Tag: Madhyom

Madhyom

  • Chandrayaan-3: প্রজ্ঞানের পর চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে পড়ল’ বিক্রমও! জাগবে কবে?

    Chandrayaan-3: প্রজ্ঞানের পর চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে পড়ল’ বিক্রমও! জাগবে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কিছুদিন হল! এবার ‘বিশ্রাম’ নেওয়ার পালা। প্রজ্ঞানের মতোই এবার চাঁদের পৃষ্ঠে ‘ঘুমিয়ে পড়ল’ ল্যান্ডার বিক্রমও। ইসরোর তরফে সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানান হয়েছে, ল্যান্ডারটিকে সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ ‘স্লিপ মোডে’ পাঠানো হয়েছে। তবে তার আগে আরেকটি কাজও সেরেছে সে। বিক্রমের ইঞ্জিনকে সচল করে তাকে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ থেকে ৪০ সেমি তুলে নেওয়া হয়েছে এদিন। তারপর আবার তাকে অবতরণ করানো হয়েছে আগের পজিশন থেকে ৪০ সেমি দূরে। সেই ভিডিও-ই প্রকাশ করেছে ইসরো। 

    স্লিপ মোডে বিক্রম

    ইতিমধ্যেই  অফ করে দেওয়া হয়েছে বিক্রমের সমস্ত স্যুইচ। স্লিপ মোডে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাকেও। তবে এখনই ঘুমিয়ে পড়ছে না বিক্রম। তার ব্যাটারি পুরোপুরি শেষ হয়নি এখনও। চাঁদেও এখনও বেশ কিছুটা সূর্যালোক রয়েছে। সেখানে পুরোপুরি রাত নামলে, বিক্রমের ব্যাটারি ফুরিয়ে এলে সে নিজে থেকেই ঘুমিয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

    তবে এখনই ঘুমিয়ে পড়ছে না বিক্রম। তার ব্যাটারি পুরোপুরি শেষ হয়নি এখনও। চাঁদেও এখনও বেশ কিছুটা সূর্যালোক রয়েছে। সেখানে পুরোপুরি রাত নামলে, বিক্রমের ব্যাটারি ফুরিয়ে এলে সে নিজে থেকেই ঘুমিয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে ফের সূর্যের আলো উঠলে ঘুম ভাঙবে ল্যান্ডার এবং রোভারেরও।

    আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    লাফ দিল বিক্রম

    চাঁদের পৃষ্ঠে লাফ দিচ্ছে ল্যান্ডার বিক্রম। ধুলো উড়ছে। চার পায়ে ৪০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় লাফ দিয়েছে ছোট্ট বিক্রম। ঠিক সেই সময়ে ল্যান্ডারটি ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্বও কভার করেছে। ইসরো ট্যুইট করে জানিয়েছে যে, বিক্রম আবার সফট ল্যান্ডিং করেছে। বিক্রম ল্যান্ডার তার মিশনের উদ্দেশ্যের চেয়ে বেশি তথ্য দিচ্ছে।” এই লাফের পর চাঁদের মাটি থেকে ফেরার প্রাথমিক প্রস্তুতি সফল হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

    লাফ দেওয়ার সময়ে বিক্রম ল্যান্ডারের সমস্ত যন্ত্রাংশ ও যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক কাজ করেছে। লাফ দেওয়ার আগে বিক্রম ল্যান্ডারের র‌্যাম্প, চেস্ট এবং আইএলএসএ পেলোডগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আবার সফট ল্যান্ডিংয়ের পর খুলে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • R Praggnanandhaa: শহরে দাবা বিশ্বকাপের রানার্স! মা-ই মনের জোর, সিনেমাও ভালবাসেন জানালেন প্রজ্ঞানন্দ

    R Praggnanandhaa: শহরে দাবা বিশ্বকাপের রানার্স! মা-ই মনের জোর, সিনেমাও ভালবাসেন জানালেন প্রজ্ঞানন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ১৮ বছর। এর মধ্যেই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছেন। বিশ্বনাথন আনন্দের পর তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি এই কৃতিত্ব গড়লেন। যদিও জিততে পারেননি। কিন্তু ভারতীয়দের মধ্যে দাবা নিয়ে আগ্রহ তৈরি করার কাজটা করে ফেলেছেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। সোমবার সকালে বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তামিল তরুণ দাবাড়ু। সেখানেই বিশ্বকাপের শিক্ষা থেকে প্রিয় ক্রিকেটার একাধিক বিষয়ে নিজের মতামত জানালেন প্রজ্ঞানন্দ।

    মন ভাল করে সিনেমা

    দাবা ছাড়াও তাঁর পছন্দের বিষয় হল সিনেমা। দাবা থেকে বিরতি নিয়ে মন ভাল রাখার জন্য সব রকমের সিনেমা দেখেন বলে জানালেন প্রজ্ঞা। এছাড়া ক্রিকেটও দেখেন। ৩৬ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রজ্ঞানন্দ বললেন, “আমি ক্রিকেট দেখি। ভারতীয় দলের খেলা দেখতে ভাল লাগে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আমার প্রিয় খেলোয়াড় কারণ ও দাবা খেলতে পছন্দ করে।”

    মা মানসিক জোর

    তিলোত্তমায় বসেছে দাবার সর্বভারতীয় আসর। বিগত কয়েকবছর ধরে এই প্রতিযোগিতার অন্যতম মুখ ছিলেন বিশ্বনাথন আনন্দ। কিন্তু চলতি বছরে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের থেকেও আর্কষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। বিশ্বকাপের সময় দেখা গিয়েছে, প্রজ্ঞার মা নাগালক্ষ্মী সব সময় তাঁর পাশে রয়েছেন। প্রজ্ঞা মনে করেন দাবা খেলতে গেলে, পরিবারের পাশে থাকাটা খুব প্রয়োজন। প্রজ্ঞানন্দ বললেন, “প্রতিপক্ষ হয়তো আমার মুখ দেখে বুঝতে পারে না, আমি চাপে আছি কি না। কিন্তু মা পারে। আমার মুখ দেখে মা বলে দিতে পারে ম্যাচের কোন সময় আমি একটু চিন্তিত। মায়ের পাশে থাকাটা আমার কাছে খুবই বড় একটা মানসিক জোর। প্রতিযোগিতা যখন চলে, সেই সময় আমার মাথায় দাবা ছাড়া আর কিছু থাকে না। মা সব কিছু সামলে নেয়। বাইরে খেলতে গিয়ে আমি যাতে ঘরের খাবার খেতে পারি, সেই ব্যবস্থাও করে মা। ভারতীয় খাবার খেতেই পছন্দ করি আমি।”

    আরও পড়ুন: ধরাশায়ী ইস্টবেঙ্গল, ১০ জনে খেলেও ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের

    এই তো সবে শুরু

    বিগত কয়েক বছরে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। প্রতিদ্বন্দ্বীদের পিছনে ফেলে সামনের সারিতে উঠে এসেছেন প্রজ্ঞা। তবে আত্মতুষ্টিকে নিজের মধ্যে জায়গা দিতে নারাজ তামিল তরুণ। তাঁর কথায়, ‘আমি মনে করি অনেক অনেক দূর যেতে হবে। এই তো সবে শুরু। আমি এসব নিয়ে ভাবছি না। কঠিন পরিশ্রম করছি। খেলার প্রতি ফোকাস করছি।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘মানসিকভাবে ঠিক থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক দিক থেকে ভালো থাকতে হয়। একইসঙ্গে শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন । আক্রমণ এবং রক্ষণ দুটোই খেলার অঙ্গ। কিছু কিছু সময় বদল করতে হয় রণকৌশল।’ বিশ্ব ক্রমতালিকায় ১৯ নম্বরে উঠে এসেছেন প্রজ্ঞানন্দ। ভারতীয়দের মধ্যে তাঁর সামনে ডি গুকেশ (অষ্টম) এবং বিশ্বনাথন আনন্দ (নবম)। প্রজ্ঞানন্দ জানালেন তাঁর দাবা শেখার পিছনে বিরাট কৃতিত্ব রয়েছে আনন্দের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরে ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা! রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠিকাণ্ডে ধৃত ‘অধ্যাপক’ রানা রায়

    Jadavpur University: যাদবপুরে ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা! রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠিকাণ্ডে ধৃত ‘অধ্যাপক’ রানা রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর প্রতিনিধি দল। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা যেতে পারেন হস্টেলেও। সব পক্ষের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে ইউজিসি-র সদস্যদের। অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি পাঠানোর দায়ে ‘অধ্যাপক’ রানা রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। অন্য একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।

    যাদবপুর চার সদস্যের প্রতিনিধি দল

    সোমবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছয় ইউজিসি-র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে ইউজিসি। খতিয়ে দেখা হবে র‌্যাগিং সংক্রান্ত নিয়মকানুনও। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কয়েকটি রিপোর্টও চাইতে পারেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসি নির্ধারিত র‌্যাগিং-বিরোধী নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে এর আগেও কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। 

    রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় শনিবারই মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল রানার বিরুদ্ধে। চিঠিতে নিজের পরিচয়ে ‘অধ্যাপক’ লিখেছিলেন রানা। তার দু’দিনের মাথাতেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মামলায় রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাদবপুরের ঘটনার কোনও যোগ নেই। বেলগাছিয়ার এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন রানা।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির ভ্রুকুটি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে

    ধৃত রানা রায়

    বেলগাছিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা রানা রায়ের বিরুদ্ধে গত ২ সেপ্টেম্বর টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মহিলা জানিয়েছেন, গত চার বছর ধরে রানা তাঁকে উত্ত্যক্ত করছেন। মাঝে মাঝে কুপ্রস্তাব দিয়ে তাঁকে চিঠিও পাঠানো হতো। বর্তমানে কয়েক বছর ধরে বেলগাছিয়ায় থাকলেও তিনি আসলে কোচবিহারের বাসিন্দা। রানার কুকীর্তির এখানেই শেষ নয়। এলাকার দোকানদার এবং বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকাও ধার করেছিলেন। সেই টাকা ফেরত দেননি। টাকার সব মিলিয়ে প্রায় ৬২ হাজার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির ভ্রুকুটি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির ভ্রুকুটি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণাবর্তের (Weather Update) কারণে গত দুদিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে কলকাতা সমেত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। সোমবারও এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আপাতত এই বৃষ্টি চলবে। অন্যদিকে, সোমবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update) দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায়, এগুলো হলো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তারা জানাচ্ছেন, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে একটি ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update) অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর ফলে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। অন্যদিকে, দীঘা থেকে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বর্তমানে অবস্থান করছে। 

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সোম এবং মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, পুরুলিয়া ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় কয়েকটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সোম ও মঙ্গলবারে বৃষ্টিপাত (Weather Update) হওয়ার পরে বুধ ও বৃহস্পতিবারও হালকা বা মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণও এই সময় বেড়ে যাবে।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Update)

    চলতি বছরের বর্ষায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিলেও উত্তরবঙ্গে বেশ ভালোই বৃষ্টিপাত হয়েছে। হাওয়া অফিস (Weather Update) বলছে, উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই আপাতত বৃষ্টিপাত চলবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টিপাত হলেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েও যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা (Weather Update)।

    কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া (Weather Update)

    ঘূর্ণাবর্তের জেরে (Weather Update) এমনিতেই গত কয়েক দিন ধরে কলকাতা এবং শহরতলিতে বৃষ্টিপাত চলছে। সোমবারও অবস্থা একই রকম থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। আজ কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি (Weather Update)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: প্রয়াত ইসরো বিজ্ঞানী এন ভালারমতি, তাঁর কণ্ঠেই বিশ্ব শুনেছিল ভারতের চন্দ্রজয়ের কথা

    Chandrayaan 3: প্রয়াত ইসরো বিজ্ঞানী এন ভালারমতি, তাঁর কণ্ঠেই বিশ্ব শুনেছিল ভারতের চন্দ্রজয়ের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার আগে কাউন্টডাউন করেছিলেন বিজ্ঞানী এন ভালারমতি। এই বিজ্ঞানীর কণ্ঠস্বরেই সারা বিশ্ব জানতে পেরেছিল প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ভারতবর্ষ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাই-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বিজ্ঞানী ভালারমতি (Chandrayaan 3)। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরোর (Chandrayaan 3) এই বিজ্ঞানী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সারাদেশে।

    এন ভালারমতির সংক্ষিপ্ত জীবন

    ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর গ্রামে জন্ম হয় বিজ্ঞানী এন ভালারমতির। জানা যায় ১৯৮৪ সাল থেকেই তিনি ইসরোর কাজের সঙ্গে যুক্ত। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম রেডার স্যাটেলাইট মহাকাশের সফলভাবে স্থাপিত হয় ২০১২ সালে। এই অভিযানের তত্ত্বাবধানে দায়িত্বে ছিলেন ভালারমতি। যেকোনও বিষয়ে ইসরোতে তাঁকে ধারাভাষ্য দিতে শোনা যেত। বিজ্ঞান এবং গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তামিলনাড়ুর আব্দুল কালাম পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর পিভি বেঙ্কটাকৃষ্ণন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখছেন, “শ্রীহরিকোটায় ইসরোর (Chandrayaan 3) পরবর্তী মিশনগুলির কাউন্টডাউন যখন চলবে, সেই সময় ভালারমতি ম্যাডামের কণ্ঠ আর শোনা যাবে না। খুবই দুঃখিত। প্রণাম।”

    ফের অবতরণ ল্যান্ডার বিক্রমের, কীভাবে? 

    অন্যদিকে, ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে,  ফের একবার চাঁদের বুকে অবতরণ করানো হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমকে (Chandrayaan 3)। কিন্তু কীভাবে? আসলে এটির উপর একটি হপ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। মানে বিষয়টি সরলভাবে বললে দাঁড়ায়, ইঞ্জিনগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করা হয়েছে। এই সময় প্রত্যাশিতভাবে ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3) চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার উপরে উঠে পড়ে। এরপর সেই স্থান থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরে গিয়ে আবার সফলভাবে ল্যান্ডিং করে। এই পদ্ধতিকে কিকস্টার্টও বলা হয়ে থাকে।  এতে ভবিষ্যতে মানব মিশন পাঠানোর ব্যাপারে আরও উৎসাহ পাওয়া গেল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা (Chandrayaan 3)। সাধারণভাবে এই পদ্ধতিতে পুনরায় স্টার্ট করে ল্যান্ডারকে (Chandrayaan 3) চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করানো হয়, সংযোগ করা হয় মূল মহাকাশযানে সঙ্গে তারপর তা পৃথিবীতে ফিরে আসে। অ্যাপোলো মিশনগুলিতে এভাবেই ৪ বার চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ফিরে এসেছিলেন নাসার মহাকাশচারীরা।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Cost Guard Recruitment 2023: উপকূলরক্ষী বাহিনীতে ৩৫০ শূন্যপদে নিয়োগ, আবেদন প্রক্রিয়া শুরু ৮ সেপ্টেম্বর

    Indian Cost Guard Recruitment 2023: উপকূলরক্ষী বাহিনীতে ৩৫০ শূন্যপদে নিয়োগ, আবেদন প্রক্রিয়া শুরু ৮ সেপ্টেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবিক (Indian Cost Guard Navik Recruitment 2023) পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন joinindiancoastguard.cdac.in ওয়েবসাইটে। মোট শূন্য পদ ৩৫০ এবং আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ থেকে।

    আবেদনের সময়সীমা?

    নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে (Indian Cost Guard Navik Recruitment 2023) বলা হয়েছে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী আবেদনকারীরা তাই দ্রুত আবেদন করতে পারেন। মোট নাবিকের শূন্য পদের সংখ্যা হল ৩৫০। এই পদগুলি হল, সাধারণ নাবিক পদ মোট ২৬০টি। আন্তঃদেশীয় নাবিক পদ ৩০টি, যান্ত্রিক মেকানিক্যাল পদ ২৫টি, যান্ত্রিক ইলেকট্রিক্যাল পদ ২০টি এবং যান্ত্রিক ইলেকট্রনিক পদ ১৫টি।

    আবেদনের যোগ্যতা

    আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হতে হবে ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। প্রার্থীদের জন্মের তারিখ হতে হবে ১ মে ২০০২ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০০৬ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। সাধারণ, আন্তঃদেশীয় এবং যান্ত্রিক নাবিক পদের (Indian Cost Guard Navik Recruitment 2023) জন্য বয়সের যোগ্যতা উপরি উক্ত সময়ের মধ্যেই হতে হবে। অন্যথায় আবেদনপত্র বাতিল হবে।

    নির্বাচন পদ্ধতি

    এই শূন্যপদে (Indian Cost Guard Navik Recruitment 2023) নির্বাচনের জন্য সারা ভারত ব্যাপী পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার বিশেষ চারটি ধাপ থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে মেডিক্যাল পরীক্ষা। সবকটা পর্ব পাশ করলে একটি মেরিট লিস্ট করা হবে এবং সেই লিস্টের ভিত্তিতেই শূন্য পদের জন্য ডাকা হবে।

    পরীক্ষার জন্য কত টাকা লাগবে?

    উপকূলরক্ষী বাহিনীতে নাবিক পদের (Indian Cost Guard Navik Recruitment2023) পরীক্ষায় বসার জন্য যাঁরা তফশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণিভুক্ত, তাঁদের পরীক্ষায় কোনও টাকা লাগবে না। কিন্তু বাকি সকলের জন্য অনলাইনে ৩০০ টাকা করে পরীক্ষার মূল্য দিতে হবে। এই টাকা অনলাইনে ভিসা/ মাস্টারকার্ড /রুপে ক্রেডিট, ডেবিট ক্রেডিট/ ইউপিআই এর মাধ্যমে জমা করতে পারবেন আবেদনকারীরা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ফের রাজ্য-রাজভবন দ্বন্দ্ব! ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য মনোনয়ন রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ফের রাজ্য-রাজভবন দ্বন্দ্ব! ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য মনোনয়ন রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংঘাতের আবহেই একই সঙ্গে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ঠিক করে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। কয়েক দিন আগে এর মধ্যে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতী উপাচার্য হিসেবে নিজেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। রাজভবন সূত্রের খবর, ওই ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ কল্যাণী বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেলগাছিয়ার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়েরও অন্তর্বর্তী উপাচার্য মনোনয়ন করেছেন তিনি। 

    রাজভবনের নয়া বিজ্ঞপ্তি

    রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ অফিসার। উপাচার্যর নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম পরিচালিত হবে। রেজিস্ট্রার-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা, উপাচার্যর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করবেন। উপাচার্যর সম্মতি ছাড়া, সরাসরি রাজ্য সরকারের কোনও নির্দেশ মানতে বা কার্যকর করতে তাঁরা বাধ্য নন। দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্যহীন থাকায় প্রশাসনিক কাজ আটকে ছিল এই সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। পড়ুয়ারাও ডিগ্রির সার্টিফিকেট পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে রাজভবন থেকে জানানো হয়েছিল। তারই মাঝে রবিবার এই নিয়োগের খবর সামনে আসে।  

    আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় কি অসন্তুষ্ট! সোমবারই যাদবপুরে আসছে ইউজিসির প্রতিনিধি দল

    রাজ্যপালের যুক্তি

    রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালনাকে সামনে রেখে গত কয়েকদিনে বারবার রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে সংঘাতের ছবিটা প্রকট হয়েছে। রাজভবন একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, আচার্যর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বভৌম অধিকর্তা উপাচার্য। তাঁর নির্দেশই শেষ কথা। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় রবিবার এর ব্যাখ্যাও দেন রাজ্যপাল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটা আচার্যের নির্দেশিকা নয়। সংবিধান, ইউজিসি আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন অত্যন্ত পবিত্র বিষয় এবং সকলকেই তার সম্মান করতে হবে।’’ আচার্য-উপাচার্য বিতর্ক নিয়েও এ দিন মুখ খুলে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আচার্য উপাচার্য হিসেবে কাজ করেননি, করবেন না, করতে পারেন না এবং করা উচিত নয়। কিছু ক্ষেত্রে যেখানে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রির শংসাপত্র পেতে সমস্যায় পড়েছেন, যার ফলে তাঁরা চাকরি পর্যন্ত হারাতে পারেন, আমি বলেছিলাম, শুধুমাত্র সেই সব ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য আচার্য হস্তক্ষেপ করবেন এবং শংসাপত্রগুলি ছাড়ার ব্যবস্থা করবেন। এর বেশিও না, কমও না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohun Bagan vs East Bengal: ডার্বি হেরে মোহনবাগানকে খোঁচা ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাতের! জবাব ফেরান্দোর

    Mohun Bagan vs East Bengal: ডার্বি হেরে মোহনবাগানকে খোঁচা ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাতের! জবাব ফেরান্দোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডার্বি এবং ডুরান্ড কাপ জিতেও চুপচাপ মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giant) কোচ জুয়ান ফেরান্দো। শুধুই ঠোঁটের কোণে  হালকা হাসির রেখা।  বাকি সময় শান্ত। এটাই কি সেরা ডার্বি জয়? ফেরান্দোর উত্তর, “এটা বলা যাবে না। কারণ গোটা প্রতিযোগিতাতেই অনেক কঠিন দলের বিরুদ্ধে খেলেছি আমরা। মুম্বই সিটি, এফসি গোয়া, আজ ইস্টবেঙ্গল— কারও বিরুদ্ধেই জেতা সহজ হয়নি। নিজেদের বার বার কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে আগেও বলেছি এটা প্রাক মরসুম প্রস্তুতি। খেলোয়াড়েরা চাপের মুখে নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। এখনও উন্নতির অনেক জায়গা রয়েছে।”

    কী বললেন কুয়াদ্রাত

    অন্যদিকে, ট্রফি জিততে না পারলেও ক্রমশ হারতে থাকা একটা দলকে সাফল্যের পথ দেখাতে পেরে খুশি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। ফাইনালে ওঠার জন্য দলের ফুটবলারদের কৃতিত্ব দিলেন তিনি। কুয়াদ্রাতের কথায়, “আমার মনে হয় শেষ বার ইস্টবেঙ্গল কোনও ট্রফি জিতেছে ২০১৯ সালে। তার আগে জাতীয় পর্যায়ের কোনও প্রতিযোগিতায় জিতেছে ২০১২ সালে। তা হলে এত দিন পরে যে একটা প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে পেরেছি আমরা এটাই গর্বের ব্যাপার নয় কি?”এর পরেই পড়শি ক্লাবের উদাহরণ টেনে এনেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। বলেছেন, “যে কোনও প্রোজেক্ট সফল ভাবে দাঁড় করাতে সময় লাগবে। আমরা গত তিন বছর আইএসএল খেলছি। মোহনবাগানও তিন বছর আগে আইএসএলে এসেছে। প্রথম বার ওরা রানার্স হয়েছিল। বেশির ভাগ প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনাল বা ফাইনালে গিয়েই দৌড় শেষ হয়ে যাচ্ছিল। এত দিন পর ট্রফি জিতেছে। আইএসএলের পর ডুরান্ড কাপ। ওদের কাছে আর্থিক শক্তিও বেশি ছিল। তাতেও ওদের সময় লেগেছে। তাই এই পদক জিতে আমি গর্বিত। অনেকের কঠোর পরিশ্রম জড়িয়ে আছে এই ফলের পিছনে। এখনও অনেক কাজ করতে হবে আমাদের।”

    গোটা দলকে কৃতিত্ব দিলেন ফেরান্দো

    ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2023) ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) হয়ে উঠেছিলেন স্বপ্নের সওদাগর। কিন্তু ফাইনাল ল্যাপটা আর পার করাতে পারলেন না তিনি। জ্বলন্ত লাল-হলুদ মশাল নিভিয়ে দিল সেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferando) আইএসএল চ্যাম্পিয়ন টিম জিতল ১৭ নম্বর ডুরান্ড কাপ। গঙ্গাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের লকাররুমে ঐতিহ্যবাহী ট্রফিটি এনে দিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos)। তাঁর একমাত্র গোলই মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করে দিল। দশ জনে হয়ে যাওয়ার পরে কোনও দল ডার্বির মতো এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিতেছে, এমন উদাহরণ খুব বেশি নেই। কয়েক জন ফুটবলারকে বদলেই বাজিমাত করে গেলেন ফেরান্দো। কী বলেছিলেন ফুটবলারদের? স্প্যানিশ কোচের উত্তর, “দলকে একটা কথা সব সময়েই বলি, কঠিন সময়েই নিজেদের সেরাটা বের করে আনতে হবে। রোজ বলার কারণে এ রকম মুহূর্তে কী করতে হবে সেটা ওরা বুঝে গিয়েছে। তাই আমার কাজ ছিল স্রেফ কৌশলের ব্যাপারটা ঠিক রাখা। বাকিটা ফুটবলারেরাই জানত যে কাকে কী করতে হবে। ও রকম পরিস্থিতিতে থেকেও ম্যাচ বের করার জন্য গোটা কৃতিত্ব দলের।”

    আরও পড়ুন: ধরাশায়ী ইস্টবেঙ্গল, ১০ জনে খেলেও ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের

    লাল কার্ডটাই টার্নিং পয়েন্ট

    ডার্বির একমাত্র গোল যাঁর পা থেকে এসেছে, সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস ম্যাচের পর আবেগপ্রবণ হয়ে বললেন, “আসলে তখন এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম যে কী করছি নিজেই জানতাম না। মনে হয়েছিল নিজের দলের সমর্থকদের সঙ্গে এই সেলিব্রেশন করা দরকার। তাই ওই দিকে ছুটে গিয়েছি।” ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাতের মতে, অনিরুদ্ধ থাপার লাল কার্ডটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। বলেছেন, “ওদের কাছে প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। একজন ফুটবলার কমে যাওয়ায় ওদের হারানোর কিছু ছিল না। তাই আক্রমণ করা ছাড়া ওদের কাছে উপায় ছিল না। সেটাই করেছে। আমাদের সেই সময় নিজেদের আরও নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার ছিল। সেটা আমরা পারিনি। তবে এর থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষা নিতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2023: বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল ভারত-পাক মহারণ! এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তান

    Asia Cup 2023: বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল ভারত-পাক মহারণ! এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সেটাই সত্যি হল শনিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেল খেলা। পয়েন্ট ভাগ করে দেওয়া হল দুই দলের মধ্যে। এক পয়েন্ট করে পেল ভারত এবং পাকিস্তান। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই নেপালকে হারিয়ে দু’পয়েন্ট পেয়েছে। মোট তিন পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে চলে গেল পাকিস্তান। ভারত এক পয়েন্ট পেল তাতে নেপালের বিরুদ্ধে ৪ সেপ্টেম্বর জিততেই হবে রোহিতদের। তবেই সুপার ফোরে উঠতে পারবেন তাঁরা। 

    ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি

    ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটিংয়ের চিরকালীন দুর্বলতা আবারও প্রকট হল। পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপ অভিযান করতে নেমে প্ৰথম ম্যাচেই ভারতের ভরাডুবি। পুরো ৫০ ওভার-ও ব্যাটিং করতে পারল না টিম ইন্ডিয়া। ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানে অলআউট ভারত। হাফসেঞ্চুরির মুখ দেখলেন ঈশান কিষান এবং হার্দিক পান্ডিয়া। বাকিরা সেই ব্যর্থ। বড় ম্যাচই নাকি চিনিয়ে দেয় কে বড় খেলোয়াড়। তাই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে নজর থাকে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, বাবর আজমদের মতো ক্রিকেটারদের দিকে। কিন্তু শনিবার ক্যান্ডিতে রোহিত বা বিরাট নায়ক হতে পারলেন না। তরুণ ঈশান কিশন এবং হার্দিক পান্ডিয়া ভারতের হয়ে ইনিংস গড়ার কাজটি করলেন। ৪৮.৫ ওভার ব্যাট করে ভারত তুলল ২৬৬ রান।

    আরও পড়ুন: খেতাব জয়ের থেকে একধাপ দূরে! ডুরান্ড ফাইনালে টিকিটের হাহাকার ইস্ট-মোহন সমর্থকদের মধ্যে

    সাইনিং শাহিন

    এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার মাটিতে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসারের বিরুদ্ধে ভারত অধিনায়ক বার বার ধাক্কা খেয়েছেন। তাই এই ম্যাচে কী হবে, সেই দিকে নজর ছিল। শনিবারের লড়াইয়ে আবার জিতলেন আফ্রিদি। পর পর দু’টি বল আউট সুইং করার পর একটি ইনসুইং করলেন। তাতেই শেষ রোহিত (১১)। প্রথম উইকেট হারায় ভারত। দলের রান তখন ১৫। রোহিত আউট হতেই ক্যান্ডির মাঠে নামতে দেখা গেল বিরাটকে। তাঁর মারা একটি কভার ড্রাইভ দেখে হাসি ফিরেছিল ভারতীয় সমর্থকদের মুখে। কিন্তু তা ছিল ক্ষণিকের জন্য। আফ্রিদি অফ স্টাম্পের বাইরে বল ভিতরে টেনে এনে আউট হলেন বিরাট। ব্যর্থ শুভমন, শ্রেয়সও। সেখান থেকেই ভারতকে ম্যাচে ফেরান ঈশান কিষান। ঋষভ পন্থ খেললে হয়ত যাঁর খেলাই হত না। কঠিন সময় থেকেই হাফসেঞ্চুরি করে দলকে ম্যাচে ফেরালেন তিনি। সেখান থেকে ভারত ম্যাচে ফেরে ঈশান-হার্দিক পান্ডিয়ার ১৩৮ রানের পার্টনারশিপে ভর করে। ঈশান কিষানকে শেষ পর্যন্ত ফেরান হ্যারিস রউফ। ৮১ বলে ৮২ রানের ইনিংসে নয় বাউন্ডারি, জোড়া ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। হার্দিক পান্ডিয়া ৯০ বলে ৮৭ করেন। হ্যারিস রউফ এবং নাসিম শাহ তিনটে করে উইকেট নেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি চার উইকেট দখল করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Derby: খেতাব জয়ের থেকে একধাপ দূরে! ডুরান্ড ফাইনালে টিকিটের হাহাকার ইস্ট-মোহন সমর্থকদের মধ্যে

    Kolkata Derby: খেতাব জয়ের থেকে একধাপ দূরে! ডুরান্ড ফাইনালে টিকিটের হাহাকার ইস্ট-মোহন সমর্থকদের মধ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহান্তে ক্রীড়াপ্রেমী বাঙালির মন মজেছে ক্রিকেট-ফুটবলে। শনিবারের সন্ধ্যায় এশিয়া কাপে ক্রিকেটের বাইশ গজে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। আর রবিবাসরীয় বিকেলে ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি। ময়দানে টিকিট নিয়ে হাহাকার। বৃহস্পতিবার মোহনবাগান জেতার পর থেকেই সমর্থকদের মধ্যে টিকিট কাটা নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়ে যায়।

    সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা

    দীর্ঘ ১৯ বছর বাদে ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি। এত দিন এই ম্যাচে মোহনবাগানের আধিপত্য ছিল। ফলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে আগ্রহ কমে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন কোচের অধীনে ইস্টবেঙ্গল যথেষ্টই ভাল খেলছে। ডুরান্ডের গ্রুপ লিগের ম্যাচেও জয় পেয়েছে লাল-হলুদ শিবির। ফলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে আশা জেগেছে। সেই কারণেই দুই প্রধানই টিকিট নিয়ে আগে থেকেও বেশি আগ্রহী বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    কী ভাবছে সবুজ-মেরুন

    চলতি মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বি আয়েজিত হতে চলেছে সল্টলেক স্টেডিয়ামে। এবার বদলা নেওয়ার পালা সবুজ-মেরুনের। শেষবার ২০০৪ সালের ডুরান্ড কাপ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দ্বৈরথ দেখা গিয়েছিল। সেবার ২-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় লাল হলুদ বাহিনী। যদিও বদলার বিষয়টি নিয়ে ফেরান্দো অবশ্য বলেছেন, ‘না। এটা প্রাক মরশুম একটা টু্র্নামেন্ট। এখানে এই বদলার কোনও বিষয় আমাদের মাথাতে নেই। এখানে বিভিন্ন পজিশনে বিভিন্ন ফুটবলারকে খেলিয়ে খেলিয়ে তৈরি করাটাই আসল লক্ষ্য।’ 

    কী ভাবছে লাল-হলুদ

    ডুরান্ড ফাইনালে আরও একটি ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলের স্পেনের কোচ কুয়াদ্রাত অবশ্য মেনে নিয়েছেন, এ বারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা।  কুয়াদ্রাতের কথায়, “ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে যে মোহনবাগানকে দেখেছিলাম এই দল তার থেকে আলাদা। ওই ম্যাচের পর ওরা অনেক ম্যাচ খেলেছে। ডুরান্ড, এএফসি কাপের ম্যাচ খেলেছে। বাংলাদেশ, নেপালের চ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়েছে। এখানে দেশের সেরা মুম্বই সিটিকে হারিয়েছে। দলের কৌশলও অনেক বদলে গিয়েছে। ওদের কোচ দলের মানসিকতা বদলে দিতে চাইছে। শারীরিক ভাবেও বেশ ফিট ওরা। তবে অনেক ম্যাচেই ওরা খুব কম ব্যবধানে জিতেছে। কখনও একটা পেনাল্টি থেকে খেলার মোড় ঘুরে গিয়েছে। তবে ওদের খেলা ভোঁতা করার জন্যে আমাদের হাতেও অস্ত্র রয়েছে।”

     

LinkedIn
Share