Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bastar Girl Lavanya Das: ‘বেলি ডান্স’ করে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার নজরে বস্তারের লাবণ্য, জানেন কী তার স্বপ্ন?

    Bastar Girl Lavanya Das: ‘বেলি ডান্স’ করে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার নজরে বস্তারের লাবণ্য, জানেন কী তার স্বপ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বস্তার, নাম শুনলেই ভেসে ওঠে গোলাগুলি-বন্দুক। মাও-সন্ত্রাসের ছবি। সেই বস্তার (Bastar Girl Lavanya Das) থেকেই নৃত্যের তালে সকলের মন কাড়লেন ১৬ বছরের কিশোরী। নাচ করতে পছন্দ করে সে। কিন্তু আলাদা করে কোনও প্রশিক্ষণ নেয়নি। বরং পড়াশোনার ফাঁকে নিজে থেকেই নাচ শিখত লাবণ্য দাস মানিকপুরী। সেই নাচের কারণে এবার তার দিকে নজর পড়ে বলি অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনসের।

    একা একা নাচ শিখত লাবণ্য

    চলতি মাসে প্রিয়ঙ্কা তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি নাচের ভিডিয়ো অনুগামীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। সেই ভিডিয়োয় এক কিশোরীকে ‘বেলি ডান্স’ করতে দেখা গিয়েছে। কিশোরীর নৃত্যকলার প্রশংসা করেন নেটাগরিকদের অধিকাংশ। তার পর থেকেই তার নাম-পরিচয় নিয়ে কৌতূহল জেগেছে নেটপাড়ায়। ওই কিশোরীর নাম লাবণ্য দাস। ছত্তিশগড়ের বস্তারের বাসিন্দা। ছ’বছর আগে ২০১৯ সালে মারা যান লাবণ্যের বাবা। তার পর থেকে মায়ের কাছেই বড় হয়ে ওঠা তার। সেখানকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে সে। শিক্ষকতার পাশাপাশি লাবণ্যের মা কত্থকে পারদর্শী। শৈশব থেকে মাকে নাচ করতে দেখত লাবণ্য। সেখান থেকেই নাচের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তার। মায়ের কাছে নাচ শিখতে শুরু করে লাবণ্য। আলাদা করে কোনও প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়নি তাকে। নিজে থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি সময় বার করে একা একা নাচ শিখত সে। লাবণ্যের দাদু থিয়েটারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। নাচ ছাড়াও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ রয়েছে লাবণ্যের। ভবিষ্যতে নাচ এবং অভিনয় নিয়ে কেরিয়ার গড়তে চায় সে।

    বেলি ডান্স-এর প্রতি আগ্রহ

    মায়ের কাছে কত্থক শিখলেও লাবণ্যের আগ্রহ জন্মায় ‘বেলি ডান্স’-এর প্রতি। জুন মাসের গোড়ায় নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘বেলি ডান্স’ করে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সে। তার পরেই তার জীবনের মোড় অন্য দিকে ঘুরে যায়। আশা ভোঁসলের গলায় জনপ্রিয় গান ‘পিয়া তু অব তো আজা’। এই গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘বেলি ডান্স’-এর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল লাবণ্য। তার পর কেটে যায় এক সপ্তাহ। লাবণ্যের নাচের সেই ভিডিয়োটি নজরে পড়ে বলি অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনসের। লাবণ্যের নাচের প্রশংসা করে ভিডিয়োটি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ভাগ করে নেন প্রিয়ঙ্কা। তার পরেই লাবণ্যের অনুগামীর সংখ্যা তরতর করে বাড়তে শুরু করে।ইতিমধ্যেই লাবণ্যের ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা ১২ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।

  • Saeed Izadi: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্রধান সাঈদ ইজাদি

    Saeed Izadi: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্রধান সাঈদ ইজাদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্যালেস্তাইন শাখার প্রধান সাঈদ ইজাদি। শনিবার খবরটি নিশ্চিত করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। জানা গিয়েছে, ইরানের কোম শহরে রাতভর হামলায় নিহত হয়েছেন (Hamas) তিনি (Saeed Izadi)।

    ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের বক্তব্য (Saeed Izadi)

    এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, “সাঈদ ইজাদি, যিনি ইজরায়েল ধ্বংসের জন্য ইরানি শাসনব্যবস্থার পরিকল্পনার একজন মাথা ছিলেন, কোম অঞ্চলে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের হামলায় নিহত হয়েছেন।” প্রসঙ্গত, এর আগে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাৎজ কোমে রাতে চালানো ইজরায়েলি হামলায় ইজাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইরানের কোম শহরে হামলায় দেশটির কুদস ফোর্সের প্যালেস্তাইনি কর্পসের কমান্ডার সাঈদ ইজাজি নিহত হয়েছেন।

    কে ছিলেন ইজাদি

    ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর মতে, ইজাদি ছিলেন কুদস ফোর্সের প্যালেস্টাইন কর্পসের কমান্ডার। তিনি ইরান সরকার ও হামাসের মধ্যে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করতেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি। ওই হামলায় ১,২০০ জন নিহত হন। এই হামলার পর গাজায় একটি প্রাণঘাতী যুদ্ধ শুরু হয়, যাতে ৫৪,০০০-এর বেশি প্যালেস্তাইনি নিহত হন। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তিনি ছিলেন আইআরজিসি (ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস)–এর ঊর্ধ্বতন কমান্ডারদের সঙ্গে হামাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সামরিক সমন্বয়ের দায়িত্বে (Saeed Izadi)। তাঁর ভূমিকায় ইজাদি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য হামাসকে ইরানের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য বাড়ানোর দায়িত্বেও ছিলেন।”

    জানা গিয়েছে, ইজাদিকে লেবানন থেকে পরিচালিত হামাস বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ। তিনি হামাসের সামরিক শাখাকে পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন, যাতে হামাস গাজায় তাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে। জানা গিয়েছে, ইজাদি অক্টোবর ৭ এর হামলার আগে হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়েছিলেন। ইজাদির মৃত্যুকে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার একটি বিরাট সাফল্য (Hamas) এবং নিহত অসামরিক মানুষ ও বন্দিদের জন্য ন্যায়বিচার বলে উল্লেখ করেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Saeed Izadi)।

  • Operation Sindhu: নিরাপদে ফিরছেন ভারতীয়রা, এবার ইরান থেকে নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও উদ্ধার ভারতের

    Operation Sindhu: নিরাপদে ফিরছেন ভারতীয়রা, এবার ইরান থেকে নেপাল, শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও উদ্ধার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্রের নাগরিকদের সাহায্যে আবার এগিয়ে এল ভারত। এটাই প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতি। ইরান ও ইজরায়েলের (Iran-Israel conflict) মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের জেরে, পশ্চিম এশিয়ায় আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাতে ভারত শুরু করেছে ‘অপারেশন সিন্ধু’ (Operation Sindhu)। এই উদ্ধার অভিযানে ভারত শুধু নিজ দেশের নাগরিকদের নয়, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইরানের ভারতীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা সরকারের অনুরোধে, ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের উদ্ধার কার্যক্রমে এই দুই দেশের নাগরিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।” নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের জন্য একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বরও প্রকাশ করেছে ভারতীয় দূতাবাস।

    জোর কদমে চলছে উদ্ধার অভিযান

    এদিকে ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর আওতায় তেহরানের সামরিক ও পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে হামলার প্রেক্ষিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করে। শুরু হয় ‘অপারেশন সিন্ধু’ (Operation Sindhu)। ইতিমধ্যেই ৫১৭ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার মাশহাদ, ইরান থেকে বিশেষ বিমানযোগে ২৯০ জন ভারতীয় পড়ুয়া দিল্লি বিমানবন্দরে নিরাপদে এসে পৌঁছান। দেশের মাটিতে পা রেখে ভারত ‘মাতা কি জয়’ স্লোগানে বিমানবন্দর চত্বর মুখরিত করলেন উদ্ধার হওয়া ভারতীয়রা। এদের অধিকাংশই জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাঁদের নিরাপদে ফেরত আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পরিবারগুলি।

    প্রতিবেশী প্রথম নীতি

    তবে, শুধু ভারতের নয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে দুই রাষ্ট্র নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদেরও ইরান থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। জানা গিয়েছে, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে ভারত সরকারের কাছে। এরপরেই ইরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

    ন্ধের বিমানে ফিরবেন আরও অনেকে

    ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত বুধবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে প্রথম বিমানটি শুক্রবার রাত ১১টায় দিল্লিতে অবতরণ করে। ওই বিমানে ছিলেন ২৯০ জন ভারতীয়। শনিবার সকালে আরও একটি বিমান নেমেছে দিল্লিতে। আজ সন্ধেয় আরও একটি বিমান দিল্লিতে নামার কথা। দিল্লি থেকে ওই নাগরিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরাবেন সেই সেই রাজ্যের সরকার। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উর্মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থীকে আর্মেনিয়ার স্থলপথে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে বিমানে দিল্লি আনা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জানিয়েছেন, আরও শিক্ষার্থীদের আর্মেনিয়ার মাধ্যমে দেশে ফেরানো হবে।

    ভারত মাতা কি জয় স্লোগান

    শুরুর দিকে ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে সমস্যা হচ্ছিল কারণ ইরানের আকাশসীমা বন্ধ ছিল। এবার ইরান ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা খুলে দিয়েছে। ফলে এরপর অনেক দ্রুত অবশিষ্ট ভারতীয়দের ফেরানো যাবে বলে আশাবাদী দিল্লি। ভারতে অবস্থিত ইরান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন মোহাম্মদ জাভেদ হোসেইনি বলেন, “আমরা ভারতীয়দের আমাদের নিজেদের লোক মনে করি। বর্তমানে ইরানের আকাশসীমা বন্ধ থাকলেও, এই বিশেষ পরিস্থিতির কারণে আমরা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে যাওয়ার জন্য এটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।” যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি থেকে দেশে ফিরে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে ভারতীয় পড়ুয়া এবং তীর্থযাত্রীরা। তড়িঘড়ি দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় পতাকা হাতে ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের

    নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি

    শনিবার ভোর ৩টেয় তুর্কমেনিস্তানের আশগাবাত থেকে আরেকটি বিমান দিল্লি পৌঁছায়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট ৫১৭ জন ভারতীয় ‘অপারেশন সিন্ধু’র আওতায় দেশে ফিরেছেন। ভারতীয় দূতাবাস সোমবার একটি সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, ইরানে অবস্থানরত সমস্ত ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা এড়িয়ে চলতে, সতর্ক থাকতে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও দূতাবাসের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেও ইরান সরকার বিশেষ অনুমতি দিয়ে ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ সহজ করেছে বলে জানানো হয়েছে। দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত। সরকারি নজরদারিও তুঙ্গে।

  • Amit Shah: “সিন্ধু জলচুক্তি আর কখনওই কার্যকর হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন শাহ

    Amit Shah: “সিন্ধু জলচুক্তি আর কখনওই কার্যকর হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) আর কখনওই কার্যকর হবে না।” ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ১৯৬০ সালের এই চুক্তিকে সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। কারণ পাকিস্তান বারবার ভারতের শান্তি ও অগ্রগতির মূলে কুঠারাঘাত করে চলেছে। অথচ এর ওপর ভিত্তি করেই এই চুক্তি হয়েছিল।” তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো একতরফাভাবে বাতিল করা যায় না। তবে স্থগিত রাখার অধিকার আমাদের ছিল। এবং আমরা তা-ই করেছি।”

    জল পাঠানো হবে রাজস্থানে (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “যে জল অন্যায়ভাবে পাকিস্তানে প্রবাহিত হচ্ছিল, তা এখন রিডিরেক্ট করে ভারতের রাজস্থান প্রভৃতি রাজ্যে পাঠানো হবে। ভারত নিজের প্রাপ্য জলের ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি খালও নির্মাণ করবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা সেই জল ব্যবহার করব যা ভারতের প্রাপ্য। পাকিস্তান যে জল এতদিন অন্যায়ভাবে পাচ্ছিল, তা আর পাবে না।” শাহি সাক্ষাৎকারে অবধারিতভাবেই উঠে এসেছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের কথা। যে হত্যাকাণ্ডের পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এই হত্যাকাণ্ডকে শাহ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন। যার উদ্দেশ্য উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করা। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের যুব সমাজ এখন এই দুষ্ট পরিকল্পনা বুঝতে পারছে। হামলার পর উপত্যকার প্রতিটি শহরে প্রতিবাদ হয়েছে।” তিনি বলেন, এটি ছিল কাশ্মীরবাসীর পক্ষ থেকে অভূতপূর্ব ঐক্য ও প্রতিবাদের প্রকাশ (Indus Waters Treaty)।

    কংগ্রেসকে শাহি জবাব

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। তা নিয়ে সমালোচনা করা হয় কংগ্রেসের তরফে।। এই সাক্ষাৎকারে তারও জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারত পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিতে বড় ক্ষতি করেছে। কিন্তু অসামরিক লক্ষ্যে আঘাত করা থেকে বিরত থেকেছে।” ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি (Amit Shah) বলেন, “ভারতীয় সংস্থা ও বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত কার্যকর অস্ত্র ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছেন এবং তাঁদের নিখুঁত পরিকল্পনার জন্যই এই সফলতা এসেছে।” শাহ বলেন, “আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান খুব দ্রুত হামলা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিল।”

    প্রসঙ্গ জম্মু-কাশ্মীর

    এই সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও একবার ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে যে কোনও জঙ্গি হামলাকে যুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হবে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার এটা বলেছেন। তাই এ নিয়ে আর কোনও বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।” পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “ইসলামাবাদের কোনও নতুন দুঃসাহসিকতায় ভারত পুরো শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করবে না।” জম্মু ও কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “উপযুক্ত সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়।” তিনি জানান, সরকার নির্বিঘ্নে নির্বাচন পরিচালনা করেছে এবং ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদের অন্তর্নিহিত অনুভূতিকে শেষ করে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছিলেন, ঠিক সময়েই জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে (Indus Waters Treaty)।

    আমাদের দেশ কোনও ধর্মশালা নয়

    ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে শাহ বলেন, “জল ও সীমান্ত সংক্রান্ত আগ্রাসনের প্রতি কঠোর অবস্থান মোদি সরকারের বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থকেন্দ্রিক নীতির অংশ। আমাদের দেশ কোনও ধর্মশালা নয়। ভারতে আসতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে।” তিনি (Amit Shah) সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের নিরাপত্তা তা নদীই হোক বা সীমান্ত বা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনওভাবেই আপস করা হবে না।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সিন্ধু জলচুক্তি। সেই চুক্তিই ভারত স্থগিত করে দেয় দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর। সেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে খুন করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এই ঘটনার জেরে ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এই জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতের এই সিদ্ধান্তের জেরে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। দেশের বিস্তীর্ণ অংশে দেখা দেয় জলসংকট। তার পরেই পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তজা ভারতের জল শক্তি মন্ত্রককে একের পর এক চারটি পাঠিয়ে ভারতের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান (Indus Waters Treaty)। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাঠানো সব চিঠিই পাঠানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের কাছে। তবে এখন অবধি ভারতের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি (Amit Shah)।

  • PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে যাওয়া আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ওড়িশার ভুবনেশ্বরে জনতা ময়দানে রাজ্যে বিজেপি সরকারের এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, কীভাবে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    ট্রাম্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র দু’দিন আগে আমি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় ছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেহেতু আপনি ইতিমধ্যেই কানাডায় আছেন, তাই ওয়াশিংটনে কেন থামবেন না? আমরা এক সঙ্গে খাবার খাব এবং কথা বলব।” মোদি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণটি জানিয়েছিলেন। আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে ভ্রমণ করা আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। আপনাদের ভালোবাসা ও ভগবানের প্রতি ভক্তিই আমায় এখানে এনেছে।”

    মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো ওড়িশা ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা এবং মহাপ্রভুর আশীর্বাদে পুরী শ্রীমন্দির সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও সমাধান করা হয়েছে। কোটি কোটি ভক্তের অনুরোধকে সম্মান করতে আমি মুখ্যমন্ত্রী মাঝি এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “এখানে সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীমন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রত্নভান্ডারও খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। কোটি কোটি ভক্তের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য একটি করা হয়েছে।”

    বিজেপি জমানায় ওড়িশার প্রভূত উন্নতি

    বিজেপি জমানায় যে ওড়িশার প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশার দরিদ্র পরিবারগুলি আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা পেতে পারত না। কিন্তু এখন রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনা এবং গোপবন্ধু জন আরোগ্য যোজনা উভয়ই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ওড়িশার প্রায় তিন কোটি মানুষ নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” নকশাল দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিজেপি সরকার হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজাতি এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলস্বরূপ, নকশাল সম্পর্কিত (Donald Trump) হিংসা এখন মাত্র ২০টি জেলায় সীমাবদ্ধ। দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করা হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি (PM Modi)।”

  • International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    International Yoga Day: ‘‘অশান্ত বিশ্বে শান্তির দিশা দেখায় যোগ’’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বিশ্বে শান্তির পথ দেখায় যোগ। গ্রাম থেকে শহর, যোগ সবার। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। শনিবার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Day of Yoga) অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Yoga Day)। এদিন বিশাখাপত্তমে ২৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৫ লক্ষ মানুষের সঙ্গে যোগে অংশ নেন মোদি। বিশ্ব শান্তিতে যোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এবছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম হল ‘এক পৃথিবী ও এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ’। আরকে বিচে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা ৪৫ পর্যন্ত চলা এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও যোগ দেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, রাজ্যপাল এস আবদুল নাজির, উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ এবং সেই রাজ্যের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ। এখানেই মানুষের জীবনে যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    সবার জন্য যোগ—সীমাহীন একতা

    বিশ্বের প্রত্যেক প্রান্তে মানুষ যোগকে নিজের জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছে। ২০১৪ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করে ভারত। সেকথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১১ বছর পর বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে যোগ। ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালনের জন্য ভারত প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই বিশ্বের ১৭৫টি দেশ তা সাদরে গ্রহণ করে। আজ সেই যোগ পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশেও, যেখানে নভোচারীরাও যোগাভ্যাস করছেন।” প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “যোগ কারও একার নয়, এটি সবার। এটি বয়স, জাতি, ভাষা কিংবা শারীরিক সামর্থ্যের ঊর্ধ্বে।”

    যোগের মাধ্যমে সমষ্টির কল্যাণ

    ভারতের প্রাচীন মন্ত্র “সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ” উদ্ধৃত করে মোদি জানান, যোগ মানুষকে আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত করে, সমাজমুখী করে তোলে। তিনি বলেন, “যোগ কেবল ব্যায়াম নয়, এটি এক সামাজিক নৈতিকতা—সহানুভূতি, সহমর্মিতা, ও সেবার শিক্ষা দেয়। যোগ হল জীবনের শৃঙ্খলা। একইসঙ্গে এটা একটা ব্যবস্থা যেটা আমাদের আমি থেকে আমরা করে। আমরা বিচ্ছিন্ন নই, আমরা প্রকৃতির অংশ।”

    যোগ হোক নতুন মানবতার নীতি

    বিশ্বে ক্রমবর্ধমান সংঘাত, অস্থিরতা এবং মানসিক চাপের প্রেক্ষিতে মোদি বলেন, “যোগ হচ্ছে সেই ‘পজ বাটন’, যার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে পারে।” তিনি আহ্বান জানান নতুন উদ্যোগ ‘যোগা ফর হিউম্যানিটি ২.০’-এর, যেখানে “আভ্যন্তরীন শান্তি হোক আন্তর্জাতিক নীতি”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন অস্থিরতা, চাপানউতোর চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের শান্তির দিশা দেয় যোগ।”

    বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় যোগের বিকাশ

    যোগা বয়স, সীমানা নির্বিশেষে সকলের জন্য। মোদি জানান, এইমস-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছে যে, হৃদরোগ, স্নায়ু সমস্যা, নারী স্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতায় যোগ অত্যন্ত কার্যকর। মোদি জানান, জাতীয় আয়ুষ মিশনের অধীনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যোগচিকিৎসার প্রচার চলছে, এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লাখ লাখ মানুষ যোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

    স্থূলতা রুখতে যোগ ও খাদ্য সংস্কার

    কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন যোগগুরু স্বামী রামদেব এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি। একইভাবে আন্তর্জাতিক যোগাসনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এদিন সকালে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এদিন রামকৃষ্ণ বিচে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘১০ শতাংশ কম তেল’ চ্যালেঞ্জের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, “তেল কমান, খারাপ খাদ্য এড়ান, যোগ করুন—এটাই আপনার প্রাকৃতিক ফিটনেস ফর্মুলা।”

    যোগ হোক বিশ্বজুড়ে এক গণ-আন্দোলন

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে যোগাসনের জনপ্রিয়তা। ইউকে তে যোগাসনের বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হন রাজা চার্লস। সেখানে যোগের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে রাজা চার্লস বলেন, “যোগ ঐক্য, সহানুভূতি এবং কল্যাণের আন্তর্জাতিক নীতিগুলি তুলে ধরে। এটির বার্ষিক উদযাপন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্বাস্থ্য ও সুখের প্রেরণা দেয়।” এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান, প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় যোগকে অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি বলেন, “প্রতিটি মানুষ তার দিন শুরু করুক যোগের মাধ্যমে, প্রতিটি সমাজ সংহত হোক যোগের মাধ্যমে, আর বিশ্ব হোক শান্তি ও সুস্থতার পথযাত্রী।”

  • India Vs England: টেস্টে শুরু তরুণ প্রজন্মের দাপট! যশস্বী-গিলের যাদুতে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভ সূচনা ভারতের

    India Vs England: টেস্টে শুরু তরুণ প্রজন্মের দাপট! যশস্বী-গিলের যাদুতে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভ সূচনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপটের সঙ্গেই টেস্টে নতুন যুগে পা রাখল ভারত। তরুণ দল, অকুতোভয়। ইংল্যান্ডের (India Vs England) মাটিতেই ইংরেজ বোলারদের শাসন করলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। প্রথমে যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। তার পর শুভমন গিল (Shubman Gill)। দুই তরুণ ক্রিকেটারের শতরানে লিডসে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে চালকের আসনে ভারত। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩৫৯/৩। ক্রিজে রয়েছেন শুভমন গিল (১২৭) এবং ঋষভ পন্থ (৬৫)। ইংল্যান্ডে কোনও টেস্টের প্রথম দিনে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ রান। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির মতো দুই কিংবদন্তি সদ্য টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তাঁদের পরবর্তী সময়ে প্রথম সিরিজ। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করলেন গিল-যশস্বীরা। বুঝিয়ে দিলেন ২২ গজে ভারতের পতাকা উড়ছে, উড়বে।

    ক্যাপ্টেন্স নক, গিল-যুগের শুরু!

    টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম দিনটা টস হেরে শুরু করলেও ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের শিখরে দেখাল শুভমনকে। ইংল্যান্ডের (India Vs England) বহুচর্চিত ‘বাজবল’ যেন গিলের ব্যাটেই জীবন্ত হয়ে উঠল। ধ্রুপদী ঘরানার ব্যাকরণ মেনেই স্টোকসদের উপর ছড়ি ঘোরালেন গিল। অধিনায়কোচিত ইনিংসে ভরসা দিলেন ড্রেসিং-রুমকে। ১৪০ বলে দুর্দান্ত একটা ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন। সব মিলিয়ে কেরিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভমন শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। সার্বিক ভাবে ইংল্যান্ডে এর আগে তিনটে টেস্ট খেলেছিলেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জাজমেন্ট দিতে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন। প্রবল সমালোচনাও হয়েছিল। ক্যাপ্টেন হিসেবে পরীক্ষা। তেমনই ব্যাটিংয়ে কিং কোহলির জায়গায় নামা। সব মিলিয়ে পাহাড়প্রমাণ চাপ। সিরিজের শুরুতেই সেঞ্চুরিটা যেন সব চাপ দূরে সরিয়ে দিল। শুভমনের নেতৃত্ব ভারতীয় ক্রিকেটকে কোন পথে নিয়ে যাবে, সময় তার জবাব দেবে। তার আগে শুভমানের সাফল্য নিয়ে মজে রয়েছেন তাবড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

    অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই শতরান

    অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই (India Vs England) শতরান করা ২৩তম ক্রিকেটার হলেন তিনি। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি অভিষেকেই সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর, দিলীপ বেঙ্গসরকার, বিরাট কোহলির মতো কিংবদন্তিদের। এ বার এই তালিকায় নাম লেখালেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। কে বলতে পারে, সচিন-কোহলি পরবর্তীতে ভারতীয় ক্রিকেটে গিল-যুগের শুরু! টেস্ট শুরুর আগে আগ্রহ ছিল, বিরাটের চার নম্বর পজিশনে কে ব্যাট করবেন? এমআরএফ-এর লোগো দেওয়া ব্যাটই দেখা গেল চার নম্বরে। ক্যাপ্টেন শুভমন গিল নামলেন। ক্যাপ্টেন্সি অভিষেক, সেই এমআরএফ ব্যাট এবং চার নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি, হেলমেট খুলে মাথানত করে গ্যালারিকে সম্মান জানানো। বারবার কোহলিকে মনে করিয়ে দিলেন গিল।

    যশস্বীর যাদু

    ইংল্যান্ডে টেস্টের (India Vs England) পয়লা দিনের সকাল মানেই ওপেনারের অগ্নিপরীক্ষা— প্রচলিত ধারণা এটাই। মজা করে বলা হয়, টিকে থাকতে হলে প্রথম দু’ঘণ্টায় সব শট ড্রেসিং-রুমে রেখে এসো। কিন্তু প্রথম ওভারেই ক্রিস ওকসকে চার মেরে শুরু করেছিলেন যশস্বী (Yashasvi Jaiswal)। বিলেতে এটাই ছিল যশস্বীর জীবনের প্রথম টেস্ট ইনিংস। দুরন্ত সেঞ্চুরিতে তিনি বড় ইনিংসের ভিত মজবুত করার পাশাপাশি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি, দুই কিংবদন্তির অবসরের আক্ষেপকেও টের পেতে দিলেন না। লিডস বরং সাক্ষী থাকল ২৩ বছর বয়সির তারুণ্যের দাপটের। আর সেটাও দু’হাতে টান নিয়ে, বারবার অস্বস্তিতে পড়ে। ১০১ রানের ইনিংসে কার্যত সিরিজের সুরটাই বেঁধে দিলেন বাঁহাতি ওপেনার।

    দাপট ভারতের

    লোকেশ রাহুলকেও দেখাচ্ছিল প্রত্যয়ী। দুই ওপেনার মিলে প্রথম উইকেটে যোগ করেন ৯১। মনে হচ্ছিল লাঞ্চে বিনা উইকেটেই যেতে চলেছে ভারত। তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ব্রাইডন কার্সের দেরিতে ভাঙা সুইংয়ে ব্যাট চালিয়ে ফিরলেন রাহুল। টেস্ট অভিষেক অবশ্য মধুর হল না সাই সুদর্শনের। চেতেশ্বর পূজারার হাতে থেকে টেস্ট ক্যাপ নেওয়া বাঁ-হাতি লেগসাইডে অনেক বাইরের বলে অহেতুক খোঁচা দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে হল লাঞ্চ। স্কোর তখন ৯১-২। লড়াইয়ে ফেরার পথ খুঁজে পাওয়া ইংল্যান্ড মুহূর্তে উজ্জীবিত। কিন্তু পরের দু’ঘণ্টায় যশস্বী-গিল পকেটে পুরে ফেললেন ম্যাচের রিমোট। শেষ লগ্নে ঋষভ পন্থ। আইপিএলে ব্যর্থ পন্থ বোঝালেন, লাল বলের ক্রিকেটে তিনি আলাদা জাতের ব্যাটার। স্টোকসকে এগিয়ে এসে মাথার উপর দিয়ে যে চারটা মারলেন তা দেখে তাজ্জব হয়ে গেল গোটা স্টেডিয়াম। পরিচিত কায়দায় স্টোকস চাইছিলেন পন্থকে স্লেজিং করতে। পাত্তাই দিলেন না ভারতের উইকেটকিপার। অর্ধশতরান করলেন। অতীতে কবে সিরিজের (Tendulkar Anderson Trophy) প্রথম দিনে ভারতের দুই ব্যাটার শতরান করেছেন তা জানতে গেলে মাথা চুলকোতে হবে। অবিশ্বাস্য ভাঙন না ধরলে প্রথম ইনিংসে ভারতের সাড়ে চারশো নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে ভারতীয় বোলারদের আক্রমণাত্মক হওয়ার যথেষ্ট রসদ থাকবে।

  • International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ২১ জুন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025)। এই বছর বিশ্ব তার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করতে চলেছে। মানুষের মধ্যে যোগব্যায়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ২১ জুন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। যোগ দিবসের দিনে বিভিন্ন স্থানে যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয় যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই দিনে যোগব্যায়ামের অংশ হতে পারে।

    যোগ বা যোগাভ্যাস কী?

    আগে জেনে নেওয়া যাক যোগ বা যোগাভ্যাস কী? যোগ হল একই সঙ্গে শরীর, মন এবং আধ্যাত্মিকতার যোগ। প্রাচীন ভারতে জন্ম যোগার। সংস্কৃতে ‘যোগা’ (International Day of Yoga) শব্দের অর্থ যোগ করা, একীভূত করা। দেহের সঙ্গে চৈতন্যকে একীভূত করাই হল যোগ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৬৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে যোগের উপকারিতা সম্পর্কে বলেছিলেন মোদি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “যোগ হল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অমূল্য ধারা। যোগ শরীর এবং মনের ঐক্য সাধন করে। চিন্তার সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলে কাজের। শরীর এবং মন ভাল রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হল যোগ। এটা কেবল শরীর চর্চা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। যোগ একটা পথ, যে পথ নিজের সঙ্গে একাত্মবোধ গড়ে তোলে, ঐক্যবোধ গড়ে তোলে বিশ্ব এবং প্রকৃতির সঙ্গেও।”

    ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ ও মোদির ভূমিকা

    তার পরেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘকে অনুরোধ করেন ২১ জুন দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ (International Yoga Day 2025) হিসেবে ঘোষণা করার। ২১ জুন দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, এদিন উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন, রাত ছোট। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুরোধে সাড়া দেয় রাষ্ট্রসংঘ। তার পরের বছর থেকে ২১ জুন দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে’ হিসেবে। নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে যে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও ভাল থাকে, তামাম বিশ্বকে সেই বার্তা দিতেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রসংঘ। যোগ দিবস পালন সংক্রান্ত খসড়ায় স্বাক্ষর করেন বিশ্বের ১৭৭টি দেশের প্রতিনিধিরা।

    নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্বকে স্বীকৃতি ‘হু’-র

    দেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025) পালনের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রের আয়ূষ মন্ত্রক। সেবার অংশ নিয়েছিলেন ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিও। দিল্লির রাজপথের ওই অনুষ্ঠানে ৩৫ মিনিটে তাঁরা ২১টি আসন করেছিলেন। এটাই ছিল বিশ্বের সব চেয়ে বড় যোগাভ্যাসের ক্লাস। নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্ব (Yoga Benefits) স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারাও সদস্য দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে যোগ সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে। কারণ নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে দূরে রাখা যায় ক্যান্সার, ডায়াবেটিস মায় হার্টের রোগকেও।

    “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ”

    এই বছর প্রধানমন্ত্রী মোদি যোগ দিবসের (International Day of Yoga) থিম নির্ধারণ করেছেন— “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ।” ঘটনাচক্রে সম্প্রতি মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই এবার দুইয়ের সম্মিলিত প্রচারে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। শহর থেকে গ্রাম, প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে আদিবাসী এলাকা, দেশের প্রতিটি কোণে যাতে যোগ দিবসের বার্তা পৌঁছে দিতে সব মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। ছুটির দিনেও সরকারি কর্মচারীদের সিংহভাগকে কী করে যোগ অনুষ্ঠানে শামিল করানো যায়, তা নিয়ে আয়ূষ এবং তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক যৌথভাবে ঘনঘন বৈঠকে বসছে। বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে ৪০০ কর্মীকে এ ব্যাপারে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, কীভাবে যোগ দিবসের ছবি, ভিডিও প্রচার করা যায়। আয়ূষ মন্ত্রকের সচিব রাজেশ কোটেচা, যুগ্মসচিব মোনালিসা দাস, তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের যুগ্মসচিব সি সেন্থিল রাজন এব্যাপারে সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগী হয়েছেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ১ লক্ষেরও বেশি স্থানে সাধারণ যোগ প্রোটোকল (CYP) অনুযায়ী একযোগে গণ যোগব্যায়ামের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে যোগ সঙ্গমে, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭:৪৫ পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে আয়োজন করা জাতীয় অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন (International Yoga Day 2025)।

  • Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স তিরিশ ছোঁয়ার আগেই শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি মানসিক অবসাদের মতো নানান জটিল সমস্যা বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিশেষত এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেশি। ‘ফাস্ট লাইফস্টাইল’ শরীরের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করছে। মানসিক চাপ ও দেখা দিচ্ছে। তার উপরে অধিকাংশের অনিয়মিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানের পথ রয়েছে যোগাভ্যাসে (Yoga)। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের (International Yoga Day 2025) আগে চিকিৎসকদের একাধিক কর্মশালায় উঠে এল এমনিই সমাধান। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাধিক শারীরিক সমস্যা জীবন যাপন ধরণ সংক্রান্ত। তাই যোগাভ্যাস সেই সমস্যা মোকাবিলার সবচেয়ে সক্রিয় ‘দাওয়াই’ হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) একাধিক বিপদ রুখে দিতে পারে।

    কোন কোন বিপদ রুখতে কার্যকরী যোগাভ্যাস, দেখে নেওয়া যাক—

    স্থূলতা কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হলো অতিরিক্ত ওজন। স্থুলতার জেরে এক দিকে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে, আরেকদিকে হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব, হাড়ের ক্ষয় রোগের মতো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই স্থুলতা যথেষ্ট বিপজ্জনক। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে যোগাভ্যাস। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় করা সহজ হয়। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। তাই সহজেই স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ দুই দশকে ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। ভারতীয়দের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সি পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ভাবেই বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস এই ঝুঁকি কমাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। দেহের রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। বাড়তি চাপ তৈরি করে না। তাই হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ রুখতে যোগাভ্যাসে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কিডনির সুস্থ রাখতে ভরসা থাকুক যোগাভ্যাসে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রৌঢ় বয়সে কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। কম বয়স থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার জেরেই কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে এই বিপদ কমানো যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরের সমস্ত পেশির কার্যকারিতা বজায় থাকে। এর প্রভাব কিডনিতেও পড়ে। কিডনির কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজরদারি জরুরি। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীরের মতোই মনের সুস্থ থাকাও জরুরি। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই বহু ছেলেমেয়ে মানসিক চাপ ও অবসাদের শিকার হচ্ছে। পরবর্তী জীবনে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। শারীরিক একাধিক সমস্যার কারণ মানসিক চাপ এবং অবসাদ। তাই এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ ও স্বাভাবিক ভাবে হয়। এর ফলে মানসিক চাপ ও কমে। অবসাদের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাবে!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই প্রথম থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত যোগাভ্যাস এই কাজে সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকিও কমে।

    কেন যোগাভ্যাস সুস্থ থাকার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে শারীরিক কসরতের সুযোগ কমছে। অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় চেয়ারে বসে থাকেন। কিংবা এমন কোনও কাজ করেন, যেখানে ছোটাছুটির বিশেষ সুযোগ থাকে না। অনেক সময়েই নানান কারণে ঘুমের সময় কমে। এগুলো শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যোগাভ্যাস শরীরের সমস্ত পেশি এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে। নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। পেশি, স্নায়ু সক্রিয় থাকলে শরীরের সমস্ত অঙ্গে কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে, রোগ মোকাবিলা সহজ। পাশপাশি যোগাভ্যাস হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক অস্থিরতা কমে। ফলে নানান মানসিক জটিলতা কমার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই আধুনিক জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ মোকাবিলায় যোগাভ্যাসেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 21 June 2025: কোনও নতুন সম্পত্তি কিনতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 21 June 2025: কোনও নতুন সম্পত্তি কিনতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সাংসারিক সুখ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কোনও নতুন কাজে রুচি থাকবে।

    ৩) কাজে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে, তা না-হলে সমস্যা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) পেভাইদের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব মজবুত হবে।

    ৩) আবেগপ্রবণ বিষয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবেন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২) কোনও নতুন সম্পত্তি কিনতে পারেন।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে পিকনিকে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি অন্য দিনের তুলনায় খুবই ভালো।

    ২) কলা-কৌশল উন্নত হবে।

    ৩) মান-সম্মান বাড়বে।

    সিংহ

    ১) আত্মীয়ের মনের মধ্যে চলতে থাকা কথা জানতে পারবেন।

    ২) কোনও কাজে গাফিলতি করবেন না।

    ৩) সন্তানের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কোনও বড় লক্ষ্য অর্জন করায় আনন্দিত থাকবেন।

    ৩) সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করুন।

    তুলা

    ১) আজকের দিনে পদ-প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে আধিকারিকদের দেওয়া কাজ সময়ের মধ্যে পূরণ করবেন।

    ৩) বিভিন্ন কাজে রুচি থাকবে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।

    ২) দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

    ৩) ভাইদের সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি দুর্বল।

    ২) আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।

    ৩) সহকর্মীদের ওপর ভেবেচিন্তে ভরসা করতে হবে।

    মকর

    ১) জমি, গাড়ি, বাড়ি কেনার চিন্তাভাবনা করতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন ভালো কাটবে।

    ৩) সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

    কুম্ভ

    ১) কাজকর্মের বিষয়ে সতর্ক থাকুন, তা না-হলে কোনও সমস্যা হতে পারে।

    ২) কিছু ব্যক্তিদের থেকে সাবধান থাকুন।

    ৩) সম্পর্কে সামঞ্জস্য বজায় রাখুন।

    মীন

    ১) মনস্কামনা পূরণ হবে আজ।

    ২) ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় আগত সমস্যা থেকে স্বস্তি পাবেন।

    ৩) আজ সমাজে আপনার ভাবমূর্তি উন্নত হবে।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share