Tag: Madhyom

Madhyom

  • Israel Hamas War: ‘‘এটা আমাদের ৯/১১’’! বলল ইজরায়েল, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ১১০০ পার

    Israel Hamas War: ‘‘এটা আমাদের ৯/১১’’! বলল ইজরায়েল, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ১১০০ পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে (Israel Hamas War) মৃত্যুর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১১০০ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও কয়েক হাজার বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের ওপর হামাসের হামলার পরই যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ৫০ বছর পর এই প্রথম কোনও সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করল তেল আভিভ।

    জঙ্গি-হামলায় বিধ্বস্ত ইজরায়েল

    শনিবার ভোর ৬টা (স্থানীয় সময়)। গাজা থেকে ইজরায়েলের দিকে ধেয়ে আসে মুহুর্মুহু রকেট। ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয় ইজরায়েলের ওপর। শুধু রকেট হামলাই নয়, প্যারাগ্লাইডারে চেপে সীমান্ত পেরিয়ে ইজরায়েলে ঢুকে শয়ে-শয়ে হামাস জঙ্গি। হামলা চালানো হয় সমুদ্রপথেও (Israel Hamas War)। তেল আভিভের রাস্তা কোথাও রকেট হানায় জ্বলছে, তো কোথাও জঙ্গিরা অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নির্বিচারে ঘরে ঢুকে নিরীহ বাসিন্দাদের মারা থেকে শুরু করে ইজরায়েলিজের অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে হামাসের বিরুদ্ধে (Israel Situation)। এই সংক্রান্ত বহু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও মাধ্যম সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়ে। গোষ্ঠীর তরফে এই হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘ইজরায়েলের পাশে ভারত’, বার্তা মোদির

    ‘‘এটা আমাদের ৯/১১’’, বললেন সেনা মুখপাত্র 

    ইজরায়েল জানিয়েছে, সীমান্তের কাছে একটি মিউজিক ফেস্টিভ্যাল চলছিল। সেখানে আচমকা হামলা চালিয়ে অন্তত ২৬০ জনকে নির্বিচারে হত্যা করেছে হামাস জঙ্গিরা। হামলার পর পরই প্রাথমিকভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা (Israel Hamas War) করে ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, হামাসের হামলায় এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলে মৃত্যু হয়েছে ৭০০-র বেশি। ইজরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৩৬ ঘণ্টায় জঙ্গি মোকাবিলায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বহু সেনা ও পুলিশকর্মী। হাসপাতালে ২ হাজারের বেশি আহতের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা সঙ্কটজনক। ইজলায়েলের শতাধিক সাধারণ নাগরিক ও সেনাকর্মীকেও হামাস অপহরণ করে বন্দি করেছে বলে দাবি তেল আভিভের (Israel Situation)। ইজরায়েলের সেনা মুখপাত্র এই ঘটনাকে ভারতের ৯/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের ৯/১১। হামাস আমাদের সামরিক প্রতিষ্ঠানে হামলার করার সাহস দেখায়নি। ওরা সাধারণ নাগরিক, বয়স্ক, শিশুদের হত্যা করেছে।’’

    ৫০ বছর পর সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা ইজরায়েলের

    এর পর রবিবার সরকারিভাবে যুদ্ধ ঘোষণা (Israel Hamas War) করে তেল আভিভ। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তার আগে, এই মর্মে ভোটদানের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা। প্রায় ৫০ বছর পর সরাসরি কোনও যুদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল। নেতাহিয়াহু একটি বার্তায় হামলাকে ইজরায়েলের কালো দিন হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিজ্ঞা করেন, এর জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘হামাসকে ধ্বংস করতে সর্বশক্তি লাগিয়ে দেবে ইজরায়েল সেনা।’’ সরকারিস্তরে যুদ্ধ ঘোষণা (Israel Situation) হতেই হামাস পরিচালিত গাজায় হামাসের ঘাঁটিতে জবাবি ‘লৌহ তলোয়ার’ অভিযান চালায় ইজরায়েলি বায়ুসেনা, স্থলসেনা। ইজরায়েলি জবাবে কার্যত ধ্বংস্তূপে পরিণত গাজার একাংশ। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ইজরায়েলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। 

    হামাসকে ‘শিক্ষা’ দিতে  ভূমধ্যসাগরে মার্কিন ফ্লিট

    এদিকে, হামাসের হামলায় ইজরায়েলে নিহত হয়েছেন বহু মার্কিন নাগরিকও। এই ঘটনার পরই নড়চড়ে বসেছে ওয়াশিংটন। রবিবারই ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাসকে ‘শিক্ষা’ দিতে ও ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে রণতরীর একটি বিশাল ফ্লিট পাঠালো পেন্টাগন (Israel Hamas War)। জানা গিয়েছে, ওই ফ্লিটে একটি বিমানবাহীন রণতরী রয়েছে। এছাড়া রয়েছে শক্তিশালী গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও গাইডেড মিসাইল ক্রুজার। এর পাশাপাশি, সন্ত্রাসী হামলায় হামাসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবানেনের জঙ্গিগোষ্ঠী হেজবোল্লাও। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে মধ্য প্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আকাল প্লেটলেটের, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    Dengue: হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আকাল প্লেটলেটের, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। কলকাতা লাগোয়া হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি। আক্রান্ত হয়ে বহু রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এরইমধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্লেটলেটের অভাব দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতার সরকারি হাসপাতাল থেকে প্লেটলেট আনতে হচ্ছে।

    কী বললেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক? (Dengue)

    হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, দৈনিক ২৫-২৭ জন ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় শয্যার পাশাপাশি প্লেটলেটেরও অভাব দেখা দিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বুধবার মাত্র এক দিনে আট জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গি রোগীর পাশাপাশি অন্য রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ক্লাব বা সংগঠনগুলি রক্তদান শিবিরের আয়োজন না করায় হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লেটলেট নেই বললেই চলে। এসএসকেএম থেকে ২০ ব্যাগ প্লেটলেট আনিয়ে পরিস্থিতি সামলানো হয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্লেটলেট সাধারণত চার দিনের বেশি রাখা যায় না। নষ্ট হয়ে যায়। রবিবার যে রক্তদান শিবির হয়, সেখান থেকে প্লেটলেট নিয়ে টেনেটুনে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চালানো যায়। পরের তিন দিন চরম সঙ্কট হয়।

    হাওড়া পুরসভার কর্তা কী বললেন?

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৯তম সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৮৭। ৪০ তম সপ্তাহে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩০০। এই পুর এলাকায় যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তা মানছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও। নতুন করে যে ওয়ার্ডগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়ছে, সেগুলি হল ২৫, ৪২, ৪৯ এবং ৫০ নম্বর। শনিবারই ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাওড়ার শরৎ সদনে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরী। হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে। সরকারি আবাসনের চত্বর পরিষ্কার রাখার জন্য চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আবর্জনা পরিষ্কারে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Flash Flood: ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা থেকে উদ্ধার আরও ১১টি দেহ, সিকিমের হড়পা বান যেন দুঃস্বপ্ন!

    Sikkim Flash Flood: ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা থেকে উদ্ধার আরও ১১টি দেহ, সিকিমের হড়পা বান যেন দুঃস্বপ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার হড়পা বানে সিকিমে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় (Sikkim Flash Flood) নেমে আসে। সেই সঙ্গে উত্তর সিকিমে হ্রদ ভেঙে পড়ে। জলপাইগুড়ির তিস্তায় নেমে আসে মেঘভাঙা বৃষ্টির জলের তোড়। পাহাড়ের প্রভাব সমতলেও ভয়ঙ্করভাবে পড়ে। আগ্রাসী তিস্তা পাহাড় থেকে সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে আসে নিচে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উদ্ধার হচ্ছে দেহ। গত ২৪ ঘণ্টায় উদ্ধার হয়েছে আরও ১১ টি দেহ। এইসব মিলিয়ে মোট মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, ১১ টি দেহের মধ্যে ১০ টি শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে বন্যার জলে রোজই ভেসে আসছে দেহ। এলাকার মানুষ এখনও আতঙ্কে রয়েছেন।

    জলপাইগুড়ি প্রশাসনের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৮ অক্টোবর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তিস্তা থেকে বানের জল থেকে মোট ৪১ টি মৃতদেহ (Sikkim Flash Flood) পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন যেন তিস্তা একটি লাশের নগরীতে পরিণত হয়েছে। যেদিকে নজর যায়, সেই দিকেই কেবল ধ্বংস এবং বিপর্যয়ের চিত্র চোখে পড়েছে। গতকাল শনিবারেও ৩ টি দেহ উদ্ধার করা হয়। শবদেহগুলি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। যারা যারা নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের খোঁজ চলছে। সেনাকর্মী, প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একযোগে উদ্ধারকাজ করছে বলে জানা গেছে।

    ভয়ঙ্করী তিস্তা (Sikkim Flash Flood)

    গত মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গেছে সুন্দর সাজানো সিকিম (Sikkim Flash Flood)। তার প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। জলের আঘাতে ভেঙে গেছে জাতীয় সড়ক। পাহাড়ের জল তিস্তায় পড়ে জলের উচ্চতা বৃদ্ধি হয়ে ভেসে গেছে বাড়িঘর, গাছপালা সবকিছু। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে প্রকৃতি। আটকে পড়েছেন প্রচুর পর্যটক। কার্যত হোটেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছিল কলকাতা- হাওড়ার পর্যটকদের। প্রকৃতিক বিপর্যয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সিকিম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: শেষদিনে এল ৬টি সোনা! রেকর্ড ১০৭টি পদক নিয়ে এশিয়ান গেমস থেকে ফিরছে ভারত

    Asian Games 2023: শেষদিনে এল ৬টি সোনা! রেকর্ড ১০৭টি পদক নিয়ে এশিয়ান গেমস থেকে ফিরছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ ভালো যার, সব ভালো তার! হাংঝৌ এশিয়ান গেমসের শেষ দিনে বাজিমাত ভারতের। শনিবার ছিল প্রতিযোগিতার ১৪তম দিন। এদিন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা ৬টি সোনার পদক-সহ মোট ১২টি পদক জিতেছেন। মোট ১০৭টি পদক নিয়ে গেমস শেষ করল ভারত, যা সর্বকালীন রেকর্ড। ২৮টি সোনা, ৩৮টি রুপো এবং ৪১টি ব্রোঞ্জ নিয়ে ভারত পদক তালিকায় চতুর্থ স্থানে অভিযান শেষ করেছে।

    সকাল থেকেই পর পর সোনা…

    শনিবার সকাল থেকে একের পর এক পদক এসেছে ভারতে। দেশবাসীর ঘুম ভাঙার আগেই সকাল সকাল ১০০পদক ঝুলিতে ভরে ফেলেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। এদিন ভারতের পুরুষ ক্রিকেট দল সোনার পদক জিতেছে। অন্যদিকে কাবাডিতে ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ব্যাডমিন্টনের পুরুষদের ইভেন্টে ভারত সোনা পেয়েছে, আর ভারতীয় তিরন্দাজরা পুরুষ ও মহিলাদের ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতেছে। শেষবেলায় দাবায় এল জোড়া পদক। দাবাতে রুপো পেল ভারতের পুরুষ ও মহিলা দল।

    অ্যাথলেটিক্স থেকে ২৯, শ্যুটিং থেকে ২২ 

    তিরন্দাজি, শুটিংয়ের মতো ইভেন্টে শুরু থেকে শুরু করে মোট ২২টি ইভেন্ট থেকে পদক জিতেছে ভারতীয় অ্যাথলিটরা। সবথেকে বেশি পদক এসেছে অ্যাথলেটিক্সে। এই ইভেন্ট থেকে ৬টি সোনা সহ মোট ২৯টি পদক এসেছে। পুরুষদের রিলে রেস, মহিলা স্টিপলচেজের মতো ইভেন্টে ঐতিহাসিক সোনা জিতেছে ভারত। এছাড়া, শ্যুটিং থেকে এসেছে ৭টি সোনা সহ ২২টি পদক। তিরন্দাজিতে সোনা এসেছে ৬টি। 

    দীর্ঘ খরা পর হকিতে সোনা

    স্কোয়াশ ২টো সোনা, ১টা রুপো, ২টো ব্রোঞ্জসহ ৫টা পদক এসেছে। রোয়িংয়ে ভারতীয়রা পেয়েছে পাঁচটি পদক। এরমধ্যে ২টো রুপো, ৩টে ব্রোঞ্জ। ব্যাডমিন্টন ডাবলসে চিরাগ-সাত্ত্বিক জুটির ঐহিহাসিক সোনার সঙ্গেই দলগত বিভাগে রুপো, প্রণয় ব্যক্তিগতভাবে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। মোট পদকের সংখ্যা ৩। হকিতে পুরুষ দল সোনা ও মহিলা দল ব্রোঞ্জ জিতেছে। কুস্তিতে টি রুপো, ৫টা ব্রোঞ্জ পেয়েছে ভারত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিদারদের পার্টি নয়, বিজেপি প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার দল। ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে তৃণমূলের কটাক্ষকে এই ভাষাতেই জাবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। শনিবার সকালে ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসেন তিনি। এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা বিজেপি কার্যালয়ে চলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে। তারপরই সুকান্ত-শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে কড়া আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। 

    ওদের সঙ্গে দেখা করতেই দিল্লি আসি

    এদিন তিনি বলেন, ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ, এটা কোনও স্বৈরতন্ত্র নয়। এখানে যা ইচ্ছে তাই করা বা যা ইচ্ছে তাই বলা যায় না, বলে দাবি করেন সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan Jyoti)। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের সামনে বাধ্য হয়ে আসতে হল আমাকে। দুদিন আগে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। কেন্দ্রীয় সরকার বৈমাত্রেয় সূলভ আচরণ করছে জানিয়ে দেখা করতে চান। শুধু ওদের সঙ্গে দেখা করতেই আমি দিল্লি এসেছিলাম। প্রথমে ওরা বলেছিলেন ৫ জন প্রতিনিধি দেখা করবেন। তারপর আমার পিএসের কাছে বলেন ১০ জন দেখা করবেন। আমি বললাম আপত্তি নেই। তারপর বলেন, সমস্ত জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমি বলি, সচিব সহ অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনার জন্য। তারপর সাড়ে ৭টায় বলেন সব সাংসদ দেখা করবেন। আমি সেটারও ব্যবস্থা করি। তারপর মহুয়া মৈত্র বলেন, একা দেখা করবেন। আমি তারপর বলি কারও সঙ্গে একা দেখা করব না। ডেলিগেট টিমের সঙ্গে দেখা করব। তারপর ৮টায় বলা হয় সব সাংসদরা আসবেন। আমি বলি সেটাই করুন। কিন্তু ৮টা ২০তে আবার বলেন জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে আগে। আমি বলি, আগে আপনাদের ডেলিগেটের সঙ্গে দেখা করব। তারপর জনতার সঙ্গে দেখা করব। যেভাবে আমার নামে মিথ্যা বলেছেন, আমাকে ভিডিয়ো করতে হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি নাকি পিছনের গেট দিয়ে চলে গিয়েছি। আমি ৪ নম্বর গেট দিয়েই বরাবর যাতায়াত করি। আমার মনে হচ্ছে মিথ্যাটাই এই সরকারের বুনিয়াদ।” 

    ইউপিএ জমানার তুলনায় বেশি বরাদ্দ

    তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলকে জমিদারদের পার্টি বলা হচ্ছে। আমাদের দল জমিদারদের দল নয়, প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার পার্টি হল বিজেপি। আমাদের সরকার গরিব মানুষকে সব দিয়েছে। আর আমাকে বলছে, আমি মিথ্যেবাদী? মহুয়া মৈত্র, যে দলে তুমি আছো মিথ্যার ভিত্তিভূমি থেকে তার উৎপত্তি’। শনিবার কলকাতায় এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেন নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। দাবি করেন, ইউপিএ জমানার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গকে কয়েক গুণ বেশি বরাদ্দ দিয়েছে মোদি সরকার। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাধ্বী জানান, “২০১৪-র পর ৪৫ লক্ষ বাড়ি আমরা দিয়েছি আবাস যোজনায়। ইন্দিরা আবাস যোজনায় অ্যাপ্রুভ হওয়া ১০ লক্ষের বেশি ঘর আমরা তৈরি করেছি। কোভিডের পর থেকে এই রাজ্যের ৬ কোটি ২ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে চাল দিয়ে আসা হচ্ছে। ৩৯,৭১০০টন চাল দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী (Sadhvi Niranjan Jyoti)  জানান, “আমি আজ কলকাতায় এসেছি। ওরা যেখানে বলবে সেখানে কথা বলতে আমি প্রস্তুত। কিন্তু ওদের কথা বলার কেউ নেই। আসলে মুখুমুখি বসলে চুরি ধরা পড়ে যাবে।” তাঁর কথায়, “মনরেগায় ঘোটালা হয়েছে। মনরেগার টাকা আটকালে তো প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকাও আটকানো হত। ৫৪০০ কোটি দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর সময়। আর মোদী সরকার ১১০০০ কোটি দিয়েছে গত ৯ বছরে। মহিলাদের মাত্র ৬০০ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর আমলে। আর মোদী সরকারের সময়, ৭৪০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ১১ লক্ষ  বাংলার মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করছেন মোদী সরকারের সময়। এই সব কারণেই ওরা আলোচনা করার বদলে পালিয়ে যান। কারণ দুর্নীতি ছাড়া কথা বলার আর কোনও বিষয় ছিল না। আমি আড়াই ঘণ্টা বসেছিলাম। আজও এসেছি। আমি ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম? তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সচিবকে নিয়ে আসুন। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত হতে দেব না। কথা দিচ্ছি। কিন্তু ভুয়ো জব কার্ড যাদের দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তো বের করতেই হবে।” 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু বেড়ে ৫৬, এখনও নিখোঁজ শতাধিক

    Sikkim Disaster: সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু বেড়ে ৫৬, এখনও নিখোঁজ শতাধিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে (Sikkim Disaster) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। এখনও পর্যন্ত যা খবর, মৃতের সংখ্যা ৫৬ হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে সিকিমে। বাকি ৩০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সেনা জওয়ান সহ নিখোঁজ আরও শতাধিক।

    মৃত্যু বেড়ে ৫৬, নিখোঁজ শতাধিক

    সিকিম বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) ঘটনার পর তিন দিন কেটে গিয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় পুরোদমে উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে। আর তাতেই বেরিয়ে পড়ছে মৃতদেহগুলি। মূলত তিস্তা নদীর পাড় থেকেই একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে। সিকিমে এ পর্যন্ত ২৬টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। সিকিম প্রশাসন জানিয়েছে, মংগন জেলা থেকে ৪, গ্যাংটক থেকে ৬, পাকিয়ং থেকে ১৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে সাত জওয়ানের দেহ। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের তিস্তা অববাহিকায় ৩০টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকাজ এগোলে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

    ভেসে আসা গোলাবারুদ নিষ্ক্রিয় করছে সেনা

    এদিকে, সেনা ছাউনি থেকে হড়পা বানে (Sikkim Disaster) যে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ভেসে গিয়েছে, তা জনসাধারণের হাতে এসে যাওয়ায় নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই, তিস্তার জলের তোড়ে ভেসে আসা মর্টার শেলের বিস্ফোরণে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে মৃত্যু হয় দুই শিশুর। গুরুতর জখম হন ছ’জন। এর পরই, সেনা ও প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বিস্ফোরক উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করতে তৎপর সেনা। যেখানেই মর্টার শেল বা ওই জাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার করা হচ্ছে, তা সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে।

    ঝুঁকি নিয়ে চলছে উদ্ধারের কাজ

    প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Sikkim Disaster) তছনছ সিকিম। চারদিকে শুধুই ধ্বংসের ছবি। তার মধ্যেই প্রবল ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছে সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর টিম। এনডিআরএফ-এর মোট ৮টি টিম সিকিম ও উত্তরবঙ্গে রয়েছে। সিকিমের সিংতাম, গ্যাংটক,  রংপোয় রয়েছে উদ্ধারকারী দল। এছাড়া, জলপাইগুড়ির গাজোলডোবা, ওদলাবাড়ি, মাল ব্লক, কতোয়ালি-সহ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে এনডিআরএফ। শুক্রবার থেকেই উত্তর সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদে সরাতে এয়ারলিফ্টিং শুরু করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। বিকল্প রাস্তাও খুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা চলছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও দিল্লি গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ, আবার কখনও রাজভবনের সামনে ধর্না প্রদর্শন। কার্যত নিজেকে ইডির জেরার মুখ থেকে বাঁচতেই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছেন, নন্দীগ্রামে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘পুলিশি মদতে মঞ্চস্থ ধর্না জনস্বার্থে না পরিবারের স্বার্থে? এই প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় অক্টোবর মাসের ক্যালেন্ডার তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে কার্যত খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাঁর স্ত্রী এবং বাবা-মাকেও তলব করার প্রেক্ষিতে অক্টোবর মাসের ক্যালেন্ডারের চারটি তারিখ ৬ অক্টোবর, ৭ অক্টোবর, ৯ অক্টোবর এবং ১১ অক্টোবর এই চারদিন ‘মা’ ‘বাবা’ ‘কয়লা’ ও ‘নারোলা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি চলো কর্মসূচি কিম্বা রাজভবনের সামনে অভিষেকের নেতৃত্বে ধর্না— এসবই শাসক দলের অবস্থানকে দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই বলেও আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

    রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেছে তৃণমূল। অভিষেকের নাম না করে তাঁকে ‘জমিদার’ বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। শাসক দল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও উপেক্ষা করছে মত শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, একের পর এক ইডির জেরার মুখে অভিষেক ও তার পরিবার। শুভেন্দুর বক্তব্য অভিষেক নিজেকে বাঁচাতে বাবা মা-সহ পরিবারকে চোর সাজাচ্ছে। কার্যত দিল্লি থেকে রাজভবন, বিগত কয়েকদিনে যে যে কর্মসূচি গুলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন শুভেন্দুর চোখে অভিষেকের নেওয়া সেই সমস্ত পদক্ষেপগুলো কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। তিনি নিজেকে ইডির জেরার মুখ থেকে বাঁচাতেই এই ধরনের একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন। এগুলোর সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Palestine War: গাজায় ২০ মিনিটে ৫০০০ রকেট বর্ষণ হামাসের! পাল্টা জবাবে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা ইজরায়েলের

    Israel Palestine War: গাজায় ২০ মিনিটে ৫০০০ রকেট বর্ষণ হামাসের! পাল্টা জবাবে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছরের বেশি সময় পার হলেও, এখনও চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। থামার কোনও লক্ষণ নেই। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এবার বিশ্বের আরেক প্রান্তে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হল বলে! এক ফালি জমিকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিবাদ ফের চরম আকার ধারণ করল। যার জেরে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে (Israel Palestine War) মুখোমুখি ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন। 

    ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট নিক্ষেপ!

    শনিবার সকালে, নতুন করে ইজরায়েলের উপরে হামলা শুরু করল প্যালেস্তাইন। এদিন ৬টা নাগাদ প্যালেস্তাইনের দিক থেকে ইজরায়েলে আছড়ে পড়ে হাজার হাজার রকেট। ইজরায়েলের স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, একসঙ্গে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি রকেট বর্ষণ করা হয়েছে ইজরায়েলের উপরে। গাজায় সক্রিয় হামাস বাহিনী শুক্রবার ‘অপারেশন আল-আকসা’ শুরু করেছে। ইজরায়েলি সেনা (Israel Palestine War) এবং বসতি লক্ষ্য করে গাজা থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি রকেট আছড়ে পড়ে (Hamas Rocket Attack) । মিসাইলের আঘাতে ইজরায়েলি মহিলা মারা গিয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।

    প্যারাগ্লাইডিং করে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ইজরায়েলে!

    ইজরায়েলের দাবি, প্যারাগ্লাইডিং করে প্যালেস্তাইন থেকে বহু সংখ্যক হামাস বাহিনী ইজরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছে। এই প্রেক্ষিতে ইজরায়েল প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেরুজালেম ও আশেপাশের এলাকাগুলিতে সাইরেন (Israel Palestine War) বাজানো হচ্ছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতরের তরফে শনিবার জানানো হয়েছে, শীঘ্রই উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে গাজা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বৈঠক বসছেন তিনি। বেঞ্জামিন নেতানেহায়ু জানিয়েছেন, হামাস বাহিনীকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। 

     

    পাল্টা জবাব ইজরায়েলি বায়ুসেনার

    এর পরই, গাজায় যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করে ইজরায়েল। পাল্টা রকেট হামলায় জবাব দেয় ইজরায়েল। মিসাইল হামলা চালিয়ে গাজায় কয়েকটি তথাকথিত জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা (Israel Palestine War) বলে দাবি সংবাদমাধ্যমে। ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) পোস্টে লেখা হয়েছে, “গাজা স্ট্রিপ দিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক জঙ্গি ইজরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছে। গাজা স্ট্রিপের আশেপাশে যারা থাকেন, তাদের বাড়ির ভিতরেই থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।” অন্যদিকে, প্যালেস্তাইনের হামাস বাহিনীর তরফেও জানানো হয়েছে, অপারেশন আল-আকসা শুরু করা হয়েছে। সমস্ত ধরনের অপরাধ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫ হাজারেরও বেশি রকেট (Hamas Rocket Attack) ছোড়া হয়েছে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Alert: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা, মোদি স্টেডিয়াম ওড়ানোর হুমকি-ইমেল এনআইএ-কে! দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি

    NIA Alert: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা, মোদি স্টেডিয়াম ওড়ানোর হুমকি-ইমেল এনআইএ-কে! দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাণনাশের হুমকি-চিঠি পাঠানো হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র কাছে। এর পরই দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি (NIA Alert) করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।

    কী বলা হয়েছে হুমকি-ইমেলে?

    ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছুদিন আগে এনআইএ-র কাছে একটি হুমকি-ইমেল পাঠানো হয়। চিঠিতে অবিলম্বে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-এর মুক্তির দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০০ কোটি টাকা দিতে হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। চিঠি অনুযায়ী, এটা না করলে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা (Threat to PM Modi) করা হবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দেশ তথা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম— আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ইমেলে (NIA Alert)। 

    হুমকি-চিঠির জেরে সতর্কতা বৃদ্ধি

    হুমকি-চিঠি পাঠানো হয় এনআইএ-র মুম্বই দফতরে। এর পরই সঙ্গে সঙ্গে এনআইএ-র তরফে যোগাযোগ করা হয় মুম্বই পুলিশের সঙ্গে। চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুলিশকে অবগত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেহেতু জড়িত এবং চিঠিতে যেহেতু তাঁর প্রাণনাশের হুমকি (Threat to PM Modi) দেওয়া হয়েছে, তাই কালক্ষেপ না করে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত সকল গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করে এনআইএ (NIA Alert)। তাদের পুরো বিষয়টার ‘ব্রিফ’ দেওয়া হয়। পাশাপাশি গুজরাট পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে এআইএ সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

    ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোর নিরাপত্তায় জোর

    একইসঙ্গে, ক্রিকেট স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হমকিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশে এই মুহূর্তে চলছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আর বলা বাহুল্য, নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়াম হল সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ফলে, যে কোনও ধরনের নাশকতামূলক হামলার চেষ্টা ও তার সম্ভাবনার বিষয়টিকে চূড়ান্ত গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই হুমকি-চিঠি প্রাপ্তির পরই, দেশজুড়ে সতর্কতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম নয়, মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে সহ বিশ্বকাপের সবকটি স্টেডিয়ামের সুরক্ষা-বলয় আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। নিরাপত্তাকে আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে (NIA Alert)। 

    চিঠির উৎস কোথায়? খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা

    ২০১৪ সাল থেকে জেলে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। তবে, অভিযোগ, জেলের ভিতর থেকেই সে তার নেটওয়ার্ক সক্রিয় রেখেছে। তার বিরুদ্ধে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার মামলা চলছে। মুসওয়ালার উপর হামলার দায় স্বীকার করেছিল বিষ্ণোই। তার আগে, বলিউড তারকা সলমন খানকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল এই গ্যাংস্টার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুমকি চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, হিন্দুস্তানে সব কিছু পাওয়া যায়, এবং তারা সেই সব জিনিস কিনেও ফেলেছে। তাদের দাবি, যতই সুরক্ষা বাড়ানো হোক, কেউ নিস্তার পাবে না। হুমকি-চিঠির (Threat to PM Modi) উৎস খুঁজতে দেশের সবকটি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কাজ করছে (NIA Alert)। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Row: দিল্লি থেকে বেশিরভাগ কূটনীতিককে সরাচ্ছে কানাডা! পাঠানো হচ্ছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে

    India-Canada Row: দিল্লি থেকে বেশিরভাগ কূটনীতিককে সরাচ্ছে কানাডা! পাঠানো হচ্ছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের কথা মানতে চলেছে কানাডা (India-Canada Row)। ‘কূটনৈতিক ভারসাম্য’ রক্ষার জন্য দেশে থাকা কানাডার কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জাস্টিন ট্রুডো সরকারকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত। সেই মতোই কানাডা সরকার ভারত থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে কুয়ালালামপুর এবং সিঙ্গাপুরে পাঠাচ্ছে। ধাপে ধাপে তাঁদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। 

    ভারতের নির্দেশ মানল কানাডা

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার কানাডার (India-Canada Row) ৪১ জন কূটনৈতিককে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল। ভারতে এই মুহূর্তে ৬২ জন কানাডার কূটনীতিবিদ ছিল কানাডায় বর্তমানে ২০ জন ভারতীয় কূটনীতিক রয়েছেন। তাই ‘কূটনৈতিক ভারসাম্য’ রক্ষার জন্য কানাডার সেই সংখ্যক কূটনীতিকদেরই ভারতে থাকার বিষয়ে ট্রুডো সরকারের সঙ্গে কথা বলেছিল দিল্লি। ভারত জানিয়ে দিয়েছিল, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভারত থেকে অতিরিক্ত কূটনীতিকদের সরিয়ে নিতে হবে কানাডাকে। সেই মতোই নাকি ভারতে থাকা বেশিরভাগ কূটনীতিকদের সরিয়ে নিল কানাডা। 

    আরও পড়ুন: স্বপ্নপূরণ প্রধানমন্ত্রীর! এশিয়ান গেমসে শত পদক, ভারতের খেলাধুলোয় ইতিহাস

    ভারতে কানাডার সেনেটের স্পিকার

    প্রসঙ্গত, ভারত এবং কানাডার (India-Canada Row) সম্পর্ক বর্তমানে একদম তলানিতে এসে ঠেকেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দুই দেশের কূটনৈতিকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধাক্কা খেয়েছে। সদ্য ভারতে হওয়া জি ২০ সম্মেলনে এসেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দেশে ফিরে তিনি বলেন, কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে ভারতীয় এজেন্টরা। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রক সঙ্গে সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে দেয়। এই আবহে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিক করার জন্য দু’তরফেরই কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত। আগামী ১২ তারিখ (চলবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলছে জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির স্পিকারদের সম্মেলন। সেখানে আসছেন কানাডার সেনেটের স্পিকার রেমন্ড গ্যাগনে। এ ব্যাপারে পাকা কথা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সূত্রের দাবি, ওই সম্মেলনে আসার কথা ছিল কানাডার সংসদীয় নিম্ন কক্ষের (হাউস অব কমন্স) নব মনোনীত অধ্যক্ষ গ্রেগ ফার্গুস-এর। কিন্তু কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ, লিবারাল পার্টির সাংসদ গ্রেগ ফার্গুস নিজেও কানাডার শিখ সম্প্র‍দায়, বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ বলে পরিচিত। তাই বিতর্ক এড়াতে তাঁর জায়গায় রেমন্ড গ্যাগনেকেই দিল্লি পাঠাতে মনস্থ করেছেন ট্রুডো। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share