিস্থিতিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে কংগ্রেস সাংসদ যে ভোট দিয়েছেন, তাতে বিরোধী জোটে প্রভাব পড়বে কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। টাকা দিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার যে অভিযোগ উঠেছে মহুয়ার বিরুদ্ধে, সেই ঘটনায় তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে ৫০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেই সুপারিশও গৃহীত হয়েছে এথিক্স কমিটির বৈঠকে।

    আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে ১০ রাজ্যে এনআইএ অভিযান! গ্রেফতার ৪৪, বাংলা থেকে ধৃত ৩

    রিপোর্ট পাঠানো হবে লোকসভার স্পিকারের কাছে

    এথিক্স কমিটির রিপোর্ট এবার পাঠানো হবে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। তিনিই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। নির্ধারিত হবে তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার ভবিষ্যৎ।  মনে করা হচ্ছে, ডিসেম্বরে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ওই রিপোর্ট পেশ করা হবে। স্পিকার এই প্রস্তাব পেশ করবেন সংসদের অধিবেশনে। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এথিক্স কমিটি তাদের রিপোর্টে বলেছে, ‘‘মহুয়া মৈত্র এবং দর্শন হিরানন্দানির মধ্যে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, কেন্দ্রের উচিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা।’’ 

    মহুয়ার সমালোচনায় শুভেন্দু

    তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সমালোচনায় এবার সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে জানালেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “দেশের নিরাপত্তার জন্য মহুয়া মৈত্র বড় ঝুঁকি । দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে, তিনি যা করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। এই রকম দেশবিরোধী কাজ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal BJP: রাজ্যের ‘বঞ্চিত’দের নিয়ে ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির মহাসমাবেশ

    West Bengal BJP: রাজ্যের ‘বঞ্চিত’দের নিয়ে ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির মহাসমাবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে গত অগাস্টেই দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক দেখিয়েছিলেন অভিষেক ও তাঁর দলবল। এরপরেই বিজেপি ঘোষণা করে, কেন্দ্রের প্রকল্পে রাজ্যের যাঁরা বঞ্চিত তাঁদের নিয়েই বড়সড় সমাবেশ করা হবে। সেইমতো আগামী ২৯ নভেম্বর শহরে বড়সড় সমাবেশের পরিকল্পনা নিল রাজ্য বিজেপি (West Bengal BJP)। অভিযোগ,কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে নানাভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে বিরোধীদের। শুধু তাই নয়, শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকলেই মেলে আবাস যোজনার ঘর এবং অন্যান্য সুবিধা। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে তৃণমূল নেতারা কাটমানি নেন, এই অভিযোগও দীর্ঘদিনের। এবার এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে রাজ্য বিজেপি।

    ২৯ অক্টোবর বসেছিল বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক

    গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, এ নিয়ে গত ২৯ অক্টোবরের বৈঠকে বসে বিজেপির কোর কমিটি। সেই বৈঠকেই স্থির করা হয় ২৯ নভেম্বর হবে বড়সড় সমাবেশ। জানা গিয়েছে, ২১ জুলাই প্রতিবছর যে জায়গায় তৃণমূল শহিদ দিবস পালন করে সেখানেই বাঁধা হবে মঞ্চ। তার জন্য আগাম কলকাতা পুলিশের কাছে অনুমতিও চেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এখনও কোন রকমেরই সংকেত দেওয়া হয়নি। অতীতে দেখা গিয়েছে বারংবার রাজ্য বিজেপির ছোটবড় সমাবেশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশে সম্পন্ন করতে হয়েছে সমাবেশ। ২৯ নভেম্বরের সমাবেশে পুলিশ যদি অনুমতি না দেয় সেক্ষেত্রে হাইকোর্টে যাওয়ার রাস্তাও খোলা রাখছে বিজেপি (West Bengal BJP)। এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মত, ‘‘কলকাতায় তৃণমূল নেতারা অনেক সম্পত্তি বৃদ্ধি করলেও ওই জায়গার দলিল বানিয়ে ফেলেছেন বলে তো শুনিনি। তবু দলদাস পুলিশ নানা অজুহাত দেখিয়ে অনুমতি না-দিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সে ক্ষেত্রে আদালতের দরজা তো খোলাই রয়েছে।’’

    বিজেপির সমাবেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে

    গেরুয়া শিবিরের (West Bengal BJP) অন্দরের খবর, যদি কোনওভাবেই ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়ার সামনে সমাবেশ করা না যায়, সেক্ষেত্রে তা হবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত হল, ‘‘বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট রয়েছে, অন্যদিকে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কোনঠাসা। তাদের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন। এই আবহে বিজেপির এই সমাবেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।’’ ২৯ অক্টোবর কোর কমিটির বৈঠকের পর বুধবার বিজেপির সল্টলেকে সেক্টর ফাইভের অফিসে বসে রাজ্য নেতৃত্ব। সমাবেশের পরিকল্পনা ছাড়াও জেলায় জেলায় চলছে প্রস্তুতি বৈঠক। রাজ্য বিজেপির পরিকল্পনা বৈঠকগুলিতে দলের যুব শাখা, মহিলা শাখা থেকে সমস্ত মোর্চা যোগ দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Raid: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে ১০ রাজ্যে এনআইএ অভিযান! গ্রেফতার ৪৪, বাংলা থেকে ধৃত ৩

    NIA Raid: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে ১০ রাজ্যে এনআইএ অভিযান! গ্রেফতার ৪৪, বাংলা থেকে ধৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে সক্রিয় মানব পাচার চক্র (Human Trafficking)। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বেশ কয়েকজনকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বুধবারই মানব পাচার চক্রের হদিস পেতে দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনআইএ (NIA)। ১০ রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলা থেকে ধরা হয়েছে ৩ জনকে।

    ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে অভিযান

    বাংলাদেশ থেকে বিগত কয়েক বছরে বহু রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে ভারতে। তাদের মধ্যে অনেকেই উত্তরপূর্ব হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। আবার বাংলা দিয়েও কয়েকজন ঢোকে। এরপর তারা গা ঢাকা দিতে চলে যায় ভারতের অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যে। এদেরকেই পাচার করে দেওয়া হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই আবহে বুধবার দেশের ১০টি রাজ্যে একযোগে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ। এর মধ্যে ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গেও অভিযান চলে। দেশ জুড়ে মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয় গতকাল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জনকে ধরা হয়েছে ত্রিপুরা থেকে। 

    কী বলল এনআইএ

    এনআইএ-র তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “১০ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলজুড়ে চলা মানব পাচার চক্রের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য। বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় এনআইএ বুধবার সকালে দেশজুড়ে নানা জায়গায় অভিযান চালায়। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশ ও বেআইনি মানব পাচার রোখা।” বুধবারের এনআইএ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩ জন, ত্রিপুরা থেকে ২১ জন, কর্নাটক থেকে ১০ জন, অসম থেকে ৫ জন, তামিলনাড়ু থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তেলঙ্গানা, পুদুচেরি ও হরিয়ানা থেকেও ১ জন করে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে নকল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। নগদ ২০ লক্ষ টাকা ও ৪৫৫০ মার্কিন ডলারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: সীমান্তে পাক গুলি, নিহত বিএসএফ জওয়ান, সোপিয়ানে বাহিনীর হাতে নিকেশ জঙ্গি

    অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরা থেকে আগত একটি ট্রেনে একদল রোহিঙ্গাকে দেখতে পেয়েই আটক করে করিমগঞ্জ পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই মানব পাচার চক্রের খোঁজ মেলে। এখনও অবধি ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহায়তায়। অনুপ্রবেশকারীদের পাচারের সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশের কাছ থেকেও সাহায্য় চাওয়া হয়েছে, বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • US Airstrikes: সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীর অস্ত্র-ঘাঁটিতে আঘাত মার্কিন বায়ুসেনার, মৃত ৯

    US Airstrikes: সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীর অস্ত্র-ঘাঁটিতে আঘাত মার্কিন বায়ুসেনার, মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ইরানের জঙ্গিগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানল মার্কিন বায়ুসেনা (US Airstrikes)। আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রক তরফে এ খবর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। মার্কিন আধিকারিকদের উপর হামলার প্রত্যাঘাত হিসেবে এই অপারেশন চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন। জানা গিয়েছে এই ঘটনায় ন’জন নিহত হয়েছেন। দু’সপ্তাহের মধ্যে ২ বার সিরিয়াতে এভাবে আঘাত হানল মার্কিনবাহিনী। অন্যদিকে, দক্ষিণ সিরিয়ায় ইরানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লার ঘাঁটিতে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে। এরফলে ৩ জনের নিহত হওয়ার খবর সামনে এসেছে।

    মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বিবৃতি

    মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের (US Airstrikes) পক্ষ থেকে যে বিবৃতি সামনে এসেছে তাতে বলা হচ্ছে আত্মরক্ষার তাগিদেই পূর্ব সিরিয়ায় এই অপারেশন চালানো হয়েছে।  ওই বিবৃতি অনুযায়ী, পূর্ব সিরিয়ায় ইরানের ‘ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড কর্পস’- এর সহযোগিতায় গড়ে উঠেছিল একটি ঘাঁটি, তা ধ্বংস করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি মার্কিন এফ১৫ বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল এক্ষেত্রে। মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব অস্টিনের দাবি, ‘‘এটা ছিল নিছক একটি প্রত্যাঘাত। তার কারণ মার্কিন সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের ওপর ইরাক এবং সিরিয়াতে বারবার আঘাত হানছিল ‘ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড কর্পস।’’ আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিবের আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের দেশ সর্বদা দায়বদ্ধ নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করতে এবং তাদের সমস্ত রকম সাহায্য করতে।’’ গত  ২৬ অক্টোবর মার্কিন সেনাবাহিনী একইভাবে আঘাত (US Airstrikes) হেনেছিল সিরিয়াতে।

    মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত

    প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ। অতর্কিতে ইজরায়েলের সাধারণ নাগরিকদের উপর রকেট হামলা চালায় হামাস। মৃত্যু হয় ১,৪০০ ইজরায়েলি নাগরিকের। তারপর থেকেই পাল্টা প্রত্যাঘাত চলছে ইজরায়েলের। অন্যদিকে লেবাননকে ব্যবহার ইরানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লা সরাসরি ইজরায়েলের বিরোধিতা শুরু করে। রকেট হামলা চলে ইজরায়েলের ওপর। পাল্টা হিজবুল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন ২০০-এর বেশি ইজরায়েলি। এরই মাঝে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সফর করেছেন তেল আভিভে। এবার সামনে এল ইরানের জঙ্গিগোষ্ঠীর উপর মার্কিন এয়ার স্ট্রাইকের ঘটনা। তথ্য বলছে, ইরাকে বর্তমানে মোতায়েন রয়েছে আড়াই হাজারের ওপর মার্কিন সেনা। সিরিয়াতে রয়েছে মার্কিন সেনার (US Airstrikes) সংখ্যা ৯০০।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rishi Sunak: ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রদীপ জ্বালালেন ব্রিটিশ হিন্দু প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, বললেন ‘‘শুভ দীপাবলি’’

    Rishi Sunak: ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রদীপ জ্বালালেন ব্রিটিশ হিন্দু প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, বললেন ‘‘শুভ দীপাবলি’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি পালন করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। দীপের আলোয় সেজে উঠল ১০ ডাউনিং স্ট্রিট। ভারতীয় দীপ উৎসবের আনন্দে মেতে উঠলেন ইংল্যান্ডের হিন্দু প্রধানমন্ত্রী। দিলেন ব্রিটেন এবং বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা বার্তা। একথা ঠিক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারতের ভূখণ্ডে জন্ম না নিলেও হিন্দু ধর্মের পরম্পরা এবং ঐতিহ্যকে ব্রিটেনের ভূখণ্ডেও ভুলে যাননি। পাশাপাশি, তিনি ভারতের জামাই-ও। অনুষ্ঠানে সামিল ছিলেন স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিও। 

    দীপাবলিতে ঋষি সুনক (Rishi Sunak)

    ভারতীয় হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি, আচার, পুজো, অর্চনা এবং বিশ্বাসের প্রতি আগ্রহ রয়েছে বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের (Rishi Sunak)। তিনি গত বছরেও ইংল্যান্ডের মাটিতে দীপাবলি উৎসবে যোগদান করেছিলেন। একেবারে প্রদীপ জ্বালিয়ে আনন্দ ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবছরও দীপাবলির কয়েক দিন আগেই আলোর উৎসবে যোগদান করলেন তিনি। ডাউনিং স্ট্রিটে আমন্ত্রণ জানালেন হিন্দু সম্প্রদায়ের অতিথিদেরও। উৎসবে যোগদান করে সকলের সঙ্গে হাসি, ঠাট্টায় মেতে উঠলেন দীপাবলির আনন্দে।

    দীপাবলির ছবি বিনিময় ঋষি সুনকের

    দীপাবলির উৎসবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর (Rishi Sunak) যোগদানের ছবি তাঁর অফিসিয়াল এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে শেয়ার করা হয়। সেই সঙ্গে বলা হয়, “দীপাবলির আগে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক হিন্দু সম্প্রদায়ের অতিথিদের ডাউনিং স্ট্রিটে আমন্ত্রণ  জানিয়েছেন। অন্ধকারকে দূর করার বার্তা দিয়ে তিনি আলোর উৎসবে সকলের সঙ্গে মেতে উঠেছেন। ব্রিটেন ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মানুষকে শুভ দীপাবলি।” শেয়ার করা ছবিতে খুশির চিত্র ধরা পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, সকলের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় রীতিমতো মজে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

    বিশ্বকে শুভেচ্ছা বার্তা

    এই দিন দীপাবলির ছবি বিনিময়ের পাশপাশি ঋষির (Rishi Sunak) অফিস থেকে ব্রিটেন এবং বিশ্ববাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানো হয়। বিশেষ ছবিতে দেখা যায় স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই বছর জি২০ সম্মলেনে ভারতে এসে ঋষি গর্বিত হিন্দু বলে পরিচয় দেন নিজেকে। দিল্লিতে অক্ষরধাম মন্দির দর্শন করেন। ২০২০ সালে চ্যান্সেলর থাকার সময় তাঁর বাসভবন ১১ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে দীপ জ্বালাতে দেখা যায়। ২০২২ সালে শপথ নেওয়ার পর নিজের বাসভবনে দীপাবলি পালন করেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গের বাণিজ্য চুক্তির বিষয়েও কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতের অসাধারণ পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশংসাও করেন ঋষি সুনক।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: ধর্মীয় বিশ্বাস, নাকি বিজ্ঞানসম্মত? কেন কালীপুজোর আগের দিন ‘চোদ্দ শাক’ খাওয়া হয়?

    Kali Puja 2023: ধর্মীয় বিশ্বাস, নাকি বিজ্ঞানসম্মত? কেন কালীপুজোর আগের দিন ‘চোদ্দ শাক’ খাওয়া হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। তবে, বাঙালিদের যে কোনও উৎসব বা পার্বনে একটা বিষয় থাকবেই। তা হল, যে কোনও উৎসবে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত খাওয়া-দাওয়ার আচার। এটাই যে কোনও উৎসবের পাওনা। যেমন, সরস্বতী পুজোর পরদিন গোটা সেদ্ধ খাওয়ার প্রথা রয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে। আবার কিছু ব্রত রয়েছে, যেখানে গৃহস্থ কর্ত্রীরা শুধুমাত্র ময়দার তৈরি খাবার খান। প্রতিটি খাওয়া-দাওয়ার আচার, পরিবার এবং স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যেই পালিত হয়।

    নেপথ্যে রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস

    রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে কালীপুজো ও দীপান্বিতা উৎসব। জানেন কি, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর আগের দিন অনেক বাড়িতেই চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে? এখন প্রশ্ন হল, চোদ্দ শাক খাওয়ার এই আচারের পিছনে কোন ধর্মীয় বিশ্বাস কাজ করছে? কথিত আছে, মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর এই বিশেষ দিনেই নাকি পূর্ব পুরুষদের আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে। হিন্দু শাস্ত্রমতে, আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি—প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের পিতৃপুরুষরা। বিশ্বাস মতে, চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি পালনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের ছুঁয়ে থাকা যায়। 

    অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা চোদ্দ রকম শাক জলে ধুয়ে, সেই জল বাড়ির চারদিকে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পূর্বের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে পরবর্তী সাত পুরুষের জন্য খাওয়া হয় শাক। তাই মোট চোদ্দ রকমের শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এই শাকগুলি হল, জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী।

    রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও…

    এই প্রচলিত রীতিগুলোর পিছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। এদেশের সমস্ত আচার এবং অনুষ্ঠান বিজ্ঞানসম্মত হয় এবং প্রকৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। শরৎকালের শেষ এবং হেমন্তকালে শুরুতে অনেক রকমের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ শাক দেয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই চোদ্দ রকমের শাকগুলোর কী কী গুণ রয়েছে। 

    জয়ন্তী—উদরাময়, জ্বর, বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ করে।
    শাঞ্চে—রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
    হিংচে—পিত্তনাশক।
    ওল—অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ কমায়।
    পুঁই—হজমে সহায়ক।
    বেতো—কৃমিনাশক।
    সর্ষে—যকৃৎ, চোখ যত্নে রাখে।
    কালকাসুন্দে—অর্শ, কাশি দূর করে।
    নিম—যে কোনও চর্মরোগ নাশ করে।
    পলতা—শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখে।
    শুলকা—হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখে।
    গুলঞ্চ—উচ্চ রক্তচাপ, যকৃৎ যত্নে রাখে।
    ভাঁটপাতা—ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।
    শুষণী—স্মৃতিবর্ধক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ৬ হাজার পাতার নথি দিয়ে এক-ঘণ্টা পর ইডি দফতর ছাড়লেন অভিষেক

    Abhishek Banerjee: ৬ হাজার পাতার নথি দিয়ে এক-ঘণ্টা পর ইডি দফতর ছাড়লেন অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৬ হাজার পাতার নথিপত্র জমা দিয়ে এদিনের মতো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতর ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন ১১ টা নাগাদ তৃণমূল সাংসদকে সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সংস্থার দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিল। তদন্তকারী আধিকারিকের সামনে বেশ কিছু নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। সেই মতো, এদিন অভিষেক সকাল ১১টা ৫ মিনিটে হাজির হন ইডি দফতরে। ১২টার কয়েক মিনিট অতিক্রান্ত হওয়ার তিনি ইডি দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যান। জানা গিয়েছে, আজ শুধু নথি জমা করেছেন অভিষেক। তাঁকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

    পোশাকে বদল অভিষেকের

    বৃহস্পতিবার অভিষেকের (Abhishek Banerjee) পোশাকে খানিক বদল লক্ষ্য করা গিয়েছে। এতদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় অভিষেককে কালো শার্ট বা টিশার্টে দেখা যেত। কিন্তু খানিক ছক ভেঙে এদিন সাদা শার্টেই সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিছকই কি রঙ বদল না তিনি অন্য কিছু বোঝাতে চাইছেন? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। এদিন সকাল থেকেই বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ও ভিতরে দুটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছিলেন। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকা ও বেরনোও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বাইরের সমস্ত গাড়ি কমপ্লেক্সের ভিতর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

    কবে কবে তলব কেন্দ্রীয় সংস্থার

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ বার অভিষেককে (Abhishek Banerjee) তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০ মে, নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ডেকে পাঠায় সিবিআই। তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। এর পর, ১৩ জুন নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেককে তলব করেছিল ইডি। সেবার তিনি যাননি। পরে, ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডি জোটের সমন্বয় বৈঠকের সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এর পর, ৩ অক্টোবর, দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নার দিন ফের তলব করা হয় অভিষেককে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি হাজিরা দেননি। তার পর, ৯ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তলব করে ইডি। সেবারও তিনি হাজিরা দেননি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • J&K Encounter: সীমান্তে পাক গুলি, নিহত বিএসএফ জওয়ান, সোপিয়ানে বাহিনীর হাতে নিকেশ জঙ্গি

    J&K Encounter: সীমান্তে পাক গুলি, নিহত বিএসএফ জওয়ান, সোপিয়ানে বাহিনীর হাতে নিকেশ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র চৌকির উপর ফের হামলা চালাল পাকিস্তান।  পাক হামলায় নিহত হয়েছেন এক জওয়ান। অন্যদিক, উপত্যকায় ফের সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী (Security Force)। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে (Shopian) এনকাউন্টার (Encounter) অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। সংঘর্ষে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্টের (The Resistance Front) এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। 

    রামগড় সেক্টরে পাক বাহিনীর গুলি

    সাম্বা জেলার রামগড় সেক্টরে বুধবার রাত থেকে টানা পাক বাহিনীর গুলিগোলায় এক বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, রামগড় সেক্টরে একাধিক সীমান্ত চৌকিতে বুধবার রাত ১২টার পর থেকে বিনা প্ররোচনায় পাক বাহিনী হামলা চালায়। পাকিস্তান রেঞ্জার্স বাহিনীর পাশাপাশি পাক জঙ্গিরাও হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে বিএসএফের একটি সূত্রের খবর। বিএসএফের তরফেও পাক গুলির ‘জবাব’ দেওয়া হয়। শীত পড়ার আগে উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। পাক বাহিনীর গুলিতে গুরুতর জখম এক জওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

    সোপিয়ানে সেনার সাফল্য

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যদিকে গোপন সূত্রে জঙ্গিদের খবর পেয়েই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও ভারতীয় সেনা বাহিনী সোপিয়ানে যৌথ অভিযান শুরু করে। সোপিয়ানের কাথোহালানে তল্লাশি অভিযান শুরু করতেই হামলা চালায় জঙ্গিরা। শেষ খবর অনুযায়ী, সেনার গুলিতে দ্য় রেসিস্টেন্স ফোর্সের এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।

    কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলা হয়েছে, “সোপিয়ান এনকাউন্টার আপডেট: সন্ত্রাসবাদী সংগঠন টিআরএফের সঙ্গে যুক্ত এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISIS: ঝাড়খণ্ড-ছত্তিসগড়ে অভিযান এটিএস-এর, গ্রেফতার ৩ সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি

    ISIS: ঝাড়খণ্ড-ছত্তিসগড়ে অভিযান এটিএস-এর, গ্রেফতার ৩ সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড-ছত্তিসগড় আইএসের জঙ্গির (ISIS) ডেরায় অভিযান চালিয়ে তিন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল এটিএস। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করছিল এই তিন ব্যক্তি। বুধবার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, হাজারিবাগ এবং ছত্তিসগড়ের দুর্গ জেলা থেকে এই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    ছত্তিসগড়ে আইএস জঙ্গি গ্রেফতার (ISIS)

    যা জানা গিয়েছে, বুধবার গোপন সূত্রের খবর পেয়ে জঙ্গিদমন অভিযানে নামে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা এবং ছত্তিসগড় পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ টিম। প্রথমে দুর্গ জেলার সুপেলা থানার অধীন স্মৃতিনগর থেকে আটক করা হয় ওয়াজিউদ্দিন নামক এক জঙ্গিকে (ISIS)। ছাত্রের ছদ্মবেশে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা করছিল এই জঙ্গি। উল্লেখ্য, এই জঙ্গি প্রত্যক্ষভাবে ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর হয়ে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির কাজ করছিল। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দিল্লিতে আগে ধৃত আইএস জঙ্গি মহম্মদ রিজওয়ানের কাছে তথ্য পেয়েই ওয়াজিউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঝাড়খণ্ডে আইএস জঙ্গি গ্রেফতার

    পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলা থেকে আরিজ হসান এবং হাজারিবাগের রহমতনগর থেকে মহম্মদ নাসিম নামের দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রফতার করেছে এটিএস। জানা গিয়েছে, উভয়ের কাছ থেকে নাশকতামূলক কার্যকলাপের নানা তথ্য পাওয়া গিয়েছে। রহমতনগর থেকে হামাসের পক্ষে হয়ে লড়াই করতে গাজায় যাওয়ার বিশেষ পরিকল্পনা করছিল এক জঙ্গি। পাকিস্তানের সমর্থন নিয়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় যোগ দেওয়ার নানা তথ্য উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতের অভ্যন্তর থেকে হামাসের জঙ্গি কার্যকলাপকে সমর্থন অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষার পক্ষে এই আইএস জঙ্গি অতি সক্রিয় হওয়ার চিত্রও এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কী জানাচ্ছে এটিএস

    ইতিমধ্যে রবিবার জঙ্গি (ISIS) সন্দেহে আলিগড় থেকে এটিএস আরও দুজনকে গ্রফতার করেছিল। তাদের নাম আবদুল্লা আরসালান ও মাজ বিন তারিক। অভিযোগ ছিল যে আলিগড়ে তারা জঙ্গি সংগঠন বিস্তারের কাজ করছিল। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গিয়েছে যে, জঙ্গি সংগঠনকে নানা তথ্য সরবরাহ করত তারা। ধৃতদের কাছ থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদা এবং আইসিস (ISIS) সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share