Tag: Madhyom

Madhyom

  • ISI: রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে গড়া হয়েছে ‘ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স’, মদত জোগাচ্ছে আইএসআই!

    ISI: রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে গড়া হয়েছে ‘ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স’, মদত জোগাচ্ছে আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (Bharat) বিরুদ্ধে নয়া অস্ত্র শানাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা (মায়ানমারের মুসলমানরা এই নামেই পরিচিত)-দের নিয়ে তৈরি হয়েছে সংগঠন। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, ইসলামি মহাজ, আরাকান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (ANDF) এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি জোট বেঁধে গঠন করেছে “ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স” (ISI)। বাংলাদেশের এই ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর জন্য নয়া নিরাপত্তা সংকট তৈরি করতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    রোহিঙ্গা আর্মি (ISI)

    বাংলাদেশের এই জোট “দ্য রোহিঙ্গা আর্মি” নামেও পরিচিত। কক্সবাজারে তারা তাদের নতুন সংগঠনের কথা ঘোষণা করে। সংগঠন ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিল প্রচুর পরিমাণ শরণার্থী। পৃথকভাবে পরিচালিত এই সংগঠনগুলো আইএসআইয়ের সহায়তায় একাধিক কৌশলগত আলোচনার পর একত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার পরেই গঠিত হয় এই অ্যালায়েন্স (ISI)। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই বাংলাদেশে বেড়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপ। বাংলাদেশে রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার ক্ষমতায় থাকায়, আইএসআই সেখানে কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। সেই কারণেই আইএসআইয়ের বাড়বাড়ন্ত বাংলাদেশেও। জেহাদি উপাদানগুলি ইতিমধ্যেই এতে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, আইএসআই মনে করেছিল যে, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই চারটি রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে একজোট করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

    রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ

    আইএসআই (ISI) বুঝতে পেরেছিল, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এই গোষ্ঠীটির সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই (Bharat) সেখানে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই পরিস্থিতি এই গোষ্ঠীর জন্য লাভজনক হতে পারে তখনই, যখন তারা ওই অঞ্চলে বড় ধরনের কোনও অভিযান পরিচালনা করতে চাইবে। আইএসআই উপলব্ধি করেছিল যে, এই গোষ্ঠীগুলি পৃথকভাবে কাজ করছে। তাদের একজোট করে সম্মিলিতভাবে লড়াই চালানোর ব্যবস্থা করা হলে, তারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে—এমনটাই মনে করেছিল আইএসআই। পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থা এই “ফোর ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স” গঠনের মিশনে সফল হয়েছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    বাংলাদেশ-আইএসআই যোগ!

    তবে এই উদ্যোগে একা আইএসআই নেই। বাংলাদেশের সরকারের একাংশের ভেতরের কিছু লোকও আইএসআইকে এই জোট গঠনে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশিরাও যখন এই গোষ্ঠী গঠনে সমর্থন জুগিয়েছে, তখন তার ইঙ্গিতের অভিমুখ যে ভারত, অন্য কোনও অঞ্চল নয়, তা স্পষ্ট। গত ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে জোটটা মায়ানমারে ফের এলাকা দখলের চেষ্টা করবে। তাদের লক্ষ্য হল, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করা। এই আরাকান আর্মি একটি জাতিগত গোষ্ঠী। এরাই হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে (ISI)। বাংলাদেশের ডিজিএফআই এবং বিশেষ করে আরএসওকে উল্লেখযোগ্য সহায়তাও দিয়েছে।

    লস্কর-ই-তৈবা

    আরএসওকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এআরএসএ-র মোকাবিলা করার কৌশল হিসেবে। তবে, আইএসআই এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করায়, এসব গোষ্ঠী তাদের পারস্পরিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইএসআই নিয়মিতভাবে লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Tayiba) এবং জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (JMB) প্রশিক্ষকদের পাঠিয়ে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে (Bharat)। কয়েক বছর আগে যখন রোহিঙ্গা সঙ্কট ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল, তখন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সঈদ প্রকাশ্যে তাদের প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি তাদের দলে যোগ দিয়ে লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানান। ইউনূস সরকার পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত আগ্রহী। বাংলাদেশের শীর্ষ কর্তাদের আইএসআই (ISI) কর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকই বহন করে আসন্ন ঘটনার ইঙ্গিত।

    বাংলাদেশ ক্রমেই এগোচ্ছে তালিবানের পথে!

    বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলাদেশ ক্রমেই তালিবানের পথে এগোচ্ছে। এটিও আরও একটি দমনমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশের নারীদের দশা হবে আফগানিস্তানের নারীদের মতোই। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের “আমার বাংলা বই” সংস্করণে একটি অধ্যায় ছিল যেখানে ছেলে ও মেয়েরা একসঙ্গে গৃহস্থালির কাজ ভাগ করে নেবে বলে লেখা হয়েছিল। ২০২৫ সালের সংস্করণে এই সব কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নারীদের ওপর। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই চরমপন্থী ইসলামের উত্থানের কারণে হারতে থাকা এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এখন এটি আর একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। সেটা হল রোহিঙ্গা সমস্যা। ইউনূস ও তার অনুগামীদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতকে ধ্বংস করা। এই কারণেই তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে আইএসআইকে। সন্ত্রাস দমন সংস্থাগুলির বক্তব্য, আগামিদিনে বাংলাদেশকে শুধুমাত্র ইসলামি জঙ্গিদের সঙ্গেই (ISI) লড়াই করতে হবে না, তাদের মোকাবিলা করতে হবে রোহিঙ্গাদের (Bharat) সঙ্গেও।

  • Trisha Gongadi: রেকর্ডবুকে ভারতের তৃষা, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম শতরানের নজির

    Trisha Gongadi: রেকর্ডবুকে ভারতের তৃষা, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম শতরানের নজির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহিলা ক্রিকেটেও হরমনপ্রীত, স্মৃতি মান্ধানাদের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি। মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে তৃষা গোঙ্গারি (Trisha Gongadi)। ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন এই তরুণী ভারতীয় ওপেনার। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তৃষা। অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে এই কীর্তি আর কেউ গড়েননি। স্বভাবতই মেয়েদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানও এখন তাঁরই দখলে।

    রেকর্ড বুকে তৃষা

    ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের টিম। যদি ভারতীয় দল শীর্ষে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করতে পারে, তা হলে পাবে একটা অ্যাডভান্টেজ। সেমিতে সেক্ষেত্রে চার নম্বরে শেষ করা টিমের মুখোমুখি হতে পারে টিম ইন্ডিয়া। অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপের গত সংস্করণে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই নিয়ে কেরিয়ারের দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ খেলছেন তৃষা। চলতি বছর তিনি ইতিমধ্যেই ২টো প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ জিতেছেন। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুপার সিক্সের ম্যাচে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন তৃষা। মাত্র ৫৩ বলে আসে শতরান। তাও আঠারোতম ওভারে। এর আগে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান গ্রেস স্ক্রিভেন্সের দখলে। তিনি হাঁকিয়েছিলেন ৯৩ রান। ২০২৩ সালে বানানো এই নজির ভেঙে দিলেন তৃষা (Trisha Gongadi)।

    তৃষার দাপট

    এদিন ওপেনে ব্যাট করতে নেমে আগুনে মেজাজে ছিলেন তৃষা। উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডের বোলাররা এদিন তৃষার রণংদেহী মূর্তির সামনে কার্যত দিশেহারা ছিলেন। মাঠের চতুর্দিকে চার, ছয়ের বন্যা লেগেই ছিল। ৫৯ বলে ১১০ রান করেন তিনি। রয়ে যান অপরাজিত। বিধ্বংসী ইনিংস সাজানো থাকে ৪টি ছক্কা ও ১৩টি চারে। তৃষা এর আগেও দেশের হয়ে ক্রিকেটের ময়দানে নিজের জাত চিনিয়েছেন। অতিসাম্প্রতিক উদাহরণ কুয়ালালামপুরে আয়োজিত এশিয়া কাপ। ওই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। করেন মোট ১৫৩ রান। গড় ৫৩। স্ট্রাইক রেট ১২০.৪৫। তৃষার তাণ্ডবের ফলেই টুর্নামেন্ট জেতে ভারত। সেই প্রতিযোগিতার ফর্মই যেন ধরে রেখছেন তিনি। আপাতত বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তৃষা (Trisha Gongadi)। এদিন তৃষার শতরানে ভর করে স্কটিশদের ২০৯ রানের টার্গেট দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখানে ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় স্কটল্যান্ড। ১৫০ রানে জয় পায় ভারত।

  • Daily Horoscope 29 January 2025: শত্রুদের থেকে সাবধান থাকা দরকার এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 29 January 2025: শত্রুদের থেকে সাবধান থাকা দরকার এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) পেটের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

     

    বৃষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসার জন্য বাড়তি অর্থ দরকার হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

     

    মিথুন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

     

    কর্কট

    ১) মহিলা বন্ধুদের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

     

    সিংহ

    ১) আয় ভালো থাকলেও দারিদ্র সহজে দূর হবে না।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুবিবেচক ব্যক্তি হিসাবে উন্নতির যোগ।

    ৩) মোটামুটি কাটবে দিনটি।

     

    কন্যা

    ১) মিথ্যা বদনাম রটতে পারে।

    ২) ব্যবসায় পরিশ্রম বৃদ্ধি পেলেও লাভ ভালো হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

     

    তুলা

    ১) পিতামাতার সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে।

    ২) চোখের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

     

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের বাকপটুতায় সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবেন।

    ২) জনহিতকর কাজে সুনাম পাবেন।

    ৩) আশাপূরণ।

     

    ধনু

    ১) সন্তানের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

     

    মকর

    ১) শত্রুদের থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    কুম্ভ

    ১) একটু বিপদের সম্ভাবনা আছে।

    ২) মানসিক অস্থিরতার জন্য কোনও ভালো কাজ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

     

    মীন

    ১) সারা দিন ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Amit Shah: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠিত হবে”, প্রত্যয়ী শাহ

    Amit Shah: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠিত হবে”, প্রত্যয়ী শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপির নির্বাসন শেষ হবে এবং বিজেপি সরকার গঠিত হবে।” মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে (Delhi Election) ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিজেপি। এই পর্বে দিল্লি শাসন করেছে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। শেষ দু’বারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পারফরম্যান্স ছিল মোটামুটি। ৭০টি আসনের দিল্লি বিধানসভায় ক্ষমতায় আসে আপ। বিধানসভায় ফল খারাপ হলেও, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে ব্যাপক ভালো ফল করেছে পদ্ম শিবির। গত বছর সাতটি আসনেই জয়লাভ করেছে গেরুয়া পার্টি।

    কী বললেন শাহ

    শাহ বলেন, “আপ হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। তারা আন্না হাজারের দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছিল।” তিনি বলেন, “মিথ্যারও একটি আয়ু আছে। এখানে মিথ্যা বহুদিন ধরে চলছে। ১০ বছর হয়ে গেছে। জনগণ সব জানতে পেরেছে। তাই এবার পরিবর্তন আসবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “কিছু প্রতিশ্রুতি একই রকম হতে পারে। তারা সেগুলো পূরণ করেনি। কিন্তু জনগণ জানে যে মোদিজি সেগুলো পূরণ করবেন।” প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এবার লড়াই হবে ত্রিমুখী। নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে শাসক দল আপ, বিজেপি এবং কংগ্রেস।

    মদ কেলেঙ্কারিই বড় ইস্যু

    দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মদ কেলেঙ্কারিই বড় ইস্যু। ক্যাগ রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে আপকে নিশানা করেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, মদ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দিল্লিতে দুহাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাদের দাবি, টাকা ঢুকেছে আম আদমি পার্টির নেতাদের পকেটে। ক্যাগের লিক হওয়া রিপোর্ট পেশ করেছে বিজেপি। বিজেপি দিল্লি সরকারের ওপর এক্সপার্ট প্যানেলের সুপারিশ না মানার অভিযোগও করেছে। বিজেপির দাবি, ক্যাগের রিপোর্টে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এসেছে। মদ কেলেঙ্কারিতে সরকারি তহবিলের ২০২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে (Amit Shah)। বিজেপির দাবি, পলিসি লাগু করতেও ব্যর্থ হয়েছে (Delhi Election) আপ। আপ নেতাদের পকেটে মোটা টাকা ঘুষও ঢুকেছে।

  • Birbhum: আইসির কলার ধরে টান তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর, পাল্টা ঘুসি পুলিশ কর্তার, ধুন্ধুমার সিউড়িতে

    Birbhum: আইসির কলার ধরে টান তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর, পাল্টা ঘুসি পুলিশ কর্তার, ধুন্ধুমার সিউড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিউড়িতে তাণ্ডব তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর। আইসির কলারে ধরে টান। এর পাল্টা আবার দুষ্কৃতীকে ঘুসি মারলেন আইসি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে। সিউড়ির মিনিস্টিল এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, সিউড়ির মিনিস্টিল এলাকায় বাবু আনসারির সঙ্গে ইকবাল আনসারির দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। বাবু আনসারি এলাকায় যুব তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। ইকবালের দাবি, সেও তৃণমূলকর্মী। অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে সশস্ত্র অবস্থায় গ্রামে ঢুকে স্থানীয়দের হুমকি দিতে থাকে বাবু ও তার এক শাগরেদ। এর পর একজোট হয়ে গ্রামবাসীরা তাদের ধরে ফেলেন। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

    গ্রামে জমি নিয়ে বিবাদ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই (Birbhum)

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে জমি নিয়ে বিবাদ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। জমি দখল করতে প্রায়ই গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবারও সিউড়ির মিনিস্টিল এলাকায় জমি দখল করতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢোকে দুই দুষ্কৃতী। তাদের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। তবে এদিন গ্রামে জমি মাফিয়ারা যেতেই, তাদের ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। শুরু হয় গণপিটুনিও। এই ঘটনায় ২ সশস্ত্র দুষ্কৃতীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই বাবু আনসারির এত বাড়বাড়ন্ত। এর আগেও গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছিল সে। তখন পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি।

    আইসির সঙ্গে দুষ্কৃতীর ব্যাপক ধস্তাধস্তি (Birbhum)

    ঘটনার খবর পেয়ে সিউড়ি থানার আইসি সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী যায় গ্রামে। দুই দুষ্কৃতীকে আটক করে পুলিশ। তারপরেই দেখা যায় এক দুষ্কৃতী আইসির কলার ধরে টান দেয়। তাকে পালটা ঘুসি মারেন আইসি। এরপরে ফের শুরু হয় আইসির সঙ্গে দুষ্কৃতীর ব্যাপক ধস্তাধস্তি।

    টানা হেঁচড়ার দৃশ্য দেখে সকলেই চমকে যায় (Birbhum)

    পুলিশ কর্তাকে দুষ্কৃতীর হাতে হেনস্থা হতে দেখে তাজ্জব বনে যান এলাকাবাসী। তৃণমূলের শাসনে মজার এই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমে যায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বীরভূমের সিউড়িতে। জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। সিউড়ির ওই ঘটনাস্থল থেকে বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ের চিলকাপল্লী গ্রামে স্বাধীনতার পরে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুতের আলো

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ের চিলকাপল্লী গ্রামে স্বাধীনতার পরে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুতের আলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) রাজ্যের চিলকাপল্লী গ্রাম। স্বাধীনতার পর এই গ্রামে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুৎ। জেলা সদর শহর বিজাপুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামে খুশিতে মেতেছেন বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, চিলকাপল্লী হল ষষ্ঠ গ্রাম বিজাপুর জেলার, যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছল। ছত্তিশগড় রাজ্যের কর্মসূচি ‘নিয়াজ নেলানার’ প্রকল্প অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। বিজাপুরের জেলাশাসক সম্বিত মিশ্র এ নিয়ে নিজের খুশি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, আরও অনেক গ্রামে পৌঁছে যাবে বিদ্যুতের আলো।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্বিত মিশ্র বলেন, ‘‘এটা সত্যিই খুব আনন্দের যে চিলকাপল্লী (Chilkapalli) গ্রামে গত ২৩ জানুয়ারি বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছেছে। এটা হল বিজাপুরের (Chhattisgarh) ষষ্ঠ গ্রাম। যেখানে আমরা বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী আগামী কয়েক মাসের ভিতরে আরও অনেক গ্রামে আমরা বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।’’ প্রসঙ্গত, নিয়ত নিলানা প্রকল্প চালু করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই। এই প্রকল্পে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে যে উপজাতি অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় যা কিছু সুবিধা সেই সবকিছুকে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিকে একটি আদর্শ গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাও লক্ষ্য এই কর্মসূচির। এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে পানীয় জল, রাস্তা, ব্রিজ, স্কুল- এই সব কিছুই গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চিলকাপল্লীর (Chhattisgarh) বাসিন্দারা বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছানোয় খুশিতে মেতে ওঠেন। তাঁদের মতে, এটি উন্নয়নের একটি বড় ধাপ।

    কী বলছেন গ্রামের বাসিন্দারা?

    গ্রামের একজন উপজাতি মহিলা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আগে আমাদের গ্রামে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে নতুন সংযোগ এসেছে। এর ফলে আমরা রান্না করতে পারব এবং আমাদের ছেলেরা রাত্রিবেলায় পড়াশোনা করতে পারবে।’’ অন্য আর একজন বাসিন্দা বলেন, ‘‘বর্তমানে আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। আমরা এখন টিভি দেখতে পাচ্ছি। রান্না করতে পারছি এবং রাত্রিবেলায়ও আমরা বাইরে বেরোতে পারছি।’’ এ নিয়ে ছত্তিশগড় রাজ্যের বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মচারী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত গ্রাম চিলকাপল্লীতে (Chhattisgarh) বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু আমরা তিন চার মাসের প্রচেষ্টায় তা করতে সমর্থ হয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, এই গ্রাম নকশাল অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত। বর্তমানে এখানে উন্নয়ন যেমন পৌঁছে যাচ্ছে, তেমনই সিআরপিএফ জওয়ানরাও নজরদারি চালাচ্ছেন।

  • Mauni Amavasya: কখন লাগছে মৌনী অমাবস্যার তিথি? কীভাবে পালন করবেন ব্রত, জানুন খুঁটিনাটি

    Mauni Amavasya: কখন লাগছে মৌনী অমাবস্যার তিথি? কীভাবে পালন করবেন ব্রত, জানুন খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথিকে বলা হয় মৌনী অমাবস্যা (Mauni Amavasya)। চলতি বছরের মৌনী অমাবস্যা অত্যন্ত শুভ। মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে অমৃত স্নানে রেকর্ড ভক্ত সমাগম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারি ০৭ টা ৩৫ মিনিট থেকে মৌনী অমাবস্যার তিথি পড়ছে। এই তিথি শেষ হবে আগামীকাল বুধবার ২৯ জানুয়ারি সন্ধে ৬ টা ০৫ মিনিটে। এর ফলে মৌনী অমাবস্যার ব্রত ২৯ জানুয়ারিই পালিত হবে। মৌনী অমাবস্যার ব্রাহ্ম মুহূর্ত থাকবে ২৯ জানুয়ারি ভোর ৫টা ২৫ মিনিট থেকে ভোর ৬টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত।

    মহাকুম্ভে রেকর্ড ভিড় হতে চলেছে ভক্তদের

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ। মহাকুম্ভমেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অমৃতস্নান মৌনী অমাবস্যাকেই ধরা হচ্ছে। মনে করা হয়, এই দিন গঙ্গার জল অমৃতে পরিণত হয়। সেই কারণে হিন্দুধর্ম অনুসারে মৌনী অমাবস্যায় পূ্ণ্যস্নান (Mauni Amavasya) বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কোটি কোটি পূণ্যার্থী আগামিকাল বুধবার মহাকুম্ভে পূণ্যস্নান করবেন।

    মৌনী অমাবস্যা (Mauni Amavasya) নাম কেন

    পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, ঋষি মনু এই তিথিতেই জন্মেছিলেন। তাই এই দিনের নাম মৌনী অমাবস্যা। আবার অনেকেই বলেন, এই তিথিতে মৌনব্রত পালন করলে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়। তাই এই তিথির নাম হয়েছে মৌনী অমাবস্যা। আবার জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, মনের দেবতা হলেন চন্দ্রদেব। অন্য অমাবস্যার তুলনায় এই অমাবস্যার রাত অনেক বেশি ঘন কালো হয়। চন্দ্রদেব আকাশে থাকেন না। তাই মানুষের মন বিচলিত ও অশান্ত হয়ে ওঠে। মনকে শান্ত করার জন্য মৌনব্রত পালন করা হয়ে থাকে বলে জানাচ্ছেন অনেকে। তাই এই অমাবস্যার নাম মৌনী (Mauni Amavasya 2025)।

    মৌনী অমাবস্যার মাহাত্ম্য (Mauni Amavasya)

    শাস্ত্রমতে মৌনী অমাবস্যা তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা। সমস্ত অমাবস্যার মধ্যে মৌনী অমাবস্যারই বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে, এমনটাই বলা হয়ে থাকে। এই তিথিতেই নিজের পূর্বপুরুষদের স্মরণে তর্পণ ও অনুষ্ঠান করার রীতিও চালু রয়েছে।

    কীভাবে পালন করবেন মৌনী অমবস্যা?

    শাস্ত্র অনুযায়ী, মৌনী অমাবস্যার সন্ধ্যায় অশ্বত্থগাছের নীচে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। একইসঙ্গে এইদিন শনিদেবের মন্ত্র জপ করতে বলছেন অনেকে। এতে শনিদেব সন্তুষ্ট হন ও জীবনে নেতিবাচক প্রভাব কেটে যায়। এই তিথিতে দরিদ্র মানুষদের কালো বস্ত্র দিলে তুষ্ট হন শনিদেব। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা এই দিনটি গঙ্গা বা কোনও নদীর জলে স্নান করে শুরু করতে বলছেন। এদিন দুধ, কালো তিল, তিলের তেল, তিলের নাড়ু দান করা উচিত। এছাড়াও সূর্যদেবকে দুধ ও তিলের বীজের অর্ঘ্য অর্পণ করলে মনের সব ইচ্ছে পূরণ হয় বলেই জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা। মৌনী অমাবস্যায় নারায়ণের পুজো করতে পারেন।

    মৌনী অমাবস্যায় মৌনতা পালন

    এদিন উপবাস রেখে স্নান করার রীতিও প্রচলিত রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস, মৌনী অমাবস্যায় মৌনতা বজায় রাখলে মানসিক শান্তি লাভ করা সম্ভব হয়। সূর্যদেব ও প্রয়াত পূর্বপুরুষদের নামে পুজো করার জন্যই এই দিনটি মাহাত্ম্যপূর্ণ।

    মৌনী অমাবস্যার মাহাত্ম্য

    মৌনী অমাবস্যায় গঙ্গাস্নানের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এদিন গঙ্গার জল অমৃতে পরিণত হয়। এদিন মনুর জন্ম হয় বলে পুরাণে উল্লেখ আছে। মনুর নাম থেকেই এই তিথি মৌনী অমাবস্যা নামে পরিচিত বলে অনেকের ধারণা। এদিন উপবাস রেখে সারাদিন মৌনতা পালন করলে বাকসিদ্ধি অর্জন করা যায় বলে মনে করা হয়।

    সকাল থেকে করণীয় কাজ

    মৌনী অমাবস্যার দিন ব্রাহ্ম মুহূর্তে বিছানা থেকে উঠে পড়ুন। এরপর গঙ্গাস্নান করতে পারলে সবথেকে ভালো হয়, তবে সেটা সম্ভব না হলে নিজের স্নানের জলে একটু গঙ্গাজল মিশিয়ে নিন। স্নানের পর সূর্যদেবতাকে প্রণাম করুন ও ১০৮ বার তুলসী গাছকে প্রদক্ষিণ করুন। এরপর দরিদ্রদের নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী খাদ্য বস্ত্র দান করুন। মৌনী অমাবস্যায় মৌনতা বজায় রাখতে পারলে খুব শুভ ফল পাওয়া যায় বলে জানাচ্ছেন সবাই। গোটা দিন পুরোপুরি মৌন থাকা যদি সম্ভব না হয়, তা হলে এদিন কাউকে খারাপ কথা বলবেন না বা কারও ওপর চেঁচামেচি করবেন। এদিন যতটা সম্ভব কম ও আস্তে কথা বলতে বলছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    কী রকম পোশাক পরবেন?

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পেতে মৌনী অমাবস্যায় হলুদ রঙের পোশাক পরিধান করুন এবং নিজের পূর্বপুরুষের নামে ধ্যান জপ করুন। ব্রতপালনের দিন সকাল বেলায় একটু হলুদ গুলে নিয়ে তা বাড়ির মূল দরজায় ছিটিয়ে দিন। তার আগে বাড়ির দরজার চৌকাঠ ভালো করে পরিষ্কার করুন। এর ফলে ইতিবাচক শক্তি ঘরে প্রবেশ করবে।

    জ্যোতিষ শাস্ত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ মৌনী অমাবস্যা

    জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, ২৯ জানুয়ারি তিন গ্রহ মিলে ত্রিবেণী যোগ তৈরি করছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই তিথিতেই মকর রাশিতে সূর্য, চন্দ্র ও বুধ একসঙ্গে উপস্থিত থাকবে। যার প্রভাবে ত্রিবেণী যোগ তৈরি হবে। একইসঙ্গে বৃহস্পতির সঙ্গে এই তিন গ্রহের নবমপঞ্চম যোগও তৈরি হবে।

  • Mahakumbh 2025: বুধে স্নান মৌনী অমাবস্যার, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানেন?

    Mahakumbh 2025: বুধে স্নান মৌনী অমাবস্যার, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মৌনী অমাবস্যা। ২৯ জানুয়ারির এই পুণ্য দিনে প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে অমৃতস্নান (Mauni Amavasya) করবেন (Mahakumbh 2025) ১০ কোটিরও বেশি ভক্ত। যেহেতু এদিন কয়েক কোটি ভক্তের সমাগম হবে, তাই ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। ভিড় ও যানবাহন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষ একটি অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা চালু করেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভক্তদের জন্য নির্দিষ্ট পথ ও স্নানের ঘাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কিরণ আনন্দ বলেন, “সবচেয়ে বড় স্নান উৎসবের জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যে সেক্টর বা অঞ্চলে স্নান করেছেন, সেখান থেকেই ফিরে যাবেন, এবং কঠোর নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল চলাচল নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    সুরক্ষা ব্যবস্থা

    ভিড় কমাতে তীর্থযাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট ঘাটে স্নান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কানপুরের তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন সংঘম নোজ ঘাটে। লখনউ ও অযোধ্যার তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন দশাশ্বমেধ ঘাটে। ভিড়ের পরিমাণ বাড়লে পুণ্যার্থীদের পাঠানো হবে নাগবাসুকি, রাসূলাবাদ এবং ফাফামাউ ঘাটে। বারাণসী, জৌনপুর, আজমগড় এবং গোরখপুরের তীর্থযাত্রীরা অমৃতস্নান করবেন ঐরাবত ও ত্রিবেণী ঘাটে। মির্জাপুর এবং মধ্যপ্রদেশের তীর্থযাত্রীরা ডুব দেবেন আরাইল ত্রিবেণী পুষ্পের কাছাকাছি ঘাটে। এখানে সংঘমের দিকে যাওয়ার জন্য গতিবিধি সীমাবদ্ধ থাকবে। স্নান শেষে ভক্তরা (Mauni Amavasya) যাতে তাদের নির্ধারিত অঞ্চলে ফিরে যেতে পারেন, তাই সংঘম নোজের কাছাকাছি আন্তঃঅঞ্চল ভ্রমণ বন্ধ রাখা হবে (Mahakumbh 2025)।

    আখড়ার সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য ব্যবস্থা

    কেবল পুণ্যার্থী নন, মহাকুম্ভের বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্যও নির্ধারিত হয়েছে স্নানের ঘাট। ১৩টি আখড়ার অমৃতস্নানের পথও নির্ধারণ করা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী ত্রিবেণী পন্টুন ব্রিজ অতিক্রম করবে আখড়াগুলি। আখড়াগুলির সাধুসন্তরা যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করতে পারেন, তাই ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করিডরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

    পুণ্যার্থীদের জন্য স্নানের ঘাটের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আরও কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জল পুলিশ, এনডিআরএফ, এবং এসডিআরএফের উদ্ধার অভিযানের নৌকা ছাড়া অন্য কোনও নৌকার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষায় বসানো হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেড। নিরাপত্তা জাল সহ মজবুত ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে অস্থায়ী আবাসন এবং হোল্ডিং এরিয়া স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কাউশাম্বী, প্রতাপগড় বা ভদোহিতে ভ্রমণ আপাতত বন্ধ করা হতে পারে (Mauni Amavasya)।

    উন্নত পরিকাঠামো

    তীর্থযাত্রীদের জন্য উন্নত পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ১২ কিমি দীর্ঘ স্নানের ঘাট উন্নত আলো, পরিচ্ছন্ন টয়লেট এবং পোশাক পরিবর্তনের ঘর তৈরি করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থার পাশাপাশি জরুরি অবস্থার জন্য খড় ও চটের বস্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মেলা কর্তৃপক্ষ মৌনী অমাবস্যায় অমৃতস্নানের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্নানের ক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে। মহানির্বাণী এবং অতল আখড়াগুলি প্রথমে স্নান প্রক্রিয়া শুরু করবে। প্রতিটি আখড়া নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে স্নান করবে। এই ক্রমটি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ভক্তদের সুষ্ঠুভাবে স্নান করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে। এই সময়সূচির জন্য সমস্ত আখড়ার সদস্যরা পবিত্র আচার-অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট সময় এবং জায়গা পাবেন। বৃহত্তর ভক্ত সমাবেশের নিরাপত্তা এবং সুবিধাও বজায় রাখা হবে। এই ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে প্রয়াগরাজ একটি সুসজ্জিত এবং সুসংগঠিত মহাকুম্ভ স্নান উৎসব আয়োজন করতে প্রস্তুত (Mahakumbh 2025)।

    পূর্ণকুম্ভের যোগ

    প্রতি ১২ বছর অন্তর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণ কুম্ভ শেষে হয় একটি মহাকুম্ভ। অর্থাৎ মহাকুম্ভের এই যোগ আবার আসবে ১৪৪ বছর পরে। সেই কারণেই এবার কুম্ভস্নান করবেন অন্তত ৪০ কোটি মানুষ। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও ভক্তরা আসছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুব দিতে। এবার প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে অমৃতস্নানের যোগ মোট ৬টি। এর মধ্যে হয়ে গিয়েছে তিনটি স্নান। বুধবার হবে মৌনী অমাবস্যার স্নান। ৩ ফেব্রুয়ারি হবে বসন্ত পঞ্চমীর স্নান। আর এবারের মতো শেষ স্নান হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, এবার সব মিলিয়ে কুম্ভস্নান করবেন অন্তত ৪০ কোটি পুণ্যার্থী। ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ কোটি পুণ্যার্থী সেরে নিয়েছেন পুণ্যস্নান। বিজেপির বহু নেতা-মন্ত্রীও ডুব দিয়েছেন প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে (Mauni Amavasya)। হিন্দু ভোট কুড়োতে দেরিতে হলেও দিন দুই আগে কুম্ভস্নান করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। ৫ ফেব্রুয়ারি কুম্ভে ডুব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ১০ ফেব্রুয়ারি অমৃতস্নান (Mahakumbh 2025) করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

     

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relation) বরফ। সীমান্ত সংঘাত-পর্ব এখন অতীত। উন্নতি হয়েছে ভারত-চিনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ায়। তাই পাঁচ বছর পর ফের কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। হিন্দুদের কাছে কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা অতি পবিত্র একটি তীর্থযাত্রা। এই তীর্থযাত্রা নিয়ে আগে থেকে যে চুক্তি রয়েছে দুই দেশের মধ্যে, সেই অনুযায়ীই সব কিছু হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। কেবল এই তীর্থযাত্রা নয়, ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়েও একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

     

    বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক (India China Relation)

     

    সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। দুদিনের ওই বৈঠকে যোগ দিতে বেজিং গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। ওই বৈঠকেই দুই দেশ একাধিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে খবর। গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক হয়। তারই রেশ ধরে আলোচনা হয় বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। সেই বৈঠকেই কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে পড়শি দুই দেশ।

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান (India China Relation)। হিন্দুদের বিশ্বাস, কৈলাশ পর্বত ভগবান শিবের বাসস্থান। আর মানস সরোবর সৃষ্টি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। বৌদ্ধদের কাছেও মানস সরোবর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান। ২০২০ সালে অতিমারির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা। সেই যাত্রাই ফের চালু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

    তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। করোনা অতিমারি পর্বে এবং পরবর্তী কালে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল (Kailash Mansarovar Yatra)। নতুন করে তা চালু করতে ফের উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশই (India China Relation)।

  • Amit Shah: মহাকুম্ভে ‘শাহি’ ডুব! পরিবার নিয়ে সঙ্গমে পবিত্র স্নান সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: মহাকুম্ভে ‘শাহি’ ডুব! পরিবার নিয়ে সঙ্গমে পবিত্র স্নান সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে পবিত্র ডুব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে সোমবার ডুব দিতে দেখা যায় বিভিন্ন সাধু-সন্তদেরও। পবিত্র ডুব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ করেন সাধুরা। নিজের এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহাকুম্ভকে সনাতন ধর্মের প্রতীক বলে মন্তব্য করেন এবং এর মাধ্যমেই যে ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি, দর্শন এবং সম্প্রীতির পরিবেশ প্রতিফলিত হচ্ছে, তাও তিনি জানান।

     

    হাজির শাহের (Amit Shah) গোটা পরিবার

    পবিত্র ডুব দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বিশেষ পুজো শুরু করেন এবং ত্রিবেণী সঙ্গমে তাঁরা আরতিও করেন। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের সঙ্গে এদিন তাঁর পরিবারও হাজির ছিল। ছিলেন অমিত শাহের স্ত্রী সোনাল শাহ, তাঁর পুত্র জয় শাহ (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান)। জয় শাহের স্ত্রী এবং তাঁর সদ্যোজাত সন্তানও হাজির ছিল।

     

    কুম্ভের কলসি শাহের (Amit Shah) হাতে তুলে দেন যোগী

    অমিত শাহকে একটি কুম্ভের কলসি উপহারস্বরূপ তাঁর হাতে তুলে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এটি মহাকুম্ভের ঐতিহ্য এবং শ্রদ্ধার প্রতীক বলে মানা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাধু-সন্তরা অমিত শাহকে সম্মান জানান চন্দনের তিলক এঁকে দিয়ে। অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ যখন পবিত্র ডুব দেন, তখন তাঁদের সঙ্গে হাজির ছিলেন জুনা আখড়ার পিঠাধীশ্বর স্বামী অবদেশানন্দা। এছাড়া আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী এবং যোগগুরু বাবা রামদেব।

     

    সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে অর্ঘ্যদান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, পবিত্র ডুব দেওয়ার পরে সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে অর্ঘ্যদানও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁরা নাতি-নাতনিরাও সাধুদের কাছ থেকে আশীর্বাদ পান। এমন একটি ছবি নিজের সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হর হর মহাদেব ধ্বনিতে তাঁরা গঙ্গা এবং সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম জানান।

LinkedIn
Share