Tag: Madhyom

Madhyom

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা, শোকপ্রকাশ মোদি-শাহের

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা, শোকপ্রকাশ মোদি-শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানালেন মহাকুম্ভের দায়িত্বে থাকা ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ। তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে এখনও ৫জনকে শনাক্ত করা যায়নি। জখম হওয়া ৯০ জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।

    মৌনী অমাবস্যার অমৃতস্নানের যোগ (Mahakumbh 2025)

    বুধবার ছিল মৌনী অমাবস্যার অমৃতস্নানের যোগ। প্রত্যাশিতভাবেই ব্যাপক ভিড় হয়েছিল (Prayagraj) মঙ্গলবার। এদিন রাত একটা-দুটো নাগাদ সঙ্গম নোজ দিয়ে স্নান করতে যাচ্ছিলেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। সেই পথ দিয়েই স্নান সেরে ফিরছিলেন বহু পুণ্যার্থী। তার জেরেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের দাবি, এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকেই মহাকুম্ভে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনা।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    রাম সিং স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি বলেন (Mahakumbh 2025), “ফেরার কোনও রাস্তা ছিল না। সব দিকেই জনতার ভিড়। ফলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আমাদের সামনেই অনেকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ভিড়ের চাপে ফেরার রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।” যদিও মেলার বিশেষ কার্যনির্বাহী কর্তা আকাঙ্খা রানার দাবি, সঙ্গমের পথে কিছু বাধা ভেঙে এগিয়ে যান বহু মানুষ। তার জেরেই ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা।

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ মহাকুম্ভে একটি দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণ গিয়েছে। আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। আমি সবার আগে নিহতদের শ্রদ্ধা জানাই। ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” ঘটনার পর থেকেই আমি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মৌনী অমাবস্যা বলে আজ প্রচুর ভিড় হয়েছিল। ঘটনার জেরে খানিকক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল স্নান। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “যাঁরা কাছের মানুষকে হারিয়েছেন, ঈশ্বর তাঁদের শক্তি দিন এই দুঃখ ভুলতে (Mahakumbh 2025)।”

    পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন পরমার্থ নিকেতন আশ্রমের সভাপতি স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে (Prayagraj) তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিভিন্ন আখড়া যেভাবে আগে ভক্তদের স্নানের সুযোগ করে দিয়েছে, সেটাকেও সাধুবাদ জানান তিনি (Mahakumbh 2025)।

  • Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুত নয় পাকিস্তান! বাধ্য হয়ে পদত্যাগ আইসিসির সিইও-র

    Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুত নয় পাকিস্তান! বাধ্য হয়ে পদত্যাগ আইসিসির সিইও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) শুরু হতে আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। তার আগে পদত্যাগ করলেন আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালারডাইস। ২০২১ সাল থেকে আইসিসির সিইও পদে ছিলেন জিওফ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেই সরে গেলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজনে পাকিস্তান যে এখনও তৈরি হতে পারেনি, তার দায় নিয়েই সরলেন তিনি। যদিও জিওফ নিজে থেকেই সরে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে একটি মিডিয়া বিবৃতিতে এ কথা জানান আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। তবে জিওফ-এর পদত্যাগের কারণ জানানো হয়নি।

    চাপে ছিলেন জিওফ

    আইসিসি সূত্রে খবর, চাপে ছিলেন জিওফ। গতবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি-২০ বিশ্বকাপে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তান যে এখনও প্রস্তুত নয়, তার দায় চাপানো হয় তাঁর ওপরই। রাওয়ালপিন্ডি এবং করাচি এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তৈরি হয়নি। এই বিষয়টি আইসিসির বোর্ডকে জানাননি অ্যালারডাইস। গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপের পর আইসিসির ইভেন্ট হেড ক্রিস টেটলি এবং মার্কেটিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার ক্লেয়ার ফারলং পদত্যাগ করেন। দুর্নীতিবিরোধী শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শালও ইস্তফা দেন। এবার সরলেন সিইও জিওফ। তিনি বলেন, “আইসিসির সিইও পদ সামলানোর দায়িত্ব পাওয়াটা সত্যিই বড় ব্যাপার। ক্রিকেটের প্রসারের জন্য যা করেছি, তাতে আমি খুশি। আমার মনে হয় এটাই সেরা সময় আমার সরে যাওয়ার। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাই।”

    প্রস্তুত নয় পাকিস্তান

    ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025)। নিরাপত্তার কারণে ভারত নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। কিন্তু বাকি সব ম্যাচ হবে পাকিস্তানের করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে। এই তিন জায়গার মাঠ এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। সংস্কারের কাজ চলছে, যা অনেক আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এখনও বোঝা যাচ্ছে না আদৌ করাচি এবং রাওয়ালপিণ্ডির মাঠ সময়ের আগে তৈরি হবে কি না। প্রথম ম্যাচ করাচিতেই। আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ যদিও অ্যালারডাইসের প্রশংসাই করেছেন। তিনি বলেন, “আইসিসির তরফে অ্যালারডাইসকে ধন্যবাদ। তাঁর পরিশ্রম ক্রিকেটকে সারা বিশ্বে পৌঁছে দিয়েছে। অ্যালারডাইসকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।” ইতিমধ্যেই নতুন সিইও খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে আইসিসি। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে আইসিসির দায়িত্ব নিয়েছেন জয় শাহ। তিনি যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমস্যায় সরাসরি ঢোকেননি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পাকিস্তানের চরম গাফিলতিতে যে জয় শাহর আইসিসি ক্ষুব্ধ তা এই ঘটনায় স্পষ্ট।

  • Mahakumbh 2025: টানা রিক্সায় করে নবতিপর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’ প্রৌঢ়

    Mahakumbh 2025: টানা রিক্সায় করে নবতিপর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’ প্রৌঢ়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’ প্রয়াগরাজের (Prayagraj) কুম্ভমেলায় (Mahakumbh 2025) যাওয়ার ইচ্ছে ছিল উত্তরপ্রদেশেরই মুজাফফরনগরের নবতিপর এক বৃদ্ধার। মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে টানা রিক্সায় করে মাকে টেনে নিয়ে কুম্ভমেলায় গেলেন এক ব্যক্তি। যে সময়ে অনেক পরিবারেই মা-বাবার ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রমে, সেখানে মায়ের প্রতি সন্তানের এই কর্তব্য নজির সৃষ্টি করেছে বই কি!

    মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)

    চলতি বছর ১২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে উদ্বোধন হয়েছে মহাকুম্ভ মেলার। প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর হয় মহাকুম্ভ। আর ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণকুম্ভ। মহাকুম্ভে স্নানের সুপ্ত ইচ্ছে ৯২ বছরের ওই বৃদ্ধা ব্যক্ত করেছিলেন ছেলের কাছে। তার পরেই মাকে নিয়ে কুম্ভের উদ্দেশে রওনা দেন ওই প্রৌঢ়। গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে মাকে অমৃত স্নান করিয়ে বাড়িও ফিরেছেন ওই ব্যক্তি।

    মোক্ষ লাভ

    হিন্দুদের বিশ্বাস, কুম্ভস্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। সেই বিশ্বাসে প্রতিটি কুম্ভমেলায় প্রয়াগরাজে ভিড় করেন কোটি কোটি পুণ্যার্থী। প্রতি ছ’বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভ। সেই সময়ও ভিড় হয়। তবে পূর্ণকুম্ভের মতো ভিড় সেই সময় হয় না। এবার আবার মহাকুম্ভ যোগ। প্রত্যাশিতভাবেই ভিড় হবে ব্যাপক। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, এবার অন্তত ৪০ কোটি মানুষ কুম্ভস্নান করবেন। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কুম্ভস্নান সেরেছেন ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ।

    আজ, বুধবার ছিল মৌনী অমাবস্যার স্নান (Mahakumbh 2025)। এদিন অমৃতস্নান করেছেন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। এখনও দুটি বিশেষ দিন রয়েছে অমৃতস্নানের। একটি হল ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর দিন। আর একটি দিন হল ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। ভিড়ভাট্টা এড়াতে এই বিশেষ দিনের মাঝের দিনগুলিতে সঙ্গমে পবিত্র ডুব দিতে ভিড় করেন বহু মানুষ। এঁদের মধ্যে যেমন বহু সাধারণ মানুষ থাকেন, তেমনই থাকেন নেতা-মন্ত্রীরা।

    ইতিমধ্যেই অমৃতস্নান করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সপরিবারে পবিত্র ডুব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৫ ফেব্রুয়ারি সঙ্গমে স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং (Prayagraj) উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় স্নান করবেন ১০ ফেব্রুয়ারি (Mahakumbh 2025)।

  • ISRO 100th Mission: মহাকাশে ক্রমশ ডানা মেলছে ভারতের ‘নাবিক’, জিপিএস-এর বিকল্প হাতের মুঠোয়?

    ISRO 100th Mission: মহাকাশে ক্রমশ ডানা মেলছে ভারতের ‘নাবিক’, জিপিএস-এর বিকল্প হাতের মুঠোয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই অতীত হতে চলেছে এদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিপিএস-এর ব্যবহার? নির্ভুল দেশীয় নেভিগেশন সিস্টেম (NavIC Navigation System) কি হাতের মুঠোয় করে ফেলল নরেন্দ্র মোদির ভারত? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ বুধবার এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। শততম উৎক্ষেপণে (ISRO 100th Mission) সফলভাবে মহাকাশে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করল এনভিএস-০২ উপগ্রহকে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ভোর ৬টা ২৩ মিনিটে স্যাটেলাইটকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় জিওসিনক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকল (জিএসএলভি-এফ১৫) রকেট। কিছুক্ষণ পরই, নির্দিষ্ট কক্ষপথে উপগ্রহটিকে প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়।

    মহাকাশ প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভর ভারত (ISRO 100th Mission)

    জিএসএলভি-এফ১৫ হল ভারতের নিজস্ব জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের ১৭তম উৎক্ষেপণ এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রায়োজেনিক স্টেজ (ইঞ্জিন) ব্যবহৃত একাদশতম অভিযান। এদিনের সফল অভিযানের (ISRO 100th Mission) মাধ্যমে অত্যাধুনিক মহাকাশ প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভরতার জায়গা ফের একবার মজবুত করল ভারত। সক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে এবারের উৎক্ষেপণে ৩.৪ ব্যাসের ধাতব বস্তু দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল রকেটের পেলোড ফেয়ারিং (রকেটের মাথায় রাখা স্যাটেলাইটের রক্ষাত্মক বর্ম)।

    ইসরো জানিয়েছে, এনভিএস-০২ উপগ্রহ ভারতের নেভিগেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় (NavIC Navigation System) সহায়তা প্রদান করবে। এতে রয়েছে দেশে তৈরি এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা অ্যাটমিক ঘড়ির কম্বিনেশন, যার মাধ্যমে নির্ভুল সময় (গন্তব্যে পৌঁছনোর) উপলব্ধ হবে। এনভিএস-০২ উপগ্রহটি হল ভারতে তৈরি দ্বিতীয় প্রজন্মের নেভিগেশন সিরিজের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট। ২০২৩ সালের মে মাসে এই সিরিজের প্রথম উপগ্রহ এনভিএস-০১ উৎক্ষেপিত হয়েছিল।

    এনভিএস-০২ স্যাটেলাইট আদতে ঠিক কী?

    দীর্ঘদিন ধরেই ভারত মার্কিন নেভিগেশন সিস্টেম জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম)-এর মতো নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম তৈরি (NavIC Navigation System) করার কাজ করছে। ভারতের এই স্বাধীন আঞ্চলিক সিস্টেমের নাম— ইন্ডিয়ান নেভিগেশন উইথ ইন্ডিয়ান কনস্টিলেশন (সংক্ষেপে ‘নাবিক’)। ইসরো নির্মিত এই প্রকল্পের প্রথম উপগ্রহ ছিল এনভিএস-০১। এদিন এই সিরিজের দ্বিতীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ (ISRO 100th Mission) হল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ‘নাবিক’ সিস্টেমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বুধবার যে উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, তার সক্ষমতা, নির্ভুলতা, পারফরম্যান্সের ধার ও ভার পূর্বসুরীর তুলনায় ঢের বেশি।

    জিপিএস-এর শক্তিশালী বিকল্প হয়ে উঠছে ‘নাবিক’

    নিজস্ব উপগ্রহ-ভিত্তিক নেভিগেশন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ভারত যে কতটা বদ্ধপরিকর তার প্রমাণ এদিনের এনভিএস-০২ অভিযান। আরও বেশি নিখুঁত, আরও বেশি নির্ভরযোগ্যতা এবং ক্ষমতাবৃদ্ধি— এই তিনের মিশেল রয়েছে নতুন স্যাটেলাইটে। এর ফলে, কৃষি থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা এবং জাতীয় নিরাপত্তা— সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ‘নাবিক’ (NavIC Navigation System)। এদিনের সফল উৎক্ষেপণের (ISRO 100th Mission) ফলে একদিকে ভারতের প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতা আরও প্রতিষ্ঠিত হল। একইভাবে, মহাকাশ প্রযুক্তিতে বিশ্বের দরবারে ভারতের ক্ষমতাও এক কদম এগলো।

  • India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার সাধারণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে (India Canada Relation)। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে (Election Meddling)। তার পর এমনতর অভিযোগ করায় কানাডাকে মোক্ষম জবাব দিল ভারত।

    কানাডার দাবি (India Canada Relation)

    কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশন একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের নিরিখে চিনের পরেই সব চেয়ে সক্রিয় দেশ হল ভারত। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল নয়াদিল্লি।

    পাল্টা দাবি ভারতের

    ভারতের পাল্টা দাবি, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে কানাডা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা একটি রিপোর্টে দেখেছি যেখানে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কানাডাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে লাগাতার হস্তক্ষেপ করছে। অবৈধ অভিবাসন এবং সংগঠিত অপরাধের পরিবেশ তৈরি করছে।’ ওই রিপোর্টে ‘ভারতের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ খারিজ করছি। আশা করছি, অবৈধ অভিবাসনে উৎসাহ দেওয়া বন্ধ হবে।’

    প্রসঙ্গত, কানাডিয়ান কমিশন ১২৩-পৃষ্ঠার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে চিনের পর ভারত কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক জড়িত দেশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত কানাডায় নির্বাচনী বিদেশি হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক সক্রিয় দেশ। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মতো, ভারতও বিশ্ব মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। কানাডা এবং ভারত কয়েক দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করেছে, তবে এই সম্পর্কের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো দীর্ঘদিনের এবং এগুলো ভারতের বিদেশি হস্তক্ষেপ কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে (India Canada Relation)।”

    গত মে মাসে প্রাথমিক রিপোর্টে চিনকে নিশানা করেছিল কানাডা। জানিয়েছিল, কানাডার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে চিন। কিন্তু চূড়ান্ত রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে দ্বিতীয় সক্রিয় দেশ ভারত। কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কমিশনার মারি জোস হগ। তদন্তে তিনি লিখেছেন, ‘চিনের মতো ভারত কূটনৈতিক অফিসার ও প্রক্সি এজেন্টদের (Election Meddling) মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করেছে।’ ওই রিপোর্টে রাশিয়া, পাকিস্তান এবং ইরানকেও কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপের তালিকায় রাখা হয়েছে (India Canada Relation)

  • Maha Kumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে কোটি কোটি ভক্তের ভিড়, পদপিষ্টের খবর উপেক্ষা করে চলছে অমৃতস্নান

    Maha Kumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে কোটি কোটি ভক্তের ভিড়, পদপিষ্টের খবর উপেক্ষা করে চলছে অমৃতস্নান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যার সকালে দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লেও মহাকুম্ভে উপচে পড়ল ভিড়। এদিন সকালে অমৃতস্নান শুরুর আগেই বহু মানুষের হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু তার পরেও ভক্তরা পবিত্র স্নানের জন্য সঙ্গমে সমবেত হতে থাকে। এই অটূট ভক্তি মৌনী অমাবস্যার পবিত্র দিনে গঙ্গা, যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করার আধ্যাত্মিক গুরুত্বকে উজ্জীবিত করে। মহাকুম্ভে যতগুলি অমৃত স্নানের তারিখ রয়েছে, হিন্দু শাস্ত্র মতে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মৌনী অমাবস্যা। সেই কারণে মৌনী অমাবস্যাতেই প্রয়াগরাজে সবচেয়ে বেশি মানুষ স্নান করবেন বলে আগেই অনুমান করেছিল যোগী প্রশাসন। সেই মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল। কিন্তু তারপরেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তবে এর পরেও মৌনী অমাবস্যার পূণ্যতিথিতে অমৃতস্নান চলছে মহাকুম্ভে। পূণ্যলাভের আশায় সঙ্গমে অমৃত স্নান করছেন কোটি কোটি পুণ্যার্থী।

    মৌনী অমাবস্যায় স্নানের গুরুত্ব

    মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথি মৌনী অমাবস্যা হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে সঙ্গমে স্নান করলে পাপমুক্তি ঘটে বলে প্রচলিত বিশ্বাস। এই তিথিতে সূর্য, চন্দ্র ও বৃহস্পতি এক রেখায় আসে। মহাজাগতিক শক্তির প্রভাব এসে পড়ে নদীর জলে। সেই কারণে মৌনী অমাবস্যার বিশেষ ক্ষণে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে শরীর ও মনে বিশেষ শক্তি লাভ হয় বলে শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মত। এই দিনে গঙ্গার জলে অমৃতের বর্ষণ হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। কথিত আছে, এই দিন পূণ্যস্নান করলে কোষ্ঠীর সব রকম দোষ থেকে মুক্তি পান মানুষ। বিশেষ করে কালসর্প দোষ ও পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পেতেও মৌনী অমাবস্যায় পূণ্যস্নানের মাহাত্ম্য রয়েছে। এই বিশ্বাস থেকেই এই দিনে কোটি কোটি মানুষ সঙ্গমে স্নান করেন।

    কড়া নজর প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন সকালে প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে কোটি কোটি মানুষ ভিড় জমান। সঙ্গমে স্নান শুরুর আগেই পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। ভিড় সামলাতে না পেরে এক মহিলা পড়ে গেলে তাঁর পিছনের লোকও টাল সামলাতে পারেননি। এর ফলে, পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটলে কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে তৎক্ষণাৎ অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। ইতিমধ্যে ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে একাধিক বার ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কার্যত দফায় দফায় গোটা ঘটনার ( Maha Kumbh 2025) বিস্তারিত খোঁজ তিনি নিয়েছেন বলে খবর।

    সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশ সরকার

    অন্যদিকে, যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। কেন্দ্রের তরফে সম্পূর্ণ সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আহতদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়েও যোগীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয় শাহের। গোটা এলাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখেছে। দ্রুত বাধা দূরে সরিয়ে ভক্তরা সঙ্গমে স্নান শুরু করেন। ভক্তরা যে সমস্ত ঘাটে আছেন সেখানেই যাতে স্নান সারেন সেই বার্তা দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। মৌনি অমবস্যায় মহাকুম্ভে ‘অমৃত স্নান’ সারতে কয়েক কোটি মানুষ ভিড় জমান। মধ্যরাত থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। সময় যত গড়িয়েছে ততই মানুষের ভিড় বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, বিদেশ থেকেও বহু মানুষ এদিন মহাকুম্ভে জোড়ো হন শাহী স্নান সারবেন বলে। কিন্তু স্নানের আগেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।

    প্রশাসনের তরফে সমস্ত জায়গায় ব্যারিকেড করা থাকলেও প্রবল ভিড়ের চাপে সমস্ত কিছু ভেঙে পড়ে। সঙ্গমস্থলে স্নান সারতে মানুষের মধ্যে একেবারে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর সেই সময় মর্মান্তিক পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি গুজব ও মিথ্যা খবর ছড়িয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। ৫০টিরও বেশি অ্যাম্বুল্যান্স এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আহতদের প্রয়াগরাজের হাসপাতালগুলিতে পাঠানোর জন্য একটি গ্রিন করিডর স্থাপন করা হয়েছে।

    আখড়াগুলি সতর্ক

    দুর্ঘটনার পর অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ অমৃত স্নান স্থগিত রাখে। যদিও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে আখড়াগুলি অমৃত স্নান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলি চলতে থাকে। অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি রবিশংকর পুরী বলেছেন, সঙ্গম ঘাটে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সবাইকে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্নান করতে আহ্বান করেছেন। সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং ভক্তদের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, তারা সঙ্গম ঘাটে না গিয়ে অন্য যেকোনও ঘাটে স্নান করতে পারে। তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ কুম্ভমেলা ক্ষেত্রই পবিত্র, তাই নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এবং যে কোনও ঘাটে স্নান করা সম্ভব।” সব ধর্মীয় নেতারা নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জগদগুরু স্বামী রামভদ্রাচার্য মহারাজ এক ভিডিও বার্তায় ভক্তদের সঙ্গম ঘাটে ভিড় না জমাতে এবং তাঁদের ক্যাম্পে নিরাপদ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিটি ভক্তের নিরাপত্তা, এবং স্নান একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন, তাই এর ভৌগলিক স্থান অগ্রাধিকার পাওয়ার দরকার নেই।”

  • BJP: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে ঐক্যের ছবি এনডিএতে, বাজেট অধিবেশনে বিল পাশে প্রত্যয়ী বিজেপি

    BJP: ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে ঐক্যের ছবি এনডিএতে, বাজেট অধিবেশনে বিল পাশে প্রত্যয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী (Waqf Amendment) বিল ২০২৪ অনুমোদন করেছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। এনডিএ সদস্যদের প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনী-সহ অনুমোদিত হল বিলটি। সংসদে বিলটি পাশ করানোর ক্ষেত্রে এটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে পারে বিজেপির (BJP)। কারণ এর আগে বিল নিয়ে দ্বিমত ছিল এনডিএর কয়েকটি শরিকের মধ্যে। সংশোধনী খসড়া পেশ করার পর কাটল জট। সংসদের বাজেট অধিবেশনেই পেশ হবে বিলটি। তার আগে এনডির ঐক্যের চেহারা দেখল গোটা দেশ। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এই ছবি হলে, আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই সহজেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিতে সক্ষম হবে বিজেপি।

    এনডিএ-র পক্ষে রায় (BJP)

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে মাত্র ২৪০টি আসনে। ২৭ জানুয়ারি ১৪টি সংশোধনী অনুমোদন করেছে জেপিসি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সদস্যদের প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনী খারিজ করা হয়েছে। কারণ ভোটাভুটিতে এনডিএর পক্ষে রায় গিয়েছে ১৬:১০ ব্যবধানে। এনডিএর বিভিন্ন শরিক দল যেমন নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল ইউনাইটেড এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন তেলুগু দেশম পার্টি কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব করেছিল।

    এনডিএ দলগুলোর সম্মতি

    এই প্রস্তাবগুলি সমর্থন করেছিল সমস্ত রাজনৈতিক দল। এ থেকেই স্পষ্ট হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সংশোধিত সংস্করণের প্রতি এনডিএ দলগুলোর সম্মতি রয়েছে। গত অগাস্টে এই বিল নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান (BJP) নিয়েছিল জেডি(ইউ), লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) এবং চন্দ্রবাবুর টিডিপি। যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছিল গত বছরের অগাস্ট মাসে। সেই সময় এনডিএর দুটি শরিক দল মুসলমানদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উদ্বেগগুলোর সমাধানের পক্ষে মতপ্রকাশ করেছিল। প্রায় ছ’মাস পরে দেখা গেল, এনডিএর সব শরিক দল ওয়াকফ বিল নিয়ে একজোট হয়েছে। সংশোধনীগুলির পক্ষেও ভোট দিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এজন্য শরিক দলগুলির কাছে আবেদন করেছেন সংখ্যালঘু ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    জানা গিয়েছে, লোকসভায় বিলটি পাশ করাতে বিজেপির প্রয়োজন হবে ১৬ জন টিডিপি সদস্য, ১২ জন জেডিইউ সদস্য এবং ৫ জন এলজেপি (আরভি) সদস্যের ভোট। এনডিএর ছোট শরিক দলগুলির মধ্যে আরএলডির ২, জেডিএসের ২, এবং আপনা দল (এস)-এর একটি ভোটও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রসঙ্গত, সংসদের উভয় কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment) নয়া নাম হবে ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট (BJP)।

  • India-Sri Lanka Conflict: ভারতের মৎস্যজীবীদের উপর নির্বিচারে গুলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতকে তলব বিদেশমন্ত্রকের

    India-Sri Lanka Conflict: ভারতের মৎস্যজীবীদের উপর নির্বিচারে গুলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতকে তলব বিদেশমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক প্রণালীতে ফের শ্রীলঙ্কার (India-Sri Lanka Conflict) নৌসেনার হামলার শিকার ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নৌকায় নির্বিচারে গুলি চালায় শ্রীলঙ্কার নৌসেনা। মঙ্গলবার ভোরে আকস্মিক এই হানায় গুরুতর জখম হয়েছেন পাঁচ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কার বর্তমান রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। পাশাপাশি, শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনও শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বলে খবর।

    জেলেদের জীবন-জীবিকা নিয়ে সরব ভারত

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের জলসীমা লঙ্ঘনের অপরাধে শ্রীলঙ্কার ডেল্ফট দ্বীপের (স্থানীয় নাম নেদুনতিভু) অদূরে পক প্রণালীতে এই হামলা চালায় শ্রীলঙ্কার (India-Sri Lanka Conflict) সশস্ত্র বাহিনী। এরপর জখম পাঁচজন সহ মোট ১৩ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনী। আহত মৎস্যজীবীরা এখন শ্রীলঙ্কার জাফনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জাফনার ভারতীয় কনস্যুলেট তাঁদের চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছে। ঘটনার জেরে আবার উত্তাপ ছড়িয়েছে নয়াদিল্লি-কলম্বো কূটনৈতিক সম্পর্কে। মঙ্গলবার ভারতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনারকে তলব করে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, জেলেদের জীবন-জীবিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তাঁদের পেশাগত বিষয়গুলিকে মানবিকভাবে বিচার বিবেচনার ওপর জোর দেওয়ার প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে কোনওভাবে বলপ্রয়োগ কাম্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে। এব্যাপারে দুই দেশকে সতর্কভাবে বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি বিবেচনার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লি।

    ভারত বিরোধী জিগির

    প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের (India-Sri Lanka Conflict) জলসীমায় মৎস্যজীবীদের আক্রমণ এই প্রথম নয়। গত বছরও কচ্চতিভু দ্বীপের উত্তরে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর টহলদারি জাহাজ ভারতীয় মৎস্যজীবীদের একটি নৌকা নিশানা করে গুলি চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ন্যাশনাল পিপল্‌স পাওয়ার (এনপিপি) নামের বাম জোটের নেতা অনুরাকুমার দিশানায়েক। সে দেশের রাজনীতিতে তিনি ‘ভারতবিরোধী’ এবং ‘চিনপন্থী’ হিসাবে পরিচিত। তার পর থেকেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রে নতুন করে ভারত-বিরোধী জিগির সৃষ্টির চেষ্টা শুরু হয়েছে।

  • ISI: রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে গড়া হয়েছে ‘ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স’, মদত জোগাচ্ছে আইএসআই!

    ISI: রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে গড়া হয়েছে ‘ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স’, মদত জোগাচ্ছে আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (Bharat) বিরুদ্ধে নয়া অস্ত্র শানাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা (মায়ানমারের মুসলমানরা এই নামেই পরিচিত)-দের নিয়ে তৈরি হয়েছে সংগঠন। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, ইসলামি মহাজ, আরাকান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (ANDF) এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি জোট বেঁধে গঠন করেছে “ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স” (ISI)। বাংলাদেশের এই ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর জন্য নয়া নিরাপত্তা সংকট তৈরি করতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    রোহিঙ্গা আর্মি (ISI)

    বাংলাদেশের এই জোট “দ্য রোহিঙ্গা আর্মি” নামেও পরিচিত। কক্সবাজারে তারা তাদের নতুন সংগঠনের কথা ঘোষণা করে। সংগঠন ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিল প্রচুর পরিমাণ শরণার্থী। পৃথকভাবে পরিচালিত এই সংগঠনগুলো আইএসআইয়ের সহায়তায় একাধিক কৌশলগত আলোচনার পর একত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার পরেই গঠিত হয় এই অ্যালায়েন্স (ISI)। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই বাংলাদেশে বেড়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপ। বাংলাদেশে রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার ক্ষমতায় থাকায়, আইএসআই সেখানে কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। সেই কারণেই আইএসআইয়ের বাড়বাড়ন্ত বাংলাদেশেও। জেহাদি উপাদানগুলি ইতিমধ্যেই এতে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, আইএসআই মনে করেছিল যে, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই চারটি রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে একজোট করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

    রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ

    আইএসআই (ISI) বুঝতে পেরেছিল, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এই গোষ্ঠীটির সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই (Bharat) সেখানে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই পরিস্থিতি এই গোষ্ঠীর জন্য লাভজনক হতে পারে তখনই, যখন তারা ওই অঞ্চলে বড় ধরনের কোনও অভিযান পরিচালনা করতে চাইবে। আইএসআই উপলব্ধি করেছিল যে, এই গোষ্ঠীগুলি পৃথকভাবে কাজ করছে। তাদের একজোট করে সম্মিলিতভাবে লড়াই চালানোর ব্যবস্থা করা হলে, তারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে—এমনটাই মনে করেছিল আইএসআই। পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থা এই “ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স” গঠনের মিশনে সফল হয়েছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    বাংলাদেশ-আইএসআই যোগ!

    তবে এই উদ্যোগে একা আইএসআই নেই। বাংলাদেশের সরকারের একাংশের ভেতরের কিছু লোকও আইএসআইকে এই জোট গঠনে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশিরাও যখন এই গোষ্ঠী গঠনে সমর্থন জুগিয়েছে, তখন তার ইঙ্গিতের অভিমুখ যে ভারত, অন্য কোনও অঞ্চল নয়, তা স্পষ্ট। গত ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে জোটটা মায়ানমারে ফের এলাকা দখলের চেষ্টা করবে। তাদের লক্ষ্য হল, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করা। এই আরাকান আর্মি একটি জাতিগত গোষ্ঠী। এরাই হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে (ISI)। বাংলাদেশের ডিজিএফআই এবং বিশেষ করে আরএসওকে উল্লেখযোগ্য সহায়তাও দিয়েছে।

    লস্কর-ই-তৈবা

    আরএসওকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এআরএসএ-র মোকাবিলা করার কৌশল হিসেবে। তবে, আইএসআই এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করায়, এসব গোষ্ঠী তাদের পারস্পরিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইএসআই নিয়মিতভাবে লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Tayiba) এবং জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (JMB) প্রশিক্ষকদের পাঠিয়ে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে (Bharat)। কয়েক বছর আগে যখন রোহিঙ্গা সঙ্কট ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল, তখন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সঈদ প্রকাশ্যে তাদের প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি তাদের দলে যোগ দিয়ে লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানান। ইউনূস সরকার পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত আগ্রহী। বাংলাদেশের শীর্ষ কর্তাদের আইএসআই (ISI) কর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকই বহন করে আসন্ন ঘটনার ইঙ্গিত।

    বাংলাদেশ ক্রমেই এগোচ্ছে তালিবানের পথে!

    বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলাদেশ ক্রমেই তালিবানের পথে এগোচ্ছে। এটিও আরও একটি দমনমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশের নারীদের দশা হবে আফগানিস্তানের নারীদের মতোই। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের “আমার বাংলা বই” সংস্করণে একটি অধ্যায় ছিল যেখানে ছেলে ও মেয়েরা একসঙ্গে গৃহস্থালির কাজ ভাগ করে নেবে বলে লেখা হয়েছিল। ২০২৫ সালের সংস্করণে এই সব কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নারীদের ওপর। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই চরমপন্থী ইসলামের উত্থানের কারণে হারতে থাকা এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এখন এটি আর একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। সেটা হল রোহিঙ্গা সমস্যা। ইউনূস ও তার অনুগামীদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতকে ধ্বংস করা। এই কারণেই তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে আইএসআইকে। সন্ত্রাস দমন সংস্থাগুলির বক্তব্য, আগামিদিনে বাংলাদেশকে শুধুমাত্র ইসলামি জঙ্গিদের সঙ্গেই (ISI) লড়াই করতে হবে না, তাদের মোকাবিলা করতে হবে রোহিঙ্গাদের (Bharat) সঙ্গেও।

  • Trisha Gongadi: রেকর্ডবুকে ভারতের তৃষা, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম শতরানের নজির

    Trisha Gongadi: রেকর্ডবুকে ভারতের তৃষা, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম শতরানের নজির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহিলা ক্রিকেটেও হরমনপ্রীত, স্মৃতি মান্ধানাদের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি। মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে তৃষা গোঙ্গারি (Trisha Gongadi)। ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন এই তরুণী ভারতীয় ওপেনার। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তৃষা। অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে এই কীর্তি আর কেউ গড়েননি। স্বভাবতই মেয়েদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানও এখন তাঁরই দখলে।

    রেকর্ড বুকে তৃষা

    ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের টিম। যদি ভারতীয় দল শীর্ষে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করতে পারে, তা হলে পাবে একটা অ্যাডভান্টেজ। সেমিতে সেক্ষেত্রে চার নম্বরে শেষ করা টিমের মুখোমুখি হতে পারে টিম ইন্ডিয়া। অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপের গত সংস্করণে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই নিয়ে কেরিয়ারের দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ খেলছেন তৃষা। চলতি বছর তিনি ইতিমধ্যেই ২টো প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ জিতেছেন। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুপার সিক্সের ম্যাচে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন তৃষা। মাত্র ৫৩ বলে আসে শতরান। তাও আঠারোতম ওভারে। এর আগে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান গ্রেস স্ক্রিভেন্সের দখলে। তিনি হাঁকিয়েছিলেন ৯৩ রান। ২০২৩ সালে বানানো এই নজির ভেঙে দিলেন তৃষা (Trisha Gongadi)।

    তৃষার দাপট

    এদিন ওপেনে ব্যাট করতে নেমে আগুনে মেজাজে ছিলেন তৃষা। উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডের বোলাররা এদিন তৃষার রণংদেহী মূর্তির সামনে কার্যত দিশেহারা ছিলেন। মাঠের চতুর্দিকে চার, ছয়ের বন্যা লেগেই ছিল। ৫৯ বলে ১১০ রান করেন তিনি। রয়ে যান অপরাজিত। বিধ্বংসী ইনিংস সাজানো থাকে ৪টি ছক্কা ও ১৩টি চারে। তৃষা এর আগেও দেশের হয়ে ক্রিকেটের ময়দানে নিজের জাত চিনিয়েছেন। অতিসাম্প্রতিক উদাহরণ কুয়ালালামপুরে আয়োজিত এশিয়া কাপ। ওই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। করেন মোট ১৫৩ রান। গড় ৫৩। স্ট্রাইক রেট ১২০.৪৫। তৃষার তাণ্ডবের ফলেই টুর্নামেন্ট জেতে ভারত। সেই প্রতিযোগিতার ফর্মই যেন ধরে রেখছেন তিনি। আপাতত বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তৃষা (Trisha Gongadi)। এদিন তৃষার শতরানে ভর করে স্কটিশদের ২০৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখানে ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় স্কটল্যান্ড। ১৫০ রানে জয় পায় ভারত।

LinkedIn
Share