Tag: Madhyom

Madhyom

  • ISL 2023-24: অপরাজিত গোয়াকে হারিয়ে আইএসএল-এ তিন নম্বরে মোহনবাগান

    ISL 2023-24: অপরাজিত গোয়াকে হারিয়ে আইএসএল-এ তিন নম্বরে মোহনবাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giant) জয়ের নৌকা এগিয়ে চলেছে। বুধবার, গোয়ার মাঠেই চলতি আইএসএল-এ (ISL 2023-24) অপরাজিত গোয়াকে হারায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় সবুজ-মেরুন। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এল কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন দলটি। 

    সুযোগ সন্ধানী পেত্রোতাস

    আইএসএলে (ISL 2023-24) প্রথম বার হারল এফসি গোয়া। ১২টি ম্যাচের মধ্যে আটটি জিতেছিল। ড্র করেছিল দু’টিতে।  বুধবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan Super Giant) বিরুদ্ধে হেরে যায় তারা। খেলার ৭৪ মিনিটের মাথায় গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। সেই গোলেই জয় সবুজ মেরুনের। পেত্রাতোসের গোলটা যদিও হয় গোয়ার রক্ষণের ক্ষণিকের ভুলে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পেত্রাতোসের পায়ে তুলে দেন গোয়ার গোলরক্ষক। সুযোগ কাজে লাগান মোহনবাগানের সুযোগ সন্ধানী স্ট্রাইকার। ম্যাচের শুরুর দিকে চাপ তৈরি করছিল গোয়া। মোহনবাগান রক্ষণে বার বার আক্রমণ করছিলেন কার্লোস মার্তিনেসেরা। কিন্তু সেই আক্রমণ বার বার ধাক্কা খাচ্ছিল শুভাশিস বসুদের রক্ষণে। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলহীন ভাবেই। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা পাল্টে যায় খেলা। আক্রমণের ঝাঁঝ বৃদ্ধি করে মোহনবাগান। জয়সূচক গোল ও পায় তারা।

    লিগ টেবিলে কে কোথায়

    আইএসএলে (ISL 2023-24) মোট ১২টি দল খেলে। লিগে প্রতিটি দল একে অপরের বিরুদ্ধে দু’টি করে ম্যাচ খেলবে। একটি নিজেদের মাঠে, অন্যটি প্রতিপক্ষের মাঠে। অর্থাৎ প্রতিটি দল ২২টি করে ম্যাচ খেলবে। মোহনবাগান খেলেছে ১৩টি ম্যাচ। ফলে এখনও লিগের অনেক খেলাই বাকি। ১৩ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগান রয়েছে তিন নম্বরে। শীর্ষে থাকা ওড়িশার ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে এফসি গোয়া। ১৩ ম্যাচে পেয়েছে ২৮ পয়েন্ট। ইস্টবেঙ্গল রয়েছে দশম স্থানে। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট তাদের। আইএসএলে টানা ছ’টি ম্যাচে জয়হীন লাল-হলুদ ব্রিগেড। শনিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান খেলবে নর্থইস্ট এফসি-র বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট রাজ্যপাল বোসের, পরামর্শ রাজ্যকেও

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট রাজ্যপাল বোসের, পরামর্শ রাজ্যকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দিলেন রাজ্যপাল। এর পাশাপাশি মমতা সরকারের উদ্দেশে একগুচ্ছ পরামর্শও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মূল অভিযুক্ত ও তাঁর শাগরেদদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে বলেছেন তিনি। সন্দেশখালির ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও কথাও বিবেচনা করে দেখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। সন্দেশখালিকাণ্ডে মহিলাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিষয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্টও তলব করেছেন রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালের রিপোর্টে কী রয়েছে?

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফেরার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা সহ অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের ঘটনাও রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তিনি। সোমবারই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে মহিলারা তাঁর হাতে রাখি পরান। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ফেরার আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‘কথা দিচ্ছি, যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমার যা ক্ষমতা আছে, তা দিয়েই আমি ব্যবস্থা নেব।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই রাজধানী দিল্লিতে রাজ্যপাল সিভি বোসের কনভয়ের মাঝে ঢুকে পড়ে অন্য একটি গাড়ি। ঘটনার নেপথ্যে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহনের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে রাজভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।

    রাজ্যপাল ফের যেতে পারেন সন্দেশখালি?

    বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যপাল। অসুস্থ সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে যান হাসপাতালেও। বিজেপি নেতার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। সুকান্তের কেবিনে থাকা দলের সতীর্থদের সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালির বিষয়ে রাজ্যপাল উদ্বিগ্ন। ফের তিনি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যেতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। দিল্লি যাওয়ার আগে রাজ্যপালের কথাতেই ঝরে পড়ে উদ্বেগ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বোস বলেন, ‘‘আমি এমন কিছু শুনলাম, যা আগে কখনও শুনিনি। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে। চোখের জল বাধ মানে না। রবীন্দ্রনাথের জায়গায় এমন হতে পারে ভাবতেও পারছি না। সংবিধানে আওতায় আমার যেটুকু ক্ষমতা নিশ্চয়ই সাহায্য করব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু মানসিকতা নেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু মানসিকতা নেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির মহিলাদের উপর তৃণমূল নেতাদের বর্বরোচিত অত্যাচারের প্রতিবাদে আন্দোলন চলাকালীন রাজ্য প্রশাসনের চূড়ান্ত অসহযোগিতায় অসুস্থ্ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সরস্বতী পুজোর দিনে টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে দ্রুত কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধির জন্য হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বললেন, “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু আমাদের সেই মানসিকতা নেই।”

    হুঁশিয়ারি দিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সময় অর্থাৎ বিগত তিন বছর ধরে আমাদের সঙ্গে যা ঘটছে, চাইলেই আমরা বিধানসভায় মমতার দেখানো পথে ভাঙচুর করতে পারতাম। সেই ক্ষমতা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি অর্জন করেছে। কিন্তু সেই রকম কোনও মানসিকতা আমাদের নেই। আর বিজেপি এই ধরনের কাজকে অনুমোদনও করে না। বাস ভাঙো, গাড়ি জ্বালাও, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করো, এইসবে আমরা বিশ্বাস করি না। তাবে শাসক দল ক্ষমতায় থাকলেও করে, আবার ক্ষমতায় না থাকলেও সম্পত্তি নষ্ট করে।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু?

    বিজেপি নেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মমতাকে আক্রমণ করে আরও বলেন, “টাকিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ হওয়ার জন্য একমাত্র পুলিশের উৎপীড়ন দায়ী। শুধু বিজেপি নয়, বহু সাধারণ মানুষ আমাদের বলেছেন বনধ ডাকুন। আমরা সাধারণ মানুষের এই দাবিকে অস্বীকার করছি না। কিন্তু বিজেপি একটি দায়িত্বশীল দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আমরা কথায় কথায় অবরোধ করি না। আমরাও বিক্ষোভ দেখাই, কালো ব্যাজ পরি, মিছিল করি, প্রতিবাদ করি, কোথাও কোথাও পথ অবরোধ করি। কিন্তু আমরা মানুষকে বিপর্যস্ত করার ইচ্ছে রাখি না।” রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আবহের মধ্যে বনধের পথে না হেঁটে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও তীব্র আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abu Dhabi Hindu Temple: আবুধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন! আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Abu Dhabi Hindu Temple: আবুধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন! আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE) প্রথম হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার বসন্ত পঞ্চমীর সন্ধ্যায় আবু ধাবির হিন্দু মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান স্বামী ব্রমহ্মভিহরিদাস। মন্দিরের উদ্বোধনের পর ভগবান স্বামী নারায়ণের কাছে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আরতিতেও অংশ নেন তিনি। প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করতে দেখা যায় তাঁকে। 

    মন্দিরের নানা কথা

    বিজ্ঞানসম্মত ভাবে প্রাচীন বিভিন্ন মন্দিরের আদল একত্রিত করে এই মন্দির বানানো হয়েছে। চাপ, তাপ, সিসমিক মুভমেন্ট মাপার জন্য মন্দিরের প্রত্যেক স্তরে রয়েছে উচ্চ প্রযুক্তির সেন্সর। সেই সেন্সর সব সময় তথ্য পাঠাবে। এই এলাকা ভূমিকম্প প্রবণ। তার থেকে মন্দিরকে সুরক্ষিত করতেই নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই মন্দির তৈরিতে কোনও ধাতুর ব্যবহার করা হয়নি বলেও জানা গিয়েছে। রাজস্থান থেকে ২০ হাজার টন পাথর আবুধাবিতে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সাল থেকেই এই মন্দির তৈরির কাজ চলছিল। 

    কী বললেন মন্দির

    ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় এই মন্দিরের। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসেই শুরু হয় মন্দিরের নির্মাণ কাজ। মন্দির উদ্বোধনের সময় মোদিকে বলেন, ”আমার কাছে বিএপিএস মন্দির ভারতের প্রতি আপনাদের ভালোবাসার প্রতিফলন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি আপনাদের দূরদৃষ্টি। আপনাদের সমর্থন ছাড়া এটা হওয়াই সম্ভব ছিল না। আমাদের প্রথম বৈঠকের দিনই আমি একটা সাধারণ অনুরোধ করেছিলাম যদি এই বিষয়ে কিছু করা যায়। এবং আপনারা তাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন। আমাকে বলা হয়েছিল যেখানেই আপনার আঙুল রাখবেন সেটাই আপনার হবে।”

    আবুধাবির এই মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে বাপস বিশ্বের ১২০০টি হিন্দু মন্দিরে আরতির আয়োজন করেছিল। আবুধাবিতে মন্দির উদ্বোধনের পর সেখানেও আরতি করেছেন তিনি। অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবের মতো সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এই অনুষ্ঠানেও হাজিরা ভারতের একঝাঁক তারকা। আবু ধাবির হিন্দু মন্দির উদ্বোধনে পৌঁছে গিয়েছে অভিনেতা অক্ষয় কুমরা, বিবেক ওবেরয়, সংগীতশিল্পী শংকর মহাদেবন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ১৯৬১-র পরে আসা শরণার্থীদের ‘নির্বাসিত’ করা হবে, ঘোষণা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    Manipur: ১৯৬১-র পরে আসা শরণার্থীদের ‘নির্বাসিত’ করা হবে, ঘোষণা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অনুপ্রবেশ এবং অবৈধ বসবাস ঠেকানোর উদ্দেশে বড় ঘোষণা করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।  মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং স্পষ্ট জানিয়েছেন, ১৯৬১ সালের পর যাঁরা মণিপুরে এসে থাকছেন, তাঁদের রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। তিনি জানান, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং মাদক মাফিয়ারাই মণিপুরের চলমান অশান্তির জন্য দায়ী। তাই অনুপ্রবেশ রুখতে, যাঁরা অবৈধ ভাবে রাজ্যে বসবাস করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে ‘নির্বাসিত’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    লোকসভা ভোটের আগে সিএএ চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা সিএএ-কে সমর্থনের একটা ধাপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত সোমবার ‘প্রোজেক্ট বুনিয়াদ’ প্রকল্পের উদ্বোধনে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ১৯৬১ সালের পর রাজ্যে অনেক মানুষ এসে বসবাস শুরু করেছেন। জাতি ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে তাঁদের চিহ্নিত করা হবে। মণিপুরের ‘ইনার লাইন পারমিট সিস্টেম’কে কার্যকরী করতেই ১৯৬১ সালকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ওই সালের পর যাঁরা রাজ্যে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে নির্বাসিত করা হবে।’’

    আরও পড়ুন: ভারতীয়দের জন্যই আরব আমিরশাহির সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন, বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে জুন মাসে ১৯৬১ সালের পর মণিপুরে বসবাসকারীদের বিদেশি শরণার্থীদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব বিধানসভায় গ্রহণ করা হয়েছিল। ইনার লাইন পারমিট কার্যকর করার জন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের নেটিভ স্টেটাস নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, কবে থেকে এই কাজ শুরু হবে, তা নিয়ে কিছু জানাননি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর মে মাস থেকে মণিপুরে শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংঘর্ষ। রাজ্যে জাতি সংঘর্ষ আটকানো সরকারের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India UAE Relation: মোদির আমিরশাহি সফরে স্বাক্ষরিত হল ১০ চুক্তি, জানেন কী কী?

    India UAE Relation: মোদির আমিরশাহি সফরে স্বাক্ষরিত হল ১০ চুক্তি, জানেন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে গত ক’মাসে তিনি প্রায় পাঁচ বার গেলেন সেদেশে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন আবু ধাবিতে। সেটিকে তিনি তাঁর ঘর বলেই মনে করেন, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন বিদেশ সচিব?

    বুধবার বিদেশ সচিব বিনয় কোয়েত্রা বলেন, “ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (India UAE Relation) মধ্যে ১০টি বিষয়ে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। শক্তি, পরিকাঠামো, লগ্নি এবং আর্কাইভাল ম্যানেজমেন্টের মতো জটিল ক্ষেত্রগুলিতে দুই দেশের সহযোগিতা আরও বাড়াতেও সম্পাদিত হয়েছে চুক্তি। মঙ্গলবার সে দেশে পৌঁছেই প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই সম্পাদিত হয়েছে চুক্তি এবং মউ। দুই দেশের বাণিজ্য যাতে মসৃণ গতিতে চলে এবং শক্তি নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়, তাই দুই দেশের (India UAE Relation) মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে মউ।

    করিডর তৈরির কাজে জোর

    বিদেশমন্ত্রকের সচিব বলেন, “ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকনমিক করিডর এবং ইন্টার গভর্নমেন্টাল ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট নিয়েও আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে উপকৃত হবে দুই দেশই। ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে যে লজিস্টিক প্লাটফর্মে আরও বেশি করে বোঝাপড়া প্রয়োজন, এই করিডর তৈরির জন্যও যে দুই দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন, তাও জানান বিদেশ মন্ত্রকের সচিব। দুই দেশের মধ্যে সাপ্লাই চেনও বজায় রাখতে হবে। বাল্ক কনটেনার্স এবং লিক্যুইড গুডসই যে দুই দেশের  আলোচনার অন্যতম ভরকেন্দ্র, তার ওপরও জোর দিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব। তিনি জানান, ভারতের লক্ষ্য দ্রুত ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকনমিক করিডর তৈরির কাজ শেষ করা এবং এই করিডরের সঙ্গে যেসব দেশ জড়িত, তাদের সঙ্গে শক্তপোক্ত সম্পর্ক গড়ে তোলা।

    আরও পড়ুুন: ফের ভাঙল কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগ দিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি

    প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে হয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানেই ওই করিডর গড়ে তোলার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। এই করিডর তৈরির কাজ শেষ হলে এক সুতোয় বাঁধা পড়বে ভারত, সংযুক্ত আরব আমির শাহি, সৌদি আরব, জর্ডন, ইজরায়েল এবং ইউরোপ। ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সম্পর্ক যাতে আরও শক্তিশালী হয় তাই ডিজিটাল ইনফ্রাকস্ট্রাকচার প্রজেক্ট নিয়েও মউ স্বাক্ষরিত হবে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের মধ্যে দক্ষতা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং এক্সপার্টাইজও শেয়ার করা হবে (India UAE Relation)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘ভারতীয়দের জন্যই…’’, আরব আমিরশাহির সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘ভারতীয়দের জন্যই…’’, আরব আমিরশাহির সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ঐতিহাসিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়ে সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট মোদিকে জায়েদ পদক প্রদান করেছেন। জায়েদ মেডেল বা অর্ডার অব জায়েদ হল আমিরশাহির সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, রাজা বা অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানকে ওই পদক দেওয়া হয়। এই সম্মান পেয়ে অভিভূত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সকল ভারতীয়ের সঙ্গে এই সম্মান ভাগ করে নিয়েছেন। মোদির কথায়, ” ১৪০ কোটি ভারতবাসী আমার সঙ্গে রয়েছে বলেই আমি এই সম্মান আমি লাভ করেছি।”

    কী বললেন মোদি

    মঙ্গলবার  যুক্ত আরব আমিরশাহিতে পৌঁছেছেন মোদি। সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয় সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ উপস্থিত রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের হৃদয় এক সুতোয় বাঁধা। তবে তাঁদের প্রত্যেকের হৃদয়ে বাজছে এক সুর – ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দোস্তি জিন্দাবাদ।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আপনারা আমায় অসম্ভব ভালোবাসেন। আমার সঙ্গে দেখা করতে আমরা সময় বের করেছেন। তাই আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।” তিনি বলেন, “আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। সঙ্গে নিয়ে এসেছি মাটির গন্ধ। সেই মাটি যে মাটিতে আপনারা জন্মেছিলেন, এবং এদেশে বয়ে নিয়ে এসেছেন ১৪০ কোটি মানুষের বার্তা। বার্তাটি হল, আপনার জন্য ভারত গর্বিত।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিন জায়েদ আমায় যা শ্রদ্ধা করেন, তা আমার কাছে একটি অতিমূল্যবান সম্পদ।”

    আরবি ভাষার সঙ্গে যোগ

    আবুধাবিতে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় আরবি ভাষায় কথা বলতে শোনা যায় মোদিকে। ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরতেই আরবি ভাষায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বিভিন্ন ভাষায় উচ্চারিত বেশ কিছু শব্দের সঙ্গে আরবি ভাষার যোগসূত্র রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার আরবি উচ্চারণে কোনও ভুল ত্রুটি থেকে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন।’ মোদি আরও বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আমাদের সম্পর্ক নয়া উচ্চতায় গিয়ে পৌঁছচ্ছে। ভারত এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায়। আমাদের সম্পর্কের ভিত প্রতিভা, সংস্কৃতি।’

    এরপর মোদি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তাঁর প্রথম সফরের স্মৃতিচারণা করেন। বলেন, ‘২০১৫ সালে আমি প্রথমবার আসি এই দেশে। তখন আমি কেন্দ্রীয় সরকারে নতুন। আমার আগে বিগত তিন দশকে ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আসেননি। আর আমার সময়কালে গত ১০ বছরে এই নিয়ে সপ্তম সফর করলাম আমি। দুই দেশের সম্পর্ক যে এত পোক্ত হয়েছে, তার জন্য এখানে বসবাসরত প্রতিটি ভারতীয়কে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Vibhakar Shastri: ফের ভাঙল কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগ দিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি

    Vibhakar Shastri: ফের ভাঙল কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগ দিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি বিভাকর শাস্ত্রী (Vibhakar Shastri)। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের উপস্থিতিতে এদিন লখনউয়ে  বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিভাকর। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভাঙনের জেরে কংগ্রেস দুর্বল হলেও, স্ফীতকায় হচ্ছে বিজেপি।

    কী বলছেন বিভাকর?

    এদিন পদ্ম ঝান্ডা হাতে নিয়ে বিভাকর (Vibhakar Shastri) বলেন, “আমি মনে করি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমি লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জয় জওয়ান, জয় কিষানের দৃষ্টিভঙ্গীকে আরও শক্তিশালী করতে পারব এবং দেশের সেবা করতে পারব।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে ঠাঁই হয়নি বিভাকরের। তখন থেকেই দলের প্রতি চাপা ক্ষোভ ছিল তাঁর। প্রকাশ করেছিলেন অসন্তোষও। শেষমেশ এদিন যোগ দিলেন বিজেপিতে।

    লালবাহাদুর শাস্ত্রী

    কংগ্রেসের মধ্যে যাঁরা মহাত্মা গান্ধীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত, তাঁদের অন্যতম হলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। ১৯৬৪ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী হন শাস্ত্রী। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিভাকর তাঁরই নাতি। এদিনই বিভাকর পদত্যাগ করেন কংগ্রেস থেকে। তার পরেই বিজেপি অফিসে গিয়ে নাম লেখান গেরুয়া খাতায়। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস সভাপতির উদ্দেশে বিভাকর লেখেন, ‘কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আমি ইস্তফা দিচ্ছি’।

    মঙ্গলবারও একবার ভেঙেছিল কংগ্রেস। এদিন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখমন্ত্রী অশোক চহ্বান ও কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকিও ‘হাত’ ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। গত কয়েক দিনে কংগ্রেস ছেড়েছেন একের পর এক দুঁদে নেতা। অশোকের আগে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন মিলিন্দ দেওরা। তিনি অবশ্য সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেননি। তিনি যোগ দিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডের শিব সেনা শিবিরে।

    আরও পড়ুুন: মোদি-ডোভাল-জয়শঙ্কর, ত্রয়ীর চালেই বাজিমাত, দেশে ফিরলেন কাতারের আট বন্দি

    কংগ্রেসে ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রমাদ গুণছেন ইন্ডি জোটের নেতারা। বিজেপি বিরোধী যে ২৬টি দল এক ছাতার এসেছিল পদ্মকে পরাস্ত করতে, তারাই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছে। কারণ কংগ্রেস ভেঙে গেলে ইন্ডি জোটের যে ধার কমে যাবে, তা (Vibhakar Shastri) মানছেন জোটে ভোট ম্যানেজাররাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: মোদি-ডোভাল-জয়শঙ্কর, ত্রয়ীর চালেই বাজিমাত, দেশে ফিরলেন কাতারের আট বন্দি

    PM Modi: মোদি-ডোভাল-জয়শঙ্কর, ত্রয়ীর চালেই বাজিমাত, দেশে ফিরলেন কাতারের আট বন্দি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজা হয়েছিল মৃত্যুদণ্ড। সেখান থেকে একেবারে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরা। কাতারের জেলবন্দি নৌবাহিনীর ৮ প্রাক্তন আধিকারিক দেশে ফিরে গাইছেন মোদি-স্তুতি (PM Modi)। তবে কেবল মোদি নন, এই আটজনের বেঁচে ফেরার নেপথ্যে রয়েছেন আরও দুজন। একজন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অন্যজন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এই ত্রয়ীর চালেই হয় বাজিমাত। দেশে ফেরেন কাতারে মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আটজন।

    চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার

    ওমান ভিত্তিক দারা গ্লোবালে কাজ করছিলেন ওই আটজন। চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হন ২০২২ সালের ৩০ অগাস্ট। তার পর থেকে বন্দি ছিলেন সে দেশের জেলে। পরের বছর ২৬ অক্টোবর তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেয় কাতারের আদালত। এর পরেই নৌসেনার প্রাক্তন এই আট আধিকারিককে বাঁচাতে প্রাণপণ করে ভারত সরকার (PM Modi)। ২০২২ সালের অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে তাঁদের মুক্তির বিষয়ে কাতার সরকারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। বিদেশমন্ত্রক জানায়, গ্রেফতার হওয়ার প্রথম দিন থেকেই তাঁদের মুক্ত করতে উঠেপড়ে লাগে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই জয়শঙ্কর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ছয় কূটনীতিককে নিয়ে একটি দল গঠন করেন। মধ্য প্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়ার যাবতীয় তথ্য এঁদের নখদর্পণে।

    কাতার সরকারের সঙ্গে আলোচনা

    কাতার সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন এঁরাই। ধৃতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ভারতও। জানা যায়, চরবৃত্তির যে অভিযোগ এই আটজনের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যে। এর পাশাপাশি নয়াদিল্লি ওমানের দারা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস এলএসসির সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। ওমানের সুলতান, যাঁর সঙ্গে মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো, তিনিও এই আটজনকে কাতার যাতে মুক্তি দেয়, সে ব্যাপারে সওয়াল করেন। কাতার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন লন্ডন ভিত্তিক এক ব্যবসায়ীও। এর পাশাপাশি ভারত ইরানকেও এ বিষয়ে কাতারের সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করে। এমতাবস্থায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এঁদের মুক্তির বিষয়ে চিঠি লেখেন কাতারকে। দু দিনের সফরে তিনি চলে যান দোহা। সেখানে বৈঠক করেন সে দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ মহম্মদ বিন আহমেদ আল মুসনাদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: দুবাইতে স্কুল খুলছে সিবিএসই, আবু ধাবিতে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ডোভাল মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকেও এ ব্যাপারে অনুরোধ করেন। কাতারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক বেশ ভালো। সেই কারণেই অনুরোধ করা হয় ব্লিঙ্কেনকে। ভারতের হয়ে সওয়াল করেন তাঁরা। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে কাতার হামাসদের পক্ষে। এমতাবস্থায় ভারত কথা বলে দোহা, ওয়াশিংটন, তেহরান এবং ম্যাসকটের সঙ্গে। মোদি (PM Modi) স্বয়ং কথা বলেন সে দেশের আমির আল থানির সঙ্গে। এই আটজনকে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। এঁরা যে চরবৃত্তি করছিলেন না, তার অকাট্য প্রমাণ তুলে ধরেন ডোভাল।

    কাতারে যে প্রচুর ভারতীয় রয়েছেন, ভারত যে সে দেশে ১৫.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য করতে চায়, প্রধানমন্ত্রী এসবই জানান আমিরকে। সেদেশে যে ছ’ হাজার ভারতীয় কোম্পানি রয়েছে, তাও জানান প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকের পরেই গলে বরফ। ক্ষমা করে দেওয়া হয় জেলবন্দি আটজনকে। তার পরেই মেলে কাঙ্খিত মুক্তি (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Elections: পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ!

    Pakistan Elections: পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan Elections) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন শাহবাজ শরিফ। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর নাম ঘোষণা করেন তাঁরই দাদা পাকিস্তানের তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) এর মুখপাত্র মারিয়াম অওরঙ্গজেব জানান, ‘পিএমএল এন প্রধান বছর চুয়াত্তরের নওয়াজ তাঁর ছোট ভাই বছর বাহাত্তরের শাহবাজকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ও তাঁর কন্যা বছর পঞ্চাশের মারিয়াম নওয়াজকে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেছেন।’

    প্রধানমন্ত্রীর দৌড়

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী পদের (Pakistan Elections) দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি। বছর পঁয়ত্রিশের বিলাবল জানিয়েছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। বরং প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তাঁর বাবা আসিফ আলি জারদারি উপযুক্ত। বিলাবল এও জানিয়েছিলেন, তাঁর দল পিএমএল এনকে সমর্থন করলেও, সরকারে যোগ দেবে না। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেনাবাহিনীর সমর্থন তিনি পাবেন না বুঝেই সরে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড় থেকে। পাক সেনা প্রধান আসিফ মুনীর অবশ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকেই ফের ক্ষমতায় চেয়েছিলেন। তবে নওয়াজই তাঁর ভাই শাহবাজের নাম ঘোষণা করেন (Pakistan Elections)।

    ত্রিশঙ্কু সংসদ

    দিন কয়েক আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় পাকিস্তানে। এই নির্বাচনে কোনও দলই সরকার গড়তে প্রয়োজনীয় ম্যাজিক নম্বর পায়নি। পাক সংসদের আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ৯৪টির দখল নিয়েছে জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পার্টি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। সংসদের এই ত্রিশঙ্কু দশা কাটাতে হাত মিলিয়েছে নওয়াজ ও বিলাবলের দল। তার পরেও জোগাড় হয়নি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় ম্যাজিক সংখ্যা। এমতাবস্থায়  ভাইকেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসিয়ে নওয়াজ ঝুঁকি এড়াতে চাইলেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুুন: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অথচ নওয়াজের দল পিএমএল এনের সঙ্গে সমর্থন রয়েছে পাকিস্তানের সেনার। সে দেশে সেনার অঙ্গুলি হেলনেই সরকার চলে। সেই সেনার সর্বাত্মক সমর্থন নিয়েও সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে পিএমএল এন। তার পরেও মঙ্গলবার শাহবাজ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দাদা নওয়াজই প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। বেলা গড়াতেই ভাইয়ের নামই প্রধানমন্ত্রী পদে প্রস্তাব করে বসলেন দাদা (Pakistan Elections)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share